জাতীয়

যশোরের মণিরামপুরের ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অডিটের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের এক মাসের বেতনের প্রায় ৫০ লাখ টাকা ঘুস আদায় করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক ড. এনামুল হক। ঘটনার দুই বছর পর ঘুসের সেই টাকা ফেরত পেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শিক্ষকদের পক্ষে যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেন মণিরামপুর উপজেলার হাজরাকাঠি দারুল উলুম মহিলা আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে- ২০২২ সালের মার্চ মাসের শুরুতে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মণিরামপুর মহিলা আলিম মাদরাসা, হাজরাকাঠি মহিলা আলিম মাদরাসা, ডুমুরখালি দাখিল মাদরাসা, মনোহরপুর দাখিল মাদরাসা, বালিধা-পাঁচাকড়ি দাখিল মাদরাসা, রোহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজী আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে অডিট করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক ড. এনামুল হক।

পরিদর্শনকালে ওই ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০০ শিক্ষক-কর্মচারীর পুরো এক মাসের বেতনের প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুস নেন তিনি। ঘুস নেওয়ার অভিযোগে ২০২২ সালের ১২ মে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস ও আবুল কালামের নেতৃত্বে একটি দল শিক্ষাভবনে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ড. এনামুল হকের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।

পরে দুদক তদন্ত আর এগোয়নি। ওই সময় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা তৎপর হওয়ায় ওই কর্মকর্তার (ড. এনামুল) অনুসারীরা আমাদের পেনশন আটকে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করাতে বাধ্য করেন।

ওই সময় ‘আমরা ঘুস দেয়নি মর্মে প্রস্তুত করা চিঠিতে’ স্বাক্ষর করিয়ে নেন। অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষকরা যা বেতন পান তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চলে না। তারপরও মাস শেষে হাতেগোনা বেতনের টাকা তুলে সংসারের কেনাকাটা, বাচ্চাদের লেখাপড়া, চিকিৎসা ও ঋণের কিস্তি দেন কিন্তু সেই টাকাগুলো জোরপূর্বক ঘুস দিতে বাধ্য হয়ে অনেকেই অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ড. এনামুলের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায়। তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং স্বামীর অবৈধ টাকার জোরে দুইবার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের চাকরি নিয়ে দীর্ঘকাল ডিআইয়ের একই চেয়ারে বসে সারা দেশের শিক্ষকদের জিম্মি করে মিনিস্ট্রি অডিটের নামে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ওই টাকায় এলাকায় শত শত বিঘা আমের বাগান ও মৎস্য খামার, ঢাকায় একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন, নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ড. এনামুল হক যশোরে এসে একটি রেস্ট হাউজে উঠে ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে দেখা করতে বলেন। এরপর সরাসরি বলেন, আপনাদের অনেক ফাঁকফোকর আছে। প্রকৃত অডিট হলে কারো বেতন বন্ধ হবে, কারো পেনশন আটকে যাবে, কারো চাকরিটাও যাবে। এজন্য আপনারা সবাইকে (সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের) বলে দেন বাড়াবাড়ি না করে এক এমপিও (এক মাসের বেতন) দিতে, বাকিটা আমি ঠিক করে নেব। এরপর গভীর রাতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অডিটের নামে হরেকরকম নাস্তা ও ১০-১২ রকম খাবারের মধ্য দিয়ে আপ্যায়িত হয়ে আজব অডিট সম্পন্ন করেন।

তিনি অডিটকালে ঘুস কোথায় কোথায় ভাগাভাগি হবে সেটাও বলে গেছেন; যা রেকর্ড আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীনতায় দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার এবং প্রতিবাদ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য শিক্ষকরা অবিলম্বে তদন্তপূর্বক ঘুসের টাকা ফেরত পেতে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে মানবিক আবেদন করছি।

জাতীয়

সাতদিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এক নম্বর ইউনিটটি চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে চালু করার পর এ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায়।

বর্তমানে ওই ইউনিটটি থেকে উৎপাদিত ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে এর জন্য প্রতিদিন ৮০০-৯০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়বে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এক নম্বর ইউনিটে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এক নম্বর ইউনিটটি মেরামত শেষে সাতদিন পর বৃহস্পতিবার চালু করা হলো। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

গত ৩১ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিট ৩৬ দিন পর বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর কিন্তু চালু হওয়ার চারদিন পর পুনরায় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের দুই নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজ চলায় প্রায় চার বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ আছে।

জাতীয়

রাজধানীর উপকণ্ঠ শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত আশুলিয়া থানা। ওই থানার কার্যক্রম চলছে রাজনৈতিক নেতাদের খেয়াল খুশিমতো। শুধু তাই নয়, এজাহার থেকেও নাম পরিবর্তন ও বাতিলের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ৯টা। আশুলিয়া থানায় গিয়ে দেখা গেছে, নীল পাঞ্জাবী পড়া মধ্য বয়সী একজন ওসির চেয়ারে বসে মামলার এজাহার কাটছাট করছেন। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন ২০-২৫ জন যুবক। তাদের কেউ ঢুকছেন, কেউ বের হচ্ছে। অর্থাৎ কড়া নজরদারি। বাইরে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দেড় থেকে দুইশ যুবক। টেবিলে একটি ওয়াকিটকি পড়ে আছে। কোনো পুলিশের দেখা নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসির চেয়ারে বসা ব্যক্তি আশুলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টার। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জিল্লুর রহমান মাস্টার যুগান্তরকে বলেন, আমার ভাইসহ দুইজনের নাম একটি মামলায় ঢুকানো হয়েছে। ওই নাম কাটাতে থানায় গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমি মূলত ওসির রুমে পাশের চেয়ারে বসেছিলাম।

জানা গেছে, ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর আশুলিয়া থানায় লাশ পোড়ানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর থেকে থানা পুলিশ মুলত নিস্ক্রিয়।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, উনি (জিল্লুর রহমান) ওসির রুমে বসেছিলেন। ওসি যেহেতু নেই, তাই ওসির আগের চেয়ার সরিয়ে অন্য একটি চেয়ার দেওয়া হয়েছে ওই রুমে। আমি থানায় ছিলাম না। পরে গিয়ে আমি তার পাশে বসি। আপনারা যা ভালো মনে করেন, তাই লেখেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আপনি ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তবে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মুঈদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এদিকে শুধু আশুলিয়ায় নয়, লক্ষ্মীপুরেও কথিত হত্যা ও অস্ত্র মামলা থেকে নাম বাদ দিতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি কথোপকথনের মোবাইল কল রেকর্ডিং স্থানীয়ভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায় গত বুধবার অভিযুক্তকে কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কৃষকদল।

জাতীয়

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) নামে এক কিশোর হত্যার ঘটনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সীমান্ত হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পঞ্চগড়-১৮ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল হক প্রতিবাদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ভারতের অভ্যন্তরে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপিতে বিজিবির উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ও ভারতের আইজি বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, রংপুরের উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ তৌহিদুর রহমানসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা।

অপরদিকে বিএসএফের পক্ষে নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মা, শিলিগুড়ি ও কিশানগঞ্জ সেক্টর কমান্ডারসহ অন্যান্য বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে গত ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী এলাকায় বিএসএফ টহল দল গুলি করে বাংলাদেশি নাগরিক জয়ন্ত কুমার সিংহকে (১৫) হত্যা করে। এর তীব্র নিন্দা জানায় বিজিবি। এসময় বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর গুলি চালানো হবে না বলে বিজিবি প্রতিনিধি দলকে জানান তারা।

পরে দুদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সব নাগরিকের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধকল্পে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কাজ করার জন্য একমত পোষণ করে।

জাতীয়

দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন থেকে দুই কূটনীতিককে বরখাস্ত করেছে ঢাকা।

দিল্লিতে ফার্স্ট সেক্রেটারির (প্রেস) দায়িত্বে থাকা সাংবাদিক শাবান মাহমুদ ও কলকাতায় রঞ্জন সেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ঢাকায় ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথম ভারত থেকে দুই কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়া হলো।

শাবান ও রঞ্জন পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন না। তারা ছিলেন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। তাদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

শাবান মাহমুদ দিল্লিতে ফার্স্ট সেক্রেটারির (প্রেস) দায়িত্বে ছিলেন। আর রঞ্জন সেনও কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনে ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশের পর তিনি দায়িত্বভার ছেড়ে দিয়েছেন।

রঞ্জন সেনের কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে।

ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, শেখ হাসিনা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিজেই ঠিক করবেন। বহু দেশে তার আশ্রয় নেওয়ার কথা হলেও, সে বিষয়েও সাম্প্রতিক তথ্য আসেনি প্রকাশ্যে। শেখ হাসিনাকে ঘিরে রহস্যের মধ্যেই ঘটে গেছে দুই কূটনীতিক বরখাস্ত্রের ঘটনা।

জাতীয়

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চান না ড. আসিফ নজরুল’ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদটিকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমাকে একজন একটা নিউজের ভিডিও ক্লিপ পাঠালেন। এটিএন বাংলা নিউজের। সেখানে টাইটেল বা শিরোনাম হচ্ছে—ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চান না ড. আসিফ নজরুল।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিনয়ের সঙ্গে এটিএন বাংলা নিউজকে জানাচ্ছি, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চাই কি চাই না, এটা নিয়ে আজ কোথাও কোনো আলোচনা ছিল না। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এ শব্দটা কোনো সভাতেই আমি উচ্চারণই করিনি। আপনারা কোথা থেকে এসব টাইটেল বানান, এগুলো তো মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি দুঃখ পেয়েছি। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা বুঝে না বুঝে যেকোনো কারণে মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না। আমি এ ধরনের কোনো কথা বলিনি। আপনারা শিরোনামটা আমার বক্তব্য দেখে আশা করছি ঠিক করে নেবেন।’

জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সম্মতি দিয়েছেন বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) সহ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ১০ আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণের’ কথা বলেছেন ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের এই অধ্যাপক। গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন মাকসুদ কামাল।

জাতীয়

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আটক করে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামীম আহমদ ও প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল। আবদুর রহমান জামিল রেড ক্রিসেন্ট সিলেট শাখারও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা সৌদি আরব যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে যান। রাত পৌনে ৯টার দিকে ইমিগ্রেশনে গেলে তাদের আটক করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সিলেট মহানগর পুলিশকে জানানো হয়।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মো. নুনু মিয়া আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুজনকে থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তাদের কোন মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি তারা দেখছেন।

জাতীয়

বড়সড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে গুগল প্লে স্টোরে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্লে স্টোর থেকে হাজার হাজার অ্যাপ ডিলিট করা হতে পারে। মূলত ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা এবং গুগল প্লে স্টোরকে আরও নিরাপদ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে বিশ্বের কোটি কোটি অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের ওপর।
গুগল প্লে স্টোরে নতুন পরিবর্তন ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও এই পরিবর্তনের ফলে কিছু ব্যবহারকারী অসুবিধায় পড়তে পারেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি ব্যবহারকারীদের জন্যই উপকারী হবে।

গত কয়েক বছরে অনেক ব্যবহারকারী ম্যালওয়্যার ধারণকারী অ্যাপের শিকার হয়েছেন, যার ফলে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে। এমনকি এক নারী একটি ক্রিপ্টো অ্যাপের শিকার হয়েছিলেন, যার ফলে তিনি বিপুল অর্থ হারিয়েছিলেন। এই ধরনের ঘটনাগুলো গুগলকে প্লে স্টোরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করতে বাধ্য করেছে।

গুগল প্লে স্টোরের নিরাপত্তা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠে ছিল। মেটা সুইজারল্যান্ডের ইপিএফএল এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সময়ে সময়ে প্লে স্টোর থেকে অনেক বিপজ্জনক অ্যাপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। হ্যাকাররা প্লে স্টোরের অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডাটা চুরি ও প্রতারণা করেছে।

গুগলের নতুন নীতি অনুযায়ী, তৃতীয় পক্ষ অ্যাপ স্টোর থেকে এপিকে আপলোড করা নিষিদ্ধ হবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা আর প্লে স্টোরের বাইরে থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে পারবেন না। এই নতুন নিয়মের ফলে ম্যালওয়্যার ধারণকারী অ্যাপগুলো প্লে স্টোরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা কমবে এবং ব্যবহারকারীরা আরও নিরাপদ থাকবে।

জাতীয়

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার বিশেষ অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।

পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করানো হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার চলছে বলে হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।

সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) সগির মিয়া জানান, কারাগারে প্রবেশের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষাকালে আঘাত চিহ্নিত হয় এবং রক্তক্ষরণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।

এর আগে বিকাল সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। আদালতে তোলার সময় তার ওপর হামলা চালায় একদল উশৃঙ্খল যুবক। এছাড়া ডিম ও জুতা নিক্ষেপও করে।

শুক্রবার রাতে সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিজিবি। বিজিবির হাতে আটকের আগেও তিনি মারধরের শিকার হন বলে জানা যায়।

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে যা বললেন বিচারপতি মানিক

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।\

শনিবার বিকার ৪টা ১০ মিনিটে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আলমগীর হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

আদালতে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আসামি সাবেক বিচারপতি হওয়ায় আদালত জেলকোড অনুসারে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। \

এ ছাড়াও আসামি আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালত এই বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলকোড অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের কোর্ট ইনসপেক্টর জামসেদ আলম।

তিনি বলেন, এইচ এম শামসুদ্দিন মানিককে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে কোর্টের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক বিচারপতি মানিককে আদালতে হাজির করার সময় অনেকে তার দিকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন। এ সময় কয়েকজন হামলার চেষ্টাও চালান। পরে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে তাকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি।

পরে শনিবার ভোরে সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত বিজিবি ক‍্যাম্পের সদস্যরা তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।