জাতীয়

ইসরাইলের হামলার জবাবে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, নতুন করে জায়ানিস্টদের বিপক্ষে এই জবাব ছোঁড়া হয়েছে। ইসরাইলের তেল আবিবের লাইভ ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ইরানের ডজনখানেক মিসাইল দেশটির বিভিন্ন শহরে পড়ছে।

এরআগে, ইসরাইলের ৭০টি বিমান হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলার প্রতিশোধস্বরূপ পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। ঘণ্টাখানেক আগে দেশটির তরফ থেকে বলা হয় খুব দ্রুতই ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে যাচ্ছে ইরান। তার পরই এই হামলা।

ইরানের অফিসিয়াল নিউজ এজেন্সি ইরনা জানিয়েছে, ইসরাইলের বেশ কয়েকটি শহরে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে ইরানিয়ান ফোর্স। ইরনা জানিয়েছে, এটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকারী ড্রোনের সাহায্যে একটি হাইব্রিড আক্রমণ।

ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় শহর হাইফা এবং পাশের শহর তামরায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেল ১৩। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে সাইরেন বেজে উঠছে।

এরআগে, ইসরাইলের হামলার একদিনের মাথায় ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। শুক্রবার গভীর রাতে তেল আবিব ও আশপাশের এলাকায় তাদের বাড়িঘরে আঘাত হানে। যা ইসরাইলে ব্যাপক ধ্বংস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ওই হামলায় ৩ জন নিহত ও ১৭৩ জন আহত হয়েছেন। হামলার সময় ওইসব এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে এবং আতঙ্কিত লাখ লাখ ইসরাইলি নিরাপদ কক্ষ ও বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছোটেন।

যদিও ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। তবে বেশকিছু ক্ষেপণাস্ত্র যেগুলোতে শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল—সেগুলো তেল আবিব, রামাত গান ও রিশন লেৎসিয়নের আবাসিক ভবনে সরাসরি আঘাত হানে এবং রীতিমত ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়। এবার আরও বড় হামলা চালিয়েছে ইরান।

জাতীয়

তিন হাসপাতাল ঘুরেও বাঁচানো গেল না বাবুল মিয়াকে * ফুসফুস সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরা, ধূমপান পরিহার ও ব্যায়াম জরুরি : বিশেষজ্ঞ

শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. বাবুল মিয়া (৫৪)। শুক্রবার হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে স্বজনরা তাকে রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হার্টের সমস্যার সঙ্গে কোভিড-১৯ পজিটিভ আক্রান্ত রোগী হিসাবে শনাক্ত করেন।

করোনাভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করায় নিউমোনিয়া হয়েছে জানিয়ে হার্টের আগে জরুরি ভিত্তিতে নিউমোনিয়ার চিকিৎসার কথা বলেন তারা। একই সঙ্গে দ্রুত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। এমন খবরে বাবুল মিয়ার স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। আইসিইউ’র জন্য বেসরকারি এভারকেয়ার ও ইউনাইটেড হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। সেখানে করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীর জন্য পৃথক আইসিইউ নেই বলে জানানো হয়।

নিরুপায় স্বজনরা শনিবার সকাল ১১টায় মহাখালী ‘ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে’ আইসিইউতে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। আইসিইউতে ঢোকানোর আগেই বাবুল মিয়ার মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে বাবুল মিয়ার মৃত্যুর এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসে আক্রমণ করে। এর ফলে ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে, যা নিউমোনিয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং এআরডিএস (একিউট রেসপিরেটিরি ডিসট্রেস সিনড্রোম) নামে পরিচিত একটি অবস্থার দিকে যেতে পারে। এভাবে ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এমনকি যাদের আগে থেকে ফুসফুস সম্পর্কিত কোনো সমস্যা ছিল না, তারাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুসের জটিলতায় ভুগতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ফুসফুসে সংক্রমণ হলে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যেতে পারে। যেমন-জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, পেশিব্যথা, স্বাদ ও ঘ্রাণ চলে যাওয়া। কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ গুরুতর হলে নিউমোনিয়া বা এআরডিএস-এর মতো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। যা জীবনের জন্য হুমকি। টিবি কন্ট্রোল অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) বক্ষব্যাধি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেহ আকরাম দোলন বলেন, কোভিডের কারণে ভাইরাল নিউমোনিয়া অর্থাৎ করোনাভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া হয়। যাকে কোভিড নিউমোনিয়া বলে। এর ফলে ফুসফুসে ফ্রাইবোসিস হয়, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসে পানিও জমতে পারে। ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষমতা কমে যায়। পরে রেসপিরেটরি ফেউলিওর হয়ে রোগীর আইসিসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন হতে পারে।

করোনাভাইরাস থেকে ফুসফুস সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ফুসফুসের মধ্যে জীবাণু প্রবেশ করলেই অঙ্গটির স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। তাই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ বা যে কোনো পরিস্থিতিই হোক ফুসফুস সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরা জরুরি। এতে ফুসফুসে ধুলাবালি, ধোঁয়া এবং জীবাণু সহজে প্রবেশ করতে পারবে না। অল্প পরিমাণে প্রবেশ করলেও ফুসফুসের ইমিউনিটি সিস্টেম সেটি প্রতিরোধ করতে পারবে। দ্বিতীয়ত, ধূমপান পরিহার করতে হবে। তৃতীয়ত, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তথা ফলমূল ও লেবুজাতীয় খাবার খেতে হবে। পাশাপশি পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা (ব্যায়াম বা দৌড়ানো) করতে হবে। এগুলো করোনাভাইরাস আক্রান্তের আগের কাজ। এরপরও কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে ও ওষুধ খেতে হবে।

২৪ ঘণ্টায় ৭ রোগী শনাক্ত : এদিকে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে চলতি বছর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬২ জনে। এদের মধ্যে ১০৪ জন শনাক্ত হয় চলতি জুন মাসে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে সাতটিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। ১৩৯টির মধ্যে ঢাকায় ৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনের এবং চট্টগ্রামে ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে তিনজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

দেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে শনিবার পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনাভাইরাস পাওয়া যায় ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০৭টি নমুনায়। মৃত্যু হয় ২৯ হাজার ৫০২ জনের। মহামারি শুরুর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের প্রাণ কেড়ে নেয় করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয় ২০২১ সালে। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন, ২০২৩ সালে ৩৭ জন ও ২০২৪ সালে ২২ জনের মৃত্যু হয় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে।

প্রসঙ্গত, ভারতসহ পাশের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।

জাতীয়

সুস্থতার জন্য তেমন কোনো সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না।

আজকের দ্রুতগতির জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ যেন প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। সময়ের অভাবে প্রকৃতিতে বেরিয়ে যাওয়া অনেক সময় সম্ভব না হলেও, আশার খবর হচ্ছে প্রকৃতির কোলেই যেতে পারেন শুধুমাত্র কল্পনার মাধ্যমে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রকৃতি নিয়ে কল্পনা করলেও মানুষের শরীর ও মনে প্রশান্তি নেমে আসে।

গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল সাইকোলজি’তে।

প্রকৃতির কল্পনায় আসে প্রশান্তি

ফিনল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অফ টার্কু’র এই গবেষণার বরাত দিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের একটি প্রারম্ভিক কোর্সে অংশগ্রহণকারী ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে দুটি পরিবেশ কল্পনা করতে বলা হয়।

একটি প্রাকৃতিক এবং আরেকটি শহুরে।

গবেষকরা দেখতে পান যখন অংশগ্রহণকারীরা প্রাকৃতিক পরিবেশ কল্পনা করছিলেন তখন তাদের হৃদস্পন্দনের গতি ধীর হচ্ছিল, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম সক্রিয় হচ্ছিল। আর তারা নিজেদের আরও শান্ত ও স্বস্তিকর অনুভব করছিলেন।

অন্যদিকে, শহুরে দৃশ্য কল্পনা করার সময় তারা বেশি মানসিক ক্লান্তি ও চাপের অনুভূতি জানিয়েছিলেন।

বিজ্ঞান কী বলছে ?

এই গবেষণার পেছনে রয়েছে দুটি মনোবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। একটি হল ‘স্ট্রেস রিডাকশন থিওরি (এসআরটি)’- যার ব্যাখ্যায় বলা হয়, মানব মস্তিষ্ক প্রকৃতির প্রতি একটি স্বাভাবিক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে। কারণ আমরা জৈবিকভাবে প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়েই বিবর্তিত হয়েছি।

অন্যটি হল ‘অ্যাটেনশন রিস্টোরেইশন থিওরি (এআরটি)’- যেখানে বলা হয়, শহুরে পরিবেশ মনোযোগকে ক্লান্ত করে ফেলে। আর প্রকৃতির পরিবেশ মনকে পুনরায় উজ্জীবিত করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৩০ সেকেন্ড প্রকৃতির কল্পনায় থাকলেও শরীরে ও মনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। আরও আশ্চর্যের বিষয়, কেবল গাছ, ফুল, পাখি— এই ধরনের প্রকৃতি সম্পর্কিত শব্দ দেখলেও একই রকম শান্তি অনুভব করা যায়।

কল্পনার প্রকৃতিতে কী থাকতে পারে?

গবেষণায় বলা হয়েছে, এই কল্পনার প্রকৃতি শুধু সবুজ গাছগাছালির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি হতে পারে ফুলের বাগান, ছোট পোকামাকড়, ঝরনা কিংবা পাহাড়ি পথ। প্রকৃতির প্রতি কারও সংযোগ যত গভীর, এই কল্পনার প্রভাব তত বেশি হয়।

দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে ব্যবহার করবেন?

কোনো কাজে বিরতির সময় ৩০ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে কল্পনা করতে হবে- একটা নদীর পাড়ে বসে আছেন, চারপাশে সবুজ গাছ, পাখির ডাক, বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ।

মোবাইল ফোনের ওয়ালপেপারে রাখতে হবে প্রকৃতির ছবি, যেমন- ফুল, পাহাড়, বন, কিংবা সমুদ্র।

প্রকৃতি সম্পর্কিত শব্দ (যেমন- নদী, জলপ্রপাত, বন) দিয়ে নিজের জন্য একটি ‘শান্ত তালিকা’ তৈরি করা যায় যা চোখে দেখলেই মনে শান্তি আসে।

যাদের উদ্বেগ বা ‘ইনসোমনিয়া’ বা নিদ্রাহীনতার রোগ আছে, তারা প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক মিনিট প্রকৃতির কল্পনা চর্চা করতে পারেন।

গবেষণা থেকে শেখার বিষয়

টার্কু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা বলে দেয়, শান্তির জন্য প্রকৃতির কোল ছুঁতে হলে গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে না। মনের ভেতরেই গড়া যায় সেই আশ্রয়।

কল্পনাও হয়ে উঠতে পারে মানসিক চাপ থেকে পরিত্রাণের এক শক্তিশালী হাতিয়ার।

জাতীয়

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কালো চা নিয়মিত খেলে সিসটোলিক ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

চা মানেই যেন বাঙালির আত্মার আত্মীয়। সকালের শুরু হোক বা ক্লান্ত বিকেল, এক কাপ চা যেন নতুন করে জেগে ওঠার ডাক দেয়। নানা ধরণের চায়ের ভিড়ে কালো চায়ের আলাদা কদর রয়েছে। শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যগুণেও কালো চা অনন্য।

জাতীয়
জাতীয়

সাংবাদিক ফারজানা রূপার মায়ের মৃত্যুতে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। একই কারণে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন রূপার স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমেদও।

চার ঘণ্টার জন্য তারা এ সুবিধা পাবেন।
বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর নারী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রূপা আর কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে শাকিল মুক্তি পান। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন ঢাকা বিভাগের কারা-মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় কারাগারে বন্দী আছেন এই দম্পতি। গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় রূপার মা হোসনে আরা বেগম মারা যান।

ময়মনসিংহে তার জানাজা-দাফনের সময় উপস্থিত থাকতে ও শেষবারের জন্য দেখতে রূপা-শাকিলকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হোসনে আরা বেগমের জানাজা আজ রাত ৯টায় ময়মনসিংহের ঘাগড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর তাকে দাফন করা হবে।

জুলাই অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে বিদেশে চলে যাওয়ার সময় গত ২১ আগস্ট বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন রূপা ও শাকিল। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

জাতীয়

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আর এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সিদ্ধান্ত একই সঙ্গে অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধানপরিপন্থি।

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, রাষ্ট্র সংস্কার, বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যকে রীতিমতো উপেক্ষা করেছে সরকার। একই সঙ্গে দুর্নীতিকে উৎসাহ দিয়ে আবাসন খাতের লবির ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। করহার যা-ই হোক না কেন, এটি সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যেখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে, অনুপার্জিত আয় অবৈধ হবে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ একই সঙ্গে বৈষম্যমূলক। কারণ, এ সিদ্ধান্তে আবাসন খাতে অবৈধ অর্থের মালিকদের অধিকতর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। সৎ উপার্জনকারীদের ফ্ল্যাট বা ভবনের অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশঙ্কা ও হতাশার ব্যাপার হলো, সরকারের এ সিদ্ধান্ত দুর্নীতিকে উৎসাহ দেবে। এর মাধ্যমে সরকার বাস্তবে বছরজুড়ে অবৈধ ও অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ অর্জনের জন্য নাগরিকদের উৎসাহিত করছে। বছর শেষে কালোটাকাকে বৈধতা দেওয়ার অঙ্গীকার করছে।

জাতীয়

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। এবারের জাতীয় বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। বাজেটে যেসব শুল্ক-কর প্রস্তাব করা হয়, তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। ফলে শুল্ককর কমলে দাম কমতে পারে। সাধারণত শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রভাব বাজারে দ্রুত পড়ে। কমানোর প্রভাব পড়তে দেরি হয়।

দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের :-

চিনি

পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি শুল্ক ৫০০ টাকা কমিয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। ফলে চিনির দাম কমানোর সুযোগ তৈরি হবে।

স্যানিটারি ন্যাপকিন

স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায় ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তরল দুধ

প্যাকেটজাত তরল দুধে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কলম

বলপয়েন্ট পেন বা কমলেও স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিদেশি মাছ ও মাংস

সম্পূরক শুল্ক কমানোর ফলে কমতে পারে বিদেশি মাছ ও মাংসের দাম। স্যামন, টুনা ইত্যাদি মাছের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে।

আইসক্রিম

বিগত কয়েক বছর বাড়ানোর পর এবার আইসক্রিমের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে আইসক্রিমের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

কম্পিউটার মনিটর

২২ ইঞ্চির বদলে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরে বা পর্দায় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইন্টারেকটিভ মনিটর এ তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। সব মিলিয়ে একটু বড় আকারের মনিটর কিছুটা কম দামে পাওয়া যেতে পারে।

বাটার

বাটার আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে আমদানি করা বাটারের দাম কিছুটা কমতে পারে।

বিদেশি প্লাস্টিকের তৈজসপত্র

বিদেশি প্লাস্টিকের তৈজসপত্র সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।

বিদেশি পোশাক

পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিদেশি পোশাকের ওপর সম্পূরক শুল্ক কিছুটা কমানো হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে।

বিদেশি জুতা

বিদেশি জুতা ও স্যান্ডেল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কিছুটা কমানো হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে।

জাতীয়

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। এবারের জাতীয় বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

যেসব দাম বাড়তে পারে ;-

মোবাইল ফোন

দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমানো হয়েছে এবং মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কমানোয় মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।

ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার

ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, আয়রন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার ইত্যাদি উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমানো হয়েছে।

প্লাস্টিকের তৈজসপত্র

থালাবাসনসহ প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, গৃহস্থালি সামগ্রী ও সমজাতীয় পণ্যে ভ্যাটের হার দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব তৈজসপত্রে ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এলপিজি সিলিন্ডার

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা কিছুটা কমিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে।

বিদেশি চকলেট

কিছু পণ্যের শুল্কায়ন মূল্য বাড়ানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বিদেশি চকলেট। ইউনিটপ্রতি ৪ ডলারের বদলে এখন ১০ ডলার ধরে শুল্কায়ন হবে। এতে আমদানিতে খরচ বাড়বে।

লিপস্টিক

ঠোঁট, চোখ ও মুখমণ্ডলে ব্যবহৃত প্রসাধন আমদানিতে শুল্কায়ন মূল্য অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ফলে এসব পণ্য আমদানি থেকে বাড়তি কর আদায় হবে। দামও বেড়ে যেতে পারে।

ব্লেড

দাঁড়ি কাটার খরচ বাড়বে। কারণ দেশে ব্লেড উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

জাতীয়

৩০ জেলা ও দায়রা জজ, ৩৮ অতিরিক্ত জেলা জজ, ১৬৩ সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজ এবং ২১ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে বদলি করেছে সরকার। এছাড়া আরও ১৩ জনকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১) এ এফ এস গোলজার রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় এসব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলার ৩০ জন জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও সম পদমর্যাদার ৩৮ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও সম পদমর্যাদার ২২ জন বিচারক এবং সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ এবং সম পদমর্যাদার ১৬২ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা/দপ্তর প্রধান কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ৩ জুন বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

এদিকে অপর এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ১৩ জন বিচারককে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৬ সালের বেতন স্কেলের তৃতীয় গ্রেডে সিনিয়র সহকারী জজ পদ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে নিয়োগ/বদলি করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এসব বিচারককে জেলা ও দায়রা জজ/চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/দপ্তর প্রধান কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তার কাছে মঙ্গলবার (৩ জুন) বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদে যোগদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

তবে তাদের মধ্যে একজন বিচারককে মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে জেলা ও দায়রা জজ কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তার কাছে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।