জাতীয়

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রোববার এবং সোমবার দুই কর্মদিবসে ভারতীয় ১২৪ ট্রাকে তিন হাজার ৭৬১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

যার ফলে কমতে শুরু করেছে খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। মঙ্গলবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা আরমান শেখ বলেন, হিলি বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমছে না, তবে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৪ টাকা দরে। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসছে তবুও দাম কমছে না। এ বিষয়ে প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা দরকার। যদি সব নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ থাকত আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের অনেক সুবিধা হতো।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে চার থেকে আট টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০ থেকে ২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম বৃদ্ধি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। তবু আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম। আগে আট থেকে ১০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হলেও বর্তমানে তিন বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে বেশি বেশি পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করেছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। যার ফলে প্রতিদিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে দেশে। বর্তমানে খুচরা বাজারে অনেকটাই দাম কমেছে। সরকার যদি আমদানি অব্যাহত রাখে তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

জাতীয়

২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যার চিত্র কেমন হবে তা নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রাক্কলন করেছে জাতিসংঘ। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থানটিও তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বিশ্লেষণধর্মী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এতে দেখানো হয়েছে, ২০৫০ সালে অর্থাৎ ২৭ বছর পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটির ঘর পেরিয়ে যাবে।

জাতিসংঘের প্রাক্কলন অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৩০ লাখ। ভারত, চীন এবং নাইজেরিয়া হবে বিশ্বের শীর্ষ তিন জনবহুল দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ-১০ দেশের তালিকায় দশম অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ। আর সে সময় বিশ্বের জনসংখ্যা পৌঁছাবে ৯৭০ কোটিতে।

এদিকে বর্তমানে ১৪৩ কোটি এবং ১৪২ কোটির বেশি জনসংখ্যা নিয়ে ভারত এবং চীন যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও নাইজেরিয়ার অবস্থান ষষ্ঠ। ২০৫০ সালে দেশটির জনসংখ্যা ৩৭ কোটি ৭০ লাখে পৌঁছাবে এবং তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসবে। যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে।

৩৬ কোটি ৭০ লাখের বেশি জনসংখ্যা নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। ষষ্ঠ অবস্থানে থাকবে ইন্দোনেশিয়া।

২৩ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে তালিকার সপ্তম দেশ হবে ব্রাজিল। ২১ কোটি ৭০ লাখ নিয়ে অষ্টম অবস্থানে থাকবে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো আর ২১ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে ইথিওপিয়া তালিকায় নবম অবস্থানে থাকবে।

জাতীয়

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে মেট্রোরেল। শুক্রবার বিকাল ৪টা ৩৪ মিনিটে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে স্বপ্নের মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে এ অংশে (আগারগাঁও-মতিঝিল) মেট্রোরেলের চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ উপলক্ষ্যে আগারগাঁও স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখান থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আজ (শুক্রবার) প্রথম ট্রায়াল রান হচ্ছে। মেট্রোরেল নিয়ে এটাই আমাদের প্রথম কাজ। এরপর আমরা আরও পাঁচটি লাইন আনছি। আপনারা জানেন, পাতাল রেলের কাজ শুরু হয়েছে। মোট ছয়টি মেট্রোরেল ঢাকায় যুক্ত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারব।’

তিনি বলেন, এখন থেকে নিয়মিত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল দেখা যাবে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে এ অংশে (আগারগাঁও থেকে মতিঝিল) মেট্রোরেলের চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৭০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করছে। ধারাবাহিকভাবে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেট্রোরেল থেকে দৈনিক ২৬ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুধু রাজনীতি করলেই হয় না, ভিশন থাকতে হয়। কোনো প্রকল্প নিতে গেলে পরিকল্পনা থাকতে হয়। শেখ হাসিনার সরকার একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার দেখাচ্ছে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। এক বছর আগেও জনগণ ভাবতে পারেনি যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, মেট্রোরেল চলবে। কিন্তু তা সম্ভব হয়েছে।’

জাতীয়

যশোর-মাগুরা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ মোট সাতজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার লেবুতলা নামক স্থানে ইজিবাইককে ধাক্কা দেয় একটি বাস।

এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের সাত আরোহী নিহত হন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।

ইজিবাইকের যাত্রী বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামে একই পরিবারের ফাহিমা খাতুন (৬০), খাদিজা (৬), তার দুই জমজ সহোদর হাসান (২) ও হোসেন (২), ওই পরিবারে অজ্ঞাত আরও একজন। এ ছাড়া যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন (২৭) ও একই গ্রামের আনোয়ারা (৭০)। আহত দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, লেবুতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহতের খবর নিশ্চিত হতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে।

জাতীয়

দেশের ১০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। এবার নতুন করে ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরও ডিসি করা হয়েছে।

উপসচিব এবং উপসচিব পদমর্যাদার নয়জন কর্মকর্তাকে ডিসি নিয়োগ দিয়ে নয় জেলায় পাঠানো হয়েছে। আর গাজীপুরের ডিসিকে ঢাকার ডিসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানকে রাঙ্গামাটি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব (উপসচিব) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনকে বান্দরবান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. কায়ছারুল ইসলামকে টাঙ্গাইল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মু. আসাদুজ্জামানকে পাবনার ডিসি করা হয়েছে।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) আরিফুজ্জামানকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব সুরাইয়া জাহানকে লক্ষ্মীপুর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার ম. মুশফিকুর রহমানকে কুমিল্লা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে ফেনী এবং বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামকে গাজীপুরের ডিসি করা হয়েছে।

জাতীয়

বাংলা সনের পরিবর্তে অর্থবছর হিসাবে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের বিধানসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এতে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারভিত্তিক কৃষিভূমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। পাশাপাশি আঁখ এবং লবণ চাষের ভূমি ও কৃষকের পুকুরও (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ ব্যতীত) মওকুফের আওতায় থাকবে।

বৃহস্পতিবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ‘ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩’ উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৭৬ সালের ‘ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করে নতুন এই আইনটি করা হচ্ছে।

বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সর্বসাধারণ উপকৃত হবেন এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।

বিলে বলা হয়, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতি সারা দেশে পূর্ণরূপে প্রবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতির পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতিতে যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যবস্থা নিতে পারবে। এক নাগারে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করা হলে প্রথম থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে জরিমানা হবে। তৃতীয় বছর শেষে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর সার্টিফিকেট মামলা করে আদায় করা হবে।

বিলে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান— এই তিন পার্বত্য জেলায় এই আইন কার্যকর হবে না। কৃষিভূমি পল্লী এলাকা বা পৌর এলাকা- যেকোনো স্থানে অবস্থিত হোক সবক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমি উন্নয়ন কর হার ও শর্ত প্রযোজ্য হবে। অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার নির্ধারণ করতে ভূমির মান ও ব্যবহার অনুযায়ী দেশের সব ভূমি একাধিক শ্রেণিতে শ্রেণিবিন্যাস করা যাবে।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় বাংলা সন (বৈশাখ-চৈত্র) হিসাবে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন বিলে বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে জুলাই-জুন অর্থবছর হিসাবে। প্রতি বছর জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর জরিমানা ছাড়া দেওয়া যাবে। সরকার যে কোনো ব্যক্তি বা যেকোনো শ্রেণির ব্যক্তি বা সংস্থাকে উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।

বিলে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রতিবছর জুলাই মাসের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করে ভূমির ব্যবহারভিত্তিক অবস্থা বিবেচনা করে নির্ধারিত ফরমে সব মৌজার ভূমি উন্নয়ক কর নির্ধারণ করে তা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা পরীক্ষা করে অনুমোদন করবেন।

জাতীয়

তেলাপোকার যন্ত্রণায় অনেকেই অতিষ্ঠ। তেলাপোকা শুধু বিরক্তিকরই নয়, নানারকম অসুখের কারণও। বাজারে তেলাপোকা দূর করার জন্য নানা স্প্রে নানা ঔষধ পাওয়া যায়। কিন্তু সবসময় এই স্প্রে বা ঔষধ কাজ করে না।

তবে তেলাপোকা তাড়ানোর জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে। খুব সহজে দূর হবে ঘরের তেলাপোকা।
আসুন জেনে নেই কীভাবে তাড়াবেন ঘরের তেলাপোকা।

তেজপাতা

তেজপাতা তেলাপোকা দূর করতে সাহায্য করে। কয়েকটা তেজপাতা গুঁড়া করে নিন। যেসকল স্থানে তেলাপোকা আসতে পারে সেখানে তেজপাতার গুঁড়া রেখে দিন। তেলাপোকা তেজপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না। এটি তেলপোকা মারবে না কিন্তু তেলপোকাকে ঘর থেকে দূরে রাখবে।

বেকিং সোডা ও চিনি

সমপরিমাণে বেকিং সোডা এবং চিনি মিশিয়ে নিন। এবার যেসব ঘরে তেলাপোকা আনা গোনা সেখানে ছিটিয়ে দিন। তেলাপোকা এটি খাওয়ার সাথে সাথে মারা যাবে।

শসা

শসা তেলাপোকা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। একটি অ্যালুমিনিয়াম ক্যানে শসার কিছু খোসা নিন। এবার এই ক্যানটি তেলপোকা আসার স্থানে রেখে দিন। দেখবেন তেলাপোকা উপদ্রব বন্ধ হয়ে গেছে। শসার খোসা অ্যালুমিনিয়ামের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকে। যা তেলাপোকার মৃত্যু ত্বরান্বিত করে থাকে।

প্রেট্রোলিয়াম জেলি

একটি জারে প্রেট্রোলিয়াম জেলি নিন। এবার এতে কিছু ফলের খোসা যেমন আম, কলা, আপেল রেখে দিন। ঘরের যে জায়গা দিয়ে তেলাপোকা প্রবেশ করে সেখানে এই জারটি রেখে দিন। ফলের খোসার গন্ধ তেলাপোকাকে আকৃষ্ট করবে আবার প্রেট্রোলিয়াম জেলী তেলাপোকাকে জারের ভিতরে ঢুকতে বাঁধা দিবে। তেলাপোকা যখন জারের চারপাশে এসে জমে যাবে তখন স্প্রে বা সাবান পানি ছিটিয়ে দিন। দেখবেন তেলাপোকা এক নিমিষে দূর হয়ে গেছে।

গোল মরিচের গুঁড়া

একটি মগে এক লিটার পানি নিন এবং এতে একটি রসুনের কোয়া, একটি পেঁয়াজের পেস্ট এবং এক টেবিল চামচ গোল মরিচের গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার এটি স্প্রে করে দিন সারা বাড়িতে বা যেসব জায়গায় তেলাপোকা বেশি আসে। দেখবেন তেলাপোকা আপনার বাসা থেকে দূর হয়ে গেছে।

জাতীয়

হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মদিনায় গিয়ে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ।

স্থানীয় সময় গতকাল বাদ এশা তিনি মদিনার প্রাণকেন্দ্র ‘মসজিদে নববি’তে সবুজ গম্বুজের নিচে শায়িত মহানবী (সা.) এর রওজা শরীফ জিয়ারত করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং রিয়াজুল জান্নাতে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন ।

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছলে মসজিদে নববির কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁকে স্বাগত জানান।

মোঃ সাহাবুদ্দিন হজ পালনের জন্য দশ দিনের সফরে রাজকীয় অতিথি হিসেবে সৌদি আরবে আসেন গত ২৩ জুন।
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ দিনে তিনি শুক্রবার রাতে তিনি মদিনায় পৌঁছান।

সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-৩৩৮) ৩ জুলাই ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে ।

জাতীয়

দেশে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটির পরে আজ রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৫৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ দেশে এসে পৌঁছেছে। আজ রাতে আরও মরিচ এসে পৌঁছাবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকার এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে মোট ৯৩ মেট্রিক টন আমদানি হয়েছে।

অন্যদিকে, ৯ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির বিপরীতে দেশে এসেছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টন।

জাতীয়

সুদান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার শেষ ধাপে আরও ১৫৯ জনকে নিরাপদে ঢাকায় আনা হচ্ছে। তাদের প্রথম দলটি শুক্রবার (৩০ জুন) এবং দ্বিতীয় দলটি শনিবার (১ জুলাই) দেশের উদ্দেশে রওনা হবে বলে জানিয়েছেন সুদানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) তিনি জানান, সুদান থেকে ৮০ জন বাংলাদেশি শুক্রবার দোহা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর দ্বিতীয় ব্যাচে রয়েছেন ৭৯ বাংলাদেশি, যারা শনিবার ঢাকা আসবেন।

এর আগে সুদানে যুদ্ধাবস্থার কারণে মে মাসে প্রায় ৮০০ বাংলাদেশিকে সেখান থেকে নিরাপদে সৌদি আরব হয়ে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।