জাতীয়

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, চলতি হজ্ব মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন।

তিনি আজ জেলার ইসলামপুর উপজেলার ৭নং পাথর্শী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের যে উন্নয়ন করেছে, অতীতের কোন সরকার তা করতে পারেনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আবারও শেখ হাসিনা সরকার দেশ পরিচালনা করতে পারবে। এ লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যকার ভুল বুঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দলের নেতাকর্মীদেরকে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।

পাথর্শী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বারী লিচুর সঞ্চালনায়

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস ছালাম।

জাতীয়

পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলা ২১ বছর ধরে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। হত্যা মামলার রায় হলেও উচ্চ আদালতে তা প্রায় ৮ বছর ধরে বিচারাধীন। আর বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে ১৯ জানুয়ারি ডেথ রেফারেন্সটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। ১৪ মার্চ মামলাটির শুনানির কথা ছিল, কিন্তু বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলে ওই বেঞ্চটি ভেঙে যায়। মামলার নথি চলে যায় প্রধান বিচারপতির কাছে। এখন প্রধান বিচারপতি অন্য একটি বেঞ্চে পাঠালে সেখানে মামলাটির শুনানি হতে পারে।

ওই বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহিন আহমেদ খান। তিনি বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ডেথ রেফারেন্সটি এর আগেও কয়েকটি বেঞ্চের তালিকায় শুনানির জন্য ছিল। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় দিয়েছিলেন। সর্বশেষ আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিলেও বেঞ্চটি ভেঙে যায়।

আইনজীবীরা বলছেন, বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) মামলা হিসাবে পরিচিত। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালতের রায় ও নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারাগারে থেকে জেল আপিল করতে পারেন। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদনও করতে পারেন। ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরি করতে হয়। প্রক্রিয়া শেষে ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল, জেল আপিল ও আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।

জানা গেছে, এই মামলাটিতে ২০১৬ সালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য ছিল। ওই বেঞ্চে শুনানি শুরু হলেও পরবর্তীতে এই আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলাটি হাইকোর্টের আরও কয়েকটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় এলেও আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন ও বেঞ্চের বিচারকের পরিবর্তন এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে দীর্ঘদিন পর মামলাটি শুনানির জন্য আবারও হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।

বাঙালির ঐতিহ্যের অন্যতম একটি উৎসব পহেলা বৈশাখ। সেই অনুষ্ঠানে ২০০১ সালে চালানো হয় নারকীয় বোমা হামলা। ছায়ানটের অনুষ্ঠানে সেই হামলায় নিহত হন ১০ জন, আহত হন শতাধিক। ঘটনার পরপরই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়। ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর হত্যা মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। ২০১৪ সালের ওই রায়ে মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই বছরের ২৬ জুন ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য ঢাকার আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। কারাবন্দি আসামিরাও আপিল করে। এরপর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

জানতে চাইলে ডেথ রেফারেন্স শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্বাস আলী যুগান্তরকে বলেন, রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায়ের নথি হাইকোর্টে আসার পর যথারীতি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। মামলাটির ডেথ রেফারেন্স এখনো শুনানি হয়নি। এটা সম্পূর্ণ প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার।

মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি সিলেটের একটি মামলায় (ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলা) কার্যকর হওয়ায় এই মামলায় তার আর বিচার হচ্ছে না। ফলে এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন-মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান।

এদের মধ্যে তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর, শফিকুর রহমান ও আবদুল হাই পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আব্দুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহের। এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতাকর্মী।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জানান, বিস্ফোরক মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের প্রায় শেষ পর্যায়ে। দুই বছর করোনার কারণে বিচার বিলম্বিত হয়েছে।

দীর্ঘদিনেও শুনানি না হওয়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, আলোচিত এই মামলাটির ডেথ রেফারেন্স ৮ বছর ধরে হাইকোর্টে পড়ে থাকা দুঃখজনক। দ্রুত মামলাটির শুনানি হওয়া দরকার। জাতি এটা প্রত্যাশা করে।

জাতীয়

মহামারীর ধাক্কা সামলে দুই বছর পর বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে মানুষের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর ৩৭টি পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

রমনা পার্ক এবং ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর কেন্দ্রিক সড়কগুলোতে রোডব্লক বসানো হবে এবং বেশ কিছু সড়কে ডাইভারশন থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বৈশাখের ভোরে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজনের পাশাপাশী চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। বৈশাখী মেলাও বসবে বিভিন্ন স্থানে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত দুই বছর ঘরবন্দি অবস্থায় বৈশাখ এসেছিল বাঙালির জীবনে।নিষ্প্রাণ দুই বৈশাখ পেরিয়ে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আবারও প্রাণ ফিরবে রমনা ও শাহবাগে।

বটমূল-মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রাণ ফিরছে বৈশাখে

এসব এলাকার নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে মঙ্গলবার রমনা বটমূলে এসে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “রোডব্লক বসানো স্থান থেকে কোনো গাড়ি চলবে না। পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হবে।”

সকাল পরিয়ে গেলে মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য বেলা ২টার পর সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পয়েন্টগুলো হল- সোনারগাঁও ক্রসিং, বাংলামটর ক্রসিং, পরিবাগ গ্যাপ, নৌবাহিনীর ভর্তি তথ্য কেন্দ্রের গলি, পুলিশ ভবন ক্রসিং, সাকুরার গলি, সবজি বাগান ক্রসিং, মিন্টুরোড পূর্বপ্রান্ত, মগবাজার ক্রসিং (বাংলামটরমুখি একপাশ), অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, সুগন্ধা ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, শিল্পকলা একাডেমি গলি, দুদকের গলি, কার্পেট গলি, মৎসভবন ক্রসিং, সেগুন বাগিচা, ইউবিএল, জিরোপয়েন্ট, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল গলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং, রোমানা ক্রসিং, বকশিবাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং, আজিজ সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশ, বিসিএস প্রশাসন একাডেমি গলি ও শাহবাগ ক্রসিং।

যেসব সড়কে ডাইভারশন:

বিকল্প পথে ঘুরে যাওয়ার জন্য কিছু সড়কের মাথায় ডাইভারশন থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

সেগুলো হল- সোনারগাঁও ক্রসিং, বাংলামোটর ক্রসিং, মিন্টোরোড পূর্ব প্রান্ত, কাকরাইল চার্চ, ইউবিএল ক্রসিং, জিরোপয়েন্ট, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং, বকশি বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং ও কাঁটাবন ক্রসিং।

ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, সোনারগাঁও উত্তর এবং পশ্চিম দিক থেকে আসা সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি ও অন্যান্য গাড়ি সোনগাঁও থেকে বামদিকে মোড় নিয়ে রেইনবো ক্রসিং হয়ে মগবাজার মালিবাগ দিয়ে যাবে।

প্রাইভেটকারসহ ব্যক্তিগত অন্য গাড়ি বাংলামোটর দিয়ে বামে মোড় নিয়ে মগবাজার দিয়ে চলে যাবে।

সায়েদাবাগ-মতিঝিল-ফুলবাড়িয়া থেকে আসা সকল প্রকার বাণিজ্যিক গাড়ি জিরোপয়েন্ট-ইউবিএল-নাইটিংগেল ক্রসিং-রাজমনি ক্রসিং-শান্তিনগর ক্রসিং-মালিবাগ মোড়-মগবাজার হয়ে যাবে।

মিরপুর রোডের উত্তর দিক থেকে আসা সকল প্রকার গাড়ি সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে নিউমার্কেট-আজিমপুর-শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সামনে দিয়ে বকশিবাজার হয়ে গুলিস্তান যাবে।

ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর কেন্দ্রিক যেসব স্থানে রোডব্লক:

ধানমন্ডি কেন্দ্রিক ৮টি পয়েন্টে রোডব্লক থাকবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সেগুলো হল- তাকওয়া মসজিদ, ধানমন্ডি ৬ নম্বর রোডের দক্ষিণ প্রান্ত, ৭ নম্বর সড়কের মধ্যবর্তী স্থান, ৮/এ সড়কের মধ্যবর্তী স্থান, ধানমন্ডি ৮ ব্রিজের পূর্ব প্রান্ত, ধানমন্ডি ৮ এর উল্টো প্রান্ত, জিগাতলা মোড় (কায়সার সুইটমিটের সামনে) ও ধানমন্ডি আবাহনী মাঠ সংলগ্ন রোড ১৩/এ।

ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ জানিয়েছে, বর্ষবরণ উৎসবে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে দুই পালায় মোট ৬৬৪ জন পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ও রমনাতে দায়িত্ব পালন করবে।

জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান পড়ানোর সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করা। ১৯ দিন কারাভোগের পর রোববার বিকাল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল।

স্বামীর কারামুক্তির পর কথা বলেন বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রী ববিতা হালদার। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি গণমাধ্যমসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

ববিতা হালদার স্বামীর জামিন মঞ্জুরে সরকারের কাছে তার পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে মানহানি এবং আইসিটি আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া তিনি সরকারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেন এবং মামলা থেকে তার স্বামীর অব্যাহতি চান।

রোববার দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোতাহারাত আখতার ভূঁইয়া হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৩ ও ২৮ মার্চ তার জামিন চাওয়া হলেও আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এদিকে আসামিপক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী শাহীন মোহাম্মদ আমান উল্লাহ এ মামলার শুনানি করেন। তিনি বলেন, ২৩ ও ২৮ মার্চ হৃদয়ের মণ্ডলের জামিন চাওয়া হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে আমরা সিআর মিস করি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের মামলার সব কিছু যাচাই-বাছাই করে ৫ হাজার টাকা বেল্ড মানি করে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আইনজীবী শাহীন মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আরও বলেন, শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল শ্রেণিকক্ষে বলেছিলেন, ধর্ম বিশ্বাস আর বিজ্ঞান যৌক্তিক। এতে একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের পক্ষে-বিপক্ষে কথোপকথন হয়। কোনো এক শিক্ষার্থী ওই কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীনকে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন।

শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। এর পরের দিন সকালে তারা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

২২ মার্চ বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. আসাদ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

জাতীয়

তিন দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন অভিমুখে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান সোহেল তাজ।

আওয়ামী লীগের সাবেক এ সংসদ সদস্য গণভবনের সামনে প্ল্যাকার্ডসহ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। এ কর্মসূচিতে সোহেল তাজের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সের কয়েকশ নারী ও পুরুষ।

রোববার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকাল ৪টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেটের সামনে (মানিক মিয়া এভিনিউ প্রান্ত) অবস্থান নেন সোহেল তাজ।

এ সময় ব্যানার-ফেস্টুনসহ তার সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিন দফা দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে হেঁটে গণভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন সোহেল তাজ। তার সঙ্গে যোগ দেওয়া নারী-পুরুষ তিন দফা দাবি উল্লে­খ করে স্লোগান দেন।

১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তি এবং তা চর্চার দাবি জানান সোহেল তাজ।

দুই পৃষ্ঠার স্মারকলিপিতে সোহেল তাজ ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে তা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন কেন প্রয়োজন তা-ও তুলে ধরেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের অজ্ঞতা ও অনাগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। এজন্য এ ইতিহাস সবস্তরের পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়মিত চর্চার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তার স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ূয়া। স্মারকলিপির শেষে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ লিখে নিজেকে ‘প্রহরী ৭১’ দাবি করেন।

জাতীয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মুন্সীগঞ্জের স্কুল শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করেছিলেন। কেন ছাত্ররা তার ওপর অসন্তুষ্ট হলো, সে বিষয়ে তদন্ত করছি।

শনিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলিস্তানে ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে সংস্থাটির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই শিক্ষকের প্রতি যেন কোনো অন্যায় না হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা সে ব্যবস্থা করেছি। তদন্তের পরেই আমরা বলতে পারব ঘটনাটা কী হয়েছিল। যে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে। শিক্ষক হৃদয় মন্ডলের সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি অহেতুক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু করছি। চারলাইন রাস্তাগুলো এখন ছয় লাইন করছি। দুই লাইন রাস্তাগুলো চারলাইন করছি। এই কাজগুলো আমাদের আরও আগে করা দরকার ছিল। একটি শহরে ২৫ ভাগ রাস্তা থাকা প্রয়োজন। সেখানে আমাদের আছে ১০ ভাগ রাস্তা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু হয়ে যাচ্ছে। এখন যতগুলো রাস্তা ও হাইওয়ে হচ্ছে সবগুলোর পাশ দিয়ে সার্ভিস লাইন তৈরি হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেকটা উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ৪৫৬টি ফায়ার স্টেশন আছে। খুব দ্রত সময়ে প্রধানমন্ত্রী আরও ৪০টি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করে উন্নয়ন করা হচ্ছে। এই বাহিনীকে আগামী দিনে একটি সুদক্ষ, অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত, আধুনিক ও বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইনসহ সংস্তাটির ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।

গত ২০ মার্চ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান পড়ানোর সময় প্রসঙ্গক্রমে শিক্ষার্থীর প্রশ্নে ধর্ম নিয়ে কথা বলেন। তখন ক্লাসের কয়েকজন শিক্ষার্থী সেই কথা রেকর্ড করে। পরে ধর্ম নিয়ে ‘আপত্তিকর’ কথা বলার অভিযোগ তুলে এলাকায় হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর ওই শিক্ষককে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়।

ঘটনার দুদিন পর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (ইলেক্ট্রশিয়ান) মো. আসাদ বাদী হয়ে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২৩ মার্চ তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি আবাসিক এলাকায় তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার রাত ১০টায় ফতুল্লার ইসদাইর আবাসিক এলাকায় শরিফুল আলমের তুলার গোডাউনে এঘটনা ঘটে।

এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও মালিক পক্ষের দাবি আগুনে তার প্রায় ২০/২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আধাঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ শরিফুল আলম জানান, তার গোডাউনে তুলা দিয়ে বালিশ, লেপ-তোষক তৈরি করে তা বিক্রি করেন। তার এই গোডাউনের সামনে ছয়টি দোকান রয়েছে। কি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তিনি বলতে পারেন না। তবে আগুনে তার ২০/২৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ গোডাউনে অগ্নিনির্বাপক কোনো ব্যবস্থা নেই।

এলাকাবাসী জানান, গোডাউনের তিনপাশে বহুতল একাধীক আবাসিক বাসা বাড়ি রয়েছে। এর মাঝখানে একটি তুলার গোডাউন মানে কয়েক হাজার মানুষের জন্য ঝুকিপূর্ণ। এটি যাতে আর এখানে নির্মান করতে না পারে এজন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে আমাদের মণ্ডলপাড়ার তিনটি ও হাজিগঞ্জের দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন ডাম্পিং চলছে। আগুনের সুত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো হবে।

জাতীয়

সিংড়ায় ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেও ঋণমুক্ত হতে না পেরে ভিটে ছাড়া করা সেই সংখ্যালঘু শ্রী মরু প্রামাণিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় মানবাধিকার ও পরিবেশ কর্মীরা। এর আগে ওই পরিবারকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে বাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ।

শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিংড়া উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসান ইমামের নেতৃত্বে পাঁড়েরা গ্রামের ওই ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে যান মানবাধিকার ও পরিবেশ কর্মীরা। তাদের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, কাঁচা তরকারি, শুকনো খাবার বিতরণ এবং আইনগত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি ও মানবাধিকারের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী খান মো. শারফুল ইসলাম খোকন, পরিবেশ কর্মী হাসিবুল হাসান শিমুল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বুধবার দাদন ব্যবসায়ীর চাহিদা মতো সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ী শাহীন শাহ ও ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন ওই সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি দখল নেয়। পরে সারারাত পরিবারের ১১ জন সদস্যকে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হয়।

এদিকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নির্দেশে বাড়ি দখলমুক্ত করে ওই ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছেন পুলিশ।

জাতীয়

ওমিক্রনের চেয়ে বেশি সংক্রামক করোনা ভাইরাসের ‘এক্সই ভ্যারিয়েন্ট’ বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৭১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সই নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, সম্প্রতি ভারতে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সই। মুম্বাইয়ের একজনের শরীরে কোভিড-১৯-এর নতুন এ ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের এই ‘এক্সই’ রূপটি ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, ওমিক্রন রূপের বিএ.১ এবং বিএ.২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণ বা রিকম্বিন্যান্ট মিউটেশনের ফলেই পরিব্যক্ত এক্সই ধরনটি সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ের করোনা পরিস্থিতি। লকডাউন দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। হংকং তাইওয়ানের অবস্থা তেমন ভালো না।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অংশ নেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল রশীদ ভূঁইয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

জাতীয়

হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ছয়টি কূপের মধ্যে পাঁচটি থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। আরেকটি উৎপাদন সমস্যা কাটিয়ে উত্তোলনের পথে রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

শেভরনের জনসংযোগ ব্যাপস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) শেখ জাহিদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চম কূপটি চালু করা হয়। এর আগে আরও চারটি কূপ চালু হয়েছে।

বন্ধ হওয়া পাঁচটি কূপ চালু হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ ‘স্বাভাবিক অবস্থায়’ ফিরেছে বলেও জানান তিনি।

নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানার ২৬টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন। রোববার সকালে কোনো একটি কূপ থেকে গ্যাসের সঙ্গে বালি উঠতে শুরু করলে ছয়টি কূপে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়। এতে সারাদেশে গ্যাস সঙ্কট দেখা দেয়।

মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বলেছিলেন, “বিবিয়ানার ছয়টি কূপ থেকে শনিবার রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালি উঠতে শুরু করলে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়। এতে রাতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সঙ্কট দেখা দেয়।”

দেশে উৎপাদিত গ্যাসের ৪০ শতাংশের বেশি আসে বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে। প্রতিদিন এই গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছয়টি কূপ থেকে ৪২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো।