জাতীয়

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধে বাঁধ তৈরি হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম সমুদ্র সৈকতে নির্মিত মাল্টিফাংশনাল ডায়েক-এর আদলে এই বাঁধ করা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধ এবং সৈকতের প্রশস্ততা বৃদ্ধি সম্পর্কিত ডিজাইন স্থানীয় সংসদ সদস্যদের পরামর্শক্রমে আরও যুগোপযোগী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। সেই সুপারিশের আলোকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙন রক্ষার্থে মাল্টিপারপাস বাঁধ নির্মাণ এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সমন্বিত উন্নয়ন ডিজাইন অনুযায়ী প্রণয়ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের মতামত এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবিত ডিপিপিকে ব্যয় সাশ্রয়ী আকারে পুনর্গঠনের কাজ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট মাঠ দপ্তরে চলমান রয়েছে।

এতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটির আরেকটি সুপারিশ ছিল- আশেপাশের দেশগুলো যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের সৈকতগুলোর ভাঙনরোধ করেছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধ করার স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতেই জানানো হয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলাকালে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে সমুদ্র সৈকতে ভাঙন রোধে নেওয়া স্থায়ী ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম সমুদ্র সৈকতে নির্মিত মাল্টিফাংশনাল ডায়েক-এর আদলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কিছু অংশে বাঁধ নির্মাণের ডিজাইন করা হয়েছে।

গত ২৮ নভেম্বরে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে আশেপাশের দেশগুলো কিভাবে ও কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাঙন থেকে তাদের বিচগুলো রক্ষা করছে, সে বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

সংসদীয় কমিটির সদস্য ও বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী যুগান্তরকে বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপদানের উদ্দেশ্যে সমুদ্রের ভেতরে রানওয়ে সম্প্রসারণ করার নতুন এই প্রকল্পে এখনো কনসালট্যান্ট নিয়োগ করা না হলেও অন্যান্য কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

জাতীয়

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আরও ৫ হাজার পদ বেড়েছে। ইতোপূর্বে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।

এরসঙ্গে এখন নতুন পদ যোগ করে এখন সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর এই নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর এই ফল প্রকাশ করা হবে। এ লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

৫ হাজার পদ বাড়ানোর প্রথম কারণ হচ্ছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা অবধি সবসময়ই প্রার্থীদের একটি অংশ অপেক্ষাকৃত ভালো পদে চাকরি পেয়ে চলে যায়। তাই তারা নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হলেও যোগদান করেন না। তাই সাড়ে ৩২ হাজার প্রার্থীর সবাইকে নাও পেতে পারি। ফলে বিদ্যালয়ে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে সেটা প্রত্যাশা অনুযায়ী পূরণ নাও হতে পারে। আর তেমনটি হলে আরেকটি নিয়োগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভূগবে। এই বিষয়টি রেখেই পদ সংখ্যা বাড়নো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ২৬ মাস আগে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রক্রিয়া শেষ করতে দেরি হয়। অন্যদিকে প্রতিবছর গড়ে ৭-৮ হাজার শিক্ষক অবসরে যান। সেই হিসাবে শূন্যপদের সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে গেছে।

এই অবস্থায় বিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্ট শিক্ষক সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে আরও কিছু পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। সেই অনুযায়ী চলতিবছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত শূন্য হওয়া পদ যুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, উল্লেখিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পরে বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় ফল তৈরি করা হয়। মোট তিন ধাপে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এতে প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী।

২০১৯ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ৮ ধারার ২ নম্বর উপধারার (ঘ) অনুযায়ী ৬০ শতাংশ পদে নারী শিক্ষক নিয়োগ পাবেন। অবশিষ্ট পদে পোষ্য ২০ শতাংশ ও বাকিরা পুরুষ প্রার্থী। নিয়োগের ক্ষেত্রে আবার ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থী মেধা অনুযায়ী বিবেচিত হবেন।

জাতীয়

চলতি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের সুবিধা মতো সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের (উত্তরা-আগারগাঁও অংশ) উদ্বোধন করবেন। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠিয়েছে ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

সোমবার রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় মেট্রোরেল এক্সিবিশন ইনফরেশন সেন্টারে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন ছিদ্দিক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আমরাও অপেক্ষায় আছি। আমরা যেকোনো দিন তারিখ পেয়ে যেতে পারি। তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এমএএন ছিদ্দিক আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার জন্য সরকারের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কীভাবে উদ্বোধন হবে, কোন সময়টি উদ্বোধনের জন্য উপযুক্ত—এসব বিষয়ে।

ডিসেম্বরের শেষে মেট্রোরেল উদ্বোধন করার তিনি বলেন, এ মাসে উদ্বোধন না হওয়ার মতো কিছু এখনও শুনিনি। ফলে এ মাসেই এটি উদ্বোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি সামনে রেখে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে উদ্বোধনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে মেট্রোরেল। প্রধানমন্ত্রীর সুবিধা মতো সময়ে এটি উদ্বোধন করা হবে।

১২টি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হলেও ১০টিতে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করা হবে জানিয়ে এমএএন ছিদ্দিক বলেন, বাকি দুটি যেকোনও সময়ে চলাচলের জন্য ডিপোতে প্রস্তুত থাকবে। ট্রেন দুটি পরিচালনার কর্মকর্তারাও প্রস্তুত থাকবেন। যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকটি মাথা রেখে সবসময় ব্যাকআপ রাখতে হয়।

মেট্রোরেল চালুর জন্য শতভাগ প্রস্তুত আছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সবশেষ কাজটি ছিল সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের কাজ। এই কাজ করতে আমরা তিন মাস সময় লাগবে বলেছিলাম। কিন্তু কাজগুলো রাতে ও দিনে করে আমরা তা ইতিমধ্যে শেষ করেছি। এখন সিস্টেম ট্রায়াল বা সার্ভিস ট্রায়াল চলছে। আগামী কয়েক দিনের ভেতরে পুরোপুরি সার্ভিস ট্রায়াল শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।

জানা গেছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলমান। এরমধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করা হবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে।

জাতীয়

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, বীর শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক পরিবেশ পায়নি, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ পায়নি, সুশাসন পায়নি, সম্পদের সুষম বণ্টন হয়নি। মানুষের স্বাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। সব কিছুই দলীয়করণ করা হয়েছে। বায়ান্ন বছরেও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ পায়নি মানুষ। নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা এখনো একমত হতে পারিনি।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলব- একসঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে আসা জরুরি।

তিনি বলেন, পাঁচ কোটি মানুষ বেকার। বেকারদের আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। কর্মবিমুখ শিক্ষা ব্যবস্থায় সার্টিফিকেট নিয়ে বসে আছে যুবসমাজ, তাদের জন্য কাজ নেই। আমরা একটি কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চাই। আমরা অনেক বড় বড় প্রকল্প করি, কিন্তু হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেই। হাসপাতালে সিট নেই, তাই বাথরুমের সামনে, বারান্দায় মানুষ শুয়ে থাকে। অথচ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা জরুরি। ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারে, সেজন্য কিছু কিছু বিষয়ে ঐকমত্য প্রয়োজন। বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থা বিকেন্দ্রিকরণ বিষয়ে ঐকমত্য হলেই আগামী প্রজন্ম স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারবে।

বুধবার সকালে মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতীয় পার্টির পক্ষে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে। তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট করেছে। সে কারণেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে দেশের মানুষ আর চায় না। মানুষ এখন তৃতীয় একটি শক্তিকে চায়। দেশের মানুষ মনে করে জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে সুশাসন দিতে পারবে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তখন বিএনপি বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আবার ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন আওয়ামী লীগ বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট বিজয়ী হলে বিএনপি বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আসলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার প্রমাণ করেছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। আমরা চাই, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে আনুপাতিক হারে নির্বাচন হোক। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

এর আগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় মহিলা পার্টির উদ্যোগে এক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির পক্ষে জাতীয় মহিলা পার্টির র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা আক্তার এমপি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হেনা খান পন্নী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা পার্টি ঢাকা উত্তরের সভানেত্রী সেলিমা খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীরা।

র‌্যালিতে আরও অংশ নেন- জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর, জাতীয় তরুণ পার্টি, জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় পেশাজীবী সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটি, জাতীয় ছাত্রসমাজ এবং জাতীয় কৃষক পার্টি ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা আখতার এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদের এমপি, উপদেষ্টা এমএ কুদ্দুস খান, আমানত হোসেন আমানত, হেনা খান পন্নী, জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচএম শাহারিয়ার আসিফ, ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, মো. সাইফুল ইসলাম, কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, যুব সংহতির সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা পার্টির সভাপতি ডা. সেলিমা খান, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ, তরুণ পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন মৃধা, যুব বিষয়ক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম শেখ, মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, গোলাম কাদির, মোটর শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শিপন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, হকার্স পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি মো. আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান, ওলামা পার্টির সহ-সভাপতি ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, পেশাজীবী পার্টির সদস্য সচিব বাহারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুব সংহতির আহবায়ক শেখ সারোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি মহানগর উত্তরের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া ও ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন থানার নেতাদের মধ্যে আলমাস উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম সেলিম, এসএম হাশেম, আমিনুল ইসলাম সেলিম, ড. নাসির উদ্দিন কবুল, মো. আলমগীর হোসেন, আব্দুস সাত্তার, আবুল বাশার, শাখাওয়াত হোসেন, রিয়াজ আহমেদ, মোহাম্মদ আলী, রেজাউল করিম প্রমুখ।

জাতীয়

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ খুন নয়, আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানান ডিবিপ্রধান হারুন।

হারুন বলেন, ঘটনার তদন্ত করে ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।

কেন ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছে ডিবি- তার বেশ কিছু কারণ জানিয়েছে সংস্থাটি।

**ভিকটিম ফারদিন নূর পরশ অন্তর্মুখী ছিল। সবার সঙ্গে সব কিছু শেয়ার করতে পারত না।

**তার রেজাল্ট গ্রাজুয়ালি খারাপ হচ্ছিল। ১ম সেমিস্টারে ৩.১৫ তারপর কমতে কমতে ২.৬৭; যেটা বাসার লোকজন বা আত্মীয়স্বজন কেউ জানত না ।

**বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে স্পেন যাওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল, যেটা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিল। বন্ধুরা ৪০ হাজার টাকা দেয়।

**নিজে টিউশন করে চারটা। সব টাকা দিয়ে নিজের ও ছোট ২ ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ চালায়। নিজের জন্য কিছু করে না। তারপরও বাড়িতে শাসন তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে। হলে থাকা যাবে না। এক ধরনের চাপের মধ্যে ছিল- যেটা ভিকটিম মানতে পারেনি।

**ফারদিন নূর পরশের ২টা নাম্বারে বি-পার্টি ছিল সর্বমোট ৫২২টি। ওই দিন রাতে সে যেখানে যেখানে ঘুরেছে তার সেলে কোনো বি-পার্টি আমরা সার্চ করে পাই নাই একই অবস্থানে। সে যেভাবে উন্মাদের মতো ঘুরে বেড়িয়েছে তাতে প্রতীয়মান হয় যে, মানসিকভাবে ডিস্টার্বড ছিল। কারো সঙ্গে ওই দিন রাতে দেখা করে নাই। সে বাবুবাজার ব্রিজ টার্গেট করে। ১০:৫৩, ১১:০৯ এ সময় বাবুবাজার ব্রিজ অনেক ব্যস্ত থাকায় সম্ভবত সে ওখান থেকে পিছপা হয়। তারপর নিজের সাথে নিজে কথা বলে সময় নেয়। তারপর আবার তার নিজের বাসা অতিক্রম করে ডেমরা সেতুতে যায়। শেষ গ্রামীণ নাম্বারের আইপিডিআরে তার অবস্থান সেতুর উপর অনুমান করা হয়। গ্রামীণ নাম্বারের ফোরজি সেল ১৩, ৩২, ৩৩ তার লোকেশন যেটা লেগুনা ড্রাইভার যেখানে নামিয়েছিল বলছে তার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। বিশেষ করে ৩২ সেলটা ঠিক ব্রিজের ওপর দেখায়। নদীর এপার বা ওপার গেলে ৩২ সেল পাওয়া যায় না। এটাতে প্রতীয়মান হয় যে, সর্বশেষ সেতুর ঠিক মাঝখানে তার অবস্থান ছিল।

**এরকম একটা উদাহরণ আছে- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছিল; আত্মহত্যার আগে সারারাত ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একা একা ঘুরে বেড়িয়েছিল। আমাদের ভিকটিমও এরকম একা একা ঘুরে বেড়িয়েছে উদ্দেশ্যহীনভাবে। বুশরাকে রাত ৯.৪৫ মিনিটে নামানোর পর উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে এবং কারো সঙ্গে দেখা করে নাই। তার গত ১ বছরের সিডিআর পর্যালোচনা করলে পূর্বে কখনো এমন দেখা যায় নাই।

**ফারদিনের বান্ধবী ইফাত জাহান মুমুর সঙ্গে মেসেঞ্জারে এবং টেলিগ্রামে অনেক কথোপকথন রয়েছে; যেখানে ফারদিন তার হতাশার কথা ব্যক্ত করেছে বহুবার। মুমুর ভাষ্যমতে, ফারদিন হতাশাগ্রস্ত ছিল। সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

**যে ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছেন তাদের সঙ্গে আমরা অনেকবার যোগাযোগ করি। ভিসেরা রিপোর্ট এখনো আসে নাই। আসলে পূর্ণাঙ্গ মতামত তারা দেবেন। প্রাথমিকভাবে যেটা দিয়েছে সেখানে মাথায় আঘাতের কথা বলা আছে। কিন্তু খুবই সামান্য আঘাত যেটাতে মৃত্যু নিশ্চিত হবে না বলে মৌখিকভাবে জানান। এই আঘাতে সর্বোচ্চ অজ্ঞান হতে পারে মর্মে জানান তারা। যদিও মিডিয়ার সামনে বলে ফেলেছেন- মাথায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন থাকলে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে উঠে আসতো। সুরতহাল রিপোর্টে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

জাতীয়

পালটে যাচ্ছে দেশের ৭ বিমানবন্দরের অবকাঠামো। বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় বর্তমানে ৩৫ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার কাজ চলছে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পগুলোর কাজের সমাপ্তি ঘটবে।

এভিয়েশন খাতের মেগা প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম উদ্বোধন হবে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের এই টার্মিনালটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। এই প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ। এখন চলছে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা আর টার্মিনাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ নিয়োগের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এই প্রকল্পটির অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু এখন সময়ের ব্যাপার।

এটি শুরু হলে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত শাহজালালের যাত্রী আর কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের চাহিদা পূরণ হবে। ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এতে পালটে যাবে দেশের বিমানবন্দরগুলোর অবকাঠামোগত চেহারা। প্রতিটি বিমানবন্দর হবে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন। তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও বেবিচকের প্রকৌশলীরা এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে দিনরাত কাজ করেছেন। প্রতিটি কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়মকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। ইকুইপমেন্ট ও নিরাপত্তা সামগ্রীর মান ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড করা হয়েছে। তার মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তারা প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেবিচকের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ২-৩ বছরের জন্য এখানে নিয়োগ পান। প্রথম এক-দেড় বছর তাদের কাজ শিখতে সময় চলে যায়। যখনই তারা পুরোপুরি অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন তখনই তাদের অন্যত্র পোস্টিং দেওয়া হয়। যা বড় প্রকল্পগুলোর কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে।

এই মুহূর্তে যদি এমন কোনো পরিস্থিতি হয় তবে থার্ড টার্মিনালসহ বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ছন্দপতনের শঙ্কা আছে। তাই চলমান প্রকল্পগুলোর যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সরকারকে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) : এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শাহজালালের যাত্রী হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি ১০ মিলিয়ন থেকে ২২ মিলিয়নে দাঁড়াবে। কার্গো হ্যান্ডেলিং ২ লাখ ২০ হাজার টন থেকে ৭ লাখ টনে উন্নীত হবে। এছাড়া টার্মিনাল ইকুইপমেন্ট ও সিকিউরিটি ইকুইপমেন্টসহ নতুন প্যাসেঞ্জার বিল্ডিং (থার্ড টার্মিনাল-২৭২০০০ বর্গমিটার) নতুন কার্গো কমপ্লেক্স ৬৩ হাজার বর্গমিটার, র‌্যাপিড এক্সিট টেক্সিওয়ে ১৯৫০০ বর্গমিটার, অ্যাপ্রোন ৫৪২০০০ বর্গমিটার ও কানেক্টিং টেক্সিওয়ে ৬৬৫০০ বর্গমিটার, টানেলসহ বহুতল কারপার্কি ৬২০০০ বর্গমিটার, যন্ত্রপাতিসহ ফায়ার ফাইটিং স্টেশন ৪০০০ বর্গমিটার, এন্ট্রি ও এক্সিট র‌্যাম্পসহ রোড নেটওয়ার্ক, ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম, সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট, ইনটেক পাওয়ার প্ল্যান্ট, কার্গো ইকুইপমেন্ট ক্রয়, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সুবিধা তৈরি হবে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

শাহজালালের বর্তমান এক্সপোর্ট কার্গো অ্যাপ্রোন সম্প্রসারণ : ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের আওতায় ৭৩৫৪৮ বর্গমিটার কার্গো অ্যাপ্রোন নির্মাণ কাজ এখন চলমান। প্রকল্পের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ। এটি বাস্তবায়নের পর অ্যাপ্রোনে অতিরিক্ত ৪টি সুপরিসর কার্গো এয়ারক্রাফট পার্ক করতে পারবে।

শাহজালালে জেনারেল এভিয়েশন হ্যাঙ্গার নির্মাণ, হ্যাঙ্গার অ্যাপ্রোন ও ফায়ার স্টেশন সম্প্রসারণ : ৪৩০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের রয়েছে ২৩৫৮৯ বর্গমিটার জেনারেল এভিয়েশন হ্যাঙ্গার নির্মাণ, ৬৫০৬৮ বর্গমিটারের হ্যাঙ্গার অ্যাপ্রোন, ২৯৯৮৮ বর্গমিটারের নতুন পার্কিং এরিয়া ও ৫ তলাবিশিষ্ট ৫০০০ বর্গমিটারের ফ্লোরস্পেসের ভবন তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে।

ঢাকার কুড়িলে হ্যালিপোর্ট : ৫০৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হেলিকপ্টারের নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণ সুবিধা নিশ্চিত করা। প্রকল্পের কাজ চলমান।

শাহ আমানতের বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ ও বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরামর্শক সেবা : ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ফুল লোডেড বোয়িং ৭৭৭ বিমান রানওয়েতে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। প্রকল্পের আওতায় রানওয়ের শক্তি (পিসিএন) ৬৬ থেকে ৯১-তে উন্নীত হবে। এছাড়া ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দরের বিস্তারিত ড্রয়িং সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, ড্রয়িং-ডিজাইন, ব্যয় প্রাক্কলন ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের কাজ চলছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পে ১৩৬ কোটি টাকার কাজ চলমান। এজন্য মাদারীপুর ও শরীয়তপুর এ ২টি স্থানকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ : এই প্রকল্পের আওতায় ৪৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি ৪১ পিসিএন থেকে ৯০ পিসিএনে উন্নীত করা হচ্ছে। কাজের ৯৯ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এই বিমানবন্দরে পুরো দমে বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারবে। ইতোমধ্যে এই রুটে লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট চালু হয়ে গেছে।

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প : ২৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের আওতায় ৩৪৯১৯ বর্গমিটার প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ৬৮৯২ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ারসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। যদিও প্রকল্পের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার একগুঁয়েমির কারণে প্রকল্পটির মাত্র ১৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়-তৃতীয় সংশোধনী) : ২০১৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬৭৭৫ ফুট দৈর্ঘ্যকে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত, সোল্ডারসহ ১৫০ ফুট প্রস্থকে ২০০ ফুটে উন্নীতকরাসহ রানওয়ে লাইটিং ব্যবস্থার উন্নতি করা হচ্ছে। এছাড়া ৩৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬ হাজার থেকে ৭৫০০ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে। রানওয়ের চওড়া ১শ থেকে ১৫০ ফুট করা হচ্ছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন প্রকল্প : ২৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটির ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এর আওতায় ১০৯১৩ বর্গমিটার টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। ঝিনুক আকৃতির এই ভবনটি খুবই দৃষ্টিনন্দন। এতে আন্তর্জাতিক মানের সব সুযোগ-সুবিধা থাকছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প : ৩৭০৯ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি ২০১৯ সালে শুরু হয়। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর আওতায় রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট থেকে ১০৫০০ ফুটে উন্নীত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই বিমানবন্দরে পূর্ণ লোডে সুপরিসর বিমান চলাচল করতে পারবে। এতে স্থানীয় যাত্রীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট মুভমেন্ট বাড়বে। এতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে। এছাড়া ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কানেকটিং টেক্সিওয়ে ও প্যারালাল টেক্সিওয়ে নির্মাণ বর্তমানে চলমান রয়েছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন : ৩১ কোটি টাকা এই প্রকল্পের আওতায় একটি অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। এটি বাস্তবায়ন হলে বিল্ডিংয়ের ক্যাপাসিটি ৩১০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭০ জনে উন্নীত হবে। এছাড়া এই বিমানবন্দরের জন্য একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, অটোমেশনসহ কার্গো ভবন, অ্যাপ্রোন, টেক্সিওয়ে, কন্ট্রোল টাওয়ারসহ অপারেশনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এই বিমানবন্দরকে রিজিওনাল বিমানবন্দর বানানোর জন্য ৮৫১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

যশোর টার্মিনাল ভবন সম্প্রসারণ : ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরনো টার্মিনাল ভবনে যাত্রী ক্যাপাসিটি ৩০০ জন থেকে বাড়িয়ে ৬০০ জনে উন্নীত করা হচ্ছে। প্রকল্পটির কাজ ৯৯ শতাংশ শেষ। এছাড়া ৫৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ৩ বিমানবন্দরের উড্ডয়ন-অবতরণ সহজ হবে। এই প্রকল্পে রানওয়ের পিসিএন ১৭ থেকে ৫০-এ উন্নীত করা হচ্ছে।

রাজশাহীর টার্মিনাল ভবন সম্প্রসারণ : ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে টার্মিনাল ভবন, ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল ও কন্ট্রোল টাওয়ার নির্মাণসহ যোগাযোগ ও নিরাপত্তা যন্ত্রাবলি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে বর্তমান টার্মিনালের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ২৬০ থেকে ৮৫০-এ উন্নীত হবে। এছাড়া বর্তমান রানওয়ে বাড়িয়ে ১০ হাজার ফুটে উন্নীত করা হবে।

জাতীয়

বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য রোববার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রোববার বেলা ১১টায় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন।
এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপি দলীয় এমপিরা।

সমাবেশে বিএনপি দলীয় এমপি মোশাররফ হোসেন বলেন, আমারা পদত্যাগ করে এখানে এসেছি।

আরকেএমপি রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা দলীয় সিদ্ধান্তে গিয়েছিলাম। সংসদে জনগণের দুর্ভোগের কথা বলা যায় না। এই পরিস্থিতিতে সংসদে থাকা আর না থাকা সমান কথা। আমরা ই-মেইল পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

৩৫০ আসনের সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান। আর সংরক্ষিত নারী আসন কোটায় এমপি হন রুমিন ফারহানা।

জাতীয়

আলোচিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিবের নেতৃত্বে একটি লাঠি মিছিল হয়েছে।

বিএনপি কর্মসূচির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে শনিবার তিনি মাঠে নামেন। সকাল ১০টায় মোহাম্মদপুরে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রদক্ষিণ করে আসাদগেট এসে অবস্থান নেন।

এ সময় সাবেক এই কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কয়েকশ’ নেতাকর্মী লাঠি হাতে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এছাড়া মোহাম্মদপুরের কলেজ গেট, রিং রোড, শ্যামলী বাস স্ট্যান্ড, বসিলা, বেড়িবাঁধ, ঢাকা উদ্যান, আদাবর, সুনিরবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিব ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন জেল খাটেন। গত ১৮ নভেম্বর জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহী ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৮ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময় ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গি বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১১৮ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকায় ৬১ জন ও ঢাকার বাইরে ৫৭ জন। বর্তমানে সারা দেশে এক হাজার ২১৭ জন ডেঙ্গি রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৯২ জন ও ঢাকার বাইরে ৫২৫ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ৮১৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৫৬ জন ও ঢাকার বাইরে ২১ হাজার ৯৫৭ জন। একই সময় সারা দেশে ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩৩৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ২ জন ও ঢাকার বাইরে ২১ হাজার ৩৩১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২৬৩ জন মারা গেছেন। গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ হাজার ২৬৫ জন ও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৫ জন।

জাতীয়

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ দিন উপজেলা পর্যায়ে বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষ হবে। দুই ঘণ্টার এ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

এর আগে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল থেকে প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসগুলোকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়নে প্রতিদিনের উত্তরপত্র প্রতিদিন মূল্যায়ন করতে হবে। ১৯ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে হবে। এরপর ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির ফল প্রকাশ করতে হবে।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে প্রস্তুতকৃত ডিআর ফরম ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিস সংগ্রহ করবে। উপজেলা শিক্ষা অফিস ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলায় ডিআর পাঠাতে হবে। জেলা থেকে অবশ্যিকভাবে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিআর পাঠাতে হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবেশপত্র স্কুলে পাঠাবে। স্কুল থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) এক কর্মকর্তা জানান, সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তারা তৈরি করে দিতেন, পাশাপাশি সিলেবাসও তারা করতেন।  কিন্তু বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। ফলে কয়টি বিষয়ে বা কত নাম্বারে পরীক্ষা হবে তা তারা বলতে পারছেন না।

গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবৃত্তি দেওয়ার বিকল্প মেধা যাচাই পদ্ধতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় বর্তমান প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়।

সর্বশেষ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালে। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।