জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জনস্বার্থে কাজ করার ব্রত নিয়ে দেশবাসীকে সমাজসেবায় এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত ওয়াকাথন ও সমাজসেবা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বেলুন ও পায়রা উঠিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা যদি অল্প অল্প করে নিজের স্বার্থের পাশাপাশি পরের স্বার্থে কাজ করতে পারতাম এবং অপরের জন্য কিছু করার চিন্তা মাথায় ঢোকাতে পারতাম, তাহলে যে সমস্যা আমাদের রয়েছে, তা সমাধানে কারও মুখাপেক্ষী হতে হতো না। সমাজসেবা দিবসে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমাদের মধ্যে পরের স্বার্থে কাজ করার যে শক্তি রয়েছে, সেটাকে যেন জাগিয়ে তুলতে পারি। উন্মোচন করতে পারি। ব্যক্তি এবং প্রতিটি পরিবার থেকে এই ব্রত গ্রহণ করলে আমরা সফল হব।’ তিনি দৈনন্দিন জীবনে জনস্বার্থে কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাজসেবামূলক কাজ করা শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকের ভুল ধারণা ব্যক্তি পর্যায়ে আমাদের কাজ হলো কেবল টাকাপয়সা রোজগার করা। নিজের স্বার্থে কাজ করা। সমাজসেবা সরকারের দায়িত্ব—এটা ভুল ধারণা। ব্যক্তির যে শক্তি আছে, সেই শক্তির কাছে সরকারের শক্তি একেবারে নস্যি। মোটেই তুলনা করা যায় না। আমাদের এই প্রচণ্ড শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’

সামাজিক ব্যবসা জনস্বার্থের কাজের ক্ষেত্রে বড় মাধ্যম হতে পারে, এমন মন্তব্য করে সরকার প্রধান বলেন, ‘অন্যের স্বার্থ বা পরের দুঃখ–দুর্দশা ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে আমরা আনন্দ পেতে পারি—এমন উপলব্ধি থেকে আমরা সবাইকে সামাজিক ব্যবসায় উৎসাহিত করি। মানুষ আস্তে আস্তে এটা বুঝছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে দেখছি। আমি যখন ব্যবসা করব, সেটা নিজের স্বার্থে যেমন করব, তেমনি পরের স্বার্থেও ব্যবসা করব। স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতসহ সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে যে ঘাটতি বা সমস্যা রয়ে গেছে, আসুন, আমরা তার সমাধানে সামাজিক ব্যবসা করি।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সমাজসেবা প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। আর মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া, যেন কেউ ভুলে না যায় এই দায়িত্ব থেকে, দূরে সরে না যায়…আশা করি, এই আহ্বান সবার কাছে পৌঁছে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই পরের স্বার্থে কাজ করার প্রবণতা আছে। সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। নিজের জন্য কিছু করার তুলনায় পরের কল্যাণে কাজ করায় আনন্দ মেলে বেশি।’

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ . সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন ও জুলাই বিপ্লবের তিন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান খান ।

জাতীয়

রাজধানীসহ সারা দেশে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার দাপটে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমে বলেন, সারা দেশের মধ্যে ঢাকা এবং এর আশপাশে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণেই বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যত কমবে ততই বেশি শীত অনুভূত হবে। পাশাপাশি আরিচাতে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার এদিন (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।

শুক্রবারের (৩ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যহত হতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।

জাতীয়

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৪ জন ভিআইপিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ-সদস্য, সচিব, রাজনৈতিক দলের নেতা, আমলা, ব্যবসায়ী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তা।

এসব বন্দির মধ্য থেকে ১০৮ জনকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। ২৬ জন এখনো ডিভিশন পাননি। কারাগারের খাতায় তারা (যারা ডিভিশন পাননি) বিশেষ বন্দি হিসাবে বিবেচিত হচ্ছেন। কারা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

কারাগারগুলোয় যারা বিশেষ বন্দির তালিকায় আছেন, তাদের মধ্যে একজন সাবেক হুইপ, ২২ জন সাবেক সংসদ-সদস্য ও তিনজন সরকারি কর্মকর্তা। তারা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছেলে ও সাবেক সংসদ-সদস্য তানভীর ইমাম, সাবেক সংসদ-সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সংসদ-সদস্য গোলাম কিবরিয়া, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, কামরুল আশরাফ খান পোটন, আব্দুর রউফ, রাগেবুল আহসান রিপু, আব্দুস সোবহান মিয়া (গোলাপ)।

আরও আছেন- কাজী জাফর উল্ল্যাহ, আহম্মদ হোসাইন, শাহে আলম, সাদেক খান, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সেলিম আলতাফ জর্জ, ড. ইঞ্জিনিয়ার মাসুদা সিদ্দীকি রোজী, সাবেক হুইপ মাহবুব আরা গিনি, সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদি, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, আলী আজম মুকুল, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক এএসপি রফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ-সদস্য এএমএ লতিফ, জান্নাত আরা হেনরি, রশিদুজ্জামান মোড়ল, সাবেক সংসদ-সদস্য এসএম তানভীর আরাফাত এবং রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সাবেক সংসদ-সদস্য তানভীর ইমামকে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করে। গুলশান থানার একটি হত্যা মামলায় পরদিন তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। হাজী সেলিমের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিমকে ১৩ নভেম্বর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন গুলশান থানার একটি হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ-সদস্য ১৪ নভেম্বর গোলাম কিবরিয়া টিপুকে রাতে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার একটি মামলায় পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে ১৫ ডিসেম্বর রাতে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেফতার নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য কামাল আশরাফ খান পোটনকে ১৯ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া-৪ আসনের (কুমারখালী-খোকসা) সাবেক সংসদ-সদস্য আবদুর রউফকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ৬ নভেম্বর থেকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। বগুড়া সদর আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে ১৯ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে র‌্যাব। রিপুর বিরুদ্ধে বগুড়ার বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে। ২০ ডিসেম্বর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপকে আগস্টে গ্রেফতার করা হয়। তিনি একসময় সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ আছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে সেপ্টেম্বরে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ আছেন।

আগস্টে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ উল্লাহকে। তিনিও এখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় করাগার-২-এ আছেন। একই কারাগারে থাকা শাহে আলমকে গ্রেফতার করা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে। গ্রেফতারের আগে তিনি গণধোলাইয়ের শিকার হন। মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাদেক খান কারাগারে আছেন ২৯ আগস্ট থেকে।

লালবাগ থানার মামলায় হাজী মোহাম্মদ সেলিম কারাগারে আছেন ৪ সেপ্টেম্বর থেকে। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় গ্রেফতার হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে আছেন সাবেক সংসদ-সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ। ডিভিশন না পাওয়া আরও যারা বিশেষ বন্দির মর্যদা পেয়েছেন, তাদের ২০ আগস্ট থেকে ২৬ ডিসেম্বর সময়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসাবে এ মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থান করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক সংসদ-সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম, শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজব জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টারের সাবেক মহাপরিচালক তারেক এম বরকত উল্লাহ, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নৌবাহিনীর সাবেক কমোডর মনিরুল ইসলাম, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম সোহায়ইল, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডেপুটি স্পিকার সামসুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক উপমন্ত্রী আদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

সাবেক মন্ত্রী মাহবুব আলী, ফরহাদ হোসেন, ইমরান আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জাকির হোসেন, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, উবায়দুল মোকদাদির চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, সাবেক যুগ্মসচিব একেএম জি কিবরিয়া মজুমদার, সাবেক সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাবেক মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আমির হোসেন আমু, আব্দুস শহীদ, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল হোসেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সংসদ-সদস্য সাফিয়া খাতুন, সাবেক সংসদ-সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা ওরফে শিউলি আজাদ, বেসিক ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. আলী চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান, সাবেক পুলিশ উপমহাপরিদর্শক মিজানুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মাইনুল হক, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান, ডিএমপির সাবেক উপপুলিশ কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, পুলিশ সুপার শাহেন শাহ, পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানা, রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, তানজিল আহম্মেদ, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউল ইসলাম, সাবেক সংসদ-সদস্য বখতিয়ার আলম রনি, সহকারী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইজপি মো. শহিদুল হক, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মশিউর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল হাসান, সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইফতেখার মাহমুদ, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহেল কাফি, পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সংসদ-সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সাবেক ক্যাপ্টেন এআই সবুজ আহমেদ, সাবেক লেফটেন্যন্ট কর্নেল মো. তানভীর ইসলাম।

সাবেক মেজর এসএম মনিরুজ্জামান, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ওরফে শাহাবুদ্দিন মোল্লা, পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সংসদ-সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওরফে ডলার সিরাজ, সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সাবেক সংসদ-সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, দাবিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, মো. আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ, কেডিএস গ্রুপের মালিকের ছেলে ইয়াসিন রহমান ওরফে রহমান ইয়াসীন।

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, সাবেক সংসদ-সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, আয়েশা ফেরদৌস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক আলী অমি, সাবেক সংসদ-সদস্য হাজী রহিম উল্লাহ, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কায়সার দস্তগীর, সাবেক পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, সাবেক সংসদ-সদস্য মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) জান্নাতুল ফরহাদ বলেন, যাদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে, তারা কারাবিধি অনুযায়ী সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, কারাবিধিতে বিশেষ বন্দি বলে কিছু নেই। আদালত যাদের ডিভিশন মঞ্জুর করেননি, তাদের সাধারণ বন্দি হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

জাতীয়

হালনাগাদে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান।

দাবি, আপত্তি ও নিষ্পত্তি শেষে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

বিদ্যমান ভোটার নিয়ে এখন ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন।

সবশেষ গত ২ মার্চে প্রকাশিক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে।

এ জানুয়ারিতে নতুন ভোটার যুক্ত হবে ১৮ লাখের বেশি।

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটারযোগ্য হবেন- এ বছরের হালনাগাদের সময় তাদের যুক্ত করা হবে।

ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চূড়ান্ত হওয়ার পর বাদ পড়া ও ভোটারযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিবন্ধন তথ্য নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে এ এম এম নাসির উদ্দীন নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন।

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের উদ্যোগ আপাতত সফল না হলেও এ উদ্যোগের ‘পেছনে কারা’ তা নিয়ে নানা ধরনের ‘সন্দেহ ও আলোচনা’ দানা বেঁধেছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।

আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পাঁচ মাস পর এসে ঘোষণাপত্র নিয়ে তোড়জোড় ও বিশেষ করে ‘বাহাত্তরের সংবিধানকে কবর দেওয়ার হুমকি’তে দলটির নেতাকর্মীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত।

তাদের অনেকে মনে করেন এই উদ্যোগের সঙ্গে নির্বাচনকে বিলম্বিত বা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টারও যোগসূত্র থাকতে পারে।

দলটির ভেতরে এমন বিশ্বাস গড়ে উঠেছে যে কোনো ‘বিশেষ রাজনৈতিক দলের’ উস্কানি কিংবা ভরসাতেই মঙ্গলবার শহীদ মিনারে জমায়েত ডেকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিল বৈষম্যবিরোধীরা। তবে এর সঙ্গে বিদেশি কোনো শক্তির ইন্ধন আছে বলে তারা মনে করেন না।

গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ দেওয়া হবে বলে জানান। এ সময় তিনি বলেছিলেন যে ঘোষণাপত্রে ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে এবং ‘মুজিববাদী সংবিধান কবরস্থ’ করা হবে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলছেন বায়াত্তরের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত শাসনতন্ত্র।

তিনি বলছেন, পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এটি অর্জন করেছি আমরা। কেউ এটি অপব্যবহার করলে সংশোধন করে যুগোপযোগী করা যাবে। কিন্তু বাতিল করার প্রশ্ন আসছে কেন।

দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলছেন, দেশের বর্তমান ভঙ্গুর অবস্থায় হুট করে ‘ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের পেছনের উদ্দেশ্য আসলে কী? এটা না জানলে তো নানা চিন্তার উদ্রেক হবেই। আবার ঘোষণা দিয়েও করা হলো না কেন। সেটারও বা কারণ কী, বলছিলেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন, জুলাই ‘ঘোষণাপত্রে’ যেসব বিষয় আনার কথা বলা হচ্ছিলো সেগুলোর সঙ্গে বিএনপির যোগসূত্র কম এবং সে কারণেই বিএনপির কাছে এটিকে নির্বাচন বিলম্বিত করার একটি চেষ্টা হিসেবেই মনে হয়েছে বলে তার ধারণা।

প্রসঙ্গত, বিএনপি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই সংবিধানের সংস্কারের বিষয়ে সতর্ক মন্তব্য করে আসছে। এমনকি আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ সংবিধান বাতিল হয়ে গেছে এমন মন্তব্য করলে দলটির নেতারা সেটির সমালোচনাও করেছেন।

ঘোষণাপত্র নিয়ে যত ঘটনা

আগস্টের শুরুতে আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আটই আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। শুরু থেকেই বিএনপি সরকারের প্রতি তাদের সমর্থনের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করে আসছে।

পরে ড. ইউনূস সংবিধানসহ কয়েকটি বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করলে বিএনপি সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানায়।

পরে প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেও বিএনপি আরও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার চাপ দিয়ে আসছে।

এর মধ্যে হুট করেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও তাদের সমর্থিত জাতীয় কমিটির নেতারা শনিবার একযোগে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানান যে তারা ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দিতে যাচ্ছেন। পরে রোববার সংবাদ সম্মেলনে একত্রিশে ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঘোষণাপত্র প্রকাশের সময় ঘোষণা করা হয়।

এতে হাসনাত আব্দুল্লাহ পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানকে কবর দিবেন তারা।

যদিও সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, ঘোষণাপত্রের এ উদ্যোগের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি এটিকে প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ হিসেবে উল্লেখ করেন।

হুট করে এমন ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় বিএনপির মধ্যে। সোমবার রাতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘোষণাপত্র ঘোষণা নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন। অপরদিকে সরকারের দুজন উপদেষ্টাও তার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

সোমবারই সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ বৈঠক করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা ঘোষণাপত্র প্রকাশ স্থগিত করে তবে সমাবেশের কর্মসূচি বহাল রাখে।

বিএনপিতে কেমন প্রতিক্রিয়া

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যে ধারণা পাওয়া গেছে তা হলো স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হুট করে ঘোষণাপত্রের বিষয়টি সামনে আনার ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

এই আলোচনায় কয়েকটি বিষয় উঠে আসে। এগুলো হলো ছাত্রদের বাইরে থেকে কেউ উস্কানি দিচ্ছে কি না এবং ঘোষণাপত্রের নামে সব দল ও সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বকে সামনে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব জাহিরের চেষ্টা হয় কি না।

একই সঙ্গে ঘোষণাপত্র প্রকাশের নামে নির্বাচনের দাবিকে গুরুত্বহীন দেখিয়ে বর্তমান শাসন ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার কোনো অভিপ্রায় দেখা যায় কি না সেটি নিয়েও আলোচনা করেছে দলটির নেতারা।

এমনকি সভায় এই প্রশ্নও ওঠে যে সারাদেশ থেকে গাড়ি বোঝাই করে লোকজন এনে বিশাল শোডাউন করার জন্য যে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে তার উৎস কী।

দলটির নেতাদের কেউ কেউ অভিমত দিয়েছেন যে ঘোষণাপত্রের সমাবেশে বিএনপিসহ সব পক্ষ উপস্থিত হলে এবং তাদের সামনে রেখে ঘোষণাপত্র প্রকাশের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যা চায় সেটিই হয় – এমন ধারণা জাতির সামনে দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে।

আবার কেউ কেউ বলেছেন তারা এটি নিশ্চিত হয়েছেন যে এ উদ্যোগের সঙ্গে বিদেশি কোন শক্তির যোগসূত্র নেই। তবে দেশের দুটি দলের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে ধারণা করি।

সভায় এই ধারণাও উঠে আসে যে ছাত্ররা দল করছে ও তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ এখন নেই আর জামায়াত ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন বিলম্বিত করা গেলে ক্ষমতায় থেকে দল গোছানোর সময় পাওয়া যাবে। সে কারণেই ঘোষণাপত্রের বিষয়টি হুট করে সামনে আনা হয়েছে বলে মনে করেন দলের একাংশ।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বৈষম্যবিরোধীরা তাদের দাবি বা প্রস্তাব সরকারের কাছেই দিতে পারতো। তা না করে তারা একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চেয়েছে। কিন্তু আমাদের তো জানতে হবে এর পেছনে কারা।

জানা গেছে, সোমবার রাতের দলের স্থায়ী কমিটির সভায় গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা বৈষম্যবিরোধীদের ঘোষণাপত্র প্রকাশের উদ্যোগকে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হিসেবে অভিহিত করেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলছেন, তারা এখন দেখবেন সরকার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়। সরকার যদি আমাদের ডাকে তখন আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন, বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধীদের দূরত্ব ও সন্দেহের মূল জায়গাই হলো নির্বাচন।

অধ্যাপক বলেন, বৈষম্যবিরোধীরা তাদের ঘোষণাপত্রে যেসব বিষয় আনা হবে বলে বলছিলেন সেগুলোর সঙ্গে বিএনপির যোগসূত্র কম, বরং বিএনপি দেখছে তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী প্লাটফরম ও তাদের মিত্র নাগরিক কমিটি, সরকার, জামায়াত- সবার মধ্যে একটি অলিখিত ঐক্য গড়ে উঠেছে নির্বাচনের সময়সীমাকে কেন্দ্র করে।

জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া সচিবালয়ে প্রবেশের বেসরকারি সব পাস বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকরাও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়ে আপাতত ঢুকতে পারবেন না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) মো. খোদা বখস চৌধুরী সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ানোর স্বার্থে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাস (Digital Access Control System) এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাস ব্যতীত সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিদের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করা হলো।

সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দ্বারা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এতদ্বারা বাতিল করা হলো।

বাতিলকৃত বিভিন্ন ক্যাটাগরির সচিবালয় প্রবেশ পাসধারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আব্দুল গণি রোড, ঢাকায় স্থাপনকৃত বিশেষ সেলের মাধ্যমে নতুন করে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো। ’

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগে ৬ থেকে ৯তলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। আগুনে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের দপ্তরও পুড়ে যায়।

জাতীয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন “সমাজ সেবা অধিদপ্তর”-এর মহা-পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নিযুক্ত হয়েছেন  জনাব মোঃ সাইদুর রহমান খান।

গত ২৬-১২-২০২৪ তারিখ তাঁর পূর্বতন কর্মস্হল স্বাস্হ মন্ত্রণালয়ের জিএনএসপি ইউনিটের পক্ষ থেকে উপসচিব শাখাওয়াৎ হোসেনের নেতৃত্বে কর্মকর্তাগন মহা-পরিচালক মহোদয়কে ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানান , এসময় উপস্হিত ছিলেন জিজিএন২৪ সম্পাদক ও বড়চাপা দারুল ইসলাম এতিমখানার সভাপতি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান আরো উপসি্হত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সিনিয়ার কর্মকর্তাগণ এবং ডিজি মহোদয়ের একান্ত সচিব আব্দুস সালাম ।

ডিজি মোঃ সাইদুর রহমান খান বলেন যে, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আজকের আজকের এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

জাতীয়

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার একটি জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করার চেষ্টা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা এক জায়গা থেকে সমস্ত তথ্য পেতে পারে। তিনি বলেন, নির্ভুল তথ্য ছাড়া আর্থিক ও সামাজিক খাতে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় না।

আজ শনিবার সকালে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’র ষষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সঠিকভাবে তথ্য  সংগ্রহ করতে না পারলে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের তথ্য আপডেট করতে হবে। ১০-১৫ বছরের পুরানো ডেটা দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।’

এখন শেয়ার বাজার, ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন প্রতারণা নেই জানিয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) অতিরঞ্জন থেকে বিরত থেকে প্রকৃত তথ্য প্রকাশে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে তথ্য বিকৃতির কারণে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যদিও কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে মূল্যস্ফীতি এবং জিডিপি তথ্যের ভুল উপস্থাপনা হয়েছে, তবে নীতিনির্ধারকরাও প্রকৃত তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার  তার দ্বায়িত্ববোধ থেকে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে এবং তথ্য বিপর্যয় সংস্কারের চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘দাতা সংস্থাগুলি জিনিপত্রের উচ্চ হার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তবে আমরা এখন সঠিক পরিসংখ্যান উপস্থাপন করার মাধ্যমে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’

ব্যাংকিং অ্যালমানাক সম্পাদক বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ড. মো খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জন্য সর্বাগ্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সামষ্টিক অর্থনীতির চাকাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আর্থিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা এবং দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডেটার সত্যতা বজায় রাখা।’

জাতীয়

প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সামনে নিজের সম্পদ বিবরণী তুলে ধরে নজির তৈরি করলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। এখন পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া সংস্থাটির সাত চেয়ারম্যানের মধ্যে তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি নিজের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ্যে আনলেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি নিজের আয়–ব্যয় ও সম্পদের বিবরণী তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সম্পদ বিবরণী দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। অন্য কমিশনাররা তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়ে দেবেন।’

১১ ডিসেম্বর দুদক যোগ দেন মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ওই দিন সাত কর্মদিবসের মধ্যে নিজের ও বাকি দুই কমিশনারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয়–ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে তাদের আয় ও সম্পদ বিবরণীর তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

নিজের সম্পত্তির ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বছিলায় সাড়ে ৭০০ স্কয়ার ফিটের দুটি মিলিয়ে ১৫০০ স্কয়ার ফিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। সেখানে আরও ৭০০ স্কয়ার ফিট নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে স্ত্রীর সঙ্গে আমার একটি খালি জায়গা আছে ৫ কাঠা। বিসিএস প্রশাসন কমিটির সদস্য ছিলাম। সেখানে ৮ জন সদস্যের জন্য ১০ কাঠা জমি আছে। আমার ভাগে ১.২৫ কাঠা পড়বে। ২০০৭ সালে টাকাপয়সা পেয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত দখল পাই নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজউকের একটি প্লটের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত সেটার কোনো নিষ্পত্তি হয় নাই। যে কোনো কারণে হোক সরকার আমাকে দেয় নাই। আমি আবার আবেদন করব। এর বাইরে আমার আর কোনো স্থাবর সম্পদ নাই।

অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন আকারের ২৫ সেল্ফভর্তি বইপত্র। অনেক দামি বইপত্র আছে। আসবাব ইলেকট্রনিক সামগ্রী মিলিয়ে ৫ লাখ টাকার জিনিস আছে। ৫ বছর মেয়াদি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। আর ৩ মাস অন্তর সঞ্চয়পত্র আছে ২০ লাখ টাকার। আমার জিপিএফের টাকা আমি তুলি নাই, ওই খানে ১৭ লাখ টাকা আছে।’

নিজের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার চাকরি লব্ধ আয়-উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ। শিক্ষকতা করি, বক্তৃতা করি, লেখালেখি করি। সাড়ে ৫ শতক একটা জমি কিনেছিলাম বেড়িবাঁধের বাইরে, সেটা বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমার চাকরিজীবন অনেক দিনের। ছাত্র অবস্থা থেকেই আয় করা শুরু করি। যখন এই চাকরি থেকে চলে যাব আপনারা হিসাব করবেন—এই সম্পদ কতটা বাড়ল, কতটা কমল।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি যে প্রধানমন্ত্রীও পালিয়েছেন একই সঙ্গে বায়তুল মোকাররমের খতিবও পালিয়েছেন। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। এই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। আর সেটা জনসচেতনতা প্রচার করতে হবে গণমাধ্যমকে।

দুদক কমিশনার কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, ‘মাত্র অর্ধেক জনবল নিয়ে দুদক কাজ করছে। আমরা নির্মোহভাবে অনুসন্ধান করব। কোথায় পক্ষপাত হবে না। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ বলেন, দুদকের পেশাগত ভিত্তি অনেক শক্ত। ৪২ দিন কমিশন না থাকার পরেও দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলস কাজ করে গেছেন। পৃথিবীর কোনো মানুষের দাসত্ব করবে না দুদক।

জাতীয়

রাজধানীর বনশ্রীতে ৬ তলা একটি ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

এর আগে রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মো. শাহজাহান।
তিনি জানান, রাজধানীর বনশ্রীর ‘সি’ ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাসায় আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট রওনা হয়। তবে যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। রাত ৯টা ৪ মিনিটে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।