বিনোদন

এবার অন্য কাউকে আক্রমণ নয়, বরং নিজেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। সামাজিকমাধ্যমে অভিনেত্রী নিজেই জানালেন এ খবর।

কিছুদিন আগেই কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে টুইটার। তাই ইনস্টাগ্রামেই জানালেন তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা। জানালেন, শরীরে মারণ ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে। আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলিউডের ‘কুইন’।

যোগব্যায়াম পোজে ছবি দিয়ে কঙ্গনা লেখেন, ‘আমি ক্লান্ত অনুভব করছিলাম। চোখে জ্বালাভাব করছিল। হিমাচল যাব ভাবছিলাম তাই গতকাল করোনা টেস্ট করাই। আজ রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। ’

অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমি নিজেকে কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। দেহের মধ্যে যে ভাইরাস পার্টি করছে তা জানতামই না। এখন জেনে গেছি, এবার ধব্বংস করব। ’

অনুরাগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘করোনাকে ভয় পেলে ও বেশি ভয় দেখাবে। এটা কিছু সময়ের ফ্লু ছাড়া আর কিছু নয়। ’

বিগত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জন্য চর্চায় রয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। টুইটার ইতোমধ্যেই তার অ্যাকাউন্ট পুরোপুরিভাবে সাসপেন্ড করেছে।

বিনোদন

বিটিভির ঈদের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দমেলা’। প্রতি ঈদেই অনুষ্ঠানটি ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। করোনার প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝে আসন্ন ঈদেও বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রচার করবে ‘আনন্দমেলা’। এবারও বর্ণিল আয়োজনে সাজানো হয়েছে দর্শকপ্রিয় এ অনুষ্ঠানটি। যার উপস্থাপক হিসেবে দেখা যাবে জনপ্রিয় দুই তারকা ফেরদৌস ও পূর্ণিমাকে। এখানে বিশেষ পরিবেশনা নিয়ে হাজির হয়েছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও ছোট পর্দার তারকা মেহজাবীন চৌধুরী।

প্রয়াত অভিনেত্রী কবরীর স্মরণে তারই সিনেমার কালজয়ী গান ‘সে যে কেন এলো না’র সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেছেন অভিনেত্রী তারিন।

দুই বাংলার ছয় শিল্পী মিলে করেছেন একটি বিশেষ গান। যা ভিডিও আকারে দেখানো হবে। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এপার বাংলার তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ ও চন্দন সিনহা এবং ওপার বাংলার রাঘব চ্যাটার্জি, জয় সরকার ও উষা উত্থুপ। কবির বকুলের কথায় এটির সুর-সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ‘যতনে রাখিব’ শিরোনামে একটি গানে পারফরমেন্স করেছেন ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ। গানটিতে তার সঙ্গে নেচেছেন বেশ কয়েকজন নৃত্যশিল্পী। যার কোরিওগ্রাফি করেছেন ইভান শাহরিয়ার। গান গেয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল ও তার দল।

বিটিভির ঈদ ‘আনন্দমেলা’ প্রযোজনা করেছেন মাহফুজা আক্তার। এটি প্রচারিত হবে ঈদের দিন রাত ১০টার সংবাদের পর।

প্রযোজক মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘করোনাকালে চেষ্টা করেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তবে অনুষ্ঠানটি শুটিং করার। এমন অবস্থায় সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠান সাজাতে একটু বেশিই বেগ পেতে হয়েছে। বিটিভির স্টুডিওতে টানা তিনদিন শুটিং করেছি। কোভিডের মধ্যেও শিল্পীরা সাড়া দিয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। লকডাউনে দর্শকরা বাসায় থাকবেন। তাদের পূর্ণ বিনোদনের চিন্তা মাথায় রেখেই অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছি। যেন অনুষ্ঠানটি তাদের কাছে উপভোগ্য হয়। আশা করছি, বরাবরের মতো এবারের আনন্দমেলাও দর্শকদের ভালো লাগবে।’

নতুন এই আনন্দমেলা ছাড়াও ঈদের আগের দিন রাত ১০টা ২০ মিনিটে বিটিভিতে প্রচারিত হবে আরো একটি আনন্দমেলা। যেটি বিগত কয়েক বছরে প্রচারিত হওয়া আনন্দমেলার সংকলন। বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত ঈদ আনন্দমেলার উল্লেখযোগ্য অংশগুলো বিশেষ করে পুরনো দিনের জনপ্রিয় সব তারকাদের সমন্বয়ে সেজেছে এই ‘আনন্দমেলা’টি। আর এটি প্রযোজনা করেছেন গোলাম মোর্শেদ।

 

 

 

বিনোদন

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির পরিবারের অন্তত ছয় সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে আছেন তার স্বামী রাজ কুন্দ্রা, দুই সন্তান সামিসা ও ভিয়ান, তার মা এবং শিল্পার শ্বশুর-শাশুড়ি।

শুক্রবার (৭ মে) শিল্পা নিজেই তার ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে এসব তথ্য জানান। পরিবারের সদস্যদের বাইরে তার বাড়ির দুই কর্মচারীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তবে শিল্পার রিপোর্ট নেগেটিভই এসেছে।

শিল্পা লিখেছেন, ‘গত ১০ দিন ধরে আমাদের পরিবারের খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। তারা সবাই বাড়িতে নিজের রুমে আইসোলেশনে আছে এবং ডাক্তারের পরামর্শ ফলো করছে। বাড়ির দুই স্টাফও করোনা পজিটিভ। তারা মেডিকেল ফ্যাসিলিটিতে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে আমার টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্লিজ মাস্ক পরুন এবং সতর্ক থাকুন।’

বাজিগর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেকের পর থেকে প্রায় ৪০টি বলিউড, তামিল, তেলেগু এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শিল্পা শেঠি। তিনি প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ১৯৯৪ সালের ‘আগ’ ছবিতে। এছাড়াও তিনি ধাড়কান (২০০০) এবং রিস্তে (২০০২) চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয় নৌপুন্য প্রদর্শন করেন। ২০০৪ সালের ফির মিলিঙ্গে চলচ্চিত্রে একজন এইডস রোগী হিসেবে অভিনয় করে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেন। তার ছোট বোন শমিতা শেঠীও একজন বলিউড চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করছেন।

বিনোদন

নানা ঢাকঢোল পিটিয়েও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে ৩ অঙ্কের কোটায় আসন নিতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। আর সেই ভরাডুবির মধ্যেই বিজেপির অভিনেত্রী প্রার্থীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বিজেপির প্রভাবশালী নেতা তথাগত রায়।

মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেন, ‘পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (আর বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন) তাদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?’

পরে এক ঘণ্টা পরে আবার সংশোধনী দেন। সংশোধনীতে তিনি লেখেন, মদন মিত্রর সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন পার্নো মিত্র নয়, তনুশ্রী চক্রবর্তী।

তার এ মন্তব্যে বিজেপির অভ্যন্তরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপির তারকা অভিনেত্রী প্রার্থীদের ‘কেলি’, ‘নগরীর নটী’ সহ নানা আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন।

একই সঙ্গে বিজেপির দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননকে ‘প্রভু’ আখ্যা দিয়ে কার্যত কৈফিয়ৎ চেয়েছেন তিনি।

এব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেছেন, ‘বিজেপির সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা তৃণমূলের তারকা নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকিবিলাস করেছিলেন। প্রার্থী হওয়ার কোনও গুণই তো নেই। এদের টিকিট দিল কে? এগুলো রাজনৈতিক লোকজন করতে পারে? রাজ্যে চারজন তো পার্টি চালিয়েছে। কৈলাশ, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ ও দিলীপ ঘোষ। এরা যা বলেছেন সেই অনুসারেই টিকিট পেয়েছেন।’

বিজেপি নেতা তথাগতের বক্তব্যে পাল্টা জবাবে বিজেপি নেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী বলেন, ‘তাঁর কাছে কী কোনও প্রমাণ আছে?’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আমি পালানোর রাজনীতি করি না।

বিনোদন

প্রথমে সংগীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শেফালী জারিওয়ালা। ২০০৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদে হয়। এরপর ২০১৪ সালে অভিনেতা পরাগ তেয়াগীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শেফালী। সম্প্রতি প্রথম বিবাহবিচ্ছেন সম্পর্কে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী।

শেফালি জানালেন, হিংসা যে কেবল শারীরিক, তা নয়। প্রবল মানসিক হিংসার শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন আর্থিক ভাবে স্বাধীন ছিলেন বলে।

তার মতে, বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে ছুৎমার্গ রয়েছে মানুষের মনে। যা আসলে সমাজের চোখ রাঙানির কারণেই তৈরি হয়েছে। কিন্তু শেফালি জানালেন, পরিবারের সমর্থন পেয়েছিলেন এবং অর্থনৈতিক দিক নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি বলেই খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন তিনি।

তিনি মনে করেন, সে সব মানুষকে এটা বোঝানো উচিত যে তাদের এই কাজগুলোর জন্য তাদের পিঠ চাপড়ানো হচ্ছে না। ২০১৪ সালে ফের বিয়ে করেন তিনি। পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের বহু মুহূর্ত উঠে আসে অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামে।

গত বছর দম্পতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তারা সন্তান দত্তক নিতে চান। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সে পদক্ষেপে বিরতি পড়েছে। সব ঠিক হয়ে গেলে তাঁদের ঘরে এক শিশুর আগমন হবে।

বিনোদন

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষেত্রে এখন অনেকেই এই কথাটি ব্যবহার করছেন। তবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা অন্য টিপ্পনী ব্যবহার করেছেন। আর তাতে তিন তারকার নিশানায় দিলীপ ঘোষ। ‘বারমুডা’ (হাফ প্যান্ট জাতীয় পোশাক) প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা-মিমি। পরমব্রত টুইট করলেন ‘রগড়ে দেব’ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে।

কয়েকদিন আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাঙা পা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাকে ‘বারমুডা’ পরার পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপ। সেই প্রসঙ্গে টুইট করে মিমি চক্রবর্তী লেখেন, ‘এই যে বলেছিলেন বারমুডার কথা তিনি কোথায়, ও দাদা।’

রবিবার বেলা গড়াতেই নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট হতে থাকে। দুপুরের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের আভাস মেলে। তাতেই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় টুইটে প্রথমে লেখেন বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের ‘ভবানীপুরের ভাষা’ বড্ড মিস করছেন তিনি। তার ফোন করে বিরোধীপক্ষের লোকজনকে কথা শোনানোও মিস করছেন। সেই কারণে বাবার অনারেই এদিন স্বস্তিকা নিজের টেলিভিশনের আওয়াজ ৯০ ভলিউমে বাড়িয়ে রেখেছিলেন।

এরপরেই টুইটে ‘বারমুডা’ প্রসঙ্গ টেনে আনেন স্বস্তিকা। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলস’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমরা আজকে একটু বারমুডা পররো না? বারমুডা পররো না আমরা?’

‘নিজেদের মতে নিজেদের গান’ তৈরি করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়রা। ফেসবুক লাইভে সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘শিল্পীদের বলছি আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের ছেড়ে দিন। না হলে ঘার মটকিয়ে দেব।’

সেই প্রসঙ্গে টেনে পরমব্রত লেখেন, ‘আজ বিশ্ব রগড়ানি দিবস ঘোষিত হোক!’ পরে আরও একটি টুইটে লেখেন, “তোমার কোনো কোনো কোনো, কোনো কোনো কোনো কোনো কথা শুনবো না আর , যথেষ্ট বুঝি কিসে ভালো হবে, নিজেদের মতো ভাববো” ‘দিদি ও দিদি’ স্লোগানের আদলে নুসরত জাহান আবার হ্যাশট্যাগে লেখেন ‘দিদি জিও দিদি’।

বিনোদন

করোনার মধ্যে খুব একটা কাজ করেননি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বর্তমানে লকডাউনে রয়েছেন বাসায়। চারদিকে করোনার কারণে প্রচুর নেগেটিভ খবর। সবমিলিয়ে মন খারাপ এ অভিনেত্রীর। তবুও তিনি আশা করছেন একদিন এ মহামারী মুক্ত হবে পৃথিবী। আবার প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিতে পাবো আমরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জয়া লিখেছেন, ‘মনটাকে জাগিয়ে রাখা কী যে কঠিন মনে হচ্ছে আজকাল। এতো ক্ষয়, এতো মৃত্যু, এতো হাহাকার! চারদিকে যেন শুধু একটাই চিহ্ন, বিয়োগের। আমাদের কত না আপনজন উষ্ণ হাতের মুঠো ছেড়ে বিদায় নিচ্ছেন। যারা আমাদের আনন্দের সময়ের বন্ধু, বেদনার সময়ের আশ্রয়, বিপদের সময়ের ভরসা, তারা চলে যাচ্ছেন একে একে। চলে গেলেন সৌমিত্র কাকুর মতো মেঘ–সমান উঁচু একজন মানুষ, চলে গেলেন আরও কত কত কবি, লেখক, শিল্পী। ঢাকায়, কলকাতায় একই অন্ধকার ছবি। সমস্ত ভারতেই করোনার ভয়ংকর থাবায় মানুষ বড় নিঃসহায়।’

মনটাকে জাগিয়ে রাখা কঠিন হচ্ছে: জয়াতিনি আরও লিখেছেন, ‘মন খারাপ করা নিউজ ফিডের সোশ্যাল মিডিয়া যেন মৃত্যুর প্রান্তর। খবরের কাগজ হাতে নেওয়ার আগেই বুক ধক করে ওঠে, আজ জানি আবার কে! কলকাতায় আমার বন্ধু সহকর্মীদের কথা ভাবি। কতদিন দেখা হয়নি। অসম্ভব কষ্টের একটা সময় পার করছে তারা। একটা করে মন্দ খবর শুনি, আর আমার মনটা নিভে আসে একটু একটু করে।’

মনটাকে জাগিয়ে রাখা কী যে কঠিন মনে হচ্ছে আজকাল। এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত হাহাকার! চারদিকে যেন শুধু একটাই চিহ্ন, বিয়োগের।

আবার আমরা একসঙ্গে হাতে হাত ধরে, প্রান্তরের শেষ রেখার দিকে ছুটবো বলেও আশা ব্যক্ত করেন জয়া।

তিনি লিখেছেন, ‘যাদের সঙ্গে এতোদিন ধরে কাজ করছি কলকাতায়, পরিচালক, শিল্পী, কুশলী, সহযোগী, শুনি তাদের কষ্ট, অসুস্থতা আর বিদায়ের খবর। আমার আলো কমে যায়। আমার কেবলই মঙ্গল কামনা। আলো ফিরে আসুক সবার জীবনে। হতাশার এই অন্ধকারে মন যেন পথ না হারায়। তোমার মুক্তি আর আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, এই আঁধারে। বন্ধুরা, মন শক্ত করে বাঁধো। সময় আসছে। আবার আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত ধরে, প্রান্তরের শেষ রেখার দিকে ছুটব। ওই রেখাটা পার হতে এখনো যে বাকি।
বিনোদন

ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে শুরু হয়েছে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ গেম অফ থ্রোনসের প্রিকুয়েল হাউজ অফ ড্রাগনসের শুটিং । বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) এখবর দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। গত ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আটটি সিজনে নির্মিত হয় গেম অফ থ্রোনস। প্রচারিত হওয়ার পরপরই দর্শকদের মন জিতে নেয় সিরিজটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিল্ম ক্রু এবং অভিনেতাদের কিছু স্থিরচিত্র বাইরে এসেছে। এতে ম্যাট স্মিথ এবং এমা ডি’আরাককে দেখা গেছে। গেম অফ থ্রোনসের ৩০০ বছর আগের সময় দেখানো হবে এই প্রিকুয়েলে। হাউস টারগারিয়ানের উত্থানের গল্প এই নতুন সিরিজে উঠে আসবে।

গটের লেখক জর্জ আর আর মার্টিনের ২০১৮ সালে লেখা ফায়ার এন্ড ব্লাড বইকে ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে হাউজ অফ ড্রাগনস। ২০২২ সালে এইচবিও ম্যাক্সে এই সিরিজ রিলিজ করা হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে।

বিনোদন

অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ২৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফারুকের অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। কথা বলতে পারছেন। সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন’।

এর আগে গত ১৫ মার্চ খিচুনি হওয়ার পর ফারুকের মস্তিষ্কে একটি সিজার করা হয়েছিল। এতে তার নড়াচড়া এবং কথা বলা সীমিত হয়ে পড়েছিল। এরপর আইসিইউতে পাঠানো হয়। ১৮ মার্চ অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে পাঠানো হয়। ২১ মার্চ অচেতন হয়ে পড়লে আবারও আইসিইউতে পাঠানো হয় এ অভিনেতাকে।

১৯৪৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয়েছিলে তার। বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় এ অভিনেতা ২০১৯ সালে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বিনোদন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুদের উন্নতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ।

মঙ্গলবার দুপুরে মেহজাবিনকে ‘ভ্যাকসিন চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে অভিহিত করে সংস্থাটি তাদের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে।

এতে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একজন শীর্ষ মডেল এবং আমাদের সবার প্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন বিশ্বাস করেন, আমাদের একের স্বাস্থ্য অপরের স্বাস্থ্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। তাই ইউনিসেফের সঙ্গে, সঠিক সময়ে টিকা নিয়ে কেবল নিজেরই নয়, আশেপাশের সব মানুষকেও সুরক্ষিত রাখার অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহ দেয়ার জন্য মূলত এই সংস্থাটি তারকাদের নিয়ে এমন প্রচারণা চালাচ্ছে।