জাতীয়

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার দেশ থেকে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর তৈরিকৃত শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।

রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন তুলে দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।

তিনি বলেন, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রতিটি খাত ধরে ধরে আলাদা বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে উন্নয়নের গল্প সাজাতে কিভাবে পরিসংখ্যানকে ম্যান্যুপুলেট করা হয়েছে। উন্নয়নের গল্প শোনানো হলেও ভেতরে ভেতরে চলেছে লুটতরাজের এক মহাযজ্ঞ।

প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিকখাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল একটা আতঙ্কের বিষয়। আমাদের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলেননি।’

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়।

এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটি বিভিন্ন দলিলপত্র পর্যালোচনা করে ও নানা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। সেই ধারাবাহিতায় আজ রবিবার ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

শ্বেতপত্র প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরে কমিটির প্রধান ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা শ্বেতপত্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে অভিহিত করেছেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন এটি (শ্বেতপত্র প্রতিবেদন) একটি ঐতিহাসিক দলিল। বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে দুরবস্থা চলে আসছে, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তা উন্মোচিত হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে দেশে কৃত্রিম উন্নয়নের যে বয়ান প্রচলিত ছিল, তাকেও ধূলিসাৎ করেছে।

শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান জানান, প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন যে এই শ্বেতপত্রকে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার এবং এ নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত। প্রয়োজনে এটিকে আগামী দিনে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

চূড়ান্ত শ্বেতপত্র প্রতিবেদনে অর্থনীতি নিয়ে স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আগামী বাজেট পর্যন্ত একটি অর্থনৈতিক স্থিতায়ন কর্মসূচি দরকার। ফলে এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এর সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও যুক্ত করতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে আলাদাভাবে সংস্কারের যে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলছে, এগুলোকে সময়–নির্দিষ্ট ও সমন্বিতভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। বিশেষ করে আগামী বাজেট পর্যন্ত সরকার যে কী করতে যাচ্ছে, তা তুলে ধরা উচিত। তাহলে বাজার এবং আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত দেশের মানুষের ও বিদেশিদের মধ্যে একধরনের আস্থা আসবে।’

জাতীয়

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

রাশি অনুযায়ী এই সপ্তাহ কেমন যেতে পারে জেনে নিন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল) সপ্তাহের শুরুতে প্রতিপক্ষ আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। রাস্তায় থাকার সময় বেপরোয়া গাড়ির চালানো ও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে কাজের জন্য দেশের বাইরে যেতে হতে পারে। সঙ্গী হবে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সপ্তাহের মাঝদিকে কাজকর্মে নিজের উদ্যোগকে সক্রিয় করুন। এতে করে কাজকর্মে দক্ষতার সাথে কর্মক্ষেত্রে সুনাম বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ আসবে। সপ্তাহের শেষদিকে সামাজিকভাবে অর্থকরী কোনো ব্যাপারে জড়িয়ে পড়তে পারেন। প্রচুর আকর্ষণীয় আমন্ত্রণ পাবেন। আর একটি আকস্মিক উপহারও আসতে পারে।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে) সপ্তাহের শুরুতে ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা দেখা যায়। এ সময় কোনো ধরনের বিয়ে সংক্রান্ত যোগাযোগ সমন্বয় ভালো হবে। দলবেঁধে কোথাও বেড়াতে গেলে সাবধানে থাকবেন। যানবাহনে সাবধানে চলাফেরা করবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে বিদেশি বা দূরের বন্ধুর মাধ্যমে উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা। বিদেশিদের সঙ্গে আমদানী রপ্তানি বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি ও সংযোগ ভালো করতে পারবেন। সপ্তাহের শেষদিকে কর্মক্ষেত্রে স্বতন্ত্র বোধ করবেন। কার্য্যক্ষমতা বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি অবলম্বন করুন। কর্মক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে সম্পর্ক প্রগাঢ় হওয়াতে প্রেমে পড়া সম্ভব।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন) সপ্তাহের শুরুতে শরীর হঠাৎ খারাপ হতে পারে। কারও সাথে অযথা ঝগড়া বিবাদ হতে পারে। সঙ্গী আপনাকে খুশি করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালাবে। নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য আদর্শ সময়। সপ্তাহের মাঝদিকে সব বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। ঝগড়া বিবাদ হতে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। সপ্তাহের শেষদিকে এমন একটি সময় যখন রোমান্টিক ভ্রমণে যেতে পারেন। সফর ও ভ্রমণ আনন্দ আনবে। অত্যন্ত শিক্ষামূলক হবে। ক্লান্তিকর হলেও লাভজনক হবে।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই) সপ্তাহের শুরুতে জীবনকে উপভোগ করার চাহিদা কতটা দেখে নিন। প্রেমময় মেজাজের মধ্যে আছেন, তাই নিজে ও প্রিয়জনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিশ্চিতভাবে করুন। যদি স্বাস্থ্যের যত্ন না নেন তবে চাপ অনুভব করতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে সঙ্গীকে নিয়ে রোমান্টিক ভ্রমণে যান; সম্পর্ক আরও ভালো হয়ে উঠবে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গৃহীত ভ্রমণ লাভজনক হবে। সপ্তাহের শেষদিকে কাজ করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সমস্যায় পড়তে পারেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট) সপ্তাহের শুরুতে জমি ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ভালো সময়। পুরানো যোগাযোগ ও বন্ধুরা সহায়ক হবে। প্রাণের বন্ধুরা এ সময় আপনার সম্পর্কে চিন্তা করবে। ভালোবাসার জীবন এ সময় সত্যি সত্যি অসাধারণ কিছু বয়ে আনবে। সপ্তাহের মাঝদিকে কোনো অপ্রিতিকর ও হতাশাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি থেকে কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। সপ্তাহের শেষদিকে সঙ্গীর সাথে মিল ঘটানোর পক্ষে এটি ভালো সময়। শুধুমাত্র একটু প্রচেষ্টার সাথে সময়টি সেরা সময় হতে পারে। নতুন কোনো ব্যবসায়ে বিনিয়োগ লাভজনক হবে।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে ভাইবোনের কোনো উন্নতিতে আনন্দ পাবেন। উচিত হবে ভূমি সম্পত্তি জমি সংক্রান্ত সমস্যার ওপর নজর কেন্দ্রীভূত করা। পরিবারের জন্য মহান ও উপযুক্ত কিছুতে ঝুঁকি নিন। সপ্তাহের মাঝদিকে প্রেম অপরিমিত সীমাহীন এই কথাগুলো অবশ্য আগে শুনেছেন। তবে এ সময় সেটা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন। বিশ্বের যত উচ্ছাস আবেগ দুজনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে স্বাস্থ্যের কোনো পরিবর্তন না হলেও সতর্কতা আবশ্যক। যাদের হাঁপানী ও হৃদ-দৌর্বল্য রয়েছে তাদের বিশেষ কষ্ট হতে পারে। নিজের খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রণের আওতায় রাখুন।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুতে সময়টি উচ্চ শক্তি সম্পন্ন। আর অপ্রত্যাশিত লাভ আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে। দেখা করতে আসা আত্মীয়রা সময়টি দখল করে নিতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে পরিবারের হিত সাধনে কঠোর পরিশ্রম করুন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মারামারির দিকে এগোবে। বিষয়টি সমাধানের অভিভাবকের সাহায্য নিন। সপ্তাহের শেষদিকে আকস্মিক প্রেমঘটিত সাক্ষাৎ মেজাজ চাঙা করে তুলবে। মিষ্টি ভালোবাসার জীবনে চমকপ্রদ মসলার উপস্থিতি লক্ষ্য করতে পারেন।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে অবশ্যই নিজের সমস্যাগুলো নিজে উপলব্ধি করতে হবে আর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লড়াই করতে হবে। রক্ষণশীল বিনিয়োগে সঞ্চয় রেখে বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে সেইসব আত্মীয়দের কৃতজ্ঞতা জানান যারা বিপদের সময়ে সাহায্য করেছেন। সপ্তাহের শেষদিকে পরম সুখের সময়। সরাসরি উত্তর না দিলে সহযোগীরা বিরক্ত হতে পারে। সম্পত্তি সংক্রান্ত কারবারে নানাদিক থেকে লাভ এনে দিতে পারে।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে টাকা পয়সা লাভ প্রত্যাশা মাফিক হবে না। আর্থিক সীমাব্ধতা এড়াতে বাজেটে আটকে থাকুন। পরিবারের পাশাপাশি বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়াতে নতুন উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের সঙ্গে এগোবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে করা যৌথ উদ্যোগ অবশেষে লাভদায়ক হবে। তবে অংশীদারদের কাছ থেকে কিছু উল্লেখযোগ্য বিরোধিতার সম্মুখীন হতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে চমকে দিয়ে ভাই-বোন আপনাকে উদ্ধার করতে আসবে। একে অপরকে খুশি করার জন্য প্রয়োজন সমর্থন করা। আর ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে আশীর্বাদ ও সৌভাগ্য পথে আসায় এবং অতীতের পরিশ্রমগুলো ফল আনায় ইচ্ছাগুলো পূরণ হবে। সেচ্ছায় খরচ করার জন্য এগিয়ে যাবেন না। অন্যথায় খালি পকেট নিয়ে বাড়ি পৌঁছাতে হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে পেছনের সারিতে বসে আরাম করুন আর শখে জড়িয়ে থাকুন। যে জিনিস সবচয়ে বেশি উপভোগ করেন, তাই করুন। সপ্তাহের শেষদিকে পথে আসা নতুন বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ করুন। বাড়তি পয়সা উপার্জনের জন্য উদ্ভাবনী চিন্তা ব্যবহার করুন।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে কাজের জায়গায় কেউ আপনাকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তাই চারপাশে কী ঘটছে সেটার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন। ভালোবাসার উচ্ছাসে স্বপ্ন ও বাস্তবতা মিশে যাবে। সপ্তাহের মাঝদিকে আর্থিক সমস্যা গঠনমূলক চিন্তার সামর্থ্যকে বিনষ্ট করবে। অপ্রয়োজনীয় ভাবনায় শক্তি ক্ষয় না করে সঠিক দিশা নিন। ধ্যান পরিত্রাণ আনবে। সপ্তাহের শেষদিকে আপনার তরফে বেশি কিছু না করেই অন্যদের নজর আকর্ষণ করার জন্য একটি আদর্শ সময়। আপনার রসবোধ অন্যদের উৎসাহিত করবে।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) সপ্তাহের শুরুতে সফর ও ভ্রমণ আনন্দ আনবে। আরও ভালো পেশায় সম্ভাবনাময় গৃহীত সফর বাস্তবায়িত হতে পারে। মোবাইল কর্মক্ষেত্রে ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে, এটি বেশি ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহের মাঝদিকে বিবাহিত জীবনে অনেক ভালোমন্দের পর প্রেমে একে অপরে জন্য সূবর্ণ সময় হবে। পরোপকার ও সামাজিক কাজের দিকে আকৃষ্ট হবেন। ভালো কাজে সময় দিয়ে জীবনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে মানসিক বা দৈহিক অবসাদ দেখা দেবে। কোনো বন্ধুর সাথে দেবে মনোমালিন্য। অপ্রয়োজনীয় খরচ আর্থিক অবস্থা খারাপ করতে পারে।

জাতীয়

উপহার পেতে যেমন ভালোলাগে তেমনি কাছের কাউকে উপহার দেওয়ার মাঝেও আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়।

তবে কারও জন্য প্রয়োজনী উপকারী ‍উপহার বাছাই করতে গিয়ে হয়ত দ্বিধায় ভুগতে হয়।

এই ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে গিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক গৃহসজ্জা-বিষয়ক অভিজ্ঞ পেশাজীবী মর্গান নোল বলেন, “পরিকল্পনা করা, মনোযোগ দেওয়া, কার কী প্রয়োজন- এই বিষয়গুলো জানা থাকলে কার্যকর উপহার বাছাই করতে সুবিধা হয়।”

তথ্য টুকে রাখা

“জন্মদিন, বিয়েবার্ষিকী বা কোনো উৎসবের জন্য- উপহার যেমনই হোক আগে থেকেই পরিকল্পনা করার জন্য সেরা উপায় হল, যাকে দিতে চাচ্ছেন তার সম্পর্কে তথ্য টুকে রাখা”- বলেন মর্গান।

যেমন- মায়ের কোনো কিছু দরকার সেটা উপহার দেওয়া যায়। বা আড্ডায় খেয়াল রাখা, কোনো বন্ধু হয়ত বলছে- তার নির্দিষ্ট একটা জিনিস পছন্দ বা প্রয়োজন।

এই ধরনের তথ্যগুলো টুকে রাখলে উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে পরে বিবেচনা করতে সুবিধা হয়।

কারও জন্য সেটা হতে পারে প্রয়োজনীয় জিনিস। কিংবা শুধুই সাজানোর সরঞ্জাম।

একটু গোয়েন্দগিরি করা

মনে হতে পারে কাজটা ঠিক না। তবে বন্ধু বা প্রিয় কাউকে তার পছন্দের জিনিস দেওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা মোক্ষম পদ্ধতি।

“যেমন- যাকে উপহার দিতে চাচ্ছেন তার ফেইসবুক ঘাটাঘাটি করে পছন্দের বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যেতে পারে। বা সম্প্রতি সে কোনো পোশাকের বা জিনিস অনলাইনে খুঁজেছেন কিংবা এরকম কোনো প্রতিষ্ঠানের পেইজে সংযুক্ত আছেন, এমন তথ্য জানতে পারলে- সেই নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ‘পেইজ’ থেকে কোনো কিছু সংগ্রহ করে উপহার বাছাই করা যায়”- বলেন মর্গান।

হতে পারে সেটা টি-শার্ট, জামা, মগ, সাজানোর সামগ্রী বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।

ব্যবহারিক জিনিস

উপহারের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে এমন জিনিস বাছাই করা যেতে পারে। সেটা যে খুব দামি কিছু হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

এক সেট চামচ, বাটি, গ্লাস, টেবিলের ম্যাট, বিছানার চাদর, ঝারু কিংবা এক বক্স কাপড় বা থালাবাসন ধোয়ার সাবান। এই ধরনের জিনিসগুলো যেমন কাজের তেমনি উপহারের ক্ষেত্রে চমৎকারিত্ব তৈরি করে।

যাকে উপহার দিতে চাচ্ছেন, তার প্রোষা প্রাণী থাকলে, সেটার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসও হতে পারে ভালো উপহার।

“এছাড়া উপহার দেওয়া যায় কোনো সেবা। যেমন- কাউকে হয় পার্লারে চুল কাটা বা ফেইশলের একটা ‘প্যাকেজ’ গিফট করল”- পরামর্শ দেন মর্গান।

আর যেকোনো ক্ষেত্রে ‘অ্যান্টিকস’ বা প্রাচীন কোনো জিনিস উপহার হতে পারে সেরা বিষয়।

নিজে নিয়েও ভাবা

অনেক সময় কার্যকর উপহার বাছাই করতে গিয়ে আটকে যেতে হয়।

এই ক্ষেত্রে উপায় হল, নিজের কোন উপহারটা ভালো লেগেছে, সেটা কেনো ভালো লেগেছে, অন্যকে সেটা দিলে কতটা ভালো বা উপকারে লাগবে এই ভাবনা চিন্তার ফলেও সুন্দর জিনিস বাছাই করা সম্ভব হয়।

জাতীয়

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাদ বিন আজিজুর রহমান জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন।

এ সময় কারা ফটকের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনো স্বীকারোক্তি দেইনি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. শাজাহান কবির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন সাদ।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের জয়পুরপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে উম্মে সালমা নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে মরদেহ ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উম্মে সালমার স্বামী আজিজার রহমান ও তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে আটক করে র‍্যাব। পরদিন ১২ নভেম্বর র‍্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, সাদ হাত খরচের টাকা না পেয়ে নিজেই তার মাকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল।

পরে মায়ের হত্যা মামলায় তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয় সাদকে। এরপর পুলিশ জানায়, মায়ের হত্যায় সম্পৃক্ততা নেই সাদের।

পরবর্তীতে ১৫ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উম্মে সালমার বাড়ির ভাড়াটিয়া মাবিয়া সুলতানা এবং তাঁর দুই সহযোগী মোসলেম এবং সুমন চন্দ্র রবিদাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় ওই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় উম্মে সালমাকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।

এদিকে মাকে হত্যায় ছেলের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। এমন তথ্যের পর ১৭ নভেম্বর সাদের জামিন আবেদন করে পরিবার। ১৯ নভেম্বর জামিন শুনানি শেষে সাদের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে আজ আবারো জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে জামিন মেলে।

এদিন বিকেলে সাদকে বাসায় নিতে কারা ফটকের সামনে যান তার বাবা আজিজুর রহমান ও বড় ভাই নাজমুস সাকিব।

কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, আটকের পর তিনি কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। আর কোনো কথা না বলে স্বজনদের সঙ্গে চলে যান সাদ।

সাদের আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচী জানান, ১৪ দিন কারাবাসের পর তার জামিন দিয়েছেন জেলা জজ। তাকে হত্যা মামলা থেকেও রেহাই দেওয়া হবে।

বগুড়ার জেল সুপার ফারুক আহমেদ জানান, আদালতের নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর সন্ধ্যার দিকে সাদকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়

জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত, প্রতিবন্ধীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিরাপত্তা চেয়েছেন। এসব নির্বাচনে তাদের প্রতিনিধি রাখার বিষয়েও দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদের কেবিনেট কক্ষে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তারা এসব দাবি জানান।

মতবিনিময় সভায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান হওয়া দরকার। জাতি ধর্ম নির্বিশেষ আমরা এক পরিবারের সদস্য। এর মধ্যে বিভাজন হওয়া উচিত নয়। সবাই আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করলে ও সুশাসন নিশ্চিত হলে আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক অসঙ্গতি আছে। যা আমরা চিহ্নিত করেছি- দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা, উচ্চকক্ষ কীভাবে নির্বাচিত হবে তা নির্ধারণ, ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ, দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়- এ বিষয়টা জোরালোভাবে এসেছে।

বদিউল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতির নির্বাচন দলভিত্তিক নয়, রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সরাসরি আসবে কিনা, সে প্রস্তাবও এসেছে। ভোটার তালিকা নিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায় ও অন্য সম্প্রদায়ের সমস্যা আছে। অতীতে যত অন্যায় ও বৈষম্য হয়েছে- সেসব দূর করার জন্য আমাদের অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এমন একটা দেশ গড়তে চাই- যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হবে। যে চেতনা থেকে আন্দোলন হয়েছে সে চেতনার ভিত্তিতে আমরা পরিচালিত হতে চাই।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের নির্বাহী কমিটির সদস্য রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারে আদিবাসীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে। সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি আসনে নারী, আদিবাসী, দলিত, চা শ্রমিক, কৃষকসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যেতে পারে। আদিবাসী প্রতিনিধি সন্ধ্যা মালো বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনেও পিছিয়ে পড়ারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যে হেরেছে সে নির্যাতন করেছে।

অনগ্রসর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (আসুস) নির্বাহী পরিচালক রাজকুমার শাও বলেন, আদিবাসীদের ভোটার তালিকা নতুনভাবে করতে হবে। এ কার্যক্রমে তাদের যুক্ত করতে হবে। না হলে সঠিক তালিকা হবে না। আমরা যখনই কথা বলি- তখন বিভিন্ন ট্যাগ লাগানো হয়। কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি, কখনো বা জামায়াত বলে ট্যাগ লাগিয়ে মারা হয়।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধি নূর নাহার আলম বলেন, ১২ ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে। কিন্তু ভোটার তালিকা করার সময় তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয় না। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যালটে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা ও প্রতিবন্ধীদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সুব্যবস্থা করার দাবি করেন তিনি।

জাতীয়

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যকাজে বাধাদান, সংঘাতের মাধ্যমে জনমনে ভীতিসঞ্চারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এ তিন মামলায় ১১৫০ জন থেকে ১৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনায় মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে, রঙ্গম সিনেমা হলের সামনের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত এবং কোতোয়ালী মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে অজ্ঞাত আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। তাঁরা এ সময় বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন পুলিশ ও বিজিবি চেষ্টা করেও প্রিজন ভ্যান আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের করে কারাগারে নিতে পারেনি। পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং লাঠিপেটা শুরু করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। এরপর পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরে চিন্ময় কৃষ্ণকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামের চতুর্থ দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে।

জাতীয়

সরাসরি না বললেও রাজধানীর তিন কলেজের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। যেখানে তিনি একটি দল ও দেশি-বিদেশি সুযোগ সন্ধানীদের বিষয়ে লিখেছেন।

অনেক মিত্র আজ হঠকারীর ভূমিকায়, এমন মন্তব্যও করেছেন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন মাহফুজ। গণ-অভ্যুত্থান ও ছাত্র-তরুণ বিরোধী শক্তি শিরোনামে তিনি পোস্টে লিখেছেন-

মুক্তিযুদ্ধের পরের দশ-পনের বছরের ইতিহাস মুক্তিযোদ্ধাদের একে অপরকে হত্যার ইতিহাস। যারা চায়নি বাংলাদেশ শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াক, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের একে অপরকে দিয়ে হত্যা করিয়েছে। তাদের নিজেদের ভুল ছিল না তা নয়, কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধাগণের একের পর এক হত্যা বাংলাদেশকে কীভাবে পিছিয়ে দিল, তা ইতিহাস একদিন বলবে।

এবারের আন্দোলন সাহসী ছাত্র তরুণদের নেতৃত্বে জনগণের আন্দোলন। কিন্তু, একটি দল এবং দেশি বিদেশি সুযোগ সন্ধানী ইস্টাবলিশমেন্ট গত ৩ মাসে ছাত্রদের ভিলিফাই করেছে, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে বিভেদ ঘটিয়েছে, অন্য একটি তরুণ দলকে লেলিয়ে দিয়েছে ছাত্রদের বিরুদ্ধে, তদুপরি ছাত্রদের সাথে সম্মানজনকভাবে ডিল তো করেইনি, বরং ছাত্রদের তারা শত্রু গণ্য করেছে। তার পরিণতি কি ভালো হচ্ছে, বা হবে?

মনে রাখতে হবে, বিদেশি শক্তির কোনো সাধ্য নাই এ দেশের মানুষকে পদানত করার। কিন্তু, গোলামির মানসিকতার কিছু গাদ্দার আর হঠকারীর এ শক্তি আছে। তারা গত তিন মাসে তা দেখাল। ছাত্রদের আজ সংঘাতের মুখে ঠেলে দিয়ে হত্যার মাধ্যমে ছাত্রদের বৈধতার সঙ্কট হলে, যারা যারা লাভবান হবে, তারা সবাই এ উসকানি এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার সাথে জড়িত। ধীরে ধীরে আমরা সবই বলব। অথবা, আপনারা চোখ খুললেই দেখতে পাবেন।

এদিকে, বাম এবং ডান মানসিকতার কতিপয় নেতৃত্ব বা ব্যক্তিগণ অভ্যুত্থানে, এবং পরবর্তীতে সরকারে নিজেদের শরিকানা নিশ্চিত না করতে পেরে উন্মত্ত হয়ে গেছেন। তাদের উন্মত্ততা, বিপ্লবী জোশ এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড দেশটাকে অস্থির করে রেখেছে। অনেক মিত্রই আজ হঠকারীর ভূমিকায়। আমরা আমাদের ব্যর্থতা স্বীকার করি। আমরা শিখেছি এবং ব্যর্থতা কাটানোর চেষ্টাও করছি। আমরা আরও চেষ্টা করব সবাইকে নিয়ে এগুনোর। কিন্তু, হঠকারিতা এবং ছাত্রদের অন্যায্যতার চেষ্টা এ জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

হঠকারিতা, উসকানি, ছাত্র-তরুণদের মধ্যে বিভেদ ও বিরোধ তৈরি, অভ্যুত্থানের শক্তিকে প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলার অপচেষ্টা- সবই ব্যর্থ করে দেওয়া হবে, ইন শা আল্লাহ। আমরা ৫ আগস্টের সকালের মতন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এবারের সাংগঠনিকভাবে গড়ে ওঠা ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী মুক্তির সুযোগ তৈরি করবে, ইন শা আল্লাহ।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি), কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেলা ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। সংঘর্ষে আহত হয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জাতীয়

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে একটি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

সোমবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, চলাচলের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে শুধু পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। তারা সেই জাহাজকে অনুমতি দিয়েছে। তবে কখন দ্বীপে যাবে সেটি চূড়ান্ত করবে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি।

মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী জানান, আগামী ২৭ নভেম্বর তারা কমিটির বৈঠক আহ্বান করেছেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে কোন জায়গা থেকে জাহাজ ছাড়বে। আপাতত কেয়ারি সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। তারা সেই জাহাজকে অনুমতি দিয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে নাফ নদী অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। ফলে ইনানী অথবা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

ছয় সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অথবা ট্যুরিজম বোর্ডের কক্সবাজার প্রতিনিধি, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের কক্সবাজার প্রতিনিধি, কোস্টগার্ডের কক্সবাজার প্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশ-কক্সবাজারের প্রতিনিধি এবং পরিবেশ অধিদপ্তর-কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক।

জাতীয়

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার পর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বিটাক মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটে।

জানা গেছে, বুটেক্সের আজিজ হল ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর কয়েকদফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কী নিয়ে এ সংঘর্ষের শুরু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ সরকার।

তিনি বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

তবে এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকায় তিনি (বিকাশ সরকার) বিস্তারিত তেমন কিছু জানাতে পারেননি।

এদিকে, সংঘর্ষের এ ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

জাতীয়

আওয়ামী লীগের শাসনামলে শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পেতে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিতে হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, শিল্প কারখানায় বিনিয়োগের পর গ্যাস পেতে নিজের টাকায় ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হয়েছে। এই পাইপলাইন নির্মাণে শুধু রোড কাটিং বাবদ আমি ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি। আর এই ঘুস দেওয়ার জন্যও আমাকে ঘুস দিতে হয়েছে।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

সেখ বশির উদ্দিন বলেন, গ্যাসের জন্য জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বাসার সামনে আমাকে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তার কাছ থেকে অনেক লেকচার শুনতে হয়েছে। মিনিমাম সম্মান পর্যন্ত পাইনি। তারপরও জ্বি স্যার, জ্বি স্যার বলতে হয়েছে। কিছু কিছু মানুষের সিটিস্ক্যান করে তাদের ব্রেন দেখার ইচ্ছা হচ্ছে আমার। মানুষ কীভাবে এত ক্রিমিনাল হতে পারে?

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি জ্বালানি উপদেষ্টাকে এক মিটিংয়ে বলতে শুনেছি যে জ্বালানি খাত দুর্নীতির অন্যতম স্তম্ভ। সেখান থেকে আমাদের বের হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ভোলার গ্যাসক্ষেত্রে আবিষ্কৃত গ্যাস সিএনজি বা এলএনজি ফরম্যাটে আনার জন্য আগামী ডিসেম্বরে দরপত্র আহ্বান করা হবে।

ফাওজুল কবির বলেন, ভোলায় ৭০ এমএমসিএফ গ্যাস পাওয়া গেলেও পাইপলাইন না থাকায় ওই গ্যাস ঢাকায় বা শিল্প এলাকায় আনা যাচ্ছে না। ভোলার গ্যাস ঢাকায় আনার জন্য আমরা ডিসেম্বরেই ওপেন টেন্ডার দিচ্ছি। আগ্রহী ব্যবসায়ীরা দরপত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এলএনজি বা সিএনজি ফরম্যাটে এই গ্যাস ঢাকায় আনতে পারবেন। ভোলার গ্যাস ঢাকায় আনা গেলে শিল্পে গ্যাসের সংকট কিছুটা হলেও কমবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভোলা থেকে গ্যাস আনার টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এছাড়া ৯ ডিসেম্বর অফশোর বিডিং টেন্ডার ওপেন করা হবে। আগামী বছরের শুরুতেই বিশ্বের নাম করা জ্বালানি কোম্পানির সঙ্গে অফশোরের গ্যাস নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারব বলে আশা করি। তিনি বলেন, পাবর্ত্য এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস পাওয়ার বিপুল সম্ভাবনা আছে। এসব এলাকার গ্যাস অনুসন্ধানে অনশোর বিডিং ওপেন করার প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি আগামী মার্চের মধ্যে অনশোর বিডিং করা সম্ভব হবে।