বিনোদন

বাংলাদেশের একমাত্র তারকা হিসেবে ফোর্বস ‘এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকা’র তালিকা জায়গা করে নিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি। এই তালিকায় নাম রয়েছে বলিউড ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার, শাহরুখ খান, আলিয়া ভাটসহ বেশ কয়েকজন হিন্দি সিনেমার তারকার।

সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রখ্যাত আমেরিকান বিজনেস ম্যাগাজিন ওই তালিকায় পরীমনি সম্পর্কে লেখে, ফেসবুকে প্রায় ১ কোটি ফলোয়ার রয়েছে পরীমনির। আসল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ের জন্য ২০১৯ সালের সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর (সমালোচক) পুরস্কার পান তিনি। পরী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি চলচ্চিত্রসহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করছেন এখন।

একই তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’, এরপরে অবস্থান চাইনিজ গায়ক ও অভিনেতা জ্যাকসন ইয়ের। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন থাইল্যান্ডের অভিনেত্রী দাভিকা হর্নে এবং চতুর্থ অবস্থানে অমিতাভ বচ্চনের নাম দেখা যাচ্ছে।

তালিকায় বলিউড তারকাদের মধ্যে রয়েছেন অক্ষয় কুমার, শাহরুখ খান, রণবীর সিং, ক্যাটরিনা কাইফ, আনুশকা শর্মা, শ্রেয়া ঘোষাল, শহীদ কাপুর, রনবীর সিং, ঋত্বিক রোশন, মাধুরীসহ বেশ কয়েকজন। তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান, গায়ক আতিফ আসলামও।

বিনোদন

‘সত্যি কথা বলতে হয় ৫০ বছর ধরে একটা জায়গায় কাজ করছি। তার পরও আমার আর্থিক কোন নিরাপত্তা নেই। টাকা পয়সা নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায় না। নিরাপত্তা নেই। ৭০ বছর বয়সে এসেও আমাকে টাকা পয়সা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। পঞ্চাশ বছর ধরে কাজ করেও খাবো কি ভাবতে হচ্ছে আমাকে।’ বলছিলেন দেশবরেণ্য নাট্যজন মামুনুর রশীদ।

সোমবার সরকারিভাবে টেলিভিশন শিল্পী কল্যাণ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছে অভিনয় শিল্পী সংঘ। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর নিকেতনে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। সেখানে উপস্থিত হয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কথাগুলো বলছিলেন মামুনুর রশীদ।

মামুনুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, যারা অনেক বড় তারকা, তাদেরও একটা সময় এসে অভাবে দিন কাটাতে হয়। শিল্প চর্চা করে যদি এভাবে ভুগতে হয় তাহলে তো দিনে দিনে এই জায়গাটির প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও ভরসা কমে যাবে। এখানে যোগ্য লোকের অভাব দেখা যাবে। এর জন্য সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে আর্থিক নিরপাত্তার বিষয়টি।

তিনি আরও বলেন, ‘সারা জীবন কাজ করে সবাই নিরাপত্তা চায়। কিন্তু আমরা যারা অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা সেটা পাই না। কেউ কেউ তারকাখ্যাতি পেয়ে আর্থিক নিরাপত্তাটা নিশ্চিত করতে পারেন। সেটা সংখ্যায় খুবই কম। অনেকে তারকাখ্যাতি নিয়েও অর্থের অভাবে থাকেন। শেষ বয়সে কষ্ট করেন।’

বিনোদন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিব্যা ভাটনাগর। রোববার ভোর ৩টার দিকে মুম্বাইয়ের সেভেন হিলস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। টিভি শো ইয়ে রিশতা কেয়া কহেলাতা হ্যায়-তে পরিচারিকা গুলাবোর ভূমিকায় অভিনয় করতেন দিব্যা। তার মৃত্যুতে ভারতীয় টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন দুই বন্ধু অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য ও শিল্পা শিরোদকর।

গত মাসের শেষে গোরেগাওয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল দিব্যাকে। তার অবস্থা বেশ জটিল ছিল। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৭১ এ নেমে গিয়েছিল। এর আগে দিব্যার মা একটি নিউজ পোর্টালকে জানান, দিব্যার অবস্থা গুরুতর। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি ভিডিয়ো কল থেকে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলেন দিব্যা। তাতে লেখা ছিল, ‘হাই, আমার ইনস্টাগ্রাম পরিবার। আমার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করুন। আপনাদের সবাইকে ভালোবাসি।’ হাসপাতালের বিছানায় মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো অবস্থায় দিব্যা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। তবে তার মুখে হাসি লেগে ছিল।

তবে শেষ রক্ষা হল না। অকালেই চলে গেলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য। দিব্যার সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন,’যখন কারও কাছে কেউ থাকত না, তখন তুই-ই তো থাকতি। দিবু তুই-ই তো আমার আপন ছিলি, যাকে আমি বকতে পারতাম, যার উপর রাগ করতে পারতাম, মনের কথা বলতে পারতাম। তবে আমি জানি আজ তুই আরও ভালো জায়গায় আছিস, যেখানে দুঃখ, যন্ত্রণা, কষ্ট কিছু নেই। তোকে খুব মিস করব।

‘সিলসিলা পেয়ার কা’ তে দিব্যার সঙ্গে অভিনয় করা অভিনেত্রী শিল্পা শিরোদকর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘মনটা একেবারে ভেঙে গেল। আমার প্রিয় দিব্যা, শান্তিতে থেকো।’

‘উড়ান’, ‘জিত গায়ি তো পিয়া মোরে’ ও ‘বিষ’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজে কাজ করেছেন দিব্যা ভাটনগর।

বিনোদন

বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি মেহজাবীন অপূর্ব। দুজনে এবার হাজির হচ্ছেন ‘পার্টনার’ হিসেবে। বাস্তবে নয় নাটকে দারুণ এক গল্পে আসছেন তিনি। অপূর্ব-মেহজাবীনের এক নতুন ধারার গল্প উঠে আসবে সদ্য নির্মিত ‘পার্টনার’-এর মাধ্যমে।

আরিফুল ইসলাম পাঠকের চিত্রনাট্যে সিএমভি’র ব্যানারে এটি নির্মাণ করেছেন মেহেদী হাসান জনি। এর গল্পে দেখা যাবে, অপূর্ব ও মেহজাবীন একই মহল্লার বাসিন্দা। যদিও সড়কে তাদের পরিচয় ঘটে ভয়ংকর তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। এবং নাটকের প্রায় পুরোটাজুড়েই চলতে থাকে সেই তিক্ততার রেশ।

কাজটি প্রসঙ্গে অপর্ব বলেন, ‘গল্পটি বেশ মজার। চূড়ান্ত তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে দুজন মানুষের চরম মিষ্টি সম্পর্কে পৌঁছানোর গল্প এটি। দর্শকরা আনন্দ পাবেন।’ নির্মাতা জানান, ‘শত্রু থেকে বন্ধুত্ব হওয়ার গল্প এটি। আমি চেয়েছি নতুন ধারার গল্প বলতে। বাকিটা দর্শকরা বিচার করবেন।’

‘পার্টনার’ প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ১১ ডিসেম্বর নাটকটি উন্মুক্ত হবে আরটিভি’র পর্দায় এবং সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।

বিনোদন

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কবিতা কৌশিক। ছোট পর্দাতেই বেশি কাজ করতে দেখা যায় তাকে। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির কথা বলেছেন তিনি। ষাটোর্ধ্ব গৃহশিক্ষকের হাতে নাকি শৈশবে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি বিগবস ১৪-র একজন প্রতিযোগী। আর সেখানেই নিজের সেই কষ্টকর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে শেয়ার করেছেন কবিতা কৌশিক।

কবিতা জানান, সে সময় আমি ১১ বছরের বালিকা। গণিতে আমি দুর্বল ছিলাম। তাই আমার জন্য একজন গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছিল। ৬৫ বছর বয়সী ওই প্রৌঢ় বাড়িতে এসে অঙ্ক শেখাতেন। একদিন বাড়িতে বাবা মা না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে পড়াতে এসেছিলেন ওই শিক্ষক। ফাঁকা বাড়িতে আমার সঙ্গে অশ্লীল কথা বলেছিলেন। এখানেই শেষ নয়। চেষ্টা করেছিলেন আমাকে অশালীনভাবে স্পর্শ করারও। ভীষণ ভয় পেয়ে যাই। আমি ওই শিক্ষককে বলেছিলাম বাবা মা সব বলে দেবো।’

আর সব থেকে বড় বিষয় ওই শিক্ষকের কথা মা-বাবাকে বলেছিলাম। কিন্তু মা বিশ্বাস করেননি। শিক্ষকের কথাই বিশ্বাস করেছিলেন। মা ভেবেছিলেন অঙ্ক করবো না বলে বাহানা দিচ্ছি। যদিও এরপর ওই শিক্ষককে বদলে দিয়েছিলেন বাবা মা।

২০০১ সালে তিনি দিল্লিতে অডিশন দেন ‘কুটুম্ব’ সিরিয়ালের জন্য। এরপর কাজের সুবিধের জন্য তিনি দিল্লি থেকে চলে আসেন মুম্বাই। কুটুম্ব ছাড়াও ‘কোই আপনা সা’, ‘কাহানি ঘর ঘর কি’, ‘কমল’, ‘কাহানি তেরি মেরি’ সহ কে সিরিজের বহু সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন কবিতা। তবে আজও কোনও পৌঢ়কে দেখলে ভয় হয় তার। কিছুতেই ভুলতে পারেন না ছোটবেলার স্মৃতি।

বিনোদন

২০১৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন তারিক আনাম খান, সেরা অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে বিষয়টি।

সেরা অভিনেতা হিসেবে ‘আবার বসন্ত’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন তারিক আনাম খান। ‘ন ডরাই’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল।

‘ন ডরাই’ সিনেমার জন্য সেরা পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন তানিম রহমান অংশু।

এবার ২০১৯ সালের জন্য মোট ২৬টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করার হয়েছে।

এবার সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পেয়েছেন কবি মাসুদ পথিক পরিচালিত ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ ছবিটি। মোট আটটি বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছে ছবিটি। ছয়টি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ‘ন ডরাই’ ছবিটি। তিনটি করে পুরস্কার পাচ্ছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ও শাকিব খান-বুবলী অভিনীত দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়ার ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবিটি।

বিনোদন

ঘোষণা করা হলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেরা চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়।

এ বছর যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে ন’ ডরাই ও ফাগুন হাওয়া। এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সোহেল রানা এবং সুচন্দা।

পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তারিক আনাম খান এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল।

বিনোদন

অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির মুক্তির দিনক্ষণ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’।

প্রযোজনা সংস্থার নির্বাহী প্রযোজক অজয় কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপ এখনও বিদ্যমান। তবে আমরা মনে করি, সিনেমা হল বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে এখন সবাইকেই নিজেদের অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা এ সময়ে বড় বাজেটের ছবিটি মুক্তি দেয়ার সাহস করছি। আশা করছি অন্য প্রযোজকরাও এগিয়ে আসবেন। দর্শকদের উদ্দেশ্যে শুধু একটি অনুরোধই– আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমা হলে আসুন। যেসব প্রেক্ষাগৃহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমা প্রদর্শন করছে, শুধু তাদেরই আমাদের ছবিটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা নিজেরাও সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করব।

এ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয়ে দেখা যাবে পরীমনি-সিয়াম জুটিকে। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন আলমগীর, চম্পা, ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আনন্দ খালেদ, হীরা, সুজন, সীমান্ত প্রমুখ। ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন রুম্মান রশীদ খান।

তিনি বলেন, ‘এর আগে স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহে মুক্তির কথা থাকলেও দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হওয়ার কারণে ছবিটি মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। এবার তাই আমরা চাইছি, বিজয় দিবসের সপ্তাহে দর্শক স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছবিটি দেখতে আসুক।’

এদিকে ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির গান ইতিমধ্যে শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটি ইতিমধ্যে ইউটিউবে দেখা হয়েছে তিন কোটির বেশি সংখ্যকবার। ছবিটি দেশব্যাপী পরিবেশন করবে জাজ মাল্টিমিডিয়া। ছবির সম্প্রচার সহযোগী মাছরাঙা টেলিভিশন।

বিনোদন

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান শিল্পী। তিনিসহ তার পুরো পরিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নায়িকা নিজেই এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

করোনা পরীক্ষা করা হলে রবিবার শিল্পীসহ তার স্বামী ও দুই সন্তানের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বর্তমানে নিজের বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন ‘প্রিয়জন’-খ্যাত এই অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা।

শিল্পী বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হবার পর থেকেই বাসায় আছি আমরা। শেষ একমাস থেকে আমার স্বামী অফিস করছেন। এরমধ্যে তার জ্বর আসে। এরপর আমার ও আমার দুই বাচ্চারও জ্বর আসে। সন্দেহ হওয়ায় শনিবার (২৮ নভেম্বর) করোনা পরীক্ষা করাই। আমাদের চার জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসছে। বাসায় আমার আম্মা থাকেন তিনি সংক্রমিত হননি। কাজের লোকও সুস্থ আছে। আমাদের হালকা জ্বর ও খাবারের স্বাদ না পাওয়া ছাড়া আপাতত আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

‘নাগ নর্তকী’ ছবি দিয়ে ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রে নাম লেখান শিল্পী। তবে শিল্পীর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হলো ১৯৯৫ সালে আমিন খানের বিপরীতে ‘বাংলার কমান্ডো’। এরপর নায়করাজ রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘বাবা কেন চাকর’ ছবির মধ্য দিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। অমর নায়ক সালমান শাহের সঙ্গেও একটি সিনেমায় কাজ করেছিলেন শিল্পী। ‘প্রিয়জন’ নামের সেই ছবিটি এ নায়িকার ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছবি।

বিনোদন

করোনা আক্রান্ত হলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ঢাকাই সিনেমার কালজয়ী নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে।

গত ১৫ নভেম্বর করোনাভাইরাস ধরা পড়ে তার শরীরে। পরদিন সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে রয়েছেন তার স্ত্রী ফারহানা ফারুক ও তার মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান তুলসী।

ফারুকের দেখভাল করতে গিয়ে মা-মেয়েও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে করোনা থেকে মুক্ত আছেন নায়ক ফারুকের একমাত্র পুত্র শরত্।

ফারুকের সঙ্গে হাসপাতালেই আছেন তার স্ত্রী। আর বাসায় আইসোলেশনে আছেন মেয়ে তুলসী। ফারুক বলেন, ‘আমার সেবা করতে গিয়ে মা-মেয়ে দুজনেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত হলেও ফারহানা ও তুলসীর অবস্থা নরমাল। তারা ভালো আছে। আশা করছি, এবার পরীক্ষায় তাদের রেজাল্ট নেগেটিভ আসবে।’

সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন দেশের অভিনেতা ও জাতীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। দেশে ফিরে কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হন তিনি।