জাতীয়

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া নতুন তিনজনের মধ্যে দুইজনকে দপ্তর বণ্টন এবং বর্তমান উপদেষ্টাদের মধ্যে সাতজনের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। তবে শপথ নেওয়া নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বিষয়ে কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া এক প্রজ্ঞাপন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

নতুন উপদেষ্টাদের মধ্যে শেখ বশিরউদ্দীনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর সালেহ উদ্দিন আহমেদ অর্থ মন্ত্রণালয়; ড. আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; হাসান আরিফ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; আলী ইমাম মজুমদার খাদ্য মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন।

জাতীয়

নরওয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চালু করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহণ এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নরওয়েতে সরাসরি নৌ যোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব। এ জন্য বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে একটি বিশেষ নৌ-চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রোববার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন সাক্ষাৎ করতে এলে নৌ উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির সোনালি প্রবেশদ্বার। সরকার চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সফলভাবে নৌ-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ। বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আরএমজি পণ্য ইতোমধ্যে নরওয়ের বাজারে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে কার্গো পৌঁছাতে ৪০ থেকে ৪৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগে। যেখানে নরওয়েতে সরাসরি নৌ-যোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গড়ে ১৮ থেকে ২৩ দিন কম সময় লাগবে এবং মালামাল বহন খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি জাহাজ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। ভূ-কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ হাবে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও আমাদের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর দুটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। মোংলা বন্দরকে একটি গ্রিনপোর্ট হিসেবে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ দুটি বন্দরের ডকইয়ার্ড নির্মাণে নরওয়ে কারিগরি ও আর্থিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। উপদেষ্টা ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে নরওয়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

খোদা বকশ চৌধুরী, ড. সায়েদুর রহমান ও প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলামকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তাদেরকে যথাক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই তিন ব্যক্তিবর্গকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগদান করেছেন।

বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

এর আগে নতুন তিন উপদেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেন ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

নতুন করে শপথ নেওয়া উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাহফুজ আলমকে এখনও কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।

জাতীয়

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি করেছে সরকার।

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি মো. রেজাউল হককে সভাপতি করে গঠিত কমিটির সদস্যদের মধ্যে আছেন-হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ও অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাছাই কমিটি চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে উপস্থিত সদস্যদের অনূ্যন তিনজনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনারের প্রতিটি শূন্যপদের বিপরীতে দুজন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করবে। অনূ্যন চার সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম গঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উক্ত বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা করবে।

জাতীয়

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য তিন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও জয়ী হয় চীন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত সংস্থাটির আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের (আইসিএসসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য তিন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বাংলাদেশ ও চীন জয়ী হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দেশের প্রার্থী ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই নির্বাচন হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে বাসস জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চার বছরের জন্য আইসিএসসি’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

আইসিএসসি হল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা, যা ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত।

নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশকে ২.০ নির্বাচিত করেছে এবং এর মাধ্যমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রমাণ।”

জাতিসংঘে বাংলাদেশের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দীন নোমান

এ কমিটি জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ ও এনটাইটেলমেন্ট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সুপারিশ করার জন্য বাধ্যতামূলক প্রধান সংস্থা।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি পেশাদার কূটনীতিক মুহিত আগামী ডিসেম্বরে অবসরে যাচ্ছেন, যিনি ২০২২ সালের জুন থেকে ওই দায়িত্বে ছিলেন।

তার জায়গায় যোগ দেবেন নেপালে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসা সালহউদ্দীন নোমান চৌধুরী।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বর্তমানে ইউএনজিএ এর দ্বিতীয় কমিটির (অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটি) চেয়ারম্যান হিসেবে এবং ২০২৪ সালের জন্য ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাতীয়

রাগ-ক্ষোভ জন্ম দেয়- এরকম বিষয় ‘ভাইরাল’ হয়। তাই এগুলো এড়াতে জানতে হবে।

হতাশা, হাহাকার বা মনের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে এরকম বিষয়গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে দেখতে মন বিষিয়ে উঠছে কি?

হয়ত ভাবছেন ফেইসবুক বা এই ধরনের অ্যাপগুলো ক্ষতিকর।

তবে সান ফ্রানসিসকো’র ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া’র শিশুরোগ-বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. জেসন নাগাটা বলেন, “সাধারণভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ভালো বা খারাপ বলা যাবে না।”

সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষিত মানুষের সঙ্গে থাকা যায়। আবার হীনমন্যতা এবং একাকী বোধের জন্মও দিতে পারে।”

আর এখানেই আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজে কী ধরনের পরিবেশ তৈরি করছেন- সেই ব্যাপারটা।

নিউ ইয়র্ক সিটি’র ‘কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেইলম্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’য়ের মহামারী বিষয়ক অধ্যাপক ডা. ক্যাথরিন কিইজ বলেন, “কী ধরনের পরিবেশ তৈরি করছেন সেটার ওপর বিশাল পার্থক্য তৈরি হয়।”

তার কথায়, “ভিন্নতর এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হতে পারে বাসায়, স্কুলে, যেখানে সময় কাটানো হয় সেখানে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।”

নিজের জীবন ও সময়ের সাথে সমন্বয় করে ইতিবাচক পন্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকাটা জরুরি। আর মান সম্মত বিষয়গুলো চোখের সামনে যাতে আসে সেজন্য কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করা যায়।

আসলে কী চান সেটা বুঝে সময় দেওয়া

যে ধরনের বিষয় বেশি দেখা হবে সে ধরনের বিষয়গুলো বেশি বেশি চোখের সামনে আসবে।

বেশিরভাগ সোশাল মিডিয়ার ‘অ্যালগারিদম’ এভা্বেই করা। কী খোঁজা হচ্ছে, কোন ধরনের বিষয়ে মন্তব্য বেশি করছেন বা দেখছেন- সেসব ধরেই একই ধরনের ‘পোস্ট’গুলো আসতে থাকে।

‘লোয়োলা ইউনিভার্সিটি মেলিল্যান্ড’য়ের বাজারজাতকরণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মারি ইয়েহ এই বিষয়ে বলেন, “এটাকে সমস্যা হিসেবে না নিয়ে বরং যৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে হবে। খুব্ই সরল পন্থা হল: আপনি এই একটা বিষয় পছন্দ করেছেন, তাহলে একই ধরনের আরও জিনিস আপনাকে ‘খাওয়া’তে থাকবে।”

সচেতন হওয়াটা কষ্টকর হলেও, এক্ষেত্রে সেটা মানা দরকার আছে।

কী খুঁজছেন সেটা জানুন

কোনো কারণ ছাড়াই ফোনটা নিয়ে ফেইসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এক পলক দেখে রেখে দিলেন। তারপর দেখা গেল কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক জিনিস বারবার আসতেছে।

এটা খুবই সাধারণ অভিজ্ঞতা- মন্তব্য করেন ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের মানসিক ও আচরণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. অ্যানা লেমবেক।

তিনি বলেন, “এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও মানুষের মস্তিষ্কের সাথে মিলিয়ে কাজ করে।”

সুন্দর বিষয়, দারুণ রঙিন ছবি বা ভিডিও, চিত্ত আনন্দ তৈরি করে এমন শব্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। কারণ এসব দেখার সময় মস্তিষ্কে ‘ডোপামিন’ নিঃসরণ হয়, যা ‘ভালো অনুভূতি’র হরমোন নামেও পরিচিত।”

এই হরমোন স্বভাব, নড়াচড়া, উৎসাহ, নেশা ও প্রেম’য়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

যখন এই ভালো অনুভূতি পুরষ্কার পাওয়ার মতো আনন্দ দেয়, তখন সহজেই উত্তেজনাকর বিষয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়তে হয়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘অ্যালগারিদম’ সেই অনুযায়ী নানান বিষয় চোখের সামনে উপস্থাপন করতে থাকে। ফলে সচেতনভাবে বিষয়বস্তু বাছাই করার সিদ্ধান্তটা আর নেওয়া হয় না।

তাই কী খুঁজছেন সেই বিষয়ে নিজেকে আগে পরিষ্কার থাকতে হবে। এপর ব্যক্তিগত ও মানসিক শক্তি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এই নির্দিষ্ট বিষয়টি কি দেখবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন।

কোন বিষয়টা এড়াচ্ছেন সেটা জানা

পাশাপাশি এটাও জানা জরুরি, কোনো ধরনের বিষয়গুলো সরিয়ে দিচ্ছেন বা ‘সোয়াইপ’ করছেন। কারণ অনেক ধরনের বিষয় থাকে যেগুলো দেখা উপকারী নয়।

নাগাটা বলেন, “যেসব বিষয় নিজের জীবনের সাথে তুলনা তৈরি করবে সেগুলো সচেতনভাবেই এড়ানো উচিত।

“গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলনামূলক বিচার করে, পাশাপাশি নিজের ছবি বা পোস্ট নিয়ে মনক্ষুণ্ন হয় তাদের মধ্যে খাবার খেতে ইচ্ছে না হওয়া, বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা দেয়। আর এটা বেশি ঘটে নারীদের মধ্যে”- বলেন তিনি।

সেন্ট. লুইস’য়ে অবস্থিত ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের মনোরোগের অধ্যাপক ডা. প্যাটরিসিয়া কাভাজোস-রেহগ বলেন, “তুলনা করা এবং অস্বাস্থ্যকর সৌন্দর্যের মাপকাঠি বিবেচনা করার বিষয়টা যাদের ‘ফলো’ করছেন তাদের থেকে আসে না। বরং তাদের দেখছেন আর সেই হিসেবে নিজেকে গড়তে চাচ্ছেন, সেটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।”

সব ব্যায়াম, খাবার, মেইকআপ বা ফ্যাশন যে খারাপ তা নয়। তবে নিজের সঙ্গে কোনটা মানানসই সেটা বোঝার মতো জ্ঞান নিজেকেই তৈরি করতে হবে। অন্যের ডায়েট অনুসরণ করলে যে, তার মতো হয়ে যাবেন, এমন ভাবা যাবে না। বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নির্ভর না করে নিজের জন্য কোনোটা উপযুক্ত সে বিষয়ে সরাসরি বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে- পরামর্শ দেন এই মনোবিজ্ঞানী।

আনফলো, হাইড বা ডিলিট

আর প্রধান ও চূড়ান্ত কাজ হল যাদের ‘ফলো’ করছেন তাদেরকে ডিলিট করা।

“মনে হতে পারে এরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু করছে। তবে কথার মারপ্যাচ আর অযাচিত দ্বন্দ্ব- এই দুটি বিষয়ের মাঝে মোটা দাগে পার্থক্য রয়েছে”- বলেন ডা. প্যাটরিসিয়া কাভাজোস-রেহগ।

তিনি আরও বলেন, “এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যেসব ‘কনটেন্ট’ রাগ ক্ষোভ তৈরি করে সেগুলো ‘ভাইরাল’ হয়। তাই এগুলো ‘হাইড’ করতে হবে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহাকরীদের এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে, কী খুঁজছেন সেসবে ভারসাম্য বজায় রাখার পরামর্শ দেন এই অধ্যাপক।

জাতীয়

বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আইনটি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে এর অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া সব হয়রানিমূলক মামলাও বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা ক্লাবে ‘ডিআরইউ-দেশ টিভি বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে এই আইন ব্যবহার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ আইনের অধীনে সব মামলা বাতিল হয়ে যাবে, এ মামলার জন্য সাংবাদিকদের আবেদন করা লাগবে না। তবে এ আইনের আওতায় হওয়া পর্নোগ্রাফি ও যৌন হয়রানির মামলাগুলোর বিচার চলবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়নি দাবি করে আসিফ নজরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শহীদ পরিবারে পক্ষ থেকে কোনো মামলা হলে সেখানে আমাদের কিছু করণীয় নেই। এক্ষেত্রেও সংবেদনশীলতার বিষয়টি আমরা দেখতে বলেছি।

অনুষ্ঠানে বন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নির্ভীক হতে হবে। সাংবাদিক নির্ভীক না হলে গণতন্ত্র ও পরিবেশ—কোনোটাই রক্ষা হবে না।

অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর মাহমুদুল হাসান নয়ন, দ্বিতীয় পুরস্কার ডেইলি স্টারের আহসান হাবিব রাসেল এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের ফারহান ফেরদৌস ও জসিম উদ্দিন হারুন।

ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ডিবিসির আদিত্য আরাফাত, দ্বিতীয় পুরস্কার নিউজটাইম বিডির মাসুদ মোস্তাহিদ এবং তৃতীয় পুরস্কারটি পেয়েছেন একাত্তর টিভির পারভেজ নাদির রেজা।

অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন জাগো নিউজের ইয়াসির আরাফাত, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের আরাফাত জোবায়ের এবং তৃতীয় জাগো নিউজের তৌহিদুজ্জামান তন্ময়।

মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারটি পেয়েছেন দৈনিক সমকালের আবু সালেহ রনি।

ডিআরইউয়ের সভাপতি শুক্কুর আলী শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান, ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সফিকুল করিম, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দু্ল্লাহ, ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

জাতীয়

সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং শান্তিপূর্ণ উৎসব উদযাপন নিশ্চিতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলন-২০২৪ উপলক্ষে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিটি ধর্মের নিজ নিজ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণে সদা প্রস্তুত।

একইসঙ্গে তিনি সম্প্রীতির দেশ গঠনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য অনুষ্ঠানে আগত ঢাকার বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান।

সেনাবাহিনী প্রধান পার্বত্য জেলাসমূহে শান্তি ও সম্প্রীতির উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালিদের সচেষ্ট থাকতে অনুরোধ করেন।

এছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পার্বত্য জেলাসমূহে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি স্থানীয় ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পার্বত্য জেলাসমূহে অধিকতর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতাকে দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।

সবশেষে তিনি সারা দেশব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করায় বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

সেনাবাহিনী প্রধান সবাইকে শুভ কঠিন চীবর দান উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। সেইসঙ্গে পার্বত্য জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

গত ১০ অক্টোবর সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল।

সেসময় সেনাবাহিনী প্রধান তিন পার্বত্য জেলায় শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসবসমূহ পালন করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে এক কোটি টাকার চেক অনুদান হিসেবে প্রদান করেন।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ২৬৬টি বৌদ্ধ বিহারে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ কঠিন চীবর দান পালিত হয়েছে।

পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ও জিওসি ৯ পদাতিক ডিভিশন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতি শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাথের, প্রধান ধর্মদেশক ভদন্ত এস লোকজিৎ মহাথেরসহ বিভিন্ন বিহার থেকে আগত পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, ঢাকায় বিদেশি মিশনের কূটনীতিক ও সর্বস্তরের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
জাতীয়

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৬৬ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ, দুজন নারী। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩৪২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ৯২২ জন।