জাতীয়

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আট আসামির প্রত্যেকেরই জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে ডিএনএ টেস্টে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ জানিয়েছেন, রোববার ডিএনএ প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে। ডিএনএ টেস্ট নানাভাবে করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আট আসামির প্রত্যেকেরই কোন না কোনভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

তিনি জানান, ডিএনএ প্রতিবেদন না আসায় মামলার অভিযোগপত্র এতদিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে আসায় দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার স্বামী। সেখানে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা তাদের জোর করে কলেজ ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে। করোনার কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন।

মামলার পর বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

এর আগে গ্রেপ্তারকৃত আট আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা।

জাতীয়

বর্তমানে বাংলাদেশে তিন হাজারের বেশি রেল সেতু রয়েছে। যেগুলোর সবই ছোট কিংবা মাঝারী আকারের। পাবনার পাকশীতে পদ্মা নদীর উপর শতাব্দী পুরনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এখনো পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু। কিন্তু সে রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুটি। এটি নির্মাণ হলে দেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতুর তকমা পাবে। এর নির্মানে অধিকাংশ ঋণ আসছে জাপান থেকে।

গতকাল রবিবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, একটা আলাদা (রেল) সেতু হয়ে যাচ্ছে যাতে আমি মনে করি দেশের আভ্যন্তরীণ আর্থ সামাজিক উন্নতি তো হবেই, এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবেও আমরা আরও সংযুক্ত হতে পারবো।

ট্র্যান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। এই সেতুটি ভবিষ্যতে সেই সংযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এই প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থায়ন করছে জাপান। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের মত বন্ধু যাদের সাথে আছে তাদের আর চিন্তার কিছু নেই।

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কামরুল আহসান বলেন, যমুনা নদীর উপরে যে বঙ্গবন্ধু সেতু রয়েছে, সেই সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে এটি নির্মিত হচ্ছে, যার দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এই সেতুতে যে রেললাইন রয়েছে তার উপর দিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন রুটের ৩৮টি ট্রেন চলাচল করে। রেল সেতুটি নির্মাণ হয়ে গেলে সেই সংখ্যা ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সেসময় নতুন রুট চালু করা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের যে রেল সেতুগুলো রয়েছে তাতে আছে একটি করে লাইন রয়েছে। এই সেতুটিতে তাহকে দুটি রেল লাইন। এর সুবিধা হচ্ছে কোনো ট্রেনকে সেতু পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সেতুতে একসঙ্গে দুটো ট্রেন দুদিকে চলে যেতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যে রেললাইন রয়েছে তা পার হতে দুইপাশে গাড়ি ও ট্রেন উভয়কেই অপেখা করতে হয়। এছাড়াও সড়ক সেতু হওয়ায় ওজন ও গতির বিষয়েও সীমাবদ্ধতা রয়েছে ট্রেনের।বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে একটি ট্রেন ঘণ্টায় সর্বচ্চো ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারে। নতুন সেতুটিতে ঘণ্টায় সর্বচ্চো ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে পারবে। এটির উপর দিয়ে যেকোনো ওজনের মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলতে পারবে। এছাড়া এই ব্রিজটির উপর দিয়ে একাধিক লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে। সাধারণত মালবাহী ট্রেনগুলোকে প্রায়ই দুটি ইঞ্জিন দিয়ে টানতে হয়। বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যা সম্ভব হয় না। এর কারণেই যমুনা নদীর ওপারে পার্বতীপুরের কারখানায় মেরামতের জন্য ইঞ্জিন নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। রেল সেতুটি নির্মাণ করা হলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু রেল সেতুটির কাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা ২০২৪ সালে আগস্ট মাসে নির্ধারণ করেছে সরকার। এই প্রকল্পের জন্য ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই খরচের ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন বা জাইকার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাবে বাংলাদেশ। বাকি অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার।

জাতীয়

করোনা মহামারীতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ছয় হাজার ৫২৪ জন।

বৃহস্পতিবার কোভিড রোগ নিয়ে হালনাগাদ তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, এ সময় দুই হাজার ২৯২ জন নতুন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৮ জনে।

দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়েছিল।

এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে চার লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর।

এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই হাজার ২৭৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে তিন লাখ ৭১ হাজার ৪৫৩ জন হয়েছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যে বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৫তম স্থানে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় ৩৩তম অবস্থানে।

জাতীয়

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’ এ পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর পশ্চিমে সরে ঘণীভূত হয়ে এগিয়ে আসতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে প্রথমে নিম্ন পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’ এ পরিণত হয়েছে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলের তেতুঁলিয়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চট্টগ্রামে ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যস্থানে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ২০ মিনিটে।

অন্যদিকে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য কোনো সতর্কবাণী নেই এবং কোনো সংকেত দেখাতে হবে না।

জাতীয়

করোনা ভাইরাসে দেশে প্রতিদিনই মৃত্যু বেড়ে চলেছে। তারপরেও মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মাস্ক পরার যে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে তাও মানছে না কেউ কেউ।

এ অবস্থায় জনসচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকার কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৪৮ জন।

এছাড়া একই দিনে আরো ২ হাজার ২৩০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ জন।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে আরো ২ হাজার ২৬৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জন হয়েছে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি ল্যাবে ১৫ হাজার ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৬ লাখ ৮০ হাজার ১৪৯টি নমুনা।

এদিকে ঢাকার কাওরান বাজার, ফার্মগেট ও ধানমিন্ডসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে চলাচল করা অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। ব্যবসায়ীরাও মাস্ক ছাড়া কেনাবেচা করে যাচ্ছেন। গণপরিবহনেও যাত্রীদের মাস্ক ছাড়া যাতায়াত করতে দেখা গেছে। চালক-হেলাররাও মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তার মাঝে তো সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই।

জাতীয়

দেড় যুগ আগে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় আসামি রাকিবুর রহমানের ক্ষেত্রে মামলা বাতিল করা হবে কিনা, তা মঙ্গলবার জানা যাবে।

হাই কোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাকিবের আবেদনে শুনানির পর মঙ্গলবার আদেশের জন্য রেখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। আর রাকিবুর রহমানের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।

অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন, অভিযোগ গঠনের পর থেকে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম বিলম্বিত করার জন্য আসামিরা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আগামীকাল চূড়ান্ত আদেশ হবে।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় আসামির বয়স দশ বছর হয়ে থাকলেও তার ক্ষেত্রে ১৯৭৪ সালের ‘মাইনর অ্যাক্ট’ অনুযায়ী বিচার হবে।

ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়।

শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা সেদিন আহত হন। ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এক যুগ পর ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এরপর হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রাকিব ২০১৭ সালে হাই কোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। সেখানে বলা হয়, ঘটনার সময় তার বয়স ছিল দশ বছর। সে আবেদনে ২০১৭ সালের ২৩ অগাস্ট হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সঙ্গে মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করে।

মামলাটি এরপর সেভাবেই পড়ে ছিল। বিষয়টি জানার পর সম্প্রতি এ সংক্রান্ত রুল শুনানির উদ্যোগ নেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল এস এম মুনীর।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর হাই কোর্টে শুনানি শুরু হয়। কয়েক দফা শুনানির পর গত ৮ অক্টোবর রায় দেয় হাই কোর্ট।

রায়ে আসামি রাকিবুর রহমানের ক্ষেত্রে মামলার কার্যক্রম বাতিলের প্রশ্নে রুল খারিজ করে দেয়। সেই সঙ্গে মামলাটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে নতুন করে আরো ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪১৬ জন।

একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৪১৯ জন। এতে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ জন।

সোমবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, গত এক দিনে আরো ২ হাজার ১৮৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬১১ জন হয়েছে।

জাতীয়

কুষ্টিয়ায় কৃষিভিত্তিক ভারী শিল্পের একমাত্র চিনিকলটি ক্রমাগত লোকসানে চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ভরা মৌসুমে আখ যোগান কম ও কারখানা ব্রেক ডাউনের কারণে চিনি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না। ফলে প্রতি মৌসুমে কোটি কোটি টাকা লোকসানের বোঝা ও নানা সংকটে চিনিকলটি পরিণত হয়েছে অতি রুগ্ন শিল্পে। শুধুমাত্র ২০০১-০২ থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছর পর্যন্ত গত ১৯ বছরে দেশের বৃহত্তম এই চিনিকলটিতে লোকসান হয়েছে ৪১৫ কোটি টাকা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬১ সালে কুষ্টিয়া শহরে অদূরে জগতি নামক স্থানে ২২১.৪৬ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া চিনিকল। ১৯৬৫-৬৬ সালে পরীক্ষামূলকভাবে এ মিলে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৬-৬৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় চিনি উৎপাদন।

মিলের অর্থ বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি মৌসুমে চিনি উৎপাদন অব্যাহত থাকলেও এ মিলে লাভের চেয়ে লোকসানই হচ্ছে বেশি। তবে ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে ২ কোটি ৬১ লাখ ও ৯৫-৯৬ অর্থ বছরে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা মিলে লাভ হয়। এছাড়া বিগত ২০০১-২০০২ থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর পর্যন্ত গত ১৯ বছরের হিসাবমতে লোকাসন হয়েছে ৪১৫ কোটি টাকা। মিলের ব্যবস্থাপক (অর্থ) মো. খোরশেদ আলম খন্দকার গত ১৯ বছরে ক্রমাগত লোকসানের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। চালুর প্রথমদিকে মিলটি লাভজনক হলেও পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও মাথাভারী প্রশাসনসহ নানা কারণে ক্রমাগত লোকসানের ঊর্ধ্বগতিতে মিলটি এখন অতি রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ফলে লোকসানের বিশাল বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষিভিত্তিক একমাত্র এ প্রতিষ্ঠানটি পড়েছে চরম হুমকিতে। এ দৈন্যদশায় মিলটি ঝিমিয়ে পড়ার পাশাপাশি ৩০ কর্মকর্তাসহ ৮৯০ জন কর্মচারীর চাকরি এখন হুমকিতে। শ্রমিক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না ৫-৬ মাস।

আরো পড়ুন: এবার শত শত ইমাম-মুসলিম নেতাদের বন্দি করেছে চীন

কলটির প্রতিদিনের চিনি উৎপাদন ক্ষমতা ১৫’শ মেট্রিক টন এবং বার্ষিক মাড়াই ক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টন। মিল জোনের আওতায় আখ চাষ হচ্ছে ৪০ একর জমিতে। এছাড়া বৃহত্তর কুষ্টিয়ায় চাষি পর্যায়ে আখ চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৯শ’ ৯৩ একর জমিতে। প্রতিমন ১৪০ টাকা দরে চাষিরা মিলে চাষ সরবরাহ করেন। কিন্তু বিক্রিত আখের দাম পরিশোধে দীর্ঘসূত্রিতাসহ হয়রানি ও নানা জটিলতায় চাষি মিলে আখ সরবরাহে আগ্রহ হারাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত মিলটি আধুনিকীকরণ (বিএমআরই) করা হয়নি। ফলে বহু পুরাতন যন্ত্রাংশে সজ্জিত কারখানা প্রতি মৌসুমেই যান্ত্রিক ত্রুটিসহ ব্রেক ডাউনে চিনি উৎপাদন ব্যাহত হয়। এছাড়া প্রতি মৌসুমে মিলে উৎপাদিত হাজার হাজার টন চিনি থাকে অবিক্রীত। আমদানিকৃত চিনির বাজার মূল্য কম হওয়ায় ডিলার ও ভোক্তারা দেশি চিনির পরিবর্তে কেমিক্যাল মিশ্রিত রিফাইন চিনির দিকেই বেশী ঝুঁকছেন। ফলে নানা সংকটে সম্ভাবনাময় এ মিলটি ঘুর দাঁড়াতে পারছে না। মিলটির আধুনিকরণসহ মিলটিকে রক্ষায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেন এলাকাবাসী।

মিলের আখ জোনের চাষি আব্দুস সাত্তার জানান, বিক্রিত আখের মূল্য পরিশোধে বিলম্বসহ নানা অনিয়মে লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে চাষিরা আখের পরিবর্তে অন্যান্য অর্থকরী ফসল চাষে ঝুঁকছে।

কুষ্টিয়া চিনিকলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাকিবুর রহমান খান লোকসানের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাড়াই মৌসুমে কাঁচামাল হিসাবে আখের সরবরাহ কম হওয়ায় মিলে চিনি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। তবে এসব সংকট কাটিয়ে মিলটিকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

জাতীয়

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা :দশম শ্রেণি শেষে ঐ শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর প্রথম পাবলিক পরীক্ষা, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষে দুটি পাবলিক পরীক্ষা, তবে দুটি মিলিয়ে হবে চূড়ান্ত ফল, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শতভাগ শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়ন, পিইসি ও জেএসসি নিয়ে রূপরেখায় কিছু বলা হয়নি

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। তবে এই মূল্যায়ন পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে শুরু করা হবে। পাঠদানের সময় ‘ধারাবাহিক মূল্যায়ন’ (শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়ন) ও বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে ‘সামষ্টিক মূল্যায়নের’ ভিত্তিতে শিক্ষার্থী পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে। আর প্রথম পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ‘দশম শ্রেণির’ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী দশম শ্রেণিতেই।

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় পরীক্ষা নিয়ে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা ও দেশের শিক্ষাবিদদের মতামতের আলোকে পরীক্ষা নিয়ে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই রূপরেখা তৈরি করেছে।

২০২২ সাল থেকে এই রূপরেখার আলোকে কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন পর্যায়ক্রমে শুরু হবে। প্রথম পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দশম শ্রেণিতে। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির আলোকেই এই পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দশম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ থাকবে না। সবাইকে ১০টি বিষয় পড়তে হবে। এর মধ্যে পাঁচটি বিষয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞানে ৫০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও ৫০ শতাংশ পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন হবে। এছাড়া বাকি পাঁচটি বিষয়—জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, ভালো থাকা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতিতে পুরোটাই ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। ২০২৫ সালে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি মিলিয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আর একাদশ শ্রেণি শেষে ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সম্মিলিত ফলের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষে একটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই স্তরে ৩০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও ৭০ শতাংশ পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন হবে।

নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। এসব শ্রেণিতে কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২০২২ সালে এবং ২০২৩ সাল থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে নতুন এই মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হবে।

চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৭০ শতাংশ নম্বরের ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা হবে ৩০ শতাংশ নম্বরের। এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হবে চতুর্থ শ্রেণিতে ২০২৪ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ২০২৫ সালে। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ৬০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং ৪০ শতাংশ বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন হবে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ২০২২ সালে এবং ৮ম শ্রেণিতে ২০২৩ সালে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তবে এই রূপরেখায় পঞ্চম শ্রেণি শেষে পিইসি ও অষ্টম শ্রেণি শেষে জেএসসি পরীক্ষার কথা উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে এ দুটি পরীক্ষার কথা উল্লেখ নেই। সরকার এটা নির্বাহী আদেশে নিয়ে থাকে। যদি সরকার চায় তাহলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে মূল্যায়নের কাঠামো এই রূপরেখা অনুযায়ী হবে। সরকার নির্বাহী আদেশে পিইসি পরীক্ষা নিতে চাইলে ৭০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং ৩০ শতাংশ পরীক্ষার মাধ্যমে নিতে হবে। তারপরই চূড়ান্ত ফল হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতির বিষয়ে রূপরেখায় বলা হয়েছে, শিক্ষাক্রমে যোগ্যতাকে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, গুণাবলি ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি বিশেষত পাবলিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীর মূলত বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ মূল্যায়ন করে। তাই প্রচলিত পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি বহাল রেখে শিক্ষাক্রমের মূল উদ্দেশ্য অর্থাত্ শিক্ষার্থীর জ্ঞানের পাশাপাশি দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, গুণাবলি ও মূল্যবোধ অর্জন সম্ভব হবে না। তাই পাবলিক পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি শিখনকালীন মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম রূপরেখায় মূল্যায়নকে কেবল শিক্ষার্থীর শিখন মূল্যায়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো শিক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা মূল্যায়ন, শিখন পরিবেশের মূল্যায়ন ও সে সঙ্গে শিখনের মূল্যায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়

এলাকায় প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর গ্রামে দুই পক্ষের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে টেকেরহাট বন্দর সংলগ্ন মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের শ্রীযুতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিপক্ষের হাতে মারাত্মক আহত কালাম শেখকে (২৫) রাজৈর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

নিহত কালাম শেখ রাঘদী গ্রামের মৃত জলিল শেখের ছেলে। আহতদের মধ্যে মুমুর্ষ ৬জনকে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কালাই ফকির (৪৫), আয়ুব আলী (৬০), সহিদকে (৪০) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকায় এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৪/৫ দিন যাবৎ রাঘদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুলের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিল।

মুকসুদপুর থানা ওসি আবু বকর মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।