বিনোদন

ক্যারিয়ারের শুরুতে অঞ্জনার নাম ছিল অঞ্জনা সাহা । বিয়ের কারণে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন অভিনেত্রী। ঢালিউড পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হন তিনি। পরে তাদের বিচ্ছেদও হয়ে যায়। কিন্তু ধর্ম…

২০২৩ সালের অক্টোবরে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে নিজের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে অঞ্জনা জানিয়েছিলেন— আমার বিয়ের পর নামের সঙ্গে রহমান যুক্ত হয়েছে। সেটি এখনো আছে। আমি সাহা পরিবারের মেয়ে; হিন্দু ছিলাম আমি।

যে বিয়ের কারণে নাম পরিবর্তন, সেই বিয়েই তো টিকল না। বিয়ে না টেকার পরও একই নাম থাকার কারণ হিসাবে অভিনেত্রী বলেন, বিয়ে না টিকুক; যেহেতু আমি ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলেছি, আর পেছনে যাওয়া যাবে না। সেই সাক্ষৎকারে নিয়মিত নামাজ-রোজা করার কথাও জানিয়েছিলেন এ অঞ্জনা।

অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা।

১৯৭৬ সালে এ সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা রহমান। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক পুরস্কার ছাড়াও একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক ও বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া নৃত্যশিল্পী হিসেবেও অঞ্জনা পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি।

উল্লেখ্য, অঞ্জনা রহমান ছোটবেলা থেকে নৃত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে বাবা-মা তাকে নৃত্য শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের অধীনে নাচের তালিম নেন এবং কত্থক নৃত্য শিখেন এ অভিনেত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাত্র চার বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে অঞ্জনার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর আর থেমে থাকেননি। নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছোট থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন তিনি। সাদাকালো থেকে রঙিন বাংলা চলচ্চিত্রের সাক্ষী গুণী এ অভিনেত্রী।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অঞ্জনা রহমান তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকা। অঞ্জনা দাবি করেছিলেন, তিনিই দেশের একমাত্র চিত্রনায়িকা যিনি ৯ দেশের এতগুলো ভাষায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন অঞ্জনা। এরপর ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ সিনেমায় ললিতা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে একই পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ‘পরিণীতা’, ‘মোহনা’ ও ‘রাম রহিম জন’ সিনেমার জন্য তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি অঞ্জনা চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও করেছেন। তার প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলো হলো— ‘নেপালী মেয়ে’, ‘হিম্মতওয়ালী’, ‘দেশ-বিদেশ’, ‘বাপের বেটস’, ‘রঙিন প্রাণ সজনী’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘লাল সর্দার’, ‘রাজা রানী বাদশা’, ‘ডান্ডা মেরে ঠান্ডা’, ‘বন্ধু যখন শত্রু’।

অঞ্জনা রহমান ঢালিউডের শীর্ষ জনপ্রিয় সব অভিনেতার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরী, রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্না প্রমুখ। এ ছাড়া মিঠুন চক্রবর্তী (ভারত), ফয়সাল (পাকিস্তান), নাদিম (পাকিস্তান) জাভেদ শেখ (পাকিস্তান), ইসমাইল শাহ (পাকিস্তান), শীবশ্রেষ্ঠ (নেপাল) ও ভুবন কেসি (নেপাল) অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা।

ছোটবেলা থেকে নৃত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে বাবা মা তাকে নৃত্য শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের অধীনে নাচের তালিম নেন এবং কত্থক নৃত্য শিখেন অঞ্জনা রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাত্র চার বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে অঞ্জনার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর আর থেকে থাকেননি। নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছোট থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন। সাদাকালো থেকে রঙ্গিন বাংলা চলচ্চিত্রের সাক্ষী গুণী এই অভিনেত্রী। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমাতে কাজ করেছেন একজন অঞ্জনা।

বিনোদন

তৃতীয়বারের মতো সিনেমায় জুটি বাঁধছেন শরীফুল রাজ ও বিদ্যা সিনহা মিম। তাদের দেখা যাবে ‘দানব’ সিনেমায়।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শুটিং শুরু হবে অনন্য মামুন পরিচালিত সিনেমাটির। প্রযোজনা করছেন কাট এন্টারটেইনমেন্ট।

সিনেমাটির শুটিং হবে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডে। পর্দায় দেখা যাবে ঈদুল ফিতরে।

এর আগে পরাণ এবং দামাল সিনেমায় দেখা মিলেছে জনপ্রিয় এই জুটির। মাঝখানে আর কোনো সিনেমায় দেখা মেলেনি তাদের। তৃতীবারের মতো দানব সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মিম-রাজ জুটি।

রাজ-মিম জুটি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে ঢালিউডে। এমনকি রাজের সঙ্গ মিমের জুটিকে ভালোভাবে নেননি রাজের বাগদত্তা পরীমনি। এ নিয়ে মিমের সঙ্গে পরীর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সবকিছু পিছনে ফেলে এই জুটি আবারও এক হচ্ছে।

বিনোদন

গান দিয়ে পরিচিত হলেও শোবিজ অঙ্গনে নিজের একাধিক প্রতিভা দেখিয়েছেন জেফার রহমান। কখনও মডেল, উপস্থাপনা আবার কখনও অভিনয়ে মেলে ধরেছেন নিজেকে।

চলতি মাসে সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্টে গান গেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন জেফার রহমান। অনেকের আপত্তি, সেদিন কনসার্টে গানের চেয়ে নাচেই বেশি মনোযোগী ছিলেন জেফার। শুধু তাই নয়, গান না গেয়ে লিপসিং করেছিলেন এই গায়িকা। ফলে জেফারের পারফরমেন্স নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-বিতর্ক।

এবার সেই বিতর্কের জবাব দিয়েছেন জেফার রহমান। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সমালোচনা থাকবেই। আমরা যেহেতু পাবলিক ফিগার, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে- আমি অনেকদিন ধরে কাজ করছি। আমাকে একজন মিউজিশিয়ান হিসেবে অনেকদিন ধরেই দেখছেন। যারা আমাকে চেনেন আমি কে, কি রকম গান করি- তারা জানেন। সমালোচনা আসলে আমাকে টানে না।

জেফার বলেন, আমি আসলে ইউটিউব থেকে উঠে এসেছি, ইংলিশ গান করতাম। আমার খালি গলায় অনেক গান রয়েছে। সেগুলো ইউটিউবে আছে, আমার কাছে আছে, আপনাদের কাছেও আছে।

লিপসিং এর যুক্তি দিয়ে জেফার বলেন, আমি যেহেতু একজন পপ আর্টিস্ট, আমাদের লাইভ এবং ট্র্যাক মিক্স করেই পারফর্ম করতে হয়; কারণ আমাদের গানগুলো মানুষ ওইভাবেই চেনে। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি গাচ্ছি না। আমি গাচ্ছি, আমার ট্র্যাকও আছে, আমার লাইভ ব্যান্ডও আছে। এটা মানুষদের বোঝা উচিৎ আমি মনে করি।

জেফার এও বলেন, তালি দেওয়া উচিৎ, আমি লিপসিং করেই এতদূর এসেছি- তাই না?

বিনোদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ২০২২ সালে কাওয়ালি গাইতে পারেনি ব্যান্ড সিলসিলা। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় পণ্ড হয় তাদের পরিবেশনা।

চার বছর পর ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট শুরু হয় এই দলের পরিবেশনা দিয়ে।
এই দলের সদস্য ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিষয়টি জানান তিনি নিজেই।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপমহাদেশের সংগীত কিংবদন্তি রাহাত ফতেহ আলী খান ছাড়াও গান পরিবেশন করেন র‍্যাপার হান্নান, র‍্যাপার সেজান, আফটারম্যাথ, চিরকুট, আর্টসেল ও সিলসিলা ব্যান্ড দল।

আয়োজন শুরুই হয় সিলসিলা ব্যান্ডের কাওয়ালি দিয়ে। অনুষ্ঠানের দর্শক ও আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রমুখ।

পুরোনো দিনের বিভীষিকাময় স্মৃতিচারণ করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ২০২১ সালে টিএসসিতে একটা কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। আজ যে সিলসিলা ব্যান্ড পারফর্ম করলো, একসময় আমি ওই দলের সদস্য ছিলাম। আমরা ওই কনসার্টটি করতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, সেদিন যে দর্শকরা এসেছিলেন, তাদের ওপর ফ্যাসিবাদী সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ হামলা করেছিল। আমাদের বোনেদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। গানে, সাংস্কৃতিক সমাবেশেও তাদের এতটা ভয় ছিল যে, তারা আমাদের তখন গান গাইতে দেয়নি। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে রাহাত ফতেহ আলী খান কাওয়ালি গাইতে এসেছেন।

মূলত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা দিতে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্টের আয়োজন করা হয়। কনসার্টের টিকিট বিক্রির অর্থ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা কল্যাণমূলক সংস্থা ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দেওয়া হবে।

বিনোদন

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের জন্য তহবিল সংগ্রহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কনসার্ট ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’। এই কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে জানা গেছে, এই কনসার্টে বিনা পারিশ্রমিকে গাইবেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।

এবার জানা গেল, ইকোস অব রেভল্যুশন কনসার্টে উপস্থাপনা করবেন আলোচিত উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় লাইমলাইটে আসা এই উপস্থাপিকাও রাহাত ফতেহ আলীর মতোই কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই কনসার্টে উপস্থাপনা করবেন।

‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট উপস্থাপনার বিষয়ে দীপ্তি বলেছেন, এটি শুধু কনসার্ট নয়, এখান থেকে অর্জিত অর্থ যাবে জুলাই বিপ্লবে আহতের সহায়তায়। এই আয়োজনে আমি কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। এতে করে কাজটির মাধ্যমে এই মহতী উদ্যোগের অংশীদার হতে পারব বলে মনে করি।

এর আগে একাধিক কনফারেন্স কিংবা শো-এর উপস্থাপনা করলেও এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মানের কনসার্টে উপস্থাপনা করতে যাচ্ছেন দীপ্তি।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, রাহাত ছাড়াও কনসার্টে পারফর্ম করবে দেশের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ব্যান্ড। এর মধ্যে রয়েছে-আর্টসেল, চিরকুট, আফটারম্যাথ এবং সিলসিলার শিল্পীরা। এছাড়া জনপ্রিয় দুই র‍্যাপার সেজান ও হান্নানের পরিবেশনাও থাকছে এ কনসার্টে।

আয়োজক স্পিরিট অব জুলাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যু্ত্থানে আহত ও নিহতদের সহায়তার জন্য এই কনসার্টের টিকিট বিক্রির সব অর্থ শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে।

আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ নামের এই কনসার্ট।

বিনোদন

নাটকের অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। দীর্ঘদিন দূরে আছেন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে। তবে এ সময়টা বসে ছিলেন না এ অভিনেত্রী।

বর্তমানে মার্কিন মুলুকে অবস্থান করছেন প্রভা। সেখানে ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে মেকআপের ওপর একটি কর্মশালা করেছেন তিনি। এরই মধ্যে সফলভাবে কোর্সটি শেষ করেছেন প্রভা।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন সার্টিফিকেট। কিন্তু এ বিষয়টি প্রভা এতদিন গোপন রেখেছিলেন। তার ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে বেশ কিছু মেকআপের ভিডিও পোস্ট করা হয়। যা থেকে অনেকেই ধারণা করেন প্রভা হয়তো অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে প্রভাও খোলাসা করেননি কিছুই। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে নীরবতা ভাঙেন প্রভা।

তিনি বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই মেকআপের ওপর আমার অন্য রকম ভালোলাগা রয়েছে। কিন্তু সময়ের অভাবে এতদিন শেখা হয়নি। অবশেষে ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে। ভালো একটি জায়গা থেকে শিখতে পেরে নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগছে। মূলত ভালোলাগা থেকেই এটি শেখা।’

বিনোদন

‘নিরাপত্তাজনিত’ কারণে ঋতুপর্ণার পরিবর্তে শ্রীলেখা মিত্রকে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিদ পলাশ।

পশ্চিমবঙ্গের তারকা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে ঢাকায় ‘তরী’ সিনেমা বানানোর খবর এসেছিল সরকার পতনের আগের মাসে। পাঁচ মাস পর জানা যাচ্ছে, এই সিনেমার নায়িকা বদলে গেছে।

ঋতুপর্ণার বদলে রাশিদ পলাশের ‘তরী’তে যুক্ত হচ্ছেন কলকাতার আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

এই বদলের কারণ হিসেবে পলাশ তুলে ধরেছেন ‘নিরাপত্তাজনিত’ বিষয়।

পলাশ গ্লিটজকে বলেন, “আমাদের শুটিং লোকেশন যেখানে, সেখানে অনেক মানুষের সমাগম থাকবে। দেশের এখন যে পরিস্থিতি তাতে কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সেটার দায় কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না।

“তাছাড়া ঋতুপর্ণা দিদি এদেশেও অনেক জনপ্রিয়। তার শুটিংয়ে ভিড় সামাল দেওয়া, শুটিং শেষ করতে পারব কী না সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

‘তরী’র দ্বিতীয় অংশের শুটিং হওয়ার কথা ছিল অগাস্ট বা সেপ্টেম্বরে। ওই দফায় ঋতুপর্ণার যুক্ত হওয়ার কথা ছিল।

এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর ভিসা জটিলতা তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন পলাশ।

তিনি বলেন, “ভিসা জটিলতায় ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন সিনেমার স্বার্থেই অভিনেত্রী পরিবর্তন করা হয়েছে, এটা জটিল কিছু না। শ্রীলেখা মিত্রও দারুণ অভিনয় করেন। আমাদের গল্প পছন্দ করেছেন।”

শ্রীলেখা মিত্রের ভিসা প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে পলাশ বলেছেন, আশা করা যায় আগামী বছরের শুরুতে ‘তরী’ সিনেমার শুটিং শুরু করা যাবে।

নির্মাতার ভাষ্য, সিনেমার প্রথম পর্বের শুটিং শেষ। এখন দ্বিতীয় অংশের জন্যই অপেক্ষা।

আহাদুর রহমানের গল্পে এই সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন গোলাম রাব্বানী। প্রযোজনায় আছে পুণ্য ফিল্মস।

এদিকে রাশিদ পলাশের ‘রঙবাজার’ নামের একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে।

পলাশ বলেছেন নব্বই দশকে দেশের আলোচিত নারায়ণগঞ্জের টানবাজার পল্লী ভেঙে ফেলার পেছনের গল্প নিয়ে তিনি ‘রঙবাজার’ সিনেমাটি বানিয়েছেন।

কবে মুক্তি জানতে চাইলে বলেন, “সিনেমাটি প্রস্তুত, দেশের পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে মুক্তি দেওয়া হবে।”

বিনোদন

ভারতীয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা, লারা দত্ত ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ারা যখন মিস ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন খেতাব অর্জন করেন তখন তারা নামিদামি একাধিক পুরস্কার পান।

কিন্তু মিস ইন্ডিয়া হওয়ার পরও অদিতি গোবিত্রিকর তেমন কোনো পুরস্কার পাননি। যে কারণে তিনি হতাশ। তাইতো সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিস ইন্ডিয়া হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন অদিতি গোবিত্রিকর। ভারতীয় ইন্ড্রাস্ট্রিতে দিয়া মির্জা, লারা দত্ত এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

মডেলিংয়ের হাত ধরে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন অদিতি। ২০০০ সালে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন তিনি। অদিতি মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয়ের পর শুরু করেন অভিনয়। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনাও চালিয়ে গিয়েছেন অতিদি, করেছেন পিএইচডি।

অদিতি জানিয়েছেন- প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, লারা এবং দিয়ারা মডেলিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার পর, প্রত্যেকেই নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। তারা জেতেন বিভিন্ন খেতাব। তারা প্রত্যেকে আলাদা আলাদাভাবে তাদের জয় উদযাপন করেন, কিন্তু এত কিছুর পরও তাদের মধ্যকার সম্পর্ক অটুট।

অদিতি জানান, যখন প্রিয়াঙ্কা, লারা এবং দিয়া বাড়ি-গাড়ির মতো দামি-দামি সব পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখন মিস ইন্ডিয়া হিসেবে শুধুমাত্র একটি ফুলের তোড়া পেয়েছিলেন অদিতি। মজার ছলে তিনি বলেছিলেন, তিনি তাদের পুরস্কারের জন্য ঈর্ষান্বিত বোধ করেছেন।

বিনোদন

অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া বলিউডের পাশাপাশি হলিউডেও সমানতালে কাজ করছেন। এ মুহূর্তে তিনি সাফল্যের শিখরে অবস্থান করছেন। তিনি এখন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকা। বলিউড ছেড়েছেন প্রায় বছর দশেক হলো। এখন তার কর্মভূমি হলিউড। সেখানে পায়ের নিচে শক্ত ঘাঁটি গেড়েছেন এ সাবেক বিশ্বসুন্দরী।

২০১৩ সালে বাবাকে হারান প্রিয়াংকা চোপড়া। তার বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হন। বাবার অনুপস্থিতি এখনো অনুভব করেন অভিনেত্রী। বাবার সঙ্গে প্রিয়াংকা চোপড়ার গভীর সম্পর্ক সবসময়েই ভক্ত-অনুরাগীদের মুগ্ধ করে। অভিনেত্রী একাধিক সাক্ষাৎকারে বাবাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকি বাবা অশোক চোপড়ার প্রয়াণের পর তার স্মৃতিতে প্রিয়াংকা হাতে বিশেষ ট্যাটুও করিয়েছিলেন। এই কঠিন সময়ের স্মৃতিচারণা করেছেন প্রিয়াংকার মা মধু চোপড়া।

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য অশোককে আমেরিকার বস্টনে যেতে হতো। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, সেরে ওঠার সুযোগ কম। কিন্তু সেই সময়ে বিমানে যাত্রার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। তখন চোপড়া পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অভিনেতা হৃত্বিক রোশন ও তার বাবা রাকেশ রোশন।

মধু চোপড়া বলেন, সেই সময় প্রিয়াংকা হৃত্বিকের সঙ্গে ‘কৃশ’ ছবিটির শুটিং করছিলেন। প্রিয়াংকা খুবই টেনশনে ছিলেন তখন। তিনি বলেন, হৃত্বিক ওকে জিজ্ঞাসা করেন— তুমি কাঁদছ কেন? যাবতীয় বিষয় জানতে পেরে হৃত্বিক ও রাকেশ এগিয়ে আসেন।

প্রিয়াংকার মা বলেন, তার স্বামীর ইচ্ছে ছিল, চিকিৎসা যেন গোপনেই হয়। তাই বিষয়টি আরও বেশি আবেগপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু সমস্যার কথা জানতে পেরে যেভাবে রোশন পরিবার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।

বিনোদন

রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক দখলদারিত্বের মতোই দেশে ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। কনসার্ট থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র, সর্বমহলে বাংলাদেশ যেন পরিণত হয়েছিল ভারতীয় শিল্পীদের রমরমা বাজার।

তবে গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই চিত্র পাল্টে গেছে।
এই সময়ে দেশে বেশ কয়েকটি বড় বড় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে দেশি-বিদেশি শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। এসব আয়োজনে বেড়েছে পাকিস্তানি শিল্পীদের কদরও।

চলতি বছরের দুইবার ঢাকার শ্রোতাদের মাতিয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলাম। গেল এপ্রিলে রাজধানীর বসুন্ধরার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লেট’স ভাইবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত কনসার্টে পারফর্ম করেন তিনি। সবশেষ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ শিরোনামের গানের আসরে গান গেয়েছেন এই গায়ক। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে আতিফ ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথমবার ঢাকায় আসেন। এরপর ২০১৬ সালে ‘রিদম ফর অল উইথ আতিফ আসলাম নাইট লাইভ ইন ঢাকা’য় অংশ নিতে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ সফর করেন। শুক্রবারের কনসার্টসহ মোট চারবার বাংলাদেশে গাইলেন আতিফ আসলাম।

এদিন ঢাকার মঞ্চে দাঁড়িয়ে আতিফ বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোমের মতো। আর আপনারা আমার সবচেয়ে ভালো শ্রোতা। এই রাতটি সত্যিই ম্যাজিকাল। ’

এদিকে, একই কনসার্টে গেয়েছেন পাকিস্তানের তরুণ গায়ক আব্দুল হান্নান। এটিই তার প্রথম ঢাকা সফর। উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের নিজের জনপ্রিয় কয়েকটি গান গেয়ে শোনান তিনি। এর ফাঁকে জানান, ‘এটা তার জীবনে সবচেয়ে বেশি দর্শক নিয়ে করা কোনো শো। ’

চলতি বছরের আরেক আলোচিত কনসার্ট ছিল ‘লিজেন্ডস অব দ্য ডেকেড’। কারণ দেশের পট-পরিবর্তনের পর এটিই ছিল কোনও বড় গানের আসর। তবে এ নিয়ে নাটকীয়তাও কম হয়নি। কনসার্টটি ২৭ সেপ্টেম্বর পূর্বাচল ৩০০ ফুট এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ঢাকা এরিনায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কনসার্ট শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

পরে ওইদিন সন্ধ্যা জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন আয়োজকরা। তবে সেখানে কনসার্টটি কবে এবং কোথায় হবে সে সম্পর্কে জানাতে পারেনি। তবে ওইদিন রাতেই জানানো হয়, কনসার্টটি (২৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। কথামতো ২৮ সেপ্টেম্বর যমুনা ফিউচার পার্কের নর্থ কোর্টে অনুষ্ঠিত হয় কনসার্টটি। এই কনসার্টে মূল আকর্ষণ ছিল পাকিস্তানের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘জাল’। ব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা ও শিল্পী গওহর মুমতাযের গায়কীতে সেদিন মুগ্ধ হয়েছিল ঢাকার শ্রোতারা।

এর মধ্য দিয়ে ১৪ বছর পর ঢাকায় কনসার্ট করেছে ব্যান্ড ‘জাল’। এর আগে ২০১০ সালে প্রথমবার ঢাকায় এসেছিল দলটি। এর মাঝে বাংলাদেশের আর কোনো কনসার্টে দেখা যায়নি তাদের।

এদিকে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই ঢাকায় আসন্ন কয়েকটি বড় কনসার্টে একাধিক পাকিস্তানি শিল্পী ও ব্যান্ডদল অংশ নেবে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ রাহাত ফতেহ আলী খান। বিনা পারিশ্রমিকে গান পরিবেশন করবেন তিনি।

আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্টে গাইতে দেখা যাবে তাকে। কনসার্ট থেকে আয়কৃত অর্থ যাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের তহবিলে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) কনসার্টটির আয়োজক ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘কাভিশ’। ‘ঢাকা ড্রিমস’ শিরোনামের কনসার্ট দিয়ে তাদের বাংলাদেশ যাত্রা হতে চলেছে প্রথমবারের মতো। এই আয়োজনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু ব্রিক কমিউনিকেশন’। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র এক্সকিউটিভ ব্র্যান্ডিং শারাফ আনজুম হিলিদিতা জানিয়েছেন, ঢাকা সফর নিয়ে ‘কাভিশ’ ব্যান্ডের সঙ্গে তাদের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে। শিডিউলও নেওয়া হয়েছে। এই বছরের ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির একদম শুরুতে কনসার্টটি হবে।

এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানের আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বায়ান’কে নিয়ে নতুন কনসার্ট করতে যাচ্ছে সিক্সবেজ মার্কেটিং এজেন্সি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। রোববার (০১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তিনি জানান, ব্যান্ডটিকে প্রথমবারের মতো আনছে দেশের এই প্রতিষ্ঠান। তাদের কনসার্টটি আগামী ১৭ ডিসেম্বর আর্মি অডিটোরিয়াম, সেনাপ্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। কনসার্টের টিকিট খুব শিগগিরই অনলাইনে ছাড়া হবে।

পাকিস্তানের সংগীত জগতের আলোচিত ব্যান্ড বায়ান। ‘দ্য সফর ট্যুর’ শিরোনামে তারা পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কনসার্ট করবে। এই ট্যুরের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশে আসছে দলটি। তাদের জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘নেহি মিলতা’, ‘মেরা মুসাফির’, ‘সুনো’, ‘ফারদা’, ‘কাহা যাউ’ ইত্যাদি।