বিনোদন

গত শনিবার সরগরম হয়ে উঠেছিল মাহিয়া মাহির গ্রেফতারের খবরে। পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার হন তিনি। সেই সময় পলাতক ছিলেন তার স্বামী। ওমরাহ সেরে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতেই গ্রেফতার হন নায়িকা।

এর পর জেলেও যান, তবে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে একই আদালতে একই বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

তবে মুক্তি পেয়েই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মাহি জানান, সরাসরি ফেসবুক লাইভে এসে গোটা বাংলাদেশের পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলা তার উচিত হয়নি। এটি তার ভুল হয়েছে।

মাহি বলেন, আমি লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি। একজন পুলিশ আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে না। তাই আমার লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটির জন্য দুঃখিত, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আমি যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি, সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য সবার কাছে যাব’।

মাহি আরও বলেন, ‘শিগগিরই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্যারের সঙ্গে কথা বলব। তারাই এটার সত্যতা প্রমাণ করবেন’।

এদিকে মাহির জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর রোববার সকালে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে দেশে ফেরেন মাহির স্বামী রাকিব। বিমানবন্দরে আত্মসমর্পণ করেন রাকিব, তাকে কোর্টে তোলা হলে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

বিনোদন

এ সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। নিয়মিত একক নাটকে অভিনয় করে দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। এখনও নিয়মিত কাজ করছেন তিনি।

সম্প্রতি এ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। অফিশিয়ালি গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন তিনি। গত ১৯ মার্চ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২১তম সমাবর্তনে উপস্থিত হয়ে লিডারশিপ সম্মাননা প্রহণ করেন এ অভিনেত্রী।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশন থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন সাবিলা। এ মেরিট রেজাল্টের জন্য তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ‘ড. আনোয়ারুল আবেদিন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননায় ভ‚ষিত হন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙে সাবিলা নূর বলেন, আমি নিয়মিত কাজ করছি। কাজ করার পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। তবুও আমি আমার সব কাজ ঠিকমতো করার চেষ্টা করেছি। অনেক তাচ্ছিল্যস্বরূপ কথা শুনতে হয়েছে এ নিয়ে। তারপরও আমি হাল ছাড়িনি। যার ফল হিসেবে এমন একটা রেজাল্ট করতে পেরেছি। এরজন্য আমার পরিবারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সদয় সম্মতিক্রমে সভাপতিত্ব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিকে সাবিলা নূরের হাতে বেশ কয়েকটি নাটকের কাজ আছে বলে জানা গেছে। আগামী ঈদুল ফিতরের জন্য নির্মিতব্য কয়েকটি নাটকের শুটিং শিগগিরই শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

বিনোদন

চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেছেন, বাটপার রহমত উল্লাহ শুধু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেনি, গোটা চলচ্চিত্রের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমাকে পছন্দ করে এমন দেশের লাখো-কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ সময় প্রযোজক রহমত উল্লাহকে ভুয়া ও বাটপার বলেও আখ্যা দেন তিনি।

রোববার রাতে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয় সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

শাকিব খান জানান, রোববার রাতে সেই রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন কিন্তু থানা পুলিশ তার অভিযোগ আমলে নেয়নি। এজন্য তিনি ওসিকে বুঝিয়েছেন কিন্তু কোনোভাবে ওসি তার মামলা নেয়নি। এর পর অপারগ হয়ে তিনি থানা থেকে বেরিয়ে আসেন।

প্রযোজক রহমত উল্লাহ শুধু তার সঙ্গে নয়, গোটা চলচ্চিত্র জগতের মানুষের সঙ্গে প্রতারণার পাশাপাশি তার সারাদেশে থাকা ভক্তদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভুয়া সংবাদগুলো সবার মধ্যে ছড়িয়েছে। আমার মনে হয় শুধু রহমত উল্লাহ একা ছিলেন না, রহমত উল্লাহর পেছনে আরও অনেক লোক ছিলেন। না হলে এই বাটপার রহমতুল্লাহ এফডিসির ভেতরে গিয়ে আমাদের তিন থেকে চারটি ভাইটাল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে প্রযোজক সেজে ভুয়া তথ্যগুলো দিয়ে ভুয়া বিচার চেয়েছে এবং আপনাদের মিডিয়ার কাছে কিন্তু বারবার একটি কথাই বলছে আমাকে টাকা দিয়ে দিক, আমি চলে যাব। আমাকে টাকা দিয়ে দিক, আমি উইথড্র করে নেব এবং আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য কিন্তু সে মরিয়া হয়ে গেছে। অপু বিশ্বাসকে দিয়ে সে আমার সঙ্গে একবার দেখা করেছে। ছবিও তুলেছে। সেখানে কিন্তু সে বলেছে আস্তে করে বলেছে টাকাটা দিয়ে দেন চলে যাব।

আপনি আপস করতে চেয়েছিলেন বলে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সেটাই বলছি এটাও কিন্তু তার আরেকটা প্রতারণার ফাঁদ ছিল। সে আমার সঙ্গে ছবি তুলে প্রকাশ করে তাৎক্ষণিকভাবে বলেছে যে আমার কাছে এসেছিল, তিনশ টাকার স্ট্যাম্প নিয়ে এসেছিল, সে আমার সঙ্গে সমঝোতা করতে এসেছিল আমি এখনো আপোষ করিনি। এই প্রতারক যে দিনের পর দিন সবার সঙ্গে প্রতারণা করে গেছে, আপনাদের গতকাল বলেছি আপনারা যদি মিডিয়া ওইখানে গিয়ে প্রযোজক সমিতিতে চেক করে দেখতে তাহলে দেখতে পারতেন ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই ছবির প্রযোজনা সংস্থা পারটেক্স মিডিয়া ও তার কর্ণধার হচ্ছে আরেকজন। জানে আলম শাহ। এই কোনো প্রযোজকই না, তার সঙ্গে আমার ও পরিচালকসহ কারও কোনো ধরনের ডিল নেই।

সম্প্রতি শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার জন্য এক টেবিলে বসে দুই পক্ষ। শাকিব মীমাংসা চাইলেও অনড় অবস্থানে রয়েছেন সেই প্রযোজক।

আশিকুর রহমানের পরিচালনায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে নায়িকা ছিলেন নবাগত সিবা আলী খান। ওই সময় ছবিটির টিজার অন্তর্জালে বেশ ঝড় তোলে। ছবিটি ঘিরে ভক্ত-দর্শকের আলাদা উন্মাদনা থাকলেও পরে আর আলোর মুখ দেখেনি ছবিটি।

বিনোদন

চিত্রনায়িকা বুবলী বলেছেন, ‘শেহজাদ তার বাবার মতো। আমি গল্প শুনেছি… পরিবারের সবাই বলে একদম মাসুদের মতো, বাড়িতে উনাকে (শাকিব খান) সবাই মাসুদ নামে ডাকে।’

সম্প্রতি এক বেসরকারি টিভির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বুবলী আরও বলেন, শেহজাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় সেও (শাকিব) তিন বছরের হয়ে যায়। বাবার সঙ্গে শেহজাদ ফুটবল খেলে, দাবা খেলে, গাড়িতে ঘুরতে বের হয়, লুকোচুরি খেলে। আমি যখন এগুলো দেখি, আমার মনে হয় দুইটা বাচ্চাকে দেখছি। শেহজাদ তার বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি ইনজয় করে।

এই নায়িকা ছেলের বিষয়ে আরও বলেন, কার্টুন দেখার সময় অনেক সময় ইউটিউবে আমাদের মুভির গানগুলো চলে আসে তখন সে ড্যাডি-মাম্মি বলে উচ্ছ্বাস করে।

শ্বশুর-শাশুড়ি অনেক ভালো মনের মানুষ বলেও অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বুবলী।

বিনোদন

কীভাবে ঢালিউড তারকা ওমর সানী ও মৌসুমীর প্রেম শুরু তা ভক্তদের জানতে ইচ্ছা করে। তাদের প্রেমের শুরুটা সিনেমার মতোই। তাদের মধ্যে প্রথম কথা হয় ১৯৯২ সালে। এরপর ‘দোলা’ সিনেমার মাধ্যমে তারা একসঙ্গে কাজ করেন।

‘দোলা’ দিয়ে প্রথম জুটি গড়েন ওমর সানী-মৌসুমী। সিনেমাটি ছিল নারীপ্রধান। প্রথমে রাজি না হলেও পরে গল্প শুনে ওমর সানী রাজি হন। সিনেমার শুটিংয়ে সিলেটে গিয়ে প্রথম তাদের মনোমালিন্য হয়। ওই ঘটনা থেকে তাদের মধ্যে প্রেম হবে- এমনটা কেউই ভাবতে পারেননি। সেখান থেকেই মৌসুমীর জন্য ওমর সানীর ভালোবাসা জন্মে। এরপর মৌসুমী ও ওমর সানী ‘আত্ম অহংকার’ ছবির শুটিং করতে সিলেটের জৈন্তাপুরে গিয়েছিলেন। তখনই তাদের কাছাকাছি আসা।

ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল মৌসুমীর পক্ষ থেকেও। তিনি এক রাতে ওমর সানীকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখেন। সকালে এফডিসিতে প্রবেশের আগে মৌসুমী ওমর সানীকে দেখতে তার তেজতুরী বাজারের বাড়ির সামনে আসেন। তখনই ওমর সানী ধরে নিয়েছিলেন মৌসুমী তাকে পছন্দ করেন।

ফারদিন এহসান এই দম্পতির প্রথম সন্তান। মৌসুমী যখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওমর সানী তখন প্রথম সবাইকে জানান সুখবরটি। দেখতে দেখতে একসঙ্গে জীবনের ২৮ বছর পার করলেন তারা।

বিনোদন

ঢালিউড নায়িকা পরীমনি মাতৃত্বকে উপভোগ করছেন। ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যকে নিয়ে দারুণ সময় কাটছে তারকা দম্পতি পরীমনি ও শরীফুল রাজের।

রাজ্য তাদের একমাত্র সন্তান। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় তার। এখন তার ছেলের বয়স ছয় মাস। আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে পরীমনির যত চিন্তা। রাজ্যকে দেখাশুনা করতে আর দিন-রাতের হিসাব মিলছে না তার। বিষয়টি নিয়ে এই অভিনেত্রী ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন।

পোস্টে পরীমনি লিখেছেন- ‌ইদানীং আমার ছেলে আমার জীবনটাকে লন্ডন বানায়ে ফেলছে। এ জীবনে এখন দিন চলে। সো গুড নুন গাইস!’

তার এই লেখা দেখে বুঝা যাচ্ছে পরীমনির কাছে রাতেও মনে হয় দিন, কখনো আবার দিনটাকেও মনে হয় এ যেন গভীর রাত।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ১০ আগস্ট পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পরীমনি। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি হঠাৎ করেই মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনেন পরীমনি। সেই সঙ্গে জানান, তিনি ও অভিনেতা শরিফুল রাজ বিয়ে করেছেন।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর চুপিসারে বিয়ে করেন তারা। এরপর গত ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।

গত বছরের শেষের দিকে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মারধরের অভিযোগ করে রাজের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন পরীমনি। পরবর্তীতে আলোচনা-সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন তারা। তবে শেষপর্যন্ত জোড়া লেগেছে তাদের সংসার।

বিনোদন

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য দাম্পত্য জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলে। বয়সের পার্থক্য যেমন অশান্তি ডেকে আনতে পারে, ঠিক তেমনই সমবয়সী কিংবা অল্প বয়সের ব্যবধানও সম্পর্ককে নড়বড়ে করে তুলতে পারে।  আমরা আশপাশে দেখতে পারি স্বামী বয়সে বড় হন আর স্ত্রী ছোট হন। তবে বলিউডে এসবের কিছু নেই। সেখানে বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। বলিউড তারকারা বয়সকে তুচ্ছজ্ঞান করে একে অন্যের সঙ্গী হয়েছেন জীবনে। তাদের একটি তালিকা উঠে এসেছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।

নবদম্পতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আভদানির বয়সের পার্থক্য ৭ বছর।  সিদ্ধার্থ বয়সে বড়।

দীপিকা ও রণবীর দম্পতি

দীপিকা পাডুকোন ও রণবীর সিংয়ের বয়সের পার্থক্য এক বছর। তাদের পরিবার থেকেই ভাবা হয়েছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের একটু তফাত থাকা ‘ভালো’।

শাহিদ ও মীরা দম্পতি

২০১৫ সালে মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেন শাহিদ কাপুর। শাহিদের চেয়ে ১৩ বছরের ছোট মীরা।

ঋতেশ ও জেনেলিয়া দম্পতি

ঋতেশ দেশমুখ ও জেনেলিয়া দেশমুখের বয়সের ফারাক নয় বছর। প্রায় দশ বছর প্রেম করার পরে ২০১২ সালে বিয়ে করেন তারা।

প্রিয়াঙ্কা ও নিক দম্পতি

মার্কিন গায়ক নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। নিকের চেয়ে ১০ বছরের বড় প্রিয়াঙ্কা।

ক্যাটরিনা ও ভিকি দম্পতি

৩৮ বছরের ক্যাটরিনা কাইফের জীবনসঙ্গী ৩৩ বছরের ভিকি কৌশল। এই জুটির বয়সের ফাঁরাক পাঁচ বছরের।

রণবীর ও  আলিয়া দম্পতি

রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাট বর্তমানে তারকা দম্পতি। রণবীরের জন্ম ১৯৮২ সালে আর আলিয়ার জন্ম ১৯৯৩ সালে। তাদের বয়স ১১ বছরের ব্যবধান।

করণ ও বিপাশা দম্পতি

সাত বছর আগে ভারতীয় অভিনেতা ও মডেল করণ সিং গ্রোভারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী বিপাশা বসু। করণের চেয়ে তিন বছরের বড় বিপাশা।

বিনোদন

ঢালিউডের কিং খ্যাত অভিনেতা শাকিব খান। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা করেন এসকে ফিল্মস্থ নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে।

সম্প্রতি শাকিব তার নিজের ভেরিফাইড পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, তার ইউটিউব চ্যানেল এসকে ফিল্মস এর সাবস্ক্রাইবার এখন ১১ লাখের বেশি। শর্তপূরণ করায় একবছর আগেই শাকিব গোল্ডেন প্লে-বাটন পুরস্কার পান।

এই চ্যানেলে শাকিব খান তার নিজের সিনেমার খবর, শুটিংয়ের মজার মজার বিহাইন্ড দ্য সিন প্রকাশ করতেন।

বিনোদন

২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল দীর্ঘদিনের প্রেমিক রাজিব হাসানের সঙ্গে বাগদান হয়েছিল ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভার। ওই বছরেরই ১৯ আগস্ট শুটিং সেট থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে।

তাদের বিয়ের পর রাজিবের সঙ্গে প্রভার ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। রাজিবের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে অপূর্বের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হয় প্রভার।

এরপর দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে চলে যান তিনি। রাজিবের সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল তা নিয়ে এতদিন কোনো কথা না বললেও এবার মুখ খুললেন প্রভা। নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়গুলো কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি।

প্রভা লিখেছেন- ‘আমি কোনো প্রতারণা করি নাই! আমি চুপ করে থাকি বলে এই না যে, আপনারা আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই বানিয়ে বলবেন। আমার শুধু মনে হচ্ছিল আপনাদের কাছে প্রমাণ করে কি লাভ; ওপরে যিনি আছেন, যার কাছে যাব, যিনি বিচারকারী তিনি জানলেই তো হয়।

‘বিয়ের আগেই সম্পর্ক করে যে গুনাহ আমি করেছি সেই গুনাহর জন্য জনতার কাছে আমি প্রতিনিয়ত মাফ চাচ্ছি মাফ চাইব! কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকব আপনাদের কাছ থেকে অনেক সোয়াব কামাবো! কারণ আপনারা না জেনে আমাকে গালি দেন। না বুঝে আমাকে একতরফা প্রতারক বানিয়ে দিয়েছেন।’

তিনি লেখেন- ‘শোনেন….. প্রথমত আমি রাজিবকে সব জানিয়ে বিয়ের কথা শুরু হয়। কারণ বিয়ের নয় দশ মাস আমার সঙ্গে রাজিবের ব্রেকআপ থাকে, আমাদের সেই আট বছরের সম্পর্কের অলমোস্ট ৫-৬ বছরই ব্রেকআপ থাকতো। রাজিব আমাকে কখনই সম্পর্ক থেকে বের হতে দিত না। এটা ওর সাইকোলজিকাল সমস্যা ছিল। ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলে ও! কারণ ওর বাবা ওর মাকে ছেড়ে খুব ছোটবেলায় অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল। তাই হয়ত ওর মনের মধ্যে ওই জেদ ছিল যে, ওকে ছেড়ে কেউ যেতে পারবে না! আর তাই এই আমাকে বিভিন্নভাবে কনভেন্স করে পার্সোনাল কিছু মুহূর্তের চিত্র ধারণ করে রাখে। যাই হোক সেটা যদি আপনারা সাইবার ক্রাইমের বিভিন্ন গল্প পড়ে থাকেন যে, কেমন করে ছেলেরা মেয়েদেরকে কনভেন্স করে, তাহলে আরও ক্লিয়ারলি জানতে পারবেন।’

‘আমি রাজিবকে অনেকবার ছেড়ে যেতে চেয়েছি। আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে, ব্রেকআপের পরে আমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেই বিয়ে আমি করিনি। রাজিব পড়াশোনা করত না। আমি তাকে চিনি যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। কিন্তু আমি যখন অনার্স থার্ড সেমিস্টার, তখন পর্যন্ত সে অনার্স ফার্স্ট সেমিস্টার। কেন জানেন, কারণ সে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতো! কিন্তু বারবার রেজাল্ট খারাপ করতো, ইউনিভার্সিটি তাকে বের করে দিত আবার অন্য ইউনিভার্সিটিতে টাকা দিয়ে ভর্তি হতো।

‘ও আরেকটা কথা রাজিব কিন্তু কোনো ইনকাম করত না। রাজিবের বাবার টাকা ছিল। কিন্তু রাজিবের সঙ্গে আমার আরেকটা সমস্যা ছিল সেটা হলো যে, রাজিব কোনো কিছু ইনকাম করতে চাইত না! ওর কথা, আমার বাবার এত আছে আমার কেন ইনকাম করতে হবে। এই জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব হতো। সবচেয়ে বেশি হতো পড়াশোনা নিয়ে। এই সমস্ত জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচুর ব্রেকআপ হয়েছে!’

তিনি লিখেছেন- ‘যাইহোক ওই ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়েছিল, আংটি বদল হয়েছিল কিন্তু সে আংটি বদলের আট মাস আগে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না। ওই যে বললাম, আমাদের আট বছরের সম্পর্কের ব্রেকআপই থাকত অনেক। তো বিয়ের কথা শুরু হওয়ার সময় আমি রাজিবকে জানিয়ে দেই বিগত এতগুলো মাস আমার কার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, আমি সেই ছেলে, তার সঙ্গে আমার ভালোলাগা আছে; কিন্তু এটা হবার না, হবে না বুঝেই গেছি- এরকম কথাগুলো আমি তার সঙ্গে ক্লিয়ার করে নিয়েছিলাম। আমার তখন বয়স ছিল ২২, মাথায় বুদ্ধি ছিল না। থাকলে তো সবার আগে রাজিবের সঙ্গে প্রেম করতাম না।’

প্রভা লিখেছেন- ‘বুদ্ধি যদিও আমার এখনো হয় নাই। যাইহোক আমার কাছে মনে হয়েছে, বিয়ে করার আগে তাকে সব কিছু জানিয়ে দেই, যে কার সঙ্গে মাঝখানে সম্পর্কে হতে গিয়েও হয় নাই! (যার কথা বলছি ওনার সঙ্গে আমার পরবর্তীতে বিয়ে হয়েছিল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলাম তাকে) এতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

‘আমাদের এঙ্গেজমেন্টের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই রাজিবের সঙ্গে আমার কথা বলা বন্ধ থাকত। ঝগড়া হতো বিভিন্ন কারণে। প্রচণ্ড মিথ্যা কথা বলতো। সব কিছু মিলায়া আমার মন যখন কোনোভাবেই মান ছিল না ওকে বিয়ে করতে, আমি বারবার ওকে অনুরোধ করছিলাম যে, চলো বিয়েটা না করি। আমাদের এই বিয়ে ছয় মাসও টিকবে না! একথা আমি আমার বাসায়ও বলেছিলাম। কিন্তু আমার তো অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিল। ২২/২৩ বছরের একটা মেয়ে বিয়ে তো করতেই হবে বলেন! যাইহোক এ সমস্ত কথা আর নাই বলি!’

তিনি লিখেছেন, ‘পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনাটা খুব না জানা আপনাদের। যেদিন এই ঘটনাটা ঘটে তার বেশ কিছুদিন ধরে আমার আর রাজিবের খুব ঝগড়া, খুব বিশাল ঝগড়া হতো। রাজিব বুঝে গেছিল যে আমার মনটা নাই। বুঝে কেন যাবে, আমি তাকে ভেঙে নিজেই বলছি যে, শুধু আংটি পরানো হয়েছে, কিন্তু আর কিছু হয় নাই। চলো এটা এখানেই শেষ করি। কিন্তু সে তো নাছোড়বান্দা, তার ওপর সাইকোলজিক্যাল সমস্যা ছিল তার। মাথায় ছিল তার বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গেছিলো, তাকে ছেড়ে কেউ যেতে পারবে না, তার কাছে তো প্রমাণ আছে!

‘প্রমাণ এর কথায় মনে পড়ল, একবার খুব কায়দা করে তাকে জানতে চাইছিলাম যে, কই আছে ওগুলা, চলো তুমি আর আমি মিলে একটু দেখি। তখন সে আমাকে বলছিল, তুমি কি পাগল; তুমি আমার বউ হবা এইজন্য আমি সব কিছু ডিলিট করে দিছি। আসলে তো ডিলিট করে নাই। এখন বুঝতে চান, মানসিকভাবে মানুষটা কি পরিমাণ ক্রিমিনাল মাইন্ডেড!? আসলে ওকে সম্পূর্ণভাবে দোষ দেয়া যায় না! এমন একটা পরিবেশে, যে পরিবেশে বাবা ছিল না, কষ্টে সারাটা জীবন বয়ে বেড়াচ্ছে, ঠিকমত সোশ্যালি মানুষের সাথে মিশতে পারে নাই এরকম একটা মানুষ আস্তে আস্তে ক্রিমিনালই পরিণত হবেন।’

প্রভা লিখেছেন, ‘তারপর সে আমার বাসায় এ ব্যাপারে বিচার বসায়। আমার বাবা-মা আমাকে বকাঝকা করে সত্যি কথা বলি। আমি বাবা-মাকে কষ্ট দিয়েছি, আমি আমার বাবা মাকে না বলে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আরেকজনের হাত ধরছিলাম… কিন্তু যার হাত ধরতে বলছিল ওই সময়ে সেই মানুষটাও তো ভুলই ছিল। যদিও সেই মানুষটার আমাকে পছন্দ ছিল, আসলে আমি নিরুপায় পছন্দ করেছিলাম। বাসায় এত বিয়ের চাপ দেয়া হয়েছিল যে, আমি নিরুপায় হয়ে ওকে বলেছিলাম ঠিক আছে তুমি আমাকে বিয়ে করো, কিন্তু আমি তো সব জানিয়ে বিয়েটা করতে গিয়েছিলাম। আমি কাকে ভালোবেসে ছিলাম, আমাদের ব্রেকআপের পরে সম্পর্ক তো হতেই পারে! তো মনের মধ্যে বিষ রেখে দিয়েছিল কেন যে ওকে ভালো লাগে না, এই ব্যাপারটা করত না সম্মতি দিতে হবে না, তুমি অন্য জায়গায় সম্পর্কে জড়িয়েছিলে, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না, তুমি তো মনের মধ্যে জেদ, সে যে আমারই হবে! কারণ আমার মাকে রেখে আমার বাবা অন্য মহিলাকে বিয়ে করেছিল। যাই হোক!

‘সেদিন বাসায় এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, আমার কাছে মনে হয়েছিল যে, এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার এই একটাই উপায় আর তাছাড়া আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল- তুমি বাসা থেকে বের হও, আব্বু-আম্মুর সঙ্গে আমার কথা বল। তুমি বের হলে আমাদের বিয়ে। ওহ আমার প্রাক্তন শ্বশুর-শাশুড়ি প্রাক্তন স্বামীর কলিগ থাকা অবস্থাতেই আমাকে অনেক আদর করতেন। বিশেষ করে আমার শ্বশুর, তাই আমার বরং ভরসাই লাগছিল। ভেবেছিলাম বিয়ের পরে কমাস পর বাবা-মা মেনে নেবে! তখন তো আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে! যাই হোক বের হয়ে গেলাম বিয়ে হলো, সকাল সকাল ফোন দিয়ে রাজীবকে জানিয়ে দিলাম আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, ও যেন আনন্দ থাকে, দুই দিনের মধ্যে সেই ডিলিট করা (আসলেতো মিথ্যা) ডকুমেন্টগুলো সে পাবলিক করে।’

প্রভা লিখেছেন, ‘আর যেহেতু ধর্মীয়ভাবে অন্যায় করেছি, সোশ্যালি কোনো অন্যায় করিনি তাই ধর্মের নিয়মে বলছি, আমার এই ঘটনার পর আমার প্রাক্তন স্বামীর উচিত ছিল আমাকে আরও বেশি সাপোর্ট করা। মারাও যেতে পারতাম। শুধু আত্মহত্যা করলে কোনোভাবেই সৃষ্টিকর্তার কাছে যেতে পারবো না, সেই ভয়ে আর আল্লাহর সাথে দেখা করার লোভে আত্মহত্যা করি নাই। তার জীবন সুন্দর হয়েছে।’

তিনি লেখেন, ‘যাইহোক ঘটনার দিনের গল্প বলি, আমার সাথে বহুদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ কথা বন্ধ মান-অভিমান চলছে আমার প্রথম কথা হয়েছিল চলো বিয়েটা না করেই বিয়েটা টিকবে না, তাই বুঝতে পারত আমিও বলতাম। তারপর উত্তর দেব তাকে কেউ ছাড়তে পারবে না এমনি বসে বন্ধুদের সাথে সিলেট বেড়াতে যাচ্ছিল যাবার আগে আমার একটা পুরনো ফোন সে আমার বাসা থেকে নিয়েছিল সেখানে আমার প্রাক্তন স্বামীর সাথে আমার একটা কনভারসেশন আছে।’

‘তুমি কই তোমাকে মিস করছি, মনে পড়ে তোমার কথা খুব, আমিও লিখেছি আমিও তোমাকে মিস করি, আমার তোমার কথা অনেক মনে পড়ে! আমি আমার প্রাক্তন স্বামীকে আসলে অনেক ভালোবেসেছিলাম। তো এটা পড়ে রাজিব আমাকে অনেক অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বলে তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই এবং এটা ফাইনাল। ও আরেকটা কথা রাজিবের সাথে আমার সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় যতবার ঝগড়া লেগেছে ততবারই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত এবং আমাকে নিয়ে অনেক মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে বলতো এবং পরবর্তীতে আবার আমার সাথে সে ঠিক করতে চাইত, ও ক্রিমিনাল কিন্তু আমি অনেক বড় ছাগল ছিলাম, যে একটা মানুষ যখন সম্পর্ক টিকেনা সম্পর্ক টানাপড়েন শুরু হয় তখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে, তাহলে সেই মানুষটার কাছে কেন বারবার আমি ছুটে যাই, ভয় ছিল বিশ্বাস করেন, ভালোবাসা অনেক আগেই মরে গিয়েছিল, ভয় ছিল ক্ষতির ভয়, যেটা সত্যিতে পরিণত হয়।’

তিনি লেখেন, ‘আপনারা দয়া করে পত্রিকার কথা বিশ্বাস করবেন না। পত্রিকার লোকেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো না। তাদের সঙ্গে এক জায়গায় বসলে বা খেলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে। তারা খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। তাদের পত্রিকা বিক্রির জন্য তারা নানান কথা বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হয়। স্বচ্ছন্দ বোধ করছে।’

প্রভা লেখেন, ‘যাই হোক তবে আমি এতোটুকু বলতে পারি আমি কোনোদিন লিভ টুগেদারে ছিলাম না। যে বাসায় আমি থাকি মানে আমার বাবা-মায়ের বাসা, সেখানে আমাকে শুটিং ব্যতীত রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে ঢুকতে হয়।

‘একটা কথা, বেঁচে যেহেতু আছি, জীবনে চলার পথে ভালোবাসা আসতে পারে। আপনাদের চোখে তো আবার আমি বাজে মেয়ে, বাজে মেয়েটা বহুবার ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হয়েছে। কিন্তু কিছু বলতে পারি নাই। চাইছি সম্পর্ক টিকুক। আমি আবার কিছু বললে আপনারা তো বিশ্বাস করবেন না।’

দীর্ঘ এই আলাপের শেষের দিকে প্রভা লিখেন, ‘আত্মহত্যা করিনি বলে আপনারা আমাকে প্রতিনিয়ত ইন্সপায়ার করেন, মেরে ফেলতে চান, না জেনে না বুঝে আমাকে বিভিন্নভাবে খারাপ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।’

২০০৫ সালের দিকে একটি সাবানের বিজ্ঞাপন দিয়ে বিনোদন প্রভা। এরপর নাটকের মাধ্যমে নিয়মিত হন ছোট পর্দায়।

বিনোদন

কিছুদিন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে হঠাৎ করেই হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ায় বর-কনে কিছুটা হলেও চমকিত হচ্ছেন। তবে বর-কনে অনেক উচ্ছ্বসিতও হচ্ছেন।

অন্যের বিয়ের অনুষ্ঠানে হঠাৎ হাজির হতে দেখা গেলেও অনেক অনুরাগীদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে- কবে বিয়ে করবেন তিনি?

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন এই নায়িকা। সোজাসাপটা উত্তর দিয়েছেন- আমি খুব ভালো আছি। কেন আমার পায়ে বেড়ি পরাতে চাইছেন।

বিয়ের ব্যাপারে যে আপাতত কোনো ইচ্ছা নেই সে কথাও বললেন অভিনেত্রী- আমার তো কোনো ইচ্ছা নেই। তবে বলা যায় না, কখন কী হয়! আমি ভালো আছি। আপাতত বিয়ের ইচ্ছা নেই আমার।

প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীর হাজির হওয়া মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পেইনের অংশ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ওয়েডিং ক্রাশ। প্রতিষ্ঠানের একটি পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জয়া আহসান।