জাতীয়

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে রোববার রাত ৯টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দুই ছেলে এক স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কবির গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলীতে রোববার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে বাগেরহাট এবং পরে বরিশাল নেওয়া হয়। বরিশালের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে বিভিন্ন পরীক্ষার পর হার্টের সমস্যাসহ বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা ধরা পড়ে। পরে চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা কবিকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রওনা হওয়ার পর পথেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও কবির চাচাতো ভাই মো. শিবলী হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। মোহাম্মদ রফিক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

কবি মোহাম্মদ রফিক ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সামছুদ্দীন আহমদ এবং মাতা রেশাতুন নাহারের আট সন্তানের মধ্যে মোহাম্মদ রফিক সবার বড়। মোহাম্মদ রফিকের শৈশব কাটে বাগেরহাটে। মেট্রিক পাশ করে ঢাকার নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু পরে ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬১ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর রাজশাহী সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন এবং স্নাতক শেষ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি পাকিস্তানের সামরিক শাসন বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন। পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। কিন্তু এমএ পরীক্ষার জন্য তিনি ছাড়া পান। ১৯৭১ সালে তিনি প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরে এবং পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করার পর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন। তিনি ২৯ জুন ২০০৯ পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১০ সালে একুশে পদক লাভ করে।

একজন মননশীল আধুনিক কবি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মোহাম্মদ রফিক খুলনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। কবি হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ১৯৬০-এর দশকে। ১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’।

কবির উল্লেখযোগ্য অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- কীর্তিনাশা (১৯৭৯), খোলা কবিতা ও কপিলা (১৯৮৩), গাওদিয়ায় (১৯৮৬), স্বদেশী নিশ্বাস তুমিময় (১৯৮৮), মেঘে এবং কাদায় (১৯৯১), রূপকথা কিংবদন্তি (১৯৯৮), মৎস্য গন্ধ্যা (১৯৯৯), মাতি কিসকু (২০০০), বিষখালি সন্ধ্যা (২০০৩), নির্বাচিত কবিতা (২০০৩), কালাপানি (২০০৬), নির্বাচিত কবিতা (২০০৭), নোনাঝাউ (২০০৮), দোমাটির মুখ (২০০৯), ত্রয়ী (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১ (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২ (২০১০)।

কবিতার পাশাপাশি তার গদ্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ভালবাসার জীবনানন্দ (২০০৩), আত্মরক্ষার প্রতিবেদন (২০০১), স্মৃতি বিস্মৃতির অন্তরাল (২০০২)।

জাতীয়

চকবাজারের ডিসি রোডের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ডিসি রোডে বসবাস করছেন। কালাম কলোনির একটি ভবনের দ্বিতীয়তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন। পেশায় চাকরিজীবী। তিনি তিন দিন ধরে বাসায় পানিবন্দি।

ছয় বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছি কিন্তু এত পানি আর কখনো দেখিনি। শুক্রবার বিকাল থেকে জলাবদ্ধতা শুরু হয়। রাতে পানি কিছুটা কমেছিল। শনিবার সকালে আবার থৈ থৈ পানি আর পানি। রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। এ কারণে মোটরও চলছে না। জ্বলছে না চুলা। চারদিকে অথৈ পানি থাকলেও মিলছে না রান্না-বান্না কিংবা শৌচ-কর্ম করার মতো বিশুদ্ধ পানি। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

কেবল সাইফুল ইসলাম আহাদ নন, চকবাজার, কাপাসগোলা ও বাদুরতলাসহ নগরীর নিচু এলাকার লাখ লাখ মানুষ এভাবে পরিবার নিয়ে পানিবন্দি হয়ে গত তিন দিন ধরে এক প্রকার মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বিভিন্ন এলাকার কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে।

রোববার সকালে নগরীর চকবাজার মুরাদপুরসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি আর পানি। পাহাড়ি ঢল ও আর বৃষ্টির পানিতে পুরো নগরী যেন পরিণত হয় নদীতে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহওয়াবিদ জহিরুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৩১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া গত তিন দিনে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ রেকর্ড। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই ভারি বর্ষণ হচ্ছে। তা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। চট্টগ্রামে ভারি বর্ষণের সঙ্গে যোগ হয়েছে কর্ণফুলীর জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলের পানি।

চকবাজারের সৈয়দ শাহ রোডের বাসিন্দা গোলাম সারওয়ার জানান, বাসার নিচে তিন দিন ধরে পানি জমে আছে। কোথাও বের হতে পারছি না। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সকালে কোনো রকমে নাস্তা করেছি। দুপুরে কি করব জানি না। পানির কারণে বাইরে থেকেও খাবার আনা যাচ্ছে না।

নগরীর রাসূলবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফরিদুল আলম বলেন, শনিবার শেষরাতের দিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বাসায় উঠে গেছে। ঘর থেকে বের হওয়াই যাচ্ছে না। এর মধ্যে গাছের একটি খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়েছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎবিহীন। যেন নরক যন্ত্রণায় আছি।

শ্রাবণের প্রবল বর্ষণে এবার সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা হয়েছে বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, ফিরিঙ্গিবাজারের একাংশ, কাতালগঞ্জ, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, কে বি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সী পুকুরপাড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জমে থাকা পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

এর মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে জোয়ারের পানি। জোয়ারের ফলে আগ্রাবাদ, বন্দর, ইপিজেডের বিভিন্ন এলাকায় পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। যেখানে আগে হাঁটু পানি উঠতো সেখানে এখন কোমর সমান পানি। বাসা-বাড়ি, দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়েছে। দুই নম্বর গেট মুরাদপুর ও চকবাজার ব্যস্ততম সড়কের ওপর দিয়ে  প্রবাহিত হচ্ছে পানির স্রোত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও এর সুফল মিলছে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন- (চসিক) এ জন্য জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (চউক) দায়ী করলেও চউক দায়ী করছে চসিককে।

এই সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, নালা-নর্দমা ঠিকমতো পরিষ্কার না করার কারণে বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। এতে করে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দুই সংস্থার পরস্পর দোষারোপের বলি হতে হচ্ছে নগরীর লাখ লাখ বাসিন্দাকে।

এবারের জলাবদ্ধতায় বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে কোটি কোটি টাকার আসবাবপত্র, পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। স্বয়ং বহদ্দারহাটে মেয়রের বাসভবন তিন ধরে পানির নিচে রয়েছে। গাড়ি ছেড়ে তাকে রিকশা কিংবা পায়ে হেঁটে পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে কর্মস্থলে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি ভবন, নগরীর চান্দগাঁও থানার নিচতলা পানিতে তলিয়ে আছে। রোববারের জোয়ার-বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে ডুবে ছিল কালুরঘাটে ফেরি চলাচলের জন্য স্থাপিত পন্টুন। দুই পাড়ের মানুষতে ফেরি পারাপারে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃদ্ধ ও শিশু এবং রোগীদের কোলে করে পারাপার করতে দেখা যাচ্ছে। এ সময় রিকশা কিংবা গাড়ি থেকে পানি ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে ভিজে গেছে লাখ লাখ টাকার পণ্য। একই অবস্থা রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায়ও। রিয়াজউদ্দিন বাজারের শত শত দোকানে পানি ঢুকেছে। টানা তিন দিন পানিতে ডুবে আছে রিয়াজউদ্দিন। দোকানে পানি ঢুকে পড়ার কারণে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোটি কোটি টাকা অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্যেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, রিয়াজউদ্দিন বাজারের গোলাম রসুল মার্কেট, আরএস রোড, বাহার লেইন, পশ্চিম বাজার, মশারি গলি, রহমতুন্নেচ্ছা রোড এবং জেবুন্নেচ্ছা রোডে হাঁটু পানি উঠে। এসব রোডে থাকা মার্কেট ও দোকানে পানি ঢুকে যায়। রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোবাইল মার্কেটেও পানি ঢুকে যায়।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ বলেন, টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণে রিয়াজউদ্দিন বাজারের শত শত দোকানে পানি ঢুকেছে। আগে যেসব দোকানে পানি ঢোকেনি সেসব দোকানেও এবার পানি ঢুকেছে। শুক্রবার বন্ধ থাকলেও শনিবার ও বোরবার কোনো ব্যবসা বাণিজ্যই হয়নি। কাপড়ের দোকানে পানি ঢুকে কোটি টাকার কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে।

রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির জানান, এ বছর রিয়াজউদ্দিন বাজারে স্মরণকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে পানি উঠেছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের প্রবেশপথে প্রায় কোমর সমান পানি হয়েছে। এখানে ড্রেন বড় করে কালভার্ট বানানো হয়েছে। তারপরও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

জাতীয়

উপনির্বাচনে নির্বাচিত নেত্রকোনা-৪ আসনের এমপি সাজ্জাদুল হাসান এবং চট্টগ্রাম-১০ আসনের এমপি মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু শপথ নিয়েছেন।

রোববার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আব্দুস সালাম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি উপস্থিত ছিলেন।

শপথ গ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে সই করেন।

এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় রাজনীতি
বিগত ০৩~০৮~২০২৩ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার জেলর সর্বশেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “বড়চাপা বহুমূখী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা”-র হলরুমে আলিম পরিক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন GGN24.COM  সম্পাদক ,  সোনার বাংলা।টিভি -র চেয়ারম্যান ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সহঃ সম্পাদক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, তিনি উল্লেখিত মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি।

তাছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বর্তমান ও বিদায়ী ছাত্র/ছাত্রীদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য করেন সভাপতি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান,

প্রতিষ্ঠানটির স্বনামধন্য অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ মোশারফ হোসেন, সিঃ প্রভাষক মোঃ নজরুল ইসলাম, সিঃ প্রভাষক ইকবাল হোসেন, সিঃ শিক্ষক আসাদুজ্জামান, সিঃ শিক্ষক কবির হোসেন, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষক মোঃ মানিক সাহেব।
জাতীয়

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য তালিকা প্রণয়নে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করে পাঠাতে বলেছে সংস্থাটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও)। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোট ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়।

বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮। এক্ষেত্রে এবার কেন্দ্র আরও বাড়বে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের যে নীতিমালা করেছে সেখানে জেলা পর্যায়ে ডিসিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অথবা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে।

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে উপজেলা পর্যায়ে করা হয়েছে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো চিঠিতে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে তালিকা করতে একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ইসি। এতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের জন্য ১৬ আগস্ট, সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি নেওয়ার শেষ সময় ৩১ আগস্ট, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ সময় ১১ সেপ্টেম্বর ও খসড়া ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছ। আর খসড়া ভোটকেন্দ্রে চূড়ান্ত তালিকা ইসি সচিবালয়ে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ বিষয়ে বলেছেন, মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তালিকা যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ বা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর নির্বাচন হবে আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, তফসিল ঘোষণার আগের ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হয়। হাতে সময় আছে তিন মাসের মতো। তাই এখন থেকেই ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম হাতে না নিলে সময় সংকুলান হবে না।

নীতিমালা অনুযায়ী- যাতায়াতের সুবিধা, ভবনের আয়ুষ্কাল, ভোটার বৃদ্ধি, সরকারি ভবনকে প্রাধান্য দেওয়া, প্রভাবাধীন বা উন্মুক্ত নয় এমন স্থানে ভোটকেন্দ্র না করা, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র না করা, শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ভোটগ্রহণ স্থাপন প্রভৃতি বিষয় আমলে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হলে যেকোনো ভোটার দাবি-আপত্তি জানাতে পারবেন।

জাতীয়

২০২২ সালের চেয়ে চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে মৃত্যু ২৫ গুণ বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৯ গুণ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গতবছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল দুই হাজার ৬৬০ ব্যক্তি।

চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৫১ হাজার ৮৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অর্থাৎ গতবছরের তুলনায় চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৯ গুণেরও বেশি।

গত বছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১০ জন। চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫১ জন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ গুণ।

জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস ডেঙ্গু রোগের মৌসুম হলেও বর্তমানে প্রায় সারা বছরজুড়েই ডেঙ্গুরোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই হানা দেওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। বর্তমান পরিস্থিতি সার্বিক বিচার বিশ্লেষণ করে আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের। এতে চলতি বছরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

বর্তমান ডেঙ্গু প্রতিরোধ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের ডেঙ্গুর হট স্পট ম্যানেজমেন্ট করা দরকার। ডেঙ্গু রোগীদের ঠিকানা বের করে, ওই ব্যক্তির বাড়ির আশেপাশে ফগিং করে উড়ন্ত মশাগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। কারণ, এই উড়ন্ত মশাগুলোই এই মুহূর্তে ইনফেক্টেড মশা, এই মশাগুলো যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন জ্যামিতিক হারে ডেঙ্গু ছড়াবে।

সোমবার (৩১ জুলাই) গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও দুই হাজার ৬৯৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে সারা দেশে মোট নয় হাজার ৩৮৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকা সিটিতে পাঁচ হাজার ১১ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) চার হাজার ৩৭৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত ফলাফলের পরিসংখ্যান গ্রহণ করে এই ফলাফল প্রকাশ করেন।

নয়টি সাধারণ, একটি মাদ্রাসা ও একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন।

শিক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ঢুকে নিজেদের রোল নন্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নন্বর দিয়ে পরীক্ষার ফল জানতে পারবে।

এছাড়ও, শিক্ষার্থীরা ১৬২২২ এ  এসএমএস পাঠিয়ে পরীক্ষার ফল জানতে পারবে।

এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে ssc <> দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে তারপর রোল নন্বর<> তারপর পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নন্বরে সেন্ড করলে পরীক্ষার ফল জানতে পারবে।

উদাহরণ স্বরুপ, একজন শিক্ষার্থীকে SSC<>DHA<>ROLL<>YEAR  লিখতে হবে। মোবাইলের মেসেজ অপশনে পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে।

২০২৩ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ১০,২৪,৯৮০ জন বালক ও ১০,৫৩,২৪৬ জন বালিকাসহ প্রায় ২০,৭৮,২১৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সচিব সুলেমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

জাতীয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া দুই আসামির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ও মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের পারিবারিক সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজশাহী নগরীর খোঁজাপুর ইদগাহ মাঠে তার জানাজা হয়। পরে ভোর ৬টার দিকে খোঁজাপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই সোহরাব হোসেন, ছোট ভাই মিজানুর রহমান মিজানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মতিহার থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জাহাঙ্গীরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

ফরিদপুর ও ভাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, ভোর ৬টায় মহিউদ্দিনের লাশ গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গার জান্দি গ্রামে পৌঁছায়। তার শতবর্ষী মা সেতারা বেগম ছেলেকে দেখেন না ১৭ বছর ধরে। ফাঁসির আদেশ ও কার্যকরের বিষয়ও জানতেন না তিনি। ফাঁসি কার্যকরের রাতে বাড়িতে কী কারণে চেয়ার-টেবিল আনা হচ্ছে তাও জানতেন না এই বৃদ্ধা।

পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন যখন লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তখন ‘এত লোক কেন, লাশ কার’ এই বলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সেতারা বেগম। পরে বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

মহিউদ্দিনের ছোট ভাই আরজু মিয়া বলেন, আমার ভাই ড. মহিউদ্দিনকে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পানি থাকায় বাবার কবরের পাশে দাফন করা সম্ভব হয়নি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তার লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয়। এই হত্যা মামলার তদন্তে ওঠে আসে পদোন্নতি না পাওয়ার ক্ষোভে অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন একই বিভাগের শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

এ মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এ ছাড়া দুজনকে খালাস দেন আদালত।

পরে সাজাপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন।

জাতীয়

আশুরার দিন রোজা রাখলে এক বছরের সগিরাহ গোনাহ মাফের আশা করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি (সা.)।

হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-হজরত আবু কাতাদাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, আশুরার দিনের রোজার দ্বারা আমি আল্লাহর কাছে বিগত বছরের গুনাহ মাফের আশা রাখি।’ (মুসলিম, তিরমিজি)।

আশুরার রোজা রাখার পদ্ধতিও ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা আশুরার রোজা রাখ; ইয়াহুদিদের মতো নয়; আশুরার আগে বা পরে আরও একদিন রোজা রাখ।’ (মুসনাদে আহমাদ)।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, যখন রাসূল (সা.) মদিনাতে এলেন তখন ইয়াহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখতেন।

তারা জানল, এ দিন মুসা (আ.) ফেরাউনের ওপর বিজয় লাভ করেছিলেন। তখন নবি (সা.) তার সাহাবিদের বললেন, মুসা (আ.) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার দিক থেকে তাদের চেয়ে তোমরাই অধিক হকদার। কাজেই ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ।’ (বুখারি)

জাতীয়

বৃহস্পতিবার ওই কার্যালয় নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনার পর রাতে কার্যালয়ের ভবন মালিক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান এ মামলা করেন। এতে তিনি অবৈধভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রবেশ করে গেট ভাংচুর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনেছেন।

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত প্রিতম-জামান টাওয়ারে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কলাপসিবল গেট ও তালা ভাঙার অভিযোগে সংগঠনটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক (নুর) ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ওই কার্যালয় নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনার পর রাতে কার্যালয়ের ভবন মালিক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান এ মামলা করেন। এতে তিনি অবৈধভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রবেশ করে গেট ভাংচুর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনেছেন।

শুক্রবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া।

তিনি বলেন, রাতে ভবনের মালিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারনামীয় আসামি ১৭ জন। এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে নুর ও রাশেদ রয়েছে। আর অজ্ঞাত আসামি ৭৫ থেকে ৮০ জন করা হয়েছে মামলায়। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

শিগগিরই নতুন কার্যালয় কিনব: নুরুল হক

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা নিজস্ব কার্যালয় কেনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের কয়েক লাখ টাকা হয়ে গেছে, যা নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীরা দিয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদ নিজস্ব কার্যালয় কিনবে।

কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে পুরানা পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের আগে প্রিতম–জামান টাওয়ারের সামনের রাস্তায় সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান নুরুল হক।

কার্যালয় বুঝিয়ে না দিলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে এই কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করতে হবে। কার্যালয় খুলে দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ছয় মাস আমরা কার্যালয়ে থাকতে পারব। ছয় মাস পর আমাদের কার্যালয় ছেড়ে দেব।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত প্রিতম-জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয় ভবনের মালিকপক্ষ। বিকালে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে নুরসহ আহত হন ৩০ নেতাকর্মী।

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত প্রিতম-জামান টাওয়ারের মালিক মশিউর জামান বৃহস্পতিবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ও তালা ভাঙার অভিযোগে দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

শুক্রবার রাতে পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ভবন মালিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ১৭ জন। এর মধ্যে নুর ও রাশেদের নামও রয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ জনকে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি।