জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের যারা হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। বিচারে অপরাধী প্রমাণিত না হলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার পাবে। যারা অপরাধী নয় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অন্যদের মতোই স্বাধীন। তাদের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভিত্তিতে লড়াই করব আমরা।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এ সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ঢাকার রাস্তার প্রতিটা দেওয়ালে প্রকাশ পেয়েছে আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের উদযাপন। মাইলের পর মাইল দেওয়ালজুড়ে আঁকা হয়েছে বিদায়ী এই শাসকের কার্টুন।

দেয়ালচিত্র নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনকে তিনি বলেন, শব্দগুলো খুবই বিস্ফোরক, এই তরুণ মস্তিষ্কগুলো অনেক ভাবনা, উচ্চাকাঙ্খা ও আশা-আকাঙ্খায় ভরপুর। তারা তাদের ভবিষ্যতকে এ চিত্রগুলোতে ফুটিয়ে তুলেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অর্জন।

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমাকে সরকারের দায়িত্ব নিতে বলায় শুরুতে আমি তা এড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, ‘কাউকে খুঁজে নাও।’ কিন্তু পরে বললাম, ‘ঠিক আছে, তোমরা তোমাদের জীবন দিয়েছো, তোমার বন্ধুরাও তাদের জীবন দিয়েছে, তাই আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

জুলাই ও আগস্টে আন্দোলন চলাকালীন বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আগের সরকার সম্পূর্ণ নিপীড়নের পরিবেশ তৈরি করেছিল। হত্যা, গুম ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস সাধন- এটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসন ছিল। ড. ইউনূস দাবি করেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সাড়ে ৩ হাজার জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে গুম করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩১ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে বাংলাদেশের হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা করেছিলেন। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। ধারণা করা হয়, ট্রাম্পকে আওয়ামী লীগ ও প্রভাবশালী ভারতীয় আমেরিকানরা বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য লবিং করছে।

তবে ড. ইউনূস এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে পারবেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী। আমরাও ব্যবসা নিয়ে ভাবছি। আমরা কোনো সংকটে সাহায্য করার জন্য বিনামূল্যে টাকা চাইছি না; আমরা একটি ব্যবসায়ী অংশীদার চাই। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য খোলা রয়েছে।

তবে অনেক ক্ষেত্রে সংস্কারের ধীরগতি সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে। তিনি দেশটিকে পুনর্গঠিত করার অঙ্গীকার জানিয়ে বলেন, দেশে ছয় দফা সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। যেখানে নির্বাচনি ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি প্রশাসন এবং জাতীয় সংবিধানকে কেন্দ্র করে কাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের দেশের বাইরে পাচার করা হাজার কোটি ডলার পুনরুদ্ধার করবেন।

বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই। এটি একটি খারাপ এবং স্বৈরাচারী সরকারের লক্ষণ।

জাতীয়

দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন।

তারা হলেন, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক।

মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক সংবিধানের ৯৬ (৪) অনুচ্ছেদ মতে রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করিয়া স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিয়াছেন। রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করিয়াছেন।

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে প্রায় ৫ বছর ধরে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

জাতীয়

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জাতীয় পার্টির সাবেক এক সংসদ সদস্যকে জনতা পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।

রোববার বিকালে চুনারুঘাট পৌরসভার পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই বেইলি ব্রিজে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল পিটুনির শিকার হন বলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান জানান।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা (৫৮) ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বিকালে রানা মোহাম্মদ সোহেলকে বহনকারী গাড়িটি শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি যাওয়ার পথে চুনারুঘাট খোয়াই বেইলি ব্রিজে যানজটের মুখে পড়ে।

এ সময় গাড়িটি পেছনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রানা মোহাম্মদ সোহেল তার সঙ্গে থাকা পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েন।

তখন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আশপাশের মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে জনতা রানা মোহাম্মদ সোহেলের ওপর চড়াও হয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।

চুনারুঘাট থানার ওসি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “পিস্তলসহ রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বাড়ি রংপুর জেলার কেরানীপাড়া এলাকায়। তিনি রাস উৎসব দেখতে শ্রীমঙ্গল এসেছিলেন। পরে শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান বলেন, “সেনাবাহিনী তাদের লোক হিসেবে তাকে হেফাজতে নিয়ে গেছে। আমরা তার অস্ত্রটি জব্দ করেছি। অস্ত্রটি লাইসেন্স করা কিনা যাচাই-বাচাই চলছে।”

তিনি বলেন, “সাবেক মেজর কেন কী কারণে গুলি করলেন বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে।”

জাতীয়

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চল থেকে তিনদিনের মধ্যে উপদেষ্টা নিয়োগ না হলে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্নের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রংপুরের ছাত্র-জনতা।

রোববার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন। উপদেষ্টা পরিষদে রংপুর বা উত্তরাঞ্চলের কাউকে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষুব্ধ এই অঞ্চলবাসী তাদের দাবি আদায়ে আরও কঠোর আন্দোলনের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ সময় বক্তারা জানান, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের আত্মত্যাগের পর দেশে যে বিপ্লব ঘটে, তাতে সরকার পতনের পর ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নিলেও উত্তরবঙ্গ থেকে একজনও উপদেষ্টা নিয়োগ হয়নি। পরবর্তী সময়ে আরও কয়েক দফায় উপদেষ্টা নিয়োগ হলেও রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের কেউ স্থান পাননি। এ নিয়ে উত্তরের ছাত্র-জনতার মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ১১, ১২ ও ১৩ নভেম্বর রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সম্প্রতি রংপুরে দুজন উপদেষ্টা এলে তারা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান। এ কথা জানার পর রংপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আরও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিনদিনের মধ্যে উপদেষ্টা নিয়োগ না হলে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়কসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় ধরনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

উপদেষ্টা নিয়োগের দাবির কারণ হিসাবে বলা হয়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে রংপুর অঞ্চল উন্নয়নবঞ্চিত, রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের উন্নয়ন এবং খাদ্য উৎপাদনে অবদান থাকা সত্ত্বেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। তিস্তা নদীসংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গের উপদেষ্টার প্রয়োজন। রংপুরের উন্নয়ন এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে উপদেষ্টা নিয়োগ অপরিহার্য বলে তারা মনে করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির রংপুর জেলা সমন্বয়ক ইয়াসীর আরাফাত, আলমগীর নয়নসহ অন্য নেতারা। তারা বিশ্বাস করেন, দ্রুত উপদেষ্টা নিয়োগের মাধ্যমে রংপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত হবে।

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সংবাদ প্রকাশের জেরে ও দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ছাত্রদল ক্যাডারের নেতৃত্বে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর মাহমুদের মাথা ও শরীর ইট দিয়ে থেঁতলে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তিনি দৈনিক কালবেলা প্রত্রিকার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি।

ঘটনা শেষে ছাত্রদল ক্যাডার ইয়াসিন বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রূপগঞ্জজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনার প্রতিবাদে রূপগঞ্জে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে সাংবাদিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধসহ বড় ধরনের আলটিমেটামের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ছাত্রদল ক্যাডার ইয়াসিন মিয়া ওরফে ফেন্সি ইয়াসিন উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের সোনাব এলাকার আবু বক্করের ছেলে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়া ৫নং ক্যানাল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যৌথ বাহিনীর একটি দল ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, জমি দখলবাজসহ অপরাধীরা দলের কেউ না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ দলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। অপরাধ করলে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

জাতীয়

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিবের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রেখার নামে ৩০টি দলিলে রয়েছে অন্তত ৩৭ একর জমি। সব জমিই পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরের আশপাশে। কম করে হলেও এসব জমির মূল্য দেড়শ কোটি টাকা হবে। রেখা একজন কলেজ শিক্ষক হয়ে কীভাবে এত জমির মালিক হলেন তা স্থানীয়দের কাছে এক রকম রহস্য।

তারা বলছেন, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান মুহিব। নির্বাচনে সহজেই তিনি এমপি নির্বাচিত হন। স্বামী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরই টাকা আর জমির নেশায় পেয়ে বসে মুহিবপত্নীকে। দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়েই এত সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর তাপস সাহা গং নামে এক হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে কোটি টাকা দিয়ে ৮শ শতাংশ (৮ একর) জমি কেনেন রেখা। এই জমির অবস্থান ইটবাড়িয়া মৌজায়। দলিল নং-৪৫১২। ২০২৪ সালে ধুলাসার মৌজায় আলমগীর হোসেন হাওলাদারের কাছ থেকে নেন ৫ দশমিক ২৬ একর জমি। ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৬৬৭০নং দলিলে বৌলতলীতে রিয়াজুল ইসলাম মিলন তালুকদারের কাছ থেকে কেনেন ০.৬১ একর জমি। ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট কাউয়ারচর মৌজায় আব্দুস সত্তার গংয়ের কাছ থোকে নেন দেড় একর, দলিল নং ৪১২০। একই সালের ৩১ আগস্ট ১ দশমিক ৩৪ একর জমি কেনেন রেখা। যার দলিল নং ৪১১৯।

২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কাউয়ারচর মৌজায় ৩৯৬২নং দলিলে স্থানীয় দাদন মিয়ার ১ দশমিক ১২ একর জমি কেনেন মাত্র ২২ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল ধুলাসার মৌজায় মোশারেফ হাওলাদার গংয়ের কাছ থেকে নেন ১ দশমিক ২১ একর জমি। একই এলাকায় পরের বছরের ১৯ জুন ২৫৪৬নং দলিলে দশমিক ৩৮ একর জমি কেনেন।

২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর ৫২১২নং দলিলে বৌলতলী মৌজায় ১ দশমিক ৩৯ একর ধানী জমি নেন স্থানীয় আবুল কাশেম গংয়ের কাছ থেকে। ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি কাউয়ারচর মৌজায় আবদুল ছত্তার গংয়ের ০ দশমিক ৭৬ একর জমি লিখে নেন রেখা। যার দলিল নং -৪০১১। ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ধুলাসার মৌজায় নাজিম সিকদার গংয়ের দেড় একর জমি দলিল করে নেন মহিবপত্নী ফাতেমা আক্তার। যার দলিল নং-৫০১৭। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর কাউয়ারচরে জলিল গংয়ের ৩৯ শতাংশ জমি বাগিয়ে নেন রেখা।

২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল ধুলাসার মৌজার সোনা মিয়া গং ও নুর সাঈদ গংয়ের কাছ থেকে ৪৮ লাখ টাকায় কেনেন একটি জমি। একই জায়গায় ৪০৮২নং দলিলে রয়েছে রেখার আরও ৩০ শতাংশ জমি। বৌলতলীতে ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় আজিজুর রহমানের ১০২ শতাংশ জমি মাত্র ৬ লাখ টাকায় দলিল করেন রেখা। দলিল নং-৬৬৭২।

একই সালে তিনি ফিরোজা বেগমের কাছ থেকেও সমপরিমাণ জমি দলিল করেন একই স্থানে। যার দলিল নং-৬৬৭১। ধুলাসারের আব্দুল মালেক গংয়ের ১৯০ শতাংশ, গঙ্গামতিতে ৩০ শতাংশ, ২০২০ সালে রফিকুল ইসলাম গংয়ের কাছ থেকে কেনেন ১৫৪ শতাংশ জমি। এছাড়া ২০১৮ সালে ০.৪৫ একর, ২০১৯ সালে ০.২০ একর, ২০১৭ সালে দেড় একর ও ০.৪২ একর জমি কেনের রেখা।

ধুলাসার ইউনিয়নের সাবেক এক চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে জানান, স্কুল-কলেজের চাকরি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য ও টিআর কাবিখার কাজ না করে পুরো টাকা লুটপাট করে নিয়েছেন তিনি। সেই অর্থেই কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরের মতো জায়গায় এত জমি কিনেছেন তিনি।

ফাতেমা আক্তার রেখা আলহাজ জালাল উদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের অফিস সহায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ফাতেমা আক্তার কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রভাষক হয়েছেন। তার বেতন সর্বসাকুল্যে ৩৮ হাজার টাকার মতো।

এসব বিষয়ে জানতে ফাতেমা আক্তার রেখার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার কলাপাড়ার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে তালা দেওয়া। স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে রেখাকে কোথাও দেখা যায়নি।

জাতীয়

গত কয়েকবছরের মতো ২০২৫ সালেও দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১৭ নভেম্বর) জনপ্রশাসন বিভাগ থেকে তারিখ চূড়ান্ত করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ও ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমার প্রথম পর্ব জুবায়েরপন্থিদের অধীনে ও দ্বিতীয় পর্ব সাদপন্থিদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মুসলমানরা তাবলিগ জামাতের এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিষয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিরা। ২০১৫ সালে তাবলিগের দিল্লির নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির একক নেতৃত্বের বিরোধিতা করেন পাকিস্তান ও ভারতের কয়েকজন মুরব্বি। তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দিন মারকাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শূরা নামে কমিটি গঠন করেন তারা।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশীদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি।

ওই সময়ের ১১ জন শূরা সদস্যের মধ্যে ৬ জন নিজামুদ্দিন মারকাজ ও মাওলানা সাদের পক্ষে অবস্থান নিলেও বাকি ৫ জন তার বিরোধিতা করেন। হেফাজতপন্থি আলেমরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হলে বাংলাদেশেও বিষয়টি নিয়ে উত্তাপ ছড়ায়। এ অংশের বাধায় মাওলানা সাদ ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি। বাংলাদেশে আসলেও ইজতেমায় অংশ না নিয়েই ফিরে যেতে হয় তাকে।

ওই বছরে ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।

এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ভাগ হয়ে পড়ে তাবলিগ জামাত। ২০১৯ সাল থেকে আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগের কার্যকম পরিচালনা করেন তারা।

জাতীয়

আওয়ামী লীগ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংগঠনিকভাবে গণহত্যা করেছিল। অথচ কিছু রাজনৈতিক দল সুবিধার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের আশ্রয় দিচ্ছে।

তাদের বিতাড়িত না করলে ছাত্র-জনতার আরেকটি যুদ্ধ হবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ১০০ দিন উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের বিচার এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবিতে সমাবেশটি করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, সম্প্রতি জনগণ উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। নাগরিক কমিটি এ বিষয়ে তাদের স্পষ্ট বিবৃতি চায়।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন জায়গায় এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা রয়ে গেছে। তাদের হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে। তাদের বিতাড়িত করুন। নয়তো ছাত্র জনতাকে আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। যেখানে ছাত্ররাই আগামীর রাষ্ট্রের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হবে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আওয়ামী দোসরদের আশ্রয় দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টাকা বা অন্য কোনো উপায়ে আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছে। আপনারা এর থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনাদের রাজনৈতিক যন্ত্র-কলাকৌশল ছাত্ররা দখল করে নেবে।

তিনি অভ্যুত্থানে আহতদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা টাকার বিনিময়ে রক্ত বিক্রি করবেন না। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একদল নকল সার্টিফিকেট বানিয়ে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। ২৪’এর বিপ্লবে আমরা এটা হতে দেব না।

নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে এ গণহত্যা করেছিল। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ছাত্রদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে এদেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য, তাদের দলীয়ভাবে ব্যবহার করেছে।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

জাতীয়

“আগামী বছর পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে অংশ নিতে হবে বার্ষিক পরীক্ষায়। তবে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।”

আগামী বছর থেকে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০২৫ সালের শেষে এ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

শুক্রবার রাতে তিনি বলেন, “আগামী বছর পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে অংশ নিতে হবে বার্ষিক পরীক্ষায়। তবে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।”

একসময় প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার রেওয়াজ থাকলেও ২০০৯ সালে তা বন্ধ করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু করা হয়। এ পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হত।

তবে করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে ২০২০ সালে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ কমাতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১৩ বছর পর ২০২২ সালে ডিসেম্বরে ফের ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত ৮২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তাদের মধ্যে ৩৩ হাজার জন ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) এবং ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন সাধারণ বৃত্তি পায়।

ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পায়। তাছাড়া উভয় ধরনের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেওয়া হয়।

উপজেলা বা থানায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা বা থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বণ্টন করা হয়। সাধারণ বৃত্তি বিতরণ করা হয় ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক।

সেবার দেশের প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মোট শিক্ষার্থীর ২০ শতাংশকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরের বছর নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় আর বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “এ বছর তো আর সময় নেই, আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনো চিন্তাভাবনার পর্যায়ে আছে।”

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল হয়ে যাওয়ায় আগামী বছর শিক্ষাক্রম সংশোধন হবে। তবে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে আগের শিক্ষাক্রমই বহাল ছিল। তবে আগামী বছর দুই শ্রেণির বই কিছুটা পরিমার্জন করা হবে।

সচিব বলেন, “আগের পাঠ্যক্রমে আমরা ফিরছি। বৃত্তি পরীক্ষাটা আগের মতই নেওয়ার কথা আলোচনা হচ্ছে। সমাপনী পরীক্ষা চালুর আগে যেভাবে বার্ষিক পরীক্ষা আর বৃত্তির জন্য আলাদা একটা পরীক্ষা নেওয়া হত, সেভাবে চিন্তা করা হচ্ছে।”

বৃত্তি পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হবে- এ প্রশ্নে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “আগামী বছর পঞ্চম শ্রেণির মূল্যায়ন কোন পদ্ধতিতে হবে তা এনসিটিবি নির্ধারণ করে দেবে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।”

বৃত্তি পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের বাড়তি চাপ পোহাতে হয় বলে আগে অভিযোগ ছিল অভিভাবকদের। এ বিষয়ে সচিব বলেন, “আগ্রহী পরীক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। আগেও এমনটি হত।”

জাতীয়