জাতীয়

আমনের ভরা মৌসুমে আড়তদার-মিলাররা ‘কারসাজি করে’ চালের দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

“সরকারি গুদামে চাল কমে গেছে। গত বছর প্রায় ১৩ লাখ টনের মত খাদ্য ছিল, এ বছর সেটা কমে ৭ লাখ টনে নেমে এসেছে।

“এই যে ৫ থেকে ৬ লাখ ঘাতটি যদি না মেটাতে পারি… বাংলাদেশের মিলাররা, আড়তদাররা, জোতদাররা, যারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে, তারা চালের দাম বাড়ায় এবং এবারও তারা সেই কাজ করছে। মৌসুমের সময় তারা এখনও ধান কিনছে এবং ধান ও চালের দাম দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে।”

এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান ও চাল-দুটোরই দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ইরি বা স্বর্ণার মত মোটা চালের দাম ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম বা লতার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এই পরিস্থিতিতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানির সুযোগ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলন, “২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা যাবে। প্রাইভেট সেক্টরকেও সেই সুযোগ দেওয়া হবে। প্রাইভেট সেক্টর এবং সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল আনতে পারবে। এর বেশি হলে আমরা আর অনুমতি দেব না। যখনই ৬ লাখ টনের এলসি দেওয়া হবে, তারপর আর এলসির সুযোগ দেওয়া হবে না।”

চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশের মত শুল্ক দিতে হত। তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা রোববারই জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘সর্বাত্মক উদ্যোগ’ গ্রহণ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অতটা চালের ঘাটতি আমাদের নাই। কিন্তু এই সুযোগে মিলাররা নানা রকম কারসাজি করে চালের দাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। আমরা যদি চালের সরবরাহ বিদেশ থেকে নিয়ে আসি, আমার মনে হয় না খুব অসুবিধা হবে।”

কৃষিমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে চাল আসা শুরু হয়েছে, ভারতে সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম থেকেও চাল আনার চেষ্টা করা হবে। সব মিলিয়ে সরকারের পূর্ণ উদ্যোগ ও প্রস্তুতি রয়েছে চালের ঘাটতি মেটানোর জন্য।

২৫ শতাংশ শুল্কে চাল আমদানির অনুমতি

“যেহেতু চালের দাম একটু অস্বাভাবিক বেশি হয়েছে, এজন্য বিশেষ বিবেচনায় প্রাইভেট সেক্টরকে চাল আমদারি সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারও চাল আমদানি করে ঘাটতি মেটাবে। যাতে একটি মানুষও কষ্ট না পায়। কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকে, সেই নিশ্চয়তা আমি দিতে চাই।“

চাল আমদানির বিরোধিতা করে মিলাররা বলছেন, এতে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়বে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, “১২০০ টাকা দরে ধান বিক্রি হচ্ছে, কোনো কোনো এলাকায়… নোয়াখালীতে ১ হাজার ৪০ টাকা। এক হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারে, আমনের যে খরচ হয়েছে, তাতে লস হওয়ার কারণ নেই। কৃষক অসন্তুষ্ট হবে, দাম পাবে না- এটার কোনো কারণ নেই। ৯০০ টাকার বিক্রি করলেও লাভ হবে। কিন্তু ১২০০ টাকা খুব বেশি।”

সরকারের ওএমএস কর্মসূচি অব্যহত থাকবে এবং বিদেশ থেকে চাল আসতে শুরু করায় চালের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় মধ্যে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী।

এবার আমন উৎপাদন কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বন্যায় এক লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এ হিসাবে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন ধান কম হয়েছে। এসব কারণে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

“আউশ ও আমনের যে ক্ষতি হয়েছে তার ফলেই এ ভরা মৌসুমে আমনের দাম একটু বেশি। সরকার চেষ্টা করছে… কোনক্রমে রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা, যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, তাদের যেন কষ্ট না হয় সে বিবেচনা নিয়ে সরকার ওএমএস চালু করেছে এবং অব্যাহতভাবে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করছে।”

ঘাটতি মেটাতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরা চাষ করা হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “২ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান হবে, এটা মোটা চাল হলেও এর জন্য প্রণোদনা ও বীজ দেওয়া হয়েছে। বোরোতে আমরা ভালো করব যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়।”

গোপালগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিউটের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পূর্তকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এ দিনে ফিলিস্তিনের বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরা যথাযথ ধর্মীয় আচার ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এ ধারায় আগমন ঘটেছিল।

এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দেন। করোনার কারণে সীমিত ছিল উৎসব আয়োজন।

রাজধানীর গির্জা ও হোটেলগুলো বড়দিন উপলক্ষে সাজানো হয়। গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দনভাবে। গির্জা ও অভিজাত হোটেলগুলোতে লাল পোশাক পরা সফেদ দাঁড়ি গোঁফের বুড়ো সান্তাক্লজ উপহারের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছোট্টদের হাতে তুলে দেন মজার মজার উপহার।

রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়। ভেতরে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি।

আরো পড়ুন : ১২ বছর পর ফিরলেন মোমেনা, ফিরে পেলেন না কিছুই

রাজধানীর গির্জাগুলোর পাশাপাশি পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁও, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, লা মেরিডিয়ান, রেডিসন ও ওয়েস্টিনসহ বিভিন্ন হোটেল ও বাসাবাড়িতে সুসজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি ও বড়দিনের কেক স্থাপন করা হয় আরও কয়েকদিন আগে থেকেই। হোটেলগুলোতে বড়দিনের আয়োজন উপলক্ষে সকাল ও বিকালে শিশুদের জন্য ছিল সান্তাক্লজের উপহার অনুষ্ঠান এবং সবার জন্য বুফে ডিনারের ব্যবস্থা।

দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি হয়, ছিল বিশেষ খাবারের আয়োজন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে বড়দিনকে বেছে নেন।

ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পাস্টার লিওনার্ড বিধান রায় বলেন, বড়দিন উপলক্ষে করোনার জন্য সবকিছু সীমিত করা হয়েছে। বহিরাগতদের গির্জায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। নগর কীর্তন হয়নি। শুধু প্রার্থনা, কেক কাটা ও ধর্মীয় আরাধনাসংগীতের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়। করোনা প্রতিরোধে গির্জায় হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা, উপাসনায় দেড় থেকে দুই ফুট দূরত্ব বজায় রাখা ও অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৬৩ জন।

শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর এক বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ১ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ জন। আরও ২০ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৩৯৮ জন হয়েছে।

গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ১১৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৩ জন হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। একইসঙ্গে সীমান্তে যেন কোনো ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড না ঘটে সেটি ঠেকাতে প্রয়োজনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করতেও সম্মত হয়েছে দুই বাহিনী।

ভারতের গুয়াহাটি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে দুই বাহিনীর মহাপরিচালকের যৌথ প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

গত ২২ ডিসেম্বর থেকে এই সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার শেষ হবে। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেয়। ওই সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

বৈঠকে উভয়পক্ষ বিদ্যমান পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হয়েছে।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৫৯ জন।

একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ১ হাজার ৩৬৭ জন। এতে শনাক্ত বেড়ে ৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ জন হয়েছে।

বুধবার বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ২ হাজার ৪১৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।

এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৫ জন হয়েছে।

জাতীয়

করোনাকালীন বিশেষ আর্থিক অনুদান হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবকে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের কাছে করোনাকালীন বিশেষ আর্থিক অনুদানের ৫০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম, উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন, উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস এবং সহকারী প্রেস সচিব মু. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩১২ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্য দিয়ে আক্রান্ত শনাক্ত পৌঁছেছে মোট ৫ লাখ ২ হাজার ১৮৩ জনে।

অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ৪০৯টি। অ্যান্টিজেন পরীক্ষাসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৯টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৯.৩৮ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.২৪ শতাংশ। মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ১৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ৫৬ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জাতীয়

বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি ও প্রাবন্ধিক মনজুরে মওলার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনজুরে মওলা তাঁর সাহিত্য কর্ম ও সৃষ্টিশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ২৪২ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৬৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জনে।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৩টি, জিন-এক্সপার্ট ১৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার পাঁচটি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৩০০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৩৬৪টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও নারী আট জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চার জন। খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন করে চার জন। এছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এক জন করে দুই জন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৫ জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৪২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৪ হাজার ৮১১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮২ হাজার ৪৫৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৩৫৫ জন

জাতীয়

শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে দেশ। বিদ্যুেসবার মধ্যে এসেছে জাতীয় গ্রিডের আওতায় থাকা সব গ্রাম ও পরিবার। শুধু বাকি রয়েছে গ্রিড এলাকার বাইরে থাকা ৩ লাখ ৭ হাজার ২৪৬ পরিবার। এ পরিবারগুলোতে বৈদ্যুতিক আলো জ্বললে সব নাগরিককে বিদ্যুেসবার আওতায় আনার মাইলফলক অর্জিত হবে। আগামী মার্চের মধ্যে এ পরিবারগুলোতেও বিদ্যুত্ পৌঁছে যাবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ পূর্তিতে দেশের সব নাগরিক পাবেন বিদ্যুত্। আলোয় উদ্ভাসিত হবে সারা বাংলাদেশ।

সব মানুষের ঘরে বিদ্যুত্—এমন অনুপ্রেরণা ও সংকল্প নিয়ে এখন কাজ করছেন বিদ্যুত্কর্মীরা। বিদ্যুত্ সংযোগ পরিস্থিতিও বদলে গেছে। আগে বিদ্যুত্ সংযোগের আবেদন করে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হতো গ্রাহকদের। আর এখন মাইকিং করে খোঁজা হচ্ছে সম্ভাব্য গ্রাহককে। বিদ্যুিবহীন থাকা বা সংযোগ না পাওয়া পরিবারগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয় বিদ্যুত্ অফিসে আবেদন করতে বলা হয়েছে। সংযোগ না পাওয়া পরিবারের খোঁজ পাওয়া গেলে দ্রুততর সময়ে তাদের বিদ্যুেসবার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো পর্যবেক্ষণ বা পরামর্শ থাকলে তা যথাশিগগির জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে সব সংসদ সদস্যকে চিঠি দিয়েছেন বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।

বিদ্যুত্ বিভাগ এবং বিতরণ কোম্পানিগুলো সূত্র জানায়, গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৯৮ শতাংশ গ্রাম-পরিবার বিদ্যুত্ সংযোগ পেয়েছে। ৯৮ হাজার ৩১৯টি গ্রামের মধ্যে ৯৫ হাজার ২৪০টি গ্রাম শতভাগ বিদ্যুতায়িত করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা-কোম্পানিগুলো। এখন বাকি রয়েছে ৩ হাজার ৭৯টি গ্রাম। এ সবগুলো গ্রামই পার্বত্য, দ্বীপ এবং চরাঞ্চলের। এগুলোতে গ্রিড বিদ্যুত্ সরাসরি পৌঁছানো যায়নি। তাই বিকল্প উপায়ে বিদ্যুত্ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিদ্যুত্ বিভাগের নীতি-বিশ্লেষণী সংস্থা পাওয়ার সেলের তথ্যমতে, বিতরণ সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাম বাকি রয়েছে বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি)। এ সংস্থার আওতাধীন ২ হাজার ৫২ গ্রামে বিদ্যুত্ পৌঁছেনি। শতভাগ বিদ্যুতায়নের পথে সবচেয়ে বেশি মাইলফলক অর্জনকারী সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় ১ হাজার ১৪টি গ্রাম বাকি রয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুত্ সরবরাহে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আওতায় ৯টি গ্রাম এবং উত্তর অঞ্চলের কোম্পানি নেসকোর আওতায় ১৭টি গ্রামে বিদ্যুতায়ন হয়নি। ঢাকায় বিদ্যুত্ বিতরণে দায়িত্বরত দুই সংস্থা—ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) আওতাধীন এলাকায় সব পরিবার বিদ্যুত্ সংযোগ পেয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং মুজিব শতবর্ষকে সামনে রেখে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। সে লক্ষ্য নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংসদ সদস্যদের দেওয়া চিঠিতে বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৫ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ চেষ্টায় বিদ্যুত্ উপাদন সক্ষমতা (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ) ২৩ হাজার ৫৪৮ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এরই মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন সাত জেলা এবং ২৮৮টি উপজেলা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। মুজিববর্ষের মধ্যে অবশিষ্ট উপজেলাগুলোতে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ৩ কোটি ৮৭ লাখ এবং দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুত্ সুবিধার আওতায় এসেছে। অবশিষ্ট ২ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের অবস্থান প্রত্যন্ত অফগ্রিড এলাকাসমূহে। এ সব এলাকায় সাবমেরিন ক্যাবল এবং সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের পথে অনেক বাধা ছিল। এখনো আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় সেসব বাধা পেরিয়ে এখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে আমরা। বিদ্যুত্ উত্পাদন থেকে বিতরণ পর্যন্ত নিয়োজিত সবাই একটি দল হয়ে কাজ করার ফলাফল হলো—নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এ অর্জন।

মাথাপিছু বিদ্যুত্ উত্পাদন বেড়েছে

২০০৯ সালের প্রথমভাগে দেশের ৫৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত্ সুবিধার বাইরে ছিল। তখন উত্পাদন সক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। গত এক যুগে মাথাপিছু বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতা ২২০ থেকে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টায় উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুত্ বিভ্রাট কমেছে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কৃষিসেচে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ২০০৯ সালে দেশে সেচ সংযোগ ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার। এখন সেটি ৩ লাখ ৬২ হাজার। শুধু জনপদ আলোকিত বা কৃষিতে উন্নতি নয়, অর্থনীতিতেও বড় পরিবর্তন এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত এক যুগে দেশের অর্থনীতিতে যে অর্জন, তাতে বিদ্যুত্ পরিস্থিতির উন্নতির বড় ভূমিকা রয়েছে। শিল্প উত্পাদনে গতি সৃষ্টির পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিও নতুন প্রাণ পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘সব মানুষের কাছে বিদ্যুেসবা পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সামান্য সুযোগ-সুবিধা পেলেই সাধারণ মানুষের ভাগ্যের বড় পরিবর্তন হয়ে যায়। গ্রিডভুক্ত শতভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়ন হয়েছে। বিদ্যুতায়িত গ্রাম-শহর-উপজেলার সমাজ ও অর্থনীতিতে ইতিমধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এটি আমাদের উন্নত বাংলাদেশের পথে হাঁটতে আরো সাহসী করে তোলে।’

দ্বীপে বিদ্যুত্ সাবমেরিনে, পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায় সৌর

সাগরের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলাকে জাতীয় গ্রিডের আওতায় আনা হয়েছে। কক্সবাজারের প্রায় ২১৫ বর্গকিলোমিটারের কুতুবদিয়া দ্বীপকেও পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতায়নের কাজ চলমান রয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপের জন্যও একই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আইপিপিপির মাধ্যমে হাতিয়া দ্বীপে ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ করছে পিডিবি।

আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন জানান, তার সংস্থায় আওতায় ৪৬২টি উপজেলার মধ্যে ৪৬১টিতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। অফগ্রিডে থাকা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে।

পার্বত্য তিন জেলায় ৫৬ হাজার গ্রাহকের কাছে বিদ্যুত্ পৌঁছানোর কাজ চলমান রয়েছে। এর বাইরে দুর্গম পাহাড়ে থাকা আরো ৪০ হাজার পরিবারের কাছে গ্রিড লাইনের বিদ্যুত্ নেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুত্সংযোগ দেওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রংপুর ও রাজশাহীতে গ্রিডের বাইরে থাকা দুর্গম চরে বিনা মূল্যে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করছে নেসকো। এতে ১৩টি চরে বসবাসরত ১২ হাজার ৬৯০টি পরিবার সৌরবিদ্যুত্ পাবে।