জাতীয়

বাড়িতে গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় ফেসবুকে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এ কবি। সংযোগের জন্য সরকারকে এক মাসের সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে নির্মলেন্দু গুণের দেওয়া সেই পোস্টটি এমন – ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক প্রাপ্ত দেশের বিশিষ্ট গুণীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্যাস ও বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হোক। রেল এবং বিমানের টিকিটও তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকলে ভালো হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রাপকদের এরকম সামান্য বাড়তি সুবিধা তো দেয়া যেতেই পারে।’

এরপর ফ্যান-ফলোয়ারদের কাছেই তার সেই আবদার ঠিক কিনা জানতে চান কবি, ‘আপনারা কী বলেন?’

এরপর নিজের দুর্ভোগের কথা শেয়ার করতে লিখেন, ‘আমি ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে একটি ত্রিতল বাড়ি বানিয়েছি ২০১৬ সালে। বিদ্যুত-সংযোগ পেলেও আজ পর্যন্ত ( অক্টোবর ২০২২) আমি বারবার চেষ্টা করেও গ্যাস-সংযোগ পাইনি। ফলে খোলা বাজার থেকে চড়া মূল্যে আমাকে তরল গ্যাস কিনতে হয়। এই ক্ষতি পোষাতে আমি পুরস্কারের সঙ্গে পাওয়া আমার স্বর্ণপদক দুটি বেচে দেয়ার কথা ভাবছি। সরকারকে এক মাস সময় দেয়া হলো।’

এমন পোস্টের বিষয়ে নির্মলেন্দু গুণ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অর্থকষ্টে নয়, গ্যাস–সংযোগ না দেওয়ার ক্ষোভ থেকে ফেসবুকে ওই পোস্ট দিয়েছি। এটা লিখেছি, সরকারকে জানাতে যে, রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্তদের অন্তত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু নাগরিক সুবিধা দেওয়া উচিত।’

বর্তমানে দেশে আবাসিক বাড়িতে গ্যাস–সংযোগ বন্ধ। কথা তুলতেই এ কবি বললেন, ‘তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশ পেলে বাড়িতেও গ্যাস–সংযোগ দেওয়া যাবে। আমি সে জন্যই গ্যাসের সংযোগ দাবি করেছি।’

বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখায় ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন নির্মলেন্দু গুণ। ২০০১ সালে পান একুশে পদক। ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদকের জন্য বিবেচিত হন তিনি। যদিও ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রথম তালিকায় তার নাম ছিল না। এ নিয়ে নির্মলেন্দু গুণ ক্ষোভ প্রকাশ করে ১২ মার্চ তার ফেসবুক পোস্ট দেন। এরপর পূর্বঘোষিত তালিকায় তার নাম যুক্ত করে সরকার।

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাওয়া উপকূলীয় ১৯টি জেলার প্রায় ৪ লাখ লোককে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয়ের’ তা-ব থেকে বাঁচতে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, গত ২ বছরে উপকূলীয় ১৯ জেলায় ৬১ হাজার ৩৭৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর প্রদান করা হয়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় এসব ঘর পাওয়া প্রায় ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। আশ্রয়ণের ঘরগুলো দুর্যোগ সহনীয় ঘর হওয়ায় কোনো ঘরের তেমন ক্ষতির সংবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাওয়ায় তাদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে দুর্যোগের সময় মানুষ, গবাদি পশু ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডব থেকে বাঁচতে ১৯ উপকূলীয় জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৯০ জন মানুষ এবং ৪৫ হাজার ৪৪২টি গবাদি পশু আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করে।

মোট ৭ হাজার ৪৯০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতা ছিল ৪২ লাখ ৭৪ হাজার।

কর্মকর্তারা জানান, আশ্রয়ণে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। তৃতীয় ধাপে একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোতে আরসিসি পিলার, গ্রেড ভিম, টানা লিংকটারসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়।

উপকূলীয় ১৯ জেলায় সর্বমোট ৬১ হাজার ৩৭৮ টি ঘরের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলায় ৩৮০৫, শরীয়তপুরে ২৬৬২, কক্সবাজারে ৩৬৪০, চট্টগ্রাম জেলায় ৫০৪৩, চাঁদপুরে ৪০৮, লক্ষ্মীপুরে ৩২২৮, নোয়াখালীতে ৩৬২৮, ফেনীতে ১৬৫৯, সাতক্ষীরায় ২৯০৬, যশোরে ২১৫৩, খুলনায় ৩৯৫০, নড়াইলে ৮২৯, বাগেরহাটে ২৭৯৪, ভোলায় ৩৫২৯, পিরোজপুরে ৪৮৬৭, ঝালকাঠিতে ১৮৪২, পটুয়াখালীতে ৬৯৪১, বরগুনায় ২৬০০ এবং বরিশাল জেলায় ৪৮৩৪ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙণ কবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

আশ্রয়ণ এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সালে মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪ ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া ভাসমান বিভিন্ন জনগোষ্ঠীও রয়েছে।

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি এই সংকেত ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক আধুনিক সংকেত ব্যবস্থা থেকে আলাদা। ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত দিয়ে এখানে সতর্কতার মাত্রা বোঝানো হয়।

সনাতনী এ সংকেত ব্যবস্থা মূলত তৈরি করা হয়েছিল সমুদ্রগামী জাহাজ ও বন্দরের নিরাপত্তার জন্য। জনসাধারণের জন্য সতর্কবার্তার বিষয়টি সেখানে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি তখন।

<div class="paragraphs"><p><em><strong>আবহাওয়া অধিদপ্তরের তৈরি ছক&nbsp;</strong></em></p></div>

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তৈরি ছক 

ঘূর্ণিঝড়: কোন সংকেতে কী বোঝায়

সংকেত প্রচার ও পতাকা উত্তোলন পদ্ধতি

  • ৪ নম্বর সংকেত: ১টি সংকেত পতাকা উত্তোলন। মৌখিকভাবে একে অপরকে জানাতে হবে।
  • ৫ থেকে ৭ নম্বর সংকেত: ২টি সংকেত পতাকা উত্তোলন। মেগাফোন এবং মাইক দিয়ে প্রচার; ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জরুরি সভা করতে হবে।
  • ৮ থেকে ১০ নম্বর সংকেত: ৩টি সংকেত পতাকা উত্তোলন। মেগাফোন, মাইক, হ্যান্ড সাইরেন, পাবলিক এড্রেস সিস্টেম ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণকে জানাতে হবে।

সমুদ্রবন্দরে ঝড়ের সতর্ক বার্তা হিসেবে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত, ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত, ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের পর ৫, ৬ ও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত; ৮, ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়। সর্বশেষ ১১ নম্বর দিয়ে বোঝানো হয়- যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

পাশাপশি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য রয়েছে ১ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত, ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত, ৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত ও ৪ নম্বর নৌ মহাবিপদ সংকেত।

সমুদ্রবন্দরের জন্য সংকেতগুলোর মধ্যে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মাত্রা একই। আবার ৮, ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতেরও মাত্রা এক। ঝড় কোন দিক দিয়ে যাবে তার ভিত্তিতে নম্বর আলাদা করা হয়, যদিও বিপদ সব ক্ষেত্রেই সমান।

এর ফলে সাধারণের মধ্যে অনেক সময় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ মনে করে, সংকেত যত বেশি, বিপদ তত বড়। ফলে দ্রুততম সময়ে বিপদ সম্পর্কে সচেতন করার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।

এই সংকেত ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য গত আড়াই দশকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি সংকেত ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়ে সুপারিশ জমা দিয়েছিল, তাও পরে আর বাস্তবায়ন হয়নি।

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে রোববার রাত থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস।

সকালে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ইতোমধ্যে জেলা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেল্টার ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হবে। এ ছাড়া গৃহপালিত প্রাণির জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৩০০ টন চাল মজুত রয়েছে।

এ ছাড়া ২৫ লাখ নগদ অর্থ এবং ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের জন্য সরকারের কাছে চাহিদাপত্র দাখিল করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ঘূর্ণিঝড়পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৭২টি মেডিকেল দল গঠন করেছে। সব ধরনের নৌচলাচল ও বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।

উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে বা সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি।

এ ছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাতীয়

খুলনায় বিএনপির কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই চালু হয়েছে গণপরিবহণ। খুলনা থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গণপরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।

অন্যদিকে বিকাল থেকে ট্রলার ও লঞ্চ চলাচলও শুরু হয়েছে। এতে শ্রমিকদের অঘোষিত দুই দিনের ধর্মঘট শেষ হলো।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, এ ধর্মঘটের বিষয়টি ছিল মালিকদের। সেই ধর্মঘটে শ্রমিকরা সংহতি প্রকাশ করেন। মালিকরা আবার বাস চালানোর অনুমতি দেওয়ায় সড়কপথে গণপরিবহণ চালু হয়েছে। বিকালের পর থেকে চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে আমরা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছিলাম। শুক্রবার রাতে মালিক-শ্রমিক পক্ষের বৈঠকে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে শনিবার সকাল থেকে লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। তবে সকালে যাত্রী না থাকায় দুটি লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চারটি লঞ্চ বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির গণসমাবেশের জন্যই ধর্মঘটের দৃশ্য সামনে আনা হয়। বিএনপির সমাবেশ শেষ, তাই নৌ-সড়কপথ সচল হয়েছে। এটা সাধারণ মানুষের বুঝতে বাকি নেই যে, কেন এ ধর্মঘট নাটক করা হয়েছিল। তবে কোনো বাধাই বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। সমাবেশে জনস্রোতই তার প্রমাণ।

রূপসা ঘাট মাঝি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ ব্যাপারী বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মাঝি সমিতি, পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হয়। বৈঠকে আমাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলে সন্ধ্যা থেকে রূপসা ঘাট থেকে নৌকা, ট্রলার চলাচল শুরু হয়। এখন যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

জাতীয়

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নে এক যুবলীগ নেতাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে উপজেলার সারুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান।

নির্যাতনের শিকার উজ্জ্বল হোসেন ঘারিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। তাকে আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি উজ্জ্বলকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন। ‍তিনি বাঁচার জন্য চিৎকার করছিলেন। কিন্তু আশপাশের লোকজন দাঁড়িয়ে সেই ঘটনা দেখছিলেন।

উজ্জ্বলের পরিবার ও মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উজ্জ্বল প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় ছয় মাস আগে আরেকটি বিয়ে করেন। তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর নির্যাতনের শিকার হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যান। আড়াই মাস আগে তিনি উজ্জ্বলকে তালাক দেন।

এরপরও উজ্জ্বল দ্বিতীয় স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের বাড়ির সামনে প্রতিনিয়ত অবস্থান করতেন। এই অবস্থায় সালিশ করে উজ্জ্বলকে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ির সামনে যেতে নিষেধ করা হয়।

সারুটিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য লুৎফর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “সম্প্রতি উজ্জ্বল দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে উজ্জ্বল হোসেন দেখা করতে যান। তখন বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে উজ্জ্বলকে আটক করেন।“

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উজ্জ্বল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “ভোর বেলায় রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। এ সময় আমাকে ধরে নিয়ে যান আমার সাবেক শ্বশুর, চাচা শ্বশুরসহ চারজন। পরে তারা আমাকে বেঁধে নির্যাতন করেন। মারধরের কারণে আমার বাম হাত ভেঙে গেছে।”

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় উজ্জ্বল হোসেনের প্রথম স্ত্রী বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষ হলেই বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান ওসি।

জাতীয়

পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের পারিবারিক অসচ্ছলতার বিষয়টি রাসিক মেয়রের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র মহোদয় তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। ইমরানের পড়ালেখার খরচ বহনের কথা তাকে জানানো হয়।

বুধবার রাতে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ মাধ্যমে ‘পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজে রাবি শিক্ষার্থী’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি মেয়র লিটনের নজরে আসে। তিনি তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ইমরানের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কথা বলার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, তার পরিবার ও শিক্ষকদের সঙ্গে মেয়রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। মেয়র ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের পড়াশোনার খরচ, থাকা-খাওয়াসহ তার সব খরচ ব্যয় করবেন বলে তাকে জানানো হয়।

শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র স্যারের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়র স্যার আমার পড়াশোনাসহ সার্বিক দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন। রাজশাহীতে গিয়ে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন দুশ্চিন্তামুক্ত হলাম। মেয়র স্যার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, এতে আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি। আমরা মেয়র স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

এদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, পারিবারিক অসচ্ছলতার বিষয়টি আমরা জানি। ইমরান মেধার প্রমাণ দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হওয়ার পরে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে সে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিল। পড়াশোনার খরচ জোগাতে রাজমিস্ত্রির কাজও করছিল সে। মেধাবী ইমরানের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র। মেয়র মহোদয়ের এই মহতী কাজের সাধুবাদ জানাই। আমরা শিক্ষকরা ও এলাকাবাসী মেয়র মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

উল্লেখ্য, ইমরান হোসেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মাঝির ছেলে। ৮ সন্তানের মধ্যে সে পঞ্চম। চরম দরিদ্রতা ঠেকাতে পারেনি অদম্য মেধাবী ইমরান হোসেনের পথচলা। কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাস শুরু হবে।

জাতীয়

পার্বত্যাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে আরও ৭ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাদের সঙ্গে তিন পাহাড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এ নিয়ে তৃতীয় দফায় মোট ১৯ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হলো।

বৃহস্পতিবার র‌্যাবের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি পার্বত্যাঞ্চলে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’র আস্তানা তথ্য জানায় র‌্যাব। আগের দুই দফাসহ তৃতীয় দফায় গ্রেফতার সাতজন এই সংগঠনের সদস্য বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এ ছাড়া আরও যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের।

গ্রেফতার পাহাড়িরা কোন সংগঠনের- তা স্পষ্ট করেনি র‌্যাব। তবে এরা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের বলে শোনা যাচ্ছে। যে দলটি ‘বম পার্টি’ নামেও পরিচিত।

জাতীয়

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৪টির মধ্যে ১০টিতে হেরে যাওয়ার জন্য কয়েকটি কারণ দায়ী বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা। তারা মনে করছেন, বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনেকটা একতরফা এ নির্বাচনে জনপ্রিয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

আবার কোথাও কোথাও দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় এমপি ও দলের একাংশ কাজ করেছেন। রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের নির্বাচনি আসন পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের আসনেও দলীয় প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। এছাড়া এ নির্বাচনে টাকায় ভোট কেনার প্রবণতাও ফলাফলে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তারা। জেলা পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই নেতারা আরও জানান, কয়েক জেলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল। তারা নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করবেন এমন লক্ষ্যও ছিল। জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় তাদের সেই আশা গুড়েবালি। জেলা পরিষদ নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে একই প্রক্রিয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে অনিয়মের কারণে পুরো নির্বাচনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ছিল সুষ্ঠু, অবাধ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করা। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে স্থানীয় পর্যায়ে নানা ধরনের ইকুয়েশন থাকে। এখানেও তা থাকতে পারে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন। আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়নি, সমর্থন দিয়েছে। প্রতীক না থাকায় সেখানে অনেকেই প্রার্র্থী হয়েছেন। এ কারণেও ফল এরকম হতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারও বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুুকুট গত নির্বাচনেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। এবার আওয়ামী লীগের সমর্থন পান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবীর ইমনের ভাই মো. খায়রুল কবীর রুমেন। জেলা জজ আদালতের পিপি পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এ প্রার্থী পরাজয়ের জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ-সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, তাদের জন্য আমি হেরে গেছি। তাদের উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জিততে দেওয়া হয়নি। দলীয় কোন্দলের কারণে আমি হেরে গেছি। তবে উলটো অভিযোগ করেছেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট। তিনি বলেন, কোনো মন্ত্রী-এমপি আমাকে জেতায়নি। আমার জনপ্রিয়তায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছি। বিগত নির্বাচনেও আমি বিপুল ভোট পেয়ে জয়ী হই। এবার দল আমার সেই জনপ্রিয়তা বিবেচনায় নেয়নি। অজনপ্রিয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী হেরেছেন।

কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের তিনজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহীনুল হক মার্শাল জয়ী হয়েছেন। বিপুল অর্থবিত্তের মালিক তিনি। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন। অনেক ভোটারকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের দলীয় প্রার্থীকে ভোট না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসকও ছিলেন। ওই সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। তার পরাজয়ের জন্য এসব কারণও ছিল বলে মনে করে জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, পরাজয়ের কারণ নিয়ে আমরা এখনই কোনো মন্তব্য করছি না। সব উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ ও সাধারণ সভা শেষে পরাজয়ের কারণ গণমাধ্যমে জানানো হবে। প্রায় একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে। এ নির্বাচনে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রশাসক কনক কান্তি দাস হেরে গেছেন। তার প্রতিন্দ্বন্দ্বী এম হারুন অর রশীদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কনক কান্তি দাস চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় তার সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দূরত্ব রয়েছে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে একটি অংশের নেতৃত্ব দেন তিনি। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আরেক অংশ তার বিরোধিতা করেছে। অপরদিকে এ নির্বাচনে জয়ী হারুন অর রশীদ স্থানীয়ভাবে বড় ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। গত নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। তখন থেকেই তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করে আসছেন।

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি এসএ মাহমুদ সেলিম জানান, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু তোয়াবুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খোদ রেলপথমন্ত্রী অ্যাড. মো. নুরুল ইসলাম সুজনের নির্বাচনি এলাকা বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলাতেই হেরে গেছেন। এ ব্যাপারে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেন, নির্বাচনে দলীয় নেতা কর্মীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেনি, কাজ করেছে লোক দেখানো। এছাড়াও নির্বাচনে প্রচুর টাকার খেলাও হয়েছে।

এটাও আবু তোয়াবুর রহমানের পরাজয়ের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া নির্বাচনের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা গোপনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজও করেছেন। তবে দলের কোনো বিভেদ নেই বলে দাবি করেছেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট। তিনি বলেন, দলে কোন বিভেদ বা কোন্দল নেই। আওয়ামী প্রার্থীর বিরোধিতাও কেউ করেনি। নির্বাচনে প্রচুর টাকার খেলা হয়েছে এবং তিনি টাকার কাছেই হেরেছেন।

জাতীয়

ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মম হত্যাকান্ডের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১০ বছর বয়সী শেখ রাসেল হত্যা একটি কলঙ্ক, যা জাতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা জয় তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেন।

জয় বলেন, সেই কালরাতে রাতে রাসেল ঘাতকদের কাছে ‘দয়া করে আমাকে আমার মায়ের কাছে নিয়ে যান’ বলে কেঁদেছিল।

অথচ রাসেলের সেই আকুতি ঢাকা পড়ে গেলো নরপিশাচের অট্টহাসি আর ব্রাশফায়ারের শব্দে। মাথার খুলি উড়ে গেলো, চিরতরে কণ্ঠ থেমে গেলো শিশু রাসেলের। প্রকৃতিও যেন কেঁপে উঠেছিল সেই রাতের বর্বরতায়।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর, তার পাখির মতো অবুঝ শিশুটির শরীরেও অজ¯্র বুলেট গেঁথে দিলো দেশদ্রোহী ঘাতকচক্র।

তিনি বলেন, পৃথিবীর আর একটি শিশুরও যেনো এমন নির্মম মৃত্যু না হয়। নিরাপদে বেড়ে উঠুক দেশের প্রতিটি শিশু। রাসেলের রক্তস্নাত স্মৃতির বেদীতে গড়ে উঠুক একটি মানবিক বিশ্ব।

শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন করছে বাংলাদেশ।