বিনোদন

পপসংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েও প্রাথমিক পর্যায়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমান। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অস্কারজয়ী এই সংগীত পরিচালক জানান, ঘটনাটি ২০০৯ সালের। লস অ্যাঞ্জেলসে তার প্রচার সহায়কের মাধ্যমে মাইকেলের ম্যানেজারের সঙ্গে আলাপ হয়। শিল্পীর সঙ্গে দেখা করার আবদার জানান রহমান। জানতে পারেন, ই-মেলের মাধ্যমে তাকে পরে সাক্ষাতের সময় জানানো হবে। রহমান জানান, তার পর মাইকেলের পক্ষ থেকে আর কোনো উত্তর আসেনি। তিনিও হাল ছেড়ে দেন।

রহমান ভাবলেন জ্যাকসনের সঙ্গে হয়তো আর দেখা হবে না। কিন্তু অস্কারের চার দিন আগে এজেন্ট রহমানকে বলেন, ‘হেই, মাইকেল তোমার সঙ্গে দেখা করতে চান।’

সে সময় তার অস্কার পারফরম্যান্সের মহড়া নিয়ে দারুণ ব্যস্ত রহমান। অস্কারের ঝলমলে রাত নিয়েই তার পুরো মনোযোগ। এজেন্টকে বললেন, ‘যদি পুরস্কার জিতি, তাহলেই তার সঙ্গে দেখা করব। অন্যথায় তার সঙ্গে দেখা করতে চাই না।’

অতঃপর স্লামডগ মিলিয়নিয়ার ছবির সংগীত করার জন্য অস্কার জেতেন এ আর রহমান। ফলে কিং অব পপের সঙ্গে দেখা হওয়ার পথে আর কোনো বাধা রইল না।

অস্কার জয়ের কয়েক দিন পর মাইকেলের সঙ্গে দেখা করেন রহমান, লস অ্যাঞ্জেলসে শিল্পীর বাড়িতেই তিনি হাজির হন। মাইকেল তার সন্তানদের সঙ্গেও রহমানের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। রহমানের কথায়, তিনি বলেছিলেন যে গানগুলো ওর পছন্দ হয়েছে। কোন কর্ড ব্যবহার করেছি, সেটাও তিনি জানতে চেয়েছিলেন।

রহমানের মুখেই শুনুন তার পরের বয়ান, ‘তিনি দরজা খুলে দিলেন। হাতে সেই আইকনিক গ্লাভস। চোখে সানগ্লাস। আমি দুটি অস্কারজয়ের গৌরব নিয়ে তার সামনে দাঁড়ালাম, যে পুরস্কার নিয়ে পুরো ভারত তখন পাগল।’ গান নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন তারা। পাক্কা দুই ঘণ্টা কথা বলেছিলেন তারা।

রহমান বলেন, আমরা ভালোবাসা ও ঘৃণা নিয়ে আলোচনা করেছি। ‘জয় হো’ গান নিয়ে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলছিলেন আমার সংগীতের মতোই তার নাচের প্রতিটি ভঙ্গিও হৃদয় থেকে উঠে আসে। হঠাৎ তিনি উঠে পড়ে নাচতে থাকেন। আমি বজ্রাহতের মতো স্তম্ভিত হয়ে যাই।

এ আর রহমান জানান, আমেরিকায় অনুষ্ঠান শেষ করে দেশে ফিরে আসার পরেও মাইকেলের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছিল। এক সঙ্গে দু’জনের কাজও চূড়ান্ত হয়। কিন্তু সে বছরেই ২৫ জুন মাইকেল মারা যান।

বিনোদন

বক্স অফিসে ২০২৩ সালে একের পর এক রেকর্ড করেছিল গ্রেটা গারউইক পরিচালিত ‘বারবি’ সিনেমা। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন হলিউড অভিনেত্রী মার্গট রবি।

বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মন জয় করেছিলেন এ অভিনেত্রী।
সিনেমাটির পর অভিনেত্রী মার্গট রবিকে নিয়ে এবার উঠল নতুন আলোচনা। দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রথম সন্তান আগমনের অপেক্ষায় আছেন মার্গট রবি।

চলচ্চিত্র প্রযোজক ও স্বামী টম অ্যাকারলির সঙ্গে এ নতুন অতিথিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বারবি-খ্যাত এ অভিনেত্রী। ইতালিতে দু’জনের অবকাশযাপনের কিছু ছবি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রবির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি ভক্তদের নজরে আসে। কারণ ছবিতে বেবি বাম্প দেখা যাচ্ছে রবির। যার ফলে তার মা হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।

এদিকে, একাধিক সূত্র পিপল ম্যাগাজিনকে অভিনেত্রীর গর্ভাবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও মার্গট কিংবা তার স্বামীর পক্ষ থেকে এখনও কোনো ঘোষণা আসেনি।

২০১৩ সালে প্রথম সাক্ষাতের পর তিন বছর প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন মার্গট-ম্যাকারলি। এরপর ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বায়রন বেতে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে মার্গট এবং অ্যাকারলি বিয়ে করেন। এই জুটি নিজেদের দাম্পত্য জীবন বেশ ব্যক্তিগত রাখেন।

সম্প্রতি এ দম্পতিকে ইতালির লেক কোমোতে একটি রোমান্টিক বোটযাত্রা উপভোগ করতে দেখা গেছে। বার্বি তারকাকে একটি সাদা ক্রপ টপে ও স্টাইলিশ ওভারসাইজ ব্লেজারে দেখা গেছে। ছবিতে অভিনেত্রীর বেবি বাম্প প্রকাশ পেয়েছে। স্বামী টম অ্যাকারলিকেও দেখা গেছে যত্ন নিতে মার্গটের।

বিনোদন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা অভিনেতা মারজুক রাসেল ও র‍্যাপার আলী হাসানের ‘নানা-নাতি’ গানটি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই গানে আদালত অবমাননামূলক একটি লাইন থাকার অভিযোগ এনে মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির করা রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) এ আদেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আবেদনকারীপক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১৬ জুন ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া আরবিটি এন্টারটেইনমেন্ট এর ‘নানা- নাতি’ র‌্যাপ গানের ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে লাইনটি রয়েছে। যেখানে আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে, যা আদালত অবমাননা করার শামিল।

এরপর সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া হাইকোর্টে ৩ জুলাই রিট করেন। রোববার ওই রিটের ওপর তিনি আইনজীবী ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে শুনানি করেন।

সোমবার (৮ জুলাই) মো. আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া জানান, ব্যক্তিগতভাবে আলী হাসানকে চিঠিও দিয়েছি। এরপর অপসারণ না করায় সংগঠনের পক্ষে রিট করেছি। রোববার রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিটিআরসিকে ‘নানা নাতি’ গানটি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।

গণমাধ্যমের খবর অনুসারে , নানা-নাতি’ গানটি লিখেছেন র‍্যাপার আলী হাসান, সুর করেছেন আলী হাসান ও মারজুক রাসেল। আলী হাসান ও মারজুক রাসেলের গাওয়া ‘নানা-নাতি’ গানটি গত ১৬ জুন ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায়।

বিনোদন

মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্রের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অনুদান কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাল্গুনী হামিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পী সমাজ, নাগরিক সমাজ এবং ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির সবাই অসত্যগুলোর প্রতিবাদ করুন। সরকার কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিলে, সরকারের কোনো ব্যর্থতা-বিচ্যুতি থাকলে অবশ্যই আপনারা তুলে ধরবেন, সমালোচনা করবেন, বিরোধিতা করবেন। কিন্তু যারা মিথ্যা কথা বলে, অর্ধসত্য বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, দেশকে আত্মঘাতী একটা অবস্থায় নিয়ে যাবে- তাদের মুখোশ উন্মোচন করুন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা প্রতিবাদ করুন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে সব বিষয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সঠিক তথ্য দেওয়া হবে। সেগুলো নিয়ে মিথ্যাচার যারা করছে, যারা অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিপক্ষে আপনারা শক্ত অবস্থান নেবেন।

দেশের চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ দেশে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছু কিছু গোষ্ঠী আছে যারা অপতথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতা থাকতে পারে, ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু অসত্য কথা বলে, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করলে সেখানে শিল্পী সমাজ এবং ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির যারা আছেন তাদেরও কিছু দায়িত্ব পালন করার আছে এবং আপনাদের কাছে এখানে কিছু অবদান আমরা চাই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে সই করা সমঝোতা স্মারকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো নিয়ে যেভাবে মিথ্যাচার শুরু হলো এবং যেভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা শুরু হলো, এসব জায়গাতে শিল্পী সমাজ এবং ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা তাদেরকে সামগ্রিকভাবে দেশের এবং মানুষের স্বার্থে সত্যের পক্ষে অবদান রাখতে হবে। একটা সমাজে যদি সত্য হারিয়ে যায়, মিথ্যা যদি সামনে চলে আসে তাহলে সেটা কারো জন্যই মঙ্গল নিয়ে আসবে না। অপপ্রচারকারীরা বলে দিচ্ছে বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতে ট্রেন চলে যাবে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে এবং এখান দিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে চলে যাবে, বাংলাদেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে, যেটি একটি ডাহা মিথ্যা কথা। এটিকে প্রতিরোধ করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সমঝোতা স্মারকে পরিষ্কারভাবে বলা আছে একটা রিজিওনাল কানেক্টিভিটি আমরা করছি। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল ও ভুটানের ৫০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা আছে, রপ্তানি করি আমরা। বাংলাদেশের পণ্য ভারতের মধ্যদিয়ে নেপাল-ভুটানে প্রবেশ করে। আমরা যদি সরাসরি ট্রেন লাইন করতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যবসা ও রপ্তানি প্রসার ঘটবে। সমঝোতা স্মারকে সেটিও আমরা নিয়ে এসেছি যে, নেপাল ও ভুটানে আমরা ভারতের মধ্যদিয়ে যাব।

তিনি বলেন, ভারতের গ্রিড লাইন ব্যবহার করে আমরা নেপাল থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। এই মুহূর্তে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সমঝোতা হলেও নেপালে ৭২ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে, যেটা এখন তারা চাহিদা নেই বলে উৎপাদন করে না। কিন্তু আমাদের চাহিদা আছে। আমরা যদি নেপাল থেকে ক্লিন এনার্জি আমদানি করতে পারি, তাহলে আমরা জীবাশ্ম জালানির ব্যবহার কমিয়ে ক্লিন এনার্জি আনতে পারব। যেটা বাংলাদেশ, ভারত, নেপালপসহ গোটা পৃথিবীর জন্য ভালো, সেটা কিভাবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে হয়?

চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান, প্রণোদনা দিতে চান। আমরা চাই প্রণোদনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভালো চলচ্চিত্র যাতে নির্মাণ হয়। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের যা কিছু করতে হয় তা আমরা করব। অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা আরও স্বচ্ছতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে চাই। এক্ষেত্রে সংখ্যার চেয়ে গুণগতমানের দিকে আমরা মনোযোগ দিতে চাই। এ জন্য বাছাই প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা হবে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হবে। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিতদের প্রণোদনা দেওয়া হবে সেটি নয়, নতুনদের কাছে আমরা পৌঁছাতে চাই, তারা যাতে সুযোগ পেয়ে নিজেদের দাঁড় করাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অনুদানের চলচ্চিত্র নিয়ে একটি চলচ্চিত্র উৎসব করা যায় কিনা- সেটিও বিবেচনা করা হবে। সরকারি অনুদান যেটা প্রণোদনের আকারে দেওয়া হচ্ছে এটা সংশ্লিষ্টদের একটা সক্ষমতার স্বীকৃতি। অনুদানের চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ হয়ে গেলে সেগুলো নিয়ে একটি অ্যাওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা যায় কিনা- সেটিও সরকার বিবেচনা করবে। এটি সৃজনশীল নির্মাতাদের আরও উৎসাহিত করবে। চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণার বিষয়টিও এক্ষেত্রে পর্যালোচনা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করা, তুলে ধরা এবং ব্র্যান্ডিং করার জন্য চলচ্চিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য চলচ্চিত্রকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে আরও মনোযোগ দেওয়ার জন্য আলাদা বিভাগ বা কাউন্সিল করার বিষয়টি সরকার ভেবে দেখবে। দেশের চলচ্চিত্রের যে সম্ভাবনা আছে, সেটা কাজে লাগানোর জন্য বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি, এফডিসি এবং যে জায়গাগুলো আছে, সেখানে আমাদের যা বিনিয়োগ করতে হয়, যা তৈরি করতে হয়, সেটা সরকার করবে। একই সঙ্গে নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, পশ্চিমবঙ্গ এমনকি পাকিস্তানের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বাজার আমরা ধরতে চাই।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত) এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ মোট ২৬টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা অনুদান প্রদানের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ২টি, শিশুতোষ শাখায় ২টি, প্রামাণ্যচিত্র শাখায় ২টি এবং সাধারণ শাখায় ১৪টি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ২টি, শিশুতোষ শাখায় ১টি এবং সাধারণ শাখায় ৩টি চলচ্চিত্র নির্মাণ অনুদান দেওয়া হয়েছে।

বিনোদন

মাত্র ১৬ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই টিজারটি জয়া তার ফেইসবুকে প্রকাশ করেছেন।

অভিনেত্রী জয়া আহসানের একটি মনস্তাত্ত্বিক সিনেমার টিজার প্রকাশ হয়েছে। ‘ওসিডি’র নামের এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া।

মাত্র ১৬ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের টিজারটি জয়া তার ফেইসবুকে প্রকাশ করেছেন সোমবার নিজের জন্মদিনে।

তিনি লিখেছেন, “চাঁদের কলঙ্ক কি পরিষ্কার হয়? জীবনের কলঙ্ক? সমাজের কলঙ্ক? উত্তর নিয়ে আসছে ওসিডি।”

এই সাইকোলজিক্যাল ড্রামাটি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল। জয়ার চরিত্রের নাম শ্বেতা।

কোভিড মহামারীর সময়ে গল্পটি নিয়ে ভেবেছিলেন সৌকর্য। তারপর মহামারীর দাপট কমলে সিনেমার কাজ শুরু করেন।

জয়া বলেছেন, ভারতসহ কয়েকটি জায়গায় চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি দেখান হয়েছে।

তবে মুক্তির তারিখ নিয়ে পরিচালক বা জয়া এখনো কিছু জানাননি।

২০১০ সালে ভারতে ‘আবর্ত’ সিনেমার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশটিতে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন জয়া। এরপর গত ১৪ বছরে ঢাকা-কলকাতা মিলিয়ে এবরাশ সিনেমায় অভিনয় করলেও ওপার বাংলাতেই জয়ার মূল ক্যারিয়ার গড়ে উঠেছে।

বর্তমানে কলকাতায় অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় ‘ডিয়ার মা’ সিনেমায় শুটিং করছেন জয়া। এছাড়া চলতি বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে আসছে তার নতুন ওয়েব সিরিজ।

বিনোদন

বিয়ের পরে অভিনয়ে দাঁড়ি টানতে চেয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। রণবীর সিংহের সঙ্গে তখন চুটিয়ে প্রেম করছেন অভিনেত্রী। সেই সময় একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, যদি কখনো মনের মানুষ খুঁজে পান এবং বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন, তা হলে সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অভিনয় ছাড়তেও প্রস্তুত তিনি। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছিলেন, একাধিক সন্তান নিয়ে সংসার জীবন উপভোগ করতে চান তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও এক বার ছড়িয়ে পড়ল সেই ভিডিও।

দীপিকা বলেছিলেন, ‘রণবীর আর আমি বাচ্চাদের খুব ভালোবাসি। আমরা অপেক্ষা করছি, কবে আমরা নিজেদের পরিবারে নতুন অতিথিকে নিয়ে আসতে পারব।’ শাহরুখ-পুত্র আব্রামের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন বলি অভিনেত্রী। চিত্রনাট্যকার হোমি অদাজানিয়া ও অনাইতার সন্তানদের সঙ্গেও সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছিলেন, বন্ধু ও বন্ধুদের পরিবারের সঙ্গেও নিয়মিত সময় কাটাতে চেষ্টা করেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবির একটি প্রচার অনুষ্ঠানে দীপিকার দেখা মেলে। সেখানে কালো আঁটসাট ‘বডিকন’ পোশাক পরে আসেন নায়িকা। স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার স্ফীতোদর। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রণবীর সিংহ ও দীপিকা পাড়ুকোনের প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে চলেছে।

বিনোদন
বিনোদন

আজ সোনাক্ষী-জাহিরের চার হাত এক হয়েছে। সকাল থেকেই চলছে সাজ সাজ রব। নতুন অধ্যায় শুরুর আগে নিজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদে যান জাহির। খবর শুনে রেগে আগুন সোনাক্ষীর মা।

তবে জাহিরের মসজিদের যাওয়ার সঙ্গে সোনাক্ষীর মা পুনম সিনহার কোনো সম্পর্ক নেই। তার রাগের কারণ সাংবাদিকরা। গত কয়েক দিন ধরেই ছবিশিকারিদের ভিড় তাদের বাড়ির সামনে। সোনাক্ষীর বিয়ের পোশাক থেকে সব কিছুই ক্যামেরাবন্দি করছেন তারা।

সোনাক্ষী সকালে বেরিয়ে যাওয়ার পরই অন্য একটি গাড়িতে বের হন তার মা। অভিনেত্রীর মায়ের গাড়ির জানলার কাচ খোলা থাকায় সেখানেই প্রায় ক্যামেরা ভিতরে ঢুকিয়ে দেন ছবিশিকারিরা, কেউ কেউ আবার গাড়ির চারপাশ ঘিরে ধরেন। নিজের গাড়িতেই আটকে পড়েন অভিনেত্রীর মা। তারপর নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ঠেলে সকলকে সরাতেই বেরোতে পারেন পুনম।

সাংবাদিকদের এ আচরণে মেজাজ হারান পুনম। চোখে মুখে বিরক্তির পাশাপাশি ফুটে ওঠে রাগের ছাপ। শোনা যাচ্ছে, আজ সকালে আইনি মতে বিয়ে সেরেছেন অভিনেত্রী। বিয়ে করার আগে বান্দ্রা এলাকার একটি মসজিদে ঢুকতে দেখা যায় জ়াহির ইকবালকে।

সাত বছরের প্রেম পূর্ণতা পেল সোনাক্ষী-জাহিরের। সালমানের দেওয়া এক পার্টিতেই প্রথম দেখা হয়েছিল তাদের। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব অতঃপর প্রেম। এবার বাঁধা পড়লেন কাগজ-কলমে।

বিনোদন

বিয়ে করলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। স্বল্প আয়োজনে বিয়ে করলেও একটি জায়গায় ঠিকই চমক দেখিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

মাত্র ৯ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করলেন তিনি। বিয়েটাও সেরেছেন মাদরাসায়, সেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খাইয়ে।

শনিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন চমক। পোস্টটিতে তিনি লিখেছেন, আমার জন্মতারিখ ৯, তাই সংখ্যাটি আমার লাকি নম্বর। কাজেই আমরা মাত্র ৯ টাকা দেনমোহরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, অর্থ কখনও দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি হতে পারে না। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, আমাদের ভালোবাসা কিংবা একসঙ্গে থাকার হিসাবটা টাকা দিয়ে কখনো পরিমাপ করা যাবে না।

নিজের বিয়ে নিয়ে চমক লেখেন, খুবই সাদামাটাভাবে বিয়ের আয়োজন সারা হয়েছে। কয়েকজন আন্তরিক সুখী মানুষদের নিয়েই এ আয়োজন। মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে খাবার সেরেছি। যতটা ছিমছাম রাখা যায় আরকি। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি নিরন্তর ভালোবাসা রইল।

জানা গেছে, চমকের বরের নাম আজমান নাসির। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। ব্যবসার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন নাসির। চমকের সঙ্গে ‘দ্য লাস্ট হানিমুন’ নাটকে দেখা গেছে তাকে।

২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার্সআপ হন চমক। এরপর শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন। সম্প্রতি তার সহ-অভিনেতা আরশ খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আলোচিত ও সমালোচিত হন চমক।

বিনোদন

মেলিন্দা ফ্রেঞ্চ গেটস সম্প্রতি মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন। প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ‘টাইম’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার মেলিন্দা জানান, বিল গেটসের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তারা আলাদা হয়েছিলেন।

২০২১ সালে বিল-মেলিন্দার ববয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা সেই সময়ে গোটা বিশ্বজুড়েই আলোড়ন তৈরি করেছিল। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি আনুষ্ঠানিক যৌথ বিবৃতি দেওয়া ছাড়া এ দম্পতি কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাননি। এই প্রথমবার বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ মুখলেন মেলিন্দা গেটস।

টাইম সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেলিন্দা বলেন, সন্তানদের দেখাশোনা করার পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে গোটা বিষয়টি তিনি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, আমি মব কিছু সামাল দিয়েই গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পেরেছিলাম।

মেলিন্দা তার বিবাহবিচ্ছেদকে ‘ভয়াবহ’ ও ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে তারপরও এটি ‘চমৎকার হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি এখন সাধারণের মতো থাকি। ছোট দোকানে যেতে পারি। আমি ওষুধের দোকানে যাই, রেস্তোরাঁতে বসতে পারি এবং আমি এসব দারুণভাবে উপভোগ করছি।

বিয়ের ২৭ বছর পর বিল ও মেলিন্দার বিচ্ছেদ ২০২১ সালে চূড়ান্ত হয়। এ ঘটনার পর বিল অ্যান্ড মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন মেলিন্দা। তিনি বলেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনটি বিষয় তাকে সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছে, এগুলো হলো আমি, সন্তান এবং ফাউন্ডেশন।

এ ফাউন্ডেশন থেকে বের হবার পর মেলিন্দা বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি সম্প্রতি নারীর অধিকার এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে একটি উদ্যোগের জন্য বিলিয়ন-ডলার তহবিল সংগ্রহের ঘোষণা করেছেন। আর এনিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেলিন্দা।

মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস জানান, বিল গেটসের সাথে বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়টা ভয়াবহ যন্ত্রণায় কেটেছে তার। কিন্তু ভবিষ্যতে পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবন- দুটি ক্ষেত্রেই তিনি কোন ধরনের সম্পর্কে জড়াবেন, তা নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। তবে আগামীতে নতুন রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর আগ্রহ রয়েছেন বলেও জানান ৫৮ বছর বয়সি এই বিলিয়নিয়ার।

২০২১ সালের আলোচিত বিষয় ছিল বিলিয়নিয়ার ধনকুবের বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্দা ফ্রেঞ্চ গেটসের বিবাহ বিচ্ছেদ। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন ও সম্পর্কের অবনতির কথা এসেছিল গণমাধ্যমে। বিচ্ছেদের পর এ জুটির সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়েও কম চর্চা হয়নি। তবে সরাসরি জনসমক্ষে নিজের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে এতোদিন কথা বলেননি মেলিন্দা।