বিনোদন

‘আমি কি বাসায় বোম বানিয়ে চাঁদের দেশে চলে যাচ্ছি? নাকি আমি হত্যা মামলার আসামি? আমি তো কিছুই বুঝলাম না। আমি কি এমন করেছি? আমি শুরু থেকেই স্ট্রং ছিলাম। আমি যদি অপরাধী হতাম, তাহলে ভেঙে পড়তাম। কিন্তু আমি তো কিছু করিনি। আমার সঙ্গে কি হয়েছে সব বলব। আমাকে একটু সময় দিন। বেঁচে থাকার জন্য একটা মানুষের মিনিমাম (সামান্য) স্পেস তো লাগে। একটা মাস ধরে এই অবস্থা চলছে।’

২৭ দিন আটক থাকার পর মুক্তি পেয়ে এ কথা বলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বাসা ছাড়ার নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বাসার ঠিকানা সবাই মনে হয় মুখস্থ করে ফেলেছে। অ্যাড্রেসটা সবাই জেনে যাওয়ায় আসলেই খুব সমস্যা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে এখানে সবাই ভিড় করছে। ভবনের বাসিন্দারা সবাই বিরক্ত। কিন্তু এভাবে হুট করে তো ছাড়া যাবে না।

তবে ছেড়ে দেব। বাসা এখনই ছাড়ার জন্য মালিকের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে পরীমনি বলেন- না, না। কেউ কিছু বলেনি। তবে তারা বিরক্ত। আর বিরক্ত হয়েছেন ঠিক কারণেই। চার-পাঁচ দিন আগে আমার বাড়িওয়ালা বলেছেন এ বিষয়গুলো ট্যাকল করতে। এখনই বাসা থেকে চলে যেতে বলেননি। নোটিশটা এমন যে, আমি যেন বিষয়গুলো ম্যানেজ করি।

পরীমনি বলেন, আমার সঙ্গে যা যা হয়েছে সবই আমি বলব। কিন্তু আপনি শুধু বাসায় এসে দেখে যান এখানে একটা মানুষের থাকার মতো পরিস্থিতি আছে কিনা। আপনি পাগল হয়ে যাবেন। কোনো বাড়িওয়ালা এটা মানবেন না। আমার বাড়িওয়ালা তো অনেক ভদ্র। তিনি অনেক সুন্দর করে আমাকে বলেছেন। আমি বাড়িওয়ালা হলে হয়তো এটা আমিও সহ্য করতাম না। কারণ এভাবে টর্চার করে কেউ? সবাই পরিচয় দিচ্ছেন সাংবাদিক। সবাই কি সাংবাদিক? মোবাইল হাতে নিলেই কি সাংবাদিক হয়ে যায়? এরা কেউ আসলে সাংবাদিক না। বেশিরভাগ ইউটিউবে কন্টেন্ট বানায় তারা। ফ্ল্যাটের লোকজন তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা না সরে সাংবাদিক পরিচয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সাংবাদিক বলে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আসলে এসব করে তারা ইউটিউব কন্টেন্ট বানাবে। রসালো হেডিং দেবে।

এই চিত্রনায়িকা বলেন, বেঁচে থাকার জন্য একটা মানুষের মিনিমাম স্পেস তো লাগে। আমার থাকার জায়গাটা পর্যন্ত ছাড়তেছে না। আমি টায়ার্ড হয়ে যাই মাঝে মাঝে। কতক্ষণ পারা যায় এভাবে? কার বাসার নিচে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে কে মেনে নেবে? একটা মাস ধরে এ অবস্থা চলছে। আমি কাশিমপুর জেলে, আর এরা বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে। সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় এসেছি। মঙ্গলবার রাত থেকে বাসার সামনে এ অবস্থা।

‘শারীরিক অবস্থা এখন কেমন’- এমন প্রশ্নের উত্তরে মৃদু হাসিতে পরীমনি বলেন, পাগল পাগল হয়ে গেছি। মঙ্গলবার রাতে এক্সাইটমেন্টে ঘুম হয়নি। আমাদের সঙ্গে যারা ছিল ওদের কেউ কেউ নামাজ পড়ছিল, কেউ জেগে ছিল। ওদের সঙ্গেও একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। ফজরের আগে ভাবলাম দুই ঘণ্টা ঘুমাই, ৮টার সময়ে হয়তো ডাকবে। ওমা, ফজরের আজানের পরই শুরু হয়েছে একজনের পর একজন আসা। একজন বলছে রেডি হও, যেতে হবে। একটা ফোঁটাও আমি ঘুমাইনি। গাড়িতে একটুখানি চোখটা বন্ধ হয়েছিল।

এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘আমি আসলাম, প্রত্যেকের সঙ্গে কি এখনই কথা বলা সম্ভব? আমি কি বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছি? ভাবলাম, নিরিবিল ঘুম দিব। তা আর হলো না। ঘরের যা-তা অবস্থা। নানা ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলতে পারিনি। নানা ভাই অনেক স্ট্রং ছিলেন। আমি নানা ভাইকে নিয়ে খুব টেনশনে (চিন্তিত) ছিলাম। তার বয়স ১১১ বছর। তিনি এখনো অনেক স্ট্রং। আর আমি তার নাতি না, আমি আরও বহুত স্ট্রং। আমি বলি যে, আমি তোমার ঠিকঠাক নাতি। তোমার নাম রাখছি।’

আদালতে চিৎকার করে প্রতিবাদ জানানোর কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চোখের সামনে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে, আমি বলব না? আরে আমাকে যখন এখান থেকে নেয় তখন আমি জানি নাকি যে, আমাকে গ্রেফতারের জন্য নেয়।

কত নাটক করে আমাকে এখান থেকে নিল? বলল, জাস্ট অফিসে যাবেন, কথা বলবেন, চলে আসবেন। ওমা, পরদিন দেখি পরীমনি গ্রেফতার। আমি বুঝলাম না কিসের জন্য। এগুলো অনেক কথা। সব বলব আমি।

রিমান্ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, সেভাবে হয়রানি করেনি তারা আমাকে। কি হয়েছে সবই আমি বলব। ফোন, গাড়ি সব সিআইডিতেই আছে। যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে সেগুলো ওই ফোনেই ছিল। তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার রাইটস কারও নেই। তাও আমার ফোন থেকে। আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজও নিয়ে যায়। অনেক তো হলো। সবকিছুই তো একটা জায়গায় শান্ত হওয়া উচিত। আমার থাকার জায়গাটা পর্যন্ত ছাড়তেছে না। আমি টায়ার্ড হয়ে যাই মাঝে মাঝে। কতক্ষণ পারা যায় এভাবে?

বাসা ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এই বাড়িটায় তো শুধু আমি থাকি না, অনেক মানুষ এখানে থাকেন। সবাই এমন একটা আচরণ করছে যে এখানে আমি একা একা থাকি। আর কেউ থাকে না। প্রত্যেক ফ্ল্যাটে ফ্যামিলি থাকে। তাদের ডিস্টার্ব হয় না? তারা কি এসবে অভ্যস্ত? প্রশাসনের লোকজন তো আছেই, এরপর সাংবাদিকরা যদি সারাক্ষণ এভাবে থাকে তাহলে কীভাবে হয়? আর সাংবাদিকদের নামে যারা আসছে এদের বেশিরভাগই মোবাইল একটা নিয়ে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। এটা কোন ধরনের কথা? এভাবে করলে মানুষের প্রাইভেসি থাকে? প্রত্যেকটা পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমি তো একজন সচেতন মানুষ, এগুলো তো আমারই ভালো লাগছে না। আমার জন্য কারও সমস্যা হোক এটাতো আমি চাইব না। আমি ডেফিনেটলি বাসা ছেড়ে দেব। আর এভাবে করলে হয় কীভাবে? ঢাকা শহরে এ মুহূর্তে তো কোনো বাড়িওয়ালা তো আমাকে বাড়ি ভাড়াও দেবে না।

তিনি বলেন, নায়িকা নাম ব্যবহার করে যখন কেউ কিছু করে তখন তো দায়ভার নায়িকাদের ওপরেও আসে। জাস্ট হাতে একটা ফোন, আর পরিচয় দিচ্ছে আমি সাংবাদিক। এখন এসে দেখেন মিনিমাম ৫০ জন আছে। এরা কি আসলেই সাংবাদিক। আমাদের বিল্ডিংয়ের বাসিন্দারা বলছে, আমরা বাসা থেকে বের হতে পারছি না, ঢুকতেও পারছি না। যখন যাই আসি তখন ক্যামেরা ফেস করে যেতে হচ্ছে। এসবে তো আমরা অভ্যস্ত না।

সব মিলিয়ে বিব্রত হচ্ছেন কিনা- আমাকে কেউ পাচ্ছে না তা তো না। এই যে আপনার সঙ্গে কথা বলছি। কত বড় একটা হ্যাসেল গেল আমার ওপর দিয়ে। আমিও তো একটা মানুষ। একটুখানি মেন্টাল রেস্টও তো লাগে। আমি বাসায় এসে কারও সঙ্গে একটু কথাও বলতে পারছি না। জাস্ট একটু খাওয়া-দাওয়া করলাম। রাতেও ঘুমাইনি। ভাবলাম একটু ঘুমাব। কিন্তু এই যে, প্যারা শুরু হলো। আবার শুরু হয়েছে উলটা-পালটা নিউজ। বাসা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে, বাসা থেকে চলে যাচ্ছি- এসব নিউজ। আপনি বাড়িওয়ালা হলে যে কাজটা করতেন, তিনিও সেই কাজটা করছেন।

বিনোদন

মহানায়ক বুলবুল আহমেদ’র কন্যা ঐন্দ্রিলা ছোটবেলা থেকেই গান ও অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত। তবে গানের চেয়ে অভিনয়েই তার সরব উপস্থিতি দেখা গেছে নানান সময়ে। অনেকদিন পরে নতুন মৌলিক গান নিয়ে উপস্থিত হতে যাচ্ছেন তিনি। গানের নাম ‘শেষের কবিতা’। গীতিকবিতাটি লিখেছেন ফয়সাল আহমেদ এবং সুর করেছেন আমজাদ হোসেন।

গানটি প্রসঙ্গে ঐন্দ্রিলা আহমেদ বলেন,‘এর আগেও বেশকিছু মৌলিক গান করা হয়েছে আমার। বিশেষত নাটকে গান করেছি আমি। তবে আয়োজন করে এবারই প্রথম আমার মৌলিক গান করা। গানের কথা ও সুর আমার কাছে ভালো লেগেছে। কিন্তু করোনার কারণে গানটির মিউজিক ভিডিও করা হয়নি। যেহেতু আয়োজন করে এটা আমার প্রথম মৌলিক গান, তাই আমিও চাচ্ছি গানটি যথাযথভাবে মিউজিক ভিডিও আকারেই প্রকাশ করা হোক। আমার বিশ্বাস যথাযথভাবে গানটির মিউজিক ভিডিও করে ইউটিউবে প্রকাশ করা হলে, গানটি শ্রোতা দর্শকের ভালো লাগবে।’

এরইমধ্যে অনেক নাটকে কাজ করারও প্রস্তাব পেয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তবে কোন গল্পই তার পছন্দ হচ্ছেনা বিধায় আপাতত নাটকে কাজ করা হচ্ছেনা তার। গেলো ঈদে ঐন্দ্রিলা অভিনীত ‘কলঙ্ক’,‘ ফেকলাভ’ ও ‘চিলে কোঠার সংসার’ নাটক প্রচারিত হয়েছে।

ঐন্দ্রিলা জানান, এ নাটকগুলো ঈদের অনেক আগেই করা ছিলো। কিন্তু প্রচার হচ্ছিলো না। তাই এবারের ঈদে প্রচার হলো নাটকগুলো। করোনার কারণে অবশ্য অনেক কাজ থেকে তাকে বিরত থাকতে হয়েছে দুই সন্তানের কথা মাথায় রেখে।

বাংলাভিশনে তার উপস্থাপনায় রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘সেফ’সি কিচেন’ বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হবার ঠিক আগে নাগরিক টিভিতে তার উপস্থাপনায় ‘রান্নার এক্সপার্ট’ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। তারও আগে এসএটিভি এবং চ্যানেল আইতেও একই ধরনের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন ঐন্দ্রিলা।

বেশ কিছুদিন অভিনয়ে বিরতিতে থাকার পর অপূর্ব’র বিপরীতে রুবেল হাসানের নির্দেশনায় ‘বিলাভড’ নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন ঐন্দ্রিলা। এর পরপরই তিনি মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘সাংসারিক ভালোবাসা’, পৃথুরাজের ‘জলপুকুরে ডুব’সহ আরো বেশকিছু নাটকে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন। নাফিজের নির্দেশনায় বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেও আলোচনায় আসেন ঐন্দ্রিলা। একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবেও তিনি তার অভিষেক ঘটিয়েছেন ‘ই-লার্নিং’র উপর চারটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করে।

বিনোদন

প্রতিবারের মতো গেলো ঈদেও আলোচিত বেশিরভাগ কাজে পাওয়া গেছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে। তবে সেসব আলোচনা ছাপিয়ে এই অভিনেত্রী এবার আলোকিত হলেন নাট্যকার হিসেবেও। গত ঈদে আরটিভিতে প্রচার হয় তারই লেখা নাটক ‘আলো’।

এটি নির্মাণ করেছেন মাহমুদুর রহমান হিমি। এতে মেহজাবীনের বিপরীতে অভিনয় করেন মনোজ প্রামাণিক। আর এই বিশেষ নাটকের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক-এর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা পেলেন নাট্যকার-অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। কারণ, নাটকটির গল্প পুলিশের একজন অনবদ্য নারী সদস্যকে ঘিরে। রচনার পাশাপাশি যে চরিত্রটিতে মেহজাবীন নিজেই অভিনয় করেছেন।

মেহজাবীন বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনে জড়িত, বিশেষ করে এ পেশায় নিয়োজিত নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান থেকে নাটকটি রচনা করি। তাছাড়া আমার ইচ্ছাও ছিলো এমন একজন নারীর চরিত্রে অভিনয় করার। তবে ভাবিনি, নাটকটি সাধারণ দর্শকদের ভালোবাসা অর্জনের পাশাপাশি যাদের জন্য লেখা, তাদের মনকেও এভাবে স্পর্শ করবে।’

এই সম্মাননা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি। বলেন, ‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই মনিরুল ইসলাম স্যারকে (স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রধান), আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগকে এভাবে বড় করে দেখার জন্য। ধন্যবাদ আমেনা বেগম স্যারকে আমাদের ডেকে নিয়ে এমন অনুপ্রেরণা প্রদানের জন্য।’

এছাড়াও এই অভিনেত্রী ধন্যবাদ জানান, বাংলাদেশ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক’র সকল সদস্যদের।

বিনোদন

করোনার এই সংকটময় সময়ে অধিকাংশ তারকাশিল্পীর নতুন কোনো রিলিজ নেই বললেই চলে। সেই হিসেবে দীর্ঘদিন পর গত ২০ আগস্ট কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ঋত্বিক চক্রবর্তী ও জয়া আহসানের চলচ্চিত্র ‘বিনিসুতোয়’। মাত্র একটি প্রেক্ষাগৃহে এটি দেখার সুযোগ হলেও ছবিটি পাচ্ছে বেশ প্রশংসা।

একাধিক গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় দারুন প্রশংসিত হয়েছে জয়ার অভিনয়। আনন্দবাজার পত্রিকায় তাদের এক রিভিউতে বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে ‘অনুকরণীয়’ বলে মন্তব্য করেছে। অভিনয় তো বটেই সিনেমাটির একটি গানে কণ্ঠও দিয়েছেন জয়া। যা ছবির বাড়তি পাওনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ছবিতে জয়া গেয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীদ ‘সুখের মাঝে তোমায় দেখেছি।’অভিনেত্রীর পাশাপাশি গায়িকা জয়াকে নিয়েও মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন অনেকে।

ছবিটি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক অতনু ঘোষ। ‘বিনিসুতোয়’-এর গল্প মধ্য তিরিশের দুই মানুষ শ্রাবণী ও কাজলকে ঘিরে। যাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয় একটি রিয়ালিটি গেম শোয়ের অডিশনে। দুজনের জীবনের গল্পে বেশ কিছুটা মিল থাকায় খুব তাড়াতাড়িই একে অপরের সঙ্গে মিশে যান তারা। কিন্তু এরই মাঝে এক দুর্ঘটনায় আহত হন শ্রাবণী। ঘটনাক্রম বদলে যায় অনেকখানি। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন চান্দ্রেয়ী ঘোষ, কৌশিক সেন, রেশমি সেন, খেয়া চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

বিনোদন

অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে যোগ দিয়েছেন। এই মাধ্যমে যোগ দেওয়ার পরই হু হু করে বাড়তে থাকে তার ফলোলার। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে তিনি পেয়েছেন ২১ লাখেরও বেশি ফলোয়ার। যা ইনস্টাগ্রামের যোগ দেওয়ার পর সবচেয়ে দ্রুত মিলিয়ন ফলোয়ার হওয়ার রেকর্ড। এতে তিনি পেছনে ফেলেছেন রুপার্ট গ্রিন্ট এবং স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরোকে।

সোমবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ফলোয়ার সংখ্যা ৭৭ লাখ। পোস্ট দিয়েছেন মাত্র দুটি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জানিয়েছেন, তিনি এই মাধ্যমকে মানবাধিকার রক্ষার জন্যই ব্যবহার করবেন।

একটি হাতে লেখা চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন ব্র্যাড পিটের প্রাক্তন স্ত্রী। চিঠিটি জনৈক আফগান কন্যা অ্যাঞ্জেলিনাকে লিখেছেন। সেই চিঠিতে মেয়েটি জানিয়েছে, আফগানিস্তানে বসবাস করা কতটা বিপজ্জনক। এই চিঠির সঙ্গেই অন্য একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে সাতজন মহিলাকে ক্যামেরার দিকে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে যোগ দেওয়ার জন্য কেন আফগানিস্তানকেই বেছে নিলেন অ্যাঞ্জেলিনা? তার উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় মতামত প্রকাশ করতে পারছেন না। তাই আমি ইনস্টাগ্রামে তাদের এবং বিশ্বের অগণিত মানুষ, যাঁরা তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন তাঁদের কথা তুলে ধরতে এলাম।’

ইনস্টাগ্রামে চিঠিটি শেয়ার করে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি লেখেন, ‘এটি একটি চিঠি যা আমি আফগানিস্তানের এক কিশোরীর কাছ থেকে পাঠানো হয়েছিল।এই মুহূর্তে, আফগানিস্তানের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করার এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রকাশ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে।” তিনি যোগ করেছেন: “তাই আমি তাদের গল্প এবং বিশ্বব্যাপী যারা তাদের মৌলিক মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছে তাদের কণ্ঠ শেয়ার করতে ইনস্টাগ্রামে এসেছি।”

ঞ্জেলিনা জোলি আফগান শরণার্থীদেরকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন যে তাদের বোঝার মতো আচরণ করা দেখতে ‘অসুস্থ’।

তিনি লিখেছেন, ‘এতো সময় এবং অর্থ ব্যয় করা, রক্তপাত হওয়া এবং কেবলমাত্র এখানে আসার জন্য প্রাণ হারানো, এটি বোঝা প্রায় অসম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, “কয়েক দশক ধরে আফগান শরণার্থীদের – বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে কীভাবে বোঝার মতো আচরণ করা হয় তাও অসুস্থ।

উল্লেখ্য, ৯/১১ এর দু’সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানে শরণার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা। সেই দেশের মানুষের শোচনীয় অবস্থাকে কাছ থেকে দেখেছিলেন ‘সল্ট’ ছবির এই অভিনেত্রী।

 

 

বিনোদন

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান নানা বেশে নানা চরিত্রে পর্দায় এসেছেন। এবারই প্রথম তিনি অভিনয় করতে চলেছেন বিজ্ঞানীর চরিত্রে।পরিচালক আয়ান মুখার্জির ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমায় তাকে এই ব্যতিক্রমী ভূমিকায় দেখা যাবে।

সিনেমাটির প্রযোজনা সূত্র জানায়, এতে শাহরুখ খানকে এমন একজন বিজ্ঞানীর চরিত্রে দেখা যাবে, যিনি তার চারপাশের সম্পদ থেকে শক্তিশালী শক্তি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করেন। তার কাছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান অস্ত্র ব্রহ্মাস্ত্র রয়েছে – যা তার শক্তির একটি প্রধান উৎস।

‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, অমিতাভ বচ্চন, নাগার্জুন এবং মৌনি রায়।

বিনোদন

ভারতের সংগীতবিষয়ক প্রতিযোগিতা ‘ইন্ডিয়ান আইডল’র ১২তম সিজনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পবনদীপ রাজন। বিজয়ীর ট্রফি ছাড়াও পুরস্কার হিসেবে পবনদীপ পেয়েছেন ২৫ লাখ রুপি ও মারুতি সুজুকি সুইফট মডেলের একটি গাড়ি।

‘ইন্ডিয়ান আইডল’র মঞ্চে পাওয়া ২৫ লক্ষ রুপি কোথায় খরচ করবেন, সেই পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন পবনদীপ। তিনি জানান, এই টাকায় নিজের গ্রাম উত্তরাখণ্ডের চাম্পাওয়াতে ছোটদের জন্য একটি গানের স্কুল নির্মাণ করবেন।

এক সাক্ষাৎকারে পবনদীপ বলেন, ‘আমার গ্রামের বাচ্চাদের জন্য একটা গানের স্কুল করতে চাই। যাতে তারা সংগীত শিখে আমাদের গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। স্কুল নির্মাণের জন্য ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে পাওয়া টাকা খরচ করতে চাই। ’

‘ইন্ডিয়ান আইডল’র এবারের আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন অরুনিতা কাঞ্জিলাল ও সায়লি কাম্বলে। এছাড়া গ্র্যান্ড ফিনালেতে অন্য প্রতিযোগীরা ছিলেন নিহাল তাওরো, মোহাম্মদ দানিশ, শানমুখ প্রিয়।

বিনোদন

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন। শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিষয়টি জানিয়েছিলেন শাওন নিজেই।

এবার জানালেন করোনামুক্ত হয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে করোনা নেগেটিভ হওয়ার সুখবর এক শব্দে জানান শাওন। যেখানে তিনি লেখেন, ‘নেগেটিভ’। সঙ্গে খুশির ইমোজি যুক্ত করে দেন।

শাওনের একটি মাত্র শব্দের এই পোস্টে স্বস্তি প্রকাশ করে শুভ কামনা, ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভক্ত, বন্ধু ও স্বজনেরা। শাওনের এই পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ১৭ হাজারের বেশি।

বর্তমানে অভিনয়ে না দেখা গেলেও গানে নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে শাওনকে। সবশেষ গেল ঈদুল আযহায় প্রকাশিত হয়েছেন তার গাওয়া হাছন রাজার বিখ্যাত গান ‘নেশা লাগিল রে’। নতুন আঙ্গিকের সংগীতায়োজনে এতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দেন আরেক গায়ক-অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

বিনোদন

ঢাকাই চলচ্চিত্রে নব্বইয়ের দশকের উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র জীবনে ২৭টি সিনেমার মাধ্যমে ঝড় তুলেছিলেন ভক্তদের হৃদয়ে।

মৃত্যুর এতো বছর পরও সালমান বেঁচে আছেন মানুষের হৃদয়ে।

চির সবুজ সালমান শাহ’র জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায় ছিল স্ত্রী সামিরা। রহস্যময়ী এই নারীকে নিয়েও কৌতুহলের শেষ নেই। জানা গেল তাকে নিয়ে নতুন খবর। সামিরা তৃতীয়বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।

শনিবার (১৪ আগস্ট) রাতে সালমান শাহ’র স্ত্রী সামিরার তৃতীয় বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন, সামিরার দ্বিতীয় স্বামী মোশতাক ওয়াইজ।

সালমান শাহ’র মৃত্যুর পর সামিরা বিয়ে করেন মোশতাক ওয়াইজকে৷ এই সংসারে তিন সন্তানের জননী সামিরা। তবে জৌলুস আর সুখে এই সংসারও ভেঙে গেছে সামিরার।  গত মাসেই তাদের ডিভোর্স সম্পন্ন হয়েছে।

এবার তিনি বিয়ে করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক ইশতিয়াক আহমেদকে। গত ১৫ জুলাই দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সামিরা ও ইশতিয়াকের  বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এমনটি জানালেন সামিরার দ্বিতীয় স্বামী মোশতাক ওয়াইজ।

তিনি বলেন, ‘সামিরার বিয়ের খবর সত্য। অনেক সময় দুইটা ভালো মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারে না। আমাদের ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়েছে। আমাদের দীর্ঘ ২২ বছরের সংসার ভেঙে গেছে। তার (সামিরার) জন্য শুভকামনা রইলো। তাকে ছাড়া পরিবারের সবাই ভালো আছে। ‘

এ সময় মোশতাক আরও জানান, গত ২১ মার্চ তাকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠান সামিরা। সেটা দু’জনের সম্মতিতে ২১ জুন কার্যকর হয়েছে।

এদিকে সামিরা গণমাধ্যমকে  জানিয়েছেন, আমি ও মোশতাক দু’জনে মিলেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিই। নতুন জীবন শুরুতেও তার কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছি। বর্তমানে ইশতিয়াকের বাসায়ই থাকছি। তিন সন্তানও তার সঙ্গেই রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মাত্র ২১ বছর বয়সে সালমান শাহ তার মা নীলা চৌধুরীর বান্ধবীর মেয়ে সামিরাকে বিয়ে করেন। সামিরার বাবা জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেটকিপার-অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা। আর মা ছিলেন থাইল্যান্ডের নাগরিক চট্টগ্রামের বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী লুসি।

বিনোদন

রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর জামিন আবেদন নামুঞ্জোর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের আদালতের হাজত খানায় রেখে মামলার শুনানি শুরু হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তফা। পরীমণির পক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র‌্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র‌্যাবের সদর দফতরে। বুধবার রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে। পরদিন র‌্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে।

রিমান্ড শেষে আদালতে পরীমণি

=======================

রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাদের। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র‌্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র‌্যাবের সদর দফতরে। বুধবার রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে। বৃহস্পতিবার র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে।