জাতীয়

বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতিটি স্তরে বহু-অংশীজন ভিত্তিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ প্রণীত সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার খসড়া কর্ম-পরিকল্পনার উপর আয়োজিত উচ্চ-পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এ আহবান জানান।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতি থেকে উদ্ভূত সম্ভাবনার পূর্ণ সুফল ঘরে তুলতে সমুদ্র সম্পদে বিশেষ করে জাতীয় সমুদ্র সীমানার বাইরে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।’

রাবাব ফাতিমা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং জাতিসংঘের সমুদ্র বিজ্ঞান দশককে এগিয়ে নিতে এই কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত রূপকল্প-২০৪১ এর উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, দেশের সমুদ্র সম্পদের কার্যকর ব্যবহার ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বিনির্মাণে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে, যাতে রূপকল্প-২০৪১ এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার পর সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য অংশীজনদের সাথে গভীর সমুদ্র এলাকায় যৌথভাবে গবেষণা পরিচালনা করার বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

গভীর সমুদ্র তলদেশে গবেষণা এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগসমূহকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর জোর দেন তিনি।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে উন্নয়নশীল দেশসমূহে সক্ষমতা বিনির্মাণ ও কারিগরী ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা; সকলের অন্তর্ভুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতিটি স্তরে বহু-অংশীজন ভিত্তিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা; পর্যাপ্ত, সম্ভাব্য ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি সমুদ্র-পরিবেশ ও এর জীব বৈচিত্র অক্ষুণ্ণ রাখা।

এছাড়া গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ। এছাড়া কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যসম্পদ মন্ত্রী, নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘ সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিগণ সভাটিতে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।

জাতীয়

ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ৯টি স্থানে বাস পোড়ানোর একাধিক মামলায় ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী। বুধবার সকালে এ সব মামলায় হাইকোর্টের কাছে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন চাইলে তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজউদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন। এ দিন বিকালে রাজধানীর ৯টি স্থানে বাসে আগুন দেয়া হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

জাতীয়

সিলেট জেলায় ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সকালে নগরীর পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁও ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন লেগে বিদ্যুতের দুটি গ্রিড পুড়ে যায়। এর পর থেকে পুরো সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

আগুন লাগার দুই ঘণ্টা পর বেলা পৌনে ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।

বুধবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে প্রায় ৪০০ কর্মী কাজ করছেন। বুধবার দুপুরের আগে মেরামত করা কিছু পিলার পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

আগুন লাগার পরপর সিলেট বিভাগের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে সাড়ে ৪ লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয় সুনামগঞ্জে।

এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নগরে পানি সরবরাহ করতে পারছে না। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনেরা। কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে দোকানপাট ও বিপণিবিতান। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতাদের উপস্থিতি কমে গেছে।

এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের জয়ন্ত কুমার নামের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাতীয়

‘অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে এলেই বিএনপির রাজনীতি টিকবে, অন্যথায় বিএনপি নিজেদের আগুনে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ভাসানী আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল এবং তাদের নেতারা নানা কথা বলছেন। ২০১৩-১৪-১৫ সালে তারা যেভাবে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর খেলায় মেতেছিল, এখনও যদি আগুন নিয়ে খেলে, তারাই সে আগুনে জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে।’

‘বিএনপির অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য, রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য কি বাস পোড়াতে হবে’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘অনেকে যখন প্রশ্ন করছে- বিএনপি আজকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে কি না, তখন আমি বলবো, বিএনপি দাঁড়িয়ে আছে, তবে পা এবং হাঁটু খুব নড়বড়ে। আমরা দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। আমরা আশা করবো, বিএনপি হাঁটু কাঁপুনি ছাড়া দাঁড়াতে পারবে এবং তারা এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। তাহলেই বিএনপির রাজনীতি টিকবে, অন্যথায় তারা নিজেদের আগুনেই পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিএনপি করোনা ভাইরাসে উদ্বিগ্ন মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বরং বাসে আগুন দিচ্ছে, অতীতের মতো মানুষ পোড়ানোর নোংরা খেলায় মেতেছে এবং এটি করার পর এমনভাবে অস্বীকার করছে, অবলীলায় মিথ্যা বলছে, যে আমাকে আবারও বলতে হচ্ছে, মিথ্যা বলায় পুরস্কার থাকলে বিএনপি নেতারা প্রথম পুরস্কার পেতেন। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট, তারা এখন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অতীতেও ঘটিয়েছে।’

‘আজকে বিএনপির বড় বড় নেতাদের অনেকেই মওলানা ভাসানীর অনুসারী ছিলেন, যারা সবাই ক্ষমতার লোভে জিয়াউর রহমানের বিতরণকৃত ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট নিতে মওলানা ভাসানীর আদর্শচ্যুত হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন’ বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক।

‘দলছুট, রাজনীতির হাটে বিক্রি হওয়া, আদর্শচ্যুত রাজনীতিবিদরা আসলে কোনো দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না, সেটিই আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি’ বলেন ড. হাছান।

এসময় বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর হাফিজের ‘ভোটের মাধ্যমে নয়, গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতন ঘটাতে হবে’ বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত: বিএনপি তো ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। দ্বিতীয়ত: রাজপথে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে, এই কথা গত প্রায় ১২ বছর ধরে তারা বলে আসছে। তারা আসলে ভোটে যেমন বিশ্বাস করে না, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে কখনো যে সরকারের পতন হবে না, সেটিও তারা বোঝে। আসলে তারা অতীতে যেমন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল, এখনও নানা ষড়যন্ত্র আঁটছে, ষড়যন্ত্র নিয়েই ব্যস্ত আছে।’

মওলানা ভাসানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি কখনো ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি, ক্ষমতার সাথে আপোষ করেননি। মুসলিম লীগের ড্রইং রুম কেন্দ্রিক রাজনীতিকে জনগণের কাতারে আনার জন্য মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ ও পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত করতে গঠিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে জাতীয় নেতা মওলানা ভাসানীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।’

ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান এম এ ভাসানীর সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য এডভোকেট নূরুল আমীন রুহুল, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গণি মিয়া বাবুল, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. আজগর আলী প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

জাতীয়

করোনা ভাইরাসে দেশে ফের মৃত্যু ও আক্রান্ত বেড়েছে। গত এক দিনেই আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এছাড়া একই সময়ে আরো ২ হাজার ২১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সংখ্যা গত ৭৬ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

মঙ্গলবার বিকালে এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সব মিলিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ২৫৪ জন। আর শনাক্ত বেড়ে দাঁড়াল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নতুন করে আরো ১ হাজার ৭৪৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ জন হয়েছে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৬ হাজার ৬০২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৫২টি।

এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে, তখন বাংলাদেশেও বেড়েছে সংক্রমণ। কিন্তু এ নিয়ে মানুষের মাঝে কমে এসেছে সচেতনতা। ফলে মাস্ক পরার বিষয়ে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য অভিযানে নামতে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জাতীয়

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার আদালত চলাকালে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতের স্টোর রুমে এ আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পৌনে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দায়রা জজ আদালতের জামিন আবেদনের নথি ও একাধিক মামলার নিষ্পত্তি হওয়া ফাইল পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর জজ আদালতে আগুনে কাগজপত্র পুড়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি। আদালতের আগুন লাগায় পানির ব্যবহার করা হয়নি। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সময় লেগেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো.ফরিদ আহমেদ জানান, আদালত কক্ষের নিষ্পত্তিকৃত নথি রাখার ডিসপোজাল শেলফে আগুন লাগে। পৌনে ৫টার দিকে যখন আগুন লাগে, তখন আদালতে শুনানি চলছিল।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আল মামুন বলেন, আদালতের কার্যক্রম শেষে হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। আমরা ধারণা করছি, বিদ্যুতের শট সার্কিট বা এসি বিস্ফোরণের ফলে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

আদালতের এজলাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, আদালত চলাকালীন এজলাসের পেছন দিক থেকে কিছু ধোঁয়া আসছিল। এরপর বিচারক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বলেন, দেখেন তো কীসের ধোঁয়া আসছে। এরপর দেখা যায়, এজলাসের পেছনেই মামলার নথি রাখার স্তূপ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এসি বিস্ফোরণের ফলে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) তাপস কুমার পাল বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এজলাসে মামলার শুনানি গ্রহণ করছিলেন মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। তখন তিনি তার আদালত কক্ষে ধোঁয়া দেখতে পান। এরপর আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধোঁয়ার উৎস খোঁজেন। তখন তারা দেখেন যে বিচারকের এজলাসের পেছনের বারান্দায় একটি স্টোর রুম রয়েছে, যেখানে নিষ্পত্তিকৃত মামলার ফাইল ছিল। সেখানেই আগুন লাগে।

তিনি বলেন, যেসব ফাইল পুড়ে গেছে- সেগুলো অপ্রয়োজনীয়। তবে আদালত কক্ষের ভিতরে যেসব ফাইল ছিল, সেগুলো তাৎক্ষনিক সরিয়ে নেন কর্মচারীরা।

জাতীয়

বাংলাদেশের বন্ধু বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী শেখ খলিফ বিন সালমান আল খলিফার মৃত্যুতে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্য অধিদফতর থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ কথা জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম বন্ধুর মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে একদিনের শোক পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

রাষ্ট্রীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ ছাড়াও বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বাংলাদেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীও প্রতিষ্ঠানে তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

 

জাতীয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার ( ১৫ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, রবিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাবার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের। সেজন্য তাদের করোনা পরীক্ষা করতে আইসিডিডিআরবিতে নমুনা দেয়া হয়। শনিবার রাতে তাদের দুজনেরই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

অপু বলেন, ‘তিনি এখন ধানমণ্ডির বাসভবনে আইসোলেশনে আছেন। মন্ত্রীর শারীরিক কোনো জটিলতা নেই। তিনি স্বাভাবিক ও ভালো আছেন। তিনি দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, তারা পজিটিভ কিনা তা পুনরায় নিশ্চিত করার জন্য দুজনের আবারও নমুনা পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে দুজনের মধ্যেই কোনও লক্ষণ নেই এবং তারা পুরোপুরি সুস্থ আছেন।

এদিকে, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার গানম্যান জালাল উদ্দিনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (১৫ নভেম্বর) করোনা পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

এর আগে শনিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের চলমান বিশেষ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদের পক্ষ থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তিনি করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়।

জাতীয়

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন নূর হোসাইন কাসেমী। রবিবার ( ১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় আয়োজিত হেফাজতে ইসলামের সম্মেলনে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে সংগঠনের মোট ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। উপদেষ্টা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন ২৫ জন, নায়েবে আমির পদে ৩২ জন, যুগ্ম-মহাসচিব পদে সাতজন ও সহকারী মহাসচিব পদে ১৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

জুনায়েদ বাবুনগরী আগে সংগঠনটির মহাসচিব ছিলেন। আর নূর হোসাইন কাসেমী সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাবুনগরী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার প্রধান শায়খুল হাদিস ও নাজিমে তালিমাত (শিক্ষা পরিচালক)। নূর হোসাইন কাসেমী ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার প্রিন্সিপাল।

সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, প্রচার সম্পাদক পদে জাকারিয়া নোমান ফয়জী এবং যুগ্ম-মহাসচিব পদে জুনায়েদ আল হাবীব, মামুনুল হক, নাসির উদ্দিন মনির ও মীর ইদ্রিস নির্বাচিত হয়েছেন।

হেফাজতের আমির নির্বাচিত হয়ে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমি এ পদ গ্রহণ করতে চাইনি। মুরুব্বিরা জোর করে এ দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন এ দায়িত্ব পালন করতে পারি।

এদিকে, হেফাজতের গত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দিন রুহী তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আজকের সম্মেলন গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। গত কমিটির প্রায় ৫০ জন সদস্য আজকের সম্মেলনে দাওয়াত পাননি। তাই আমরা এ কমিটি মানি না। আজ বিকেলে বসেই আমরা এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করব।

জাতীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন আদেশ, ২০২০ জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ আদেশ দ্বারা এ সংক্রান্ত ২০০৫ সালের আদেশ রহিত করা হয়েছে।

নতুন আদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) প্রকাশিত প্রমাণকের যেকোনো একটিতে নাম থাকতে হবে। প্রমানকগুলোর মধ্যে রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (পদ্মা), মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (মেঘনা), মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (সেক্টর) এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী)। লাল মুক্তিবার্তার মধ্যে রয়েছে লাল মুক্তিবার্তা (চূড়ান্ত লাল বই), লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা।

গেজেটের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, বেসামরিক গেজেট, প্রবাসে বিশ্ব জনমত গেজেট , ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) গেজেট ,শব্দ সৈনিক- স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলা-কুশলীদের তালিকা, মুক্তিযোদ্ধাদের (বীরাঙ্গনা) তালিকা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়বৃন্দের তালিকা, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন, বিশেষ গেরিলা বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা , বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োজিত বা দায়িত্ব পালনকারী মুক্তিযোদ্ধা গেজেট, সরকারের মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীবর্গের তালিকা এবং মুজিবনগর কর্মচারী তালিকা এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত অন্যকোন নামীয় তালিকা সংক্রান্ত গেজেট ।

বাহিনী গেজেটের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাহত সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা, যুদ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) , যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) গেজেট, সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের নামীয় তালিকা , বিমান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকা, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, নৌ-কমান্ডোদের তালিকা, বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমান বিজিবি) এর মুক্তিযোদ্ধাদের নামীয় তালিকা, পুলিশ বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ।

আদেশে বলা হয়েছে, কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে জানাতে হবে। ঢাকায় অবস্থানরত খেতাবপ্রাপ্ত বা যুদ্ধাহত কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে অবহিত করবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আত্মীয়-স্বজন বা কোন নাগরিক প্রশাসনকে অবহিত করতে পারবেন । এমনকি সংবাদ মাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হলেও যাচাই করে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

মহানগর ও জেলা সদরে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে হলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন। রাষ্ট্রীয় বা জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকলে জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের নিয়ম: মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার কফিন জাতীয় পতাকা দ্বারা আবৃত করতে হবে। তবে সৎকার বা সমাধিস্থ করার পূর্বে জাতীয় পতাকা খুলে ফেলতে হবে। সরকারের অনুমোদিত প্রতিনিধি কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন । অনুমোদিত সংখ্যক পুলিশ বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যদের দ্বারা সশস্ত্র সালাম প্রদান করতে হবে এবং বিউগলে করুন সুর বাজাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গার্ড অব অনার পরিচালনা করবেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় বা জনগুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে থাকতে না পারলে থানার পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। সশস্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে উক্ত বাহিনীর নিজস্ব রীতি অনুসরণ করতে হবে।

আদেশে আরো বলা হয়েছে, বীর মুক্তিযোদ্ধার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী এবং ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী সৎকার বা সমাধিস্থ করতে হবে । অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।