বিনোদন

পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে স্টেজ আর সেই স্টেজে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শো এর পাশাপাশি ছিলো নাচ-গানের আয়োজনও।

সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

তবে স্টেজে পবিত্র কাবার আদলে কিছু ছিলো না দাবি করে সৌদি ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ফ্যাশন শো চলাকালীন যেটি দেখা গিয়েছিল সেটি ‘একটি গ্লাস কিউব’।

সৌদি আরবের অ্যান্টি-রিউমার অথরিটি শোতে কাবার ছবি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।কর্তৃপক্ষ জানায়, এটা শুধু একটা গ্লাস কিউব আকৃতির স্ট্রাকচার, যার সঙ্গে কাবা শরিফের কোনো সম্পর্ক নেই।

সৌদি গণমাধ্যম অভিযোগ করছে, এ সমালোচনার পেছনে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।যারা সৌদি আরব ও দেশটির সংস্কার পরিকল্পনাকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে।

সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ শুধু তেলের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে না।বস্তুত, দেশটিতে সামাজিক সংস্কার, বিশেষ করে নারী অধিকারের জন্যও কাজ চলছে।

গত কয়েকদিন ধরে এক্স (সাবেক টুইটার) সহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে রিয়াদের বিনোদন কার্যক্রমকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বেশ কয়েকজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব এই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এবং কিছু পর্যবেক্ষকও এই প্রদর্শনীটিকে ‘শয়তানি’ বলে অভিহিত করেছেন।

নেটিজেনরা রিয়াদের ফ্যাশন শো এবং এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে অনৈতিক বলে বর্ণনা করেছে। এমন কাণ্ডের জন্য সৌদি রাজপরিবার এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানেরও সমালোচনা করছেন।

সিরিয়াভিত্তিক ধর্মীয় নেতা আবদুল রহমান আল-আদ্রিসি দাবি করেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ফ্যাশন শোতে নারীরা এই ‘কাবার মতো আকৃতি’ ঘিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তিনি দাবি করেন, এটা দাজ্জালকে ডেকে আনার জন্য ‘শয়তানি’ কাজ।

পাকিস্তানেও অনেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। মোল্লা হাক্কানি নামের একজন বলেছেন, রিয়াদে ফ্যাশন উইকের অনুষ্ঠানে কাবাকে অপমান করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কাবার মতো জায়গাটি ডিজাইন করেছিল এবং অর্ধনগ্ন নারীদের সেখানে নাচিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে এই ফ্যাশন শো চলাকালীন মূর্তি দেখা যায়।

সৌদি চ্যানেল আল আরাবিয়া টিভি ১৭ নভেম্বর সম্প্রচারের সময় বলেছিল যে সামাজিক মিডিয়ায় ‘অজানা এবং সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো’ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে।

আল-আরাবিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়াদ সিজনের সমালোচনা করে এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল ‘সৌদি সফট পাওয়ার এবং ভিশন ২০৩০ কর্মসূচিকে বিকৃত করা।’

উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরু হওয়া বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকেই অনলাইনে সমালোচনা চলছিল।অনেকে একে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত করে বলেছেন, এত মানুষের মৃত্যুর পরও রিয়াদ এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছে।

তবে আল-আরাবিয়ার সম্প্রচারে সৌদিপন্থি কলামিস্ট আবদুল্লাহ আল-জাদায়াহ বলেছেন, ‘এই সমালোচনার পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুড এবং বিশ্বজুড়ে এর সদস্যরা।’

অনুষ্ঠানে নাচ নিয়ে সমালোচনার কারণ জানতে চাইলে জাদায়াহ বলেন, সব অনুষ্ঠানই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মুখে হাসি ফোটানো।

তিনি বলেন, ইতিহাসে মুসলমানরা যুদ্ধ, শান্তি ও হত্যাকাণ্ড দেখেছে। তার মানে এই নয় যে, জীবন একেবারেই থেমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অভিযান গতকাল শুরু হয়নি, ৭ অক্টোবরও শুরু হয়নি। প্রায় ৮০ বছর ধরে ফিলিস্তিন দখল হয়ে আছে।

জাদায়াহ বলেন, সৌদি আরব একটি ‘বড় পরিবর্তনের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিগত আমলে যারা লাভবান হয়েছেন এবং পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন তারাই মূলত এসব সমালোচনা করছে।

পবিত্র কাবার আদলে তৈরি স্টেজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আল-কায়েদা হচ্ছে প্রথম দল যারা সৌদি আরবকে দুটি (পবিত্র) মসজিদের দেশ হিসেবে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল।পৃথিবীতে এমন কোন বিবেকবান ব্যক্তি আছে যে বলে যে, কোন ঘনক্ষেত্র বা বর্গাকার জিনিস কাবার অবমাননা?

তিনি দাবি করেন, এরা (সমালোচকরা) মাত্র দুটি পবিত্র মসজিদের বিষয়টি তুলে ধরে সৌদি আরবকে বিব্রত করার চেষ্টা করে।

সূত্র: বিবিসি উর্দু

বিনোদন

দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন ছিল দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে সব গুঞ্জনকে ভুল প্রমাণ করে অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন আফ্রিদি। ধারণা করা হয় গত জুলাইয়ের আন্দোলনে নানা বিতর্ক সৃষ্টির পর ঘরোয়া আয়োজনেই চুপিসারে বিয়ে সেরেছেন তিনি।

আফ্রিদির বিয়ের খবর চর্চিত হচ্ছে সবজায়গাতেই। বিভিন্ন সূত্রে তার বিয়ের খবর প্রচারিত হলেও এতোদিন এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। অবশেষে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শ্যালিকা, বউ ও বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

তৌহিদ আফ্রিদি জানালেন, তার কাবিন হয়েছে। পারিবারিক আয়োজনে কাবিন হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরাই তাদের কাবিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আফ্রিদি বলেন, ‘আমি গাড়িতে বসে শুনি গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি! আরে, বিয়ে তো গোপনে করিনি, আমি বিয়ের ছবি আপলোড দেওয়ার আগে আপলোড হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম বাসায় যাব, এরপর সবাইকে বিয়ের খবর জানাব। কিন্তু সে সময় আর কই পেলাম। অনেকেই ছবি পোস্ট করেছে। আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তাআলাই লিখে রাখেন। কার, কখন, কোথায়, কীভাবে বিয়ে হবে, এখানে কারও হাত নেই। আমি আমার মাকে নিয়ে কনে দেখতে গিয়েছিলাম, পরিবারকে নিয়ে দেখতে গেছি, ওখানেই কাবিন হয়ে গেছে।’

তৌহিদের স্ত্রীর নাম রামিসা আল রিসা, তার যমজ বোন রাইসা আল রোজা। শুরুতে খবর ছড়ায়, রাইসাকে বিয়ে করেছেন আফ্রিদি। এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, মানুষ আসলে কনফিউজড হয়ে গেছে, তারা তো যমজ বোন। যমজ বোন হওয়ার কারণে আমার শালিকে (শ্যালিকা) অনেকে আমার ওয়াইফ বলা শুরু করেছে। এসব এক দিক থেকে হাস্যকর লাগে।’

শিগগিরই সবাইকে নিয়ে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘বিয়ে তো একটা দায়িত্ব। সবার কাছে দোয়া চাইব, আমার জীবনটাকে যেন গুছিয়ে রাখতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সব সময় আপনাদের মাঝে এভাবে ভালোবাসা নিয়ে থাকতে পারি। আমি এখন আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভি নিয়ে ব্যস্ত। উপস্থাপনা করছি। ইউটিউব কনটেন্ট বানানোর কাজ করব।’

বিনোদন

মিস ইউনিভার্সের ৭২তম আসরে সেরার মুকুট জিতলেন ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কজেয়ার থেইলভিগ। ২১ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়া একজন প্রতিযোগিতামূলক নৃত্যশিল্পী, উদ্যোক্তা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী আইনজীবী।

মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত বার্ষিক এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১২০ জনেরও বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। ভিক্টোরিয়া মিস ইউনিভার্স মুকুট জিতে ইতিহাস গড়লেন। কারণ তিনি এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ডেনিশ বিজয়ী।

ভিক্টোরিয়াকে মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন মিস নিকারাগুয়া, শেনিস প্যালাসিওস। এবারের আসরে প্রথম রানার আপ হয়েছেন নাইজেরিয়ার চিদিনমা আদেতশিনা। যেখানে দ্বিতীয় রানারআপ হলেন মেক্সিকোর মারিয়া ফার্নান্দা বেলট্রান।

সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের প্রিলিমিনারি ইভেন্টে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই পর্বে এক বর্ণাঢ্য জাতীয় পোশাক প্রদর্শনী অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণকারীরা সাঁতারের পোশাকে প্রদর্শনী করেন। ১২ জন চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়ে তাদের সন্ধ্যার পোশাকে মঞ্চে পা রাখেন।

চূড়ান্ত পাঁচ প্রতিযোগীকে নেতৃত্ব ও স্থিতিস্থাপকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। ‘কেউ যদি আপনাকে বিচার না করে, তবে কীভাবে বাঁচবেন?’ এই প্রশ্নে ভিক্টোরিয়া উত্তর দেন, ‘আমি প্রতিদিনের মতোই বাঁচব। ’

দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যেখান থেকেই আসুন না কেন, লড়াই চালিয়ে যান। আমি এখানে দাঁড়িয়েছি কারণ আমি পরিবর্তন চাই, ইতিহাস গড়তে চাই এবং আজ রাতে আমি সেটাই করছি। ’

মিস ইউনিভার্সের ৭২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২৮ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গর্ভবতী নারী, মা এবং বিবাহিত নারীদের অংশগ্রহণেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। মাল্টার বিয়াট্রিস এনজোয়া, ৪০ বছর বয়সী প্রতিযোগী, চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে এই প্রতিযোগিতার নতুন রেকর্ড গড়েছেন।

ভিক্টোরিয়া কজেয়ার থেইলভিগের এই বিজয় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার জন্য এক যুগান্তকারী মুহূর্ত, যা বৈচিত্র্য, ক্ষমতায়ন এবং আধুনিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বিনোদন

এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিলা ‘লাল গোলাপ’। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হতো।

অনুষ্ঠানটিতে আমন্ত্রিত অতিথিকে একটি লাল গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সেই অনুষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, বিটিভিতে ফের ফিরছে দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘লাল গোলাপ’। দীর্ঘ আট বছর পর ফের লাল গোলাপ হাতে দেখা যাবে শফিক রেহমানকে।

ইতোমধ্যে নাকি দুই পর্বের শুটিংও সেরে ফেলেছেন তিনি।

এসব তথ্য দিয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান নিজেই।

সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমকে প্রবীণ এ সাংবাদিক জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠানটি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যাবে। এরই মধ্যে অনুষ্ঠানটির দুটি পর্ব রেকর্ড করা হয়েছে।

শফিক রেহমান সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন লাল গোলাপ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে। সমসাময়িক দেশি-বিদেশি ঘটনা নিয়ে এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব সাজানো হতো। কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রতিবেদনও থাকতো। পাশাপাশি দেখানো হতো বিভিন্ন সিনেমার অংশবিশেষ।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০২৩ সালের আগস্টে শফিক রেহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৬ সালে তাকে পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের ছয় বছরের প্রবাসজীবন থেকে ১৮ আগস্ট দেশে ফেরেন শফিক রেহমান।

বিনোদন

বেশ কিছু দিন হলো অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা ও অভিনেতা অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেমসম্পর্ক ভেঙেছে। এখন তারা দুজন দুদিকে। মালাইকা অরোরার সঙ্গে প্রায় ছয় বছর সম্পর্কে থাকার পর হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে তাদের। যদিও দুজনের কেউ-ই মুখ খোলেননি। এখন তারা নাকি একে অপরের বন্ধু হয়ে আছেন; কিন্তু সম্পর্কে নেই। কী কারণে সম্পর্কছেদ, সেটি অবশ্য স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে অর্জুন কাপুর এবার কোনো সুন্দরীর প্রেমে নয়, পড়েছেন কোন এক অভিনেতার প্রেমে, জানালেন সে কথা।

এদিকে প্রেমভাঙার পর থেকেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছেন অভিনেতা অর্জুন কাপুর। তবে এবার অর্জুন জানালেন কোনো নারী নয়, বলিপাড়ার এক নায়ককে দেখে প্রায় তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন তিনি। কে সেই হিরো?

সম্প্রতি অর্জুনের ‘সিংহাম অ্যাগেইন’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবির প্রচারে এসে নিজের স্বপ্নের পুরুষের কথা প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। জানান, ২০০৬ সালে হৃতিক রোশনকে বড়পর্দায় দেখে তিনি যেন প্রেমে পড়ে যান! রীতিমতো লালায়িত হয়ে পড়েন!

২০০২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় হৃতিক অভিনীত প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। প্রথম ছবিই হৃতিককে সুপারস্টারের তকমা দিয়েছিল। তারপর বাবা রাকেশ রোশনের পরিচালনায় যে কটি ছবি করেছেন হৃতিক, তার সবকটি সুপার হিট। তবে অন্য পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলেই ব্যর্থতা গ্রাস করেছে তাকে। যদিও হৃতিকের রূপের ছটায় মজেছিলেন তরুণী থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত। ‘গ্রিক দেবতা’র আখ্যা দেওয়া হয় তাকে। ভিন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলেই ব্যর্থতার ফাঁড়া কাটে ‘ধুম ৩’-এ অভিনয় করে। সেই ছবিতে হৃতিকের চেহারা, চুলের ছাঁট সবেতেই অর্জুন এমন মুগ্ধ হন যে, প্রায় প্রেমে পড়ে যান।

অর্জুন বলেন—আসলে ‘ধুম ৩’ দেখার পর আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল। যখন হৃতিককে দেখি মনে হয় দু-চোখ ভরে দেখতেই থাকি। কতবার যে দেখেছি ছবিটি, আমার জীবনের ক্রাশ। এককথায় হৃতিকের রূপের ছটায় অর্জুন যেন আপ্লুত।

বিনোদন

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রোববার (১০ নভেম্বর) শপথ নিয়েছেন তিনি।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার প্রথম অফিস করেন ফারুকী। এর মধ্যে এই নির্মাতাকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। যা নজর এড়ায়নি ফারুকীর। অভিযোগগুলোর প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন ফারুকী। সেই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুুলে ধরা হলো-

প্রিয় ভাই-বোনেরা, ঘুণাক্ষরেও যা আগে ভাবি নাই, এখন আমাকে সেটাই করতে হচ্ছে। যাই হোক শুরু করি। আমি মাত্রই দুই দিন হলো কাজ করছি। এর মধ্যে আমার ধারণা আমার মন্ত্রণালয়ে সহকর্মীদের মাঝে এই ধারণা দিতে পেরেছি যে আমরা কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটাতে চাই যেটা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে আমাদের সংস্কৃতি কর্মীদের কাজে আসবে।

যাই হোক, যদিও আমি কোনও পদ চাই নাই, তবুও দায়িত্বটা নেওয়ার পর আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এর মধ্যে আমাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে এক অবিশ্বাস্য অভিযোগের- আমি নাকি ফ্যাসিস্টের দোসর! যেই ফ্যাসিস্টকে তাড়ানোর জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালাম ১৬ জুলাই থেকে, অল আউট অ্যাটাকে গেলাম এটা জেনে যে ফ্যাসিস্ট হাসিনা টিকে গেলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু অথবা জেল, আমি তারই সহযোগী?

আমি আমার চেয়ারের জন্য কোনো সাফাই দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। কিন্তু শিল্পী হিসাবে অপমানিত বোধ করেছি বলেই কয়টা কথা বলছি।

শাহবাগ আন্দোলন যখন শুরু হয় আর সবার মত আমিও ভেবেছিলাম এটা নির্দলীয়। যে কারণে আমার সব পোস্টে এটাকে ঠেলে “রাষ্ট্র মেরামতে” এজেন্ডার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পরেই যখন বুঝে যাই, তখনই লিখি “কিন্তু এবং যদির খোঁজে”। যে কিন্তু এবং যদি শাহবাগ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে আজকের যে ফ্যাসিবাদের সূচনা করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে লিখি, “এই চেতনা লইয়া আমরা কি করিবো”। ২০১৪ সালে। এই দুইটা লেখার যে কোনো একটা লেখা ছাপা হওয়ার পর বিএনপির শিমুল বিশ্বাস সাহেব ফোন দিয়েছিলেন কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য! আমি কোনো দল করি না। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগ হলে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা আমার লেখায় কি খুঁজে পেলেন যে আমার সঙ্গে পরিচয় না থাকা স্বত্বেও আমার নম্বর জোগাড় করে ফোন দিলেন?

আমি ঘটনাচক্রে একজন পরিচিত মুখ, ভাই ও বোনেরা। একজন লেখক যতোটা স্বাধীন ভাবে লিখতে পারেন, ফ্যাসিবাদের কালে আমার সেই স্বাধীনতা পাওয়ার সুযোগ ছিল না। তার মধ্যেও যতোটুকু করেছি তার ফলও আমাকে ভোগ করতে হয়েছে। ২০১৫ সালে সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন সেলের হেনস্তার শিকার হওয়ার মধ্যে যে দীর্ঘ অত্যাচারের শুরু। সেই বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আমার সিমপ্যাথি পাওয়ার ইচ্ছা এবং প্রয়োজন নাই।

অনেকে বলছে, আমি ভারতীয় হেজেমনির অংশ। যে লোককে বাংলাদেশের কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট ঘৃণা করে আমি কলকাতা কেন্দ্রিক ভাষার হেজেমনি ভেঙ্গে দিয়েছি বলে, সেই কিনা এই হেজেমনির অংশ! আমি পৃথিবীর কোনো দেশেরই ঢালাও নিন্দা করি না। কারণ দেশে নানা চিন্তার মানুষ থাকে। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলতে চাই, কাজ করতে চাই। কিন্তু আমার দেশের ক্ষতি হলে, আমি তার বিরুদ্ধে বলতে কুন্ঠা করি না। ফেলানীর মৃত্যুর পর কি পোস্ট দিয়েছিলাম ২০১৩ সালে সেটা দেখতে পারেন নিচে।

আমার অবস্থানের উপহার হিসাবে ভারতীয় হাই কমিশনে একসময় কর্মরত রঞ্জন মন্ডল নামের এক কর্মকর্তা তার ফেসবুকে পাবলিক পোস্ট দিয়ে বহুবার কি অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেছিল সেটা খোঁজ করে দেখুন। আর সেই আমি পার্ট অব হেজেমনি? আমরা এক অনন্ত ভয়ের ঘরে বাস করে এসেছি। আমরা কথা বলতে ভয় পেতাম। এমন কি কথা বলার সময় ঘরে ফোন থাকলে সরিয়ে ফেলতাম। পাছে আড়ি পাতে। আমার মনে আছে ২০১২ সালে শুধুমাত্র কথা বলার জন্য আমি আর ‘আরিফ আর হোসাইন’ লুকিয়ে আমেরিকান ক্লাবে গিয়ে বসে আলাপ করতাম কিভাবে এই জালিম সরকারকে হটানো যায়। বিএনপি এবং জামাত কিছু করতে পারবে? আর্মির মনোভাব কি? জোনায়েদ সাকির সঙ্গে বাটন ফোনে কথা বলে গোপনে দেখা করতাম আর পরামর্শ করতাম কি করা যায়। সেই আমি আওয়ামী ফ্যাসিজমের পার্ট?

আমি তো কোনো বিপ্লবী নই। ছিলাম না কোনো কালে। আমি ফিল্মমেকার। ঘটনাচক্রে এবং আল্লাহর রহমতে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি আমার সেই পরিচয়েই গর্বিত। আমি মারা গেলে আমাকে ফিল্মমেকার হিসাবেই মনে রাখা হবে, মন্ত্রী হিসাবে না। ফলে মন্ত্রীত্ব আমার কাছে কোনো অর্জন না, পাবলিক সারভেন্টের দায়িত্ব মাত্র। আমি এটা ফাইনালি অ্যাকসেপ্ট করেছি নিজের ফিল্মের বাইরেও আমার দেশকে কিছু দেওয়ার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে- এটা বিশ্বাস করেছি বলে। আমার মনে হয়েছে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে নিজের লাভ-ক্ষতি না ভেবে এই ক্ষমতা দেশের কাজে লাগাই।

সবশেষ এই নির্মাতা লেখেন, লাস্টলি, আই অ্যাম লাভিং মাই জব। বাট আই অ্যাম হেইটিং দ্য ফ্যাক্ট দ্যাট আই হ্যাড টু রাইট দিস!

বিনোদন

বক্স অফিসে সেভাবে সাফল্য দেখাতে পারেনি আলিয়া ভাটের সিনেমা ‘জিগরা’। করণ জোহরের সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছিলেন আলিয়া।

কিন্তু সিনেমা তৈরি করতে যা খরচ হয়েছে, বাজেটের সেই অর্থটুকুও ফেরত পাননি। এতেই নাকি বেশ হতাশ অভিনেত্রী।
শোনা যাচ্ছে, এবার দাক্ষিণে মন দিতে চলেছেন আলিয়া। সেখানকার এক ‘ব্লকবাস্টার’ নির্মাতার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন বলিউডের ‘গাঙ্গুবাই’।

কে এই পরিচালক? নাগ অশ্বিণ। তার পরিচালনাতেই ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়রা। ৬০০ কোটি বাজেটের ‘কল্কি’ চলতি বছরের ২৭ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে সারাবিশ্বে। সিনেমার দ্বিতীয় ভাগের অপেক্ষায় রয়েছেন অনুরাগীরা।

শোনা গিয়েছে, মহিলা কেন্দ্রিক সিনেমা তৈরি করতে চলেছেন নাগ অশ্বিণ। যেখানে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে আলিয়াকে। গল্প কেমন? সে বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি।

তবে সূত্রের বরাদে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে শুটিং শুরু হবে। হায়দরাবাদের প্রযোজনা সংস্থা বৈজন্তী ফিল্ম নাকি সিনেমাটি প্রযোজনা করছে। উল্লেখ্য, এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অশ্বিণের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা দত্ত।

প্রসঙ্গত, ‘জিগরা’র ভরাডুবির পর আলিয়া ও করণকে বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছিল। সিনেমার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ‘ফেক কালেকশন’ দেখানোর অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক দিব্যা খোসলা।

এই ঘটনায় তিক্ততা এই পর্যায়ে গিয়েছে যে রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিম্যাল পার্ক’ সিনেমা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। স্ত্রীর অপমানের জেরেই নাকি ‘অ্যানিম্যাল’র সিক্যুয়েল ‘অ্যানিম্যাল পার্ক’ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা। কারণ অভিনেত্রী-প্রযোজক দিব্যা সিনেমার অন্যতম প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজের মালিক ভূষণ কুমারের স্ত্রী।

বিনোদন

দেশের বরণ্যে অভিনেতা আফজাল হোসেন। নির্মাণ আর অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখিও করেন তিনি।

প্রায় সময় তার লেখায় উঠে আসে নানা ইস্যু। আবার কখনও তিনি মনের কথাগুলো তুলে ধরেন ভক্ত-দর্শকদের কাছে।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি লেখলেন, বাঙালির স্বভাব ও আচরণ নিয়ে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে আফজাল হোসেন লেখেন, আজ-কালকার মানুষেরা নিজেদের বিচারে নিজেরাই ঠিক করে নেয়, কারা ভালো আর মন্দ কারা। শুধুমাত্র নিজের, নিজ গোষ্ঠী ও নিজের স্বার্থের মানুষদের ভালো মনে করে, নিজেদের ভালোই মন দিয়ে চায়। যত দোষ নন্দ ঘোষের মত, অন্যদেরকে খুবই খারাপ ভাবে। ভাবে, তাদের দোষেই দেশ-সমাজ-মানুষ সবই যাচ্ছে রসাতলে।

তিনি লেখেন, অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে একটা জাতি চোখ থাকিতে অন্ধের মতো। তারা যেটা দেখতে চায় সেটা দেখে, যা দেখতে চায় না- দেখে না। তারা বুঝেও নিজ নিজ সুবিধামতো। খুশি হওয়া উচিত হবে না মনে করে খুশি হওয়ার মতো বিষয়েও মুখ বেজার করে থাকে। স্বার্থপর চিন্তা, চরিত্র কারো ভালো ডেকে আনে না।

আফজাল হোসেন আরও লেখেন, পিছন ফিরে তাকালে নিজেদের স্বভাবের মন্দ দিকটা স্পষ্ট দেখা যায়। দেশে বিশেষ হয়ে উঠবার একঘেয়ে ফর্মুলা হচ্ছে- আমি ভালো, তুমি খারাপ। দেশটা স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যারা যারাই শাসনক্ষমতায় এসেছে- টিকিয়ে রেখেছে ওই একটাই ভাব, বিশ্বাস, মন্ত্র- আমি ভালো তুমি খারাপ।

অন্যের প্রতি ঘৃণার করে মুক্তি মেলে না সেকথা উল্লেখ করে আফজাল হোসেন লেখেন, একটা জাতি একজীবনে দেখে যেতে পারল না, আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞা নিয়ে কেউ মানুষের পক্ষ নিয়ে দাঁড়িয়েছে। কালে কালে দেখতে হয়েছে- আমার আপন আর অন্যের পর হও- তাতেই মানুষ তোমার মিলবে মুক্তি। পর হয়ে শত্রু বনে, অন্যদের প্রতি ঘৃণার পাহাড় তৈরি করে মুক্তি মেলে না। শত্রু শত্রু খেলতে খেলতে এখন কে, কাকে বন্ধু বলে ভাবতে পারে মানুষ? কে, কাকে বিশ্বাস করে? দিনভর যদি দেখতে হয় কারো প্রতি কারো শ্রদ্ধা নেই, ভক্তির প্রয়োজন নেই, পরস্পরকে অসম্মান অমর্যাদা করে আত্মসুখ মিলছে- এসবের কোনোটাই কোনো মানুষের অর্জন নয়।

সবশেষে এই অভিনেতা লেখেন, আমরা দেশের, দল বা গোষ্ঠীর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করি কিন্তু মানুষ পরিচয়ের গৌরব কিসে, কিভাবে তা অর্জিত হতে পারে- তা নিয়ে ভাবি না। আমরা জিততে চাই গায়ের জোরে, প্রতিহিংসার তীব্রতা দিয়ে। জিতি। আনন্দ উল্লাস করি কিন্তু জানা হয় না মানুষ থাকছি না কেউ, রোজ হেরে হেরে ভূত হয়ে যাচ্ছি।

বিনোদন

দীর্ঘ আট বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরছেন ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। বিষয়টি জানিয়েছেন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি)-এর সভাপতি ও বেবী নাজনীনের ভাই এনাম সরকার।

তিনি বলেন, আগামী রোববার (১০ নভেম্বর) বেবী নাজনীন দেশে ফিরবেন। এদিন সকাল ১০টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে বাংলাদেশে বেবী নাজনীনের পেশাগত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের শুরু থেকেই। তবে বিভিন্ন দেশের অনুষ্ঠানে বেবী নাজনীনের অবস্থান সবসময়ই উজ্জ্বল ছিল। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন তার সঙ্গীত ক্যারিয়ারের মাঝেও বিএনপির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয়।

গেল সাড়ে চার দর্শকের ক্যারিয়ারে বহু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীত তারকা বেবী নাজনীন। আধুনিক সংগীতের সর্বাধিক সংখ্যক একক, দ্বৈত ও মিশ্র অডিও অ্যালবামের শিল্পী বেবী নাজনীন তার সংগীত জীবনের শুরু থেকেই অডিও মাধ্যম, বেতার, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং দেশ-বিদেশের মঞ্চ মাধ্যম মাতিয়েছেন সমান তালে।

মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে, ওই রংধনু থেকে, পত্রমিতা, এলোমলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল, কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত, দু’চোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পর, আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেলোরে মরার কোকিলে, লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে, প্রিয়তমা, সারা বাংলায় খুঁজি তোমারে, ও বন্ধু তুমি কই কই রে.. এ প্রাণো বুঝি যায় রে…এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে বাংলা গানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছেন উত্তরবঙ্গের দোয়েল খ্যাত এই সংগীত তারকা।

একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেবী নাজনীন তার ক্যারিয়ারে দেশ-বিদেশের অসংখ্য সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন। নিজের অনেক গান তিনি নিজেই রচনা করেছেন। বইয়ের বাজারে তিনটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে তার।

বিনোদন

কালীপূজার রাতে প্রসাদ খাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করেন অভিনেত্রী অঙ্গনা রায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিনেত্রীকে দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই অঙ্গনা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
অভিনেত্রীর মা লাজবন্তী রায়ও মেয়ের অসুস্থতার খবর নিশ্চিত করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে।

হাসপাতাল থেকে অঙ্গনা জানান, কালীপূজার রাতে প্রসাদ খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থবোধ করেন তিনি। বিষক্রিয়ার জেরে শরীরে রক্তচাপও কমে যায়। এমনিতেই তার রক্তচাপ একটু কমই থাকে। তবে এদিন শরীর বেশ দুর্বল হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাকে।

অভিনেত্রীর এমন মন্তব্য, প্রসাদ খাওয়ার ফলে যে এমন মারাত্মক পরিস্থিতি হতে পারে, তেমন ধারণা ছিল না। ডাক্তার বলেছেন, এটা ভীষণই কমন একটা ব্যাপার। আমার পাশের বেডে যিনি রয়েছেন, তিনিও প্রসাদে বিষক্রিয়ার জেরেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় এখন অনেকটাই ভালো রয়েছি। সব ঠিক থাকলে বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাব।

চিকিৎসকের পরামর্শমতো বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরিক্ষাও আপাতত করাতে হবে অঙ্গনা রায়কে। সেগুলো ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।