বিনোদন

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খানকে কেন্দ্র করে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্ব অনেক আগে থেকেই। তবে সেটি সাম্প্রতিক সময়ে সক্রিয় হচ্ছে। বেশ কিছু দিন ধরে শোবিজে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চিত্রনায়ক শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ এবং অপুর ‘লাল শাড়ি’ সিনেমার প্রচারণা করতে দেখা যায় একে অপরের। তা হলে কি সকল মান-অভিমান ভুলে শাকিব-অপুর সম্পর্ক আবার জোড়া লাগছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ঠিক তখনই নতুন খবর আসে যে, ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা আমেরিকায় মুক্তি পাওয়ায় সেখানে উড়াল দেন শাকিব খান। সেখানে যাওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর ছেলে জয়কে নিয়ে আমেরিকা যান অপু বিশ্বাস।

এর পর শাকিব-অপুর নিউইয়র্কে একসঙ্গে রাস্তায় দেখা হওয়া প্রসঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে। পাশাপাশি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এর পর একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও দেখা যায় তাদের। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শাকিব-অপুর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়েই বিভিন্ন আলোচনার মধ্যেই, বুবলীর প্রসঙ্গ উঠে আসে। গুঞ্জন শোনা যায়, আমেরিকার উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন তিনি। যেখানে অবস্থান করছেন তার স্বামী শাকিব খান।

এসব গুঞ্জনের মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক পেজে নিজের একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে বুবলী লিখেছেন, ‘আমার রাজপুত্রের সঙ্গে আমার সুন্দর পৃথিবী।’

বুবলীর স্ট্যাটাসের একদিন পর বুধবার (১৯ জুলাই) নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সেন্ট্রাল বুকিং থেকে নিজের ফেসবুক পেজে ছেলে জয়ের দুটি ছবি পোস্ট করেন অপু বিশ্বাস, ক্যাপশনে লেখেন— ‘আমার প্রিয় স্থান তোমার আলিঙ্গনে।’

অপুর এ পোস্ট নজর কেড়েছে ভক্ত-অনুরাগীদের। সেখানে নেটিজেনরা অপু বিশ্বাসের ছেলেকে নানা রিঅ্যাকশন এবং মন্তব্যে ভাসাচ্ছেন। আবার অনেক নেটিজেন কেউ কেউ শবনম বুবলীর পক্ষেও কথা বলছেন।

বিনোদন

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অভিনীত সিনেমা ‘মায়া’ চলতি মাসেই টালিউডের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শক ও সমালোচক মহলে। এবার এই অভিনেত্রী শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন।

টালিউড নির্মাতা শুভ্রজিৎ মিত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’কে বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন। এটা অবশ্য পুরনো খবর। তবে নতুন খবর হলো- সিনেমাটির সংলাপ কোচ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন মিথিলা। টালিউডের ‘মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি’ খ্যাত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়দের ভাষা শেখাবেন এই অভিনেত্রী।

নির্মাতা শুভ্রজিৎ মিত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমায় একেবারে প্রাচীন ভাষা তুলে আনলে সেটা সিনেম্যাটিক হবে না। তাই আমরা একটা মধ্যমপন্থা নেওয়ার কথা ভেবেছি। যেহেতু রংপুর থেকে এই গল্পটা শুরু হয়ে ক্রমশ বৃহত্তর বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে, তাই পূর্ববঙ্গের ভাষার পাশাপাশি পশ্চিমের ভাষাও রাখতে হবে। সেজন্য পূর্ববঙ্গীয় ভাষা সংক্রান্ত ওয়ার্কশপ করাচ্ছেন মিথিলা এবং অন্যান্য তালিম দিচ্ছেন সোহাগ সেন।

এ বিষয়ে মিথিলা বলছেন, ছবিটার মূল পটভূমি হলো ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন। যা শুরু হয় বাংলাদেশের রংপুর থেকে। এর পর সেটা গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই সুবাদে সিনেমার বেশ কিছু চরিত্র বাংলাদেশের আঞ্চলিক টোনে কথা বলবে। সেই চরিত্রগুলোর জন্য সংলাপ লেখা এবং শিল্পীদের উচ্চারণ অনুশীলন করানোই আমার মূল কাজ।

তিনি জানান, এখন চিত্রনাট্য লেখা চলছে, আমি ভয়েস ক্লিপ দিয়ে ইনপুট দিচ্ছি। অক্টোবর নাগাদ সরাসরি ওয়ার্কশপ করব। কাজটি করার সুযোগ পেয়ে আমার ভালোই লাগছে।

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ধরা দেবেন ভবানী পাঠকের চরিত্রে। ছবিটি বাংলা ছাড়া আরও ছয়টি ভাষায় নির্মিত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে টালিউডের সবচেয়ে বড় বাজেটের এই সিনেমা।

বিনোদন

কিছু দিন ধরেই গুঞ্জন চলছে— দাম্পত্য বিচ্ছেদ ভুলে আবারও এক হচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এ নিয়ে শাকিবের কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও সংবাদমাধ্যমে দেওয়া অপুর বেশ কিছু সাক্ষাৎকার সেই গুঞ্জনকে আরও উসকে দিয়েছে। এবার সেই গুঞ্জন আরও জোরালো হলো দুজনকে একসঙ্গে দেখে।

এ মুহূর্তে শাকিব-অপু দুজনেই রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলো— দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে নিউইয়র্কের রাস্তায়; এমনটিই দাবি করেছে দেশের একটি জাতীয় দৈনিক।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, নিউইয়র্কে শাকিব-অপুর ঘোরাঘুরির একটি ভিডিও ক্লিপ এসেছে তাদের হাতে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ ফুরফুরে মেজাজে গাড়ি চালাচ্ছেন শাকিব। ঠিক তার পাশের আসনে বসে আছেন অপু। আর পেছনের আসনে বসা তাদের সন্তান আব্রাম খান জয়।

গত ২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন শাকিব। এদিকে শাকিবের যাওয়ার ঠিক দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৩ জুলাই রাতে ছেলে জয়কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান অপু। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেছেন অপু।

নিউইয়র্কের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়সহ সেখানে পৌঁছান অপু। স্থানীয় সময় সেদিন রাতে এবং গতকাল (শুক্রবার) শাকিব-অপু এবং তাদের সন্তান জয়কে একসঙ্গে নানা জায়গায় ঘুরতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, হঠাৎ করেই ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে শাকিবের সঙ্গে নিজের গোপন বিয়ে ও সন্তানের খবর জানান অপু।

সেখান থেকেই জনসমক্ষে আসে যে, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে হয় তাদের। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে জন্ম হয় শাকিব-অপুর ছেলে জয়ের। সেই সময় টেলিভিশনের পর্দায় সন্তান কোলে অপুর কান্নার ছবি দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে। পরে দুজনের দ্বন্দ্বে বিচ্ছেদ ঘটে।

বিনোদন

একাধারে গায়িকা ও লেখিকা সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি। ১৯৯৪ সালে শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিনয় করেন ‘কাভি হাঁ কাভি না’ সিনেমায়।

সেই সুচিত্রা আবারও নতুন করে খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন পরিচালকের কু-প্রস্তাবের বিষয়ে।
এনডিটিভিসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুচিত্রা জানিয়েছেন, একবার এক নামী পরিচালক তার সঙ্গে হোটেলে রাত কাটাতে চেয়েছিলেন। সেসময় তিনি এতোই ছোট যে পরিচালকের কু-প্রস্তাব বুঝতে পারেননি।

তার কথায়, সেসময় ওসব ঘটনা ছিল খুব সাধারণ। তবে আজকাল সামাজিকমাধ্যমের কারণে এমন ঘটনা বেশি উঠে আসে। আগের দিনে প্রকাশ পেত কম। এখনতো সবকিছু বেশ উন্নত, সাজানো-গোছানো।

সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ওই পরিচালক-প্রযোজক আমাকে হোটেলে ডাকেন। জিজ্ঞাসা করেন, বাবা না-কি মা, কে বেশি কাছের? বললাম, বাবা। উনি আমাকে খুব ভালোবাসেন, স্নেহ করেন।

উনি বললেন, তাহলে বাবাকে ফোন করো। এখনই বলো আমি তোমায় কাল সকালে বাড়িতে রেখে আসব। বললাম, ঠিক বুঝতে পারলাম না। তখন উনি বললেন, তোমার সঙ্গে একটু সময় কাটাবো। আমি তখন ভাবছি, সকাল পর্যন্ত কী করবো এর সঙ্গে? তখন বাজে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা। ভয়ে কেঁদে ফেললাম। জিনিসপত্র নিয়ে আসার কথা বলে সেখান থেকে পালালাম।

সবশেষ ২০১৯ সালে অভিনয়ে দেখা গিয়েছিল সুচিত্রাকে। ওই সময় তিনি অভিনয় করেছিলেন ‘অড কাপল’ সিনেমায়। এতে আরও অভিনয় করেন দিব্যেন্দু, বিজয় রাজ, প্রণতি রাই প্রকাশ, মনোজ পাহওয়া, সুমিত গুলাটিসহ অনেকে।

বিনোদন

শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে সিডনির অপেরা হাউসের আদলে শেখ হাসিনা আধুনিক অপেরা হাউস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

তিনি বলেন, সিডনির অপেরা হাউসের আদলে শেখ হাসিনা আধুনিক অপেরা হাউস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাংলাদেশে করতে চাই।

ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অপেরা হাউসের সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকার হাতিরঝিলে। কিন্তু সেখানকার যে জনবসতি ও যানবাহন সেখানে এটি সামঞ্জস্য হচ্ছে না। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা চিফ হুইপের সাহায্য চেয়েছি। সেই মোতাবেক আমরা বৃহস্পতিবার শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় পরিদর্শনে এসেছি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে এ প্রকল্পের জন্য শিবচরের সন্ন্যাসীর চর এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের কাছে এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন জায়গাটি অপেরা হাউসের জন্য একটি অসাধারণ জায়গা মনে হয়েছে। যে বিশাল জায়গা প্রয়োজন সেটা এখানে আছে।

কে এম খালিদ আরও বলেন, অপেরা হাউস দৃষ্টিনন্দন করতে জলাভূমি লাগে। এখানে আড়িয়াল খাঁ নদ রয়েছে। এই নদীতে জোয়ারভাটা হয়। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবকিছু থাকবে এখানে। যেহেতু চিফ হুইপ মহোদয় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অনুমোদন চাইব। খুব দ্রুত সমীক্ষা করে এই সরকারের মেয়াদকালেই নকশার কাজ সম্পন্ন করব।

প্রকল্পটি রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের পরিবর্তে মাদারীপুর জেলার শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদ ও এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন স্থানে হবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এসময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, এই এলাকাটি পদ্মা সেতুর পরেই আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ের সুন্দর একটি এলাকা। অনেক প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী এখানে দিয়েছেন। এই প্রকল্পটি আমরা স্পোর্টস সিটির পাশেই করার চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের কাজও এগিয়ে নিচ্ছি। সুন্দর পরিবেশের জন্য এটিই উপযুক্ত স্থান। রেল স্টেশনের পাশেই এটি নির্মিত হলে মানুষ অনেক সুবিধা পাবে। মন্ত্রী মহোদয় এ এলাকা পছন্দ করেছেন আমরা এ জায়গা দিতে প্রস্তুত আছি।

অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম ,উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মোল্লা প্রমুখ।

বিনোদন

বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালানকে দেখে লোকজন বাঙালি ভাবেন! সম্প্রতি এমনটাই জানালেন এই অভিনেত্রী। এর পেছনে অবশ্য যথেষ্ঠ কারণও রয়েছে।

সেটি হচ্ছে- বিদ্যা বালানের পথ চলা শুরু হয়েছিল বাংলা সিনেমা ‘ভালো থেকো’র মাধ্যমে।
এরপর ২০০৫ সালে তিনি বলিউডে নাম লেখান, তাও আবার কিনা শরৎচন্দ্রের ‘পরিণীতা’ গল্পের প্রেক্ষাপটে তৈরি একই নামের সিনেমা দিয়ে। ফলে সেখানেও তাকে বাঙালির চরিত্রে দেখা গেছে। এছাড়া ‘কাহানি’ সিনেমা তো আছেই। ফলে একাধিক বাঙালি চরিত্রে অভিনয় করার দরুণ তাকে অনেকেই বাঙালি বলে ভুল করেন।

বম্বে জার্নিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান জানান, আজও তাকে অনেকেই বাঙালি মনে করেন যেখানে তিনি আদতে একজন দক্ষিণ ভারতীয়।

অভিনেত্রী তার সাক্ষাৎকারে বলেন, অধিকাংশ লোকজন আমায় বাঙালি মনে করেন। তারা আমার সঙ্গে বাংলা ভাষাতেই কথা বলেন। আমি বাংলা ভাষাটা জানি বলে বলতে বা বুঝতে পারি। কিন্তু আমার পরিবার মাঝে মধ্যে হতবাক হয়ে যায় বিষয়টা দেখে।

তিনি আরও বলেন, আমাকে কেউ ভিদ্যা বললে আমি তাদের -বিদ্যা দিদি বলতে বলি।

সঞ্চালক তার সঙ্গে মশকরা করে বাংলায় কথা বললে অভিনেত্রী সেই কথার উত্তর ভাঙা ভাঙা বাংলাতেই দেন। বলেন, আমি মন থেকে বাঙালি।

তবে আপনি জানেন কি এই দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী যতই ভালো বাংলা বলুন না কেন তার পছন্দের খাবার কী? তিনি দক্ষিণী খাবার খেতেই পছন্দ করেন।

অভিনেত্রীর কথায়, সব থেকে সেরা দক্ষিণ ভারতীয় খাবার আমার বাড়িতেই পাওয়া যায়। আমি বাইরের দক্ষিণ ভারতীয় খাবার একদম খেতে পারি না। কত কত সোডা দিয়ে দেয়, বাপ রে! ইডলি, ধোসার মতো ভালো জল-খাবার হয় না।

সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান জানান, তিনি দক্ষিণ ভারতীয় বিয়ে বাড়িতে যান কেবল সেখানকার খাবারের জন্য। অভিনেত্রীর কথায়, দক্ষিণ ভারতীয় কারও বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেলেই জলখাবার খেতে চলে যেতাম। জলখাবারটাই এতো ভালো হয় এসব জায়গায় যে লাঞ্চ বা ডিনার কিছুই আর করার প্রয়োজন হয় না।

তার পছন্দের জলখাবারের মধ্যে পাইনাপেল কেশরী, ধোসা, ইডলি থাকে বলেও জানান অভিনেত্রী।

বিনোদন

অপেক্ষার পালা শেষে কলকাতার বড় পর্দায় অভিষেক হলো রাফিয়াত রশিদ মিথিলার। শুক্রবার (০৭ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের ২৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত ‘মায়া’।

২০২১ সালের জুন মাসে কলকাতার সিনেমা ‘মায়া’য় নাম লেখান মিথিলা। এটি নির্মাণ করেছেন রাজর্ষী দে।

উইলিয়াম শেকসপিয়ারের বিখ্যাত নাটক ‘ম্যাকবেথ’র ছায়ায় নির্মিত হয়েছে এটি। যেখানে নাম ভূমিকায় আছেন মিথিলা।

‘মায়া’র পর টালিগঞ্জে এক পর এক কাজ করে যাচ্ছেন মিথিলা। ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট ২’-তে অভিনয় করেছেন, সেটি মুক্তিও পেয়েছে। আবার ‘আয় খুকু আয়’ দিয়ে কলকাতার সিনে পর্দায় হাজির হয়েছেন বছরখানেক আগেই। তবে সেটি ছিল অতিথি চরিত্রে। এবার মুখ্য চরিত্র দিয়ে কলকাতায় অভিষিক্ত হচ্ছেন মিথিলা।

তিনি বলেন, ‘ম্যাকবেথ’র অনুপ্রেরণায় একটি গল্প এটি। এতে আমি মায়া চরিত্রে অভিনয় করেছি। মায়া হলো লেডি ম্যাকবেথের দ্বিতীয় সত্তা। তবে এটা নেতিবাচক নাকি ইতিবাচক চরিত্র, সেটা বলতে চাই না; দর্শক সিনেমা দেখলেই বুঝতে পারবে।

এতে মিথিলা ছাড়াও আছেন গৌরব চক্রবর্তী, কমলেশ্বর মুখার্জি, রাহুল ব্যানার্জি, তনুশ্রী চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, কনীনিকা ব্যানার্জি, রিচা শর্মা, দেবলীনা কুমার, রাতশ্রী দত্তসহ আরো অনেকে।

টলিউডে মিথিলার হাতে আরাো কয়েকটি সিনেমা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্ণব মিদ্যার পরিচালনায় ‘মেঘলা’, অরুণাভ খাসনবিশের অ্যান্থলজি ফিল্ম ‘নীতিশাস্ত্র’। অনির্বাণ চক্রবর্তীর নির্মাণে কাজ করছেন ‘ও অভাগী’ সিনেমায়।

বিনোদন

‘দশম অবতার’ সিনেমায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। পাঁচ বছর পর সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। এর আগে সৃজিতের ‘রাজকাহিনী’ ও ‘এক যে ছিল রাজা’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন জয়া।

‘দশম অবতার’ সিনেমায় জয়াকে বেছে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে সৃজিত বলেন, শুটে সময় দিতে পারছে জয়া। ডেট অ্যাভেইলেবল আছে। অভিনয় দক্ষতা, শেষ বছরের পারফরমেন্স, ‘রবিবার’ বা ‘বিনিসুতোয়’, বা ‘অর্ধাঙ্গিনী’তে তার কাজ অসম্ভব প্রশংসিত হয়েছে। ‘রাজকাহিনী’ হোক এবং ‘এক যে ছিল রাজা’। এসব বিচার করেই জয়াকে বেছে নেওয়া।

সৃজিতের এ সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল শুভশ্রীর। সৃজিত বলেন, ‘পরিণীতা’ বা ‘ইন্দুবালা’য় অপূর্ব অভিনয় করেছে শুভশ্রী। তাই একসঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম।

শুভশ্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় জয়াকে বেছে নেন সৃজিত। জয়া সর্বশেষ অভিনয় করেছেন ‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমায়। কৌশিক গাঙ্গুলি নির্মিত ছবিটি গত ২ জুন ভারতে মুক্তি পায়।

‘কপ ইউনিভার্স’-এ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যিশু সেনগুপ্ত এবং জয়া আহসানের সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তা সেরে ফেলেছেন পরিচালক। এখন শুটিং শুরুর অপেক্ষা।

বিনোদন

বলিউড তারকা বিদ্যা বালান পাঁচতারা হোটেলের সামনে নাকি ভিক্ষা করেছেন। কেন তিনি ভিক্ষা করেছিলেন- এক সাক্ষাতকারে জানালেন সেই কথা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

বিদ্যা বালান জানান, আইএমজি নামে ভারতীয় মিউজিক গ্রুপ রয়েছে। যাদের তরফে প্রতি বছর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কনসার্টের আয়োজন করা হয়। আর সেই অনুষ্ঠান তিন দিন ধরে সারারাত চলে। আমিও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেই কমিটিতে ছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে সবকিছু গুছিয়ে আমরা নরিমান পয়েন্টে হাঁটতে যেতাম।

তিনি আরও বলেন, এমনই একদিন আমায় বাকিরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। বলা হয় ওবেরয়-দ্য পামস-এর কফি শপে গিয়ে খাবার চাইতে হবে বাইরে থেকে। আমিও সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বাইরে থেকে কাচের দরজায় টোকা দিতে থাকি, আর বলতে থাকি- ‘আমি কাল রাত থেকে কিছু খাইনি। আমাকে দয়া করে কিছু খাবার দিন’। বিশ্বাস করুন, লোকজন ভীষণ বিরক্ত হন! কোনো উত্তরই পাইনি, লোকজন একবার তাকিয়েছেন মাত্র। ওরা বুঝতেও পারেননি আমি অভিনেত্রী। অগত্যা আমার বন্ধুরা ভীষণ লজ্জায় পড়ে বলেন- এবার ডেকে নেন।

খুব শিগগিরই ‘নিয়ত’ ছবিতে গোয়েন্দার বেশে দেখা যাবে বিদ্যা বালানকে। এ ছবিতে তার সঙ্গে রয়েছেন রাম কাপুর, রাহুল বোস, নীরজ কবি, শাহানা গোস্বামী, অমৃতা পুরি, দীপান্নিতা শর্মা এবং নিকি ওয়ালিয়া।

বিনোদন

একেবারে ফিল্মি স্টাইলে লোকচক্ষুর আড়ালে বিয়ে সারলেন ভারতের ছোটপর্দার দুই জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী উদয় প্রতাপ সিং ও অনামিকা চক্রবর্তী।

গতকাল বুধবার আইনি বিয়ে সারলেন তারা। বিষয়টি নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে জানান। সেখানে লেখেন, আমাদের নতুন শুরু, আমরা পেরেছি। আজীবনের জন্য এক হয়েছি।

নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য, স্বস্তিকা, অন্বেষা, সুদীপ্তা, মিশমি, অদৃজা, প্রিয়াঙ্কা, রশ্নি, আনন্দসহ আরও অনেক তারকা।

‘রাজযোটক’ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন অনামিকা। তারপর অনেক সিরিয়াল, সিরিজ ও সিনেমায় দেখা গিয়েছে তাকে। সম্প্রতি ‘এখানে আকাশ নীল’-এর ‘হিয়া’ চরিত্রটির জন্য বেশ জনপ্রিয়তা পান তিনি।

অন্যদিকে ২০১৫ সালে বিনোদন জগতে কাজ শুরু করেন উদয় প্রতাপ সিংহ। ‘জামাই রাজা’, ‘কী করে বলব তোমায়সহ বেশ কিছু হিন্দি ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাকে।

তবে মিঠাই ধারাবাহিকে ‘রাতুল’ হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়।