বিনোদন

এক সময় বলিউডের পরিচিত মুখ ছিলেন সানা খান। সালমান খানের সিনেমায় অভিনয় থেকে শুরু করে জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো বিগ বস-এ অংশ নেওয়ার সুবাদে বেশ আলোচনায় ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২০ সালে মুফতি আনাস সায়েদকে বিয়ের পর হঠাৎ করেই বিনোদনের জগৎ থেকে বিদায় নেন সানা। পালটে ফেলেন নিজের পোশাক-পরিচ্ছদ ও জীবনধারাও।

তবে এই হঠাৎ পরিবর্তনের পেছনে কি স্বামীর প্রভাব কাজ করেছে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী জেরিন খান।

জেরিন জানান, “সানার এই পরিবর্তন একেবারেই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বিয়ের অনেক আগেই সানা ছিল একজন ভীষণ ধার্মিক মানুষ। সে কারণে বিয়ের পর যদি সে ধর্মীয় পথ বেছে নেয়, সেটা তার বিশ্বাস ও বোধ থেকে এসেছে। আমি তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।”

সানার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ না হলেও কিছু বিষয় জানেন বলে জানিয়েছেন জেরিন। তার ভাষায়, ‘আজ অনেকে জানেন যে সানা এখন ধর্মীয় জীবন বেছে নিয়েছে। কিন্তু এটা কম মানুষই জানে, সে যখন বিনোদনের জগতে সক্রিয় ছিল, তখনও সে নিয়মিত প্রার্থনা করত, ধর্মে বিশ্বাস রাখত।’

জেরিন আরও বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন গ্ল্যামার জগতে থাকা নারীরা ধার্মিক হতে পারেন না। কিন্তু কেউ ব্যক্তিগত জীবনে কীভাবে জীবনযাপন করছেন, সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। বিশ্বাস ও ধর্ম একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়—এটা নিয়ে প্রচার করার দরকার নেই।’

সানার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জেরিন বলেন, ‘সানা আগে থেকেই ধার্মিক ছিল, বিয়ের পর তার বিশ্বাস আরও গভীর হয়েছে মাত্র। এটা তার জীবন, তার পছন্দ। আমি সত্যিই তার জন্য খুশি।’

এক সময় বলিউডের পরিচিত মুখ ছিলেন অভিনেত্রী সানা খান। সালমান খানের ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি; জনপ্রিয় শো ‘বিগ বস’-এ একবার নজর কেড়েছিলেনও। কিন্তু ২০২০ সালে মুফতি আনাস সায়েদকে বিয়ে করার পর তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। বিনোদনের জগৎ ছেড়ে দেন, পোশাক-পরিচ্ছদেও আসে বড় পরিবর্তন। এবার সানা খানের এই পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুলেছেন ইন্ডাস্ট্রিজের আরেক অভিনেত্রী জেরিন খান।

অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিয়ের পর সানা বলিউড ছেড়ে দিয়েছেন স্বামী মুফতি আনাসের প্রভাবে! সে প্রসঙ্গে জেরিনের বক্তব্য, ‘বিয়ের আগেই সানা ছিলেন ভীষণ ধার্মিক। তাই বিয়ের পর তিনি আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মের পথ বেছে নিয়েছেন, এটা তার একান্তই নিজের সিদ্ধান্ত। আমি ওর এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি।’

জেরিন ও জানান, তিনি সানাকে খুব গভীরভাবে না চিনলেও সানার কিছু দিক সম্পর্কে জানেন। জেরিনের কথায়, ‘মানুষ জানে সানা এখন পুরোপুরি ধর্মমতে জীবনযাপন করছে। কিন্তু ওর বিনোদন দুনিয়ায় থাকার সময়েও ও প্রতিদিন প্রার্থনা করত, ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। এটাই অনেকে জানেন না।’

তিনি আরও বলেন,‘অনেকে ভাবেন গ্ল্যামার দুনিয়ার নারীরা ধার্মিক হতে পারেন না। কিন্তু আমরা ব্যক্তিগত জীবনে কী করি, সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ধর্ম ও বিশ্বাস খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার—এটা নিয়ে প্রচার করার দরকার নেই। সানা আগেও ধার্মিক ছিল, বিয়ের পর সে বিশ্বাস আরও গভীর হয়েছে। এটা ওর জীবন, ওর পছন্দ। আমি ওর জন্য খুশি।’

বিনোদন

দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমা নিয়ে পর্দায় নেই বিদ্যা সিনহা মিম। ২০২২ সালের আলোচিত ‘পরাণ’ সিনেমার পর তাকে আর সেভাবে দেখা যায়নি। এরপর তার অভিনীত ‘দামাল’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেলেও এর রেসপন্স খুব একটা সুবিধাজনক ছিল না।

বলা যায়, এরপর থেকে সিনেমা নিয়ে মিম রয়েছেন আলোচনার বাইরে। তবে বিজ্ঞাপন ও ফটোশুটের কাজে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। এ দুটি কাজ নিয়ে খবরের শিরোনামও হয়েছেন। কিন্তু এরমাঝে আর নতুন সিনেমায় যুক্ত হওয়ার খবর দেননি এ অভিনেত্রী।

সর্বশেষ ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করেছেন তিনি। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের জীবন নিয়ে নির্মিত এ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন পান্না কায়সারের চরিত্রে। এটি পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ঘটনার পর সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে বা আদৌ পাবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে সংশয়।

মিম বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিং শেষ। কিছু প্যাচ ওয়ার্কের কাজ বাকি আছে। সেগুলো আগামী ১৬ ও ১৭ জুলাই করা হবে। সেজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি। তারপরই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে।’

এ নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী, তাই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি। অনেক সুন্দর একটি গল্প। প্রত্যাশা করছি দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে এসে দেখবেন।’

অর্থাৎ এ সিনেমা দিয়ে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। সিনেমার বাইরে ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন মিম।

নতুন ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন নতুন কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। কিন্তু গল্প, চরিত্র মনের মতো হলেই নতুন কাজ করব।’ এদিকে দিন কয়েক আগে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ করেছেন মিম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১০ দিন ছিলাম শ্রীলঙ্কা। এবারের ভ্রমণটা অনেক আনন্দের। সেই সঙ্গে অনেক স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। কেননা, শ্রীলঙ্কার এত সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরেছি, দ্বিতীয়বার আর না গেলেও হবে।’

বিনোদন

বলিউড সিনেমার ইতিহাসে চিরন্তন এক নাম ‘শোলে’। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া রমেশ সিপ্পির এই কালজয়ী সিনেমা শুধু এক দশক নয়, পেরিয়ে এসেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। ‘জয়-বীরু’, ‘ঠাকুর’, ‘গব্বর’ কিংবা ‘সুন্নি’র মত চরিত্র ও সংলাপ আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

চলতি বছর সিনেমাটির মুক্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইতালির বোলোনিয়া শহরে ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাতা’ উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হচ্ছে ‘শোলে’র নতুন ‘আনকাট’ সংস্করণ। এই সংস্করণে থাকবে সেই আসল সমাপ্তি, যা এক সময় সেন্সর বোর্ডের আপত্তিতে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

সেন্সরে কাটা সেই দৃশ্য ফিরল

মূল সংস্করণে ছিল ডাকাত গব্বর সিংয়ের মৃত্যুদৃশ্য—ঠাকুর তার কাঁটা লাগানো জুতা দিয়ে পিষে হত্যা করেন গব্বরকে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এই দৃশ্য ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুর’ এবং ‘আইন হাতে তুলে নেওয়ার দৃষ্টান্ত’ বলে তা বাদ দিতে বলে। তখনকার জরুরি অবস্থার সময় সেন্সর বোর্ড ছিল বেশ কঠোর। বাধ্য হয়ে পরিচালক সিপ্পি সমাপ্তি দৃশ্য নতুন করে ধারণ করেন, যেখানে গব্বরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

শোলে’র মূল ৭০ মিমি প্রিন্ট ও নেগেটিভ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সিনেমাটির পূর্ণ সংস্করণ ফিরিয়ে আনতে তিন বছর লেগেছে। রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, মুম্বাইয়ের একটি গুদামে পুরনো কৌটায় কিছু ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ পাওয়া গেছে। সেগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও ইতালি থেকে উদ্ধার করা রিল জুড়ে তৈরি করা হয় পূর্ণ সংস্করণ। পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে লা ইমাজিনে রিট্রোভাতা, বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ম রিস্টোরেশন কেন্দ্র।

প্রথম সপ্তাহে ‘শোলে’র প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল না। দর্শকেরা চুপচাপ বসে থাকতেন, সমালোচকেরাও বলেছিলেন সিনেমাটি ব্যর্থ। ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন একে বলেছিল ‘নিভে যাওয়া কয়লা’, আর ফিল্মফেয়ার–এ লেখা হয়েছিল এটি ‘ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটি ব্যর্থ ওয়েস্টার্ন রূপান্তর।’

তবে তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয় ঘুরে দাঁড়ানো। দর্শকেরা সংলাপ মুখস্থ বলতে থাকেন, দ্বিতীয়বার সিনেমা দেখতে আসেন। এক মাস পর যখন একটি সংলাপ রেকর্ড প্রকাশিত হয়, তখন থেকেই চরিত্রগুলো হয়ে ওঠে আইকনিক। গব্বর সিং হয়ে ওঠেন ভয়ংকর জনপ্রিয়।

‘শোলে’ টানা পাঁচ বছর মুম্বাইয়ের মিনার্ভা হলে চলেছে—তিন বছর পূর্ণ দৈর্ঘ্যে, দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। প্রায় ১৮ কোটি টিকিট বিক্রি হয়েছিল, এমনকি ২৪০তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালে এটি মুক্তি পায় পাকিস্তানেও।

সিনেমার প্রভাব ও জনপ্রিয়তা

‘শোলে’ কেবল একটি সিনেমা নয়—এটি হয়ে উঠেছে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক। এর সংলাপ বিয়ের মঞ্চে, রাজনীতির বক্তৃতায় এমনকি বিজ্ঞাপনেও ব্যবহৃত হয়েছে। সেলিম-জাভেদ জুটির লেখা চিত্রনাট্য ও সংলাপ, পশ্চিমা ও জাপানি সিনেমা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে একদম ভারতীয় মাটির গল্প হয়ে উঠেছে ‘শোলে’।

চলচ্চিত্র বিশ্লেষক ও সমালোচকরা একে বলেন ‘ভারতীয় সিনেমার মিলেনিয়াম ফিল্ম।’ বিবিসি ইন্ডিয়ার এক জরিপে এটিকে ‘ফিল্ম অব দ্য মিলেনিয়াম’ ঘোষণা করা হয়, আর ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের এক ভোটে এটি হয় সর্বকালের সেরা ভারতীয় সিনেমা।

ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘শোলে হচ্ছে বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’

অমিতাভ বচ্চনের কথায়, ‘এই সিনেমার শুটিং আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা। তখন বুঝিনি এটি একদিন এমন কিংবদন্তি হবে।’

৫০ বছর পর এই সিনেমার আবেদন এখনো এতটাই অটুট কেন—এই প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ বলেন, ‘শোলে-তে দর্শক ন্যায়ের বিজয় দেখেছেন মাত্র তিন ঘণ্টায়। সেটা এমন কিছু, যা আমরা বাস্তবে হয়তো আজীবনেও দেখতে পাব না।’

সত্যিই, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে ‘শোলে’ শুধু এক সিনেমা নয়—এটি একটি অধ্যায়। পঞ্চাশ বছর পর সেই অধ্যায় ফিরে এল আরও পরিপূর্ণ রূপে।

বিনোদন

গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজপথে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, সরাসরি আন্দোলনের ময়দানে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি।

আজ বর্ষপূর্তির দিনে ইংরেজিতে একটি আবেগঘন পোস্ট দেন বাঁধন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই আন্দোলন আমাকে আশার আলো দেখিয়েছিল, সাহস দিয়েছিল সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।’

তিনি আরও লেখেন, ‘সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটি সহজ ছিল না। তবুও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।’

বাঁধন বলেন, ‘আমরা এক হয়েছিলাম এমন একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্র নিজের জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র তাক করেছিল তার জনগণের দিকে। কোনো কারণ ছাড়া মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছিল। নির্দোষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছিল। রিয়া মণির মতো ছোট ছোট শিশুরা জীবন দিয়েছিল। কিন্তু তারা বুঝেই উঠতে পারেনি কেন জীবন দিচ্ছে।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আমরা এক হয়েছিলাম আমাদের অধিকার আর দেশকে ভালোবেসে। সেটা ছিল স্মরণীয় মুহূর্ত। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম ভালো কিছুর। আমি সেই আশা সবসময় বুকে ধারণ করেই চলব।’

বিনোদন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন প্ল্যাটফর্মটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।

দীর্ঘ ওই পোস্টে উমামা জানান, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে প্রতারিত হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ছাত্রদের পড়ার টেবিলে ফেরার আহ্বানও জানান তিন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম তাদের সঙ্গে ছলনা করেছে জানিয়ে উমামা লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত অশান্তিতে আছি। অভ্যুত্থান যেমন স্বপ্ন দেখিয়েছে, গোষ্ঠীস্বার্থে এই প্ল্যাটফর্ম একইভাবে বহু মানুষের স্বপ্ন ও সময় নষ্ট করেছে। আমি অভ্যুত্থানের স্বপ্নকে রক্ষার জন্য এই প্ল্যাটফর্মে গিয়েছিলাম। প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার আগে আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবো। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র হিসেবে যাওয়ার পরেই টের পাই সংস্কার, জুলাই, শহীদ, আহত এসব মুখের বুলিমাত্র। শুধু আমি না, অনেক ছাত্ররাই পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। সবার সঙ্গে শুধু ছলনা হয়েছে। ’

ছাত্রদের পড়ার টেবিলে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উমামা বলেন, ‘যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, আমার সঙ্গে নোংরামি করেছে এতগুলা মাস, অভ্যুত্থানকে বাজারদরে কেনা-বেচা করেছে তাদের আমি কখনো ক্ষমা করব না। আমি রুহের ভেতর থেকে বদ দোয়া দিচ্ছি এই মোনাফেকদের। রাজনৈতিকভাবে চাইলে অনেক সুবিধা আমি নিতে পারতাম। কিন্তু পারিনি। আসেনি ভেতর থেকে। অনেক বেশি মানুষ মারা গেছে আসলে। এতগুলা সন্তান এতিম হইছে, মেয়েরা বিধবা হইছে, বাবা-মা সন্তানহারা হইছে। আমি পারিনি এসবকে পলিটিক্যালি ক্যাশ করতে। আমি গত ৮-৯ মাসকে ঝেড়ে ফেলে সামনে আগাতে চাই। অনেক ভালো ছেলে-পেলেকে এই প্ল্যাটফর্মে আমি দেখেছি, গুডউইল আছে যাদের। আমি পরামর্শ দেব আপনারা সবাই যাতে পড়ার টেবিলে মনোযোগ দেন, কাজে মনোযোগ দেন। আমিও ভেঙে পড়ছি না, গুছিয়ে আনছি সবকিছু। ফি আমানিল্লাহ। ’

ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে গত বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে এক বছরের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির সভাপতি হয়েছেন রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশিদ), সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মো. ইনামুল হাসান (হাসান ইমাম)।

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই সংগঠনটির শীর্ষ নেতারাই পরে রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠন করেন। তবে দল গঠনের পরও জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে যেসব অসমাপ্ত কাজ থেকে গিয়েছিল, তা সম্পন্ন করতেই উমামা ফাতেমা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারেই কাজ করা শুরু করেছিলেন বলে ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন। তবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে গিয়ে রাজনৈতিক চাপ, ব্যক্তিগত আক্রমণ ও সংগঠনের ভেতরে সুবিধাবাদী চক্রের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অবশেষে সংগঠনটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন উমামা ফাতেমা।

বিনোদন

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলচ্চিত্র সংরক্ষণে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার বিকালে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ফিল্ম আর্কাইভের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্যবিষয়ক দলিলাদি এবং দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র সংরক্ষণে ফিল্ম আর্কাইভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রামাণ্যচিত্র সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, ফিল্ম আর্কাইভকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। আর্কাইভে মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের সাক্ষাতকারভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র সংরক্ষণেরও তাগিদ দেন তথ্য উপদেষ্টা।

বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন গ্রন্থাগার থেকে গত ৫০ বছরের ফিল্ম ম্যাগাজিন সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন থেকেও চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট প্রমাণক সংগ্রহ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তথ্য উপদেষ্টা।

মাহফুজ আলম বলেন, বর্ষীয়ান ও গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের লেখা ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। আর্কাইভে সংরক্ষিত সব ফিল্মের ডিজিটাল ক্যাটালগ প্রস্তুত করতে হবে। এর ফলে চলচ্চিত্র গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন।

এ সময় তথ্য উপদেষ্টা ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল।

মতবিনিময় সভার আগে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হল, ফিল্ম মিউজিয়াম, ফিল্ম হাসপাতাল, ফিল্ম ভল্ট ও লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।

বিনোদন

বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে ‘জাতীয় বেদয়াদব’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন শ্রোতানন্দিত গায়ক রবি চৌধুরী।

সম্প্রতি ‘বেয়াদব’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেন রবি, যেখানে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সমালোচনা করা হয়েছে কিছু নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের। গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রবি লিখেছেন, ‘নোবেল গ্রেফতার হয়ে আবারও প্রমাণ করলো, সত্যিই সে জাতীয় বেয়াদব।’

এ গায়ক তার স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, ‘নতুন প্রজন্মের আরও যারা বেয়াদব আছেন, যারা সিনিয়রদের সম্মান করেন না তাদের গায়ে লাগবে এই গান। কিচ্ছু করার নেই। সময় থাকলে শুনে দেখুন। গায়ক গায়িকা না হয়ে সবাই শিল্পী হও।’

রবি চৌধুরীর শেয়ার করা এ গানের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমার এই গান আধুনিক জাতীয় বেয়াদবদের জন্য, যারা শিল্পী নামের কলঙ্ক’।

‘কেউ কি আছেরে ভাই, গুরুর কাছে গান শিখতে চাই/ গান বাজনা শেখার সাথে আদব কায়দাও শেখা চাই’ -এমন কথার গানে তিনি গায়কদের কেমন হওয়া উচিত, এখনকার শিল্পীদের আচার ব্যবহার কেমন তা তুলে ধরেছেন। গানটি রবি চৌধুরী তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন।

এদিকে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে ধর্ষণ মামলার বাদী ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রি কাবিনামামূলে বিয়ে সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে এ বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে।

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে নোবেলের আইনজীবী একটি আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি নোবেল গত ২০ মে হতে জেলহাজতে আটক আছেন। যেহেতু বাদী ও আসামির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় বাদী মামলাটি দায়ের করেছেন, মামলার বাদী ও আসামি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে ইচ্ছুক; সেহেতু জেলহাজতে আসামি ও বাদীর বিয়ের অনুমতি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

বাংলাদশের সংগীতাঙ্গনের সবচেয়ে বিতর্কিত নাম মাইনুল আহসান নোবেল। দেশের সংগীত পরিমণ্ডলে রাজসিক আবির্ভাবের পর একের পর এক বিতর্কিত কাণ্ডে নিজের জায়গা খুইয়েছেন তিনি। এখন নারী নির্যাতনের এক মামলায় তার ঠাঁই হয়েছে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে।

শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের এই কারাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে কারাবন্দি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। তিনি মঞ্চে উঠে গেয়েছেন নগর বাউল জেমসের গান; মাতিয়েছেন বন্দিদের।

ঈদের দিনে জেলের বন্দিদের জন্য গান গেয়ে হয়তো ‘আশা’ দেখিয়েছেন নোবেল। বন্দি মানুষগুলোর জন্যও হয়তো ঈদ হতে পারে আনন্দের। তবে, গায়ক নোবেল নিজেকে পরিশুদ্ধ করে ফিরে আসবে গানের জগতে, এমনটাই হয়তো চাইবেন তার ভক্তরা।

ঈদের দিন বিকাল সাড়ে তিনটায় কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বন্দিশালার মাঠে আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান।

মঞ্চে নোবেল ‘অভিনয়’, ‘ভিগি ভিগি’, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হয়ে গেলে’সহ তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। নোবেলের কণ্ঠে গাওয়া এসব গান শুনে অন্য বন্দিরাও আবেগ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। গানে গানে তৈরি হয় এক ভিন্নরকম উৎসবমুখর পরিবেশ।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে। এরপর গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমরা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা রুজু করা হয়।

থানা সূত্র জানায়, মামলাটির তদন্তের সময় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত কণ্ঠশিল্পী নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

বিনোদন

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধের সুযোগ রেখে আইন সংশোধন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের মাধ্যমে অগ্রগতি করছে, এটি উৎসাহব্যঞ্জক।

আমি সংস্কারের ক্ষেত্রে অর্থবহ পরিবর্তনের আহ্বান জানাই, যাতে অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়। তবে সাম্প্রতিক যে আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। ’
সোমবার (১৬ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৫৯তম মানবাধিকার পরিষদে উত্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ভরকার তুর্ক।

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ অযৌক্তিকভাবে মানুষের সংগঠনের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমাবেশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। ’

সম্প্রতি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তার (সংগঠন) যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই অধ্যাদেশের আলোকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনও সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

বিনোদন

ইসরাইলের হামলায় কিছুক্ষণের জন্য সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের। তবে পুনরায় সম্প্রচার শুরু হয়েছে।

রাজধানী তেহরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র সম্প্রচার সংস্থার (আইআরআইবি) ভবনে ওই হামলা চালানোর পর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের।

এএফপি জানায়, আইআরআইবির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসান আবেদিনি বলেন, ইরানের জনগণের শত্রু জায়নিস্ট শাসক কয়েক মিনিট আগে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সংবাদ নেটওয়ার্কের ওপর হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই (ইসরাইল) শাসনব্যবস্থা জানে না, একটি সামরিক হামলা চালিয়ে ইসলামি বিপ্লবের কণ্ঠ ও মহান ইরানের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করা যায় না।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলার কথা স্বীকার করেছেন।

এ হামলার কিছুক্ষণ আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে।

বিনোদন

ঈদে জমে উঠে ঢাকাই সিনেমার বাজার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিবারের মতো কুরবানি ঈদেও মুক্তি পেয়েছে ছয়টি সিনেমা। এগুলো হলো- ‘তাণ্ডব’, ‘ইনসাফ’, ‘টগর’, ‘উৎসব’, ‘নীলচক্র’ ও ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’।

ঈদের দিন থেকেই সিনেমাগুলো নিয়ে চলছে আলোচনা। এমনিতে টানা কয়েকবছর ধরেই ঈদের সিনেমা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ রয়েছে তুঙ্গে। বেশ কিছু সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে কিছুটা সক্ষম হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও কয়েকটি সিনেমার প্রতি দর্শকদের আগ্রহ রয়েছে। এরই মধ্যে সিনেমাগুলোর সিক্যুয়াল বানানোর দাবিও তুলেছেন অনেকে।

ঈদে দর্শক আগ্রহে থাকা আলোচিত দুই সিনেমা রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তাণ্ডব’ ও সঞ্জয় সমদ্দারের ‘ইনসাফ’। এ দুই সিনেমায় নায়িকা হিসাবে অভিনয় করেছেন নাটকের জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী সাবিলা নূর ও তাসনিয়া ফারিণ। দুটি সিনেমারই সিক্যুয়াল নির্মিত হবে, এমনটাও জানিয়েছেন নির্মাতাদ্বয়।

এই সিদ্ধান্ত জানার পর থেকেই নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রথম কিস্তির মতো সিক্যুয়ালেও কি থাকছেন এ দুই অভিনেত্রী? যদিও নির্মাতারা এ নিয়ে এখনই কোনো কিছু জানাননি। শুধু সিক্যুয়াল ঘোষণার মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছেন আপাতত।

অভিষেকেই মুগ্ধতা ছড়ালেন সাবিলা 

ঈদে শাকিব খানের বিপরীতে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে সাবিলা নূরের। সিনেমাটি ১৩২ হলে মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন থেকেই এটি দর্শক আগ্রহে রয়েছে। বলা যায়, ঈদ সিনেমার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এটি। প্রথম সিনেমা দিয়েই অভিনয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সাবিলা। যদিও এ সিনেমাটি ছিল এ অভিনেত্রীর জন্য অগ্নিপরীক্ষা। বলা যায়, সে পরীক্ষায় অনেকটাই উত্তীর্ণ হয়েছেন। অভিষেক সিনেমায় হোঁচট খেলে হয়তো রুপালি জগতে তার পথচলা অনেকটা কঠিন হয়ে যেত। সেদিক বিবেচনায় বলা যায় সাবিলার বিপদ কেটেছে। দর্শক প্রশংসার পাশাপাশি এ অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নির্মাতা রাফী।

তিনি বলেন, সিনেমাতে সাবিলাকে যখন কাস্ট করা হয় তার প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। এটি এখন দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। নায়িকা হিসেবে সাবিলাও সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

সাবিলা নূর বলেন, সিনেমায় আমি প্রথম। বলা যায়, এর মধ্যদিয়ে বড়পর্দার সবকিছুতেই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। প্রথমে অনেকটা নার্ভাস ছিলাম। হয়তো ধীরে ধীরে সেটি কেটেছে। সিনেমা মুক্তির পর দর্শক প্রতিক্রিয়ার এখন মনে হচ্ছে আমি সত্যিই লাকি।

এদিকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার সিক্যুয়াল বানানোর ঘোষণা এরইমধ্যে দিয়েছেন নির্মাতা। যা সিনেমার শেষে পর্দায়ও দেখা গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিক্যুয়ালেও কি সাবিলা থাকছেন? এছাড়াও সিনেমাটিতে ক্যামিও চরিত্রে বিশেষ উপস্থিতি ছিল সিয়াম আহমেদ ও আফরান নিশোর। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। প্রশ্ন উঠেছে এ চরিত্রগুলোও কি সিক্যুয়ালে থাকবে?

এসব প্রশ্নের উত্তরে নির্মাতা বলেন, হলিউড-বলিউডে যেমন নির্দিষ্ট ঘরানার সিনেমা নিয়ে ‘ইউনিভার্স’ তৈরি হয়, ‘তাণ্ডব-২’তে তেমন একটা কিছু হতে চলেছে। যে ইউনিভার্সের কথা আমরা বলছি, সামনে সেটা নিয়ে আরও বিস্তারিত বলব। সময় আসুক, সবাই জানতে পারবেন।

বাণিজ্যিক সিনেমায় অনবদ্য ফারিণ 

‘ইনসাফ’র মধ্য দিয়ে প্রথমবার বাণিজ্যিক সিনেমার নায়িকা হলেন তাসনিয়া ফারিণ। তবে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত এটি এ অভিনেত্রীর দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে ‘ফাতিমা’ নামে একটি সিনেমা করেছিলেন, যা গত বছরে মুক্তি পায়। তবে প্রথমবার বাণিজ্যিক সিনেমায় অ্যাকশন মুডে ফারিণ যেন অন্যরুপে হাজির হয়েছেন দর্শকদের সামনে। এমন ফারিণকে দেখে মুগ্ধ দর্শক। ঈদের দিন থেকে সিনেপ্লেক্স মাল্টিপ্লেক্স মিলিয়ে ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় সমদ্দার। এতে ফারিণ জুটি বাঁধের শরিফুল রাজের সঙ্গে। সিনেমাটিতে গুরুত্বপুর্ণ এক নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এদিকে প্রথমবার বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় করলেও, বেশ তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ফারিণ।

অভিনেত্রীকে এভাবেই মূল্যায়ন করে নির্মাতা সঞ্জয় বলেন, তাসনিয়া ফারিণ নাটক ও ওটিটি কনটেন্টের পরীক্ষিত অভিনেত্রী। তার অভিনয়ের প্রতি আস্থা ছিল। ইনসাফের চরিত্রটির জন্য তিনি দারুণ পরিশ্রম করেছেন। চরিত্রটির গভীরতাও বেশ। এর জন্য ফারিণ সেরা চয়েস ছিল। যারা সিনেমাটি দেখেছেন সবাই ফারিণের প্রশংসা করেছেন। কারণ, এটি গতানুগতিক নায়িকার চরিত্র নয়।

ফারিণ বলেন, আমি নিজেকে সবসময় ভিন্ন জায়গায় নিতে চেয়েছি। এখন আমার ধ্যান-জ্ঞান সিনেমা। সেই জায়গা থেকে মনে হয়েছে এ সিনেমাটি আমাকে ভিন্ন একটি জায়গা তৈরি করে দিতে সহায়তা করবে। দর্শকদের ভালোবাসায় মনে হয়েছে আমি সঠিক পথেই আছি।

এদিকে সিনেমাটির সিক্যুয়াল নির্মাণের কথা গণমাধ্যমে একাধিকবার বলেছেন করেছেন নির্মাতা সঞ্জয়। এ সিনেমাতেও ক্যামিও চরিত্রে উপস্থিতি ছিল চঞ্চল চৌধুরীর। প্রশ্ন হচ্ছে ফারিণসহ বিশেষ চরিত্রের অতিথী শিল্পীও কি থাকবেন সিক্যুয়ালে? এমন প্রশ্নে নির্মাতা বলেন, “আমাদের আরও বড় পরিকল্পনা আছে ‘ইনসাফ-২’ নিয়ে। এজন্যই এ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর আলাদা লুক ও মোশাররফ করিম-ফারিণদের আলাদাভাবে প্রেজেন্ট করেছি। এদের উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।” এদিকে সাবিলা-ফারিণদের সিক্যুয়ালে থাকার বিষয়টি নিয়ে নির্মাতারা স্পষ্ট করে কিছু না বললেও তাদের মন্তব্য থেকে পজিটিভ ধারণা করা যাচ্ছে দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে। এছাড়াও এ দুই অভিনেত্রী নাটক-ওটিটি কনটেন্টে কাজ করে নিজেদের প্রস্তুত করেই বড়পর্দায় আসছেন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বড়পর্দার দর্শকদের কাছেও গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছেন প্রথম সিনেমা দিয়েই। তাই এবারের ঈদ দুই অভিনেত্রীর কাছে শুধুই উৎসব নয়, স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাবার প্রথম সিঁড়িও বলা যেতে পারে। তবে সিক্যুয়ালের বিষয়ে অভিনেত্রীরা কোনো মন্তব্য করেননি।