জাতীয়

কক্সবাজারের রামুর কাউয়ারখোপ এলাকায় পাহাড় ধসে দম্পতিসহ একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লট উখিয়ারঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই এলাকার আজিজুর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৪৫), শাশুড়ি দিল ফুরুস বেগম (৭০) ও পুত্রবধূ নাছিমা আকতার (২৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা মোস্তফা ঘটনাস্থল থেকে জানান, রাতে খাবার খেতে বসলে পাহাড় ধসে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়। পরিবারটি সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছিল। যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের দাফন-কাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা ও জেলা প্রশাসন থেকে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ওসমান গনি জানান, আজিজুর রহমান কক্সবাজার প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এসে পরিবারের সবার সঙ্গে রান্না ঘরে খাবার খেতে বসেন। এ সময় মাটি চাপা পড়ে তার স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হয়।

রামু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া জানান, দুর্ঘটনার পরই খবর পেয়ে রামু ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি চাপা অবস্থা থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মাটির নিচে আর কেউ আছেন কিনা, তার জন্য উদ্ধার কাজ চলছে।

জাতীয়

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখা দলটির নেতাকর্মীদের সরাতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

বুধবার বিকাল তিনটার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো। আজ সকাল থেকেই পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে।এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পল্টন এলাকা। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

বিএনপি চায় তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে। কিন্তু পুলিশ বলছে, রাস্তায় সমাবেশ বা কোনো জমায়েত হওয়া যাবে না। পুলিশ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে অনড় রয়েছে। এরপর আরামবাগের আইডিয়াল স্কুলের সামনের রাস্তায় সমাবেশে জন্য বিএনপি অনুমতি চাইলে পুলিশে তাতে সাড়া দেয়নি। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইতজেমার ময়দান অথবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে বিএনপি চাইলে সমাবেশ করতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে পুলিশের কোনো আপত্তি নেই বলেও গতকাল (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

জাতীয়

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মানে নির্দিষ্ট আসন নির্ধারণ করে দিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। বুধবার সকাল থেকে তিনি এ কার্যক্রম চালু করেছেন।

জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন তাদের সম্মানে আমার পাশে একটি চেয়ার রেখেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা আমার পাশে বসে চা খেয়ে সরকারি ফির বাইরে বিনামূল্যে সেবা পাবেন। আমি মনে করি এটিই তার সম্মানের।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুইটি সেক্টর থেকে বেশি অর্থ পেয়ে থাকি। একটি হচ্ছে গার্মেন্টস অপরটি হচ্ছে রেমিট্যান্স। আর রেমিট্যান্স যোদ্ধারা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশের কারিগর। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের জন্য যেমন ত্যাগ স্বীকার করেন সেই তুলনায় তারা তেমন সার্ভিস পান না। শ্রম ও ঘামঝরা লুঙ্গি পড়া একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের পাশে বসে চা খাবে ও সেবা নেবেন এটাই তার সম্মানের।

জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মানে আসন রাখার জন্য ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এ ধারাবাহিকতা সরকারের অন্যান্য দপ্তরেও চালু হবে।

প্রসঙ্গত, জসীম উদ্দীন হায়দার মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের ৩৮তম জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন।

জাতীয়

বাংলাদেশ ২০২১ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানি বাজারে আবারো দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ২০২০ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে তৃতীয় অবস্থানে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিল।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বুধবার প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য পরিসংখ্যান পর্যালোচনা-২০২২ এ দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানিতে ভিয়েতনামের অংশ ২০২০ সালের ৬.৪০ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ৫.৮০ শতাংশে নেমে গেছে। বৈশ্বিক আরএমজি বাজারে বাংলাদেশের অংশ অবশ্য ২০২০ সালে ৬.৩০ শতাংশ থেকে গত বছর ৬.৪০ শতাংশে উন্নীত হয়। এ অনুপাত ২০১৯ সালে ৬.৮০ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ছিল ৬.৪০ শতাংশ।

ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে আরএমজি রপ্তানি দৃঢ়ভাবে বেড়েছে এবং বার্ষিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। ২০২০ সালে এই রপ্তানি একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছিল এবং ভিয়েতনামের আরএমজি রপ্তানির ৭ শতাংশ বৃদ্ধির বিপরীতে বাংলাদেশে ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।

বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানি বাজারে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অংশ ছিল ৪.২০ শতাংশ, তখন ভিয়েতনামের অংশ ছিল ২.৯০ শতাংশ। চীন ২০২০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানি বাজারে দেশটির অংশ ৩১.৬০ শতাংশ থেকে গত বছরে ৩২.৮০ শতাংশে উন্নীত করে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে।

ডব্লিউটিওর প্রকাশনা অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরএমজির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব রপ্তানিকারক। সুতরাং প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম বিশ্ব আরএমজি রপ্তানিকারক দেশ এবং ভিয়েতনাম চতুর্থ।

ইইউর সম্মিলিত রপ্তানি পরিসংখ্যান দেশভিত্তিক আলাদা করা হলে, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম দ্বিতীয় ও তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক হবে। তুরস্ক ও ভারত পঞ্চম এবং ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। এরপর রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং পাকিস্তান।

ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারকের বার্ষিক মোট রপ্তানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের ৩৭৮ বিলিয়ন থেকে একটি বড় উত্থান। এ মূল্য ২০১৯ সালে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেকর্ড করা হয়েছিল।

জাতীয়

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশ ত্যাগের আগে যেভাবে এইডস পরীক্ষা করে এইচআইভি নেগেটিভ হলে তারপর বিদেশে যেতে হয়, একইভাবে দেশে প্রবেশের সময়ও বিদেশ ফেরত কর্মীদের পুনরায় পরীক্ষা করা হবে। এতে করে আক্রান্তদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যেমন সহজ হবে, অন্যদিকে তাদের পরিবারের অন্য নিরাপদ সদস্যরাও এই রোগ থেকে রেহাই পাবেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘দেশে প্রায় ১৪ হাজার জন এইডস রোগী আছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার শনাক্ত করা গেছে। যারা নিয়মিত সরকারি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এইডস আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তারা পরিবারের কাছের সদস্যদের আক্রান্ত করছেন। দেশে ফেরার সময় নিজেরাও জানতে পারেননি যে, তারা এইডস আক্রান্ত হয়ে এসেছেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় দেশে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া প্রসঙ্গে জানান, ‘সরকার বিনামূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। চিকিৎসা নিলে এইডস রোগীরা আরও বেশি দিন সুস্থ থাকতে পারে। তবে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কথা ভেবে এইডস হলে তারা গোপন রাখে। কাউকে প্রকাশ না করে অন্যদেরও আক্রান্ত করে ফেলে। এতে করে দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।’

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন অনুবিভাগ) ডা. আশরাফী আহমদ, এনডিসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রাজেন্দ্র পোখড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, লাইন ডাইরেক্টর ডা. খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। সভায় সূচনা বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক।

জাতীয়

পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে একাদশ শ্রেণির ক্লাস। এর আগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন নিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম দফায় আবেদন নেওয়া শুরু হবে ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সভায় করিগরী ও মাদ্রাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবুবকর ছিদ্দীকসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, সাধারণ শিক্ষায় এবারও মোট তিনদফা আবেদন নেওয়া হবে। প্রথম দফায় আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে ১৫ ডিসেম্বর। এভাবে আরও দুই দফা আবেদন নেওয়া হলেও ভর্তির কাজ শেষ করা হবে ২৬ জানুয়ারি। ১ ফেব্রুয়ারি ভর্তিকৃতদের উচ্চ মাধ্যমিকের জীবন শুরু হবে।

ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নীতিমালা সোমবার প্রকাশ করা হবে। তবে এবার ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের সীমারেখা তুলে নেওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে বড় একটি সিদ্ধান্ত।

শিক্ষার্থীরা এবারও এসএমএসে কোনো আবেদন করতে পারবে না। অনলাইনে আবেদনে সর্বনিম্ন ৫টি আর সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দ তালিকায় দেবে। ভর্তির আসন বণ্টন করা হবে সম্পূর্ণরূপে মেধার ভিত্তিতে। অর্থাৎ বোর্ডে সংরক্ষিত শিক্ষার্থীদের নম্বরের ভিত্তিতে সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সিট বন্টন করবে। ম্যানুয়ালি হওয়ার সুযোগ নেই।

শিক্ষার্থীরা যে প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পাস করেছে, সেখানেই তার ভর্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবেদনে একটি মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। একই মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে একাধিক আবেদন করলে সফটওয়্যার ধরে ফেলবে। এটি করা হয়েছে মূলত স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলো যাতে তাদের ছাত্রছাত্রীদের জোরপূর্বক উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তে বাধ্য করতে না পারে। এছাড়া আবেদন ফি এবারও ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয়

বিশেষ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা সরকারের কাছে আনতে আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২২ জারি করেছেন।

সংসদ অধিবেশন না থাকলে জরুরি কোনো প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন।পরে সংসদের প্রথম বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হয়।

আগের আইনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানো বা কমানোর এই ক্ষমতা ছিল বিইআরসির। এটি সংশোধনীর কারণে বিইআরসির পাশাপাশি সরকার ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।

২০০৩ সালের প্রণীত আইনের ৩৪ ধারায় সংশোধনের পাশাপাশি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে- ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহণ ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারবে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতার মুখে এ আইন সংশোধনের প্রস্তাব গত সোমবার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ফুয়েলসহ অন্যান্য জ্বালানি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কিনা। এখন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না। সাধারণত ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইন্ড অয়েল হয়। রিফাইন্ড অয়েলটা তারা বিপিসির কাছে দিয়ে দিলে অথবা তারা সরাসরি বাজারজাত করতে পারে কিনা, সেটাও দেখতে হবে। তবে যেটা করতে হবে সেটা হলো- ক্রুড অয়েল যারা আনবে, বিটুমিনসহ অন্যান্য যে উপজাত পণ্য আসবে এগুলো হয় তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রপ্তানি করবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রিফাইন্ড অয়েলের বিষয়ে দুটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হয় তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিতে পারে বা বিপিসি তাদের অন্য কোনো মেকানিজম কিংবা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দিতে পারে। এক্ষেত্রে বিএসটিআইকে মনিটরিং রাখতে হবে যেটা রিফাইন্ড হলো সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কিনা, তা জানার জন্য। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনায় রাখতে বলা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে যেতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এক্ষেত্রে কিছু জটিলতা থেকে যায়। যেমন ৯০ দিন পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত না দিয়ে থাকতে পারে। কারণ আইনে বলা আছে, বিইআরসি ৯০ দিনের মধ্যে সব শুনানি সম্পন্ন করে সিদ্ধান্ত দেবে। অনেক সময় আমাদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন আসে। তখন সেটা তারা তাৎক্ষণিকভাবে করতে পারে না। এজন্য সংশোধনী আনা হয়েছে। এখন থেকে সরকার প্রয়োজনবোধে এই ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে মন্ত্রণালয় যে কোনো সময় তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে পারবে।

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দাম বাড়াতে বা কমাতে পারবে। বিইআরসি ৯০ দিন সময় নিয়ে শুনানি সম্পন্ন করে। অনেক সময় দাম কমে গেলে সেটা কার্যকর করতেও ৯০ দিন সময় লেগে যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার হস্তক্ষেপ করে একটা নোটিফিকেশন দিয়ে দাম কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবে। তবে স্বাভাবিকভাবে দাম সমন্বয়ের কাজ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনই করবে। শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে।

জাতীয়

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।

শনিবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তার নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সিমিন হোসেন রিমিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করায় তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন- ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আমার মেজো বোন, কাপাসিয়া-গাজীপুর থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।‘

২০২০ সালের ১৩ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ওই বছরের ৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন আরেক সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। এরপর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন আবদুল মতিন খসরু। এই তিন পদে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে জায়গা দেওয়া হয়।

সবশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের আরেকটি পদ শূন্য হয়। আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর এক মাস আগেই এ শূন্যপদে সিমিন হোসেন রিমিকে আনা হলো।

জাতীয়

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)’ সংশোধনীর প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ৩ মাস ১৫ দিনেও অগ্রগতি জানতে না পেরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার তৃতীয় দফায় চিঠি দিয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানায়।

ওই চিঠিতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে আইন মন্ত্রণালয়কে আলটিমেটামও দিয়েছে কমিশন। এটি শেষবারের মতো অনুরোধ বলেও চিঠিতে উল্লে­খ করা হয়েছে।

এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরাও তো অনন্তকাল ধরে একটা ম্যাটার পারস্যু করতে পারব না। এ জন্য আমরা বিষয়টা শেষ করে দিতে চাই। যদি আর কোনো রেসপন্স না হয়, আমরা অন্য কাজে কনসেনট্রেট (মনোনিবেশ) করব। এ বিষয়টা নিয়ে হয়তো আমাদের আর পারস্যু করতে হবে না। ১৫ ডিসেম্বরের পর এ বিষয়ে কমিশন বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আরপিওতে বেশকিছু সংশোধনী এনে একটি প্রস্তাব ৮ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইসি। ওই প্রস্তাবের অগ্রগতি জানতে না পেরে রোববার আইন মন্ত্রণালয়ে তৃতীয় দফায় চিঠি দেয় কমিশন। ওই চিঠির অনুলিপি রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ কে দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধানমতে দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। আইন মন্ত্রণালয় রাষ্ট্র ও সরকারের নির্বাহী বিভাগের একাংশ। দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব।

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশন মনে করে, সংবিধান ও আইনের সুস্পষ্ট বিধানের ব্যত্যয়ে যাচিত অনুরোধ ও চাহিদা উপেক্ষিত হলে কমিশন স্বীয় দায়িত্ব পালনে আবশ্যক সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে না। এতে নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের সক্ষমতা, স্বাধীনতা এবং সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নে জনমনে অনাকাঙ্ক্ষিত সংশয়ের উদ্রেক হতে পারে।

এর আগেও দুই দফায় চিঠি দিয়েও সাড়া না পাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, কিছু সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভ‚ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আরপিও সংশোধনসংক্রান্ত বিল প্রস্তুত করে ৮ আগস্ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে খসড়া বিলটি নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর দুদফা চিঠি দেয় ইসি। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। চিঠিতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিকে অবগত করতে শেষবারের মতো অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে সিইসি আরও বলেন, যেহেতু সময় বেঁধে দিয়েছি, আমাদের প্রত্যাশা, ওই সময়ের মধ্যেই তারা রেসপন্স নিশ্চয়ই করবে। সরকারের বিভিন্ন ব্যস্ততা থাকে। ব্যস্ততার কারণে তারা সময় করে উঠতে পারেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের যুক্তি থাকতে পারে যে এই সংশোধনীর প্রয়োজন নেই। আইন প্রণয়ন কর্তৃপক্ষ সরকার ও সংসদ। তারা যদি মনে করে আইন পর্যাপ্ত আছে, এ বিষয়ে করণীয় নেই, সেটা ইসিকে জানিয়ে দিলে ইসি বিবেচনা করত।

ইসি সূত্র জানায়, বিদ্যমান আরপিওতে যেসব সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়, সেগুলোর মধ্যে উল্লে­খযোগ্য হলো- ভোট বাতিলে ইসির ক্ষমতা ও ভোট বন্ধে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়ানো, প্রার্থীর এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখালে বা কেন্দ্রে যেতে বাধা দিলে শাস্তির বিধান, সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে শাস্তি, দলের সর্বস্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া, দায়িত্বে অবহেলায় কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতা বাড়ানো, প্রার্থীদের আয়কর সনদ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, ভোটগণনার বিবরণী প্রার্থী ও তার এজেন্টদের দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত খেলাপি বিল (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি) পরিশোধের সুযোগ দেওয়া, রাজনৈতিক দলের সংশোধিত গঠনতন্ত্র ৩০ দিনের মধ্যে ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান করার প্রস্তাব ইত্যাদি।

আগস্টে এসব প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর ৪ অক্টোবর ইভিএম-সংক্রান্ত একটি সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে ভোট দেওয়ার অনুমতি (কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে) দিতে পারবেন।

জাতীয়

আন্তঃমাদ্রাসা ক্রিকেট টুনামেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সোনার বাংলা টিভি-র চেয়ারম্যান ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল GGN24.COM – এর সম্পাদক ও প্রকাশক  মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।

নরসিংদী জেলাধীন মনোহরদী উপজেলার ” বড়চাপা বহুমূখী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা “- আয়োজিত আন্তঃমাদ্রাসা ক্রিকেট টুনামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়,  এতে বিজয়ী হয় নবম শ্রেনী একাদশ তাদের প্রতিদন্ধি ৮ম শ্রেনী একাদশও চমৎকার ক্রিকেট খেলা উপহার দেয়।

বড়চাপা বহুমূখী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার গভনিং বডির সভাপতি এবং বড়চাপা দারুল ইসলাম এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ব্যবস্হাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে পুরস্কার বিতরন করেন ।
মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান তাঁর বক্তিতায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করার বিষয়ে জোর দেন এবং খেলাধূলা ও শরীরচর্চা  করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বড়চাপা বহুমূখী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌলানা মোঃ মোশারফ হোসেন আলিম পরীক্ষা ও মাদ্রাসার জরুরী কিছু কাজ থাকায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্হিত থকতে পারেন নাই ।
আরো উপস্হিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক মহোদয়গন , শিক্ষকমন্ডলী, সম্মানীত অভিবাবক ও সকলস্তরের ছাত্র/ছাত্রীগন।