জাতীয়

লঞ্চ দুর্ঘটনা থেমে নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চালকদের অচেতনতায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারপরেও মাঝ নদীতে থেমে নেই তাদের ভয়ঙ্কর এ প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি হাজারো যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিযোগিতায় নামে দুটি লঞ্চ। এ যেন এক মরণ খেলা।

ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পোস্তগোলা সেতুর কাছে নদীতে এম ভি ইয়াদ ও এমভি শ্রীনগর লঞ্চ দুটি কে কার আগে যাবে তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

এ ধরনের প্রতিযোগিতা দেখে বিকট শব্দে নারী ও শিশু যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটলেও নৌ পুলিশ দেখেও কখনও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীসহ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ১৭টি নদীতে লঞ্চ চালকরা এ ধরনের প্রতিযোগিতা করেন বলে অনেক লঞ্চ যাত্রীরা অভিযোগ।

পিরোজপুর জেলার কাউখালী এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা জর্জ কোটের সিনিয়র আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, তিনি প্রায়ই অবসরে বাড়িতে যান। যাওয়া-আসার সময় লঞ্চে এ ধরনের প্রতিযোগিতা দেখে লঞ্চের মাষ্টারদের অনুরোধে জানিয়েও কোনো ফল পাননি।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীসহ দেশের সকল নদী এখন পুলিশের অধীনস্থ। তাই থানা পুলিশের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ওই ধরনের চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোরশেদ তালুকদার জানান, যাত্রী ও এলাকাবাসী একাধিক অভিযোগ করেছে। নৌ পুলিশ সদরঘাট টার্মিনাল প্রায়ই চালদের মাইকিং করে সর্তক করলেও চালকরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না।

তিনি জানান, এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে গত ২৫ জানুয়ারি টার্মিনাল ট্রাফিক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ লঞ্চ মালিক সমিতির যাত্রী কল্যাণ সমিতির নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনেরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে যদি লঞ্চ চালকরা সতর্ক না হয় তখন নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ অভিযুক্ত চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

জাতীয়

১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শুধু ঢাকার স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইত্তেফাক থেকে জানা যায়, সেদিন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল-কলেজের ছাত্ররা ঐ কর্মসূচি পালন করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগণ এই প্রদেশের বর্ণভাষার আত্মনিয়ন্ত্রণের ওপর খাজা নাজিমুদ্দিনের স্বেচ্ছাচারী আক্রমণের প্রতিবাদে শুধু একটা ছাত্র-হরতালের মহড়ার আহ্বান করিয়াছিল। সেই মহড়াই প্রদেশের সর্বত্র শোভাযাত্রা ও সংগঠনে রূপান্তরিত হইয়াছে।’

৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলছিল ২১ ফেব্রুয়ারির প্রতিবাদ-দিবস পালনের প্রস্তুতি। অলি আহাদের এক লেখা থেকে জানা যায়, ৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবির অফিস ১৫০ মোগলটুলিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই সভা অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজনে ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শহরে পতাকা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১২ ফেব্রুয়ারি কোনো কর্মসূচি না থাকলেও টানা তিন দিন ধরেই চলে এ কর্মসূচি। এতে টাকা খুব বেশি সংগ্রহ না হলেও পতাকা দিবসকে সামনে রেখে আরো নতুন নতুন কর্মী এসে যুক্ত হতে থাকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে। সে সময় ৫০০ পোস্টার লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নাদিরা বেগম ও ডা. সাফিয়াকে। তারা তাদের বান্ধবী ও অন্যান্য ছাত্রীদের নিয়ে পোস্টার লেখার ব্যবস্থা করেন।

২১ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভের প্রস্তুতি কেবল ঢাকা শহরে নয়, সমগ্র পূর্ব বাংলায় চলতে থাকে। ৫ ফেব্রুয়ারি নিখিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের জরুরি অধিবেশন হয়। এতে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আপসহীন সংগ্রাম পরিচালনার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আবেদন জানানো হয়।

১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইত্তেফাকে প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে সভা, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠানের সংবাদ দেওয়া হয়েছে। বেশকিছু স্থানে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশ টানাটানি চলে এই ধর্মঘট পালন নিয়ে। মাদারীপুরের ছাত্রছাত্রীরা ধর্মঘট ও মিছিল করে।

বরিশালের রাজাপুর নিজামিয়া হাইস্কুলের ছাত্ররা কেন্দ্রীয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের আহ্বানে এ হামিদের সভাপতিত্বে সভা করে। নীলফামারীতে হরতাল পালিত হয়। সাধারণ জনগণ ও ছাত্ররা রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে শহরে মিছিল করে। খয়রাত হোসেন, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, জবানউদ্দিন আহমদ মিছিলের পুরো ভাগে ছিলেন। ছাত্র জাকিউল আলমের সভাপতিত্বে বিরাট জনসভা হয়। খয়রাত হোসেন ছাড়াও ছাত্রনেতা সুফিয়ার, এনায়েতুর রহমান, আনোয়ার, সুফিয়া, ফিরোজা বেগম ও রাহেলা বক্তৃতা করেন।

 

জাতীয়

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এবছর একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অনুষ্ঠান) অসীম কুমার দে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।

ভাষা আন্দোলনে অবদান থেকে শুরু করে সঙ্গীত, অভিনয়, আলোকচিত্র, চারুকলা, মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এই পদক যারা পাচ্ছেন, তারা হলেন: ভাষা আন্দোলনের জন্য মরহুম মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার) (মরণোত্তর), মরহুম শামছুল হক (মরণোত্তর), মরহুম আফসার উদ্দীন আহমেদ (মরণোত্তর), সংগীতে বেগম পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দীন জাকী, আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, আলোকচিত্রে পাভেল রহমান, মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আবদুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান এবং ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ।

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে আগামী ১৭ মার্চ ২৬তম ঢাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২১ উদ্বোধনের জন্য একটি প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেই ১৭ মার্চ পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলার স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রে উদ্বোধন হবে এক মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ইপিবি সূত্র জানায়, প্রতিবছর ইংরেজি বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু হয়। কিন্তু গত নভেম্বর থেকে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসায় এবারের মেলা মার্চে শুরুর প্রস্তাব এসেছে। সবকিছু বিবেচনা করে আগামী মার্চে পূর্বাচলে স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনলাইনে এবং শারীরিক উপস্থিতি- উভয় পদ্ধতিতে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ইপিবি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনার জন্য এবার আমরা জানুয়ারিতে মেলা আয়োজন করতে পারছি না। তবে আনন্দের কথা হলো বাণিজ্যমেলার নিজস্ব কমপ্লেক্স বা বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজন করতে পারবো। আমাদের মেলা স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ মেলা উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়ে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমরা সে লক্ষ্য সামনে নিয়ে মেলার কাজ করে যাচ্ছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তিনি সিদ্ধান্ত দিলে ১৭ মার্চ ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা উদ্বোধন করা হবে।

এছাড়া এবছর করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাণিজ্যমেলা সীমিত পরিসরে অনলাইন ও শারীরিক উপস্থিতি- উভয় পদ্ধতিতেই আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসিয়ালি হস্তান্তর এখনো হয়নি, তবে আনঅফিসিয়ালি হস্তান্তর হয়ে গেছে। আমাদের সবকিছু রেডি। কীভাবে হস্তান্তর করবে সে বিষয়ে চায়না দূতাবাস একটি প্রস্তাব দিয়েছে। সেটা বিবেচনা করছি।

এখন বাণিজ্যমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন সেদিন আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করা হবে। আশা করছি শিগগিরই হস্তান্তর হয়ে যাবে।

ইপিবি সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণখালীর বাগরাইয়াটে (পূর্বাচলে) ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এ মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে।

পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে বাণিজ্যমেলা করার জন্য সরকারের কাছে ৩৮ একর জমি চেয়েছিল ইপিবি। তারমধ্যে মাত্র ২৬ একর জমি দেওয়া হয়েছে। আরো ১২ একর জমি শিগগিরই দেওয়া হবে। ২০ জমির উপর এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণকাজ শেষ। আর ৬ একর জমিতে ওয়্যারহাউজ, পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্থায়ী ফুড সেন্টার ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থাসহ প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

জানা যায়, চীনের অনুদানে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ এবং সরকারি তহবিলের ১৭০ কোটি ৩১ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়। পরে বাস্তবতার নিরিখে অতিরিক্ত ১৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ, নতুন স্থাপনা নির্মাণ, সেন্টারের পরিসর বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কারণে ১৭০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হচ্ছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার বুঝে পাওয়ার কথা ছিল। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরও চায়না প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতার জন্য এখনও সেটি বুঝে পায়নি সরকার। তবে ২০০৯ সালে নেওয়া এ উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সময় গিয়ে দাঁড়ায় ১২ বছরে।

গত ২৫ বছরে ধরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অস্থায়ী জায়গায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখে প্রধানমন্ত্রী এ মেলা উদ্বোধন করেন। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের জন্য মেলা দুই মাস পিছিয়ে মার্চে উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানা যায়।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৮১৯ জন। নতুন করে ৭১৮ জন শনাক্তসহ দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ২০ জন। ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৩৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৬৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮১ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৩৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৭১৮ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয়

উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও আর্থিক শৃঙ্খলা আনয়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান সম্বলিত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে-মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এছাড়া বিভিন্ন আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লেখার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন কমিটিতে ইউএনওকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করা সংক্রান্ত পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিবসহ ১৫ বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী পক্ষের কৌসুলি ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসন কোনো চিঠিপত্র লিখলে বা অনুষ্ঠান করলে দাওয়াতপত্র বা ব্যানারে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লিখছে। এর মাধ্যমে ইউএনওরা স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকছেন। এছাড়া সরকারি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলো কমিটি গঠন করা হয় তার সবগুলোতে ইউএনওকে চেয়ারম্যান করা হয় এবং উপজেলা চেয়ারম্যানদের করা হয় উপদেষ্টা।

আবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ থাকে ইউএনও ইচ্ছে করলেই আরও সদস্য অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণকে প্রায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। এমনি অনেক ক্ষেত্রে আয়-ব্যায়ের হিসাবও তাদেরকে দেওয়া হয় না। যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও স্থানীয় সরকার পদ্ধতির চেতনার পরিপন্থী।

প্রসঙ্গত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবেন।’ ৩৩ এর (২) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলি পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করিবেন।’

এই ৩৩ ধারাসহ একটি পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সংগঠনের সভাপতি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ ও ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার।

রিটের শুনানিতে হাসান এম এস আজিম বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কোন সিদ্ধান্ত দিলে তা ইউএনও বাস্তবায়ন না করলে পরিষদের করণীয় কিছু থাকে না। উপজেলা পরিষদের কাছে ইউএনওর জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা আইনে রাখা হয়নি। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার স্বাধীনতাকে এই একটি ধারার মাধ্যমে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই ৩৩ ধারা সংবিধানের ৭ ও ৫৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। ৫৯(১)-এ স্থানীয় শাসন সম্পর্কে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হবে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭১৮ জনে। এর আগে বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১৭ জন।

বৃহস্পতিবার বিকালে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯০৫ জন। এর আগের দিন ৯৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন ৯৬৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ জন।

জাতীয়

অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। তারা ভারতের বাইরে এই ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এই বিষয়ে করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) করোনা ভ্যাকসিনের অগ্রগতি নিয়ে এটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে বৈঠকে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত আছেন।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে কথা বলবেন বলে তার দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করা অন্যান্য দেশগুলোকে ভ্যাকসিন পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করা লাগতে পারে বলে জানা গেছে।

ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেয়া হবে না। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ লোক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছে মারা গেছেন।

জানা যায়, করোনা ভ্যাকসিন বণ্টন পরিকল্পনার শুরুতেই ভারত ৩০ কোটি জনগণকে টিকা দিতে চায়। যার মধ্যে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ মহামারি মোকাবেলায় সামনের সারির যোদ্ধারা।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৬২৬ জন।

এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো ৮৩৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার ১৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ৯২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৭৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৫৯৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ৯২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয়

আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে সৌদিআরবে বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রবিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

নিষেধাজ্ঞা শেষে সৌদি আরবে পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু করায় বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওয়েবসাইটের নোটিশে বাতিলকৃত ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদেরকে বিমানের ওয়েবসাইট (www.biman-airlines.com) এ প্রদত্ত শিডিউল অনুযায়ী কাছের বিমান সেলস অফিসে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। ফ্লাইটে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে এসকল যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে।

এর আগে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় সৌদিআরব। রবিবার (৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় দেশটিতে পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে সড়ক ও নৌপথে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হচ্ছে।

আরব নিউজ জানায়, যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর গত ২০ ডিসেম্বর অন্য দেশ থেকে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে সব ধরনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় সৌদি সরকার। এই কয়দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আজ রবিবার থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ রুখতে বেশকিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য যেসব দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে, সেসব দেশ থেকে সৌদি নাগরিক নন এমন কেউ সৌদি আরবে আসতে চাইলে কমপক্ষে ১৪ দিন অন্যকোনো দেশে অবস্থান করে তারপর সৌদি আরবে ঢুকতে হবে। এরপর ১৪ দিন পার হলে তারা করোনামুক্ত কিনা তা প্রমাণ করতে পিসিআর টেস্টের ফলাফল লাগবে।

এছাড়া সৌদি নাগরিক যাদের মানবিক বা জরুরিভাবে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে, তাদের সৌদি আরবে এসে কমপক্ষে ১৪ দিন বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। তাদের দুইবার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। প্রথমবার সৌদি প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবং দ্বিতীয়বার কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার ১৩ দিনের মাথায়।