বিনোদন

বুবলীর সঙ্গে প্রেম-বিয়ে ও ছেলে শেহজাদ খান বীর প্রসঙ্গে সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। সেখানে তিনি অপু-বুবলীর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ছেন। শাকিবের সেই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী শবনম বুবলী।

নিজের সংসার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। সেখানে তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর বিষয়ও উঠে এসেছে। এর পর ব্যক্তিগত জীবন ও শাকিবের ভাষ্য নিয়ে নিজের অবস্থান খোলাখুলিভাবে তুলে ধরেছেন বুবলী।

তিনি বলেন, এসব বিতর্ক আমার কানে আসে। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে যখন বলেছে সত্য নয়, তখন তাই বিশ্বাস করেছি। কারণ তার কথা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি তাকে বিশ্বাস করি। স্ত্রী হিসেবে, শেহজাদের মা হিসেবে এবং একজন সহকর্মী হিসেবে আমি সবসময় তার পাশে আছি। দিন শেষে আমি চাই সে ভালো কাজের সঙ্গে থাকুক, ভালো ভালো চিন্তা করুক।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি বিচ্ছেদের জন্য কখনোই বিয়ে করেননি। এছাড়া শাকিবকে সম্মান করেন বলেই অনেক ব্যাপারে কথা বলেন না তিনি।

গত মাসে নায়িকা বুবলীর সন্তান নিয়ে প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গুঞ্জন রয়েছে শাকিব-বুবলীর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে। একই সময়ে গুঞ্জন ওঠে শাকিব হয়তো অপু বিশ্বাসের কাছে ফিরবেন।

তবে, এসব গুঞ্জনের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি শাকিব খান। যদিও বুবলি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি বিয়ে করেছেন সংসার করার জন্য।

তবে শাকিব খানের ইঙ্গিত পুরো বিপরীত। সম্প্রতি এসব বিষয়ে শাকিব খান সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তাদের বিয়েবিচ্ছেদ না হলেও তারা আলাদা থাকছেন।

এ বিষয়ে বুবলী বলেন, আজকে জীবনের এ পর্যায়ে এসে আমার মনে হচ্ছে, আমি হয়তো ব্যক্তিজীবন নিয়ে আপনাদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলি না, অনেক টেলিভিশন চ্যানেলে গিয়ে সবকিছু তুলে ধরি না। তাই অনেক কিছু নিয়েই গত সাত বছরে আমি বহু মানুষের ভুল বোঝার কারণ হয়েছি।

শুধু নিজের ব্যক্তিজীবন আড়ালে রাখার জন্য আর অন্য কাউকে যেন অসম্মান করে কথা বলতে না হয় সে জন্য এতদিন চুপ থেকেছেন বলে জানান বুবলী। আর এটাকেই অনেকে তাদের হাতিয়ার বানিয়ে কাজে লাগিয়েছে। কারণ সবকিছু তুলে ধরলে অনেক ইস্যুতেই অনেকে অসম্মানিত হতো, আমি এটা কখনই চাইনি। আর এটাকে ব্যবহার করেই আমাকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এখনো বলব আমি আমার জায়গা থেকে কখনই বিচ্ছেদের জন্য বিয়ে করিনি, সন্তান নিইনি। অবশ্যই সংসার করার জন্য, সুন্দর একটা পরিবারের জন্য আমি অনেক কিছু মেনে নিয়ে এখনো সুখে থাকার চেষ্টা করছি। কারণ বিচ্ছেদ কখনই ভালো কিছু নিয়ে আসে না।

শাকিব বলেছেন, মানুষ চিনতে তিনি ভুল করেছেন, কিছু ভুল মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। আপনি কী সেই ভুল মানুষদের একজন?

বুবলী বলেন, দেখুন, মানুষের জীবনটা খুব ব্যতিক্রম। কখন কী হয় কেউ জানে না। সময় সবকিছু পরিস্কার করে দেয়, কে ভুলকে সঠিক তাও সময় বলে দেয়। যে সময়টা কাউকে সবচেয়ে সঠিক মনে হয়, ঠিক অন্য আরেকটা সময় গিয়ে তাকে সবচেয়ে ভুল মনে হয়। এর জন্য সময় এবং পরিস্থিতি কিছুটা দায়ী। তাই কে কখন কী ভাবছে এটা সর্ম্পূণ যার যার ব্যক্তিগত মতামত।

অভিযোগ রয়েছে, আপনি শাকিবের শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই ইস্যু সামনে এনেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কারণ আমি কখনই শাকিব খানকে ছোট করে বা তাকে অপমান করে, তার প্রতি অভিযোগ এনে অথবা তার অসম্মান হয় এমন কোনো কথা বলিনি। অথবা এমন কোনো কাজ কখনো করিনি।

বুবলী বলেন, আমি চেয়েছিলাম আমাদের ছেলের বিষয়টা সুন্দর ভাবে সামনে আসুক, যার জন্য ছেলের আড়াই বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো। কিন্তু কী কারণে হচ্ছিল না আমি জানিনা… এমনকি আমি যখন বেবীবাম্পের ছবি দিয়েছিলাম, তখনও কী আমি কোনো অভিযোগ করেছিলাম তাকে নিয়ে? করিনি… অনেক কিছু ওভারলুক করেছি। বরং নিজে যত কষ্টই পেয়েছি না কেন, যে কোনো সময় আমি তার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় চাই সে ভালো থাকুক।

বিনোদন

আগামী ১ নভেম্বর প্যারিসে মুক্তি পাচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্র ‘পথযাত্রী’। ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ পথে ইউরোপে আসা এবং পরবর্তীতে গন্তব্যে না পৌঁছানোর সংগ্রামী জীবন এতে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান চলচ্চিত্রটির পরিচালক সৈয়দ সাহিল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসে একটি হলে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ছবিটির প্রযোজক সাত্তার আলী সুমন ওরফে শাহ আলম বলেন, দালালের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ নিরুৎসাহ করতেই এ চলচ্চিত্রটি তৈরি করা হয়েছে।

এ ছবিটির মূল বার্তা হচ্ছে দালালের খপ্পরে পড়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও দেশান্তরি যেন না হয় কেউ। মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবিটির অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীরা।

এর আগে ছবিটর ট্রেলার প্রর্দশন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের প্রেসিডেন্ট কাজী এনায়েত উল্লাহ, কমিউনিটি নেতা টিএম রেজা, আমাদের কথা প্রকাশক মরিয়ম খাতুন, কাউন্সলর রাব্বানী খান, জনপ্রিয় শিল্পী
আরিফ রানাসহ প্যারিসের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

ছবিটিতে অভিনয় করেছেন- জনপ্রিয় অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান,প্যারিসের পরিচিত মুখ আরিফ খান, ফাহাদ পারভেজ, মেতিউজ গমেজ, সজিব, শেখ নয়ন, ফরাসি অভিনেতা অ্যান্তনি, অলিসহ অনেকে। ফিল্মের টাইটেল সং ‘শেষফেরা’ গানের সুর ও কণ্ঠে রয়েছে ইমতিয়াজ রনি এবং সঙ্গীতায়োজন ও আবহ সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন ভিকি রায়।

চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন মোফাজ্জল হোসেন অপূর্ব।

বিনোদন

বলিউড সেনসেশন ক্যাটরিনা কাইফ বেশ কয়েক বছর জুড়েই জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। অভিনয় ও গ্লামারের গুণে এক যুগ ধরে তরুণদের ক্রাশ এই নায়িকা।

বিয়ের পর বাঁকবদল হয়েছে জীবনে। কাজেও বৈচিত্র আনতে চাইছেন ক্যাটরিনা। ফিল্মে নিজের চাহিদা ধরে রাখতে দক্ষিণী সিনেমায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এই নায়িকা।

এ নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। অনেকে বলছেন, ক্যাটরিনা কাইফ আর বলিউডে ভরসা রাখতে পারছেন না। এ কারণে দক্ষিণে ঝুকছেন।

দক্ষিণী সিনো ‘পোন্নিয়িন সেলভান ১’-এর সাফল্যে ক্যাটরিনা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নায়িকার ভাষ্য, ‘যদি এমন কোনো চিত্রনাট্য হাতে আসে, যাতে বলিষ্ঠ চরিত্র করতে হবে, ভাষা কোনো বাধা হবে না। দক্ষিণের পরিচালকরা রয়েছেন প্রতিভাধর।”

এর পরই পরিচালক মণি রত্নমের কথায় গেলেন অভিনেত্রী। উদাহরণ টেনে বললেন, মণি স্যরের ‘পোন্নিয়িন সেলভান ১’ কী ভালো ছবি, তাই না! এত জাঁকজমক, নিখুঁত সৌন্দর্য প্রতি ফ্রেমে সেই অপূর্ব সঙ্গীতনির্মাণ— আমি মুগ্ধ। জীবনের এই পর্বে এসে এমন একটা দুর্দান্ত কাজ চিনিয়ে দেয় তিনি কতটা বড় মাপের পরিচালক।

ভিকি কৌশলের সঙ্গে বিয়ের পর ‘ফোন ভূত’ প্রথম ছবি ক্যাটরিনার। সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী এবং ঈশান খট্টরের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাবে এই ছবিতে। আগামী ৪ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘ফোন ভূত’। ছবিটি নিয়ে বেশ আশাবাদী ক্যাটরিনা।

বিনোদন

বিখ্যাত টালিউড অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে কোয়েল মল্লিক। খুব কম বয়সেই সিনেমায় আসেন এ অভিনেত্রী। নাটের গুরু ছবি দিয়ে টালিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। তবে প্রথম ছবি থেকেই দর্শকদের মন জয় করে নিতে সক্ষম হন কোয়েল।

সেই যে শুরু হলো তার পর থেকে আর ফিরে দেখতে হয়নি অভিনেত্রীকে। একের পর এক কমার্শিয়াল হোক বা ফিচার ফিল্ম নিজের দুর্দান্ত অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মন করেছেন প্রতিবারই।

আসলে ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতে বেশি পছন্দ করেন কোয়েল। খুব কম মুখ খোলেন পরিবার নিয়ে। তবে সেই নীরবতা ভেঙেছিল বনির সঙ্গে আড্ডার সময়। ছোটবেলায় গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া প্রেমের প্রস্তাবের গল্প শেয়ার করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

প্রশ্নটা বনিই করেছিলেন, ‘তোমাকে নাকি গৃহশিক্ষক প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল?’ আর তাতে কোয়েল বেশ অবাক হন! জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার সোর্স এটিও জানে?’ হাসতে শুরু করে দেন কোয়েল। তার পর অবশ্য খুলেই বলেন গোটা ঘটনা। জানান তখন তিনি ক্লাস সেভেন কী এইট! সায়েন্স টিচারও সবে কলেজ থেকে বেরিয়েছে, চাকরি খুঁজছে এ রকম।

তো একদিন সেই শিক্ষক এসে কোয়েলকে বললেন, তোমাকে আজকে একটা কথা বলব। আগে আজকের পড়া শেষ করে নাও তার পর। কোয়েলের সরল মন প্রথমে ভেবেছিল, শিক্ষক বুঝি নতুন চাকরি পেয়েছেন, আর সেটিই বলবেন। তিনিও জোর করতে থাকেন। তবে শিক্ষক বলেন, পড়ানোর শেষেই বলবেন। কারণ এতে নাকি সেদিনের পড়াটাই নষ্ট হতে পারে।

নায়িকার কথায়, ‘যথারীতি পড়া শেষ হলো। আর উনিও বললেন সেই থ্রি ম্যাজিকাল ওয়ার্ডস। শুনে তো আমার মুখ সাদা। ভয় করতে শুরু করেছিল। উনি আমাকে সে কথা বলে নিচে নেমে গেলেন। রোজ আমি শিক্ষকের সঙ্গেই নামতাম। মা খবর নিত কতটা পড়া হলো, কী পেরেছি আর্ কী পারিনি। সেদিন আর আমার নামার সাহস হয়নি। পরে শিক্ষক চলে যেতে মাকে সব বললাম।’

কোয়েল জানান, তার পর সেই শিক্ষককে আর পড়াতে আসতে দেননি মা দীপা। অভিনেত্রী সঙ্গে এটিও জানান, এ ব্যাপারে বাবার সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। মা বলে থাকতেও পারে!

আর তাতে বনির হাসতে হাসতে জবাব, ‘হ্যাঁ শুনলেই চাবকে চামড়া তুলে নিত’!

বিনোদন

সমালোচকদের বিচারের ভারতের ইতিহাসে সেরা ১০টি সিনেমার মধ্যে দুটিই সত্যজিৎ রায়ের; শুধু তাই নয়, শীর্ষ তালিকায় রয়েছে বাঙালি আরও দুই নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেনের দুটি সিনেমা।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম ক্রিটিকস (এফআইপিআরএসসিআই) সম্প্রতি দেশের ইতিহাসে সেরা ১০টি সিনেমা নির্বাচন করে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।

১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত এফআইপিআরএসসিআই কান, ভেনিস বা ভিয়েনা ইত্যাদি চলচ্চিত্র উৎসবে বিভিন্ন সিনেমাকে পুরস্কৃত করে থাকে।

তাদের বিচারে সেরা সিনেমা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী। কিংবদন্তি এই নির্মাতার প্রথম সিনেমাটি ভারতের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক সিনেমা হিসেবে বিবেচিত।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস থেকে ১৯৫৫ সালে সিনেমাটি নির্মাণ করেন সত্যজিৎ।

দ্বিতীয় সেরা নির্বাচিত হয়েছে ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’। ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া এই নসিনেমাটি শক্তিপদ রাজগুরুর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক মহারথী মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি হিন্দিতে নির্মাণ করেছিলেন মৃণাল সেন।

তালিকায় চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আদুর গোপালকৃষ্ণণের মালয়ালাম সিনেমা ‘এলিপ্পাথায়াম’, গিরীশ কাসারাভাল্লির কন্নড় সিনেমা ‘ঘাটশ্রাদ্ধ’ এবং এমএস সথ্যুর ‘গরম হাওয়া’।

সপ্তম স্থানটি আবার নিয়েছেন সত্যজিৎ রায়, চারুলতা নিয়ে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে ১৯৬৪ সাল নির্মিত হয় সিনেমাটি।

অষ্টম স্থানে রয়েছে শ্যাম বেনেগালের ‘অঙ্কুর’। শাবানা আজমী অভিনীত এই সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে।

নবম ও দশম স্থানে রয়েছে বলিউডের দুই সিনেমা গুরু দত্তের ‘পিয়াসা’ এবং রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’।

বিনোদন

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলী। শাকিব খানের সঙ্গে গোপনে প্রেম-বিয়ে ও সন্তান জন্ম সব মিলিয়ে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে অনেকেই মুখ খুলেছেন।

বুধবার একটি রেডিও চ্যানেলের মুখোমুখি হন টিভি অভিনেত্রী ও নির্মাতা ফাল্গুনী হামিদ। সেখানেই তিনি বুবলী-শাকিব ইস্যুতে কথা বলেন।

সাংবাদিক, অভিনেত্রী ও নাট্যকার ফাল্গুনী হামিদের ভাষ্যে, ‘শুধু শাকিব খান নন, অপু-বুবলীও ভুল করেছেন। অভিনয়ে এসেই কেন একজন সুপারস্টারের প্রেমে পড়তে হবে, সন্তান গর্ভে ধারণ করতে হবে?’— প্রশ্ন রাখেন তিনি। দোষটা শুধু শাকিবের একার নন, এক্ষেত্রে মেয়েদেরও দোষ আছে বলে মনে করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।

ফাল্গুনীর এই মন্তব্যের পর ভীষণ চটেছেন বুবলী। ক্ষোভ উগরে দিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যদিও তিনি তার পোস্টে নাম উল্লেখ করেননি।

তবে কাকে উদ্দেশ্য করে বুবলীর এই কড়া বার্তা সেটি অনুমান করতে পারছেন দর্শক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বুবলী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আপা, আপনি একাধারে লেখিকা, পরিচালক, নাট্যকার, অভিনেত্রী এবং সাংবাদিকসহ নানান গুনে গুণান্বিত। আপনি অনেক সিনিয়র একজন ব্যক্তিত্ব। আমাদের এই মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার দায়বদ্ধতা অনেক। আপনাকে আমি সম্মান করি।’

ফাল্গুনীর করা মন্তব্যের বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বুবলী লেখেন, ‘যখন কোনো পার্টিকুলার বিষয়ে যেটা একান্তই কারো ব্যক্তিগত। সে বিষয়ে পুরোটা না জেনে কোথাও বিচারকের মতো কোনো বিচারমূলক কমেন্ট করেন, তখন আপনার কথার ভঙ্গিমা, শব্দের প্রয়োগ এবং একদিকে পক্ষপাতিত্বমূলক কমেন্টটা শুনলে বুঝতে আর বাকি থাকে না আপনি সেই বিষয়ে বা যাকে নিয়ে বলছেন সে ব্যক্তিকে প্রপারলি না জেনেই কমেন্ট করছেন।’

নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়ে বুবলীর মন্তব্য, ‘আপনার এরকম আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করা কমেন্টটা দেখে অবাক হয়েছি। আমরা যাদের অভিভাবক ভাবছি তারা তাদের সব সন্তানদের এক চোখে দেখেন না। দুঃখজনক!’

পোস্টের শেষ দিকে বুবলী ইংরেজিতে একটি বাক্য জুড়ে দেন , ‘দ্যাট‘স হাউ উই লার্নিং ফ্রম দ্য সিনিয়রস!’। (আর এভাবেই আমরা বড়দের কাছ থেকে শিখছি)।

উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুবলী নেটমাধ্যমে নিজের ‘বেবি বাম্প’র ছবি প্রকাশ করেন। জল বেশিদূর না গড়াতেই প্রকাশ্যে আসে শেহজাদ খান বীর। বাবা শাকিব ও মা বুবলী দুজনই জানান দেন তাদের নতুন সম্পর্ক ও সন্তানের কথা।

বিনোদন

দেশ ও প্রবাসের ২৭ শিল্পী ও কলাকুশলী এবার নিউইয়র্ক ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার রাতে কুইন্সের জ্যামাইকার অ্যামাজুরার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের শো টাইম মিউজিকের স্বত্বাধিকারী আলমগীর খান আলম একে একে ২৭ শিল্পী ও কলাকুশলীর নাম ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীরা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মডেল এবং বলিউড অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি পেয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল আইকন অ্যাওয়ার্ড। প্রবাসের বেশ কয়েকজন পৃষ্ঠপোষকও পেয়েছেন নিউইয়র্কের ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড।

এবার যারা নিউইয়র্কের সর্ববৃহৎ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, তারা হলেন— সেরা টেলিভিশন অভিনেতা আফরান নিশো, সেরা টেলিভিশন অভিনেত্রী যথাক্রমে-মেহজাবিন চৌধুরী (রেডরাম), তানজিন তিশা, তাসনিয়া ফারিন (নিউ সেন্সেশন), শ্রেষ্ঠ সহকারী অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি, সেরা গায়ক তাহসান খান, সেরা গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা, সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খান (জনপ্রিয়) ও চঞ্চল চৌধুরী (হাওয়া), সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ‘হাওয়া’, সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম (পরাণ), সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (জনপ্রিয়) পূজা চেরী, সেরা অভিনেতা (কমেডি) জিয়াউল হক পলাশ, সেরা নাট্যপরিচালক মোস্তফা কামাল রাজ।

এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আমেরিকান মডেল ও বলিউডের অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি, বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন ফারিয়া শাহরিন, লোকগানের শিল্পী কালা মিয়া, সেরা টিভি সংবাদ পাঠিকা রুমানা আফরোজ, প্রবাসের সেরা গায়ক শাহ মাহবুব, রানো নেওয়াজ, রায়ান তাজ, প্রবাসের সেরা গায়িকা নীলিমা শশী, সংগীতশিল্পীর বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন মরিয়ম মারিয়া, ইমন ও প্রবাসের সেরা উপস্থাপক বাবু জামান। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বেশ কয়েকজন পৃষ্ঠপোষকও পেয়েছেন এবারের নিউইয়র্ক ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড।

শো টাইম মিউজিকের স্বত্বাধিকারী আলমগীর আলম খান বলেন, ঢালিউডের ২০তম আসর আশানুরূপ সফল হয়নি। অনুষ্ঠানটি সফল করতে যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল শেষে সেটি করা সম্ভব হয়নি। দর্শক সংখ্যা যা হয়েছে তার চেয়ে আরও বেশি তিনি আশা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন।

বিনোদন

এশিয়ার সঙ্গীত নিয়ে সবচেয়ে বড় আয়োজন ঐক্য-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-২০২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঐতিহাসিক পদ্মা সেতুর পশ্চিমহান্তের শেখ রাসেল সেনানিবাসে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাঁকাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তারকাবহুল এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল আজীবন সম্মাননা। এ বছর এই সম্মাননা পেয়েছেন সঙ্গীতজ্ঞ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বরেণ্য এই শিল্পীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সেনাবাহিনী প্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, সনদপত্র তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, অর্থমূল্য চেক তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীন আকতার রেনী।

এসময় রেজওনা চৌধুরী বন্যা বলেন, এমন স্বীকৃতি পেয়ে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ৷ এমন স্বীকৃতি ও সম্মান সব সময়ই আনন্দদায়ক। প্রত্যেক শিল্পীই কাজের স্বীকৃতি পেতে চায়। আজকে আমাকে যে সম্মান দেওয়া হলো এতে সৃষ্টিকতা, আমার মা-বাবা, শ্রোতা, আমার ছাত্র-ছাত্রী সবার কাছেই কৃতজ্ঞতা। স্বীকৃতি ও সম্মাননা কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দেয়। যখন এমন সম্মাননা পাই তখন ভাবি আসলে আমি এর যোগ্য কিনা! সেই যোগ্য যেন হয়ে উঠতে পারি সবসময় সেই প্রার্থনা করি।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বন্যার সঙ্গীত চর্চার শুরু হয় ছায়ানট থেকে। পরে তিনি ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকে সঙ্গীত নিয়েই রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ধ্যানজ্ঞান। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। গান দিয়ে তিনি কেবল বাংলাদেশ নয়, ভারতেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

কর্মজীবনে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ১৯৯২ সালে তিনি নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন সঙ্গীত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’। যা দেশের অন্যম বড় ও সফল সঙ্গীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।

সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা লাভ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক। এছাড়া ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতেও তিনি বেশ কিছু পদক পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বঙ্গভূষণ। ২০১৭ সালে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

ব্যক্তিগত জীবনে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী জি এইচ চৌধুরী। বন্যার মেয়ে প্রিয়দর্শিনী, ছেলে অর্ক দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে লেখাপড়া শেষ করে সেখানেই চাকরি করছেন।

বিনোদন

ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নায়িকা শ্রুতি হাসান। যার আরেকটি পরিচয় তেলুগু সুপারস্টার কমল হাসানের মেয়ে হিসেবেও। শ্রুতি বলিউডেরও একজন প্রতিষ্ঠিত নায়িকা। তার গ্ল্যামার বা অভিনয় সব কিছুতেই মুগ্ধ ভক্তরা।

শুধু অভিনয় নয়, তিনি একজন গায়িকাও বটে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সবসময় আলোচনায় থাকেন তিনি। তবে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও বেশ জনপ্রিয় নাম শ্রুতি হাসান। তার সাহসী প্রকৃতি এবং আন্তরিক অভিনয়ের কারণে বরাবরই তিনি একটি শক্তিশালী ফ্যান ফলোয়িং উপভোগ করেন।

সম্প্রতি তিনি নিজের ‘পিসিওডি’ সমস্যার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এর পর তিনি আরও জানালেন, তিনি কিছু দিন আগেই নাকের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। অর্থাৎ নোসসার্জারি করেছিলেন। কারণ একটি দুর্ঘটনায় তার নাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তিনি নাক সুন্দর করার জন্য নাক সার্জারি করেন।

শ্রুতির কথায়, আমি আমার নাক ঠিক করেছি! শ্রুতি হাসান নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা বলতে কখনই দ্বিধাবোধ করেন না।

হাটারফ্লাইয়ের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি আমার নাক ঠিক করেছি এবং এটি খুব স্পষ্ট যে আমি আমার নাক ঠিক করেছি। আমার নাক ভেঙে গিয়েছিল এবং আগের থেকে বেশ আলাদা দেখাচ্ছিল আমাকে। তাই নাক ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে আমি বিচ্যুত সেপ্টাম নিইনি। আমি মনে করি, আমার মুখ আরও সুন্দর করতে পারি, কেন করব না?

বিনোদন

গত কুরবানির ঈদের দিন থেকে ঢাকাই সিনেমার বাজার চাঙা হয়েছিল। সে সময় অনন্ত জলিল অভিনীত ‘দিন : দ্য ডে’ ও বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত ‘পরান’ সিনেমাগুলো দর্শক টেনেছে বেশ। ঈদের দুই সপ্তাহ পর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হাওয়া’ নামে আরেকটি সিনেমাও বাজার চাঙা রেখেছিল। কিন্তু পরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো আর সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। তবে সিনেমার যে একটি জোয়ার এসেছে সেটা অনস্বীকার্য। এ জোয়ারে ভাসতে চাইছেন অনেক তারকাশিল্পী।

এবার সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী। আগামী ৪ নভেম্বর মুক্তি পাবে তার অভিনীত সিনেমা ‘ভাঙন’। এটি পরিচালনা করেছেন মির্জা সাখাওয়াত হোসেন। এটি মূলত সরকারি অনুদানে নির্মিত একটি সিনেমা। এতে অভিনয় প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘ভাঙন সিনেমার গল্পটা আমার কাছে ভালো লেগেছিল। বাস্তবধর্মী গল্প। আর আমার চরিত্রটিও বেশ চ্যালেঞ্জিং। এ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, শ্রম দিতে হয়েছে।

একজন শিল্পী হিসাবে আসলে অভিনয়ে তো অতৃপ্তি থাকবেই। তারপরও এ সিনেমার চরিত্রটিতে নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। এফডিসিতে দীর্ঘদিন পর টানা কোনো সিনেমার শুটিং সম্পন্ন করেছি। পরিচালক সাখাওয়াত ভাই সিনেমাটি বেশ যত্ন নিয়েই নির্মাণ করেছেন। আমি আশাবাদী এটি নিয়ে। এখন সিনেমা হলে দর্শকের যে জোয়ার চলছে, এটা খুব পজিটিভ। ভাঙনও সেই জোয়ারের মধ্যে দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করুক এটাই কাম্য।’ এদিকে মৌসুমী আশুতোষ সুজনের ‘দেশান্তর’ ও জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় ‘সোনার চর’ নামে দুটি সিনেমা আছে মুক্তির অপেক্ষায়।