জাতীয়

পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ তিনজন হলেন- পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা ও মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ কার্যকর হবে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।

অবসরপ্রাপ্ত এ তিন পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন মিঞা বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১২তম ব্যাচের। আর মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এ তিন কর্মকর্তার মধ্যে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী পিপিএম এবং মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী পিপিএম (সেবা) পদকপ্রাপ্ত।

জাতীয়

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের নিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী হাইকিং ইন খাগড়াছড়ি। সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত ৩০ জন তরুণ-তরুণী অংশ নিচ্ছে এই অ্যাডভেঞ্চারে।

শুক্রবার সকাল ১০ টায় খাগড়াছড়ির বানৌক রিসোর্টে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মদের রক্ষা করার জন্য তাদের চিন্তা জগৎকে নতুন দর্শনে নাড়া দিতে এই সব অ্যাডভেঞ্চার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর ফলে পাহাড়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যময় বর্ণিল পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কে সমতলের তরুণদের জানাতে সহায়ক মাধ্যম হিশেবে কাজ করবে। এ ধরনের উদ্যোগের পাশে সব সময় থাকবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।

বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক উপ-সচিব সুবিনয় ভট্টাচার্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশের তরুণ সমাজকে অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রম ও অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়া অনুশীলনের মাধ্যমে তাদের সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন, ব্যক্তিত্বের উন্নয়ন ও নৈতিক চরিত্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছি। অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন বিকাশ ও প্রকৃতি নির্ভর ইকো ট্যুরিজম বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের অন্যতম লক্ষ্য। এ উদ্দেশ্যে আমরা যুব সমাজকে নিয়ে নানা আয়োজন করে থাকি। হাইকিং ইন খাগড়াছড়ি তেমনি একটি আয়োজন।

তরুণ সংগঠক ও ‘হাইকিং ইন খাগড়াছড়ি’র সমন্বয়কারী অপু দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ।

দুই দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাছাইকৃত ৩০ জন তরুণ-তরুণী অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট পরিদর্শন, হাইকিং, পর্যটনখাতের বিকাশে ভূমিকা নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করবে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার সহযোগিতায় আয়োজিত ইভেন্টটি শনিবার শেষ হবে।

জাতীয়

যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলোট সীমান্ত থেকে ৫ কেজি ওজনের ৪৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। এসব স্বর্ণের মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। ভারতে পাচারের সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে এসব স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।

বিজিবি জানায়, গোপন সূত্রে খবর আসে অগ্রভুলোট সীমান্ত দিয়ে ৩ পাচারকারী বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ভারতে পাচার করছে। এমন ধরনের গোপন খবর পেয়ে বিজিবির একটি টহলদল সেখানে অবস্থান নেয়। বিজিবি তাদের ধাওয়া করলে একটি কালো রং এর ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে ব্যাগ তল্লাশি করে ৫ কেজি ওজনের ৪৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।

২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর আহমেদ জানান, ভারতে পাচারের সময় অগ্রভুলোট সীমান্ত থেকে বিজিবির সদস্যরা ৫ কেজি ওজনের ৪৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে। এসব স্বর্ণের মূল্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা। তবে পাচারকারীরা ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ নড়াইলে দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করেছেন।

শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুগুলি উদ্বোধন করে বলেন, যে সেতুগুলি ভ্রমণের সময় কমিয়ে সড়ক যোগাযোগকে আরও সহজ, দ্রুত এবং সহজলভ্য করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর উপর ৬৯০ মিটার দীর্ঘ মধুমতি সেতু নির্মিত হয়েছে যা স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত। এটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে।

প্রকল্প কর্মকর্তাদের মতে, সেতুটি চালু হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ দ্রুত সড়ক যোগাযোগ সুবিধা পাবে। এর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০টি জেলার মানুষ কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন। এটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভ্রমণের সময়ও কমিয়ে আনবে।

২৭ দশমিক ১ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চ গতির লেন ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং দ’ুটি সার্ভিস লেনসহ ছয়টি লেন রয়েছে।

এদিকে ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু, যা বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে, এটি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলগামী যানবাহন এবং একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন যানজট এড়াতে এবং সময় বাঁচাতে নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে সক্ষম করবে।

সেতুটির সঙ্গে নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে পদ্মা সেতু থেকে জনগণ সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে ।

এই সেতু প্রকল্প ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পেলেও ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ৬০৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৬৩ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং ৩৪৫ দশমিক ২০ কোটি টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে এসেছে।

ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে। পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২ দশমিক ১৫ মিটার। এছাড়া, ছয়লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়ক ও নির্মাণ করা হচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আল দুহাইলান ও বক্তৃতা করেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সেতু দু’টির ওপর সংক্ষেপে বর্ণনা দেন।
পরে সেতু প্রকল্পগুলোর ওপর ভিড়িও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

জাতীয়

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষা এখন সময়ের দাবি। শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল বিশ্বপরিস্থিতির সংযোগ ঘটাতে হবে।”

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গবেষণা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর উপর জোর দেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো জয়নাল আবেদীন বাসসকে এ কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম, অবকাঠামো, শিক্ষা উন্নয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বাস্তবায়িত সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

উপাচার্য বলেন, শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সিন্ডিকেট মেম্বাররাই শিক্ষা কার্যক্রম তৈরি করেননা, দেশের শিল্প, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম তৈরি করা হয়।

তিনি রাষ্ট্রপতিকে জানান, “স্টুডেন্ট প্রমোশন ও সাপোর্ট সার্ভিস” নামে একটি বিভাগ খোলা হয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে পেশা ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হয়।

এসময উপাচার্যের সাথে প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার।

প্রতিনিধিদল এ সময় রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদের কাছে শতবর্ষের স্মারক ও প্রকাশনা হস্তান্তর করেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়–য়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো: জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো: ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৮৪ জনে।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময়ে ৩৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার ৯০ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯.১৯ শতাংশ।

এ সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৪৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৬৩৯ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।

গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে।

জাতীয়

জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা বাংলাদেশকে আরও ঋণ সহায়তা দিতে চায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সংস্থাটি ১৮২ কোটি মার্কিন ডলার (২৬৪ বিলিয়ন ইয়েন) ঋণ সহায়তা দিয়েছে। ঋণ প্রতিশ্রুতির দিক থেকে ভারতকে ছাড়িয়ে জাইকার বৃহত্তম অংশীদার হয়ে উঠছে বাংলাদেশ।

সদ্যবিদায়ী জাইকার বাংলাদেশ আবাসিক প্রধান প্রতিনিধি ইয়ো হায়াকাওয়া এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে। ওই চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আমাদের জনগণের অংশীদারত্ব এবং হৃদয়ের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হবে।’

জাপান ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। একই বছরে ১০৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য অনুদান সহায়তার মাধ্যমে শুরু হয় জাইকার আর্থিক সহায়তা। বর্তমান এ ঋণ সহায়তার অঙ্ক ২৮শ’ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জাইকার অর্থায়নে ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ২ লাখ ৭২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ ২ লাখ ১ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয়ের ৭৪ শতাংশের বেশি ঋণ দিচ্ছে জাইকা।

জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান  বলেন, জাইকা এখন রাইজিং উন্নয়ন দাতা সংস্থা। এশীয় অঞ্চলে বলতে গেলে এ সংস্থাটি একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তার ব্যাপারে অনেক দাতা সংস্থার তুলনায় তারা ভালো বুঝতে পারে। ইতোমধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পসহ বাজেট সহায়তা করেছে এ সংস্থা। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আগামীতেও তারা আরও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলা, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও প্রকল্পের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রীকে এ চিঠি দিয়েছেন ইয়ো হায়াকাওয়া। সেখানে তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ভাইরাস কোভিড-১৯ বাংলাদেশসহ সবাই অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে গর্ববোধ করি যে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং পরপর দুটি বাজেটে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি কাজ করতে পেরেছি। এ ছাড়া যখন বাংলাদেশে কোভিডের কারণে লকডাউন ও চলাচলে নিষাধাজ্ঞা এবং সীমানা অতিক্রম বন্ধ ছিল ওই সময় আমাদের টেকনিক্যাল সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব হয়নি। কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইয়ো হায়াকাওয়া বলেছেন, সহসাই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছবে। বিগত তিন বছর আমি এ দেশে কাজ করেছি। দেশটির নানা খাতে আমি নিবিড়ভাবে জড়িত। বাংলাদেশের অর্জন সত্যিই বিস্ময়কর। করোনা সংকট মোকাবিলাসহ নানা খাতে দেশটির অর্জন বিস্ময়কর বটে।

জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ঢাকা মেট্রোরেল ট্রান্সপোর্ট লাইন-৬, প্রজেক্ট এমআইডিআই এবং বাংলাদেশ ইপিজে প্রজেক্টের কাজ দ্রুত গতিয়ে চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

জাপানের এই উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে ঢাকা ম্যাস রেপিড ট্রানজিট ডেলেপমেন্ট এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গত জুনে ১৪৪ কোটি ডলারের (১৬৫৮৬ কোটি ইয়েন) ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ম্যাস রেপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ডলার (১৩৩৩৯ কোটি ইয়েন)। আর দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে বাকি ৫২ কোটি ডলার (৩৩৪৬ কোটি ইয়েন)। এ ছাড়া জাইকার সহায়তায় মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, অবকাঠামো ছাড়াও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারসহ যাবতীয় উন্নয়ন খরচ মেটাতে বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসাবে আরও ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনো তা চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। এ ছাড়া আড়াই হাজারে জাপানি অর্থায়নে ইকোনমিক জোন হচ্ছে- সেখানে কাজ করতে চায় জাইকা। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রকল্পটি দ্রুত সময়ে একনেক সভায় উঠবে। মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুতে জাপান কাজ করছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন জাইকা থেকে বাজেট সহায়তা পাওয়া গেলে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর চাপ কিছুটা কমে আসবে। শুধু জাইকা নয়, অন্যান্য দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবির কাছেও বাজেট সহায়তা হিসাবে ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, জাইকার বাংলাদেশের আবাসিক প্রধান প্রতিনিধি হয়ে ইয়ো হায়াকাওয়া ২০১৯ সালে যোগদান করেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নতুন আবাসিক প্রতিনিধি হিসাবে যোগদান করেছেন ইচিগুচি তোমোহিদ।

জাতীয়

সেন্ট্রাল আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে বোমা বিস্ফোরণে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত তিন বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহতের ঘটনা তদন্ত করতে বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

“অপরাধীদের শনাক্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। যাতে তাদের দ্রুত সময়ে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়।”

সোমবার সেন্ট্রাল আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যু হয়।

নিহত শান্তিরক্ষীরা হলেন– ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কাটিঙ্গা গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩১), নিলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ টিট পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৬) এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বাড়াক রুয়া গ্রামের শরিফ হোসেন (২৬)।

তিনজনই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন।

ওই বিস্ফোরণে টহল দলের অধিনায়ক মেজর আশরাফুল হকও আহত হয়েছেন।

রাতে ফ্লাইট পরিচালনার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেও আফ্রিকার দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

দুজারিক বলেন, “সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের উহাম-পেন্ডে এলাকায় জাতিসংঘের মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশনের টহল দলে বিস্ফোরণে বাংলাদেশের তিন শান্তিরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে শোকাহত।”

জাতিসংঘ মহাসচিব নিহতদের পরিবার ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আহতের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।

এদিকে, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়।

বুধবার তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসামান্য ঝুঁকি নিয়ে থাকেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা। শান্তির জন্য যেসব নারী-পুরুষ নিজেদের জীবন ও সুখকে বাজি রাখেন, আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি এবং তাদের ত্যাগকে সম্মান জানাই।”

নিহত তিন সৈনিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো এবং আহত মেজর আশরাফুলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয় বিবৃতিতে।

জাতীয়

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না। মিলে চাল বস্তাজাত করার সময় তাতে জাতের নাম লিখে দিতে হবে। কেউ যদি এর ব্যত্যয় করে সেক্ষেত্রে আমরা তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশনে যাব।

বুধবার সকালে তিনি গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব কামরুন্নাহার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইয়েদুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সম্প্রসারণ বিভাগ ১৫-২০ দিন আগে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত প্রুফ হওয়ার পর সার্টিফায়েড হবে এবং জাতগুলো সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে তা কীভাবে ফিল্ড (মাঠ) পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গবেষকদের উদ্ভাবিত জাতগুলো যদি বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আরও সুন্দরভাবে কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে দ্রুত কৃষকদের পৌঁছে দিতে পারি তবে আমাদের ফলন আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে ডাবলের কাছাকাছি চলে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রির উদ্ভাবিত জাত এবং প্রযুক্তিবিষয়ক সব ঘুরে দেখেন। পরে তিনি ব্রির মিলনায়তনে কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠ পর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর এ সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

জাতীয়

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০০১-২০০৬ সাল বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে সব সময় চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

কেমন ছিল বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ১০০ দিন, এ নিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এটি পোস্টে এসব কথা তুলে ধরেন।

সেখানে তিনি বলেন, একটি দেশকে ক্ষমতাসীন দল চাইলে কতটা নারকীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তার নিদর্শন বিএনপি-জামায়াতের এই শাসনামল। সে সময়কার পরিণত মানসিকতার মানুষ যারা বেঁচে আছেন, সেই শাসনামলের কথা মনে পড়লে আজও তারা শিউরে ওঠেন। ধীরে-সুস্থে নয়, ক্ষমতায় বসার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পিশাচদের জ্যান্তব উল্লাস।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেন, ক্ষমতায় এসেই বিএনপি-জামায়াত সরকার ১০০ দিনের একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। গালভরা কথা মনে হলেও দেশবাসী উপায় না দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল, এই বুঝি খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু নিপীড়নসহ সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু না, কিছুই ঘটেনি; জনতাকে দেয়া সেই ১০০ দিনের প্রতিশ্রুতির বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, রাজনীতি, প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রেই সরকারের চরম ব্যর্থতা মানুষকে আশাহত করেছে। দেশ নিয়ে উচ্চাশা করতেন যারা, সেই বুদ্ধিজীবীদের মুখে কুলুপ ঠেসে দেয়া হলো। কেউ প্রতিবাদ করলে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল কালো তালিকায়।

জয় বলেন, ‘দেশ কে চালাচ্ছে, মানুষের মধ্যে এই প্রশ্ন জেগে ওঠা কি স্বাভাবিক নয়? খালেদা জিয়ার ডাক নাম ছিল পুতুল। আক্ষরিক অর্থেই তাকে ‘পুতুল’ বানিয়ে রেখেছিল তারেক এবং তার গ্যাং। তবে খালেদা জিয়া ‘পুতুল’ অবস্থাতে থাকলেও তার সায় ছিল পুত্রের যাবতীয় অপকর্মে। বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত খালেদা জিয়া পুত্রদের সকল অপকর্মের অন্যতম দোসর। শুধু সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি গদিতে বসতেন, সই করার এখতিয়ারটুকু ছিল তার। বাদ বাকি ক্ষমতা ছিল মাফিয়া সর্দার তারেক রহমানের হাতে।’

দেশের খনিজসম্পদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার একটা কমিটমেন্ট দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আরোহন করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। পরবর্তীতে তার প্রমাণ মেলে। কীভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাসক্ষেত্র বিদেশিদের হাতে তুলে দিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। জ্বলে-পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় রাষ্ট্রের অমূল্য খনিজ গ্যাস। ক্ষতিপূরণ যেন দিতে না হয়, সেজন্য বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ এবং আমলাদেরকে দেওয়া হয়েছিল বিপুল অঙ্কের উপঢৌকন, দেশে-বিদেশে নানা সুবিধা, গাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি। এসব যদিও ১০০ দিনের পরের ঘটনা, তবুও এসব বলার উদ্দেশ্য হলো, সেই সরকার কাদের সহায়তায় ক্ষমতা বসেছিল, তার ধারণা দেওয়ার জন্য।