জাতীয়

বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে।

এদিন টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ। নামাজে ইমামতি করেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বী মাওলানা জুবায়ের।

গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ তীরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছে। এছাড়াও তাদের সঙ্গে দেশের বৃহত্তম জুম্মার নামাজে অংশ নিতে ভোর থেকে হাজার হাজার মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে ছুটে আসেন। মূল ময়দানে জায়গা না পেয়ে জুমার নামাজে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত ও খালি জায়গায় অবস্থান নিয়ে নামাজ পড়েন হাজার হাজার মুসল্লি। অনেকেই বাড়ির ছাদ, নৌকা, গাড়ির ছাদে পাটি, পলিথিন, চট ও পত্রিকা বিছিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন।

এদিকে অনেকেই জুমার নামাজ আদায় করতে ইজতেমার ময়দান এলাকায় আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন। ভোর থেকে নামাজের আগ পর্যন্ত ইজতেমামুখী মুসুল্লিদের ঢল নামে। বিভিন্ন যানবাহন, নৌকা ও হেঁটেই মুসল্লিরা ছুটে আসেন তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানে।

এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর বাংলাদেশের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। চলবে রোববার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত। ওইদিন আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

বাদ জুমা ইজতেমায় বয়ান করবেন মাওলানা ইসমাইল, বাদ আছর মাওলানা জুবায়ের এবং বাদ মাগরিব মাওলানা আহামদ ও ওমর ফারুক।

এবার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিয়েছেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা। দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লিসহ বিদেশি মুসল্লিরাও এতে অংশ নিচ্ছেন। এরপর আগামী শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দেশের ৬৪ জেলার মাওলানা সাদ অনুসারী মুসল্লিরা এতে অংশ নেবেন। এছাড়াও থাকবেন বিদেশি মুসল্লিরা। একইভাবে ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের (২০২৩) বিশ্ব ইজতেমা।

জাতীয়

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থী। একই সঙ্গে বিশ্ববাসীর কাছে শিশু হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই শিশু অধিকারকর্মী।

শুক্রবার সকালে ঢাকায় সফররত নোবেল জয়ী কৈলাস সত্যার্থী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

নোবেলজয়ী সত্যার্থী ১৫ আগস্টের খুনিদের শাস্তিদানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে সকালে বিমানে ঢাকায় পৌঁছান কৈলাস সত্যার্থী। ৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন তিনি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কৈলাস সত্যার্থীকে স্বাগত জানান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমিতে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে। পরে অনুষ্ঠিত হবে বাউল গান। তার আগে বাংলা একাডেমি চত্বরে শিশুদের জন্য থাকবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবারের বর্ষপূর্তির আলোচনার প্রতিপাদ্য ‘উইল ফর চিলন্ড্রেন’। যেখান থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর ও শিশুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধেরও দাবি জানানো হবে।

২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেন কৈলাস সত্যার্থী। ১৯৫৪ সালের ১১ জানুয়ারি ভারতের মধ্যপ্রদেশে জন্ম নেন তিনি।

১৯৮০-এর দশকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে পুরোদমে শিশু অধিকারের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন কৈলাস। গড়ে তোলেন ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলন, যে সংগঠনটি সারা ভারতে এ পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও বেশি শিশুকে শ্রমের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছে। এসব শিশুর পুনর্বাসন আর শিক্ষাও নিশ্চিত করেছে ‘বাচপান বাঁচাও’। দুই দশক ধরে শিশুদের জন্য কাজ করা মানুষটি নোবেল পুরস্কারও উৎসর্গ করেছিলেন শিশুদের জন্য।

জাতীয়

শীত পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। শুক্রবার এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড চলে যায় রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে। সেখানে এদিন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। তাপমাত্রার এই ঊর্ধ্বগতি আরও ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে রোববার শুরু দেশের সবচেয়ে শীতকালীন মাস মাঘ। প্রথম দিন থেকেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি)। এদিকে ফরিদপুরের সালথায় আগুন পোহানোর সময় দগ্ধ বড়ু খাতুন (৮১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শীত পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যেখানে দেশের ২৬ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল, সেখানে শুক্রবার তা ২৫ জেলায় নেমে আসে। জেলার সংখ্যা তেমন না কমলেও প্রকোপের বিচারে শীতের তীব্রতা বেশ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোথাও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ছিল না, কেবল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এর পরও শীতের অনুভূতি বেশি থাকার মূল কারণ হচ্ছে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত শীতল বায়ু এবং বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা। শুক্রবার সকালেও ঢাকায় উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছিল। আর বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। ঢাকায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বোচ্চ ছিল ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিএমডি তথ্য অনুযায়ী, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা ও বরিশালে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সাধারণত ব্যারোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর মিটারের পারদ ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তা মাঝারি ও ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।

এদিকে গত কয়েক দিনের মতো শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সূর্য আলো দিতে পেরেছে। মূলত সূর্যের উপস্থিতি দিনের বা ২৪ ঘণ্টার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়িয়ে রাখতে সহায়তা করছে। যে কারণে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রির উপরে ছিল।

শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও তার কাছাকাছি এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এর পরও শনিবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। দেশের বাকি এলাকাগুলোতে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে। রোববার বা সোমবার থেকে শীত আবারো জেঁকে বসতে পারে। ওই সময় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সালথা (ফরিদপুর) : সালথায় মেয়ে-জামাইয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে শীত নিবারণে আগুন পোহানোর সময় দগ্ধ বড়ু খাতুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার তিনি দগ্ধ হয়েছিলেন। নিহত বড়ু খাতুন সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত জলিল মোল্যার স্ত্রী।

শেরপুর : শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে সীমান্তবর্তী এ জেলা। সঙ্গে ছিল হিমেল হাওয়া। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটে। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলেছে। সরকারিভাবে ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত আছে।

দিনাজপুর : শুক্রবার রোদের ঝিলিক থাকলেও দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। অব্যাহত মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এদিন দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে অসহায় মানুষ। তবুও জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বের হন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন।

জাতীয়

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স এবার তিন মাস পর খোলা হয়েছে। এবার সেগুলোতে পাওয়া গেছে রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৭৮ টাকা।

শনিবার সকাল ৯টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, সিনিয়র সহাকরী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন।

এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ১ অক্টোবর ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। সঙ্গে ডায়মন্ডের একটি গহনাও পাওয়া গেছে। এবার ৩ মাস ৬ দিন পর দান আটটি দানবাক্স খোলা হলো।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে দানের টাকাগুলো ২০টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।

মানুষের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ পাগলা মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।

মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান জানান, এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করেন।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। এখন মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদটিকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। এছাড়াও মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সহায়তা করা হয়।

জাতীয়

দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অশোভন আচরণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব। এতে একরকম বৈরী পরিবেশ বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট আদালতগুলোতে।

কোনো কোনো ঘটনা উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালত দায়ী আইনজীবীদের তলব করে তিরস্কারসহ নানা নির্দেশনা দিয়েছেন।

এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এ ধরনের আচরণ দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশেরই নামান্তর। দেশের আইন পেশায় বহু বরেণ্য ও কীর্তিমান ব্যক্তি নিয়োজিত ছিলেন ও আছেন। কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষের হঠকারিতার জন্য এ পেশাটির প্রতি মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া যায় না। এই জন্য আইনজীবীদের মানোন্নয়নে নিয়ন্ত্রক ও তদারকি সংস্থা বার কাউন্সিলকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

দেশে গত ৬ মাসে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অশালীন আচরণের অন্তত ২০টি ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে হট্টগোল, বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের গালাগাল ও অশালীন আচরণের ঘটনা ঘটে। এতে নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা চলছে। বিচারকার্যে নগ্ন হস্তক্ষেপের অভিযোগে প্রতিবাদস্বরূপ ফেসবুকে কালো রংয়ের প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করছেন দেশের সব বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। নিজেদের ছবি পালটে ‘ব্ল্যাকআউট’ করেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারী বিচারকরা। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারকের প্রতি আইনজীবীদের আচরণ খুব খারাপ ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করেছেন। এটা বিচারাধীন ব্যাপার।

দেশে এখন মানসম্মত আইনজীবী তৈরি হচ্ছে না-এমন মন্তব্য করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, আইন পেশার মান এখন নিুগামী। এর প্রধান কারণ হলো-নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিল থেকে সনদ দিতে যে যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে তার অনেকটা শিথিল করা হয়েছে।

এছাড়া গত ১০ বছরে মামলার সংখ্যা তেমন একটা বাড়েনি। যে সংখ্যক মামলা দায়ের হয়েছে, এর তিনগুণ আইনজীবী এ পেশায় এসেছেন। যার ফলে একটা অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া বার কাউন্সিলে এখন ৪০ থেকে ৫০ হাজার ছাত্র পরীক্ষা দেন। এখানেও যোগ্যতা বিবেচনা অনেকটা শিথিল হয়ে গেছে।

একদিকে যোগ্যতা বিবেচনা শিথিল, অন্যদিকে সারা মাসের খরচের জন্য যথেষ্ট মামলা আইনজীবীরা যদি না পান, তাহলে এর প্রভাব তো পেশার মধ্যে পড়তে বাধ্য।

তিনি বলেন, এখন ৪০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ রয়েছে। বেশিরভাগ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় না। মানসম্মত আইনজীবী বের হচ্ছে না। আইনজীবীদের শিক্ষার মানও নিুমুখী। সবকিছু মিলিয়ে এ পেশাতে একটা জটিল অবস্থা তৈরি হয়েছে।

আইনজীবীদের মানোন্নয়নে বার কাউন্সিলে নেতাদের আরও সময় দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, বার কাউন্সিলের অমনোযোগের কারণে আইনজীবীদের মান বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া হচ্ছে না। নেতাদের প্র্যাকটিস বাদ দিয়ে পূর্ণকালীন সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অন্যদিকে বিচারকদের মানে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন তো বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া খুবই প্রতিযোগিতামূলক। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো ছাত্ররাই সেখানে সুযোগ পান। শুধু দক্ষ বিচারক হলেই কি হবে? সারা দিন যদি অদক্ষ লোকের সঙ্গে কথা বলতে হয়-এর প্রভাব তো বারে পড়বেই।

এমন পরিস্থিতির জন্য আইনজীবীদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়াকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী বিচারক এবং আইনজীবী বিচার বিভাগের দুটি অঙ্গ। এরা পাশাপাশি সহবস্থানে থাকার কথা, কিন্তু থাকছেন না। আইনজীবী বলেন, কোনো কোনো আইনজীবী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন। বিশেষ করে যারা ক্ষমতাসীন দলে থাকেন তাদের পাওয়ারটা একটু বেশি মনে হয়।

তারা মনে করেন, খুব পাওয়ারফুল (ক্ষমতাশালী), সব জায়গায় ক্ষমতা খাটাতে চান। যখন বিচারক আসামিকে জামিন দেন না, বা কোনো একটা অনিয়মের ব্যাপারে বিচারক কথা বলেন, তখন ওইসব আইনজীবী এটা সহ্য করতে পারেন না। তখনই বিপত্তি ঘটে। ক্ষমতাটা তারা বিচার বিভাগেও প্রয়োগ করতে চান।

তিনি আরও বলেন, আমার দৃষ্টিতে বার কাউন্সিল একটা অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আইনজীবীদের কন্ট্রোল বিশেষ করে শৃঙ্খলা, শিক্ষা, ট্রেনিং, সবকিছুর একটা কর্মসূচি থাকা দরকার। তা না হলে বিচার বিভাগের জন্য এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। বার এবং বেঞ্চের যদি সমন্বয় না থাকে, তাহলে বিরোধ বাড়বেই, অবস্থা আরও খারাপ হবে। আর বর্তমান পরিস্থিতি বিচার বিভাগের জন্য একটা সংকট তৈরি করবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলার অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছেন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান। তিনি শনিবার বলেন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন। এসব ঘটনায় বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আইনজীবীরা আদালতকে সাহায্য করেন। আইনজীবীরা ঠিকই আছেন, কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো বার কাউন্সিলের নজরে যখনি আসছে, তখনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনের শাসন বাস্তবায়নে আইনজীবীরা বদ্ধপরিকর।

১ ডিসেম্বর শীতকালীন ছুটির আগে আদালতের শেষ কার্যদিবসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে কয়েকজন আইনজীবী দুপুরের দিকে কয়েকটি মামলা দাখিল করেন। কিন্তু দাখিলে বিলম্ব হওয়ার কারণে বিচারক মামলাগুলো গ্রহণ করেননি। এর জের ধরে ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে গালাগালি ও অশালীন আচরণের ঘটনা ঘটে। বিচারকের সঙ্গে এজলাস চলাকালে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে গালাগাল করছেন। এ ঘটনায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর একটি চিঠি পাঠান বিচারক মোহাম্মদ ফারুক।

শুনানি শেষে ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ তিন আইনজীবীর প্রতি আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট। রুলে তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়। এরপর বিচারককে গালাগাল ও অশালীন আচরণের ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন।

এছাড়া ২২ নভেম্বর খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক (বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ) নির্মলেন্দু দাশের সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীকে তিরস্কার করেন হাইকোর্ট।

১৭ অক্টোবর পিরোজপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) আবু জাফর মো. নোমানের বিচারিক কাজে বাধা, হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগের ব্যাখ্যা জানতে ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিনকে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৬ নভেম্বর ইচ্ছেমতো আদালত পরিচালনা, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতের সার্বিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। ১৩ জুন লক্ষ্মীপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারেক আজিজের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা।

জাতীয়

বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন তৈরি করছে সরকার। আইন কার্যকর হলে বিদ্যমান অধ্যাদেশটি বাতিল হয়ে যাবে।

নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে কোনো এনজিও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবে না। দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের পরিপন্থি কাজে সম্পৃক্ত হলে নিবন্ধন বাতিল করা হবে।

এছাড়া এনজিও পরিচালনায় দুর্নীতি হলে কার্যক্রম স্থগিত, কার্যনির্বাহী পরিষদ বাতিল করে প্রশাসক বা তত্ত্বাবধায় নিয়োগ দেবে সরকার। কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রতিকারের জন্য উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।

খসড়া আইনটিতে শ্রেণিবিশেষকে আইনের সব অথবা বিশেষ বিধান পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতি ১০ বছর পর এনজিওর নিবন্ধন নবায়ন করতে হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় খসড়া আইনটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নিচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থার (এনজিও) নিবন্ধন ও ব্যবস্থাপনা আইন-২০২২ নামে এটি অভিহিত হবে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম শনিবার বলেন, অধ্যাদেশটি ১৯৬১ সালে তৈরি। এটি পুরোনো। এখন অধ্যাদেশটি আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। এতে নতুন বিধিবিধান যুক্ত হবে। তবে কাউকে হেনস্তা করার জন্য আইন করা হচ্ছে না। তাছাড়া অংশীজনরা যে মতামত দেবেন, সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেব।

খসড়ায় বলা হয়, কোনো বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) যদি জনস্বার্থ বিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধানবিরোধী কোনো কাজে সম্পৃক্ত হয়, তবে সরকার ওই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করবে। সার্বিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি নিবন্ধন বাতিলের তারিখ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্তি ঘটবে। এছাড়া আর্থিক অনিয়ম তথা দুর্নীতি কিংবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অব্যবস্থাপনা পাওয়া গেলে এনজিওর কার্যক্রম স্থগিত করা হবে।

উপযুক্ত তদন্তে যদি এনজিওটির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক বা একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে বা তাদের বহিষ্কার করা হবে। এরপর সরকার নির্দিষ্ট মেয়াদে এনজিওতে প্রশাসক অথবা পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ নিয়োগ করবে।

সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির মতোই প্রশাসক বা তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। তবে নিবন্ধন বাতিল হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংস্থা প্রতিকারের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদনে এই আইন বাধা হবে না।

নিবন্ধন বাতিল ও স্থগিতের ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক গঠিত আপিল কমিটির কাছে আপিল করবেন। আপিলের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। যদি আপিল কমিটি নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিতের আদেশ বহাল রাখে তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কিংবা সংস্থা সমাজকল্যাণ সচিব অথবা উচ্চ আদালতে প্রতিকার দাবি করতে পারবেন।

আর নির্দোষ প্রমাণিত হলে ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে এনজিওর গঠনতন্ত্র অনুসারে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেই ক্ষেত্রে প্রশাসক বা তত্ত্বাবধায়ক কমিটি বিলুপ্ত হবে।

নিবন্ধন ছাড়া যেমন কোনো এনজিওর কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। তেমনি যথাযথ নিয়ম প্রতিপালন ছাড়া কোনো এনজিওর কার্যক্রম বন্ধও করা যাবে না। আইনের শিডিউলের বাইরে গিয়ে কোনো এনজিও নিবন্ধন নেওয়া যাবে না। এমনকি নামের ছাড়পত্রেও যদি কোনো ধরনের অগ্রহণযোগ্য শব্দ পাওয়া যায়, তবে এনজিওর নাম আংশিক কিংবা পুরোটাই বাতিল করবে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ। সেই ক্ষেত্রে নতুন করে নামের ছাড়পত্র নিয়ে এনজিওর নিবন্ধন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এনজিও বলতে কি বোঝায় তা স্পষ্ট করতে আইনের খসড়ায় বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্বেচ্ছাসেবকমূলক কাজ পরিচালনার জন্য এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর নিবন্ধন রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে। এছাড়া বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নিজস্ব আইনে নিবন্ধিত সংস্থা বাংলাদেশে কাজ করতে এলে এই আইনের আওতায় আসবে। এছাড়া কোনো স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা, সংগঠন, ফোরাম, সমিতি, ফাউন্ডেশন, শিশুসদন, ট্রাস্ট, বিশেষ বিদ্যালয়, পাঠাগার, অলাভজনক প্রতিষ্ঠানও এর ভেতর পড়বে। ব্যক্তি নয় সংস্থার নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির এনজিওর সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হবে।

সরকারের পক্ষে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ হবে সমাজসেবা অধিদপ্তর। সংস্থাটি এনজিওর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করবে। নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর এনজিওর সব সম্পত্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরকারি ফান্ডে জমা হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজি বিধি মোতাবেক এই সম্পত্তি বিলি বণ্টন করবেন।

খসড়ায় বলা হয়, আইনের বিধান ভেঙে রাষ্ট্র ও জনস্বার্থবিরোধী কোনো কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের সাজা ভোগ করতে হবে। এজন্য আইনে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের কথা বলা আছে। তফশিলের বাইরে গিয়ে কেউ এনজিও পরিচালনা করতে পারবে না। এই আইন বাস্তবায়িত হলে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাগুলোর (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ বাতিল হয়ে যাবে।

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদের চতুর্থ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী সরকারের বর্তমান মেয়াদের চতুর্থ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ভাষণ দেবেন।’

তার এই ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনে সম্প্রচার করা হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।

জাতীয়

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাংবাদিকদের মোশাররফ হোসেন বলেন, দুদকের মামলায় তারেক ও তার স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সম্প্রতি আদালতে প্রতিবেদন এসেছে- তারেক ও তার স্ত্রী পলাতক। এ নিয়ে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পলাতক আসামির সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন। ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক, জোবায়দা ও জোবায়দার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অপরদিকে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন জোবায়দা রহমান। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার আবেদন খারিজ করে রায় দেন। মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। সেটিও গত বছরের ১৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর বিচারিক আদালতে বিচার শুরু হয়।

একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডিত তারেক রহমান এক যুগের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

অপরদিকে বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

জাতীয়

আজ রাত নয়টার কিছু পরে কক্ষ থেকে বের হন কবির বিন আনোয়ার। এসময় সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন। দায়িত্বটা কী তা সময়ে সময়ে আপনারা জানতে পারবেন। কাজের মধ্য দিয়ে তা আসতে আসতে স্পষ্ট হবে।

আপনি যে চেয়ারে বসলেন তা তো আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যানের চেয়ার- আপনি সেই দায়িত্ব পালন করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেসব কাজও থাকবে।

আপনি প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা বা দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হচ্ছেন কীনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমার নরমাল অবসর হয়েছে ৩ জানুয়ারি। এবং তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা আমাকে কিছু কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। এতটুকুই আপাতত থাক।

আপনি এখানে আসার পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আপনাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন।ওনার সঙ্গে কি কথা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন সেখানে অনেক ভিড় ছিল। আলোচনা তেমন কিছু হয় নাই। তবে আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে যদি বলি, আমার ছাত্ররাজনীতি শুরু হয়েছিলো ১৯৮০-৮১ সালে। তখন কাদের ভাই (ওবায়দুল কাদের) ছিলেন আমাদের সভাপতি। আজ তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ফলে আজ আমার ফিলিংসটা হলো এমন যে, আজকে আমি আমার নিজের ঘরে ফিরে এসেছি, বাড়িতে ফিরে এসেছি, নিজের মহল্লায় কিংবা সেই গ্রামে ফিরে এসেছি।

এখন কী আপনি পুরোপুরি রাজনীতিতে সময় দেবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা বলাই বাহুল্য যে পদে বা যেখানে কাজ করব এটা তো রাজনৈতিক অফিস। ওই যে বললাম আমি আমার পুরনো জায়গায় আবার ফিরে এসেছি। সরকারি চাকুরি তো অনেকদিন করলাম। প্রায় ৩৫ বছর। আমার চাকরির মেয়াদ শেষ হলো ৩ জানুয়ারি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে কাজের বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সময়ে সময়ে জানা যাবে। সামনে আপনারা দেখবেন। ইউ সি। এখন এটা বলার মতো পরিবেশ হয় নাই।

জাতীয়

বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে ৫৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ছয়জন, বগুড়া-৪ আসনে ৯ জন, বগুড়া-৬ আসনে ১৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ৬ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এসব আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। রাতে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতার এসব তথ্য জানিয়েছে।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন। বাকি দুই আসনে সরকারি দলের কোনো প্রার্থী নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঞা প্রার্থী হলেও সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। তবে জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এসব আসনে ভোটগ্রহণ হবে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও): ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপ-নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জাকের পার্টির এমদাদ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনে ১৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আশুগঞ্জে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (স্বতন্ত্র), বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব শাহজাহান আলম সাজু (স্বতন্ত্র) ও জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।

সরাইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাইলে মোট ৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- জাতীয় সংসদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী পাঁচবারের সাবেক সংসদ-সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টি থেকে দুবারের সাবেক সংসদ-সদস্য জিয়াউল হক মৃধা (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু (স্বতন্ত্র) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম (স্বতন্ত্র) ও সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মোহন মিয়া (স্বতন্ত্র)। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আশুগঞ্জ দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) শাহ মফিজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ): চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট) আসনে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমান মনোনয়ন জমা দেন। গোমস্তাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আওয়ামী লীগ নেতা রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার ও গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম বাচ্চু, জাতীয় পার্টির আ. রাজ্জাক, বিএনএফের নবীউল ইসলাম ও জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা মনোনয়নপত্র জমা দেন।