জাতীয়

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং একজন অভিভাবকের ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হওয়ায় এখন সমালোচনার ঝড় বইছে।

ফোনালাপের সময় অধ্যক্ষ কামরুন নাহার কথা বলার এক পর্যায়ে একজন অভিভাবককে বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো … বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগবো, আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি দেশছাড়া করবো।’

৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের অডিওতে অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যে চলা ঐ কথোপকথনে কামরুন নাহার বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে আমি অফিস করি কি না করি কার বাপের কী? আমি রাজনীতি করা মেয়ে, আমি কিন্তু ভদ্র না।’ কামরুন নাহার ফোনালাপে আরো বলেন, ‘আমি বলে দিলাম, আমি শিক্ষক। আমি প্রিন্সিপাল। ঐ … পোলা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু তার গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়বো।’

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস: সমালোচনার ঝড়যে অভিভাবকের সঙ্গে অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে তার নাম মীর সাহাবুদ্দিন টিপু। অধ্যক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন এই অভিভাবক।

কামরুন নাহার শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কামরুন নাহারের পূর্বেও এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণে ঐ অধ্যক্ষকেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার ঐ কথোপকথন নিয়ে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এর মাধ্যমে ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহারের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১৪ জন বেশি মারা গেছে। গতকাল ১৭৩ জন মারা গিয়েছিল। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১১৭ ও নারী ৭০ জন। এ নিয়ে মৃৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৫ জনে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত ৩ হাজার ৬৯৭ জন।

করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৮৭৬ জন, ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং নারী ৫ হাজার ৮০৯ জন, ৩১ দশমিক ০৯ শতাংশ।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৯ জন, ৪৯ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৬৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ২৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ৮ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ২ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন সিলেট বিভাগে ৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ ৫ জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫৭ জন সরকারি, ২৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাসায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ১১ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৯৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ২৪ হাজার ৯৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৩০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৫৬৬ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৯ হাজার ৭০৪ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ১৩৮ জন কম সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬১০ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৯৯ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২৫ হাজার ৬২৫ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১৪ হাজার ৭২৬ টি নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৪৮৬ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৪ হাজার ৯৭৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১৩ হাজার ৪৯৩ টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

আগামীকাল ২৩ জুলাই সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে । কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হবে। বিআইডব্লিউটিসি গত ৯ জুলাই এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামীকাল ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে কঠোর বিধিনিষেধ। এ সময় সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/বিক্রয়, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্সাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ডসংখ্যক ২৩১ জন মারা গেছেন।  গতকালের চেয়ে আজ ৬ জন বেশি মারা গেছেন। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৩৬ ও নারী ৯৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ১২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৩২১ জন।

করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ১৭ জুলাই থেকে মৃত্যুর হার একই রয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৫০ জন, ৬৯ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং নারী ৫ হাজার ৫৭৫ জন, ৩০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৭৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৪৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৭ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ৪ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৬ জন সিলেট বিভাগে ৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং ময়মনসিংহে ১১ জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬৭ জন সরকারি, ৪৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৮ জন বাসায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ৪৫ হাজার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৩২১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৩৯ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ হাজার ৫৭৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৭৮৩ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ০৫ শতাংশ বেশি। এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ৯৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৩৪ জন। ঢাকায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ।

গতকাল ১১ হাজার ৩৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৪ জন, যা ২৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৪৬ জন, গতকাল মারা যায় ৪১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭৩ লাখ ৩৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৫ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৮ হাজার ৮৪৫ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৪৯০ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৭ শতাংশ কম।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫১ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৩৯ হাজার ২০৪ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৪ হাজার ২৪৭টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ হাজার ১২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৮০৬ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৫ হাজার ২০৬টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

ঈদুল আজাহা এবং পরবর্তী বিধি-নিষিধে কার্যত টানা ১৯ দিনের ছুটিতে পড়ছে বাংলাদেশ। ঈদের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘোষিত বিধি-নিষিধে দুই সপ্তাহের বেশি বন্ধ থাকছে অফিস, গণপরিবহন ও শপিংমল।

সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের পরে ভার্চ্যুয়াল অফিস করার নির্দেশনা থাকলেও বেসরকারি চাকরিজীবীরা মূলত আগস্টের পুরো প্রথম সপ্তাহ ছুটি কাটাতে পারছেন।

আগামী বুধবার (২১ জুলাই) দেশে পবিত্র ঈদুল আজাহা উদযাপিত হবে। ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (২০ জুলাই)। ঈদের তিন দিন (২০, ২১ ও ২২ জুলাই) ছুটি শেষে ২৩ ও ২৪ জুলাই সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। ফলে ঈদের ছুটি মিলে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সবাই।

অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকেই আবার শুরু হচ্ছে বিধি-নিষেধ। এই বিধি-নিষেধ চলবে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট ১৪ দিন থাকছে বিধি-নিষেধ। এই বিধি-নিষিধে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।

আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পরদিন শুক্র ও শনিবার (৬ ও ৭ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটি। সাপ্তাহিক ছুটিতে সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ বেসরকারি অফিস খোলা থাকে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে মূলত ঢাকা ত্যাগ করা মানুষদের আসার সুযোগ রেখে ৮ আগস্ট থেকেই শুরু হবে বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম।

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত ১ জুলাই কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৪ জুলাই। এই বিধি-নিষিধে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ থাকে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।

এরপর ঈদুল আজাহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধি-নিষিধে শিথিল করা হয়।

ঈদের তৃতীয় দিন ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত আরোপিত বিধি-নিষিধে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের পর বিধি-নিষেধ তথা লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। শিল্প কারখানাও বন্ধ রাখা হবে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের পরের বিধি-নিষিধে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

করোনা সংক্রমণ রোধে এসব উদ্যোগ নেওয়া হলেও ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরা ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েকদিন থেকে বাড়িমুখী মানুষের স্রোত নেমেছে। গত ১৫ ও ১৬ জুলাই ১৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস শেষে রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনালে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মানুষের গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, ২১ জুলাই ঈদ শেষে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ করায় বাড়ি ফেরত মানুষের অধিকাংশই ঈদের দিন এবং পর দিন ঢাকায় ফিরবেন, ফলে ঢাকা ছাড়ার সময় যে সংক্রমণের আশঙ্কা তা ফেরার সময় আরও মারাত্মক হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ঈদে পশুরহাট বসানোয় এই আশঙ্কা আরও মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে।

যদিও বিধি-নিষিধে আরও চারদিন শিথিলের দাবি তোলা হয়, কিন্তু তা সরকারের পক্ষ থেকেও নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের সুরক্ষায় মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সংক্রমিত হওয়া থেকে মুক্তির পরামর্শ এসেছে। তবে ঈদের আগেই সবশেষ ১৯ জুলাই ২৩১ জনের মৃত্যু এবং ১৩ হাজার ২৩১ জনের সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; যা অত্যন্ত উদ্বেগ, শঙ্কা এবং ভয়াবহতার ইঙ্গিত!

জাতীয়

করোনা ভাইরাসের আরো ৩০ লাখ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র মডার্নার এই টিকা বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে।

সোমবার (১৯ জুলাই) রাত ৯টা ২০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাতার এয়ারলাইন্সের কিউআর-৮৬৩৪) ফ্লাইটে এসব টিকা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৮টি ফ্রিজার ভ্যানে করে এই ৩০ লাখ ডোজ টিকা নিয়ে যাওয়া হবে। এর মধ্যে ১৫টি ফ্রিজার ভ্যান যাবে ধামরাই সংরক্ষণাগারে এবং বাকি তিনটি যাবে তেজগাঁওয়ের ইপিআই সংরক্ষণাগারে।

টিকা রিসিভ করার পর রাত ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,আগামী মাসে আরও ১ কোটি ২৯ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসবে। এর মধ্যে আগামী মাসে জনসন অ্যান্ড জনসন থেকে ৬০ লাখ টিকা আনা হবে। ইতোমধ্যে আমরা ৩০ বছর বয়সীদের করোনা ভ্যাকসিন নিবন্ধন শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে বয়সের সীমা আরও কমানো হবে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন দিতে পারি। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আরও ৪০টি আইসিও বেড নির্মাণ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এর আগে, শনিবার (১৭ জুলাই) টুইটারের মাধ্যমে আরও ৩০ লাখ মডার্নার টিকা উপহারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

তিনি জানান, করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের দেশগুলোকে টিকা সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ২৫ লাখ মডার্নার টিকা উপহার দিয়েছে।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৮৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ১১ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়। সেদিন ২৩০ জন মারা যান। আর গত ৭ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২০০ ছাড়ায়। সেদিন ২০১ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয় সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তার পর থেকেই প্রতিদিন রেকর্ড মৃত্যু হতে থাকে। শনাক্তেও রেকর্ড হতে থাকে।

গত ১৫ জুলাই দেশে মৃত্যু হয়েছিল ২২৬ জনের। আগের দিন (১৪ জুলাই) ২১০ জন, ১৩ জুলাই ২০৩ এবং ১২ জুলাই ২২০ জনের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশে গত ১০ দিনে নতুন ১ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে  শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ লাখ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় ৩৯ হাজার ৮৪৫ নমুনা পরীক্ষা করে ১১ হাজার ৫৭৮ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তকরণে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা শনাক্তে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেল সারাদেশের ৭৭টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

রবিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের আলোকে নিম্নবর্ণিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৭৭টি নির্ধারিত শতাবলী প্রতিপালন সাপেক্ষে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ের এ অনুমোদন দেওয়া হলো।

টেস্ট করার ক্ষেত্রে শর্তসমূহ:

১. কোভিড-১৯ এর উপসর্গ/ লক্ষণযুক্ত (সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যাথা, নাকে ঘ্রান না পাওয়ায়, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি) ব্যক্তি এবং বিগত ১০ দিনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

২. এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের (DHIS-2) সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে। লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না দিয়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব হতে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং ওই রিপোর্ট DHIS -2 এন্ট্রি দিতে হবে।

৩. অনুমোদিত কীটের নামসমূহ: Standard Q COVID-19 Ag Test kits- SD BIOSENSOR (South Korea) ও PANBIO (USA).

৪. পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য: ৭০০/- (সাতশত টাকা)। বিশেষক্ষেত্রে বাসা হতে নমুনা সংগ্রহে অতিরিক্ত চার্জ ৫০০/- (পাচঁশত টাকা) রাখা যেতে পারে। একের অধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চার্জের পরিমাণ ৫০০/- টাকার অধিক হবে না।

৫. রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা হতে আইডি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফোকাল পার্সন (ডা. অনুপম, এমআইএস, মোবাইল নম্বর- ০১৩২১১৭৩৮৬০। ই-মেইল- [email protected]) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। এসব প্রতিষ্ঠানের একজন ফোকাল পার্সন থাকবে যিনি মেডিকেল অফিসার সমমর্যাদার হবেন।

৬. সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান (পরিচালক/সিভিল সার্জন/ইউএইচএফপিও) সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-

০১। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্লট নং-৭/২, সেকশন-২, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

০২। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ২৬/৪, দারুস সালাম রোড, মিরপুর-১, ঢাকা-১২১৬।

০৩। গ্রিন লাইফ হাসপাতাল লিমিটেড, ৩২, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।

০৪। থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড, কনফিডেন্স সেন্টার,(১২ তম ফ্লোর), কে-৯, প্রগতি সরণি, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা- ১২১২।

০৫। থাইরয়েড কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাড়ি নং- ১০৬, রোড নং-০৭, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।

০৬। ডেলটা হাসপাতাল লিমিটেড, ২৬/২, প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

০৭। সানি ডায়াগনস্টিক মুগদা, ৪৫/১-এফ, নর্থ মুগদা, ঝিলপাড়, ঢাকা-১২১৪।

No description available.

০৮। ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড, প্লট-১৫, রোড-৭১, গুলশান, ঢাকা-১২১২।

০৯। ফারাবী জেনারেল হাসপাতাল লি., হাউজ নং-৮/৩, রোড-১৪(নিউ), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯।

১০। সি আর এল ডায়াগনস্টিক সেন্টার (ইউনিট-২), ১৫১/৭, ৩য় ফ্লোর, ৩/এ, গ্রীনরোড, ঢাকা – ১২০৫।

১১। নাভোস, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সার্ভিস লি., ১/১/বি, পরিবাগ, ঢাকা-১০০০।

১২। ওয়েসিস হসপিটাল, সাবোহানিঘাট সিলেট ।

১৩। এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, সাভার, ঢাকা।

১৪। হাইটেক মাল্টিকেয়ার হসপিটাল লি., ১৬৪, ইস্ট কাফরুল, ঢাকা-১২০৬।

১৫। শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি (প্রা.) লি., নিউ বিল্ডিং অফ শেভরন-হালিশহর শাখা, শান্তিবাগ, চট্টগ্রাম ।

১৬। আল-মানার হাসপাতাল লি., প্লট নং-৩, ব্লক নং- ই, সাতমসজিদ রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ ।

১৭। ভিক্টোরিয়া হেল্থ কেয়ার লি., কসমোপলিটন সেন্টার (২য় তলা) ২২/২ বার রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা- ১২০৭।

১৮। ডি এম এফ আর মল্যিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক বিডি লিমিটেড, নাভানা নিউবেরি প্লেস, ৪/১/এ, সোবাহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭।

১৯। প্রাভা হেল্থ অ্যান্ড বাংলাদেশ লি., প্লট-৯, রোড-১৭, ব্লক-সি,বনানী, ঢাকা-১২১৩।

২০। বায়েমেড ডায়াগনস্টিকস, নাভানা নিউবেরি প্লেস, ৮ম তলা, ৪/১/এ সোবাহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা- ১২০৭।

২১। জাহান আরা ক্লিনিক লিমিটেড, হাউজ-২ অ্যান্ড ৪, রোড-১, সেক্টর-১, উত্তরা মেডিকেল টাউন, ঢাকা-১২৩০।

২২। আল-জামি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ৮৭, পুরানা পল্টন লেন, পল্টন টাওযার, থার্ড ফ্লোর, ঢাকা- ১০০০।

২৩। আজগর আলী হসপিটাল, ১১১/১/এ, ডিসটিলিয়ারী রোড, গেন্ডারিয়া , ঢাকা-১২০৪।

২৪। প্রাইম ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, হোসেফ টাওয়ার, ৪র্থ ফ্লোর, মালিবাগমোড়, ঢাকা।

২৫। ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, কমার্সিয়াল প্লট নং- (২৭,২৮), মেইন রোড-১, সেকশন-৬, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

২৬। ডা. ফরিদা হক মেমােরিয়াল ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটাল, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।

২৭। শহীদ খালেক ইব্রাহিম জেলারেল হসপিটাল ৪/১, র‌্যানকিন স্ট্রিট, ওয়ারী, ঢাকা-১২০৩।

২৮। মহিলা ও শিশু হাসপাতাল, প্লট নং- ৩০, সেক্টর-৮, হাসপাতাল রোড, উত্তরা, ঢাকা।

২৯। ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটাল, হাউজ-০৫, ব্লক-এইচ, মেইন রোড, মেরাদিয়া বাজার, বনশ্রী, ঢাকা।

৩০। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার, হাউজ-৪৮, রোড-৯/এ, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৯।

৩১। ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ১/১-সি, কল্যাণপুর, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২১৬।

৩২। ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার,হাউজ-৬৮, জেল রোড, ঘোপ, যশোর।

৩৩। ইবনে সিনা ডি, ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, হাউজ-৫২, গরিব-ই- নেওয়াজ এভিনিউ , সেক্টর-১৩, উত্তরা, ঢাকা- ১২৩০।

৩৪। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, হাউজ-বি, জলেশ্বর, আরিচারোড, সাভার, ঢাকা- ১৩৪০।

৩৫। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, মালিবাগ, হাউজ ৪৭৯, ডি আই টি রোড, মালিবাগ, ঢাকা- ১২১৭।

৩৬। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, মিরপুর, হাউজ ১১, এভিউনিউ-৩, রূপনগর, মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬।

৩৭। ইবনে সিনা হাসপাতাল, হাউজনং-৬৪, রোড নং-১৫/এ, ধানমন্ডি আর/এ, ঢাকা-১২০৯।

৩৮। ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেড সোবহানিঘাট পয়েন্ট, সিলেট ।

৩৯। ইবনে সিনা ডি. ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, দয়াগঞ্জ, ২৮,দয়াগঞ্জ (হাট লেন), গেন্ডারিয়া, ১২০৪।

৪০। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লালবাগ লিঃ, ২৭/৪, ঢাকেশ্বরী রোড, লালবাগ, ঢাকা-১২১১।

৪১। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, চট্রগ্রাম,১২/১, রোড-২,কাতালগঞ্জ আর/এ, পাচঁলাইশ, চট্টগ্রাম।

৪২। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, বগুড়া, হাউজ-১১০৩/১১১৬, শেরপুর রোড, বগুড়া।

৪৩। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, কেরানীগঞ্জ, হাউজ- মা প্লাজা, কদমতলী মোড়, জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০।

৪৪। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, কুমিল্লা, ২৯, কোটবাড়ী রোড, টমসম ব্রীজ, কুমিল্লা- ৫০০।

৪৫। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, চ-৭২/১, প্রগতি স্মরণী, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।

৪৬। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ২১, শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা- ১২০৭ ।

৪৭। হেলথ কেয়ার ডায়াগণস্টিক সেন্টার লিঃ, ২৩/২, খিলজী রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭।

৪৮। গুলশান ক্লিনিক লিঃ ১৩-গ, প্রগতি স্মরণী, শাহাজাদপুর, গুলশান, ঢাকা-১২১২।

৪৯। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ৯৫৩, ও, আর নিজাম রোড, পাচঁলাইশ, চট্রগ্রাম-৪০০০।

৫০। অথেনটিক ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন লি., ৭১/৪, হোসেনী দালান রোড, চাঁনখারপুল, ঢাকা ১২১৯।

৫১। ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল লি., ৭৪জি/৭৫, পিকক স্কয়ার, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, মহাখালী, ঢাকা-১২১৫।

৫২। মুন্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, মুন্ন সিটি, গোয়ালন্দ, মানিকগঞ্জ।

৫৩। ইসলামি ব্যাংক স্পেশালাইজড অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল নয়াপল্টন, ৭১-৭২, ভিআইপি রোড, নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০।

৫৪। ইসলামি ব্যাংক হসপিটাল মিরপুর, প্লট নং- ৩১, মেইন রোড- ০৩, ব্লক-ডি, সেকশন-১১, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬।

৫৫। ডায়নামিক ল্যাব ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেক-আপ, ৫৮ ইস্ট হাজীপাড়া, ৩ তলা, ডিআইটি রোড, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯।

৫৬। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা, প্লট-৮১, ব্লক-ই, বসুন্ধরা আর/এ, ঢাকা-১২২৯।

৫৭। খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জ।

৫৮। হেলথ ল্যাবস লি., ১০৪১/২ এ পূর্ব শেওরাপাড়া, বেগম রোকেয়া স্মরণী, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

৫৯। ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড এও অর্থপেডিক হসপিটাল (প্রা.) লি., ২২/৮/এ, মিরপুর রোড, শ্যামলী, ঢাকা- ১২০৭।

৬০। টি এম এস এস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল, রংপুর হাইওয়ে, ঠ্যাংগামারা, বগুড়া।

৬১। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি., (ধানমন্ডি শাখা),হাউজ-৭১/এ, রোড ৫/এ, ধানমন্ডি আর/এ, ঢাকা।

৬২। কে সি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., ২৬২০, নোয়াপাড়া, দক্ষিনখান, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।

৬৩। লুবানা জেনারেল হাসপাতাল (প্রা.) লি., ৯, গরীব-ই-নেওয়াজ এভিনিউ, সেক্টর -১৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।

৬৪। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি., (ইংলিশ রোড শাখা), ৩১ জনসন রোড, ইংলিশ মৌচাকা।

৬৫। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি., (মালিবাগ শাখা), ৬/৯, আউটার সার্কুলার রোড, মালিবাগ মোড়, ঢাকা।

৬৬। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি., (মিরপুর শাখা), প্লট নং- ২৯-৩০, ব্লক-খ, রোড-১, সেকশন-৬, মিরপুর, ঢাকা।

৬৭। এ এম জেড হাসপাতাল লিমিটেড, চ-৮০/৩, স্বাধীনতা স্মরনী- (প্রগতি স্মরণী), নর্থ বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।

৬৮। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজ, তেতুইবাড়ী, কাশিমপুর, গাজীপুর।

৬৯। সাজেদা হাসপাতাল, চাঁটগাও, জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

৭০। ম্যাক্সলাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস, ২১৮,৪৭/এ, মিটফোর্ড রোড, ঢাকা-১১০০।

৭১. প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট, বা শাখা, গ-১৩৬, নর্থ বাভ, প্রগতি স্মরণ, ঢাকা-১২১২।

৭২। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঘাটরা, ব্ৰানবাড়ীয়া।

৭৩। সি এস সি আর (প্রাইভেট) লিমিটেড, ১৬৭৫/এ, ও,আর, নিজাম রোড, চট্টগ্রাম।

৭৪। সততা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার-২, চৌধুরী কমপ্লেক্স, হসপিটাল রোড, নীচাবাজার, নাটোর।

৭৫। সততা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার-১, ঢাকা রোড, রইছ প্লাজা, কানাউখালী, নাটোর।

৭৬। এ এফ সি হেল্থ- ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউট (খুলনা ইউনিট), ইন অ্যাসোসিয়েশন ওয়িথ এস্কর্ট হার্ট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার লিমিটেড, এ-১৭, মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা, খুলনা-৯১০০।

৭৭। হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ১, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকা-১০০০।

এছাড়াও মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতেও অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে পারবেন।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১৭ জন বেশি মারা গেছেন। গতকাল ১৮৭ জন মারা গিয়েছিল। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২৫ ও নারী ৭৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত ৮ হাজার ৪৮৯ জন।

করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ১১ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ২৯১ জন, ৬৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী ৫ হাজার ৩৭৮ জন, ৩০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, শনাক্ত বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং সুস্থতা বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৩৫ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৫ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ১ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৮২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন করে, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬১ জন সরকারি, ৪১ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাসায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ২৯ হাজার ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৪৮৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৪১ হাজার ৯৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ হাজার ১৪৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ১১ হাজার ৭৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭১ জন। ঢাকায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গতকাল ১১ হাজার ৮০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৭ জন, যা ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৩২ জন, গতকাল মারা যায় ২২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮২০ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৮ হাজার ৫৩৬ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২৮৪ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৫ জনের।

আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৪৫ হাজার ৪৫ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১৫ হাজার ৩০টি নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ হাজার ২১৪ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৪১ হাজার ৯৪৭ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১২ হাজার ৭৩৩টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

চীনের সিনোফার্মের ২০ লাখ টিকার মধ্যে ১০ লাখ টিকা শনিবার (১৭ জুলাই) রাত ১১টায় একটি ফ্লাইটে দেশে এসেছে। এছাড়া রবিবার (১৮ জুলাই) রাত ৩টায় আরেকটি ফ্লাইটে আরো ১০ লাখ ডোজ টিকা পৌঁছাবে। প্রথম ফ্লাইটে আসা টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার ৩০ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা এবং কাছাকাছি সময়ে অক্সফোর্ডের ২৯ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার গতকাল সকালে এক টুইট বার্তায় জানান, যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো ৩০ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা উপহার দিচ্ছে।

বাংলাদেশে চীনের উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান গত শুক্রবার এক ফেসবুক বার্তায় জানান, চীন বাংলাদেশকে আরো ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গত বৃহস্পতিবার জানান, আগামী মাসের মধ্যে দেশে দুই কোটি ডোজ কভিড টিকা আসছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আসবে অক্সফোর্ডের ২৯ লাখ ডোজ টিকা। তিনি আরো জানান, জুলাই মাসের শেষ দিকে ৩০ লাখ ডোজ, আগস্ট মাসের শুরুতে কোভ্যাক্স থেকে ১০ লাখ ডোজ এবং আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে সাত কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, টিকার সংকট আপাতত কেটে গেছে। এখন সব মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে টিকা পায়, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। অক্সফোর্ডের টিকা দেশে এসে পৌঁছার পরপরই যাঁরা এই টিকার প্রথম ডোজ পেয়েও দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি, তাঁদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান জানান, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশে ফাইজার, সিনোফার্ম ও মডার্না মিলে মোট এক লাখ ৮২ হাজার ১৬ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মডার্নার টিকা ৪৭ হাজার ৮৮৮ ডোজ, সিনোফার্মের এক লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ ডোজ ও ফাইজারের দুই হাজার ৩৩১ ডোজ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন এক কোটি ৬০ লাখ এক হাজার ৩৩৪ জন। গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট চার ব্র্যান্ডের টিকা মিলে মোট ৬৬ লাখ ৩১ হাজার ১৩৪ জন প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৭ জন।

এদিকে গতকাল রাতে গাজীপুরের সিভিল সার্জন গণমাধ্যমকে জানান, গাজীপুরে নিবন্ধন ছাড়াই শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নেওয়া যাবে। নিবন্ধনের জটিলতা কাটিয়ে মানুষকে সহজে টিকা দেওয়ার জন্য এ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।