বিনোদন

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ২০ দিন অতিবাহিত হয়েও চলছে। শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ক্ষত বিক্ষত জেলেনস্কির দেশ।

দেশটির আকাশে বারুদের গন্ধ। সাম্প্রতিক খবর অনুসারে কিয়েভ দখল করতে মরিয়া রুশ সেনা।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চের মধ্যে ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন সাধারণ মানুষও। নিহতের তালিকায় ৪৩ শিশুও রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫৭টি শিশু। সব মিলিয়ে আহত সাধারণ নাগরিকের সংখ্যা ১,০৬৭। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন ২৫ লাখ মানুষ।

এরই মাঝে শাহরুখ খানের পুরনো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এটি ভাইরালের মূল কারণ ভিডিওটি যুদ্ধের ধ্বংসলীলা কেন্দ্রিক।

চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শাহরুখের বলা কথাগুলো হুবহু মিলে যাচ্ছে, তাই নেটমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও।

কী বলছিলেন বলিউড বাদশা, যা শান্তিকামী হৃদয়গুলোকে ছুঁয়ে গেছে? আসলে যুদ্ধের ‘ব্যর্থতা, দুঃখ এবং একাকীত্ব’কে তুলে ধরা হয়েছে এই ভিডিওতে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শাহরুখ খানকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘শুধু মৃতেরাই যুদ্ধের শেষ দেখেছেন। কেউ জানে না কোথায় শেষ এ যুদ্ধের। এটি শুধুমাত্র সেই মানুষদের জন্য যুদ্ধ শেষ হয়, যারা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তাই যুদ্ধে অনেক অসারতা আছে। যুদ্ধ কোন সমাধান হতে পারে না। যুদ্ধ মানেই অনেক দুঃখ-কষ্ট। যুদ্ধে থাকে একাকীত্ব। ভালো, খারাপ, বাজে, প্রতিশোধ, সময়ের প্রয়োজন – যে যাই নাম দিক না কেন; বাস্তবতা হল যে যুদ্ধ সুন্দর নয়। যুদ্ধ শান্তি ও মঙ্গলের বিকল্প নয়। যুদ্ধ প্রেম, আলোচনা, আলোচনা বা এমনকি ঝগড়ার বিকল্প নয়। শান্তি, ভালোবাসার বিকল্প হতে পারে না যুদ্ধ।যুদ্ধ এমন কিছু নয় যার জন্য কাউকে যেতে হবে।’

বিনোদন

বছর শুরুতেই নিজের ভালোবাসার মানুষ সনি পোদ্দারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। এরপর মালদ্বীপে মধুচন্দ্রিমাও সেরেছেন তারা।

এবার সংসার গুছিয়ে পুরোদমে কাজে মনোযোগী হচ্ছেন এই তারকা।

আসন্ন ঈদে ছোট পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছে মিম। তবে বড় পর্দায় থিতু হওয়ার পর নাটকে এই অভিনেত্রীকে খুবই কম দেখা যাচ্ছে। এক বছর পর মাবরুর রশীদ বান্নাহ পরিচালিত ‘উই আর হাজব্যান্ড ওয়াইফ’ নাটকের মাধ্যমে ফিরছেন তিনি।

সোমবার (১৪ মার্চ) থেকে নাটকটির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন মিমি।

এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, অনেকদিন পর নাটকে ফিরলাম। আমি বিশেষ দিবসে অনুরোধে নাটকে কাজ করি। গল্পসহ সবকিছু পছন্দ হওয়ায় কাজটা করছি।

তিনি আরো জানান, সর্বশেষ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তার অভিনীত নাটক প্রচারিত হয়েছিল। আলফা আই প্রযোজিত এবারের নাটকে তিনি সহশিল্পী হিসেবে পাচ্ছেন তাহসান খানকে। এর আগে সবশেষ এই জুটিকে দেখা গিয়েছিল ওসমান মিরাজ পরিচালিত ‘হঠাৎ বিয়ে’ নাটকে দেখা গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, মিম অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সাপলুডু’। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘পরাণ’ ও ‘অন্তর্জাল’।

বিনোদন

‘গানবাংলা’ টিভির কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নি দম্পতির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন।

রাজধানীর একশ ফিট এলাকার শেফ টেবিল কনভেনশন হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢালিউড নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সেখানেই সানি লিওনের সঙ্গে দেখা হয় দিঘীর। সানি লিওনের সঙ্গে ফেসবুকে একটি সেলফিও পোস্ট করেছেন দিঘী। ওই অনুষ্ঠানে সানি লিওনের সঙ্গে দিঘী নেচেছেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে, প্রায় ১৯ ঘণ্টা অবস্থান শেষে রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়েছেন সানি লিওন।

বিয়ের নিমন্ত্রণেই শনিবার বিকালে ব্যক্তিগত বিমানে ঢাকায় আসেন সানি। ঢাকার মাটিতে পা রেখেই এদিন বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে নিজের ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে লেখেন, সুন্দর এই দেশে এসে আমি অনেক খুশি। হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন— বাংলাদেশ, ঢাকা, পার্টিটাইম। তার এই স্ট্যাটাসের পর পরই দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়।

ঢাকায় আসার পর সানি লিওন সোজা চলে যান গানবাংলা টিভির কার্যালয়ে। সেখানে তাকে বরণ করে নেন সংগীতশিল্পী ও গানবাংলার কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস।

সানির সঙ্গে এই সফরে আরও এসেছিলেন ভারতের সংগীতশিল্পী কৈলাশ খের, নারগিস ফাখরি, নুশরাত জাহান, যশ, মিমি চক্রবর্তী। রোববার বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মাতিয়ে রাখেন কৈলাশ খের। এ সময় নাচে অংশ নেন সানি লিওন ও নারগিস ফাখরি।

সেই জমকালো অনুষ্ঠানের কয়েকটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে।

সেখানে চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা ফাতিমা তুজ জাহরা ঐশীর ‘দুষ্টু পোলাপাইন’ গানে নাচতে দেখা গেছে সানি লিওন ও নারগিস ফাখরিকে। আশপাশে উপস্থিত সবাই নায়িকার সঙ্গে নেচেছেন।

বাংলাদেশি শিল্পীদের মধ্যে তাপসের গাওয়া গানে প্রথমবার মডেলও হয়েছিলেন সানি লিওন ও নারগিস ফাখরি। তখন থেকেই বলিউডের এ দুই তারকার সঙ্গে সখ্যতা তাপস-মুন্নির।

উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সানি লিওনকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হলেও গত ৯ মার্চ আরেকটি প্রজ্ঞাপনে সেই অনুমতি বাতিল হয়।

এর পরও তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। ‘নিষেধাজ্ঞা’ সত্ত্বেও কীভাবে বাংলাদেশে এলেন সানি লিওন সে প্রসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিউটি অফিসার মো. খায়রুল গণমাধ্যমকে বলেন, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসেছেন সানি লিওন। তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা ছিল না। তিনি আমেরিকার নাগরিক হিসেবে এসেছেন। তার কাছে বৈধ ভিসা ছিল। সব কাগজপত্র ঠিক থাকায় এ অভিনেত্রীর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।

তবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও তার শুটিং করতে মানা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

বিনোদন

রাশিয়ার বাধানো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চেরনিহিভ শহরের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ইউক্রেইনের সেরা টেকনো ডিজেদের একজন ওলগা কোরোলোভা। একা নন অবশ্য; সঙ্গে ছিল কন্যা, তার কুকুরটি আর দুটো ব্যাগে চটজলদি যা যা ভরে নেওয়া যায়।

”আমি পাগলের মতো গাড়ি চালাচ্ছিলাম। একটা বোমার বিস্ফোরণ হতে দেখলাম। তারপর থেকে মাথায় শুধু একটা চিন্তাই ঘুরপাক করছিল। দূরে কোথাও চলে যেতে হবে, বাচ্চাটার জন্য।”

টানা কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে পোল্যান্ড সীমান্তে ঢুকে পড়েন কোনোলোভা। ঘটনাক্রমে ওই রাতেই তার একটি ডিজে শো করার কথা।তাতে যেসব গান বাজাবেন বলে তালিকা করে রেখেছিলেন, সেসব রেখে দেশি শিল্পীদের গান লাগাতার চালাতে শুরু করেন তিনি।

যুদ্ধে দেশের মানুষের মনোবল চাঙ্গা রাখতে আর বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে তুলতে ইউক্রেইনের সংগীত শিল্পীদের এমন অনেক চেষ্টার কথা তুলে ধরেছে বিবিসি।

ডিজে কোরোলোভা বিবিসিকে বলেন, “আমি স্টেজে কাঁদছিলাম। আমি একের পর এক গান বাজিয়ে চলেছি আর কেঁদেই চলেছি।আমার জন্য সেটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমি জানতাম আমার কিছু একটা করতেই হবে।”

ডিজে পরিবেশনা থেকে যে আয় করেছিলেন, তার পুরোটাই তিনি দিয়ে দেন ইউক্রেইন সেনাবাহিনী এবং জনসেবার কাজে।

পরের রাতে কোরোলোভা তহবিল সংগ্রহে নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও একটি পরিবেশনা করেন।

তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে এক সময় থাকত ভ্রমণ, নাইটক্লাবে ডিজে পরিবেশনার আবেদনময়ী ছবি। এখন তাতে নিয়মিত রাশিয়ার আগ্রাসী হামলার ছবি থাকে, আরও থাকে ইউক্রেইনের পরিস্থিতি নিয়ে হালনাগাদ তথ্য।

ডিজে কোরোলোভা তার রুশ ভক্তদের কাছে এই ধ্বংসযজ্ঞের কথা পৌঁছতে চান।

”রাশিয়ার মানুষ সত্য জানতে পারছে না, আর তা আমাকে পীড়া দিয়ে চলেছিল। মনে হচ্ছিল তারা যেন সবরকম তথ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তর কোরিয়াতে রয়েছে। রাশিয়া থেকে আমার ভক্তরা বার্তা পাঠাচ্ছিল। ওরা বলছিল, এসব সত্য নয়; সবকিছু মিথ্যা। আপনার সব পোস্ট মিথ্যা। তারা এসব কিছুই দেখতে চাইছিল না।”

কোরোলোভা একা নন; মূল ধারার সংবাদমাধ্যমে যে খবর মিলছিল না, যুদ্ধের মুখোমুখি হয়ে ইউক্রেইনের অনেক সাড়া জাগানো ও উদীয়মান সংগীতশিল্পীরাও অনানুষ্ঠানিকভাবে সেসব খবর প্রচারের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিলেন।

“সবাই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজ নিজ অনুসারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে”, বললেন লোকশিল্পী ক্রিস্টিনা সোলোভি।

“আমাদের শহরের ভেতরে যা ঘটছিল তা ছড়িয়ে দিচ্ছি। আমরা রাশিয়ার মানুষদের কাছে পৌঁছতে চাই, যেন তারা সমাবেশে যোগ দেয়; তাদেরকে বলতে চাই, এ ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন।”

ইউটিউব ভিডিওর থাম্বনেইল ছবিতে শত শত ইউক্রেইনীয় শিল্পী দেশের পতাকা লাগিয়েছিলেন; তার সঙ্গে বড় বড় করে লেখা ছিল কিছু কথা – ‘আপনি যখন এই ভিডিওটি দেখছেন, তখন রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেইনে মানুষ মরছে; এসব বন্ধ করুন’।

মার্চে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কথা ছিল রক ব্যান্ড জিনজিরের; আকস্মিক যুদ্ধে থেমে গেছে তাদের গান

মার্চে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কথা ছিল রক ব্যান্ড জিনজিরের; আকস্মিক যুদ্ধে থেমে গেছে তাদের গান

ওকিয়ান এলজি একটি ইউক্রেনীয় রক ব্যান্ড। এর সদস্য এসভিয়াটোস্ল্যাভ ভাকারচুক প্রতি ঘণ্টায় যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতির তুলে ধরছেন।

একটি ভিডিও পোস্টে তাকে দেখা যায় হাসপাতালে আহত সৈন্যদের পাশে। আরেকটি ভিডিওতে তিনি বুলেট প্রতিরোধী পোশাক পরে খারকিভের সড়কে বক্তৃতা দিচ্ছেন। গাড়ি নিয়ে খাবার ও তেল পৌঁছে দিতেও দেখা গেল তাকে একটি ভিডিওতে।

তিনি বলেন, “বিশ্বের এই অংশে আমার একটি পরিচিতি আছে।আর আমি এটাকে কাজে লাগিয়ে যা যা করা সম্ভব তা করতে চাইছি।”

এক সময়ের রাজনীতিবিদ স্লাভার কোমল কথা ইউক্রেইনের মানুষের মনে ছাপ ফেলছিল। দুর্নীতি প্রতিবাদে ২০০৮ সালে তিনি নিজের আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন। ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতি ত্বরান্বিত করা ২০১৪ সালের রেভুল্যুশন অব ডিগনিটি বা ময়দান বিপ্লবেও তার জোরালো ভূমিকা ছিল।

ওকিয়ান এলজিকে সঙ্গে করে শ্রোতাদের কাছেও তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। একে বিবিসি তুলনা করছে পশ্চিমের ব্রুস স্প্রিংস্টিন অথবা পল ম্যাককার্টনের সঙ্গে। ২০১৪ সালে ইউক্রেইনের সবচেয়ে বড় কনসার্ট করেছিলেন এই শিল্পী। রাশিয়াতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে তার।

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে মানুষের মনে পরিবর্তন আনতে নিজের সবরকম সাংস্কৃতিক সম্পদকে ব্যবহার করতে চান এই শিল্পী।

বিনোদন

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হচ্ছে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচারকাজ। ১৯ বছর পর আগামী ২০ মার্চ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। দীর্ঘদিন মামলাটিতে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ শেষে বিচারিক আদালতে নথি আসে।

ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী বলেন, এদিন আসামিদের উপস্থিতির জন্য ধার্য ছিল। আসামিদের মধ্যে তারিক সাঈদ মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

তবে অপর আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন কারাগারে থাকলেও তাকে উপস্থিত করা হয়নি। আর আসামি আদনান সিদ্দিকী, ফারুক আব্বাসীর পক্ষে সময়ের আবেদন করলে আদালত- তা মঞ্জুর করেন। তবে আসামি ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও সেলিম খানের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বাকি দুই আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী পলাতক।

আদালত সূত্র জানায়, বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী এ মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। দুই বছর পর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এই ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই সময় এক আসামি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি এমএ মতিন ও সৈয়দ রিফাত আহমদের বেঞ্চ ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওই রিট আবেদনে প্রথমে তিন মাসের জন্য নিম্ন আদালতে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। এরপর ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রিটের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলাটির নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

 

বিনোদন

‘সোলজার’ নামে একটি বাংলাদেশি সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিতে বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনিকে ঢাকায় আসার অনুমতি দেওয়ার পর তা বাতিল করেছে সরকার।

বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অনিবার্যকারণে’ করনজিৎ কর ওয়েভারের (সানি লিওনি) বাংলাদেশে আগমনের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মেসার্স চেয়ারম্যান ফিল্ম সিন্ডিকেটের আবেদনের প্রেক্ষিতে সানি লিওনিকে ঢাকায় আসার অনুমতি দিয়েছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

পরে তা বাতিলের কারণ জানতে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র) সাইফুল ইসলামকে ফোন করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় সানি লিওনির `ওয়ার্ক পারমিট’ বাতিলের বিষয়েও কোনো মন্তব্যও করতে চাননি প্রযোজক সেলিম খান।

তিনি জানান, তিনি এখন আর সিনেমাটিই নির্মাণ করবেন না। তবে এর কোনো কারণ জানাতে চাননি তিনি।

সিনেমাটির পরিচালনা করার কথা ছিল পরিচালক শামীম আহমেদ রনি।

দেশি চলচ্চিত্রে বিদেশি অভিনয় শিল্পীদের অংশগ্রহণসংক্রান্ত নীতিমালা-২০২০ (সংশোধিত) অনুযায়ী বাংলাদেশের কোনো সিনেমায় বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) আবেদন জানায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান; এফডিসির সুপারিশের ভিত্তিতে বিদেশি শিল্পীদের ‘ওয়ার্ক পারমিট’ দেওয়া হয়।

‘সোলজার’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সানি লিওনিসহ ১০ জন ভারতীয় অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীকে ওয়ার্ক পারমিট দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তাদের মধ্যে শুধু সানি লিওনির ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয়েছে; যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টে তার ঢাকায় আসার কথা ছিল।

এর আগে সেলিম খানের আরেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার ‘বিক্ষোভ’ নামে একটি চলচ্চিত্রে সানি লিওনির আইটেম গান রাখা হয়েছিল। পরে সিনেমা থেকে গানটি ফেলে দিয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।

বিনোদন

দীর্ঘদিন ধরেই ছোট পর্দায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে আসছেন তানজিন তিশা। তবে গেল দেড় মাস কোন কাজ করেননি এই তারকা অভিনেত্রী।

পারিবারিক কারণেই (তার বাবার মৃত্যুর পর) অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে শিগগিরই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন এই অভিনেত্রী।
তানজিন তিশা বলেন, বাবা চলে যাওয়ার পর কোন কাজ করতে পারিনি। নতুন কাজের পরিকল্পনা করছি। শিগগিরই কাজ শুরু করব। ভালো কিছু কাজ করার চেষ্টাই করব।

২০২১ সালে সঞ্জয় সমদ্দারের পরিচালনায় ‘লোহার তরী’ ওয়েব ফিল্মে কাজ প্রশংসিত হয়েছিলেন তানজিন তিশা। যেখানে ব্যতিক্রম চরিত্রে দেখা গিয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। তার মতে, লোহার তরী’তে আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। এর আগে এমন চরিত্রে অভিনয় করিনি। এটা আমার জন্য ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল। জানি না মানুষের কাছে কতোটা ভালো লেগেছে।

তানজিন তিশার আজকের অবস্থানে আসতে কোন বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে কিনা? সে বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, প্রত্যেকটা নারীর সফল কাজের পেছনে বাধা-বিপত্তি থাকে। এটাই স্বাভাবিক। যদি না থাকে তাহলে আমি বলবো- অস্বাভাবিক। সেই জায়গা থেকে স্ট্রাগল করে আমি যখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকব কিংবা ভালো একটা কাজ করবো সেটাই আমার সফলতা। সবার পেছনে বাধা থাকে, কিন্তু সেটি অতিক্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়।

নারী দিবসে (০৮ মার্চ) ‘উইমেন ওয়ারিয়র্স অ্যাওয়ার্ড অ্যান্ড এক্সপো’তে সেরা অভিনেত্রীর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তানজিন তিশা। এরপর তিনি বলেন, যে নারীরা প্রতিনিয়ত ফাইট করছে, স্ট্রাগল করছে, তাদেরকে আমার আজকের অ্যাওয়ার্ডটি উৎসর্গ করলাম।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে কাদের অনুপ্রেরণায় সাহস পেয়েছেন সামনে চলার? বিষয়টি নিয়ে এই অভিনেত্রীর ভাষ্য, প্রত্যেকটি মানুষ একটা অবস্থানে পৌঁছাতে কারও না কারও অনুপ্রেরণা থাকে। আমি আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি এর পেছনে আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনদের অনেক অনুপ্রেরণা রয়েছে। আজকের অবস্থানের পেছনে স্পেশালি আমার মায়ের অনেক বড় হাত রয়েছে।

বিনোদন

হাইকোর্টের রায় পেয়ে এফডিসিতে এসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

বুধবার (২ মার্চ) জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক পদে বৈধ ঘোষণা করেছেন উচ্চ আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের পর বিকেলে এফডিসিতে আসেন তিনি। এরপরই সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮টার দিকে তিনি চেয়ারে গিয়ে বসেন। এ সময় সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

জায়েদ খান বলেন, ‘এটা শিল্পীদের জয়, আমি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছি। আদালতে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার দায়িত্ব পালন করে যাব’।

বিকেলে জায়েদ খান এফডিসিতে গেলে নিপুণ-জায়েদ প্যানেলের সমর্থকদের নানা রকম স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে সন্ধ্যায় সেখানে ঝটিকা অভিযান চালায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা লাঠি নিয়ে ধাওয়া শুরু করে নিপুণ-জায়েদ খান পক্ষ-বিপক্ষ অনুসারীদের।

এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, এফডিসি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অধীনে। এটি কেপিআইভুক্ত এলাকা। তাই নিয়মিত ডিউটি হিসেবেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

জানা যায়, নিপুণ ও জায়েদ খান দুজনেই দলবল নিয়ে অবস্থান করছেন এফডিসিতে।

বিনোদন

মাদকসহ আটক করে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, একজন নারীকে পেয়ে তাকে ভিকটিম বানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল (সোমবার) দিন ধার্য করেন।

আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।

গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন।

একইসঙ্গে আদালত পরীমনিসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন। অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর মাদক আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। সেই সঙ্গে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত পরীমনির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরীমনি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন।

বিনোদন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। নির্বাচনের আমেজ কাটিয়ে আবারো কাজে ব্যস্ত হয়েছেন তিনি। ঠিক এমন সময়েই একটি নতুন টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন মৌসুমী।

রাজধানীর একটি স্টুডিওতে বিজ্ঞাপনটির দৃশ্য ধারণ করা হয়। ‘পরিবারের একজন চিরদিনের বন্ধন’ থিম নিয়ে আইডিয়া বক্সের পরিকল্পনায় নাইন্টিজ কিডস প্রোডাকশন হাউজের ব্যানারে বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন শাফায়াত হোসেন শাওন।

এতে অভিনয় প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, বিজ্ঞাপনটির থিম খুবই সুন্দর। পুরো টিম অনেক গোছানো কাজ করেছে। বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসছে শিগগিরই।

নির্মাতা শাফায়াত হোসেন শাওন বলেন, একেবারেই ভিন্নধর্মী একটি কনসেপ্ট নিয়ে বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছি। মৌসুমী আপাকে পেয়ে আমাদের পুরো টিম উচ্ছ্বসিত। আশা করি বিজ্ঞাপনটি দর্শকদের ভালো লাগবে। আগামী ১০ মার্চ থেকে বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসবে।

এদিকে তিনটি সিনেমার শুটিং ও ডাবিংয়ের কাজ শেষ করেছেন মৌসুমী। এগুলো হচ্ছে সরকারি অনুদানের মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেনের ‘ভাঙ্গন’, আশুতোষ সুজনের ‘দেশান্তর’ ও জাহিদ হোসেনের ‘সোনার চর’।

শিগগিরই আরো দুটি সিনেমার কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন মৌসুমী। একটি ‘ছিটমহল’ ও অন্যটি ‘কানাগলি’। জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সিনেমা দুটিতে মৌসুমীর সঙ্গে ওমর সানীও থাকার কথা রয়েছে।