বিনোদন

১৫ মে পৃথিবীর মায়া ছিন্ন করে পরপারে চলে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিংবদন্তি অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। জীবদ্দশায় ফারুককে নিয়ে ছিল অনেক আলোচনা। তার জীবনের কিছু অজানা অধ্যায় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

দুলু থেকে ফারুক, এরপর মিয়াভাই

বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফারুকের পুরো নাম আকবর হোসেন পাঠান। তার ডাক নাম ছিল দুলু। নায়ক ফারুক হিসাবেই সিনেমায় পরিচিত ছিলেন। মিয়াভাই নামেও তিনি চিত্রপুরিতে পরিচিত ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কীভাবে দুলু থেকে ফারুক হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, চলচ্চিত্র পরিচালক এইচ আকবর ও ফারুক নামের এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি ‘ফারুক’ নামটি ধারণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ছয় দফা আন্দোলনের পর আমি ওয়ান্টেড ছিলাম, যে কারণে নাম দিয়ে দিল ফারুক। ওরা বলল, এ নামে তোমাকে প্রথমে কেউ ধরবে না। দ্বিতীয়ত চলচ্চিত্রের নামগুলো ছোট হলে ভালো হয়, সুন্দর হয়, যেমন রাজ্জাক, উজ্জল, আলমগীর, শাবানা; নাম ছোট হলে ক্যাচি হয়।’ এরপর ফারুক নামেই অভিনয় জগতে তার পথচলা শুরু হয়। তার অভিনীত ‘মিয়াভাই’ নামে একটি সিনেমা বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। ব্যবসাসফলও হয়। সেই সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফারুক। তারপর থেকে বাস্তবে তাকে কেউ কেউ ‘মিয়াভাই’ নামে ডাকতে শুরু করেন।

মামলা থেকে বাঁচতে অভিনয়ে

৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর ৩৭টি মামলা হয় ফারুকের বিরুদ্ধে। এক পর্যায় ফারুক শুনতে পান তাকে মেরে ফেলা হবে। মামলা থেকে রেহাই পেতে ও বেঁচে থাকার জন্য সিদ্ধান্ত নেন তিনি অভিনয়ে যোগ দেবেন। তার ধারণা ছিল অভিনয় করলে মানুষ চিনবে জানবে, এতে তার জনপ্রিয়তা বাড়বে। যার ফলে তার বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে সেটা সহজেই করা যাবে না। সে থেকেই তার অভিনয়ে আসা। এখানেই শেষ নয়। ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে পড়েন আরেক বিপাকে। এ সিনেমার নায়িকা প্রয়াত কবরীকে কেউ জানায়, ফারুক একজন মাস্তান। ভালো ছেলে না। সে জন্য তার সঙ্গে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না কবরী। তবে ফারুক অনেকটা জোর করে বুঝিয়ে শুনিয়ে কবরীকে অভিনয় করতে বাধ্য করেন।

প্রখ্যাতদের সঙ্গে আড্ডা

ফারুকের জন্ম মানিকগঞ্জের ঘিওরের এক গ্রামে হলেও সেখানে বেশি দিন থাকেননি। তিনি বেড়ে উঠেছেন পুরান ঢাকায়। এখানেই তিনি পেয়েছেন পরিচালক এইচ আকবর, এ টি এম শামসুজ্জামান, প্রবীর মিত্রর মতো নির্মাতা-শিল্পীদের। তাদের সঙ্গেই ছিল তাদের চলাফেরা, আড্ডা। সে সময় লালকুঠিতে নাটক প্রদর্শিত হতো। নাটক শেষে শিল্পী, নির্মাতাদের সেখানেই আড্ডা দিতেন ফারুক।

শিল্পীদের জন্য ছিলেন দায়িত্বশীল

অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক। তার নেতৃত্বগুণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেটা তিনি রাজনীতির মাঠেও দেখিয়েছেন। অভিনেত্রী রোজিনার বয়ানে জানা যায়, ঢাকার বারিধারা নামে নতুন একটি আবাসন হলো। সেখানে শিল্পীদের জন্য প্লট বরাদ্দ চলছিল। ফারুক রোজিনাকে ফোন করে বললেন, ‘২৫ হাজার টাকা পাঠা। বারিধারায় প্লট কিনব তোর জন্য।’ রোজিনা বললেন, ‘টাকা তো প্রযোজকদের কাছ থেকে নিতে হবে।’ এরপর ফারুক নিজ উদ্যোগেই প্রযোজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে রোজিনার জন্য প্লটের আবেদন করে দিলেন। কিন্তু সে প্লট পাননি। পরে রোজিনার জন্য উত্তরায় প্লটের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে সেখানেই থাকছেন রোজিনা।

রাজ্জাক-ফারুক দ্বন্দ্ব

সিনেমাপাড়ায় কথিত ছিল নায়করাজ রাজ্জাক ও নায়ক ফারুকে মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। একবার নাকি রাজ্জাক ফারুকের গায়েও হাত তুলেছিলেন। ‘সখী তুমি কার’ সিনেমার মাধ্যমে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তখন নাকি রাজ্জাক এ সিনেমায় ফারুকের অনেক দৃশ্য ফেলে দিতে পরিচালককে চাপ দিয়েছিলেন। যদিও জীবদ্দশায় এক সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘পরিচালক যেটা ভালো মনে করেছেন সেটা করেছেন। আর ফারুকের সঙ্গে আমার বিশেষ কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। প্রফেশনালি যেটা ছিল সেটা সবার মধ্যেই থাকে।’ তবে রাজ্জাক-ফারুক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে ‘পৃথিবী তোমার আমার সিনেমার মাধ্যমে। দ্বন্দ্ব কেটে যাওয়ার পর দুজনার মধ্যে এমন বন্ধুত্ব হয় যে, ফারুক রাজ্জাকের বাসার কাছাকাছি বাসা নেয় এবং রাজ্জাকও প্রায়ই ভোরে ফারুককে ঘুম থেকে ডেকে ফজর নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে নিয়ে যেতেন।

চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে নিঃস্ব ফারুকের পরিবার

ফারুকের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার খরচ বহনের জন্য বিক্রি করতে হয়েছিল প্রায় পনেরো কোটি টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট। রাজধানীর বারিধারায় এ দুটি ফ্ল্যাট কেনার পর একদিনও থাকার সৌভাগ্য হয়নি তার পরিবারের। পাশাপাশি স্বজনদের কাছ থেকেও ধার-দেনা করতে হয়েছিল। ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান গত বছরই এমন তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথে চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল, সে জন্য সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়েছে আমাদের। চিকিৎসকরা যখন ফারুককে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন ওই সময় আমাদের হাত ছিল একেবারে খালি। করোনার কারণে ফ্ল্যাটও বিক্রি করতে পারছিলাম না। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার দেওয়া টাকা দিয়েই আইসিইউর প্রথম মাসের বিল পরিশোধ করেছি।

সিনেমার চরিত্র নিয়ে ফারুকের ক্ষোভ

অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সিনেমায় গ্রামীণ চরিত্রে দেখা গেছে ফারুককে। গ্রামীণ চরিত্রে অনবদ্য হলেও এ ধরনের চরিত্রের প্রতি তার ক্ষোভও ছিল। সেটাও তিনি আরেক সাক্ষাৎকারে বলেছিছেন। তিনি বলেন, ‘যখন দেখা গেল কোনো একটি সিনেমায় আমি গ্রামীণ চরিত্রে ভালো করেছি, সিনেমাটি হিট হয়েছে তখন সবাই আমাকে দিয়ে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগত। হয়েছেও তাই। বিষয়টি নিয়ে আমি খুব বিরক্ত হতাম। চেষ্টা করতাম খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু দিনশেষে প্রযোজক পরিচালকদের ইচ্ছার পাশাপাশি দর্শকদের পছন্দটাকেও প্রাধান্য দিতে হতো।’

শাকিবের নিষেধাজ্ঞা মিটিয়েছিলেন ফারুক

২০১৭ সালে যখন শাকিবকে চলচ্চিত্রের সব সংগঠন কর্তৃক বহিষ্কার করা হয়, তখন এ দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন ফারুক। তিনি চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বাহক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শাকিবের। এক সাংবাদিক ও এক প্রযোজকের ডাকে সাড়া দিয়ে শাকিবকে ক্ষমা করে দেন ফারুকসহ চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের নেতা। তারপর শাকিব আবারও তার কাজ স্বাভাবিকভাবে শুরু করার সুযোগ পান।

কালীগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত অভিনেতা ফারুক

========================================

অবশেষে ৮০৩ দিন পর দেশের মাটিতে এলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিংবদন্তি অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তবে জীবিত নয়, মৃত।

২০২১ সালের ৪ মার্চ সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তার মৃতদেহ নিয়েই দেশের মাটিতে ফিরেছেন স্বজনরা। ১৫ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসে। সেখান থেকে নেওয়া হয় তার উত্তরার বাসভবনে। এরপর সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ফারুককে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীসহ নানা পেশার মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

শহীদ মিনারে শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে লে. কর্নেল সৈয়দ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এম এম নাঈম রহমান।

আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতারা ফারুকের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনসহ নানা রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফারুককে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ফেরদৌস, মিশা সওদাগর, নিপুণ, জায়েদ খানসহ আরও অনেকে।

শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা (সিঙ্গাপুরে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়) শেষে তাকে শেষবারের মতো বিদায় জানান সহকর্মী শিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজক ও কলাকুশলীরা। এরপর চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে ফারুকের তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বিকালে গুলশানের আজাদ মসজিদে তার আরও একটি জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ফারুকের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে। রাত ৯টার পর সেখানকার পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন এই কিংবদন্তি।

বিনোদন

এ সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। নিয়মিত সিনেমায় কাজ করছেন। অভিনয়ের জন্য প্রশংসিতও হচ্ছেন। এবারের ঈদুল ফিতরে তার অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এ সিনেমা, বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

* আপনার অভিনীত ‘আদম’ নামে একটি সিনেমা গত ঈদে মুক্তি পেয়েছে। কেমন দর্শক সাড়া পাচ্ছেন?

** বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছি। ঈদের দিন থেকে এখনো দর্শক আগ্রহ দেখছি। সবাই সিনেমাটিকে সাদরে গ্রহণ করেছে। বেশ ভালো লাগছে।

* অনেকেই বলছেন, এ সিনেমাটি আপনার অভিনীত অন্য সিনেমা থেকে একেবারেই আলাদা…

** এটা ঠিক। এর আগে যে সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেছি, সেগুলো থেকে ‘আদম’-এ আমার চরিত্র এবং গল্প পুরোটাই ভিন্ন ট্র্যাকের। তারপরও দর্শক আমাকে এ সিনেমাতে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। নিজের কাজের প্রতি বেশ আগ্রহ বেড়ে গেল।

* এ সিনেমাতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

** বেশ ভালো ছিল। এ সিনেমাতে আশির দশকের একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আশির দশকের একটি গ্রামের মেয়ে কেমন হতে পারে, সিনেমা দেখে, সেই সময়ের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি। সেই অভিজ্ঞতা চরিত্রের কথা বলার স্টাইল, অঙ্গভঙ্গিতে ব্যবহার করেছি। বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে।

* সিনেমায় অভিনয়ের আগে কোন বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেন?

** আমার কাছে গল্প মুখ্য। ভালো গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে চাই। আমি মনে করি ভালো গল্পই একটি সিনেমাকে হিট করতে পারে। আমি সব সময় শিখি। সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছুই শিখেছি। অভিনয় করতে করতে শিখছি। একজন ভালো অভিনয় শিল্পী হতে চাই, এটাই চাওয়া।

* প্রেক্ষাগৃহে নিশ্চয় সিনেমা দেখতে যান। সরাসরি দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন দেখেন?

** আমার অভিনীত সিনেমা যখন প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যাই প্রায়ই একটা কথা শুনি, আমি অভিনয় করি না। আমি চরিত্র হয়ে উঠি। ন্যাচারাল অভিনয় করি। আমি নিজেকে খুব বেশি ভালো অভিনেত্রী মনে করি না। তবে প্রশংসা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। এবার আদম সিনেমার দর্শকরা লুকের কারণে আমাকে চিনতেই পারেননি।

* নতুন কোনো সিনেমার খবর আছে?

** ‘নূর’ নামে একটি সিনেমার কাজ শেষ। এ সিনেমাটি কুরবানির ঈদে মুক্তি পাবে বলে শুনেছি। এটিও দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। এ ছাড়া আরও কয়েকটি সিনেমার কাজ হাতে আছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে সবাইকে জানাতে চাই।

বিনোদন

এবার ঈদে ‘আদম’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর কোনো সিনেমা মুক্তি পেল ঈদের সময়। তবে এই সিনেমায় তাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়েছে এবং সেই সব কষ্ট সার্থক হয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

নিজের অভিনীত কোনো সিনেমা প্রথমবারের মতো ঈদে মুক্তি পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে ঐশী বলেন, ‘অন্য রকম এক অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ঈদে নিজের সিনেমা মুক্তি পেলে অবশ্যই ভালো লাগে। একজন শিল্পী অপেক্ষায় থাকেন এ ধরনের উৎসবে সিনেমা মুক্তির।’

দর্শক সাড়া কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভালো। আগে অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় দর্শক আমাকে দেখেছেন। সাড়াও মিলেছিল। আদম সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রটি অজপাড়াগাঁয়ের এক মেয়ের। সিনেমাটি নিয়ে অনেকের মুখেই প্রশংসা শুনেছি। এতেই বোঝা যায়, গ্রামীণ গল্পের সিনেমাতেও আমাকে দর্শক গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমি যে কটি কাজ করেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে কষ্ট করেছি ‘আদম’-এ। দর্শক দেখছেন বলে আমার সব কষ্ট সার্থক হয়েছে।

বিনোদন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে বছরের সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কৃত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন। সোমবার পরীমনির হাতে সেরা পুরস্কার তুলে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম এবং টালিপাড়ার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

আনন্দবাজার পত্রিকাটি প্রতি বছরই দুই বাংলার শোবিজকর্মীদের মধ্যে থেকে বছরের সেরা তারকা নির্বাচনের পাশাপাশি তাদের পুরস্কৃতও করে থাকে।

পুরস্কার পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে পরীমনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে পরীমনি লেখেন, এটা সত্যিই আমার জন্য একটি সম্মান এবং মর্যাদাপূর্ণ অর্জন। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, দর্শক ভক্ত এবং অনুসারী যারা রয়েছেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে। আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
পরীমনি আরও লেখেন, আনন্দবাজার অনলাইনকে ধন্যবাদ। আপনাদের আতিথেয়তা মনে থাকবে আমার। প্রিয় কলকাতা আমি তোমাকে ভালোবাসি।

বিনোদন

ঈদের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা। তেমনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ঈদের শুভেচ্ছা অভিনেত্রী জয়া আহসান।

তবে তার শুভেচ্ছায় ছিল— বিশ্বব্যাপী কোভিড ও সম্প্রতি দেশের মার্কেটগুলো অগ্নিকাণ্ডসহ মানুষের দুর্বিসহ সময় কাটিয়ে উঠার প্রেরণা।

ঈদের দিন শনিবার বিকালে ফেসবুকে নিজের হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেন তিনি।

সেখানে ক্যাপশনে লেখেন, ‘গেল কয়েকটা বছর বড় দুঃখের সময় পার করে করে ঈদ আসছে। আমরা পার করে এসেছি কোভিড, বিরাণ সময়। এরপর সারা পৃথিবীতে কী ভীষণ আর্থিক চাপ এল। আর তার মধ্যেই একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হলো কত শত পরিবার। এসব গভীর দুঃখের মধ্যেই এসেছে ঈদের চাঁদ। এসে যেন বলছে, আমি তোমাদের সবার। তোমরাও প্রত্যেকে সবার হয়ে ওঠো।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এবার আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছে আমার ছোট ভাই অদিত। বহুদিন পর ঈদের সময়টাতে আমরা এক হয়ে থাকব। সবার সঙ্গে সবাই জড়াজড়ি করে থাকার মধ্যে যে অপার শান্তি, এবারের ঈদের সেটাই পরম প্রাপ্তি।

‘ঈদ আপনাদের জীবন যার যার মতো করে ভরিয়ে তুলুক। ঈদ মোবারক!’

বিনোদন

শাহরুখের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বন্ধুত্ব যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে, সেই কথা নাকি অভিনেত্রী তার কাছের বান্ধবীদের জানিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই নাকি নীলম সব জানতে পারেন।

শাহরুখ খান নিজের কাজ এবং পরিবার নিয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন। বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি। তবুও বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাসের সঙ্গে অভিনেতার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় যে চর্চা শুরু হয়েছিল, তা সহজে থামেনি।

২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডন’ ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে প্রথম অভিনয় করতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কাকে। ছবির প্রচারে হোক বা বলিপাড়ার অন্যান্য অনুষ্ঠানে- দুই তারকাকে অধিকাংশ সময় একসঙ্গে দেখা যেত। তাদের গভীর বন্ধুত্বের ছিটেফোঁটা ধরা পড়ত পাপারাজ্জিদের ক্যামেরার লেন্সেও। কিন্তু তাদের পরকীয়া সম্পর্কের কথা রটিয়েছিলেন বলিপাড়ারই এক অভিনেত্রী।

শাহরুখ এবং গৌরীর বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান হলে সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতেন বলি অভিনেত্রী নীলম কোঠারি। গৌরীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন নীলম। প্রিয়াঙ্কার দাবি, নীলমই তার সঙ্গে শাহরুখের পরকীয়া সম্পর্কের ভুয়া খবর ছড়িয়েছিলেন।

বলিপাড়া সূত্রে খবর, শাহরুখের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বন্ধুত্ব যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে, সেই কথা নাকি অভিনেত্রী তার কাছের বান্ধবীদের জানিয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো যোগসূত্র ছিল নীলমের। এ কান ও কান ঘুরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে শাহরুখের বিশেষ বন্ধুত্বের কথা নীলমের কানে আসে।

কানাঘুষো শোনা যায়, টরেন্টোয় গিয়ে মধ্যরাতে শাহরুখ এবং প্রিয়াঙ্কা গোপনে বিয়ে করেছিলেন। নীলমই শাহরুখ এবং প্রিয়াঙ্কার পরকীয়ার কথা গৌরীকে জানিয়েছিলেন। তারপরই শাহরুখ এবং গৌরীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।

২০১২ সালে করণ জোহরের বাড়ির এক অনুষ্ঠানে বলিপাড়ার সমস্ত নক্ষত্র হাজির ছিলেন। অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রিত ছিলেন শাহরুখ, গৌরী, প্রিয়াঙ্কাও। সেই অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কার আগে সস্ত্রীক শাহরুখ পৌঁছেছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা পৌঁছতেই শাহরুখ অভিনেত্রীকে আপ্যায়ন করতে চলে যান। প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে তার গালে সৌজন্যের খাতিরে চুমু এঁকে দেন শাহরুখ। পুরো ঘটনাটি গৌরীর নজরে পড়ে।

অনুষ্ঠানে শাহরুখের আচরণ দেখে গৌরী ক্ষুব্ধ হয়ে যান। বলিপাড়া সূত্রে খবর, তারপরই শাহরুখের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন গৌরী। গৌরী বলিউডের প্রযোজক এবং পরিচালকদের বলেছিলেন যে প্রিয়াঙ্কাকে যেন কোনো কাজ দেওয়া না হয়।

কানাঘুষো শোনা যায় যে শাহরুখকেও প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কাজ করতে মানা করেছিলেন গৌরী। তারপর আর দুই তারকাকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।

২০১২ সালেই নীলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন প্রিয়াঙ্কা। দাবি করেন, শাহরুখের সঙ্গে তার পরকীয়ার ভুয়া খবর রটিয়েছেন তিনি। নীলম যদিও প্রিয়াঙ্কার দাবি অস্বীকার করেন।

নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে নীলম লেখেন- মিথ্যা কথা রটানোর যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা জানার পর আমার কী করা উচিত বুঝতে পারছি না।

নীলম টুইটারে লিখে জানান যে, বহু বছর ধরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন; কিন্তু তার ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার কোন বিতর্কে নাম জড়িয়েছে।

কানাঘুষো শোনা যায় যে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে নীলমের এ বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এমনকি একে অপরকে গালমন্দও করেন দুই অভিনেত্রী। এ বিষয়ে নীলমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অস্বীকার করেন।

নীলম জানান যে, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কোনো ঝামেলা হয়নি তাদের মধ্যে। শাহরুখ এবং প্রিয়াঙ্কা সম্পর্কে কোনো কথাই ছড়াননি তিনি।

নীলম বলেন, গৌরী আমার খুব ভালো বান্ধবী। আমি কেন অকারণে আমার বান্ধবীর স্বামী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করতে যাব?

ধীরে ধীরে হিন্দি ফিল্ম জগতে প্রিয়াঙ্কার কাজ পাওয়া কমে আসে। বলিউডের দিকে ঝুঁকতে থাকেন তিনি। সম্প্রতি স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে ভারতে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা। ‘সিটাডেল’ ওয়েব সিরিজের প্রচারের কাজে ব্যস্ত তিনি।

বিনোদন

ঈদের জন্য নির্মিত একটি নাটকে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী নিলয় আলমগীর ও সামিরা খান মাহি। নাটকের নাম ‘চাঁদের গায়ে চাঁদ’। এটি রচনা করেছেন ফেরদৌস হাসান। পরিচালনা করেছেন এস আর মজমুদার। এরইমধ্যে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যধারনের কাজ শেষ হয়েছে।

এতে অভিনয় প্রসঙ্গে নিলয় আলমগীর বলেন, ‘নাটকটির গল্প যেহেতু শ্রদ্ধেয় ফেরদৌস হাসান রানা ভাইয়ের, তাই এতে বেশ আগ্রহ নিয়ে আমি অভিনয় করেছি। রানা ভাই সবসময় গল্প সহজভাবেই বলার চেষ্টা করেছেন। কমেডি ঘরানার গল্পের নাটক এটি। নির্মাতাও বেশ যত্ন নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন। আর মাহি ন্যাচারাল অ্যাকিক্টং করে। আগেও তার সঙ্গে কাজ করেছি। আশা করছি এ নাটকটিও দর্শক গ্রহণ করবেন।’

মাহি বলেন, ‘নিলয় ভাইয়ের সঙ্গে এর আগেও আমি বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। সেগুলো দর্শকের ভালো লেগেছে। আমি আশাবাদী আমাদের নতুন এই নাটকটি নিয়ে।’ নাটকটি ঈদ উপলক্ষ্যে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে।

উল্লেখ্য, নিলয় ও মাহি এর আগে জুটি বেঁধে ‘এক সাথে’, ‘ভুল করেছি প্রেম করেছি’, ‘যেমন জামাই তেমন বউ’, ‘সাইড ক্যারেক্টার’, ‘ক্যাপ’, ‘পেইনফুল গার্লফ্রেন্ড’, ‘মাস্তান নাম্বার ওয়ান’, ‘কানার হাটবাজার’ শিরোনামের নাটকে অভিনয় করেছেন।

বিনোদন

সাদিয়া জাহান প্রভা একজন বাংলাদেশি মডেল এবং ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মিডিয়া জগতে তার আগমন ঘটে মডেলিংয়ের মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনে কাজ করার পর তিনি কয়েকটি খণ্ডনাটকে অভিনয় করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি।

ব্যক্তিগত কেলেংকারির জন্য কিছু সময় কর্মজীবনের ভাটা পড়ে তার।

ভিডিও স্ক্যান্ডাল নিয়ে যথেষ্ট খেসারত দিতে হয়েছে তাকে। মানসিকভাবে শক্ত থাকার কারণে হারিয়ে যাননি অভিনয় জগৎ থেকে। ফিরে এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে।

তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ১২ বছর আগে ভাইরাল হয়। এ ব্যাপারে এবার নতুন করে মুখ খুললেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রভা। এ নিয়ে রোববার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে দীর্ঘ এক পোস্ট দেন তিনি। পাঠকদের উদ্দেশ্যে এটি তুলে ধরা হলো।

প্রভা বলেছেন- ‘সাবেক গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ডের কোনো অন্তরঙ্গ বিষয় ফাঁস করা অপরাধ। যেমনটা অ্যাসিড নিক্ষেপ করা অপরাধ; কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া কোনো অপরাধ নয়।’

প্রভা বলেন, ‘কেউ যদি আপনাকে হতাশ করে তাহলে তার প্রতি হিংস্র হতে পারেন না আপনি, এটা একটা অপরাধ।’

অন্তরঙ্গ সেই ভিডিওটি ১২ বছর আগের; কিন্তু এটি জনসাধারণের বিনোদনের জন্য ছিল না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বোকা ছিলাম তাই দৃশ্যধারণের অনুমতি দিয়েছিলাম (যদিও তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন); কিন্তু তার অর্থ এই নয় আমি একজন … স্টার।’

প্রভা বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী এবং এটি আমার একমাত্র পেশা। সেই বোকামির জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছি আমি।’

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরও বলেন, কিছু মানুষকে ধন্যবাদ, যারা আমাকে পরিত্যাগ না করে সম্মান করে। তারা আমার প্রশংসা করে। আমার মতো অধিকাংশ মানুষ আত্মহত্যা করে শুধু এই বিচারমূলক সমাজকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। এ সমাজ ভন্ডে পরিপূর্ণ। তারা নিজেদের জন্য কাজ করে এবং তারপরও অন্যদের বিচার করে।

প্রভা বলেন, ‘কিন্তু আমি একজন যোদ্ধা এবং নিজেকে নিয়ে খুব গর্বিত। এই বেকুব বিচার, ভন্ডামি ও দ্বৈতমানের সমাজ আমাকে আটকাতে পারবে না। ধারণা কী? আমি আসলে অনেক মানুষ দ্বারা অনুপ্রাণিত যে, কিভাবে জীবনকে পরিপূর্ণভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হয় এবং কখনই হাল ছাড়ি না।’

সবশেষ প্রভা বলেন, ‘যারা সাইবার বুলিং করে তারা খুবই সস্তা, অশিক্ষিত (যদিও তারা শিক্ষিত)। তাদের নিজের প্রচুর নোংরামো রয়েছে যা তারা ম্যানেজ করতে পারে না। এ কারণে অন্য লোকদের ধমক দিতে শুরু করে।’

বিনোদন

ওমরাহ পালন করতে গিয়েছিলেন বিগ বসের মাধ্যমে তারকা খ্যাতি পাওয়া অভিনেত্রী হিনা খান। সেখানে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার দেওয়া যেন কাল হয়েছে অভিনেত্রীর।

সৌদি আরব সফরের সময় মদিনায় ফটোশুটের জন্য কঠোর সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।  সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ট্রল হচ্ছে।  তবে এসবের জবাব দেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ট্রলকারীদের জবাব দিয়েছেন। হিনা লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে এমনটা ঘটছে।  যখন আমি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তখন আমি দেড় দিনে তিনটি ওমরাহ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যা বাস্তবিক এবং শারীরিকভাবে সম্ভব ছিল না।

তিনি বলেন, আমি ভুল ধারণা পোষণ করেছি এবং ভুল হিসাব করেছি। বুঝতে পারিনি যে, পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ করার জন্য আমার প্রথমে মদিনা এবং পরে মক্কায় যাওয়া উচিত। আমি ঠিক উল্টোটা করেছি (যদিও কোনো অভিযোগ নেই)। আমি সত্যিই মদীনা শরীফে আমার সময় ও রোজা উপভোগ করেছি।

এর আগে তাকে নিয়ে ট্রল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কারণ রমজান শুরুর আগেই মক্কায় পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেন সোশ্যালে। ছবিগুলোয় তাকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে পোজ দিতে দেখা যায়। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট অনুরাগীরা।

কেউ মন্তব্য করেছেন, এ কারণেই ওমরাহ করতে গিয়েছেন? আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, এটা কি বিজনেস ট্রিপ? যে পূণ্যের জন্য গিয়েছেন তা আদৌ মিলবে তো?

বিনোদন

তারকাদের মাঝে মাঝেই দেখা যায় নিজের জীবনের কালো অধ্যায়গুলো সামনে আনতে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন ‘টাইটানিক’ খ্যাত তারকা কেট উইন্সলেট। সবার মতো এই অভিনেত্রীর জীবনেও আছে কালো অধ্যায়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, একটা সময় সিনেমা থেকে সরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল তার। যে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য তার এমন খ্যাতি, তা একটা সময় ছেড়ে দেবেন এমন পরিস্থিতি ছিল তার জন্য ভীষণ কষ্টের।

১৯৯৭ সালে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করা টাইটানিক সিনেমা মুক্তির পরই তার জীবন বদলে যেতে শুরু করে। পেয়ে যান তুমুল জনপ্রিয়তা। সেই সূত্র ধরে সে সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় নির্মাতা জিম থ্রিপলেটনের। সে পরিচয় থেকে পরিণয়, তার পর বিয়ে। কিন্তু এর পর অন্ধকার জীবনে পা দেন কেট উইন্সলেট।

সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সেই খারাপ সময় কখনও ভুলতে পারব না। জিম (সাবেক স্বামী) আমার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছ থেকে আমাকে আলাদা করে দিয়েছিল সে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমার কোনো কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব এলে জিম সেগুলো আমাকে করতে বারণ করত। সে কখনোই চাইতো না আমি বিখ্যাত হই। তার ভয়ঙ্কর ইগো সমস্য ছিল। স্ত্রী তার স্বামীর চাইতে বিখ্যাত হবে, তা কখনও মানতে চাইত না জিম।’

তবে এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন সম্পর্ক অবশ্য খুব বেশিদিন টেনে নেননি কেট উইন্সলেট। ২০০১ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ক্যারিয়ার বাঁচাতে বিচ্ছেদের মতো কঠিন পথে হাঁটতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি উইন্সলেট। এর পর ২০০৩ সালে পরিচালক স্যাম মেন্ডেজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কেট। ২০১০ সালে কেট-মেন্ডেজ সম্পর্কেরও ইতি ঘটে। তারপর বর্তমান স্বামী নেড রকনরোলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন কেট উইন্সলেট। ২০১২ সালে বিয়ে করা কেটের এটি তৃতীয় বিয়ে হলেও নেডের দ্বিতীয় বিয়ে।