বিনোদন

ছেলের জন্য এবার নতুন উকিল নিয়োগ করতে চলেছেন শাহরুখ খান। নিষিদ্ধ মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান এখন মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দি। তবে মুম্বাইয়ের নামী উকিল আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করতে পারেননি। তাই শাহরুখ এবার অমিত দেশাইকে ছেলের জামিন পাওয়ার জন্য নিযুক্ত করেছেন।

দেশাই হলেন সেই আইনজীবী যিনি সালমান খানকে ২০০২ সালের হিট অ্যান্ড রান কেস থেকে ছাড়িয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জামিন শুনানির জন্য অমিত দেশাই সালমান খানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এই মামলায় সালমানকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়ার পর এই আইনজীবী নিম্ন আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। অমিত দেশাইয়ের শুনানির পর ২০১৫ সালের মে মাসে সালমানকে এই মামলায় ৩০,০০০ টাকার বিনিময়ে জামিন দিয়েছিল আদালত।

১১ অক্টোবর অমিত আরিয়ানের জন্য কোর্ট গিয়েছিলেন। তিনি জামিনের আর্জি দাখিল করেছেন। এরপর এনসিবি কাউন্সিল আদালত জানিয়েছে, তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য তাদের আরও এক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। আরিয়ানের জামিন প্রসঙ্গে অমিত দেশাই বলেছেন, ‘আমার মক্কেল গত এক সপ্তাহ ধরে জেলের মধ্যে রয়েছেন। জামিনের আবেদন তদন্তের ওপর নির্ভর করে না। আমি জামিনের জন্য বলছি না। আমি তারিখের জন্য বলছি। প্রশাসনিক কারণে কারও মুক্তি আটকে যাবে, এটা হতে পারে না। এনসিবি তদন্ত করতেই পারে।’ সেই সঙ্গে দেশাই বলেন, ‘আর যদি আরিয়ানের কথা বলি, তা হলে বড় জোর একবছরের শাস্তি হবে। তার বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া গিয়েছে, এমন কোনও প্রমাণও নেই। আর এরপরও যদি এনসিবি বলে তাদের আরও এক সপ্তাহ সময় চাই, তা হলে বলতে হয়, এটা এক বছরের শাস্তির জন্য।’

শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। যার কোনও নির্দেশ এখনও আদালতের তরফ থেকে আসেনি। ২ অক্টোবরের মামলায় এনসিবি তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। গত কয়েকদিন আরিয়ানকে রাখা হয়েছে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে।কোর্টের তরফ থেকে শাহরুখ পুত্রের জামিনের আর্জি নাকচ হয়ে যায়। আর তারপর আরিয়ান হাজির হন দায়রা আদালতে।

দায়রা আদালতে নিজের বাবার নাম না বলে আরিয়ান উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন বলিউড তারকার ছেলে। তার ব্যাচেলার ডিগ্রি রয়েছে। এর পাশাপাশি ফাইন আর্টস, সিনেম্যাটিক আর্টসেও ডিগ্রি রয়েছে। তিনি আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডাকশনের কোর্সও করেছেন। আরিয়ান আরও বলেছেন, ‘আমি দেশের দায়িত্বশীল এক নাগরিক। আর আমি নিরপরাধ। এখনও পর্যন্ত আমার রেকর্ড ভাল। কোনও বেআইনি কাজ করিনি। এমন কোনও কাজে আমার নামও আসেনি। এই মামলায় আমার নাম ভুল করে চলে এসেছে।’

বিনোদন

আজকের শোনানিতে হয়তো জামিন পাবেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান- অনেকেই এমনটি ধারণা করেছিলেন। কিন্তু সেটা হয়নি। ১৪ দিনের জন্য আরিয়ানকে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে মুম্বাই আদালত। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আইনজীবীর দাবি মতো আরিয়ানসহ বাকি আটকদের তাদের হেফাজতে রাখার আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।

বিচারপতি দাবি করেন, এনসিবি তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছেন। আর প্রয়োজন নেই।

এরপরেই আরিয়ানদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে সঙ্গে সঙ্গে আরিয়ানদের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী। সেই অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানি হবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১১টায়।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত আরিয়ানকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। চারদিন এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার রুদ্ধদ্বার কক্ষে কাটিয়েছেন আরিয়ান। চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সহযোগিতা করেছেন শাহরুখপুত্র। তবে তার কাছ থেকে কোনো মাদক মেলেনি।

শাহরুখ খানের ছেলের আইনজীবী জানান, আরবাজ এবং অচিতের কাছ থেকে খুব অল্প পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। মানশিন্ডে জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে আরিয়ানের পরিচয় আছে। কিন্তু সেই পার্টিতে আরিয়ান কারও থেকে মাদক সংগ্রহ করেননি।

বিনোদন

দুই বাংলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয় জীবনে পেয়েছেন অনেক স্বীকৃতি। এবার অন‌্যরকম এক সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন তিনি। এবার পশুপ্রেমের জন‌্য ‘প্রাণবিক বন্ধু’ সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

পশুদের নিয়ে কাজ করে দ্য পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার (পাও)। প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার প্রদান করছে সংগঠনটি। প্রাণী ভালোবাসেন, সহযোগিতা করেন এমন ১০ জনকে দেওয়া হচ্ছে এই সম্মাননা।

সোমবার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ‘পাও’ নামে এ সংগঠনটি। এতে জয়া আহসান ছাড়াও রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামও।

পুরস্কার ঘোষণা করা হলেও এখনই প্রদান করা হবে না। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী নভেম্বরে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিনোদন

কলকাতার আলোচিক নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় কাজ করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সিনেমায়। শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের প্রযোজনায় ‘জখম’ নামের একটি সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি।

আর তার বিপরীতে নায়ক হবেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন শাপলা মিডিয়ার মালিক সেলিম খান। তিনি বলেন, ‘শ্রাবন্তী খুবই ভালো ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এ দেশের সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা আছে। সেজন্যই তাকে চূড়ান্ত করেছি। এতে সিনেমায় দুই বাংলার দর্শকেরই আগ্রহে থাকবে। শিগগিরই এই ছবির কাজ শুরু করবো আমরা।’

ভেতরের খবর, এ সিনেমার জন্য নায়ক চরিত্রে জায়েদ খান পূর্ব নির্ধারিত। তবে নায়িকা বদলেছে। এতে কাজ করার কথা ছিল ঢাকাই ছবির আলোচিত নায়িকা অপু বিশ্বাসের। কিন্তু তাকে বাদ কলকাতার শ্রাবন্তীকে বেছে নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে সিনেমাটির পরিচালক অপূর্ব রানা বলেন, ‘অপু নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন। হয়ত ব্যক্তিগত কারণে। আমরা তো আর বসে থাকব না। তাই কলকাতার শ্রাবন্তীকে নিয়েছি।’

‘সোনার চর’ নামের গ্রামীণ পেক্ষাপটের একটি সিনেমা নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত জায়েদ খান। সেই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করছেন নবাগতা স্নিগ্ধা। আরও আছেন মৌসুমী ও ওমর সানী। সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্য ইতোমধ্যে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। গ্রামীণ যুবকের লুকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন জায়েদ খান।

অন্যদিকে রাজনীতির মাঠে ব্যর্থ হয়ে অনেকটা চুপচাপ শ্রাবন্তী। অভিনয়ের বাইরে তার বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবরেই শিরোনামে থাকেন এই অভিনেত্রী। বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে শ্রাবন্তীর।

শাপলা মিডিয়ার প্রযোজনায় ‘বিক্ষোভ’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

বিনোদন

ঢালিউড-টলিউড জয় করে বলিউডে পা রাখছেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। এক সময় অসংখ্য বিজ্ঞাপন-নাটকে দেখা গেলেও গেল কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্রেই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। সেই ব্যস্ততার ফাঁকেই মাঝেমধ্যে মডেল হিসেবে হাজির হন বিজ্ঞাপনে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ওয়েব সিরিজেও নাম লিখিয়েছেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কথা ভুলেননি জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জয়া আহসান। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ লেখার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন আলোচিত এ অভিনেত্রী।

জয়া তার লেখার ওপরে লিখেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ জন্মদিন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে লেখার মানুষ কম নেই। আমার আছে মানুষ শেখ হাসিনাকে নিয়ে ব্যক্তিগত কিছু স্মৃতি, একান্ত কিছু অনুভূতি….

জয়ার সেই লেখাটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

‘এত বছর আগের একটা দিন, কিন্তু শেখ হাসিনার সেই ছবিটি এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে মনে। কিশোরীবেলার অনেকগুলো ঝলমলে স্মৃতি একসঙ্গে মিলেমিশে আছে বলেই হয়তো। উত্তুঙ্গ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জেনারেল এইচ এম এরশাদের সবেমাত্র পতন হয়েছে। প্রিয় স্বজনদেরসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সেনাশাসনের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল পুরো দেশ, মানুষ তার সেই নিকষ কালো পর্ব থেকে বেরিয়ে এসেছে। দেড় দশক পরে ফুসফুস ভরে শ্বাস নিচ্ছে মুক্ত হাওয়ায়। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক মধুর পর্ব চলছে। নানা রকমের মানুষের মিলেমিশে এক হয়ে ওঠার মতো এত বড় ঘটনা তো মুক্তিযুদ্ধের পরে আর ঘটেনি। এসব অবশ্য বুঝেছি পরে। রাজনীতির জটিল জ্যামিতি বোঝার মতো বয়স তখনও আমার নয়। বড়দের পৃথিবী থেকে টুকরো টুকরো কথা কানে ভেসে আসে। সেসব আবছা কথা কল্পনায় জোড়াতালি দিয়ে আর নানা রঙে মিশিয়ে এক রকমের ধারণা করে নিই। তবে খুব যে এক আনন্দের সময় বয়ে চলেছে, সেটা বুঝি বাবার চাঞ্চল্য দেখে। বারবার কারণে–অকারণে ঘরে–বাইরে ছুটোছুটি করছেন। সিগারেট খাওয়ার হারটাও বেড়েছে। বহুদিন বাবাকে এমন মধুর মেজাজে দেখিনি। বাইরে থেকে বাবা এমনিতে ভীষণ কড়া মেজাজের মানুষ। ভেতরটা যদিও উল্টো। নিভৃত মুহূর্তে আপন মনে কাব্যচর্চা করেন। মনে পড়ে, আমাকে একবার কবি আল মাহমুদের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন। বাংলা ভাষার এত বড় মাপের একজন কবি, কিন্তু সে গুরুত্ব বোঝার মনও কি আর তখন হয়েছে? যা হোক, মনের কোমল অংশটা কঠিন আবরণের আড়ালে ঢেকে রাখতে অভ্যস্ত বাবার মনটা স্বৈরাচারী সেনাশাসনের পতনের পরে হঠাৎ খোলামেলা হয়ে পড়ল।

না হওয়ার কথাও তো নয়। দেশটাকে যে বড় ভালোবাসতেন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে প্রাণের টানে ছুটে গিয়েছিলেন। যুদ্ধ করেছিলেন খালেদ মোশাররফের সঙ্গে ২ নম্বর সেক্টরে। মুক্তিযুদ্ধের আগেকার সেই উত্তাল বিদ্রোহী দিনে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে বিক্ষোভ চলল, তরুণ–বয়সী বাবা তাতে গিয়েও যোগ দিলেন। সামিল হলেন বেতার অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে। নিজের হাতে সেখানে উড়িয়ে দিলেন মুক্তিযুদ্ধের লাল–সবুজ–হলুদ পতাকা। বেতার অফিসের সামনে বাবার সেই ফুটেজটা খুঁজে পেয়েছি সম্প্রতি। আমার অমূল্য এক সংগ্রহ। যে প্রত্যাশা নিয়ে বাবা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আরও অনেকের মতো তারও মনে হয়েছিল সে প্রত্যাশার মুত্যু হয়েছে। সেনাশাসনের পতনের পর তার মনে হলো, বদ্ধ দরজা খুলে আবার আলো এল। বাবা বললেন, ‘চল, আমার সঙ্গে। তোদের একটা জায়গায় নিয়ে যাই।’ কোন জায়গায়? কার কাছে? কিছুই জানি না। আমি আর আমার ছোট বোন কান্তা চললাম বাবার সঙ্গে। কান্তা চড়ে বসল বাবার কাঁধে। আমি ধরলাম তার হাত। বাবা আমাদের নিয়ে চললেন এখন যেখানে সচিবালয়, তার কাছে, পল্টনের মোড়ে। আগের দিনের লোকেরা জায়গাটাকে তখন ডাকে সেকেন্ড ক্যাপিটাল বলে। সেখানে পথে পথে উৎসব। মোড়ে মোড়ে জটলা। মানুষের মাথা মানুষে খাচ্ছে। আনন্দের বন্যা বয়ে চলেছে শহরের পথে পথে। পল্টনে বিরাট মঞ্চ পাতানো হয়েছে। বাবার হাতে এরশাদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের কার্টুন–ক্যারিকেচারভরা লিফলেট আর পুস্তিকা ধরিয়ে দিচ্ছে লোকেরা। বাবা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখাচ্ছেন আমাদের।

সেই তাকে প্রথম দেখা। গায়ে সাধারণ একটা বেগুনি–ঘিয়ে রঙের ডুরে শাড়ি। মাথায় সামান্য ঘোমটা টানা। একেবারেই বাঙালি নারীর চিরচেনা আটপৌঢ়ে ছবি। শেখ হাসিনার চোখের রং আর দশজন সাধারণ বাঙালির মতো নয়। সে দিকে চোখ না পড়ে উপায়ই নেই। তবু সব ছাপিয়ে চোখ আঠার মতো আটকে গেল তার চুলে। ঘন কালো চুলের এক মোটা গোছা। ঘোমটার আড়াল থেকে বেরিয়ে পিঠ বেয়ে এঁকেবেঁকে নেমে গেছে কোমর পর্যন্ত। এমন দীর্ঘ আর চওড়া চুলের গোছাও হয় মানুষের? মনে খচিত হয়ে গেল উজ্জ্বল ও চিরন্তন সেই বাঙালি ছবিটি। এর পর তো পদ্মানদী দিয়ে বহু পানিই গড়িয়ে গেছে। বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেত্রী থেকে তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কয়েকবার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার নিজেরও বাহ্যিক রূপান্তর কম হয়নি। কিন্তু চুলের মোটা গোছাসহ তার যে ছবিটা সে দিন দেখেছিলাম, মনে গভীরে এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে সেই ছবিটিই। আমার কাছে সেটিই তার স্থায়ী রূপাবয়ব। প্রধানমন্ত্রীর গুরুতর দায়িত্বভার তাকে বহন করতে হয়। ছোটখাটো বিষয়ে মন দেওয়ার অবকাশ কোথায়? কিন্তু তার সঙ্গে ছোট ছোট দুয়েকটি অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সামান্য বিষয়ের দিকেও তিনি সযত্ন দৃষ্টি রাখেন। প্রধানমন্ত্রী নন, নিতান্ত আপনজনের মতো। সেসব তার না রাখলেও চলে, তার হয়ে অন্য কেউ রাখলেই যথেষ্ট। তবু তিনি রাখেন। এ তার অসামান্য এক গুণ। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তার ভেতরের মানুষটিকে এখনো মোটেই পিষ্ট করে দিতে পারেনি।

একটা ঘটনা বলি। সেবার আমাকে জিরো ডিগ্রি ছবিটির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কার সবার হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি অনুষ্ঠান করে। ঘটনাচক্রে সে বছর পশ্চিমবঙ্গেও আমাকে মহানায়ক উত্তম কুমার সম্মাননা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সেবারই প্রথম কোনো নারী অভিনয়শিল্পীকে আয়োজকেরা এ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আলাদা একটা মর্যাদার ব্যাপার হয়ে উঠেছিল পুরস্কারটি। অর্থমূল্যও ছিল যথেষ্ট। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেবেন। ভালোই প্যাঁচ লেগে গেল। দুটো পুরস্কার দেওয়ার তারিখ পড়ল একই দিনে। শুধু কি একই দিনে? পড়ল একই দিনের কাছাকাছি সময়ে, এক–দেড় ঘণ্টার এদিকে–ওদিকে। সকালে আর বিকেলে হলেও সামাল দেওয়া যেত। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চলে যাওয়া যেত আরেকটি অনুষ্ঠানে। আয়োজকদের অনুরোধ করে সময়টাকে আগুপিছু নানা চেষ্টাচরিত্র করেও ফল হলো না। হবে যে না, সেটা এক রকম অনুমানও করেছিলাম। এত এত মানুষের সময়সূচি আবার মিলিয়ে সব ঠিক করা কি সহজ? কিন্তু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যে আমার দেশের সম্মাননা। তাছাড়া এর মর্যাদাও আলাদা। প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে এ পুরস্কার শিল্পীকুশলীদের হাতে তুলে দেবেন। এই পুরস্কার না নিয়ে কি পারা যায়?

দেশেই রয়ে গেলাম। অনুষ্ঠানে যথারীতি আমার নাম ডাকা হলো। মঞ্চে উঠলাম পুরস্কার নিতে। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সময় কোমল গলায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘জয়া, তুমি কলকাতায় যাওনি?’ তার মুখে এই প্রশ্ন? এত ব্যস্ততার মধ্যে এই অকিঞ্চিৎকর তথ্যটুকু তিনি শুনেছেন, শুনে মনেও রেখেছেন? শুধু এখানেই তো শেষ নয়। আগে কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সত্ত্বেও যে আন্তর্জাতিক একটা সম্মাননার মায়া ছেড়ে দিয়ে আমি রয়ে গেছি, বক্তৃতা দিতে উঠে বললেন সে কথা। বললেন, এই হলো দেশের প্রতি ভালোবাসা। আমি তো বাকরুদ্ধ। আমি গভীরভাবে অভিভূত হয়েছিলাম আরও একটি ঘটনায়। প্রকৃতি আর প্রাণীর প্রতি আমার প্রাণের টান। প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করে, এমন কিছু সংগঠনের সঙ্গে তাই সক্রিয় যোগাযোগ রাখি। এ রকমই এক সংগঠন থেকে একবার খবর এল, গণভবনের লাগোয়া একটি জায়গা থেকে তারা একটি কুকুর উদ্ধার করেছে। গণভবনের চিফ সিকিউরিটি এসডিএন কবীর সাহেবের কাছে পরে শুনেছিলাম, গণভবনের বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে অর্ধশতাধিক কুকুর আছে। আছে বেড়ালেরও দল। পোষা নয়। স্বাধীন ও ছন্নছাড়া। এত গাছপালাভরা সবুজ একটা জায়গা। পাখপাখালিও সে কারণে এন্তার। যা হোক, দলছুট সারমেয় মহাশয় কোনো ফাঁকফোঁকর গলে গণভবনের বাইরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল পথে।

সেই দলছুট মহাশয়ের একটা হিল্লে করা হলো। কিন্তু কবীর সাহেবের কাছ থেকে আরও যে তথ্য পেলাম, তাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভালোবাসায় বুকটা ভরে গেল। সেই কুকুরগুলোর জন্য তিনি নিজেই খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। ওদের জন্য ফার্ম থেকে মুরগির মাংস আসে। সেই মুরগির সঙ্গে চাল মিশিয়ে রোজ খাবার তৈরি হয়। বেড়ালগুলোর জন্য প্রতিদিনের বরাদ্দ ২০ লিটার করে দুধ। গণভবনের ভেতরের গাছগুলো থেকে ফল পাড়তে দেওয়া হয় না। ওইসব ফলপাকুড় পাখিদের ভোজ্য। তার নির্দেশে পশুপাখিগুলোর জন্য আলাদা একটা ব্যয়বরাদ্দ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র নিয়ে যাঁর শত ব্যস্ততা, তার মনের একটি ভাগ তিনি এদের জন্যও দিয়ে রেখেছেন। ভেতর থেকে উপচে আসা গভীর ভালোবাসা ছাড়া কি আর এটি সম্ভব? রাষ্ট্র আর রাজনীতি কোটি মানুষকে নিয়ে কাজ করে। তার তাই হাজার পথ, হাজার মত। সে নিয়ে জটিল বিতর্কের শেষ হবে না কোনো দিন। কিন্তু যৎসামান্য স্মৃতির গুচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে মানুষী রূপ দেখেছি, তার তুলনা মেলা ভার। এখনো যখনই তাকে দেখি, তখনই মনে ফিরে আসে কিশোরবেলায় দেখা মোটা চুলের গোছায় উজ্জ্বল সেই সস্নেহ মুখটি। অন্তরঙ্গ, নিবিড়, মমতামাখা।

বিনোদন

মোহাম্মদপুর জাপান গার্ডেন সিটি ফ্ল্যাট মালিক কল্যান সমিতির নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন তুগলগী কান্ড ঘটাচ্ছে যা দেখার কেউ নেই- সমাজসেবা অধিদপ্তর নির্বিকার ।

অধ্যাপক আবু বকর সাদ্দিকির নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে প্রতিক বরাদ্ধ পর্যন্ত সমাপ্ত করেন তাতে সভাপতি পদে মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান গোলাপফুল প্রতিক পান অন্য একটি গ্রুপ পান আম মার্কা এবং আরেকটি গ্রুপ কোনো প্রতিক নেয়নি । প্রতিক না নেওয়া গ্রুপটির চাপে পড়ে  অধ্যাপক আবু বকর সাদ্দিকির নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেন ।

জাপান গার্ডেন সিটি ফ্ল্যাট মালিক কল্যান সমিতি- কেন্দ্রিয় কমিটির তৎক্ষনিক সভায় আবারো নির্বাচন কমিশন গঠন করে, উক্ত কমিশনের প্রধান করা হয় আব্দুল কাদেরকে। আব্দুল কাদের কমিশন দায়িত্ব পেয়েই উপরোক্ত সকল সিডিউল ঠিক রেখে প্রতিক বিষয়ে আলোচনা করতে সকল পক্ষকে ডাকেন তাতে গোলাপফুল প্রতিকের প্রার্থী এবং প্রতিক না নেওয়া গ্রুপটি সভায় উপসি্হত হয় কিন্তু আম মার্কার গ্রুপটি  নির্বাচন কমিশনের অভার ফোনে বার বার তাগাদার পরও সভায় না এসে তাদেরকে পূর্বের কমিশনের মার্কার বরাদ্ধপত্র পাঠিয়ে দেয় এবং গোলাপফুল প্রতিকের প্রার্থীও যথারিতি তার প্রতিক অক্ষুন্ন রাখার পক্ষে জোরালো দাবি করেন তারপরও নির্বাচন কমিশন মার্কাবিহীন নির্বাচনের পক্ষে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন যা ছিল নিঃলজ্জ পক্ষপাতিত্ব ।

এখন প্রশ্ন হল এই আব্দুল কাদের সাহেবেরা কি পারবেন সুষ্ঠ নির্বাচন করতে ? মনেত হচ্ছে “ডাল-মে-কুচ কালা হে” যদি পারেন তাহলেত শুকরিয়া ।

বিনোদন

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম নারী বিপ্লবী শহীদ প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদারকে নিয়ে নির্মাতা রাশিদ পলাশ নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র ‘প্রীতিলতা’। বাংলার স্বাধীনতার অগ্নিশিখা বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতি দিবস উপলক্ষে ‘প্রীতিলতা’ টিম সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এফডিসির ‘মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সে’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার প্রধান চরিত্র সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি।

পরীমণি বলেন, ‘প্রীতিলতাকে ধারণ করা দুই মিনিটের ব্যাপার না। অনেক খাটতে হয়েছে। ‘প্রীতিলতা’ টিম আমার উপর যে বিশ্বাস রেখেছে সেই বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে দুই বছর ধরে চরিত্রটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার উপর যে এতো বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আমি যেন ঠিকঠাকভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেতে পারি। এবং নিজ চরিত্র সূক্ষ্মভাবে প্রীতিলতাকে ধারণ করতে পারি। এজন্য সবার আর্শিবাদ চাই।’

এরই মধ্যে ‘প্রীতিলতা’ ছবির কিছু শুটিংও হয়েছে। এ সম্পর্কে পরীমণি বলেন, ‘আমরা যে অংশটি শুটিং করেছি সেটা আসলে প্রীতিলতার চরিত্র না, যেটা সামনে এসেছে সেই চরিত্রটার নাম অলিভিয়া। এসব চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বড় চমক। এটা আমরা পর্দার জন্য রেখে দিলাম। আশাকরি আপনার সবাই আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’

সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। এতে পরীমণি ছাড়াও আরও অভিনয় করছেন তানভীর, মামুন বিশ্বাস, রাজু খান, আফরিনা বুলবুল, সাইফ চন্দন, মুকুল সিরাজী, রিপা প্রমুখ।

অক্টোবরের ২৮ তারিখে চট্টগ্রামে পুণরায় শুরু হবে ‘প্রীতিলতা’ সিনেমার শেষ লটের শুটিং। গেল বছরের নভেম্বরে সিনেমাটির শুট শুরু হয়। সিনেমাটির একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কবির সুমন, আরেকটি গান থাকছে সাব্বির নাসিরের কণ্ঠে। কসটিউম ডিজাইনার হিসেবে আছেন বিবি রাসেল।

বিনোদন

দুই বাংলার চলচ্চিত্রে শিল্পী বদলের রীতি দীর্ঘদিনের। এক সময় এপার বাংলার নায়করাজ রাজ্জাক, রোজিনা, ফেরদৌস থেকে শুরু করে অনেকেই অনেকেই কলকাতার ছবিতে নিয়মিত কাজ করেছেন। তেমনি বাংলাদেশের ছবিতেও ওপার বাংলার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শতাব্দী রায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকেই অভিনয় করেছেন।

শিল্পী বদলের সেই চর্চা এখনো চলছে দুই ইন্ডাস্ট্রিতে। এই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি অভিনেত্রী ওপার বাংলায় বেশ প্রশংসিত ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। পরিচালক-প্রযোজকরাও তাদের ওপর ভরসা রাখছেন নির্দ্বিধায়। এর মাঝে রয়েছেন জয়া আহসান, মিথিলা ও বাঁধনের মতো মেধাবী অভিনয় তারকারা।

কলকাতার গুণী পরিচালক ও অভিনেতা অরিন্দম শীলের হাত ধরে ২০১৩ সালে কলকাতার ‘আবর্ত’ সিনেমায় অভিষিক্ত হন বাংলাদেশের জয়া আহসান। প্রথম ছবি দিয়েই বাজিমাত করেন তিনি। এরপর একে একে জয়া অভিনয় দিয়ে ওপার বাংলার দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। জয়ার এমন সাফল্য ও চাহিদার প্রভাব নাকি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, স্বস্তিকা মুখার্জি, পাওলি দাম, রাইমা সেনের মতো গুণী অভিনেত্রীদের ক্যারিয়ার ম্লান করেছে! সম্প্রতি কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে।

পত্রিকাটির দাবি, জয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের মিথিলা ও বাঁধনেরও চাহিদা বেড়েছে ওপার বাংলার সিনেমা-সিরিজে। এ নিয়ে প্রকাশ্যে না বললেও টলিউডের অনেক অভিনেত্রীর চাপা ক্ষোভ রয়েছে। আনন্দবাজার বলছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নায়িকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, ‘এমন অনেক চরিত্রই বাংলাদেশি অভিনেত্রীদের দেওয়া হয়, যেটা এখানকার যে কেউ করতে পারত।’

এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘কাজের সুযোগ সকলেরই আছে। সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা তো ভালোই। আমার মতে শিল্পের কোনো সীমারেখা থাকা উচিত নয়।’

জয়ার মন্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিথিলাও হাঁটলেন একই পথে। তিনি বলেন, ‘কেউ কারো কাজ, জায়গা কেড়ে নিতে পারে বলে মনে হয় না। সকলেই নিজের যোগ্যতা দিয়ে কাজ পাচ্ছেন। এটা দুই দেশের শিল্প আদান প্রদানের একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত। এখানে মন্দভাবে প্রতিযোগিতা নিয়ে ভাবার কিছু নেই।’

বাঁধন তার মন্তব্যে বলেন, ‘অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ থেকে অভিনেত্রীরা এসে কাজ করায় টলিউডের কিছু অভিনেত্রীর মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এগুলো এড়িয়ে সদর্থক দিকগুলো ভাবলে, সকলেরই ভালো হবে।’ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশি অভিনেত্রীদের প্রতি কলকাতার এই আগ্রহের মূলে রয়েছেন দর্শকরা। মূলত কলকাতার পরিচালকদের কাজগুলোর প্রতি খুবই আগ্রহী ঢাকার দর্শকরা। এসব দর্শক ধরতেই সেখানকার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতারা বাংলাদেশের অভিনেত্রীদের প্রাধান্য দিচ্ছেন।

দিনশেষে প্রতিভাই যে শেষ কথা বলে সেটা একাধিকবার প্রমাণ করেছেন দুই বাংলার শিল্পীরা। নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েই কলকাতায় পা রেখেছিলেন নুসরাত ফারিয়া, মাহিয়া মাহিসহ অনেকেই। সেই ধারাহিতকতায় দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে ক’দিন আগেই ‘অন্তরাত্মা’ ছবিতে অভিনয় করে গেলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী দর্শনা।

পাশাপাশি ‘প্রিয়া রে’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করতে এ মাসেই ঢাকা আসছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। যিনি এর আগেও ঢাকার ছবিতে কাজ করেছেন। এছাড়া অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দুই বাংলায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। সেখানে ওপার বাংলার তারকাদের এমন ক্ষোভ রীতিমতো হতবাক করেছে চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের। এ ধরনের মন্তব্য দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রির জন্য কতটা সুফল বয়ে আনবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!

বিনোদন

সংগীতশিল্পী ইভা রহমান আবারও বিয়ে করেছেন। ইভার বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী তার ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করে শুভ কামনাও জানিয়েছেন।

গতকাল রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইভার গুলশানের বাসায় দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ইভার স্বামী নাম সোহেল আরমান। তিনি ঢাকার ছেলে, পেশায় ব্যবসায়ী।

গত (১৯ সেপ্টেম্বর) ইভার গুলশানের বাসায় দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ইভার স্বামী নাম সোহেল আরমান। তিনি ঢাকার ছেলে,পেশায় ব্যবসায়ী।

এর আগে কণ্ঠশিল্পী ইভা রহমান বিয়ে করেছিলেন দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমানকে।

বিনোদন

নুসরাত জাহান ও যশ দাশগুপ্তের প্রেম, একসঙ্গে বসবাস, সন্তান গ্রহণ ইত্যাদি নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই মা হয়েছেন নুসরাত। তবে সেই সন্তানের পিতা যশ কিনা, তা সরাসরি স্বীকার করেননি কেউই। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে বিষয়টি স্বীকার করেছেন নুসরাত।

এদিকে মা হওয়ার পর বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এসেছেন নুসরাত। আর সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। কথা বলেন সন্তানের পিতা ও এবং সন্তানকে নিয়ে।

নুসরাত বলেন, “বাবা কে?’ একজন নারীকে এই প্রশ্ন করা মানে তার দিকে কালি ছেটানো। সব প্রশ্নের উত্তর আছে আমার কাছে। আপাতত যশ ও আমি দারুণ সময় কাটাচ্ছি। মাতৃত্ব উপভোগ করছি পুরোদমে।’

অভিনেত্রী বলেন, ‘ঈশানের বাবা চাইলে তবেই তাকে দেখা যাবে। এখন ছেলেকে সবচেয়ে ভালোভাবে সামলাচ্ছেন তার বাবা। পরিবার ছাড়া কাউকেই ছেলের কাছে যেতে দিচ্ছেন না তিনি।’

উল্লেখ্য, যশ ও নুসরাতের সম্পর্ক প্রায় দেড় বছরের। এর আগে নুসরাত বিয়ে করেছিলেন নিখিল জৈন নামের একজন ব্যবসায়ীকে। তার সঙ্গে বছর খানেক সংসার করার পর গত বছরের শেষ দিকে আলাদা হয়ে যান এবং যশের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। গত ২৬ আগস্ট কলকাতার পার্কস্ট্রিটের একটি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন অভিনেত্রী। যশের নামের সঙ্গে মিল রেখে সন্তানের নাম রেখেছেন ঈশান। উচ্চারণে মিল না থাকলেও ইংরেজিতে লেখার সময় দুটো নামেরই প্রথম অক্ষর ওয়াই।