জাতীয়

দেশে দীর্ঘদিন পর করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭৪ জনে।

একই সময়ে নতুন করে ১ হাজার ৯৫১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৪২ জনে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১ জনের মৃত্যু খবর জানানো হয়। এদিন শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।

জাতীয়

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৩ সাল থেকে দুই দিন করে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শনিবার মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে নতুন পাঠ্যসূচির পাইলটিংয়ের জন্য নির্বাচিত ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমানে বেশির ভাগ স্কুল ও কলেজে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাকি ছয় দিন পাঠদান হয়ে থাকে। তবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, “২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই দিন করে সপ্তাহিক ছুটি থাকবে। পাশাপাশি নতুন পাঠক্রমে যারা যুক্ত হচ্ছেন তারাও এখন থেকেই সপ্তাহে দুদিন ছুটি পাবেন।”

তিনি বলেন, “শুধু জ্ঞান নয়, এর সাথে দক্ষতা অর্জনই মূলত নতুন পাঠ্যসূচির লক্ষ্য। সেটি বাস্তবায়নেই আমাদের আগামী দিনের পথচলা।

“আমরা দেখব নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দক্ষতাসম্পন্ন হচ্ছেন কিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুযায়ী সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে কিনা। সেটি এখন দেখার বিষয়। আমরা যখন দেখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের থেকে ফিডব্যাক পাবো, তখন নিজেদের সার্থক মনে করব।“

এখন পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি বাস্তবায়িত হবে। এটা সফল হতে পারলে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকভাবে ষষ্ট, সপ্তম শ্রেণি থেকে বাস্তবায়ন করব। ২০২৪ সালে এসে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এটি বাস্তবায়িত হবে। সে হিসেবে ২০২৪ সাল থেকে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ থাকছে না।”

আগের পাঠক্রমে সঠিক গন্তব্যের দিকনির্দেশনা ছিল না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা দেখব নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দক্ষতাসম্পন্ন হচ্ছেন কি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুযায়ী সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছেন কি না। সেটি এখন দেখার বিষয়।

“আগের পাঠক্রমে সঠিক গন্তব্যের দিকনির্দেশনা ছিল না। সে নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতেই নতুন পাঠক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে।”

আমরা দীর্ঘদিন পর নতুন একটি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।

 

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৪ জনের।

একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ১৫০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৩০৪ জন।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৪৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩২ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৪ হাজার ৫০৬টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৬৯৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬২টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন সাতজন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। মৃত ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে চারজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন।

এতে আরও বলা হয়, মৃত ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন ও রংপুর বিভাগের একজন। মৃত ১৩ জনের মধ্যে ১২ জন সরকারি হাসপাতালে এবং একজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৩৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ১৩৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩৯ হাজার ৬১০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৮৬ হাজার ১৮৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৩ হাজার ৪২৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

‘এক পায়ে যুদ্ধ জয় করা’ তামান্না নূরার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য শনিবার রাতে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তামান্নার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে যান।

সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান নেতৃবৃন্দ। এ সময় তামান্নাকে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর দুটি বই উপহার দেন তারা। একই সঙ্গে তারা তামান্নার পড়াশুনা এবং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ সব সময় পাশে থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে তামান্নার পাশে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে তামান্নার মা-বাবা। তারা দুইজনেই বলেন, শুধু তামান্নাকে না; সমাজের সকল প্রতিবন্ধীর পাশে থাকবে ছাত্রলীগ এমনটাই কামনা তাদের।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশ, অধিকার ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগ্রাম করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার সুদূর ঢাকা থেকে আমাদের ছোট বোন তামান্নার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। তামান্না সংগ্রাম করে তার যে শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করছে, তার পাশে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার আছি। তার পড়ালেখার জীবনে যদি কোনো জায়গায় কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় তাহলে ছাত্রলীগ তার পাশে থেকে সমাধান করবে। তার উচ্চশিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, তামান্না খুবই মেধাবী একজন শিক্ষার্থী। ভাল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা আছে তার। সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া বা পরীক্ষার জন্য যে সাপোর্ট লাগে তার ব্যবস্থা আমরা করব। ভর্তি পরীক্ষার জন্য অন্য সবার চেয়ে তার প্রস্তুতি যেন কোনো অংশে কম না হয়, তার সব ব্যবস্থা আমরা করব।

তিনি বলেন, যদি তার পরিবার চায়, তাহলে আমরা তাকে ঢাকায় ভাল শিক্ষক দিয়ে লেখাপড়ার বেশি সুযোগ সৃষ্টি করে দেব এবং তার পরিবারকে ঢাকায় থাকার যাবতীয় ব্যবস্থা করব। আমি চাই, তার যে প্রতিভাগুলো আছে তা যেন সঠিকভাবে বিকশিত হয়। তামান্নার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থী যেন তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তামান্নার পাশে থাকবেন এবং আমরাও তার নির্দেশনায় তামান্নার পাশে থাকব।

ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগর সাধারণ সম্পাদক সভাপতি এহাসানুল হাবীব শিপলু বলেন, তামান্নার পড়াশুনার সব দায়িত্ব নিয়েছে ছাত্রলীগ। তার পড়াশুনার জন্য যাবতীয় উপকরণ ছাত্রলীগ দিয়ে যাবে। শুধু তামান্না না, তার ছোট্ট দুই ভাই-বোনের পড়াশুনার দেখভাল করার জন্য যশোর জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক।

তামান্নার পাশে ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক পাশে পেয়ে আবেগে আপ্লুত তামান্নার বাবা রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী।

তামান্নার মা খাদিজা পারভীন শিল্পী বলেন, সেই ঢাকা থেকে তামান্নাকে শুভেচ্ছা জানাতে নেতাকর্মীরা এসেছে। তামান্নাকে কাছে পেয়ে তারা মিষ্টিমুখ করান। তামান্নাও তাদের পেয়ে অনেক খুশি। তামান্নাকে তারা অনুপ্রেরণা যোগাতে অনেক নির্দেশনা দিয়েছে। পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছে। তামান্নার যারা খোঁজ খবর নিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে তামান্নার জন্য

সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন উদ্যমী এই শিক্ষার্থীর মা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুল, সাগর হোসেন সোহাগ, সুব্রত হালদার বাপ্পি, সিদ্ধার্থ কুমার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিকুল ইসলাম বাধন ও নাজমুল নাজ, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দীন কবীর
পিয়াস, সাধারণ সম্পাদক তানজিব নওশান পল্লবসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না নূরা। তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। রোববার প্রকাশিত ফলাফলে এসএসসির মতো এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি।

এর আগে তামান্না ২০১৯ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। একই ফল করেছিলেন পিইসি ও জেএসসিতেও।

বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার (ননএমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লা তাজ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকাল ও সন্ধ্যায় পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অডিওকলে ফোন দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা। একইসঙ্গে দুই বোন তামান্নার স্বপ্ন পূরণে যে কোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

একই সাথে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে তার স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করেছেন তিনি।

এছাড়া মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তামান্নার সঙ্গে দীর্ঘ ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী তামান্নাকে ভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলোজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন এবং খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষামন্ত্রী তামান্নার সঙ্গে দেখা করতে যশোরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

জাতীয়

স্বাধনীতার পর এই প্রথম কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে পড়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) পদে কেউ নেই।

আগেও এই পদগুলো একবার পুরোপুরি ফাঁকা হয়েছিল। তবে সেটি সেনা সমর্থিত ১/১১ সময়কার জরুরি অবস্থার সময়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতীতেও সিইসির পদ ফাঁকা থাকার নজির আছে। এক্ষেত্রে সিইসির পদটি ফাঁকা ছিল মোট চারবার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দিনের জন্য ফাঁকা ছিল ২০০০ সালে ও ২০০৭ সালে। তবে নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) পদ ১/১১ সরকারের সময় ছাড়া কখনো ফাঁকা ছিল না।

দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে সিইসি পদে নিয়োগ পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। তিনি ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর জিয়াউর রহমান নিয়োগ দেন বিচারপতি একেএম নুরুল ইসলামকে। তিনি ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই থেকে ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা বসে নিয়োগ দেন বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মাসুদকে। তিনি ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পান বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। সবচেয়ে কম সময় অর্থাৎ ১০ মাস ৬ দিন দায়িত্ব পালন করে একই বছর ২৪ ডিসেম্বর বিদায় নেন তিনি। ২৫ ডিসেম্বর নিয়োগ পান বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ।

এই কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় আসেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সিইসি রউফ ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল বিদায় নেওয়ার পর ৮ দিন ফাঁকা ছিল পদটি। ওই প্রথম সিইসির পদটি ফাঁকা থাকে। সে বছরের ২৭ এপ্রিল এই পদে বিচারপতি একেএম সাদেককে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সময় অর্থাৎ ১১ মাস ১০ দিন দায়িত্ব পালনের পর চলে যান ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল। দুই দিন ফাঁকা থাকার পর ৯ এপ্রিল সিইসির পদে আসেন মোহাম্মদ আবু হেনা।

ওই বছর জুনে এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তিনি ২০০০ সালের ৮ মে চলে যাওয়ার পর ১৪ দিন ফাঁকা ছিল সিইসির পদটি। একই বছরের ২৩ মে আসেন এমএ সাইদ। ২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি চলে গেলে ২৩ মে আসেন বিচারপতি এমএ আজিজ। বিএনপির আমলে নিয়োগ পাওয়া তিনিই শেষ সিইসি।

এরপর ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি হয়। ওই বছরের ২১ জানুয়ারি এমএ আজিজ চলে গেলে ১৪ দিন ফাঁকা থাকার পর একই বছর পাঁচ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন ড. এটিএম শামসুল হুদা। ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তার দায়িত্ব শেষ হলে তিনদিন ফাঁকা থাকার পর ৯ ফেব্রুয়ারি পদটিতে আসেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তার দায়িত্ব শেষ হলে পাঁচদিন ফাঁকা থাকার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কেএম নূরুল হুদা।

নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পুরো কমিশন ফাঁকা ছিল ২০০৭ সালে আজিজ কমিশন চলে যাওয়া পর। তিনি ২১ জানুয়ারি চলে যাওয়ার পর অন্য দুই কমিশনারের অধীনে চলে ৩১ জানুয়ারি। এরপর শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন দায়িত্ব নেন ওই বছর ৫ ফেব্রুয়ারি। সে সময় চারদিনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ফাঁকা ছিল। অন্যান্য সময় সিইসির পদ ফাঁকা থাকলেও কমিশনাররা ছিলেন।

কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়েছিলেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন পুরোপুরিভাবে ওই বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি চলে যাওয়ার পর। সেই হিসেবে পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্তি করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুরো কমিশন বিদায় নিয়েছে। বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে সবগুলো পদ।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নতুন কমিশন নিয়োগের জন্য এরই মধ্যে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। সেই কমিটিতে আইনে নির্ধারিত পন্থায় ৩২২ ব্যক্তির নাম জমা পড়েছে। তাদের মধ্য থেকে যোগ্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে সার্চ কমিটি। যার ভিত্তিতে নতুন কমিটি পাবে নির্বাচন কমিশন। ফলে এই মধ্যবর্তী সময়ে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত আসবে না।

এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এরই মধ্যে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন ফাঁকা থাকলেও সাংবিধানিক কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হবে না। ইসি চিব তার কাজ পরিচালনা করবেন।

ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ছিল। সংবিধান কার্যকর ছিল না। তাই সে সময় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। তার আগে কখনও পদগুলো একসঙ্গে ফাঁকা ছিল না।

এদিকে নতুন কমিশনকে বরণের প্রস্তুতিও শুরু করেছে ইসি সচিবালয়। এরই মধ্যে সদ্য বিদায়ী কমিশনারদের দফতরগুলো ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে, সরিয়ে ফেলা হয়েছে নামফলকও।

জাতীয়

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হল গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ এর নবম ও দশম খণ্ড, যার মাধ্যমে শেষ হল এ ধারাবাহিক প্রকাশনার।

নবম খণ্ডে আওয়ামী লীগ গঠনের বিভিন্ন ধাপ, পাকিস্তানের পাঞ্জাবে গিয়ে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাক্ষাৎ এবং সেখানকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তার পরিচয়ের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এই খণ্ডের নাম রাখা হয়েছে ‘মিশন পাঞ্জাব’।

আর দশম খণ্ডের শিরোনাম ‘মুক্তির পাথে’। এই খণ্ডে কারাগারে থাকা শেখ মুজিবের অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া, সেখানে গোপনে ভাষা আন্দোলনের জন্য সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন, জেলে অনশন, শরীর ভেঙে পড়া, ঢাকার বাইরে স্থানান্তর, জেল থেকে মুক্তি, প্রাদেশিক নির্বাচনে বিজয় এবং ছয় দফাসহ বিভিন্ন ঘটনা স্থান পেয়েছে।

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর লাহোরে পৌঁছানো, ফেরার সময় দিল্লি, কলকাতা হয়ে বেনাপোল দিয়ে খুলনা, ছদ্মবেশে থেকে জাহাজ চড়ে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর ঘটনা এই খণ্ডে এসেছে।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশের পর শিশু-কিশোর ও তরুণদের কাছে তার ঘটনাবহুল জীবন নতুন রূপে তুলে ধরার জন্য বইটিকে গ্রাফিক নভেলের রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে প্রতিটি খসড়া দেখে দেওয়ায় অনেক কাজ সহজ হয়েছে এবং অনেক ভুলও এড়ানো গেছে বলেন জানিয়েছেন গ্রাফিক নভেল মুজিবের সম্পাদক শিবু কুমার শীল।

মঙ্গলবার শুরু হওয়া একুশে বইমেলোয় শেষ দুটি খণ্ড পাওয়া যাচ্ছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তিনি।

শিবু বলেন, “আগামী ১৯ তারিখ শেষ দুই খণ্ডের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা উৎসব হবে। সিআরআইয়ের স্টলের পাশে হবে সেই অনুষ্ঠান।”
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাফিক নভেল হলেও বাংলাদেশে এটাই ছিল এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ। ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ গ্রাফিক নভেল মুজিবের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) উদ্যোগে এর বিভিন্ন পর্ব প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশক হিসেবে রয়েছেন সিআরআইয়ের ট্রাস্টি ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং আরেক ট্রাস্টি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তার বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ, কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে।

এছাড়া আছে বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বংসহা সহধর্মিনীর কথা, যিনি তার রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে পাশে ছিলেন অবিচল।

বইমেলায় এই প্রকাশনার ওপর বিভিন্ন ছাড় থাকবে বলেও জানান শিবু। শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে সবকটি খণ্ড কিনলে ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

এই গ্রাফিক নভেল নিয়ে ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত তিনটা খণ্ড ইংরেজিতে এবং জাপানি ভাষায় দুটি খণ্ড অনূদিত হয়েছে। ভবিষ্যতে ফরাসি ও চায়নিজ ভাষায় অনুবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

জাতীয়

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটিতে আসা ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট ব্যক্তি, পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ এসব নাম প্রস্তাব করেছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো- সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, সাবেক উপদেষ্টা ডা. মুফিয়া রহমান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

ঢাবির সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, সাবেক সচিব কামরুন নাহার ও মো. নুরুল ইসলাম।

অ্যাডকমের গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া।

চিত্রনায়ক ও নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব মিকাইল শিপার।

সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও মোহাম্মদ আব্দুল করিম, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছিন হোসেন, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন ও ড. আতিউর রহমান, আইনজীবী শাহদীন মালিক, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইঞা, সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির কাছে নাম জমা দেওয়ার সময় ছিল সোমবার বিকেল ৫টা।

গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বসে মতামত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আট বিশিষ্ট সাংবাদিকের মতামত নেওয়ার কথা রয়েছে।

সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়ার কাজে যুক্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে স্থান পেতে নির্ধারিত সময়ে ৩২৯ জনের নাম পেয়েছে তারা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করেছে সরকার।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ এর ধারা ৩ মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানের জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার লক্ষ্যে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হলো।

সোমবারই কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আইন অনুযায়ী, নতুন ইসি গঠনের জন্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মনোনীত করার পর রাষ্ট্রপতি তা চূড়ান্ত করেন। তবে এবার নতুন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করা হলো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ২৭ জানুয়ারি বিলটি জাতীয় সংসদে পাসের পর ২৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সম্মতি দেন। ৩০ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুযায়ী সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আইন অনুযায়ী, আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠিত হবে। আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে তারা ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। ১০ জনের মধ্য থেকেই ৫ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।

জাতীয়

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আল্লাহ-মাবুদের ক্ষমতা থাকে, আমরা তো মানুষ। ওই উচ্চতায় আমরা নই।

নির্বাচন ভবনের লেকভিউ চত্বরে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

পাঁচ বছরের দায়িত্বকালে নূরুল হুদা কমিশনের সফলতা-ব্যর্থতা সম্পর্কে জানতে জানতে চাওয়া হলে সিইসি বলেন, শতভাগ সাফল্য কেউ কোনোদিন অর্জন করতে পারে না। আমরাও পারি নাই।

তিনি বলেন, আইনের আলোকে পরিপূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা নির্বাচন পরিচালনা করেছি। কোনো কোনো ব্যত্যয় হয়েছে। কোথাও কোথাও আমরা অনিয়ম হয়েছে, অনেক ভোটার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন। এখন নির্বাচন বন্ধ আছে। টাইম ছিল না বলে করতে পারি নাই। সেগুলো অবশ্যই ব্যর্থতা। সুতরাং সেন্ট পার্সেন্ট সফল হওয়া, এটাতো মাননীয় কমিশনার রফিক সাহেব বলেছেন, আমরা তো ওই উচ্চতায় যাই নাই। উনি বলেছেন যে একমাত্র আল্লাহ-মাবুদের ক্ষমতা থাকে, আমরা তো মানুষ।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, একটা ভুল পারসেপশন আছে সমাজ ও গণমাধ্যমে। অনেকে বলতে থাকেন, ইসির অসীম ক্ষমতা। আকাশের দিকে তাকিয়ে বলি, এদের কী আল্লাহ-ভগবান নেই। তাদেরই তো কেবল অসীম ক্ষমতা।

সংবিধান ও আইনের দ্বারা পরিচালিত হবো এইটুকুই ছিল আমাদের শপথ। তাহলে আল্লাহর আসনে বসিয়ে দেওয়া কী অন্যায় নয়? অসীম ক্ষমতা কারো নাই।

কেএম নূরুল হুদা আরও বলেন, আমাদের ভুল হবে, আমাদের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেবো। তবে একটা জিনিস আপানারা হয়তো বিশ্বাস করবেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অতন্ত গুরুত্বসহকারে দেখেছি। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে যে রিপোর্ট এসেছে, কেন দেরি হলো (ভোটগ্রহণ ধীরগতি), কেন আঙুলের ছাপ মেলে না। এসব নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছি। তারা কাজ করছে। গণমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচন বন্ধ করেছি। পেপার কার্টিংয়ের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় আনার চেষ্টা করেছি। তাদের সঙ্গে সংলাপ করেছি। যারাই দেখা করতে চেয়েছেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা, সবার সঙ্গেই দেখা করেছি। এখন তারা টিভিতে কথা বলেন, তাতে তো মনে হয় আস্থা অর্জন করতে পারিনি।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের দিন গণমাধ্যম প্রচার করে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার বাড়ছে। শীত উপেক্ষা করে ভোটারের দীর্ঘ লাইন। আবার টিভিতে, মঞ্চে গিয়ে উল্টোটা বলেন। নির্বাচনে ৭০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। প্রায় ৭ কোটি ভোটার ভোট দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজ দফতরে বসে থাকলেও বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেননি। দুপুরে তিনি পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। আর নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন করোনায় আক্রান্ত থাকায় যোগ দিতে পারেননি।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক বেসামরিক আমলা কেএম নূরুল হুদাকে সিইসি; মাহবুব তালকুদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও সামরিক আমলা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সংবিধান অনুযায়ী, পাঁচ বছর দায়িত্ব শেষে তাদের মেয়াদ শেষ হলো ২০২২ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার)।

জাতীয়

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে এ ফল ঘোষণা করা হয়।

গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সার্বিকভাবে পাশের হার ৯৫.২৬। এর মধ্যে রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৯৭.২৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী; বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ৯৫.৭৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ শিক্ষার্থী; কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী; দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৯২.৪৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ শিক্ষার্থী।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে পাশের হার ৮৯.৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০ শিক্ষার্থী; সিলেট বোর্ডে পাশের হার ৯৪.৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ শিক্ষার্থী; যশোর বোর্ডে পাশের হার ৯৮.১১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৮৭৮ শিক্ষার্থী।

ফল প্রকাশের পর থেকে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে।

মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।

আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।

এ পরীক্ষায় এবার ১৪ লাখ ১৪৫ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরু হয় ২ ডিসেম্বর। শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর।

এবার সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। শুধু বিভাগভিত্তিক তিনটি করে নৈর্বাচনিক বিষয়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে অন্যান্য বিষয়ে এসএসসি ও জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ করে শিক্ষার্থীদের গ্রেডিং দেওয়া হবে।

জাতীয়

রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল মাহুতটুলীর একটি ভবনের নিচতলায় পলিথিনের গোডাউনে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট ।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার দেওয়ান আজাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে কয়েকটি ইউনিট পাঠানো হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট। প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।