জাতীয়

ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় পাখির ধাক্কায় দুটি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে একটি উড়োজাহাজের চাকা ফেটে গেছে। আরেক উড়োজাহাজের ব্লেড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দুটি চাকা গলে যায়।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিমানের ঢাকা–ব্যাংকক ফ্লাইট (বিজি ৭৩৭) রানওয়েতে উড্ডয়নকালে চাকায় একটি পাখি আঘাত করে। এ সময় পাইলট উচ্চগতিতে থাকা উড়োজাহাজটি দ্রুত থামাতে (হার্ড ব্রেক) গেলে একটি চাকা ফেটে যায়। ফলে উড্ডয়ন বাতিল করে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়।

পরের ঘটনাটি ঘটে ফ্লাই দুবাইয়ের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে। উড়োজাহাজটি দুবাইগামী যাত্রীদের নিয়ে উড্ডয়নের আগে সেটিতে পাখি আঘাত করে। এতে উড়োজাহাজটির বাঁ পাশের ইঞ্জিনের তিনটি ব্লেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ওই ফ্লাইট বাতিল করে উড়োজাহাজটি প্রকৌশল হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইঞ্জিনে পাখির আঘাতে বিমানের একটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জাতীয়

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। রেহাই পাচ্ছেন না কোনো বিশেষ শ্রেণি-পেশার কেউ। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হলে যেসব চিকিৎসক ও নার্স চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন, এখন তারাও ঝুঁকিতে পড়েছেন। চিকিৎসক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জুন থেকে চিকিৎসক ও নার্সদের আক্রান্তের হার বাড়ছে। এরই মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে দুই শতাধিক চিকিৎসক এবং দেড় শতাধিক নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চারজন চিকিৎসক ও একজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন নারী ও একজন পুরুষ চিকিৎসক ছিলেন। মৃতদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে ছিল। সবশেষ শুক্রবার ডা. শরীফা বিনতে আজিজের মৃত্যুতে ভয় ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে।

চিকিৎসক সংগঠনের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ২২ জুন ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান ডা. এম আরিফুর রহমান। তিনি বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৩৯তম ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। ২২ জুলাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাভারের সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা-তুজ-জোহরা রওনক। এর দুদিন পর ২৫ জুলাই রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ব্যাচের শিক্ষার্থী ও নবীন চিকিৎসক সৈয়দা সাদিয়া ইয়াসমিন (রাইসা) মারা যান। ৭ আগস্ট মারা যান বাংলাদেশ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. আলমিনা দেওয়ান মিশু। সবশেষ ১১ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রতিষ্ঠানটির মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. শরীফা বিনতে আজিজ (আঁখি)।

বাংলাদেশ চিকিৎসক ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. নিরুপম দাস বলেন, দেশের হাসপাতালগুলো ডেঙ্গুর হটস্পট হয়ে উঠছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ জন চিকিৎসক ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বেশি। বিশেষ করে মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বেশি পরিমাণ আকান্ত হচ্ছেন। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগজনক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসপাতাল এখন ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে। এ কারণে চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় হাসপাতালে এডিস মশা নিধন অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের ডেডকিটেড বিছানা রাখা জরুরি। এছাড়া আক্রান্ত ও মৃত্যুদের ঝুকি ভাতা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ২ জনের ছিল এনসেফালাইটিস তথা এক্সপান্ডেন্ট ডেঙ্গু সিনড্রোম। রোগীর সিটি-স্ক্যান ছাড়া ডেঙ্গু এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত ধরা পড়ে না। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় শতাংশ এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এনসেফালাইটিস সরাসরি ব্রেইনকে আক্রান্ত করে। জটিল ইনফেকশন তৈরি করে। প্রতি ১০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জনের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি ধরা পড়লে নিউরো মেডেসিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা ও দ্রুত আইসিইউ সাপোর্ট নিতে হয়। অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল, স্টেরয়েডের প্রয়োজন হয়। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করতে ব্যর্থ হলে রোগীর মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি হয়ে ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এক্সপান্ডেন্ট ডেঙ্গু সিনড্রোম রোগীদের হার্ট, নার্ভ সিস্টেম, অন্ড্রো, অগ্ন্যাশয়ে ভাইরাল অ্যাটাক করে। এ ধরনের জটিলতায় রোগীর রেসিডিউয়াল সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে রোগী মারা যান।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, মশা এখন সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতেও প্রার্দুভাব রয়েছে। ডেঙ্গু রোগীকে কামড়ানো মশা চিকিৎসক-নার্সদেরও কামড়াচ্ছে। তবে ডেঙ্গুতে কেউ দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার আক্রান্ত হলে শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। হয়তো মারা যাওয়া চিকিৎসকরা আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যেটি তারা বুঝতে পারেননি। ডেঙ্গু ভাইরাস রোগীর মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব অঙ্গ আক্রান্ত করতে পারে। হার্ট, লাংস, কিডনী লিভার, ব্রেন, রক্ত কোন অংশ বাদ যায় না। রক্তে আক্রান্ত হলে প্লাটিলেট কমে যায়। এনসেফালাইটিস বা ব্রেনে ইনফেকশন (প্রদাহ) ও রক্তক্ষরণ হতে পারে। যেটি খুব জটিল ও কম সংখ্যকের মধ্যে দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসা না করলে রোগী মারা যায়।

তিনি বলেণ, গর্ভবতী নারী, বয়স্ক, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার স্ট্রোক, ক্যানসার আক্রান্তদের ইমিউনিটি কম থাকায় তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। ফলে রোগীদের সেবাদানের জন্য সরকারকে চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে সেবাদান ব্যহত হওয়ার শঙ্কা থাকবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারল মেডিসিন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বি বলেন, সাধারণত ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভারের শুরুতেই একিউট প্রবলেম দেখা যায়। কোমরবিডিটি (দীর্ঘমেয়াদী জটিল রোগ) সম্পন্নদের মধ্যে একটি গ্রুপের এক্সপান্ডেন্ট ডেঙ্গু সিনড্রোম হয়। তাদের জ্বর ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ভাইরাল অ্যাটাকের ইতিহাস থাকে। যেটি এখন বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এতে মৃত্যুহারও বেশি হয়।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন (উপসচিব) মো. নাছির উদ্দীন বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ইতোমধ্যে ১৫০ নার্স ডেঙ্গু আক্রান্ত  হয়েছেন। তবে কারও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। অধিদপ্তর থেকে নার্সদের সুরক্ষায় ঢাকা বিভাগের অন্তত ৭০টি হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনডেন্টেদের নিয়ে কর্মশালা করা হয়েছে। কিভাবে ডেঙ্গুতে সুরক্ষা থাকতে হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলে তাদের ঝুকি ভাতা দেওয়া উচিত।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক বলেন, ডেঙ্গু রোগীকে কোন সুস্থ্য মশা কামড়ালে ওই মশাও শরীরে জীবাণু বহন করে। এরপর মশাটি কোন সুস্থ্য ব্যক্তি কামড়লে তারও ডেঙ্গু পজেটিভ হয়। এসব কারণে হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গুর হটস্পট মনে করা হচ্ছে। ফলে রোগী সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ডেঙ্গু সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

জাতীয়

ইতিহাসপূর্ব কাল থেকে গড়ে উঠেছে এই বাংলার বৃহৎ জনপদ। এই জনপদ- ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ’- এই বাণীবয়ানে কাব্যিক পরিচিতি লাভ করেছে। সেই ভূখণ্ডের এক তৃণমূলীয় মানুষ তথা মৌলিক ব্যক্তিসত্তার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ব্যক্তিনাম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ তিনি একদিনে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেননি।

১৯২০ সালে জন্মগ্রহণের পর ইতিহাসের ধারায় নিজেই নির্মাণ করেছেন নিজের স্বতন্ত্র পথরেখা। সেই সঙ্গে বাঙালির ব্যক্তিসত্তা, পারিবারিক সত্তা, গোত্র সত্তা থেকে কীভাবে জাতিসত্তায় উপনীত হয়েছে বাঙালি জাতি, সেই বিবর্তনরেখাটিও তিনি স্পষ্ট করে তুলেছেন তার সচেতন পথযাত্রায়। এটি মূলত তারই একাকী যাত্রা। কিংবদন্তি থেকে ইতিহাসে এসে নিজের ব্যক্তিঅভিজ্ঞতার নির্যাস থেকে তিনি তার মৌলিক ধারণাগুলো পেয়েছেন।

এভাবেই তিনি জেনেছেন যে, এই বঙ্গীয় অববাহিকায় গড়ে উঠেছে যে দেশ-ভূখণ্ড, যাকে আমরা বাংলাদেশ বলি, সেখানে ভাষা আছে, মানুষের মুখে। আর এই ভাষার প্রমিত নাম বাংলাভাষা, যা বাঙালির মাতৃভাষা। এই বাংলাই হচ্ছে তার অভিব্যক্তি, আর সেই অভিব্যক্তির মধ্যেই তার সদাচার ও নান্দনিকতা উন্মোচিত। সেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবারপ্রথা আছে আর সেই প্রথাটি পরিবারটি কালে কালে বিকশিত হয়েছে গোত্রে, আর শেষাবধি বিবিধ গোত্রসত্তাও ভাষিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ও ঐক্যে বিকশিত হয়েছে জাতিসত্তায়। এই জাতিসত্তাকে ঘিরেই বর্তমান রাষ্ট্রসত্তা। জাতিসত্তা ও প্রশাসনিক সার্বভৌমত্বের অর্জনের পর রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন আইনি কাঠামো, সংবিধান ও তার বাস্তবায়ন।

দ্বিজাতিতত্ত্বের পরে দেশভাগ, তারপর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশ যে একটি অন্যরকম দেশ হতে পারে, তিনি এই সত্যে উপনীত হয়েছিলেন। তারপর দীর্ঘ গণতান্ত্রিক যুক্তিযুদ্ধের পর একটি প্রত্যাসন্ন ও রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তার মুখেই উচ্চারিত হলো : ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই।’

এই নির্বিকল্প উক্তির পরে তিনি দিলেন চূড়ান্ত ঘোষণা : ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই মুক্তির সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম বাস্তবায়িত হয়েছে। তারই হাত দিয়ে হয়েছে তার বাস্তবায়ন; আর সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এটাকে ভেতরে-বাইরে, স্বদেশে-বিদেশে যারা সহ্য করতে পারেনি তারাই বিরোধিতা করেছে ও করছে। এই না নিতে পারার কারণ বিবিধ। সারা পৃথিবীতে খুব বেশি জাতিরাষ্ট্র নেই। এই উপমহাদেশেও বহু জাতিসত্তা আছে, কিন্তু তারা বিকশিত হয়নি সার্বভৌম রাষ্ট্রসত্তায়।

কারণ সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন মৌলিক ব্যক্তিসত্তা, মৌলিক চিন্তক-রাজনীতিক ও মৌলিক গণবীরের উপস্থিতি সহজলভ্য ছিল কিনা অনুসন্ধানযোগ্য। ফলে যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিপক্ষে ছিল, বাঙালি জাতিসত্তার বিপক্ষে ছিল তারা তাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছে। মাত্র সাড়ে তিনি বছরের মাথায় আন্তর্জাতিক চক্রের সহযোগিতায় এবং বঙ্গবন্ধুর উদারতার সুযোগে তাকে তারা সপরিবারে হত্যা করেছে। এতটাই তিনি ভালবাসতেন ও বিশ্বাস করতেন বাঙালিকে যে, তিনি তার নিজের বাসভবনে গুটিকয় পুলিশ ছাড়া অন্য কোনো সামরিক প্রহরায় ছিলেন না। ফলে যা হবার তাই হয়েছে।

যারা ষড়যন্ত্রকারী, তারা তার ঘরের ভেতর থেকে, বাইরে থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে এবং তাকে পৃথিবী থেকে শারীরিকভাবে সরিয়ে দিয়েছে। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনের ইতিবাচক কর্মধর্ম নিয়ে বঙ্গবন্ধু অনন্তকালের জীবনে প্রবেশ করেছেন। তার আগেই তিনি বাংলা, বাঙালি, জাতিসত্তা ও জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে চিরকালের জন্য সুনিশ্চিত করেছেন। তিনি এই জাতিরাষ্ট্রের যে চারটি আপাত বিপরীতমুখী নীতি সন্নিবেশ করেছেন সেগুলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা : এই নীতিগুলোর মধ্যে যে নিগূঢ় বন্ধনরজ্জু তা হলো মানবিক নান্দনিকতা।

এই নান্দনিকতা সব বিভাজন সত্ত্বেও মানুষে মানুষে যে সদাচারী মনের মিল বিরাজমান, তার অনুুরূপ। সব আপাত-অমিলের মধ্যেও সব মানুষের জন্য এটি সমতাশ্রয়ী মমতার মৈত্রী। আমি যদি প্রকৃত মানুষ হই, তাহলে আরেকজন মানুষকে আমি অহেতুক আঘাত করতে পারব না। মানুষ হিসাবে মানুষের সহকর্মী ও সহমর্মী হওয়ার ইতিবাচকতা সভ্যতার শুরু থেকেই চলছে। এই মানবমিলনের সূত্র মানুষের নৈয়ায়িক নান্দনিকতা।

এই নান্দনিকতাকে বঙ্গবন্ধু আমাদের সংবিধানে স্থাপন করেছিলেন বলেই সারা পৃথিবীতে এটি অনন্য। প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ ও বৈপরীত্যের মধ্যেও মানবজাতির জন্য অনুসন্ধেয় এই অভিন্ন শুদ্ধাচারের উৎস হতে পারে বিশ্বমানবতার এই সৃষ্টিশীল নানন্দিকতা। ব্যক্তি, সম্প্রদায়, জাতীয়তা, বৈশ্বিকতা ও মানবিক সদাচারের মধ্যে সূক্ষ্মতম অভিন্নতা আবিষ্কারের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণকে তার ইপ্সিত মানবিক উচ্চতায় উন্নীত করার সহজতম উপায় হতে পারে স্থানিক প্রান্তিকতা থেকে বৈশ্বিক স্তর পর্যন্ত সর্বপ্রকার সৃষ্টিশীলতার ভাষিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক বিকাশ।

এই রূপক, তথা মডেলকে যদি অনুসরণ করা যায় তবে সারা পৃথিবীজুড়ে একটি মৌলিক পৃথিবী রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে, যা সর্বমানবিক ও মানবনান্দনিক হয়ে উঠবে বলে আশা করি। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগস্টের যে ট্র্যাজেডি, যে শোক, সেই শোক থেকে শক্তি এবং শক্তি থেকে জাগরণ এবং সেই জাগরণ থেকেই পৃথিবীব্যাপী বাঙালি জাতিসত্তার বৈশ্বিক উদ্ভাসন নতুনভাবে ঘটবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এখানেই জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সাংবিধানিক নান্দনিকতার চলমান সার্থকতা।

জাতীয়

মেগা প্রকল্প শেষ করার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে ছোট ছোট প্রকল্প অনুমোদনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যয় ৫০ কোটি টাকার নিচে এমন প্রকল্পে উৎসাহ দেখাচ্ছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। কেননা এখন নিয়মিত একনেক বৈঠক হচ্ছে না। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকার মন্ত্রী, এমপি ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ছোট প্রকল্প প্রস্তাব আসছে পরিকল্পনা কমিশনে।

এগুলো পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুমোদন এখতিয়ার থাকায় ঝক্কি কম হচ্ছে বলে উৎসাহও বেশি। সেই সঙ্গে জনতুষ্টির জন্য দ্রুত দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখানো সম্ভব হয় সাধারণত ছোট প্রকল্পের মাধ্যমেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন ছোট ছোট প্রকল্প ভবিষ্যতে এডিপিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি নির্বাচনি চিন্তা থেকে হাতে নেওয়া হলে অপচয়েরও আশঙ্কা আছে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সম্প্রতি বলেন, এখন নির্বাচনি বছর। মন্ত্রী-এমপিদের এলাকার চাহিদা থাকে। তারা চাইবেন এর মধ্যেই যতটা প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু আমরা বড় প্রকল্পে আগ্রহ দেখাচ্ছি না। চেষ্টা করছি ছোট প্রকল্পের অনুমোদন বেশি করতে। তবে নিয়মের বাইরে গিয়ে নয়। এক্ষেত্রেও প্রচলিত আইনকানুন ও নিয়মনীতি মেনেই করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার বলেন, যাদের বা যে এলাকায় সত্যিকার অর্থে প্রয়োজন সেখানে ছোট প্রকল্প নিলে সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে যেসব মন্ত্রণালয় বা সংস্থা এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে তাদের সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে। কিন্তু যদি নির্বাচনের বিষয় মাথায় রেখে ছোট প্রকল্প নেওয়া হয় তাহলে উদ্বেগের বিষয় আছে। কেননা এসব প্রকল্প এখন নেওয়া হলেও পরে কী হবে? চলমান থাকবে নাকি মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যাবে? এসব প্রশ্নের জবাব এখনই নিশ্চিত হওয়া দরকার। সেটি করা না গেলে পরে এডিপিতে বোঝা তৈরি বা অপচয়ের আশঙ্কা থেকে যায়।

সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের শেষ সময় হওয়ায় এলাকার মানুষদের সন্তুষ্ট করতে জনপ্রতিনিধিরা নানাভাবে প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তদবিরের জন্য এমপিদের পরিকল্পনা কমিশনে আসাটাও বেড়ে গেছে। গত দুতিনটি একনেক বৈঠকের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ১০-১৫টি ছোট প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। পরে একনেক বৈঠকে সেগুলো প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসনকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বেশ কয়েটি ছোট প্রকল্প প্রস্তাব আছে পরিকল্পনা কমিশনে।

জানা যায়, বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবীর জীবনমান উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অনুমোদন পেলে দেশের সব জেলার ১৫১টি শহর বা উপজেলায় এটি বাস্তবায়ন করবে সমাজ সেবা অধিদপ্তর। ১৬ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হবে প্রকল্পটির পিইসি সভা। প্রকল্পের আওতায় কামার, কুমার, নাপিতসহ বিভিন্ন প্রান্তিক পেশার মানুষদের প্রশিক্ষণ ও সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হবে।

এছাড়া ‘ফিশারিজ লাইভলিহুড ইনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট ইন দ্য কোস্টাল এরিয়া অব দ্য বে অব বেঙ্গল (এফআইএলইপি)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক কোটি তিন লাখ টাকা এবং জাইকার অনুদান থেকে ব্যয় হবে ৪১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি কক্সবাজারের সদর, টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় বাস্তবায়ন করা হবে। এসব এলাকার ছোট আকারের উপকূলীয় মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর জীবনমানের উন্নয়ন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) একেএম ফজলুল হক বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন অনুমোদনের পরবর্তী ধাপে আছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক চট্টগ্রামের প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ প্রকল্প। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আরও আছে, বৈশ্বিক মহামারি প্রেক্ষাপটে জয়পুরহাট, নওগাঁ ও দিনাজপুর জেলার অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের সচেতনতা ও সক্ষমতার মধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রায় একই ধরনের আর একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে কুড়িগ্রাম ও নিলফামারীর জন্য। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এছাড়া দিনাজপুর জেলার হতদরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী ও এতিম যুব ও যুব মহিলাদের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবন মান উন্নয়ন শীর্ষক আরও একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা রয়েছে। এটির জন্য ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জে বরিশাল বিমানবন্দর এলাকা সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রত্নস্থানগুলোর সংস্কার-সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

কিশোরগঞ্জের বেকার ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজের মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন, এটির ব্যয় হবে ১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আরও একটি প্রকল্প হচ্ছে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সুনামগঞ্জের এতিম, সুবিধাবঞ্চিত, ছিন্নমূল ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ২০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এছাড়া বৈশ্বিক মহামারীর প্রেক্ষাপটে অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন জনগোষ্ঠীর পুনবৃাসন ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরকম আরও অনেক প্রকল্প প্রস্তাব আসছে পরিকল্পনা কমিশনে।

জাতীয়

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নয়জন মারা গেছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও দুই হাজার ৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুই হাজার ৪৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮৫৩ জন এবং সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) এক হাজার ১৯৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট দুই হাজার ১৫২ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৮৮৬ জন এবং সারাদেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে এক হাজার ২৬৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নয় জনেরজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ছয়জন ঢাকা সিটিতে এবং তিনজন সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতিত) মারা যান।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ২৮৯ জন এবং সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৮৪ জন মারা যান।

চলতি বছরের ১১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮০ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৪০ হাজার ৭৬৪ জন ও সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৩৯ হাজার ৩১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৭০ হাজার ২৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৩৬ হাজার ৫৪ জন এবং সারাদেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল ৩৩ হাজার ৯৭২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

বর্তমানে সারাদেশে মোট নয় হাজার ৬৭৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকা সিটিতে চার হাজার ৪২১ জন এবং সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) পাঁচ হাজার ২৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।

জাতীয়

বেসরকারি খাতের দশ ব্যাংক মিলে গঠিত হচ্ছে একটি ডিজিটাল ব্যাংক। ব্যাংকটির নাম রাখা হচ্ছে ‘ডিজি ১০ ব্যাংক পিএলসি’।

ব্যাংকগুলো হলো- দ্যা সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি), ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসিবি), ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড। অর্থাৎ এই দশটি ব্যাংক হলো ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা।

এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূত্র। নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনা ও লেনদেনকে আরও সহজতর করতে বেসরকারি খাতের দশ ব্যাংকে মিলে এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।

তথ্যমতে, ডিজি ১০ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন হবে ন্যূনতম ১২৫ কোটি টাকা। ব্যাংক দশটির মধ্যে বুধবার সিটি ব্যাংক মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছে। ডিজিটাল ব্যাংকটিতে সিটি ব্যাংক বিনিয়োগ করবে পরিশোধিত মূলধনের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ এই ব্যাংকে সিটি ব্যাংকের শেয়ার থাকবে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে এটি ১৩ কোটি ৮৮ লাখ।

১২৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহসহ বাকি সব কার্যক্রম গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন থাকতে হয় ন্যূনতম ৫০০ কোটি টাকা।

জাতীয়

সাইবার নিরাপত্তা আইন করার উদ্দেশ্য হলো সাইবার ক্রাইম কমানো। বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা বা চাপ সৃষ্টি করার জন্য করা হয়নি।

কথাগুলো আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ রহিতকরণ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। মন্ত্রীর সেসবের উত্তর দেন। সঙ্গে এও জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইনটি ২৯ ধারায় অনলাইনে বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অপপ্রচার করে মানহানি করা হলে কারাদণ্ডের বিধান তুলে দিয়ে কেবল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। অনধিক ২৫ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধ বিবেচনায় এক পয়সা থেকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।

আনিসুল হক বলেন, আইনের ১৭, ১৯, ২৭, ৩০ ও ৩৩ নম্বর ধারায় আগে জামিন ছিল না। এটা এখন জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এই ধারাগুলোর সঙ্গে আরও কিছু ধারা জামিনযোগ্য করা হবে। আমরা আইনটি করছি সাইবার অপরাধ কমানোর জন্য। এটা করলে অপরাধ বন্ধ হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর সাইবার নিরাপত্তা আইন এক নয়। আগের যেখানে ১০ বছর সাজা ছিল, সেটা কমিয়ে সাত বছর করা হয়েছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আগের সরল বিশ্বাসে অপরাধ করে থাকলে নিস্তার পাওয়া যেতো। এখন বিষয়টি তুলে দেওয়ায় কেউ আর এই অজুহাত দেখাতে পারবে না। সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয়টি হলো- কেউ ব্যক্তিগত অপরাধ করেছেন, নাকি তার দায়িত্বের ভেতরে কোনো অপরাধ করেছেন? সরকারি দায়িত্বে হলে তার বিভাগ ডিফেন্স হিসেবে নিতে পারে। তার বিভাগ জানার অধিকার রাখে যে তার কোন কর্মচারীর কি অবস্থান। ব্যক্তিগত অপরাধ হলে পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একটি ওয়েবসাইটের কথা জানান। ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির ওয়েবসাইটটিতে আইনের খসড়া দেওয়া আছে। এটি দেখার পর যেকোনো নাগরিক ১৪ দিনের মধ্যে তাদের মতামত দিতে পারবেন। প্রত্যেকের মতামত সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৮ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

বুধবার (৯ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

১২ জুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, ৫৯ মামলায় ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুদক। একটি ছাড়া বাকি ৫৮ মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা হয়েছে।

ওই দিন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন আরও জানান, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ৪৬ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীসহ এজাহারনামীয় এবং তদন্তে নাম আসা আসামিরা অসৎ উদ্দেশে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা বিশ্বাস ভঙ্গ করে অন্যায়ভাবে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যকে লাভবান করে ভুয়া মর্টগেজ, মর্টগেজের অতিমূল্যায়ন এবং মর্টগেজ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।

এসব ঘটনায় দুদকের পাঁচ তদন্তকারী কর্মকর্তা মোট ৫৯টি মামলা করেন। এর মধ্যে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ছয়টি, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৫টি, মো. মোনায়েম হোসেন ১৭টি, মোহাম্মদ সিরাজুল হক তিনটি ও মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান ১৮টি মামলার তদন্ত করেছেন। তাদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে।

জাতীয়

সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে ছিলেন কর্মমুখী মানুষ। কিন্তু বিধিবাম। বিকালে মাত্র আধাবেলার বৃষ্টিতে ডুবে যায় ঢাকার অধিকাংশ রাস্তা। শ্রাবণের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। রাজধানীর বসুন্ধরা, পল্টন, খিলক্ষেত, মতিঝিল, কাকরাইল, রামপুরা, শান্তিনগর, শাহবাগ, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকা ও মিরপুর, পীরেরবাগসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে পানি জমে যায়। ফলে যানজট এবং গণপরিবহণ কমে যাওয়ায় ঘরে ফেরা মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফিরতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। যারা নিজস্ব গাড়িতে চলাচল করেন তারাও দীর্ঘ যানজটে নাকাল হয়েছেন। দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থীরাও।

বিকাল ৬টার দিকে মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে থেকে মহাখালী, বনানী, সাহারা ও কুড়িল এলাকায় সরেজমিন ঘুরে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে। স্থানে স্থানে মানুষের জটলা চোখে পড়ে। বাসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করে কেউ কেউ হেঁটেই রওয়ানা হন বাসার পথে।

আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বিকালে ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার। সকালে ঢাকার বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ এবং বিকালে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৭ শতাংশে।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে পানি জমে থাকায় যানবাহনও কম ছিল। কোথাও অটোরিকশার স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেখানে থাকা যাত্রীরা পড়েন বিপাকে। বৃষ্টিতে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে শান্তিনগর, মগবাজার, মৌচাক, নয়াপল্টন, আরামবাগ, মতিঝিলে। এসব এলাকার অলিগলিতে হাঁটুপানি জমে। এতে যানবাহন কমে যায়। বৃষ্টির ফলে প্রগতি সরণির কুড়িল-রামপুরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। এ সড়কে যানবাহন চলাচলেও ধীরগতি ছিল। এছাড়া যানস্বল্পতায় বৃষ্টিতে ভিজেও অফিস ফেরত মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর জুরাইন, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী এলাকার মুরাদপুর মেডিকেল রোড, হাই স্কুল রোডেও পানি জমে যায়। স্থানীয় পথচারীরা জানান, দীর্ঘ বছর ধরে রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর বেশি বৃষ্টি হলে পানি নেমে যেতে সময় লাগে আরও বেশি। মতিঝিলের বলাকা চত্বর, শাপলা চত্বর, বাংলামোটর, পল্টন মোড়ে বাড়ি ফেরা মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরপর একটি করে গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি লেগে গিয়েছিল।

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ যুগান্তরকে জানান, অফিস থেকে বের হওয়ার পর থেকেই অঝোর ধারায় বৃষ্টি চলছে।

স্টাফ গাড়ি এখনো আসেনি। সড়কে গণপরিবহণ কম থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায়ও যেতে পারছি না। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অফিসের নিচে অপেক্ষা করছি। শুধু আমি নই, আমার অনেক সহকর্মীরই একই অবস্থা। এদিকে উত্তরা রাজউক কলেজের শিক্ষার্থী অর্থি বাবার গাড়িতে করে যাতায়াত করেন। দুপুরে ব্যাচে প্রাইভেট পড়তে যান কুর্মিটোলায়। পড়া শেষে বিকালে মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাসায় ফেরার পথে যানজটে পড়ে যান। এ সময় যুগান্তরকে বলেন, প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ধীরে ধীরে গাড়ি চলছে। বাসায় কখন ফিরব জানি না।

বিকালের বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তানের, ফার্মগেট, মিরপুর-১০ নম্বরসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের সব দোকান। তারাও দুর্ভোগে পড়েন। সাধারণ ফুটপাতে ঘরে ফেরা মানুষের কাছেই তাদের পণ্য বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু বিকালের বৃষ্টি তাদের আয়-রোজগারেও বাগড়া দিয়েছে।

সূত্র জানায়, রাজধানীর জলাবদ্ধতা কমাতে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা ২৬টি খাল দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু এতেও খুব বেশি কাজ হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে ঢাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলি।

জাতীয়

জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নতুন নিয়ম করেছে সরকার। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২’ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বুধবার (৯ আগস্ট) পতাকা বিধিমালায় সংশোধন এনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পরে এ বিষয়ে গেজেট জারি হয়।

নতুন নিয়মে পতাকা অর্ধনমিত রাখার ক্ষেত্রে পতাকা দণ্ডের ওপর থেকে চার ভাগের একভাগ দৈর্ঘ্যের সমান নিচে ওড়াতে হবে। বিধিমালায় আগে এটি নির্ধারণ করে দেওয়া ছিল না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংগীত, পতাকা এবং প্রতীক অধ্যাদেশ, ১৯৭২’ এর আর্টিকেল-৫ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২’-তে সংশোধন আনা হয়েছে।

বিধিমালার বিধি-৭ এর ১২ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে নতুন ১২ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হবে। নতুন ১২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- অর্ধনমিত রাখার ক্ষেত্রে পতাকা প্রথমে পতাকাদণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর পতাকা দণ্ডের এক-চতুর্থাংশের দৈর্ঘ্যের সমান নিচে নামিয়ে পতাকাটি স্থাপন করতে হবে। ওই দিবসে পতাকা নামানোর সময় ফের পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করা হবে, এরপর নামাতে হবে।

আগের বিধিমালার ১২ অনুচ্ছেদে পতাকা দণ্ডের এক-চতুর্থাংশের দৈর্ঘ্যের সমান নিচে নামিয়ে পতাকা স্থাপন করার বিষয়টি ছিল না।

সাধারণত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতীয় শোক পালনের দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।