জাতীয়

বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের ১৪টি বন্যা প্রবণ জেলায় দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সহায়তা করতে ৫শ’ত মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। এলাকার প্রায় ১.২৫ মিলিয়ন লোক সরাসরি সুবিধা পাবে।

এই ঋণ সহায়তায় দ্যা রেজিলেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর এ্যাডাপশন এন্ড ভলনারএবিলিটি রিডাকশন (আরআইভিইআর) শিরোনামের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় মাধ্যমে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৫ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক পুন:নির্মাণ এবং জলবায়ু সহনশীল কমিউনিটিভিত্তিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো দুর্যোগকালীন সময়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হবে। এ সকল আশ্রয় কেন্দ্রে সোলার প্যানেল, বিশুদ্ধ পানি, পয়:নিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।

প্রকল্পটি বন্যা এবং জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণে কমিউনিটি ও সরকারি সংস্থার সক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ ও ভূটান বিষয়ক বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন বলেন, সিলেট অঞ্চলে সাম্প্রতিক অপ্রত্যাশিত এবং আকস্মিক প্রাকৃতিক দুযোর্গ জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, উপকূল অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ঝুকি মোকাবেলায় আমাদের দীর্ঘ পাচঁ দশকের অংশীদারিত্বের আলোকে এই প্রকল্প সমতল ভূমির বন্যা দুযোর্গ পরিস্থিতি উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এসোসিয়েশনের পাঁচ বছর গ্রেস প্রিয়ডসহ ত্রিশ বছর মেয়াদি এই ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয়

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে দিনভরই মারাত্মক সব দুর্ঘটনার খবর এসেছে; মহাসড়কের এক জায়গায় বাবা, মা ও সন্তান এবং আরেক পথে মা ও দুই ছেলেমেয়ের করুণ মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দিন শেষে সড়কে ঝরেছে ২৯ জনের প্রাণ।

জাতীয়

হজ শেষে দেশে ফিরেছে ৪১৬ জন হাজিদের প্রথম দল।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছে।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ৪১৬ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট রাতে শাহজালালে অবতরণ করেছে।

অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। ফ্লাইনাসের প্রথম ফ্লাইট ঢাকায় নামবে শুক্রবার মধ্যরাতে। আর সৌদি এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইটও ওইদিন আসবে।

এর আগে তিনি জানান, হাজিদের ফেরা নির্বিঘ্ন করতে বেশ বিছু ব্যবস্থা নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। হজ ফ্লাইটের সূচি অনুযায়ী বিমানবন্দরে অতিরিক্ত দুটি গ্রিন চ্যানেল (কাস্টম জোন) করা হয়েছে। জমজমের পানি সংগ্রহের জন্য বরাবরের মতই আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।

এছাড়া উড়োজাহাজ থেকে নেমে ব্যাগ-স্যুটকেস সংগ্রহ করে সেটি বহনে যাতে ‘ট্রলি’ সমস্যায় যাতে পড়তে না হয়, সেজন্য ‘বিশেষ’ তদারকি থাকবে বলে জানান তিনি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক বলেন, “হাজিরা যাতে নির্বিঘ্নে বিমানবন্দর থেকে বের হতে পারেন, সেজন্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ও ঢাকা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।“

কোভিড মহামারীর ভয়বহতা কাটিয়ে ওঠায় দুবছর পর কিছুটা বড় পরিসরে হজ হয়েছে এবার। এ বছর বিভিন্ন দেশের ১০ লাখ মুসলমানকে হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয় সৌদি আরব। তবে এ সংখ্যাও মহামারীর আগের সময়ের তুলনায় অর্ধেক।

এর মধ্যে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসেন, বাকিরা সৌদিতে থাকেন। আর বাংলাদেশ থেকে এবার হজ গেছেন ৬০ হাজার মানুষ।

জাতীয়

চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেই তা বাতিল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব পদে আর থাকছেন না মু আশরাফ সিদ্দিকী (বিটু)।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব পদে নিয়োজিত জনাব মু.আশরাফ সিদ্দিকী (বিটু) এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আগামী ২১ জুলাই ২০২২ তারিখ থেকে বাতিল করা হল।”

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফ বিটু বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, “২১ জুলাই থেকে আমার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের আদেশ কার্যকর হবে।”

কী কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এই চাকরি ছাড়লেন, তা জানা যায়নি।

২০১৭ সালে সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ে সহকারী প্রেস সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন আশরাফ বিটু। সবশেষ ২০২১ সালে তার চুক্তির মেয়াদ তিন বছর বাড়ানো হয়েছিল।

জাতীয়

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৬০ জনে।

এ সময়ে ১ হাজার ১০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৭ জনে।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৩৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৯৯০ জন। ২৪ ঘন্টায় ৮ হাজার ১৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ৩৫৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়াদের ৩ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের ও একজন ময়মনসিংহ বিভাগের। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

জাতীয়

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস আর নেই ।

ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

মুকুল বোসের বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগে যুক্ত মুকুল বোস এক যুগ আগে জরুরি অবস্থার সময় ‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর কিছু দিন দলে অপাঙক্তেয় ছিলেন।

১৬ মে ঢাকার রায়েরবাজারের বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল বোস। তাৎক্ষণিকভাবে মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরদিন সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। তার অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় ৷

এর পরে ভারতে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয় মুকুল বোসকে। সেখানেই শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয় বলে জানান বিপ্লব বড়ুয়া।

আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে তিনি (মুকুল) হার্ট, লিভার ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় ওবায়দুল কাদের, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে মুকুল বোসও ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তখন মুকুল সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর কর্মীদের রোষের মুখে পড়েন। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কারাগারে যাওয়ার পর তখন আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে এসেছিলেন।

জরুরি অবস্থার অবসানের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে ২০০৯ সালের সম্মেলনে বাদ পড়েন মুকুল বোস। ২০১২ সালের সম্মেলনেও ফিরতে পারেননি এই নেতা।

সর্বশেষ ২০১৬ সালে দলের ২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে এর প্রায় আড়াই মাস পর ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করেন সভাপতি শেখ হাসিনা।

এর পর ওই বছরের ৩১ জানুয়ারি মুকুল বোসকে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত করার কথা জানানো হয়।

জাতীয়

পদ্মা সেতুর পর আরেক স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ; চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণের কাজ শেষ হচ্ছে এ বছরই।

সরকার আশা করছে, ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সুরঙ্গ পথ এ বছরের শেষ নাগাদ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে, যা হবে বাংলাদেশের প্রথম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম রোড টানেল।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেছেন, “মূল টানেল এবং অ্যাপ্রোচ সড়কসহ সবমিলিয়ে কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। আমরা শিডিউল অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।”

৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেলে প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম ও প্রান্তে থাকছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এ ছাড়া ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ওভারব্রিজ রয়েছে আনোয়ারা প্রান্তে।

বন্দরনগরীর পতেঙ্গা নেভাল অ্যাকাডেমির পাশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় নেমে যাওয়া এই পাতাল পথ কর্ণফুলীর ওপারে আনোয়ারায় সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে আবার ভূপৃষ্ঠে উঠবে। ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার টানেলে দুটি টিউব দিয়ে যাওয়া আসা করবে যানবাহন।

একটির সঙ্গে অপর টিউবের দূরত্ব ১২ মিটারের মত। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেইন থাকবে।
নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণের চ্যালেঞ্জের কথা তুল ধরে প্রকল্প পরিচালক বলেন, “এটি কোনো সেতু বা রাস্তা নয়। আমরা নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। কাজ শেষ হওয়ার পর যানবাহন চালানোসহ অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা করে তারপর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।”

সরকার আশা করছে, বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের চিত্র পাল্টে যাবে এবং এখানকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে যুক্ত করবে এই সুড়ঙ্গপথ। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামর সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল ও পারকি সমুদ্র সৈকত। কর্ণফুলী পেরিয়ে আনোয়ারা দিয়েই কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে।

কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তুলতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়ার দুই বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু হয়।

কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর সময় এ কাজ কিছুটা গতি হারায়। ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত টানেল নির্মাণে অগ্রগতি হয় পাঁচ শতাংশ।
মহামারীর কারণে টানেলের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনাসহ নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।

ইতোমধ্যে নদীর তলদেশের টানেলের দুটি টিউব নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম টিউবের কাজে ১৭ মাস লাগলেও দ্বিতীয়টি শেষ করা গেছে ১০ মাসেই। বর্তমানেসুড়ঙ্গের কাঠামোগত কাজ চলছে।

প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ বলেন, “নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা তা মোকাবেলা করে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।”

এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে একটি নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বানানো হচ্ছে এ টানেল। নির্মাণ কাজ করছে চীনা কোম্পানি ‘চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’।

চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা বাড়াতে এবং প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করতেও এই টানেল ভূমিকা রাখবে বলেও সরকার আশা করছে।

টানেলের উত্তরে নগরীর দিকে আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কাঠগড় সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক এবং পতেঙ্গা বিচ সড়ক দিয়ে টানেলে প্রবেশ করা যাবে।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পের শুরুর দিকে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। অনুমোদনের দুই বছর পরে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা করা হয়। পাশাপাশি মেয়াদ বাড়ানো হয় এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

গত ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করে প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আরও দুটো মেগা প্রকল্প মেট্রো রেল ও বঙ্গবন্ধু টানেলও এ বছরই চালু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।

জাতীয়

দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনে এই রোগে মারা গিয়েছিল ৪ জন। এ সময়ে সংক্রমণ কমেছে দশমিক ৩৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৫৪ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বুধবার করোনায় শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। আজ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ জন। আগের দিন ১৩ হাজার ৯০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ১৮৩ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮২ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৪৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৭৫৭ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এদিকে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ২৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৬৭ জন। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের দিনে এই হার ছিল ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

জাতীয়

দেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলোতে এবং দেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমায় উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানিও কমছে। ফলে সিলেট, কুড়িগ্রামসহ উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শুক্রবার (০১ জুলাই) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় নদীর পানি সমতল শনিবার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা একই সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

এই অবস্থায় শনিবার নাগাদ কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

এদিকে একদিনের ব্যবধানে দু’টি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে চলে এসেছে। বর্তমানে সাতটি নদ-নদীর পানি আটটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি হাতিয়ায় ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সুরমার পানি কানাইঘাটে ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদে ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও শেওলায় ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পুরাতন সুরমার পানি দিরাইতে ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বাউলাই নদীর পানি খালিয়াজুড়িতে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে শুক্রবার পানির সমতল বেড়েছে ৬১টিতে, কমেছে ৪১টিতে, অপরিবর্তিত আছে সাতটিতে। বর্তমানে বন্যা আক্রান্ত জেলা ছয়টি।

জাতীয়

প্রথম দফায় বেসরকারিভাবে ৯৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ৩০ জুন খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

৪ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টনের মধ্যে নন বাসমতি চাল ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন এবং আতপ চাল ৩০ হাজার টন। আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙ্গা দানা থাকতে পারবে বলে শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে দেওয়া চিঠিতে চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে।

শর্তে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।এ ছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে।