জাতীয়

নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জেলায় উদযাপিত হচ্ছে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ তম বর্ষপূর্তি।

আজ সোমবার সকালে জেলা পরিষদের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের হলরুমে শান্তির পায়রা উড়ানো হয় । পরে কেক কাটা হয়।

এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা রিজয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.মেহেদী হাসান।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ,জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মঞ্জুরুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. মাধবী মারমা।

কেক কাটা শেষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এর আগে বান্দরবান সদর হাসপাতালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচীর আয়োজন করে জেলা পরিষদ।

এদিকে সকাল ১০ টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আয়োজনে, জেলার রাজার মাঠে গণসমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সব ধারা বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে, পাহাড়ে অশান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

সমিতির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চরিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সুমন মারমা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চরিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সালিম রেজা নিউটন।

এছাড়াও পাহাড়ের অন্যতম সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর আয়োজনে সদরের একটি হোটেলের সভাকক্ষে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভার। পরে বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

জাতীয়

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানো নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে অবিলম্বে এই ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার রাতে লন্ডন থেকে মুঠোফোনে গণমাধ্যমের কাছে দলের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘সকালে কয়েকটি পত্রিকায় একটা সংবাদ দেখলাম, যে ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে মুখমন্ত্রী যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশ সম্পর্কে সে বিষয়ে আমি বক্তব্য না রেখে পারছি না। তিনি (মমতা বন্দোপাধ্যায়) যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের, এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি একটা হুমকিস্বরূপ এবং আমরা মনে করি এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নেতৃবর্গের যে দৃষ্টিভঙ্গি তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উচিত অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করা। এই ধরনের কোনো চিন্তাও তাদের মধ্যে আসা উচিত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তারা গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছে; এদেশের মানুষ যেকোনো মূল্যে এই ধরণের চক্রান্তকে রুখে দাঁড়াবে।

সোমবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হওয়া বা বিপন্ন হওয়ার যে অলীক কাহিনী ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে তা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলেছি, এখানে পশ্চিম বাংলা ও ভারতের অনেক নামকরা সাংবাদিক এসেছিলেন তারাও দেখেছেন বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো পরিস্থিতি নেই। অথচ ভারতবর্ষের মিডিয়া ও তাদের নেতৃবর্গ যেভাবে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাকে প্রচার করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিচ্ছেন তা কোনো মতেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, অতি সম্প্রতি ইসকনকে (বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) নিয়ে যে এখানে (বাংলাদেশে) নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষ কখনই গ্রহণ করবে না।

এটা খুব পরিষ্কার যে, ইসকনের সাম্প্রতিক ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক, রহস্যজনক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকিস্বরূপ।

জাতীয়

প্রতিনিয়তই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চলছে। সিন্ডিকেট, আমদানি জটিলতা ও তদারকির অভাবে এসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে বলে জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এজন্য বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা ও বাজার তদারকি কার্যক্রম বৃদ্ধি করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কর্তৃক আলু, পেয়াঁজ ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান নেতারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষত আলু, পেঁয়াজ এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু মান ভেদে এখনো ৭৫-৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১৫-১৩০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৫-১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে এমন চড়া দামে আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই এবার আলুর দামের এমন অবস্থা। বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে মজুদ থাকায় ও আমদানি জটিলতার কারণে এবার আলুর দাম ভোগাচ্ছে ক্রেতাদের। অবশ্য দাম নিয়ন্ত্রণে বা আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক করতে নেই যথাযথ তদারকি। হিমাগার পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকি না থাকায় আলুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে আলুর মতো নিয়ন্ত্রণে আসেনি পেঁয়াজের দাম। দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি থাকা পেঁয়াজের দামও এখনও কেজিপ্রতি ১১৫-১৩০ টাকা।

তারা বলেন, কৃষক পর্যায় থেকে নামমাত্র মূল্যে আলু কিনে মজুত করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন থেকে এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ঘটনা বারবার ঘটছে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও বেশি সজাগ ও সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।

এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে তারা ৮ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, অসাধু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে; বাজার অভিযান/মনিটরিং বৃদ্ধি করতে হবে; টিসিবির ট্রাকসেল বাড়াতে হবে; ভোজ্যতেল খোলাবাজারে বিক্রেতাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে; ভোক্তা স্বার্থ দেখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা বিভাগ বা কনজুমারস মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে; সরকার ১ কোটি পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপণ্য দিচ্ছে এর সংখ্যা দেড় কোটি করতে হবে এবং আইনে নিষিদ্ধ থাকা বাজারে খোলা ভোজ্যতেল (ড্রামে) বিক্রেতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

এ সময় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শওকত আলী খান, বাহাদুর সাজেদা আক্তার, ক্যাবের সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

জাতীয়

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় রাজধানীর আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়ে এসে এ বিক্ষোভ শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলিমের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে ইতিহাস রয়েছে তা পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করছে মোদি সরকার। সম্প্রতি আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে উগ্রবাদী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে থেকে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা এ দেশের জনগণ রুখে দেবে।

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, ভারতের কসাই মোদি সরকার যদি বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ না করে, ভারতের নিরাপত্তাও হুমকিতে পরবে। কাজেই তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নিরাপদ থাকতে চায় কি-না।

সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, আগরতলা হামলার ঘটনায় যদি ভারতের কসাই মোদি সরকার হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় না আনে, তবে ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করবে যুব অধিকার পরিষদ।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি রাহুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল মুন, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সবুজ সেরনিয়াবাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরন। পেশাজীবী সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খালিদ হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।

জাতীয়

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে ন্যায় ও ন্যায্যতা বিজয়ী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান।

রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সত্যের সৌন্দর্য হলো, এটি অনিবার্যভাবে প্রচার এবং ষড়যন্ত্রের ওপর জয়লাভ করে। আমাদের বিশ্বাস দেয়, অবশেষে ন্যায় ও ন্যায্যতা বিজয়ী হয়। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটাতে এবং ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করি, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারও জীবন বা পরিবার ধ্বংস হবে না।’

তারেক রহমান আরও লেখেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের চেতনাকে সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যা বিশ্বাস এবং মতাদর্শের বৈচিত্র্যের ওপর ভর করে, বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনী অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়। সেই যাত্রায়, আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল এবং নিয়মভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা করি।’

সত্যের সৌন্দর্য হলো ষড়যন্ত্রের ওপর জয়লাভ: তারেক রহমান

এর আগে রবিবার বেলা পৌনে ১২টায় বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ২১ আগস্ট কে গ্রেনেড সরবরাহ করেছে তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেননি কোনো তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া কে গ্রেনেড মেরেছে তাও বলেননি কোনো সাক্ষী।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান। এই ঘটনার পর মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) রায় দেন। রায়ে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আজ হাইকোর্ট জানায়, বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ এবং তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার দেশ থেকে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর তৈরিকৃত শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।

রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন তুলে দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।

তিনি বলেন, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রতিটি খাত ধরে ধরে আলাদা বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে উন্নয়নের গল্প সাজাতে কিভাবে পরিসংখ্যানকে ম্যান্যুপুলেট করা হয়েছে। উন্নয়নের গল্প শোনানো হলেও ভেতরে ভেতরে চলেছে লুটতরাজের এক মহাযজ্ঞ।

প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিকখাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল একটা আতঙ্কের বিষয়। আমাদের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলেননি।’

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়।

এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটি বিভিন্ন দলিলপত্র পর্যালোচনা করে ও নানা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। সেই ধারাবাহিতায় আজ রবিবার ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

শ্বেতপত্র প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরে কমিটির প্রধান ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা শ্বেতপত্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে অভিহিত করেছেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন এটি (শ্বেতপত্র প্রতিবেদন) একটি ঐতিহাসিক দলিল। বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে দুরবস্থা চলে আসছে, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তা উন্মোচিত হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে দেশে কৃত্রিম উন্নয়নের যে বয়ান প্রচলিত ছিল, তাকেও ধূলিসাৎ করেছে।

শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান জানান, প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন যে এই শ্বেতপত্রকে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার এবং এ নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত। প্রয়োজনে এটিকে আগামী দিনে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

চূড়ান্ত শ্বেতপত্র প্রতিবেদনে অর্থনীতি নিয়ে স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আগামী বাজেট পর্যন্ত একটি অর্থনৈতিক স্থিতায়ন কর্মসূচি দরকার। ফলে এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এর সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও যুক্ত করতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে আলাদাভাবে সংস্কারের যে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলছে, এগুলোকে সময়–নির্দিষ্ট ও সমন্বিতভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। বিশেষ করে আগামী বাজেট পর্যন্ত সরকার যে কী করতে যাচ্ছে, তা তুলে ধরা উচিত। তাহলে বাজার এবং আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত দেশের মানুষের ও বিদেশিদের মধ্যে একধরনের আস্থা আসবে।’

জাতীয়

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

রাশি অনুযায়ী এই সপ্তাহ কেমন যেতে পারে জেনে নিন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল) সপ্তাহের শুরুতে প্রতিপক্ষ আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। রাস্তায় থাকার সময় বেপরোয়া গাড়ির চালানো ও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে কাজের জন্য দেশের বাইরে যেতে হতে পারে। সঙ্গী হবে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সপ্তাহের মাঝদিকে কাজকর্মে নিজের উদ্যোগকে সক্রিয় করুন। এতে করে কাজকর্মে দক্ষতার সাথে কর্মক্ষেত্রে সুনাম বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ আসবে। সপ্তাহের শেষদিকে সামাজিকভাবে অর্থকরী কোনো ব্যাপারে জড়িয়ে পড়তে পারেন। প্রচুর আকর্ষণীয় আমন্ত্রণ পাবেন। আর একটি আকস্মিক উপহারও আসতে পারে।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে) সপ্তাহের শুরুতে ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা দেখা যায়। এ সময় কোনো ধরনের বিয়ে সংক্রান্ত যোগাযোগ সমন্বয় ভালো হবে। দলবেঁধে কোথাও বেড়াতে গেলে সাবধানে থাকবেন। যানবাহনে সাবধানে চলাফেরা করবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে বিদেশি বা দূরের বন্ধুর মাধ্যমে উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা। বিদেশিদের সঙ্গে আমদানী রপ্তানি বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি ও সংযোগ ভালো করতে পারবেন। সপ্তাহের শেষদিকে কর্মক্ষেত্রে স্বতন্ত্র বোধ করবেন। কার্য্যক্ষমতা বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি অবলম্বন করুন। কর্মক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে সম্পর্ক প্রগাঢ় হওয়াতে প্রেমে পড়া সম্ভব।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন) সপ্তাহের শুরুতে শরীর হঠাৎ খারাপ হতে পারে। কারও সাথে অযথা ঝগড়া বিবাদ হতে পারে। সঙ্গী আপনাকে খুশি করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালাবে। নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য আদর্শ সময়। সপ্তাহের মাঝদিকে সব বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। ঝগড়া বিবাদ হতে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। সপ্তাহের শেষদিকে এমন একটি সময় যখন রোমান্টিক ভ্রমণে যেতে পারেন। সফর ও ভ্রমণ আনন্দ আনবে। অত্যন্ত শিক্ষামূলক হবে। ক্লান্তিকর হলেও লাভজনক হবে।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই) সপ্তাহের শুরুতে জীবনকে উপভোগ করার চাহিদা কতটা দেখে নিন। প্রেমময় মেজাজের মধ্যে আছেন, তাই নিজে ও প্রিয়জনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিশ্চিতভাবে করুন। যদি স্বাস্থ্যের যত্ন না নেন তবে চাপ অনুভব করতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে সঙ্গীকে নিয়ে রোমান্টিক ভ্রমণে যান; সম্পর্ক আরও ভালো হয়ে উঠবে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গৃহীত ভ্রমণ লাভজনক হবে। সপ্তাহের শেষদিকে কাজ করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সমস্যায় পড়তে পারেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট) সপ্তাহের শুরুতে জমি ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ভালো সময়। পুরানো যোগাযোগ ও বন্ধুরা সহায়ক হবে। প্রাণের বন্ধুরা এ সময় আপনার সম্পর্কে চিন্তা করবে। ভালোবাসার জীবন এ সময় সত্যি সত্যি অসাধারণ কিছু বয়ে আনবে। সপ্তাহের মাঝদিকে কোনো অপ্রিতিকর ও হতাশাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি থেকে কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। সপ্তাহের শেষদিকে সঙ্গীর সাথে মিল ঘটানোর পক্ষে এটি ভালো সময়। শুধুমাত্র একটু প্রচেষ্টার সাথে সময়টি সেরা সময় হতে পারে। নতুন কোনো ব্যবসায়ে বিনিয়োগ লাভজনক হবে।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে ভাইবোনের কোনো উন্নতিতে আনন্দ পাবেন। উচিত হবে ভূমি সম্পত্তি জমি সংক্রান্ত সমস্যার ওপর নজর কেন্দ্রীভূত করা। পরিবারের জন্য মহান ও উপযুক্ত কিছুতে ঝুঁকি নিন। সপ্তাহের মাঝদিকে প্রেম অপরিমিত সীমাহীন এই কথাগুলো অবশ্য আগে শুনেছেন। তবে এ সময় সেটা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন। বিশ্বের যত উচ্ছাস আবেগ দুজনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে স্বাস্থ্যের কোনো পরিবর্তন না হলেও সতর্কতা আবশ্যক। যাদের হাঁপানী ও হৃদ-দৌর্বল্য রয়েছে তাদের বিশেষ কষ্ট হতে পারে। নিজের খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রণের আওতায় রাখুন।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুতে সময়টি উচ্চ শক্তি সম্পন্ন। আর অপ্রত্যাশিত লাভ আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে। দেখা করতে আসা আত্মীয়রা সময়টি দখল করে নিতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে পরিবারের হিত সাধনে কঠোর পরিশ্রম করুন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মারামারির দিকে এগোবে। বিষয়টি সমাধানের অভিভাবকের সাহায্য নিন। সপ্তাহের শেষদিকে আকস্মিক প্রেমঘটিত সাক্ষাৎ মেজাজ চাঙা করে তুলবে। মিষ্টি ভালোবাসার জীবনে চমকপ্রদ মসলার উপস্থিতি লক্ষ্য করতে পারেন।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে অবশ্যই নিজের সমস্যাগুলো নিজে উপলব্ধি করতে হবে আর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লড়াই করতে হবে। রক্ষণশীল বিনিয়োগে সঞ্চয় রেখে বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে সেইসব আত্মীয়দের কৃতজ্ঞতা জানান যারা বিপদের সময়ে সাহায্য করেছেন। সপ্তাহের শেষদিকে পরম সুখের সময়। সরাসরি উত্তর না দিলে সহযোগীরা বিরক্ত হতে পারে। সম্পত্তি সংক্রান্ত কারবারে নানাদিক থেকে লাভ এনে দিতে পারে।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে টাকা পয়সা লাভ প্রত্যাশা মাফিক হবে না। আর্থিক সীমাব্ধতা এড়াতে বাজেটে আটকে থাকুন। পরিবারের পাশাপাশি বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়াতে নতুন উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের সঙ্গে এগোবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে করা যৌথ উদ্যোগ অবশেষে লাভদায়ক হবে। তবে অংশীদারদের কাছ থেকে কিছু উল্লেখযোগ্য বিরোধিতার সম্মুখীন হতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে চমকে দিয়ে ভাই-বোন আপনাকে উদ্ধার করতে আসবে। একে অপরকে খুশি করার জন্য প্রয়োজন সমর্থন করা। আর ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে আশীর্বাদ ও সৌভাগ্য পথে আসায় এবং অতীতের পরিশ্রমগুলো ফল আনায় ইচ্ছাগুলো পূরণ হবে। সেচ্ছায় খরচ করার জন্য এগিয়ে যাবেন না। অন্যথায় খালি পকেট নিয়ে বাড়ি পৌঁছাতে হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে পেছনের সারিতে বসে আরাম করুন আর শখে জড়িয়ে থাকুন। যে জিনিস সবচয়ে বেশি উপভোগ করেন, তাই করুন। সপ্তাহের শেষদিকে পথে আসা নতুন বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ করুন। বাড়তি পয়সা উপার্জনের জন্য উদ্ভাবনী চিন্তা ব্যবহার করুন।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে কাজের জায়গায় কেউ আপনাকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তাই চারপাশে কী ঘটছে সেটার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন। ভালোবাসার উচ্ছাসে স্বপ্ন ও বাস্তবতা মিশে যাবে। সপ্তাহের মাঝদিকে আর্থিক সমস্যা গঠনমূলক চিন্তার সামর্থ্যকে বিনষ্ট করবে। অপ্রয়োজনীয় ভাবনায় শক্তি ক্ষয় না করে সঠিক দিশা নিন। ধ্যান পরিত্রাণ আনবে। সপ্তাহের শেষদিকে আপনার তরফে বেশি কিছু না করেই অন্যদের নজর আকর্ষণ করার জন্য একটি আদর্শ সময়। আপনার রসবোধ অন্যদের উৎসাহিত করবে।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) সপ্তাহের শুরুতে সফর ও ভ্রমণ আনন্দ আনবে। আরও ভালো পেশায় সম্ভাবনাময় গৃহীত সফর বাস্তবায়িত হতে পারে। মোবাইল কর্মক্ষেত্রে ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে, এটি বেশি ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহের মাঝদিকে বিবাহিত জীবনে অনেক ভালোমন্দের পর প্রেমে একে অপরে জন্য সূবর্ণ সময় হবে। পরোপকার ও সামাজিক কাজের দিকে আকৃষ্ট হবেন। ভালো কাজে সময় দিয়ে জীবনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে মানসিক বা দৈহিক অবসাদ দেখা দেবে। কোনো বন্ধুর সাথে দেবে মনোমালিন্য। অপ্রয়োজনীয় খরচ আর্থিক অবস্থা খারাপ করতে পারে।

জাতীয়

উপহার পেতে যেমন ভালোলাগে তেমনি কাছের কাউকে উপহার দেওয়ার মাঝেও আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়।

তবে কারও জন্য প্রয়োজনী উপকারী ‍উপহার বাছাই করতে গিয়ে হয়ত দ্বিধায় ভুগতে হয়।

এই ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে গিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক গৃহসজ্জা-বিষয়ক অভিজ্ঞ পেশাজীবী মর্গান নোল বলেন, “পরিকল্পনা করা, মনোযোগ দেওয়া, কার কী প্রয়োজন- এই বিষয়গুলো জানা থাকলে কার্যকর উপহার বাছাই করতে সুবিধা হয়।”

তথ্য টুকে রাখা

“জন্মদিন, বিয়েবার্ষিকী বা কোনো উৎসবের জন্য- উপহার যেমনই হোক আগে থেকেই পরিকল্পনা করার জন্য সেরা উপায় হল, যাকে দিতে চাচ্ছেন তার সম্পর্কে তথ্য টুকে রাখা”- বলেন মর্গান।

যেমন- মায়ের কোনো কিছু দরকার সেটা উপহার দেওয়া যায়। বা আড্ডায় খেয়াল রাখা, কোনো বন্ধু হয়ত বলছে- তার নির্দিষ্ট একটা জিনিস পছন্দ বা প্রয়োজন।

এই ধরনের তথ্যগুলো টুকে রাখলে উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে পরে বিবেচনা করতে সুবিধা হয়।

কারও জন্য সেটা হতে পারে প্রয়োজনীয় জিনিস। কিংবা শুধুই সাজানোর সরঞ্জাম।

একটু গোয়েন্দগিরি করা

মনে হতে পারে কাজটা ঠিক না। তবে বন্ধু বা প্রিয় কাউকে তার পছন্দের জিনিস দেওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা মোক্ষম পদ্ধতি।

“যেমন- যাকে উপহার দিতে চাচ্ছেন তার ফেইসবুক ঘাটাঘাটি করে পছন্দের বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যেতে পারে। বা সম্প্রতি সে কোনো পোশাকের বা জিনিস অনলাইনে খুঁজেছেন কিংবা এরকম কোনো প্রতিষ্ঠানের পেইজে সংযুক্ত আছেন, এমন তথ্য জানতে পারলে- সেই নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ‘পেইজ’ থেকে কোনো কিছু সংগ্রহ করে উপহার বাছাই করা যায়”- বলেন মর্গান।

হতে পারে সেটা টি-শার্ট, জামা, মগ, সাজানোর সামগ্রী বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।

ব্যবহারিক জিনিস

উপহারের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে এমন জিনিস বাছাই করা যেতে পারে। সেটা যে খুব দামি কিছু হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

এক সেট চামচ, বাটি, গ্লাস, টেবিলের ম্যাট, বিছানার চাদর, ঝারু কিংবা এক বক্স কাপড় বা থালাবাসন ধোয়ার সাবান। এই ধরনের জিনিসগুলো যেমন কাজের তেমনি উপহারের ক্ষেত্রে চমৎকারিত্ব তৈরি করে।

যাকে উপহার দিতে চাচ্ছেন, তার প্রোষা প্রাণী থাকলে, সেটার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসও হতে পারে ভালো উপহার।

“এছাড়া উপহার দেওয়া যায় কোনো সেবা। যেমন- কাউকে হয় পার্লারে চুল কাটা বা ফেইশলের একটা ‘প্যাকেজ’ গিফট করল”- পরামর্শ দেন মর্গান।

আর যেকোনো ক্ষেত্রে ‘অ্যান্টিকস’ বা প্রাচীন কোনো জিনিস উপহার হতে পারে সেরা বিষয়।

নিজে নিয়েও ভাবা

অনেক সময় কার্যকর উপহার বাছাই করতে গিয়ে আটকে যেতে হয়।

এই ক্ষেত্রে উপায় হল, নিজের কোন উপহারটা ভালো লেগেছে, সেটা কেনো ভালো লেগেছে, অন্যকে সেটা দিলে কতটা ভালো বা উপকারে লাগবে এই ভাবনা চিন্তার ফলেও সুন্দর জিনিস বাছাই করা সম্ভব হয়।

জাতীয়

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাদ বিন আজিজুর রহমান জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন।

এ সময় কারা ফটকের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনো স্বীকারোক্তি দেইনি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. শাজাহান কবির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন সাদ।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের জয়পুরপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে উম্মে সালমা নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে মরদেহ ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উম্মে সালমার স্বামী আজিজার রহমান ও তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে আটক করে র‍্যাব। পরদিন ১২ নভেম্বর র‍্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, সাদ হাত খরচের টাকা না পেয়ে নিজেই তার মাকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল।

পরে মায়ের হত্যা মামলায় তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয় সাদকে। এরপর পুলিশ জানায়, মায়ের হত্যায় সম্পৃক্ততা নেই সাদের।

পরবর্তীতে ১৫ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উম্মে সালমার বাড়ির ভাড়াটিয়া মাবিয়া সুলতানা এবং তাঁর দুই সহযোগী মোসলেম এবং সুমন চন্দ্র রবিদাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় ওই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় উম্মে সালমাকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।

এদিকে মাকে হত্যায় ছেলের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। এমন তথ্যের পর ১৭ নভেম্বর সাদের জামিন আবেদন করে পরিবার। ১৯ নভেম্বর জামিন শুনানি শেষে সাদের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে আজ আবারো জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে জামিন মেলে।

এদিন বিকেলে সাদকে বাসায় নিতে কারা ফটকের সামনে যান তার বাবা আজিজুর রহমান ও বড় ভাই নাজমুস সাকিব।

কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, আটকের পর তিনি কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। আর কোনো কথা না বলে স্বজনদের সঙ্গে চলে যান সাদ।

সাদের আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচী জানান, ১৪ দিন কারাবাসের পর তার জামিন দিয়েছেন জেলা জজ। তাকে হত্যা মামলা থেকেও রেহাই দেওয়া হবে।

বগুড়ার জেল সুপার ফারুক আহমেদ জানান, আদালতের নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর সন্ধ্যার দিকে সাদকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়

জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত, প্রতিবন্ধীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিরাপত্তা চেয়েছেন। এসব নির্বাচনে তাদের প্রতিনিধি রাখার বিষয়েও দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদের কেবিনেট কক্ষে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তারা এসব দাবি জানান।

মতবিনিময় সভায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান হওয়া দরকার। জাতি ধর্ম নির্বিশেষ আমরা এক পরিবারের সদস্য। এর মধ্যে বিভাজন হওয়া উচিত নয়। সবাই আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করলে ও সুশাসন নিশ্চিত হলে আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক অসঙ্গতি আছে। যা আমরা চিহ্নিত করেছি- দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা, উচ্চকক্ষ কীভাবে নির্বাচিত হবে তা নির্ধারণ, ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ, দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়- এ বিষয়টা জোরালোভাবে এসেছে।

বদিউল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতির নির্বাচন দলভিত্তিক নয়, রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সরাসরি আসবে কিনা, সে প্রস্তাবও এসেছে। ভোটার তালিকা নিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায় ও অন্য সম্প্রদায়ের সমস্যা আছে। অতীতে যত অন্যায় ও বৈষম্য হয়েছে- সেসব দূর করার জন্য আমাদের অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এমন একটা দেশ গড়তে চাই- যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হবে। যে চেতনা থেকে আন্দোলন হয়েছে সে চেতনার ভিত্তিতে আমরা পরিচালিত হতে চাই।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের নির্বাহী কমিটির সদস্য রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারে আদিবাসীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে। সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি আসনে নারী, আদিবাসী, দলিত, চা শ্রমিক, কৃষকসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যেতে পারে। আদিবাসী প্রতিনিধি সন্ধ্যা মালো বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনেও পিছিয়ে পড়ারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যে হেরেছে সে নির্যাতন করেছে।

অনগ্রসর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (আসুস) নির্বাহী পরিচালক রাজকুমার শাও বলেন, আদিবাসীদের ভোটার তালিকা নতুনভাবে করতে হবে। এ কার্যক্রমে তাদের যুক্ত করতে হবে। না হলে সঠিক তালিকা হবে না। আমরা যখনই কথা বলি- তখন বিভিন্ন ট্যাগ লাগানো হয়। কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি, কখনো বা জামায়াত বলে ট্যাগ লাগিয়ে মারা হয়।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধি নূর নাহার আলম বলেন, ১২ ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে। কিন্তু ভোটার তালিকা করার সময় তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয় না। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যালটে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা ও প্রতিবন্ধীদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সুব্যবস্থা করার দাবি করেন তিনি।