জাতীয়

রাগ-ক্ষোভ জন্ম দেয়- এরকম বিষয় ‘ভাইরাল’ হয়। তাই এগুলো এড়াতে জানতে হবে।

হতাশা, হাহাকার বা মনের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে এরকম বিষয়গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে দেখতে মন বিষিয়ে উঠছে কি?

হয়ত ভাবছেন ফেইসবুক বা এই ধরনের অ্যাপগুলো ক্ষতিকর।

তবে সান ফ্রানসিসকো’র ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া’র শিশুরোগ-বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. জেসন নাগাটা বলেন, “সাধারণভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ভালো বা খারাপ বলা যাবে না।”

সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষিত মানুষের সঙ্গে থাকা যায়। আবার হীনমন্যতা এবং একাকী বোধের জন্মও দিতে পারে।”

আর এখানেই আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজে কী ধরনের পরিবেশ তৈরি করছেন- সেই ব্যাপারটা।

নিউ ইয়র্ক সিটি’র ‘কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেইলম্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’য়ের মহামারী বিষয়ক অধ্যাপক ডা. ক্যাথরিন কিইজ বলেন, “কী ধরনের পরিবেশ তৈরি করছেন সেটার ওপর বিশাল পার্থক্য তৈরি হয়।”

তার কথায়, “ভিন্নতর এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হতে পারে বাসায়, স্কুলে, যেখানে সময় কাটানো হয় সেখানে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।”

নিজের জীবন ও সময়ের সাথে সমন্বয় করে ইতিবাচক পন্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকাটা জরুরি। আর মান সম্মত বিষয়গুলো চোখের সামনে যাতে আসে সেজন্য কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করা যায়।

আসলে কী চান সেটা বুঝে সময় দেওয়া

যে ধরনের বিষয় বেশি দেখা হবে সে ধরনের বিষয়গুলো বেশি বেশি চোখের সামনে আসবে।

বেশিরভাগ সোশাল মিডিয়ার ‘অ্যালগারিদম’ এভা্বেই করা। কী খোঁজা হচ্ছে, কোন ধরনের বিষয়ে মন্তব্য বেশি করছেন বা দেখছেন- সেসব ধরেই একই ধরনের ‘পোস্ট’গুলো আসতে থাকে।

‘লোয়োলা ইউনিভার্সিটি মেলিল্যান্ড’য়ের বাজারজাতকরণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মারি ইয়েহ এই বিষয়ে বলেন, “এটাকে সমস্যা হিসেবে না নিয়ে বরং যৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে হবে। খুব্ই সরল পন্থা হল: আপনি এই একটা বিষয় পছন্দ করেছেন, তাহলে একই ধরনের আরও জিনিস আপনাকে ‘খাওয়া’তে থাকবে।”

সচেতন হওয়াটা কষ্টকর হলেও, এক্ষেত্রে সেটা মানা দরকার আছে।

কী খুঁজছেন সেটা জানুন

কোনো কারণ ছাড়াই ফোনটা নিয়ে ফেইসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এক পলক দেখে রেখে দিলেন। তারপর দেখা গেল কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক জিনিস বারবার আসতেছে।

এটা খুবই সাধারণ অভিজ্ঞতা- মন্তব্য করেন ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের মানসিক ও আচরণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. অ্যানা লেমবেক।

তিনি বলেন, “এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও মানুষের মস্তিষ্কের সাথে মিলিয়ে কাজ করে।”

সুন্দর বিষয়, দারুণ রঙিন ছবি বা ভিডিও, চিত্ত আনন্দ তৈরি করে এমন শব্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। কারণ এসব দেখার সময় মস্তিষ্কে ‘ডোপামিন’ নিঃসরণ হয়, যা ‘ভালো অনুভূতি’র হরমোন নামেও পরিচিত।”

এই হরমোন স্বভাব, নড়াচড়া, উৎসাহ, নেশা ও প্রেম’য়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

যখন এই ভালো অনুভূতি পুরষ্কার পাওয়ার মতো আনন্দ দেয়, তখন সহজেই উত্তেজনাকর বিষয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়তে হয়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘অ্যালগারিদম’ সেই অনুযায়ী নানান বিষয় চোখের সামনে উপস্থাপন করতে থাকে। ফলে সচেতনভাবে বিষয়বস্তু বাছাই করার সিদ্ধান্তটা আর নেওয়া হয় না।

তাই কী খুঁজছেন সেই বিষয়ে নিজেকে আগে পরিষ্কার থাকতে হবে। এপর ব্যক্তিগত ও মানসিক শক্তি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এই নির্দিষ্ট বিষয়টি কি দেখবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন।

কোন বিষয়টা এড়াচ্ছেন সেটা জানা

পাশাপাশি এটাও জানা জরুরি, কোনো ধরনের বিষয়গুলো সরিয়ে দিচ্ছেন বা ‘সোয়াইপ’ করছেন। কারণ অনেক ধরনের বিষয় থাকে যেগুলো দেখা উপকারী নয়।

নাগাটা বলেন, “যেসব বিষয় নিজের জীবনের সাথে তুলনা তৈরি করবে সেগুলো সচেতনভাবেই এড়ানো উচিত।

“গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলনামূলক বিচার করে, পাশাপাশি নিজের ছবি বা পোস্ট নিয়ে মনক্ষুণ্ন হয় তাদের মধ্যে খাবার খেতে ইচ্ছে না হওয়া, বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা দেয়। আর এটা বেশি ঘটে নারীদের মধ্যে”- বলেন তিনি।

সেন্ট. লুইস’য়ে অবস্থিত ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের মনোরোগের অধ্যাপক ডা. প্যাটরিসিয়া কাভাজোস-রেহগ বলেন, “তুলনা করা এবং অস্বাস্থ্যকর সৌন্দর্যের মাপকাঠি বিবেচনা করার বিষয়টা যাদের ‘ফলো’ করছেন তাদের থেকে আসে না। বরং তাদের দেখছেন আর সেই হিসেবে নিজেকে গড়তে চাচ্ছেন, সেটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।”

সব ব্যায়াম, খাবার, মেইকআপ বা ফ্যাশন যে খারাপ তা নয়। তবে নিজের সঙ্গে কোনটা মানানসই সেটা বোঝার মতো জ্ঞান নিজেকেই তৈরি করতে হবে। অন্যের ডায়েট অনুসরণ করলে যে, তার মতো হয়ে যাবেন, এমন ভাবা যাবে না। বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নির্ভর না করে নিজের জন্য কোনোটা উপযুক্ত সে বিষয়ে সরাসরি বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে- পরামর্শ দেন এই মনোবিজ্ঞানী।

আনফলো, হাইড বা ডিলিট

আর প্রধান ও চূড়ান্ত কাজ হল যাদের ‘ফলো’ করছেন তাদেরকে ডিলিট করা।

“মনে হতে পারে এরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু করছে। তবে কথার মারপ্যাচ আর অযাচিত দ্বন্দ্ব- এই দুটি বিষয়ের মাঝে মোটা দাগে পার্থক্য রয়েছে”- বলেন ডা. প্যাটরিসিয়া কাভাজোস-রেহগ।

তিনি আরও বলেন, “এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যেসব ‘কনটেন্ট’ রাগ ক্ষোভ তৈরি করে সেগুলো ‘ভাইরাল’ হয়। তাই এগুলো ‘হাইড’ করতে হবে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহাকরীদের এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে, কী খুঁজছেন সেসবে ভারসাম্য বজায় রাখার পরামর্শ দেন এই অধ্যাপক।

জাতীয়

বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আইনটি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে এর অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া সব হয়রানিমূলক মামলাও বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা ক্লাবে ‘ডিআরইউ-দেশ টিভি বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে এই আইন ব্যবহার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ আইনের অধীনে সব মামলা বাতিল হয়ে যাবে, এ মামলার জন্য সাংবাদিকদের আবেদন করা লাগবে না। তবে এ আইনের আওতায় হওয়া পর্নোগ্রাফি ও যৌন হয়রানির মামলাগুলোর বিচার চলবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়নি দাবি করে আসিফ নজরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শহীদ পরিবারে পক্ষ থেকে কোনো মামলা হলে সেখানে আমাদের কিছু করণীয় নেই। এক্ষেত্রেও সংবেদনশীলতার বিষয়টি আমরা দেখতে বলেছি।

অনুষ্ঠানে বন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নির্ভীক হতে হবে। সাংবাদিক নির্ভীক না হলে গণতন্ত্র ও পরিবেশ—কোনোটাই রক্ষা হবে না।

অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর মাহমুদুল হাসান নয়ন, দ্বিতীয় পুরস্কার ডেইলি স্টারের আহসান হাবিব রাসেল এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের ফারহান ফেরদৌস ও জসিম উদ্দিন হারুন।

ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ডিবিসির আদিত্য আরাফাত, দ্বিতীয় পুরস্কার নিউজটাইম বিডির মাসুদ মোস্তাহিদ এবং তৃতীয় পুরস্কারটি পেয়েছেন একাত্তর টিভির পারভেজ নাদির রেজা।

অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন জাগো নিউজের ইয়াসির আরাফাত, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের আরাফাত জোবায়ের এবং তৃতীয় জাগো নিউজের তৌহিদুজ্জামান তন্ময়।

মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারটি পেয়েছেন দৈনিক সমকালের আবু সালেহ রনি।

ডিআরইউয়ের সভাপতি শুক্কুর আলী শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান, ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সফিকুল করিম, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দু্ল্লাহ, ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

জাতীয়

সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং শান্তিপূর্ণ উৎসব উদযাপন নিশ্চিতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলন-২০২৪ উপলক্ষে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিটি ধর্মের নিজ নিজ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণে সদা প্রস্তুত।

একইসঙ্গে তিনি সম্প্রীতির দেশ গঠনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য অনুষ্ঠানে আগত ঢাকার বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান।

সেনাবাহিনী প্রধান পার্বত্য জেলাসমূহে শান্তি ও সম্প্রীতির উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালিদের সচেষ্ট থাকতে অনুরোধ করেন।

এছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পার্বত্য জেলাসমূহে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি স্থানীয় ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পার্বত্য জেলাসমূহে অধিকতর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতাকে দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।

সবশেষে তিনি সারা দেশব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করায় বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

সেনাবাহিনী প্রধান সবাইকে শুভ কঠিন চীবর দান উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। সেইসঙ্গে পার্বত্য জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

গত ১০ অক্টোবর সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল।

সেসময় সেনাবাহিনী প্রধান তিন পার্বত্য জেলায় শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসবসমূহ পালন করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে এক কোটি টাকার চেক অনুদান হিসেবে প্রদান করেন।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ২৬৬টি বৌদ্ধ বিহারে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ কঠিন চীবর দান পালিত হয়েছে।

পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ও জিওসি ৯ পদাতিক ডিভিশন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতি শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাথের, প্রধান ধর্মদেশক ভদন্ত এস লোকজিৎ মহাথেরসহ বিভিন্ন বিহার থেকে আগত পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, ঢাকায় বিদেশি মিশনের কূটনীতিক ও সর্বস্তরের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
জাতীয়

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৬৬ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ, দুজন নারী। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩৪২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ৯২২ জন।

জাতীয়

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের হামলা-ঘেরাওয়ের হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা ও হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি বলেছে, গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি। ভিন্নমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের ঢালাও নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তাহীনতা মূলত কর্তৃত্ববাদের পুনরাগমনের পথ সৃষ্টি করবে।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগের কথা জানায় টিআইবি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কি ফাঁকা বুলি- এমন প্রশ্ন তুলে সংস্থাটি বলেছে, মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করার প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের জন্য ভয়ডরহীন পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিভিন্ন গণমাধ্যম ঘেরাওয়ের হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচার মামলা ও হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনামলে মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৪ বছরে ৪২ ধাপ নেমেছিল বাংলাদেশ। এ সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসংক্রান্ত সব মানদণ্ডেই বাংলাদেশের ক্রমাবনতি হয়েছে। ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন প্রাণহানি ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে এ অবস্থান থেকে উত্তরণের অভ‚তপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও বারবার সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে- উল্লে­খ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন মহল দেশের কোনো কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, হামলা, ঘেরাওয়ের হুমকিসহ নানা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যত অতিক্ষমতায়িত কোনো কোনো মহলের স্বার্থের বাইরে গেলেই গণমাধ্যমকে আক্রমণ ও সাংবাদিক হেনস্তা, গণমাধ্যমকে দখল বা খেয়ালখুশিমতো পরিচালনার প্রচেষ্টা চলছে, যা আসলে মুক্ত গণমাধ্যমের সম্ভাবনার জন্য অশনিসংকেত।’

গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের আঘাত নতুন বাংলাদেশের অভীষ্টের জন্য মোটেই সুখকর নয় উলে­খ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বিচার হুমকি, হামলা, ঘেরাও, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষোভের বশীভ‚ত হয়ে যথেচ্ছ মামলা বা ঢালাওভাবে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা প্রকারান্তরে জনবিরোধী কর্তৃত্ববাদের পরিচায়ক। টিআইবি মনে করে, পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের মতো গণমাধ্যমকে নিজের পোষ্যের মতো ব্যবহারের চেষ্টা ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর মুক্তচিন্তা ও বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, অবিলম্বে দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ভয়ডরহীন উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে সুস্পষ্ট ও কঠোর পদক্ষেপ নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অন্যথায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফাঁকা বুলিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।’

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, টিআইবি বিশ্বাস করে, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ থাকলে বা যারা সরাসরি কর্তৃত্ববাদের দোসরের ভ‚মিকা পালন করেছেন, তাদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সহযোগী ‘ট্যাগ’ দিয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যথেচ্ছ মামলা, তথ্য অধিদপ্তরের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল, হুমকি ও বরখাস্ত করার মতো ঘটনা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সপক্ষে কোনো ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে না। বরং ভিন্নমতের কারণেই ‘স্বৈরাচারের দোসর’ অভিযোগ তোলার পেছনে স্বার্থান্বেষীদের দুরভিসন্ধি কাজ করছে। শুধু সাংবাদিকতার জন্য কোনো সাংবাদিককে কখনোই শাস্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। পতিত সরকারের দোসর অভিযোগে ‘উইচ হান্টিং’ করে সাংবাদিক হয়রানির চলমান চর্চা অবিলম্বে বন্ধের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয়

আজ ৭ নভেম্বর। ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পালটে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পালটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত ঐক্যের বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে সরকারি ছুটি ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার এ ছুটি বাতিল করে। আওয়ামী শাসনামলে দিবসটি স্বচ্ছন্দে উদযাপনও করতে পারেনি দলটি। এবার দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। ঘোষণা করেছে ১০ দিনের কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে।

সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমানের লেখা ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’ বইয়ে তিনি উলে­খ করেন, ‘৭ নভেম্বর গোটা দেশজুড়ে সৈনিক-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত এক অভূতপূর্ব উত্থান ঘটে। আর জেনারেল জিয়া সে অভ্যুত্থানের উত্তাল তরঙ্গমালার শৃঙ্গে আরোহণ করে উঠে আসেন জাতীয় নেতৃত্বে পাদপ্রদীপে।’ ৭ নভেম্বরের বিপ্লব সম্পর্কে তদানীন্তন দৈনিক বাংলার রিপোর্টে বলা হয়, ‘সিপাহি ও জনতার মিলিত বিপ্লবে চার দিনের দুঃস্বপ্ন শেষ হয়েছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েছেন। ৭ নভেম্বর ভোরে রেডিওতে ভেসে আসে, ‘আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।’ জেনারেল জিয়া জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে যথাস্থানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। ওইদিন রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের নগরী। পথে পথে সিপাহি-জনতা আলিঙ্গন করে একে অপরকে। সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের নলে পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এই আনন্দের ঢেউ রাজধানী ছাড়িয়ে দেশের সব শহর-নগর-গ্রামেও পৌঁছে যায়।’

বাণী : দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি। পৃথক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই মহান দিনে দেশবাসী সবাইকে আহ্বান জানাই, এখনো দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চূড়ান্ত উত্তরণ হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, নাগরিক স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ সাধন করতে হবে।

তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই একই চেতনা বুকে ধারণ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

কর্মসূচি : মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে দশ দিনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এ উপলক্ষ্যে বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আজ সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ১০টায় দলের সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ। এদিন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) গেটসংলগ্ন বহিরাংশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। আগামীকাল ৮ নভেম্বর দুপুর ৩টায় ঢাকায় ও জেলায় জেলায় র‌্যালি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। দেশব্যাপী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সব শাখা ও ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি, ১২ দলীয় জোটসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও নানা কর্মসূচি পালন করবে।

জাতীয়

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর শেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ মুনসুর যুগান্তরকে বলেন, সাংবাদিক মোল্লা জালালের বিরুদ্ধে চারদিন আগে শাহবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি ওসি খালেদ মনসুর।

জাতীয়

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী জানুয়ারিতে ঢাকার ১০টি রাস্তা হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হবে। দেশকে হর্নমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করা হবে।

তিনি বলেন, দেশকে হর্নমুক্ত রাখতে সবাইকে নিজের গাড়ি নিয়ন্ত্রিতভাবে চালাতে হবে এবং হর্ন ব্যবহার কমাতে হবে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক তথ্য ও জ্ঞানের ভিত্তিতে জনমত গঠনে তরুণদের ভূমিকা অপরিসীম।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে শহীদ সেলিম বিইউএফটি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে। পরিবেশবান্ধব দেশ গঠনে তাদের অবদান রাখতে হবে। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে তরুণ প্রজন্মকে সমস্যা সমাধানে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বিতর্কের মাধ্যমে তাদের বক্তৃতা দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং সমস্যার সমাধানে দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান, সদস্য নাসির উদ্দিন চৌধুরী এবং প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান বক্তব্য রাখেন।

এ বছর শহীদ সেলিম বিইউএফটি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি এবং কলেজ পর্যায়ের ৩২টি দল অংশ নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি; জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ১ম রানার আপ এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ২য় রানার আপ হয়।

কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ১ম রানার আপ নৌবাহিনী কলেজ এবং ২য় রানার আপ মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টাকে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি লেখা ও চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা একটি শাড়ি উপহার দেওয়া হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

জাতীয়

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের সাত নম্বর গ্যাস কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস। সোমবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ৭ নম্বর কূপ থেকে আজ নতুন করে আরও সাড়ে ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে। এর আগে ২২ অক্টোবর সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর তেলের পুরোনো কূপ (সিলেট-৭নং কূপ) সংস্কার করতে গিয়ে দুই স্তরে নতুন গ্যাসের স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। দুদফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক হাজার ২০০ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭ নম্বরে জুলাই মাস থেকে অনুসন্ধান চলে।

গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২০১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এই টেস্ট হিসাবে এক সপ্তাহ গ্যাস উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রতিদিন সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) প্রকল্প পরিচালক ও ডিজিএম আবদুল জলিল প্রামাণিক বলেন, হরিপুর ৭নং কূপ সংস্কার করতে গিয়ে গত ২২ অক্টোবর ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।