বিনোদন

দেশের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি। ২০১৫ সালে ভালোবাসা সীমাহীন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এরপর দাপিয়ে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই অভিনেতী। সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় হরদম পোস্ট করে যাচ্ছেন তিনি। এতো কিছুর মাঝে আবারো আলোচনায় উঠে এলেন পরী। জানালেন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।

রবিবার রাত ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি পোস্টে এমন অভিযোগ করেন পরীমণি। সেই পোস্টে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টাকারীদের বিচার চেয়েছেন এই অভিনেত্রী। অনলাইনের পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি তুলে ধরা হলো:-

পরীমণি লিখেছেন, ‘বরাবর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এই বিচার কই চাইবো আমি? কোথায় চাইবো? কে করবে সঠিক বিচার ? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজির আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাইনা মা। যাদেরকে পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায় !

আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারিনা। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পরে গেল) তাদের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আফসোস ছাড়া কারোর কি করবার থাকবে তখন! আমি তাদের মতো চুপ কি করে থাকতে পারি মা? আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোন অন্যায় মেনে নিতে! আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এতদিনে কখনো আমার এক মুহূর্ত মাকে খুব দরকার এখন, মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে, ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার, একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার। আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা। মা আমি বাচঁতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।’

এ বিষয়ে জানতে পরীমণির ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রসঙ্গত, পরীমণি মডেলিং এর মাধ্যমে তার কর্ম জীবন শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং টিভি নাটকে অভিনয় করেন। তিনি মডেলিং থেকে ছোটপর্দায় এবং তারপর রূপালী পর্দায় অভিনয় শুরু করেন পরীমণি। অভিনয় জীবন শুরু করেন টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি সেকেন্ড ইনিংস, এক্সক্লুসিভ, এক্সট্রা ব্যাচেলর, নারী ও নবনীতা তোমার জন্য এ চারটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন। এর মধ্যে জাকারিয়া শৌখিন রচিত নারী ও নবনীতা তোমার জন্য নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন পরীমণি। এতে চিত্রনায়ক আমিন খান, চিত্রনায়িকা পপি এবং ঈশানাও অভিনয় করেছিলেন। প্রথম অভিনীত নাটকেই তিনি ইলিয়াস কাঞ্চন এবং চম্পার সাথে অভিনয় করেন।’

বিনোদন

জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার। অনেকদিন পর আবারও শুটিংয়ে দেখা যাচ্ছে তাকে। রোজার ঈদে প্রচার হয়েছিল তার কয়েকটি বিশেষ নাটক। এছাড়া নিজের প্রথম সিনেমাতে অভিনয়ে করছেন তিনি। আসছে ঈদুল আজহায় মিথিলার ভক্তরা তাকে একাধিক নাটক ও টেলিফিল্মে দেখতে পাবেন। এরমধ্যে রয়েছে একটি হলো ‘অন্তর্জলী যাত্রা’। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। দিনদুয়েক আগে নাটকটির শুটিংয়ের কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি।

অন্তর্জলী যাত্রা’ নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন রাকেশ বসু। মিথিলা ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ।

‘অন্তর্জলী যাত্রা’য় দুই চরিত্রে মিথিলা
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, অল্পবয়সী এক মা। তার ছেলে ছোট থেকেই একটা মানসিক আঘাতের মধ্যে কাটিয়েছে। কারণ, ও মাকে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে দেখেছে, ও মাকে হারায়। ছেলেটা বড় হওয়ার পর যে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়, তার চেহারার মধ্যে ও মায়ের চেহারা কল্পনা করে। সেটি নিয়েই গল্প এগিয়ে যায়। ‘অন্তর্জলী যাত্রা’তে মা ও প্রেমিকা দুই চরিত্রেই অভিনয় করেছেন মিথিলা।
নাটক নিয়ে রাকেশ বসু গণমাধ্যমকে জানান, ‘এবার একটি ভিন্ন ধাচের গল্প নিয়ে কাজ করেছি, যেখানে বাস্তব ও কল্পনার সমন্বয় ঘটেছে একটু আলাদাভাবে। মিথিলা ও ইরফার দু’জনেই চেষ্টা করেছেন নিজেদের সেরা অভিনয় তুলে ধরার। আশা করছি, নাটকটি দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলবে।’
বিনোদন

ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত আর নেই। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ভোর ৬টায় দক্ষিণ কলকাতার নিজের বাসায় ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তার।

বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এছাড়া শোকের ছায়া নেমে এসেছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। শোক প্রকাশ করেছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ঘনিষ্ঠ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে এক শোকবার্তায় এই অভিনেতা বলেন, ‘সবাই যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছেন। এক এক করে। ভালো লাগছে না। আরো একজন ‘মাস্টার’ চলে গেলেন। বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ’

তিনি আরো বলেন, ‘নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। দু’বার বুদ্ধদার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ‘স্বপ্নের দিন’ এবং ‘আমি, ইয়াসিন আর আমার মধুবালা’ সিনেমাতে অভিনয় করেছি। ফলে তার কাজ করার শৈলীর সঙ্গে পরিচিত আমি। একদম অন্য ভাবে ভাবতেন। সেই অভিজ্ঞতা আমার সারা জীবনের সঙ্গী। ’

‘বাইশে শ্রাবণ’খ্যাত তারকা বলেন, ‘সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বুদ্ধদাকে কেবল বাংলা সিনেমার পরিচালক বললে কম বলা হবে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অপরিসীম অবদান রয়েছে। একইসঙ্গে সারা বিশ্বে তিনি সমাদৃত। ওনার সঙ্গে টরন্টোর মতো বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসবগুলিতে গিয়ে দেখেছি, বাংলা সিনেমা বলতে তারা ‘বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত’-এর নাম উচ্চারণ করেন। তার সিনেমা নিয়ে দেশের বাইরে মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখার সুযোগ পেয়েছি আমি। ’

অবশেষে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে বুদ্ধদার সিনেমা দেখছি। তার দেশের, তার ভাষার মানুষ হিসেবে গর্ববোধ করি। শিক্ষক মানুষ ছিলেন বুদ্ধদা। কবিও ছিলেন তিনি। সবথেকে উল্লেখযোগ্য, তার মতো ভালো মানুষ আমি কম দেখেছি। ’

১৯৪৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার আনাড়ায় জন্ম বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ শ্যামসুন্দর কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি।  ১৯৬৮ সালে ১০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র তৈরির মধ্য দিয়ে পরিচালনায় হাতেখড়ি তার। এরপর একে একে ‘দূরত্ব’, ‘নিম অন্নপূর্ণা’, ‘গৃহযুদ্ধ’, ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’, ‘স্বপ্নের দিন’, ‘উড়োজাহাজ’-এর মতো সিনেমা করেছেন তিনি।

‘বাঘ বাহাদুর’, ‘চরাচর’, ‘লাল দরজা’, ‘কালপুরুষ’-সহ একাধিক সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বিনোদন দুনিয়ার পাশাপাশি সাহিত্য জগতেও অবদান রয়েছে তার।

বিনোদন

হলিউডের একসময়ের প্রভাবশালী প্রযোজকদের অন্যতম হার্ভি ওয়াইনস্টিনের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রথম ফাঁস করেন আমেরিকার দুই নারী সাংবাদিক মেগান টুয়ি ও জোডি ক্যান্টর।

সেই ঘটনাকে ভিত্তি করে হলিউডে প্রথমবার তৈরি হতে যাচ্ছে একটি চলচ্চিত্র। এর নাম রাখা হয়েছে ‘শি সেইড’। এতে দুই সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চূড়ান্ত আলোচনায় পৌঁছেছেন ব্রিটিশ তারকা কারি মালিগ্যান ও আমেরিকান অভিনেত্রী জোয়ি কাজান।

নিন্দিত প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর নিউ ইয়র্ক টাইমসে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দুই সাংবাদিক মেগান টুয়ি ও জোডি ক্যান্টরের লেখা সেসব প্রতিবেদন ‘শি সেইড: ব্রেকিং দ্য সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট স্টোরি দ্যাট হেল্পড ইগনাইট অ্যা মুভমেন্ট’ নামে গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। এর মাধ্যমে পুলিৎজার পুরস্কার পান তারা। হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার নেপথ্য ঘটনা ও প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুই নারী সাংবাদিক যেসব আইনি জটিলতায় পড়েছেন সেসব গল্প রয়েছে ‘শি সেইড’ গ্রন্থে।

দুই নারী সাংবাদিকের গ্রন্থটি অবলম্বনে নতুন ছবির চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে। এটি পরিচালনা করবেন জার্মানির ৫৫ বছর বয়সী পরিচালক মারিয়া শ্রেডার। ইউনিভার্সেল পিকচার্স জানিয়েছে, এবারের গ্রীষ্মেই এর চিত্রায়ন শুরু হবে। তবে মুক্তির দিনক্ষণ জানা যায়নি।

হলিউডের একসময়ের প্রভাবশালী প্রযোজকদের অন্যতম হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে শতাধিক নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে মুখ খোলেন। তাদের বক্তব্য নিয়ে ২০১৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ‘মিটু’ হ্যাশট্যাগ ও ‘টাইমস আপ’ আন্দোলন।

দুনিয়া নাড়িয়ে দেওয়া যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে হলিউডে প্রথম ছবি(বাঁ থেকে) জোডি ক্যান্টর ও মেগান টুয়ি

যদিও হার্ভি ওয়াইনস্টিন সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারও সঙ্গেই বিনা সম্মতিতে ঘনিষ্ঠ হননি বলে দাবি করেন তিনি। যদিও রেহাই মেলেনি তার। দুই নারীকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে নিউ ইয়র্ক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত বছরের মার্চে তাকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতের রায় খারিজের আবেদন করে পুনরায় বিচারকার্যের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাতে কাজ হয়নি। আগামীতে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়ায় ধর্ষণের আরও অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে তাকে।

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে “অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স মেন” এবং ক্যাথলিক গির্জায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগে একদল সাংবাদিকের অনুসন্ধানকে ঘিরে অস্কারজয়ী ‘স্পটলাইট’ ছবি দুটির সঙ্গে ‘শি সেইড’কে তুলনা করা হচ্ছে।

যদিও এর আগে হার্ভি ওয়াইনস্টিনের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। এছাড়া মিটু হ্যাশট্যাগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান সাজিয়েছেন নির্মাতারা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দ্য অ্যাসিস্ট্যান্ট’ (২০১৯) ছবিটি এবং অ্যাপল প্লাস টিভির সিরিজ ‘দ্য মর্নিং শো’।

কারি মালিগ্যান গত অস্কারে ‘প্রমিসিং ইয়াং ওম্যান’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী শাখায় মনোনীত হন। এতে বান্ধবীর ধর্ষণের প্রতিশোধ নেওয়া এক তরুণীর ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা এখন অ্যাডাম স্যান্ডলারের সঙ্গে ‘স্পেসম্যান’ ছবির কাজে ব্যস্ত।

অন্যদিকে ‘দ্য বিগ সিক’ (২০১৭) তারকা জোয়ি কাজানকে সম্প্রতি এইচবিও চ্যানেলের মিনি সিরিজ ‘দ্য প্লট অ্যাগেইস্ট আমেরিকা’য় দেখা গেছে। কারি মালিগ্যানের সঙ্গে মঞ্চনাটক ‘দ্য সিগাল’-এ অভিনয় করেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তরুণী।

বিনোদন

বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমারের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এই অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে টুইটবার্তায় খবরটি জানানো হয়েছে। সোমবার পৌনে ১২ দিকেও অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন ৯৮ বছরের এই অভিনেতা। তবে এখনও পর্যন্ত ভেন্টিলিশনে দিতে হয়নি তাকে। কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। আপাতত সেই রিপোর্টের প্রতীক্ষায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। দিলীপ কুমার বর্তমানে চেস্ট স্পেশ্যালিস্ট ডা. জালিল পার্কার তত্বাবধয়নে আছেন।

এর আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় রবিবার মুম্বাইয়ের খারে পিডি হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিংবদন্তি অভিনেতাকে।

দিলীপ কুমারের স্ত্রী সায়রা বানু ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, গত কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল দিলীপ কুমারের। সেই কারণেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এদিন তাকে হাসপাতালে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দিলীপ কুমারের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা গুজব রটতে থাকে। সোমবার টুইটারে গুঞ্জন না ছড়ানোর অনুরোধ জানানো হয় তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে লেখা হয়, ‘দিলীপ কুমারের লক্ষ লক্ষ অনুরাগী তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছেন। আপনারা দারুণ কাজ করেছেন, করে চলেছেন। দয়া করে এই টুইটার হ্যান্ডেল থেকেই খবরের সত্যতা বিচার করবেন। এমন কাউকে ফোন করবেন না যিনি এ বিষয়ে সেভাবে কিছু জানেনই না।’

মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য গত মে মাসে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল দিলীপ কুমারকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই করোনা আবহে গত বছর মার্চ থেকেই কার্যত আইসোলেশনে কাটিয়েছেন দিলীপ কুমার। সঙ্গে সায়রা বানুও ছিলেন। দিলীপ কুমারের নামের এই টুইটার হ্যান্ডেল থেকেই রবিবার জানানো হয়েছিল। দুই-তিন দিনের মধ্যে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

দিলীপ কুমারের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে পরিবারের অনুরোধ

বিনোদন

পপসম্রাট ও সেকশন কমান্ডার আজম খানহীন দশ বছর কেটে গেলো। ২০১১ সালে আজকের (৫ জুন) দিনে জাগতিক মায়া কাটিয়ে পারি দিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। কিন্তু চলে যাওয়া মানেই তো আর হারিয়ে যাওয়া নয়। মুক্তিযুদ্ধ শেষ করে যে মানুষটি বাংলাদেশের ব্যান্ডযাত্রার পথ দেখিয়েছেন, সেই কিংবদন্তির জায়গা সহস্র মানুষের হৃদয়ে।

কিংবদন্তির জায়গা সহস্র মানুষের হৃদয়ে১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। দুই নম্বর সেক্টরে সেকশন ইনচার্জ ছিলেন। সেকশন কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। যাত্রাবাড়ী-গুলশান এলাকার গেরিলা অপারেশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পান। তার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল ‘অপারেশান তিতাস’।
কিংবদন্তির জায়গা সহস্র মানুষের হৃদয়েস্বাধীনতার পর তার ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’ আলোড়ন তুলেছিল। ১৯৭২ সালে ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি বিটিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক প্রশংসিত হয়। পরে ১৯৭৪ সালে বিটিভিতে ‘রেললাইনের ঐ বস্তিতে’ শিরোনামের গানটি গেয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। ১৯৮২ সালে ‘এক যুগ’ নামে তার প্রথম ক্যাসেট বের হয়। ডিস্কো রেকর্ডিংয়ের প্রযোজনায় তার গাওয়া গানের প্রথম সিডি বের হয় ১৯৯৯ সালের ৩ মে।

আজম খানের গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে: ‘আমি যারে চাইরে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’ ইত্যাদি।

গানের পাশাপাশি ১৯৮৬ সালে ‘কালা বাউল’ নামে হিরামন সিরিজের নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে শাহীন-সুমন পরিচালিত ‘গডফাদার’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আজম খান।

কিংবদন্তির জায়গা সহস্র মানুষের হৃদয়ে২০০৩ সালে ক্রাউন এনার্জি ড্রিংকসের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মডেল হয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১০ সালে কোবরা ড্রিংকসের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছিলেন এই পপসম্রাট।

২০১০ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ৫ জুন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান তিনি। তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

বিনোদন

সারাদিন পর ঘরে ফিরে সাদামাটা খাবার খেতে অভ্যস্ত মানুষের মতো হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। তাদের জন্য পোলাও-কোরমা এনে দিলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ! তামাম চলচ্চিত্র দুনিয়ার তীর্থভূমি কান উৎসবে লাল-সবুজ পতাকা উড়তে যাচ্ছে এই তরুণের হাত ধরে। মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজনটির ৭৪ম আসরের অফিসিয়াল সিলেকশনে জায়গা পেয়েছে তার দ্বিতীয় ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। শুধু চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জন্য এটি বিরাট অর্জন। প্রথমবার বাংলাদেশের কোনো পরিচালক এই সম্মান বয়ে আনলেন। পৃথিবীর স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমগুলোতে এখন তার ছবির নাম বয়ে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের নামও লেখা হচ্ছে। তাই ছবিটি হয়ে গেছে সবার! পুরো ব্যাপারটাতে যেন ছড়িয়ে আছে ঈদের আমেজ!

এতদিন বাংলাদেশের ছবির দৌড় ছিলো ঘুরেফিরে বিভিন্ন দেশের অলিগলির কিছু উৎসব। কালেভদ্রে সান্ত্বনা হিসেবে মোটামুটি আলোচিত দুই-একটা উৎসবে জায়গা পেয়েছেন এখানকার নির্মাতারা। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের আহামরি অর্জন বলতে কেবল ছিলো ২০০২ সালের কানে তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’র ফিপরেস্কি পুরস্কার জয়। কানের আঁ সার্তে রিগার বিভাগে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের জায়গা পাওয়ার মধ্য দিয়ে সব অতৃপ্তি ঘুচে গেলো। তাই তাকে টুপিখোলা অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন তিনি।

কান উৎসবের দুই আয়োজক থিয়েরি ফ্রেমো ও পিয়েরে লেসকিউর।

‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। দেশের নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা অভিনন্দনে সিক্ত করছেন তাকে। ইতিহাসের পাতায় যে ঢুকে গেছেন তিনি! কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি ছবির নায়িকা হিসেবে বারবার উচ্চারিত হবে তার নাম।

‘জালালের গল্প’র পরিচালক আবু শাহেদ ইমন মনে করেন, কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। সাদসহ ছবিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘সিনেমার পেছনে লেগে থাকা ও ক্রমাগত ধ্যান-সততা-নিষ্ঠা নিয়ে বানিয়ে যাওয়ার পুরস্কার এটি।’

আবু শাহেদ ইমনের বিশ্বাস, কান উৎসব স্বীকৃত ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে ২০০২ সালে ‘মাটির ময়না’ নির্বাচিত হওয়ার প্রায় ১৯ বছর পর আঁ সার্তে রিগারে বাংলাদেশি ছবির অন্তর্ভুক্তি গল্পে, বিষয়ে ও বৈচিত্র্যে নতুনমাত্রা ও আশা জোগাবে। তার মন্তব্য, “বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প, ওটিটি’র নীতিনির্ধারক বা টিভিগুলো যখন ক্রমাগত ভুল পথে হাঁটছে, তখন ‘সঠিক কী হওয়া উচিত’ উদাহরণ নিয়ে বুক ফুলিয়ে সবার সামনে এলো এই সুসংবাদ।”

তারেক মাসুদের সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছিলেন প্রসূন রহমান। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের সিনেমার জন্য দারুণ খবর। এমন ঘটনা নিয়মিত ঘটার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল ৫৫তম কান উৎসবে ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইট বিভাগে ‘মাটির ময়না’র অন্তর্ভুক্তি ও পুরস্কার প্রাপ্তির পর। অনেক উদ্যোগ, অনেক সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্র নির্মিতও হয়ে আসছে। গ্লোবাল অডিয়েন্সের কাছে নিজেদের গল্প, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কাজ নিয়ে পৌঁছাতে পারার আনন্দ যে কত সহজে ব্যক্তি নির্মাতা, কলাকুশলী কিংবা প্রযোজনা দলকে ছাড়িয়ে দেশের সবার হয়ে ওঠে, তা এরকম সময় এলে বুঝতে পারা যায়। ভাষা ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে সৃজনশীল চলচ্চিত্র উদযাপিত হয় বিশ্বজুড়ে। জীবন যতদিন থাকবে সৃজনশীলতার চর্চাও চলবে। উদযাপনও চলবে।’

‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবির কলাকুশলীরা বাংলাদেশিদের জাতি হিসেবে গর্বিত করেছেন— বেশিরভাগ নির্মাতা এসব অনুভূতি ভাগাভাগি করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিনেতা তারিক আনাম খান, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, নির্মাতা শিহাব শাহীন, গোলাম সোহরাব দোদুল, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। তারিক আনাম খান মনে করেন, এটাই শুরু। বাঁধনকে উদ্দেশ করে তার মন্তব্য, ‘তোমার অর্জনে খুব খুশি হয়েছি।’

কানের সম্মানজনক লোগো সংবলিত ছবিটির প্রচারণামূলক পোস্টার কেউ কেউ ফেসবুক প্রোফাইল ও কভার পিকচার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সবাই মনে করছেন, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জন্য দারুণ একটি দিন এ বছরের ৩ জুন। বাংলাদেশের জন্য গর্ব করার মতো একটি দিন। ‘আয়নাবাজি’র চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামান লিখেছেন, ‘আজকে মোদের বড়ই সুখের দিন।’

‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, ‘নিরন্তর’ ছবির পরিচালক আবু সাইয়ীদের কথায়, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এটি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র কান, বার্লিন, ভেনিসে স্থান না পাওয়ার দীর্ঘ বন্ধ্যাত্ব ভেঙে ফেললেন সাদ।’

‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’র পর আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ বলা যায় সাফল্যের এভারেস্টে পেয়ে গেলেন নিজেকে। বুসান, মস্কো উৎসবে নজরকাড়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘সাদ আমাদের পরের প্রজন্মের একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা যাকে আমার খুব ভালো লাগে।’

‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির পরিচালক দীপঙ্কর দীপনের দৃষ্টিতে ‘সাম্প্রতিক কালের বাংলা সিনেমার সবচেয়ে বড় সুসংসবাদ এটি। তার একটি স্ট্যাটাসটা এমন, ‘আজ দিনটা ছিল খুব আনন্দের দিন। আমাদের হাতে দেশের ক্ষমতা থাকলে এই আনন্দে একদিন সাধারণ ছুটি দিয়ে দিতাম। আনন্দে আজ সারাদিন একাধিক ফেসবুক পোস্ট করেছি। বাংলাদেশি সিনেমাকে যে সম্মান দিয়েছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, তা আকাশের মতো বিশাল।”

দীপঙ্কর দীপনের আশা— এই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে তৈরি হবে বাংলাদেশের একটি সিনেমা প্রজন্ম, যারা মননশীল ছবি বানাবে, গভীর জীবনবোধের বানাবে, স্থানীয় ছবি বানাবে, বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তার মন্তব্য, ‘মননশীল চলচ্চিত্রের জগতে যে সিনেমা যত বেশি স্থানীয়, তা তত বেশি আন্তর্জাতিক। আমাদের আধুনিক বাণিজ্যিক ছবি যতটা দরকার, ততটাই দরকার মননশীল সিনেমা। এরকম একাধিক ধারা মিলেই চলচ্চিত্র শিল্প। সব ধারায় ফুল ফুটুক, বাংলাদেশি সিনেমার সফলতার ফুল।’

কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সংক্রান্ত অসাধারণ খবরের লিংক এবং কানের লোগো সংবলিত প্রচারণামূলক পোস্টার শেয়ার করেছেন বাঁধন। এগুলোর মন্তব্যের ঘরে তাকে অভিনন্দনে সিক্ত করেছেন বিনোদন অঙ্গনের বাসিন্দারা।

অভিনেত্রীদের মধ্যে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ছবিটির কলাকুশলীদের এবং অবশ্যই আজমেরী হককে।’

জ্যোতিকা জ্যোতি রসিকতা মেখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘এবার কী হবেরে বাঁধন!’

অপি করিম উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি দারুণ খবর। সাদ ও তার দলবলকে অভিনন্দন ও কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। আর বাঁধনকে বলেছেন, ‘এগিয়ে চলো প্রিয়।’

অপর্ণা ঘোষ লিখেছেন, ‘আমাদের জন্য কী বিরাট ব্যাপার! অভিনন্দন বাঁধনকে, তুমি আমাদের গর্ব।’ তার স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে বাঁধনকে অভিনন্দন জানান দুই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠু ও শিল্পী সরকার অপু।

বাঁধনকে উদ্দেশ করে কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘তোমাকে নিয়ে গর্ব হয়। আলো ছড়াতে থাকো, আরও এগিয়ে যাও!’

বাঁধনকে ভালোবাসা, শুভকামনা, স্যালুট ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পূর্ণিমা, তারিন, নুসরাত ফারিয়া, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সাদিয়া জাহান প্রভা, নাজিফা তুষি, নাজিয়া হক অর্ষা, কুসুম সিকদার, নাদিয়া আহমেদ, মেহের আফরোজ শাওন, ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী, রিচি সোলায়মান, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তানভীন সুইটি, দীপা খন্দকার, শ্রাবস্তী তিন্নি, মোজেজা আশরাফ মোনালিসা, নাজনীন হাসান চুমকি, আইরিন সুলতানা, রোকেয়া প্রাচী, মৌসুমী নাগ, সুষমা সরকার, তানজিকা আমিন, শানারেই দেবী শানু, সাদিকা স্বর্ণা, গোলাম ফরিদা ছন্দা, হাসিন রওশন, উপস্থাপক মাসুমা রহমান নাবিলা, শ্রাবণ্য তৌহিদা, পিয়া জান্নাতুল, নীল হুরেরজাহান, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, আকরাম খান, গাজী শুভ্র, অনম বিশ্বাস, তানিম রহমান অংশু, শাফায়েত মনসুর রানা, আরিক আনাম খান, হৃদি হক, শাহনেওয়াজ কাকলী, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল, নিয়াজ মাহবুব, খিজির হায়াত খান, ইফতেখার চৌধুরী, নিয়ামূল মুক্তা, সংগীতশিল্পী ইমন সাহা, আঁখি আলমগীর, আলিফ আলাউদ্দিন, এলিটা করিম, খৈয়াম সানু সন্ধি, সাব্বির জামান, ফাতেমা জাহাঙ্গীর জুলি, নাট্যকার ফারিয়া হোসেন, রুম্মান রশিদ খান, নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা।

অভিনেতা সিয়াম আহমেদ ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার হিসেবে রেখেছেন রেহানা মরিয়ম নূর-এর পোস্টার। লাল-সবুজ পতাকার ইমোজি জুড়ে দিয়ে স্ট্যাটাসে সাদকে উদ্দেশ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের গর্বিত করেছেন আপনি।’

এছাড়া বাঁধনের বিভিন্ন পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিনেতা ইরেশ যাকের, ইমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, আদনান ফারুক হিল্লোল, মাজনুন মিজান, মুকিত জাকারিয়া, জাহিদ হোসেন শোভন।

কান উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগ ছাড়া আঁ সার্তে রিগার বিভাগে নির্বাচিত ছবিগুলোর জন্য থাকে পুরস্কার। এবার ১৭টি দেশের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। ফলে বাংলাদেশের জন্য আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ ও বাঁধন আরও আনন্দ বয়ে আনার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী ৬ জুলাই কান উৎসবের পর্দা উঠবে।

কানের ইতিহাসে প্রথমবার অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পাওয়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য বিরাট অর্জন। এর মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই চলচ্চিত্র শিল্প অনেক বড় ধাপ এগোলো। একইসঙ্গে দেশের তরুণ নির্মাতাদের জন্য খুলে গেলো অপার সম্ভাবনার দুয়ার। বাংলাদেশের প্রতি চলচ্চিত্র দুনিয়ার বাড়তি নজর থাকবে। আমাদের সিনেমার জন্য এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ নামটি যে মনে রাখতেই হবে!

বিনোদন

চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। নিজ চলচ্চিত্রের জন্য বেছে বেছে নিজেই পোশাক কেনেন এই তারকা। যা অনেক সময়ই ব্যবহার করা হয় না। এবার সেই কাপড়গুলো দিলেন নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য।

রাজধানীর ঢাকা উদ্যানে বস্তির সুবিধা বঞ্চিতদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সংগঠন সুইচ-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তা আগামী কোরবানির ঈদে তুলে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি। বুধবার (৩১ মে) তারা ফারিয়ার কাছ থেকে দুই শতাধিক পোশাক সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছে।

নিজের পরা পোশাক বস্তির মেয়েদের দিচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া

‘সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’-এর প্রধান সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, “তারকারা গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ালে সাধারণরা আরও বেশি উৎসাহিত হয়। এ কারণে আমরা জনপ্রিয় এই শিল্পীকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। ‘১০ টাকায় কাপড়’ নামের বিশেষ প্রকল্পে এগুলো বস্তির মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।”

নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘শুটিংয়ের জন্য অতিরিক্ত কাপড় কেনা হয়, যেগুলো অনেক সময় ব্যবহার করা হয় না। আবার একবারের বেশি পরাও হয় না- এমন সব কাপড় দিয়েছি। শুনেছি গরিবদের জন্য তাদের এই প্রকল্পে এ ধরনের পোশাকই (নতুন বা কম ব্যবহৃত) সংগ্রহ করা হয়। তাই দিতে পেরে সত্যিই আমার ভালো লাগছে।’

নিজের পরা পোশাক বস্তির মেয়েদের দিচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া

নুসরাত ফারিয়া সর্বশেষ ওয়েব ফিল্ম ‘যদি কিন্তু তবুও’ গত ১ এপ্রিল মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন।

বিনোদন

‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের পর চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে আরেকটি কাজের ঘোষণা নিয়ে আসছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

বিনোদন

চোখে মুখে চ্যালেঞ্জিং ছাপ। রিভালবার হাতে পুরোপুরি অ্যাকশন মুড। দেখে কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে প্রতিশোধ নিতে যোদ্ধা রূপে হয়তো কোনো অমানুষকে ঘায়েল করছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। জন্মদিনে মিথিলার প্রথম ছবি ‘অমানুষ’-এর আরেকটি লুক সামনে এনেছেন পরিচালক অনন্য মামুন।

অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার প্রথম চলচ্চিত্র ‘অমানুষ’র ‍দৃশ্যধারণ প্রায় শেষের দিকে। এ ছবিতে মিথিলার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক নিরব। যাকে একজন ডাকাতের ভূমিকায় দেখা যাবে। বড় পর্দায় এবারই প্রথম একজোট হয়েছেন নিরব ও মিথিলা।

ভয়ডরহীন এক প্রতিবাদী নারী মিথিলা!প্রথম ছবিতে নুসরাত নামে ভয়ডরহীন এক প্রতিবাদী নারীর ভূমিকায় দেখা যাবে মিথিলাকে; যিনি দেশের বাইরে থেকে ফেরার পর নানা ধরনের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে যেতে থাকেন। ওটাকে ঘিরেই গল্পটা এগিয়ে যায়। মেয়েটাকে অনেক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

মঙ্গলবার শেয়ার করা পোস্টারে পরিচালক অনন্য মামুন যেনো সেই ভয়ডরহীন প্রতিবাদী নারীকে পরিচয় করে দিয়েছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘অমানুষ’-এ একজন যোদ্ধা।’

পরিচালক অনন্য মামুন ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, ‘অমানুষ’ ছবির শুটিং প্রায় শেষের দিকে। বলা যায় প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। স্বাস্থবিধি মেনে আমরা কাজ করছি। আশা করি দর্শকরা নতুন কিছু দেখেতে পারবে।

ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, শহিদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, শাহেদ আলী, রাশেদ মামুন অপু, আনন্দ খালেদ, ক্রিস্টিয়ানো তন্ময় ও ফারহান খান রিও।