জাতীয়

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট নারীনেত্রী আয়শা খানম আর নেই। আজ শনিবার ভোরে তিনি বারডেমে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লান্স ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

তিনি র্দীঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে নারীর অধিকার আদায়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন শেষে বঞ্চিত অধিকারহীন নারীদের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু নিয়োজিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের নারী আন্দোলন এক অকৃত্রিম অভিভাবককে হারালো।

তার মৃতদেহ আজ সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (১০/বি/১, সেগুন বাগিচা ঢাকা) শ্রদ্ধা জানানো হয়। নেত্রকোণায় নিজ গ্রামে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

আয়েশা খানমের জন্ম নেত্রকোনার গাবড়াগাতি গ্রামে ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর। পাকিস্তান আমলে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

আয়শা খানম ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর নেত্রকোনার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি নেত্রকোণার গাবড়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯-৭০ এর দিকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ছাত্রাবস্থায় থাকতে তিনি বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, মানবাধিকার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় সংগঠক ছিলেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম আর নেই
আজ সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়শা খানমকে শ্রদ্ধা জানানো হয়
১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি মহিলা পরিষদের সাথে যুক্ত হন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এরপর ২০০৮ সাল থেকে তিনি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, আইন সংস্কার আন্দোলন, সিডও বাস্তবায়নসহ নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

তিনি একজন দক্ষ, সংগঠক ও সুবক্তা ছিলেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তার কন্ঠ ছিলো সোচ্চার। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এ্যাডভোকেসি ও লবির ক্ষেত্রে ও তিনি পারদর্শীতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী নারী আন্দোলনকে করে গড়ে তুলতে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। ২০০২ সাল থেকে ৬৮ টি সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারিয়েট এর নেতৃত্ব প্রদান করে আসছিলেন। বৈশ্বিক নারী আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৯২ সালে ভিয়েনাতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় মানবাধিকার সম্মেলনে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৫ সালে বেইজিং এ অনুষ্ঠিত ৪র্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত সিডও কমিটির এবং কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন (সিএসডব্লিউ)এর বিভিন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও UNSCAP, IWRAW, UNIFEM কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন আঞ্চলিক কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও নারী ইস্যূতে তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখা-লেখি করতেন। তার লেখা বেশ কিছু প্রবন্ধ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

আয়শা খানমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নারীনেত্রী আয়শা খানমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, এই নারী নেত্রীর মৃত্যুতে দেশের নারী সমাজ একজন অকৃত্রিম বন্ধু ও সাহসী সহযোদ্ধাকে হারাল।

প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে শনিবার আয়শা খানম ভোরে বারডেমে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লান্স ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

আয়শা খানম দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে নারীর অধিকার আদায়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন শেষে বঞ্চিত অধিকারহীন নারীদের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু নিয়োজিত ছিলেন।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৮৪ জন।

শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর এক বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৬৮৪ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪ জন। আরও ২৩ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৫৯৯ জন হয়েছে।

গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৯৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬২০ জন হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতীয়

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) উপজেলা পর্যায়ে শাসকের ভূমিকা পালন করছেন। তাদের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব জনপ্রতিনিধিদের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।

শনিবার ( ২ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ইউএনওদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এ ধরনের অভিযোগ করে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন।

‘সাংবিধানিক নির্দেশনা ও আইনানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনিক একাংশ নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ কর্তৃত্বহীন, তৃণমূলে জবাবদিহি ও শাসন বিঘ্নিত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন এবং আইন সম্পাদক রীনা পারভীনসহ বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা।

জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের আলাদা করে সামন্তবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছেন। কর্মকর্তাদের আইন পরিপন্থী আচরণ ও কাজের কারণে মাঠ পর্যায়ে সমন্বয়হীনতা চলছে বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার। এতে বলা হয়, আইনে উপজেলাকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। যার প্রশাসনিক কাঠামো নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ। উপজেলা পরিষদ আইনের তৃতীয় তফসিলে ১২টি মন্ত্রণালয়ের উপজেলাধীন ১৭টি বিভাগকে উপজেলা পরিষদের কাছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের কার্যাবলীসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইনকে বিবেচনায় না নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর বিভিন্ন সময়ে পরিপত্র জারি করছে। যার মাধ্যমে উপজেলার সব বিভাগের কার্যাবলী নিষ্পত্তির জন্য গঠিত প্রায় শতভাগ কমিটিতে ইউএনওকে সভাপতি করা হয়েছে। এই ১৭টি বিভাগের আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তাও ইউএনও। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়া সব কাজ কমিটিপ্রধানের ক্ষমতাবলে ইউএনও নিয়ন্ত্রণ করছেন বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে কাজ সম্পাদনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একাধিকবার পরিপত্র ও আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু উপজেলা পর্যায় এই নির্দেশনা বা আদেশের কোনো প্রতিপালন হয় না। এতে আরও বলা হয়, উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলেও প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা (ইউএনও) সবকিছু উপেক্ষা করে উপজেলায় শাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণকে পাশ কাটিয়ে জনপ্রতিনিধিবিহীন জনপ্রশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংবিধান, আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এগুলোর বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলে বিপদে পড়েন। যে কোনো ইস্যু সৃষ্টি করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নির্বাহী তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। এভাবে পরিকল্পিত ছকে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা নষ্ট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের।

লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এরপর উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবকে লিখিতভাবে এসব বিষয় জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সেই লিখিত আবেদনের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। ১৫ জন সচিবের কাছে গত ২০ সেপ্টেম্বর নোটিশ ডিমান্ডিং জাস্টিস পাঠানো হয়েছে। এরও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সবকিছুতে তাচ্ছিল্য দেখাচ্ছেন।

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবিও জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে- হস্তান্তরিত ১৭টি বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের কর্তৃত্বে পরিচালিত হওয়ার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রগুলো অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে। নির্বাচিত পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১৭টি বিভাগের জন্য ভাইস চেয়ারম্যানদের সভাপতিত্বে ১৭টি কমিটি বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলো কার্যকর করতে হবে। উপজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ১৭টি বিভাগের কার্যাবলী সম্পাদন করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা কমে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জনের। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৪৭৪ জনে।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা রোগীর শনাক্তের সংখ্যা ১২শ ৩৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৮৩ জনে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৪০৮টি। পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯টি। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও নারী ছয়জন। দেশে এ পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছে পাঁচ হাজার ৭৩৩ জন ও নারী এক হাজার ৭৯৮ জন। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন ও ষাটোর্ধ্ব ১১ জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুজন মারা গেছেন। এর মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়।

জাতীয়

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ‘বিএনপি আবারও গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ তা প্রতিরোধ করবে। একইসাথে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যেকোন অপতৎপরতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার শামসুর রহমান সভায় বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন আজকে ৩০ শে ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে আমরা জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি। সেদিন ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচনকে বানচাল করা। এজন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এই নিয়ে তারা খোলসা করে শুরু থেকেই কিছু বলেনি। পরবর্তীতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং একইসাথে হাঙ্গামা বাঁধিয়ে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা। এটিই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয়কেতন উঠেছে ৩০ শে ডিসেম্বর। সেজন্য আজকে গণতন্ত্র বিজয় দিবস।’

‘আর বিএনপি যেহেতু সেদিন নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল কিন্তু করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেজন্য তারা দিবসটিকে ভিন্নভাবে পালন করছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা সেদিন গণতন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল। সেজন্যই তারা আজকে ভিন্ন নাম দিয়ে দিবসটি পালন করছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, সারাদেশে তারা আজকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে তারা হাঙ্গামা বাঁধিয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার দেশে একটি গণ্ডগোল পাকাতে চায়। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের কথা ভুলে যান। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদেরকে আর কোনভাবেই সেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সুযোগ দেবে না। তখন আপনারা জনগণের ওপর যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন, হাঙ্গামা বাঁধিয়েছিলেন, আবার সেই অপচেষ্টা করলে জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যেকোন দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড কঠোরহস্তে প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর।’

‘দেশবিরোধী, প্রগতিবিরোধী এবং মৌলবাদী অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে, তাদের হিংস্র থাবা বিস্তাররোধ করতে সারাদেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে হবে’ উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের সদস্যদের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক সংগীত ও শিল্পকলা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। আপনাদের সংগঠনকে জেলা পর্যায়ে এই কাজের নির্দেশনা দিন, দেখাদেখি অন্যরাও এগিয়ে আসবে।’

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫০৯ জন।

এ ছাড়া একই সময়ে আরো ১ হাজার ১৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৫ লাখ ১১ হাজার ২৬১ জন।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ২৪৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৩ জন।

জাতীয়

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপন ঘিরে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ(ডিএমপি)। ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে কোনো ধরনের জমায়েত বা অনুষ্ঠান করা যাবে না।

সন্ধ্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এবং রাত ৮টার পর গুলশান ও বনানী এলাকায় বহিরাগত কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিধি-নিষেধের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠানসমূহ পালিত হবে। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।

রাতে পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরনের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোনো ধরণের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেওয়া সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। তবে পরিচয় দেওয়া সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করা যাবে।

গুলশান ও বনানী:

গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকার বাসিন্দারা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সব নাগরিক বসবাস করেন না তাদের এসব এলাকায় প্রবেশ নিরুৎসাহিত করা হলো।

হাতিরঝিল :

রাত ৮ টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার নাগরিকদের রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় পত্যার্বনের অনুরোধ করা হলো।

সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকার কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুডের দোকান বন্ধ থাকবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না।

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হলো। ডিএমপি উপর্যুক্ত নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৯৩২ জন।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রতিদিনের মতো পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৯৩২ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১০ হাজার ৮০ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৭ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ৪৭৯ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৩৫৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ হয়েছেন মোট ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৮ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতীয়

হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এই আইনে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব থাকবে সরকারের ওপর।

সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এতদিন হজ ব্যবস্থাপনা চলত একটি নীতিমালার মাধ্যমে। নীতিমালার মাধ্যমে চলার কারণে অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে অসুবিধা হত। আর ব্যবস্থা নিলে সংশ্লিষ্টরা হাইকোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসত।

নতুন আইনে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকবে বলে জানান সচিব।

তিনি বলেন, আইনের অধীনে নিবন্ধন ছাড়া কাউকে ওমরা বা হজে কেউ পাঠাতে পারবে না। এছাড়া হজের চুক্তি পর কেউ যদি সৌদিতে গিয়ে ঠকায় তাহলে আইন অনুযায়ী সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে বাংলাদেশ।

এছাড়া হজ ও ওমরা এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলসহ জরিমানা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বলেন, অনিয়মের জন্য পর পর দুই বছর ওয়ার্নিং দেওয়া হলে দুই বছরের জন্য লাইসেন্স বাতিল হবে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৪৯ জন।

রোববার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৪৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৪৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬১ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব,২৪টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬৭টি ল্যাবে ৯ হাজার ৯১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৯১০টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ২২৭টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন,তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ আর নারী ৮ জন। তাদের ২৩ জন হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি; ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা বিভাগের,৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের,২ জন করে মোট ৪ জন খুলনা এবং রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৪৫২ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬৭৫ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৭৭ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৮৯৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৭৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৭৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৮১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৮৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫২৫ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৩৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৬৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।