জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ২৯ এপ্রিলের পর থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৭ জনের।

বুধবার (২৩ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৫৪ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬ টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৮২ টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৮ হাজার ৫৮০ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৪ লাখ ৫ হাজার ৭৫টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও ৩০ জন নারী। ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, খুলনা বিভাগে ৩৬ জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে একজন করে দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে নয়জন ও বাড়িতে ১০ জন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৪৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে ১০ জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১ হাজার ৯৭৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ১৮২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৯৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৪ হাজার ৫৮৬ জন।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

আগামী জুলাই মাসের ২৯ অথবা ৩১ জুলাই আরো ৭শ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয় থেকে নির্বাচন উপযোগী ইউপির তালিকা প্রস্তুত করে কমিশন সভায় প্রস্তাবনা পাঠানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে কমিশন সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

যদিও একাধিক নির্বাচন কমিশনার কোভিড উধ্বমুর্খীর কারণে আপাতত ভোট করার পক্ষে না। তারপরও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আগামী ২৮ জুলাই শূন্য হওয়া তিনটি সংসদীয় আসনে ভোটের জন্য ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে ভোটের আগেই আওয়ামী লীগের মনোনীত দুই প্রার্থী নির্বাচিত হচ্ছেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, শোকের মাস আগস্টে সাধারণত কোন নির্বাচন আয়োজন করে না কমিশন। সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে নির্বাচন কার্যক্রম শুরু করতে হবে কমিশনের। তার আগে জুলাইয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইউপির তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমধাপে স্থগিত ১৬৭টি ইউপির নির্বাচনের সাথে নতুন করে আরো দ্বিতীয় ধাপের ৫শ ইউপির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কমিশনের যে সভা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে জুলাই মাসে ইউপির ভোট করার জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হবে।

ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, আমাদের দায়িত্ব নির্বাচন ব্যাপারের সময়মতো কমিশনকে অবগত করা। সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। আগামী সপ্তাহে ভোটের তফসিল ঘোষণা হলে ২৯ অথবা ৩০ জুলাই ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যে ১৬৭টি স্থগিত ইউপি রয়েছে তার মধ্যে ৪টি ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মারা গেছেন। ওই ৪টি ইউপিতে শুধু চেয়ারম্যান পদে নতুন করে শিডিউল হবে। আর বাকী ১৬৩টি ইউপির ভোট যেখান থেকে স্থগিত করা হয়েছিলো সেখান থেকে শুরু হবে।

স্থগিত থাকা নির্বাচন ঈদের আগে অনুষ্ঠিত হবে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, কমিশন এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ইউপির পরবর্তী ধাপের নির্বাচনের বিষয়েও কমিশন সভায় আলোচনার মাধ্যমে জানানো হবে।

গত ৩রা মার্চ প্রথমধাপের ৩৭১টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিলো ১১ এপ্রিল। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে গত ৩রা জুন স্থগিত ইউপির ভোটের তারিখ গত ২১জুন পুন:নির্ধারণ করা হয়। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় কোভিড পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারণে ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। গত ২১জুন ২০৪টি ইউপির ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ভোটের আগেই এমপি হচ্ছেন তারা: ভোটের আগেই ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই প্রার্থী এমপি হচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দুই প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবে কমিশন। ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আগা খান মিন্টু। এ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহজালাল জানান, চার প্রার্থীর মধ্যে বৈধ তিন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তাই আগা খান মিন্টু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। করোনা সংক্রমণের কারণ দেখিয়ে জাতীয় পার্টি-জাপার মোস্তাকুর রহমান, বিএনএফের কেওয়াইএম কামরুল ইসলাম ও জাসদের আবু হানিফ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

কুমিল্লা-৫ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম খান ও জাপার জসিম উদ্দিন বৈধ প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু গত রবিবার বিকালেই জাপার প্রার্থী জসিম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন। জসিম প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করায় হাশেম খান একাই প্রার্থী থাকলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, তারা জাপার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন পেয়েছেন। যাচাই করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন (২৪ জুন) এবিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

জাতীয়

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যদি বিচারপ্রার্থী জনগণকে ন্যায় বিচার দেওয়া যায় তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ হবে। তিনি বলেন, বিচারের নামে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখাও বিচারকদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে আমাদের সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসাবে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত বিশেষ ফুলকোর্ট সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আয়োজিত এই ফুল কোর্ট সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ অংশ নেন। বেলা ৩ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এই ফুল কোর্ট সভা চলে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদেরকে সংবিধান উপহার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। যা বিশ্বে বিরল। তিনি বলেন, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা সবসময় বঙ্গবন্ধুকে পীড়া দিত। সেজন্য মানুষ যাতে সহজে বিচার পায় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ তাদের মতামত তুলে ধরেন। সেই মতামতে বিচার ব্যবস্থার নানা দিক উঠে আসে। বিচারপতিরা বলেন, সাধারণ মানুষের দোড়গোরায় দ্রুততার সাথে কিভাবে বিচার পাইয়ে দেওয়া যায় সেদিকটা নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। মামলা দায়েরের পর বছরের পর বছর চলে যায় কিন্তু বিচারপ্রার্থীরা বিচারের আশায় ঘুরে বেড়ায়। কিভাবে এই অবস্থার পরিবর্তন আনা যায় সেদিকটা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।

জাতীয়

রাজধানীসহ সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকার জন্য হাহাকার চলছে। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে টিকার সংকট। জেলা উপজেলা পর্যায়ে টিকার তথ্যও পাচ্ছে না মানুষ।

নতুন করে টিকার জন্য নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে। আগে যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। কিন্তু নিবন্ধিতদের অনেকে উপজেলা পর্যায়ের। জেলা পর্যায়ে ছাড়া টিকা দেওয়া হচ্ছে না। আর যানবাহন ছাড়া নানা কারণে উপজেলার মানুষ জেলায় যেতে পারছেন না। দেশের ১২ লাখ মানুষ এখনো টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাননি। আদৌ তারা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন কি না, তা অনিশ্চিত। গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে করোনার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা দেওয়া শুরু হয়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজও একই কোম্পানির নিতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে টিকার কোনো বিকল্প নেই। সংক্রমণ রোধে টিকাই অন্যতম হাতিয়ার।

দেশে সীমিত সংখ্যক যে টিকা আছে তার মধ্যে রাজধানীর মাত্র তিনটি কেন্দ্রে গতকাল সোমবার সকাল থেকে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্র তিনটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। ফাইজারের ১ লাখের কিছু বেশি টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে করোনার টিকা সংগ্রহ ও বিতরণের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে। এই টিকা অতি শীতল তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। শুধু ঢাকা শহরেই এই টিকা দেওয়া হবে। এদিকে ঢাকার চারটি কেন্দ্র এবং প্রতিটি জেলায় একটি কেন্দ্রে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা আছে ১১ লাখ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ঐসব জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ টিকা নিতে জেলা পর্যায়ে যেতে পারছেন না।

এদিকে সংক্রমণ রোধে টিকাই অন্যতম হাতিয়ার হলেও টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দিকে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। একমুখী হয়ে থাকার কারণে বর্তমানে টিকার এই সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্বের যেসব দেশ টিকা উত্পাদন করছে, শুরুতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ছিল উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য প্রশাসন ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের বিচক্ষণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে টিকা পেতে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে গণহারে টিকা দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে মাস্কও পরতে হবে। স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদের মহাসচিব ও করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম চালানোর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা আছে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও ভালো। তাই দ্রুত যাতে টিকা পাওয়া যায়, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। আর বঙ্গভ্যাক্সসহ যে তিন কোম্পানির টিকা দেশে উত্পাদন হতে যাচ্ছে, সংশ্লিষ্টরা যদি শর্ত পালন করে, তাহলে সবার সহযোগিতায় দ্রুত টিকা উত্পাদন করা উচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধের অন্যতম হাতিয়ার হলো টিকা। টিকা ব্যাপক হারে দেওয়া উচিত।

No description available.

আইইডিসিআরের প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, করোনা মোকাবিলায় টিকা হলো অন্যতম হাতিয়ার। তবে টিকা দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হলো টিকা। তাই গণহারে টিকা দিতে হবে। তিনি বলেন, ইমার্জেন্সি সার্ভিসের সময় স্বাস্থ্য বিভাগের সাহসী ভূমিকা রাখা উচিত ছিল। কিন্তু সাহসী ভূমিকার ঘাটতি ছিল। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমএনসিএইচ) ডা. মো. শামসুল হক বলেন, উপজেলা পর্যায়ে টিকা দিলে ভালো হতো। ১২ লাখ টিকার মধ্যে আগে নিবন্ধিত কত জন সাড়া দেন সেটি দেখা হবে, যদি অনেকের সাড়া পাওয়া না যায়, তাহলে টিকার জন্য নতুন করে নিবন্ধনের আহ্বান করা হবে।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৩ হাজার ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

একই সময় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮৪০ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৬ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৫ হাজার ৭৭১ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৮৭১ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫৭ টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ২০ জন, বরিশালে তিনজন। এছাড়া রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহে দুইজন করে ৬ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে নয়জন এবং বাড়িতে আটজন মারা যান।

মৃত ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে সাতজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৭৯৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭১৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৯৫৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৬২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৮ হাজার ১৯৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচন ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ জুলাইয়ে তিন আসনের উপনির্বাচনে এসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র বাছাই করে ১০ জনের মনোনয়ন বৈধতা দেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ জুন। আর ৬ জুলাই থেকে প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।

No description available.

ঢাকা ও সিলেটে প্রয়োজনীয় দলিলাদি দিতে ব্যর্থ ও স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে গরমিল পাওয়ায় চারজনের মনোনয়পত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আগা খান মিন্টু, জাতীয় পার্টির মোস্তাকুর রহমান, জাসদের মো. আবু হানিফ, বিএনএফের এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম। মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান ও এম রুহুল আমীন সরকারের মনোনয়নপত্র।

কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচন করতে দুজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। দুইজনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল হাসেম খান ও জাতীয় পার্টির মো. জসিম উদ্দিন।

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বাছাইয়ে চারজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। দুজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছেন, তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহমিদা হোসেন ও সেখ জাহিদুর রহমান মাসুম।

জাতীয়

সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স।

নতুন এ গ্যাসক্ষেত্রটি উপজেলার আনন্দপুরগ্রামে অবস্থিত।

বাপেক্সের প্রকল্প পরিচালক কবির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে প্রাথমিকভাবে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সকাল সোয়া ১০টায় ড্রিল স্টিম টেস্ট (ডিএসটি) করা হয়েছে। এরপর সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কূপের গভীর অভ্যন্তরে চাপ আছে ৬ হাজার পিএসআই। আর ফ্লটিং চাপ প্রায় ১৩ হাজারের অধিক। এ কূপের চারটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরের পরীক্ষা চলমান। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাপ পাওয়া গেছে বলে কবির আহমেদ জানান।

বাপেক্সের এ প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, আগামী দুদিন আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে কী পরিমাণ গ্যাস আছে, কী পরিমাণ উত্তোলন করা যাবে।

জাতীয়

দেশে সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদ শূন্য রয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্যসংক্রান্ত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস, ২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

তবে এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি পদ শূন্য। এতে প্রায় দুই লাখ পদ শূন্য রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে মোট অনুমোদিত পদ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে কর্মরত ১৫ লাখ ৪ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে নারী ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪১২ জন।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির পদ ৪৬ হাজার ৬০৩টি, দ্বিতীয় শ্রেণির পদ ৩৯ হাজার ২৮টি, তৃতীয় শ্রেণির পদ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯০২টি এবং চতুর্থ শ্রেণির পদ ৯৯ হাজার ৪২২টি।

২০২০ সালের জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিসংখ্যান নিয়ে ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস, ২০২০’ বইটি রচিত হয়েছে। প্রতিবেদনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যও রয়েছে।

এদিকে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার অধীনে ৫৯২টি প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পের মোট জনবল ৪৭ হাজার ৩২৩ জন।

এছাড়া পাঁচ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ১০টি চলমান প্রকল্পে মোট জনবল ৯০০ জন কর্মরত রয়েছেন।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ৪৬৩তম দিনে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৪ জন। একই সময়ে নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০ এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৪ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩৯ ও নারী ১৫ জন।

গতকালের চেয়ে আজ ৭ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৪৭ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা মহামারিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩ হাজার ১৭২ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত ১১ জুন থেকে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বিদ্যমান।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৪ জন এবং ষাটোর্ধ বয়সী ২৭ জন রয়েছেন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন করে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, খুলনা বিভােেগ ৭ জন, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে এবং রংপুর বিভাগে ৫ জন রয়েছেন।

আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৮ হাজার ৭৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৮ হাজার ৭৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৩৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯৭২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ বিদ্যমান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৪ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ২৪২ জন। গতকালে চেয়ে আজ ৩২৩ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩০ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৩ শতাংশ কম।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২১ হাজার ৯১৪ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৮ হাজার ৪৭৩ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৩ হাজার ৪৪১টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৬০২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৭৪৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৮৫৩টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

করোনায় নাকাল বিশ্ববাসী।কোভিড-১৯ ভাইসারের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।করোনায় আক্রান্ত হলে ফুসফুস, শ্বসনতন্ত্র, হৃদযন্ত্র এমনকি মস্তিষ্ককেও প্রভাব পড়ে। আক্রান্তদের স্বাদ,গন্ধ চলে যায়। দেখা দেয় ক্ষুধা মন্দা।

করোনায় আক্রান্ত হলে অনেকেই মনোবল হারিয়ে ফেলেন। তবে করোনায় আক্রান্ত হলে সবচেয়ে জরুরি হলো নিজের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব রাখা।এছাড়া আক্রান্তের পর শরীরকে সারিয়ে তুলতে খেতে হবে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার। জেনে নিন করোনা আক্রান্ত হলে যা খাবেন।

প্রোটিন শরীরের পেশি, কোষকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ইমিউনিটি বাড়ায়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাই বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।করোনা আক্রান্ত হলে শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১ গ্রাম করে প্রোটিন প্রতিদিন খাওয়া উচিত। এ সময় প্রয়োজনীয় প্রোটিন পেতে ডায়েটে রাখুন চিকেন স্যুপ,চিজ, পনির, ছানা, দই,মিষ্টির মতো দুধের তৈরি খাবার, স্যালাড, সয়াবিন, মুসুর ডাল, মাছ ও মাংস।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে ক্যালোরির দিকে নজর রাখা জরুরি। অনেকেই ফিট থাকতে গিয়ে প্রতিদিনের ক্যালোরি পেয়ে গ্রহণ করেন, তবে করোনায় আক্রান্তদের বেশি করে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। এই সময় হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের জন্য বেশি করে ক্যালোরি গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময় পাতে রাখুন ভুট্টা, ভাত, আলু, রুটি এবং পাস্তা জাতীয় খাবার, বাদাম, ফল ও ড্রাই ফ্রুটস।

করোনায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে।ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে চিকিৎসকরা এ সময় মাল্টি ভিটামিনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। ওষুধ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য থেকে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি মেটানো উচিত। এই সময় ভিটামিন সি-র জন্য কমলা লেবু, আম, আনারস ও আঙুরসহ তাজা ফল খেতে হবে।

করোনা আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। খেতে হবে তরল খাবার। পানির পাশাপাশি ফলের রস, গরম চা পানেরও পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।