বিনোদন

৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে তৃতীয় নারী হিসেবে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বর্ণপাম (পাম দ’র) জিতলেন ফরাসি পরিচালক জাস্টিন ত্রিয়েত। তার নির্মিত ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’ সিনেমার জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

গত রাতে কান উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যালের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে সমাপনী অনুষ্ঠানে জাস্টিন ত্রিয়েতের হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী জেন ফন্ডা। কানের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো কোনও নারী এই স্বীকৃতি পেলেন।

তরুণ এ নির্মাতা তার সিনেমায় তুলে ধরেছেন কিছু রোমহর্ষক ঘটনা।

সিনেমার গল্প এক নারীর স্বামীর হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে। ক্রাইম, ড্রামা ও থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় শেষে জানা যায়, স্বামী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্ত্রী নিজেই।

ঘটনা আরও টুইস্টের দিকে এগোয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষীকে কেন্দ্র করে। বাবার হত্যাকারী মা আর সে ঘটনার একমাত্র সাক্ষী তাদের অন্ধ ছেলে।

জটিল ধাঁধার এ গল্প কানের বিচারকদের পছন্দ হয়েছে–এ হত্যার পেছনে লুকিয়ে থাকা আরেক সত্য জানতে পেরে। আর সেই সত্যের জোরেই সিনেমাটিকে বিচারকদের পছন্দের শীর্ষে তুলে ধরে।

২০টি সিনেমা ও একটি তথ্যচিত্রের মধ্যে এ সিনেমাটিই হৃদয় ছুঁয়ে যায় দর্শক ও বিচারকদের।

বিনোদন

অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও কলকাতার খ্যাতিমান নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সাড়ে তিন বছরের সংসারে নাকি ভাঙনের সুর বাজছে! কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজারে শুক্রবার (২৬ মে) একটি গসিপ আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। যেখানে নাম-ছবি উল্লেখ না করে এক তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

সেখানে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, স্বামী-নির্মাতা নতুন এক নারীতে মজেছেন। সে কারণেই নাকি ভাঙছে তাদের ঘর। মাস দুয়েকের মধ্যে নাকি কাগজ-কলমে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে।

ওই প্রতিবেদনে যেসব বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে সৃজিত-মিথিলার দিকেই ইঙ্গিত যায়। ফলে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও তাদের ‘বিচ্ছেদ’ সম্ভাবনার খবর প্রকাশ করছে।

তবে এই চাঞ্চল্যকর খবরে তেমন গুরুতর প্রতিক্রিয়া জানালেন না মিথিলা! শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকা মিথিলা সদ্য প্রকাশিত এই সংবাদে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, ‘এই খবরের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। খবরে কি আমার নাম আছে?’

এর আগে গেলো বছরের নভেম্বরে সৃজিত-মিথিলার বিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছিল। তখনও তারা গুঞ্জনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন মিথিলা ও নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। কলকাতায় সৃজিতের ফ্ল্যাটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়েতে সৃজিত-মিথিলার পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন।

বিনোদন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামীকাল রোববার গোপালগঞ্জে বর্ণাঢ্য আনন্দ আয়োজনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এসব অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুববুল আলম শ্রদ্ধা নিবেদন করে এই আনন্দ আয়োজনের শুভ সূচনা করবেন।

এরপর গোপালগঞ্জ শহরের সুইমিং পুল এ্যান্ড জিমনেশিয়ামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্প থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা  প্রদান করবেন। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি।

বিকেল ৩টায় এই উপলক্ষে শহরে বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রা শেষে শেখ ফজলুল হক মণি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।

বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত শহরের শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট। নিশিতা বড়–য়া, মিনার আহমেদ ও শিরোনামহীন ব্যান্ড দল কনসার্টে  সংগীত পরিবেশন করবে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

বিনোদন

জমে উঠেছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৬তম আসর। বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম এ বড় আসর শুরু হয় গত ১৬ মে। যথারীতি এ বছরও দক্ষিণ ফ্রান্সের সমুদ্র তীরবর্তী কান শহরে ভিড় জমিয়েছেন বিশ্বের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা আর প্রযোজকরা। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যাওয়ার কথা ছিল চিত্রনায়িকা নিপুণ ও জায়েদ খানের। সময় স্বল্পতাকে কারণ দেখিয়ে ভিসা দেয়নি ফ্রান্স দূতাবাস।

গত ১৬ মে থেকে শুরু হওয়া ১২ দিনব্যাপী কান উৎসবের পর্দা নামবে আগামী ২৭ মে। সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখানো হবে পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওর ২৭তম সিনেমা ‘অ্যালেমেন্টাল’। কান উৎসবের সিনেমার বাজার (মার্শে দ্যু ফিল্ম) বুধবার বিকাল ৫টায় বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রথমবারের মতো এবার কানে স্টল নিয়েছে বাংলাদেশ। উৎসবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এ অল্প সময়ে সেই আয়োজনে আর যোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলেই ভিসা পায়নি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। জিও (গভর্নমেন্ট অর্ডার) জটিলতায় সংশ্লিষ্টরা উৎসবে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া দেরিতে শুরু করে। সেই দলের তালিকায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের নামও ছিল। আর এজন্য পুরো টিমের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদেরও।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিন, একেএম আমিনুল করিম খান (সহকারী পরিচালক নিরাপত্তা ও প্রশাসন), রফিকুল ইসলাম (ল্যাব চিফ, অতিরিক্তি পরিচালক বিক্রয়) ও নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার। যদিও এ তালিকায় প্রথমে ২০ জনেরও বেশি নাম ছিল। পরে আরও কাটছাঁট করা হয়।

গত বছরের জানুয়ারিতে জায়েদ খান স্বপ্ন দেখেছিলেন টানা তৃতীয়বারের মতো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসবেন তিনি। অন্যদিকে নিপুণের স্বপ্ন ছিল প্রথমবারের মতো কোনো নারী তারকা হিসেবে তিনিই এ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবেন।

বিনোদন

বিনোদন জগতে ফের শোকের ছায়া। মাত্র একদিন আগেই ভারতীয় অভিনেতা আদিত্য সিংহ রাজপুতের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে তার। এর মাঝেই আরও এক দুঃসংবাদ। প্রয়াত হয়েছেন হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী বৈভবী উপাধ্যায়। এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ সিরিয়ালখ্যাত এই অভিনেত্রীর।

বুধবার মুম্বাইতে বেলা ১১টায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

জ্যাসমিনের চরিত্রে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন বৈভবী। তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ সিরিয়ালের প্রযোজক জেডি মাজেঠিয়া।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, চণ্ডীগড়ের কাছে এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি বাঁক নেওয়ার সময় খাদে পড়ে যায় তার গাড়ি। তবে গাড়িটিতে বৈভবী শুধু একা নন, তার সঙ্গে ছিলেন তার হবু বরও। মাত্র ৩২ বছর বয়সেই প্রয়াত হলেন এই অভিনেত্রী। দুর্ঘটনার কথা শুনে দ্রুত চণ্ডীগড়ের দিকে রওনা হয়েছেন অভিনেত্রীর ভাই।

শোনা যাচ্ছে, মুম্বাইয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে তার মরদেহ। বৈভবীর সহ-অভিনেতা ও সিরিয়ালের প্রযোজক জেডি মাজেঠিয়া টুইট করে এই খবরটি জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি স্তম্ভিত খবরটা শুনে, সত্যি ভালো মনের মানুষ ছিলেন বৈভবী। যদিও নিজের যোগ্য জায়গা পাননি। প্রাণশক্তি ভরপুর একটা মানুষ, আমার কাছের একটা মানুষ। ও আমার স্মৃতিতে এখনো সারাভাইয়ের জ্যাসমিন হয়েই রয়েছে। জীবন ভীষণ অনিশ্চিত।’

সারাভাই ভার্সেস সারাভাই সিরিয়ালের সিজন টুতে দেখা গিয়েছিল বৈভবীকে। এ ছাড়া বহু হিন্দি সিরিয়ালে কাজ করেছেন তিনি। যার মধ্যে ‘আদালত’, ‘সিআইডি’, ‘ক্যায় কসুর হ্যায় আমলা কা’ অন্যতম। এ ছাড়া ২০২০ সালে ‘ছপাক’ সিনেমাতে দীপিকা পাড়ুকোন ও বিক্রান্ত মাসির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাকে।

বিনোদন

ঈদুল আজহায় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত অন্তর্জাল সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এটি দেশের প্রথম সাইবার ক্রাইম থ্রিলার সিনেমা।

এই সিনেমা নিয়ে আশাবাদী মিম। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, দর্শকরা অন্তর্জাল গ্রহণ করবে এবং খুব ভালোভাবেই করবে। শিক্ষার্থীরা এই সিনেমা ব্যাপকভাবে দেখবেন, যারা থ্রিলার পছন্দ করেন তারা দেখবেন, সাইবার নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তারাও দেখবেন। এ ধরনের সিনেমা এ দেশে আগে হয়নি। ‘অন্তর্জাল’ দেখে দর্শকদের হলিউডের সিনেমা মনে হবে।

এ সিনেমায় আমার চরিত্রটি একেবারেই ব্যতিক্রম। গত বছর যে সময়ে ‘পরাণ’ মুক্তি পেয়েছিল, এবার সেই সময়ে ‘অন্তর্জাল’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ সিনেমায় দর্শকরা আমাকে কখনো হাসতে দেখবেন না। চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।

প্রতিটি চরিত্র আমি উপভোগ করি শুটিংয়ের সময়। নতুন নতুন চরিত্রে মিশে যেতে বেশ ভালো লাগে আমার। ‘অন্তর্জাল’ সিনেমার চরিত্রটিও আমাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

ভক্তদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও বিশ্বাস আছে। তারাও আমাকে খুব ভালোবাসেন। ভক্তরা ‘পরাণ’ সিনেমার জন্য অসম্ভব ভালোবাসা দেখিয়েছেন, ‘দামাল’ সিনেমার জন্যও দেখিয়েছেন। আমার বিশ্বাস ‘অন্তর্জাল’ সিনেমার জন্যও দেখাবেন।

সবাইকে বলব, আপনারা দলে দলে ঈদের সময় প্রেক্ষাগৃহে আসবেন এবং ‘অন্তর্জাল’ সিনেমার সঙ্গে থাকবেন। সত্যিই এটি আপনাদের ভালো লাগবে।

বিনোদন

১৫ মে পৃথিবীর মায়া ছিন্ন করে পরপারে চলে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিংবদন্তি অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। জীবদ্দশায় ফারুককে নিয়ে ছিল অনেক আলোচনা। তার জীবনের কিছু অজানা অধ্যায় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

দুলু থেকে ফারুক, এরপর মিয়াভাই

বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফারুকের পুরো নাম আকবর হোসেন পাঠান। তার ডাক নাম ছিল দুলু। নায়ক ফারুক হিসাবেই সিনেমায় পরিচিত ছিলেন। মিয়াভাই নামেও তিনি চিত্রপুরিতে পরিচিত ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কীভাবে দুলু থেকে ফারুক হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, চলচ্চিত্র পরিচালক এইচ আকবর ও ফারুক নামের এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি ‘ফারুক’ নামটি ধারণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ছয় দফা আন্দোলনের পর আমি ওয়ান্টেড ছিলাম, যে কারণে নাম দিয়ে দিল ফারুক। ওরা বলল, এ নামে তোমাকে প্রথমে কেউ ধরবে না। দ্বিতীয়ত চলচ্চিত্রের নামগুলো ছোট হলে ভালো হয়, সুন্দর হয়, যেমন রাজ্জাক, উজ্জল, আলমগীর, শাবানা; নাম ছোট হলে ক্যাচি হয়।’ এরপর ফারুক নামেই অভিনয় জগতে তার পথচলা শুরু হয়। তার অভিনীত ‘মিয়াভাই’ নামে একটি সিনেমা বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। ব্যবসাসফলও হয়। সেই সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফারুক। তারপর থেকে বাস্তবে তাকে কেউ কেউ ‘মিয়াভাই’ নামে ডাকতে শুরু করেন।

মামলা থেকে বাঁচতে অভিনয়ে

৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর ৩৭টি মামলা হয় ফারুকের বিরুদ্ধে। এক পর্যায় ফারুক শুনতে পান তাকে মেরে ফেলা হবে। মামলা থেকে রেহাই পেতে ও বেঁচে থাকার জন্য সিদ্ধান্ত নেন তিনি অভিনয়ে যোগ দেবেন। তার ধারণা ছিল অভিনয় করলে মানুষ চিনবে জানবে, এতে তার জনপ্রিয়তা বাড়বে। যার ফলে তার বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে সেটা সহজেই করা যাবে না। সে থেকেই তার অভিনয়ে আসা। এখানেই শেষ নয়। ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে পড়েন আরেক বিপাকে। এ সিনেমার নায়িকা প্রয়াত কবরীকে কেউ জানায়, ফারুক একজন মাস্তান। ভালো ছেলে না। সে জন্য তার সঙ্গে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না কবরী। তবে ফারুক অনেকটা জোর করে বুঝিয়ে শুনিয়ে কবরীকে অভিনয় করতে বাধ্য করেন।

প্রখ্যাতদের সঙ্গে আড্ডা

ফারুকের জন্ম মানিকগঞ্জের ঘিওরের এক গ্রামে হলেও সেখানে বেশি দিন থাকেননি। তিনি বেড়ে উঠেছেন পুরান ঢাকায়। এখানেই তিনি পেয়েছেন পরিচালক এইচ আকবর, এ টি এম শামসুজ্জামান, প্রবীর মিত্রর মতো নির্মাতা-শিল্পীদের। তাদের সঙ্গেই ছিল তাদের চলাফেরা, আড্ডা। সে সময় লালকুঠিতে নাটক প্রদর্শিত হতো। নাটক শেষে শিল্পী, নির্মাতাদের সেখানেই আড্ডা দিতেন ফারুক।

শিল্পীদের জন্য ছিলেন দায়িত্বশীল

অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক। তার নেতৃত্বগুণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেটা তিনি রাজনীতির মাঠেও দেখিয়েছেন। অভিনেত্রী রোজিনার বয়ানে জানা যায়, ঢাকার বারিধারা নামে নতুন একটি আবাসন হলো। সেখানে শিল্পীদের জন্য প্লট বরাদ্দ চলছিল। ফারুক রোজিনাকে ফোন করে বললেন, ‘২৫ হাজার টাকা পাঠা। বারিধারায় প্লট কিনব তোর জন্য।’ রোজিনা বললেন, ‘টাকা তো প্রযোজকদের কাছ থেকে নিতে হবে।’ এরপর ফারুক নিজ উদ্যোগেই প্রযোজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে রোজিনার জন্য প্লটের আবেদন করে দিলেন। কিন্তু সে প্লট পাননি। পরে রোজিনার জন্য উত্তরায় প্লটের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে সেখানেই থাকছেন রোজিনা।

রাজ্জাক-ফারুক দ্বন্দ্ব

সিনেমাপাড়ায় কথিত ছিল নায়করাজ রাজ্জাক ও নায়ক ফারুকে মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। একবার নাকি রাজ্জাক ফারুকের গায়েও হাত তুলেছিলেন। ‘সখী তুমি কার’ সিনেমার মাধ্যমে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তখন নাকি রাজ্জাক এ সিনেমায় ফারুকের অনেক দৃশ্য ফেলে দিতে পরিচালককে চাপ দিয়েছিলেন। যদিও জীবদ্দশায় এক সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘পরিচালক যেটা ভালো মনে করেছেন সেটা করেছেন। আর ফারুকের সঙ্গে আমার বিশেষ কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। প্রফেশনালি যেটা ছিল সেটা সবার মধ্যেই থাকে।’ তবে রাজ্জাক-ফারুক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে ‘পৃথিবী তোমার আমার সিনেমার মাধ্যমে। দ্বন্দ্ব কেটে যাওয়ার পর দুজনার মধ্যে এমন বন্ধুত্ব হয় যে, ফারুক রাজ্জাকের বাসার কাছাকাছি বাসা নেয় এবং রাজ্জাকও প্রায়ই ভোরে ফারুককে ঘুম থেকে ডেকে ফজর নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে নিয়ে যেতেন।

চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে নিঃস্ব ফারুকের পরিবার

ফারুকের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার খরচ বহনের জন্য বিক্রি করতে হয়েছিল প্রায় পনেরো কোটি টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট। রাজধানীর বারিধারায় এ দুটি ফ্ল্যাট কেনার পর একদিনও থাকার সৌভাগ্য হয়নি তার পরিবারের। পাশাপাশি স্বজনদের কাছ থেকেও ধার-দেনা করতে হয়েছিল। ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান গত বছরই এমন তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথে চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল, সে জন্য সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়েছে আমাদের। চিকিৎসকরা যখন ফারুককে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন ওই সময় আমাদের হাত ছিল একেবারে খালি। করোনার কারণে ফ্ল্যাটও বিক্রি করতে পারছিলাম না। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার দেওয়া টাকা দিয়েই আইসিইউর প্রথম মাসের বিল পরিশোধ করেছি।

সিনেমার চরিত্র নিয়ে ফারুকের ক্ষোভ

অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সিনেমায় গ্রামীণ চরিত্রে দেখা গেছে ফারুককে। গ্রামীণ চরিত্রে অনবদ্য হলেও এ ধরনের চরিত্রের প্রতি তার ক্ষোভও ছিল। সেটাও তিনি আরেক সাক্ষাৎকারে বলেছিছেন। তিনি বলেন, ‘যখন দেখা গেল কোনো একটি সিনেমায় আমি গ্রামীণ চরিত্রে ভালো করেছি, সিনেমাটি হিট হয়েছে তখন সবাই আমাকে দিয়ে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগত। হয়েছেও তাই। বিষয়টি নিয়ে আমি খুব বিরক্ত হতাম। চেষ্টা করতাম খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু দিনশেষে প্রযোজক পরিচালকদের ইচ্ছার পাশাপাশি দর্শকদের পছন্দটাকেও প্রাধান্য দিতে হতো।’

শাকিবের নিষেধাজ্ঞা মিটিয়েছিলেন ফারুক

২০১৭ সালে যখন শাকিবকে চলচ্চিত্রের সব সংগঠন কর্তৃক বহিষ্কার করা হয়, তখন এ দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন ফারুক। তিনি চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বাহক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শাকিবের। এক সাংবাদিক ও এক প্রযোজকের ডাকে সাড়া দিয়ে শাকিবকে ক্ষমা করে দেন ফারুকসহ চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের নেতা। তারপর শাকিব আবারও তার কাজ স্বাভাবিকভাবে শুরু করার সুযোগ পান।

কালীগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত অভিনেতা ফারুক

========================================

অবশেষে ৮০৩ দিন পর দেশের মাটিতে এলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিংবদন্তি অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তবে জীবিত নয়, মৃত।

২০২১ সালের ৪ মার্চ সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তার মৃতদেহ নিয়েই দেশের মাটিতে ফিরেছেন স্বজনরা। ১৫ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসে। সেখান থেকে নেওয়া হয় তার উত্তরার বাসভবনে। এরপর সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ফারুককে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীসহ নানা পেশার মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

শহীদ মিনারে শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে লে. কর্নেল সৈয়দ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এম এম নাঈম রহমান।

আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতারা ফারুকের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনসহ নানা রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফারুককে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ফেরদৌস, মিশা সওদাগর, নিপুণ, জায়েদ খানসহ আরও অনেকে।

শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা (সিঙ্গাপুরে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়) শেষে তাকে শেষবারের মতো বিদায় জানান সহকর্মী শিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজক ও কলাকুশলীরা। এরপর চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে ফারুকের তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বিকালে গুলশানের আজাদ মসজিদে তার আরও একটি জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ফারুকের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে। রাত ৯টার পর সেখানকার পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন এই কিংবদন্তি।

বিনোদন

এ সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। নিয়মিত সিনেমায় কাজ করছেন। অভিনয়ের জন্য প্রশংসিতও হচ্ছেন। এবারের ঈদুল ফিতরে তার অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এ সিনেমা, বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

* আপনার অভিনীত ‘আদম’ নামে একটি সিনেমা গত ঈদে মুক্তি পেয়েছে। কেমন দর্শক সাড়া পাচ্ছেন?

** বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছি। ঈদের দিন থেকে এখনো দর্শক আগ্রহ দেখছি। সবাই সিনেমাটিকে সাদরে গ্রহণ করেছে। বেশ ভালো লাগছে।

* অনেকেই বলছেন, এ সিনেমাটি আপনার অভিনীত অন্য সিনেমা থেকে একেবারেই আলাদা…

** এটা ঠিক। এর আগে যে সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেছি, সেগুলো থেকে ‘আদম’-এ আমার চরিত্র এবং গল্প পুরোটাই ভিন্ন ট্র্যাকের। তারপরও দর্শক আমাকে এ সিনেমাতে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। নিজের কাজের প্রতি বেশ আগ্রহ বেড়ে গেল।

* এ সিনেমাতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

** বেশ ভালো ছিল। এ সিনেমাতে আশির দশকের একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আশির দশকের একটি গ্রামের মেয়ে কেমন হতে পারে, সিনেমা দেখে, সেই সময়ের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি। সেই অভিজ্ঞতা চরিত্রের কথা বলার স্টাইল, অঙ্গভঙ্গিতে ব্যবহার করেছি। বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে।

* সিনেমায় অভিনয়ের আগে কোন বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেন?

** আমার কাছে গল্প মুখ্য। ভালো গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে চাই। আমি মনে করি ভালো গল্পই একটি সিনেমাকে হিট করতে পারে। আমি সব সময় শিখি। সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছুই শিখেছি। অভিনয় করতে করতে শিখছি। একজন ভালো অভিনয় শিল্পী হতে চাই, এটাই চাওয়া।

* প্রেক্ষাগৃহে নিশ্চয় সিনেমা দেখতে যান। সরাসরি দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন দেখেন?

** আমার অভিনীত সিনেমা যখন প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যাই প্রায়ই একটা কথা শুনি, আমি অভিনয় করি না। আমি চরিত্র হয়ে উঠি। ন্যাচারাল অভিনয় করি। আমি নিজেকে খুব বেশি ভালো অভিনেত্রী মনে করি না। তবে প্রশংসা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। এবার আদম সিনেমার দর্শকরা লুকের কারণে আমাকে চিনতেই পারেননি।

* নতুন কোনো সিনেমার খবর আছে?

** ‘নূর’ নামে একটি সিনেমার কাজ শেষ। এ সিনেমাটি কুরবানির ঈদে মুক্তি পাবে বলে শুনেছি। এটিও দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। এ ছাড়া আরও কয়েকটি সিনেমার কাজ হাতে আছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে সবাইকে জানাতে চাই।

বিনোদন

এবার ঈদে ‘আদম’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর কোনো সিনেমা মুক্তি পেল ঈদের সময়। তবে এই সিনেমায় তাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়েছে এবং সেই সব কষ্ট সার্থক হয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

নিজের অভিনীত কোনো সিনেমা প্রথমবারের মতো ঈদে মুক্তি পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে ঐশী বলেন, ‘অন্য রকম এক অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ঈদে নিজের সিনেমা মুক্তি পেলে অবশ্যই ভালো লাগে। একজন শিল্পী অপেক্ষায় থাকেন এ ধরনের উৎসবে সিনেমা মুক্তির।’

দর্শক সাড়া কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভালো। আগে অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় দর্শক আমাকে দেখেছেন। সাড়াও মিলেছিল। আদম সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রটি অজপাড়াগাঁয়ের এক মেয়ের। সিনেমাটি নিয়ে অনেকের মুখেই প্রশংসা শুনেছি। এতেই বোঝা যায়, গ্রামীণ গল্পের সিনেমাতেও আমাকে দর্শক গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমি যে কটি কাজ করেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে কষ্ট করেছি ‘আদম’-এ। দর্শক দেখছেন বলে আমার সব কষ্ট সার্থক হয়েছে।

বিনোদন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে বছরের সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কৃত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন। সোমবার পরীমনির হাতে সেরা পুরস্কার তুলে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম এবং টালিপাড়ার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

আনন্দবাজার পত্রিকাটি প্রতি বছরই দুই বাংলার শোবিজকর্মীদের মধ্যে থেকে বছরের সেরা তারকা নির্বাচনের পাশাপাশি তাদের পুরস্কৃতও করে থাকে।

পুরস্কার পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে পরীমনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে পরীমনি লেখেন, এটা সত্যিই আমার জন্য একটি সম্মান এবং মর্যাদাপূর্ণ অর্জন। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, দর্শক ভক্ত এবং অনুসারী যারা রয়েছেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে। আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
পরীমনি আরও লেখেন, আনন্দবাজার অনলাইনকে ধন্যবাদ। আপনাদের আতিথেয়তা মনে থাকবে আমার। প্রিয় কলকাতা আমি তোমাকে ভালোবাসি।