বিনোদন

ভারতীয় জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল ‘বড়ে ভালো লাগতে হের’ সাক্ষী তান্বর এবং রাম কাপুরেরসহ অভিনেত্রী চাহাত খান্না। সম্প্রতি তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এ আলোচনা থেকে জানা যায়, তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল অনেকগুলো ওঠাপড়ায় পরিপূর্ণ। চাহাতের দুটি বিয়ে ভেঙে গেছে এবং তিনি এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন।

চাহাত প্রথমে ২০০৬ সালে ভারত নরসিংহানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু তাদের সম্পর্কটি কয়েক মাসের মধ্যে ভেঙে যায়। পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করে লেখক শাহরুখ মির্জার ছেলে ফারহান মির্জার সঙ্গে বিবাহিত হন, যার ফলে তার দুটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তবে ২০১৮ সালে যৌন ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ তুলে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেত্রী।

চাহাত জানিয়েছেন, সাবেক স্বামী ফারহান মির্জা তাকে ধর্মান্তরিত করার জন্য ‘মগজ ধোলাই’ করেছিলেন, তবে তিনি এখন তার শিকড়ে (সনাতন ধর্মে) ফিরে আসতে পেরে ‘কৃতজ্ঞ’।

টেলিটক ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আধ্যাত্মিক পরিবারে বেড়ে ওঠার কথা জানান চাহান। চিত্রনাট্যকার শাহরুখ মির্জার ছেলে ফারহান মির্জার সঙ্গে বিয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন চাহাত। তবে টেকেনি সেই বিয়ে। ডিভোর্সের পর বিভ্রান্ত হয়ে পড়ার কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, এখন নিজের শিকড়ে ফিরতে পেরে তিনি ‘কৃতজ্ঞ’। ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য তার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে চাহাত বলেন, ‘হ্যাঁ, এক প্রকারে আমার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল। তবে আমি জানি না সেটা তাদের ভালোর জন্য বা আমার ভালোর জন্য, কিন্তু সে কারণেই আমি বলেছি, সৌভাগ্যক্রমে আমি নিজের শিকড়ের কাছে ফিরে এসেছি’।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে চাহাত বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের জন্য কোনো অনুশোচনা অনুভব করছি না। তবে সনাতন ধর্মে ফিরে এসে আমি অনেক খুশি। তিনি যোগ করেন, আমি অত্যন্ত আধ্যাত্মিক এবং সকল ধর্মে বিশ্বাসী। আমি কখনোই ধর্মান্ধ নই।

চাহাত বলেন, বিবাহিত জীবনের শুরুতে আমি ইসলামের অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেছি এবং এটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

মানসিক চাপের অভিজ্ঞতা: চাহাত খান্না যখন ইসলামে ধর্মান্তরিত হন, তখন তাকে নানা ধরনের চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি জানান, তার স্বামী ফারহান তাকে কিছু কঠোর বিধি অনুসরণ করতে বাধ্য করতেন।

‘তিনি আমাকে বলতেন, ‘তোমার ঈশ্বরকে পূজা করো না,’ যা আমার কাছে খুব অস্বস্তিকর ছিল,’ চাহাত বলেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না, কিন্তু মনে হয় আমি ব্রেনওয়াশ হয়েছিলাম।’ ধর্ম পরিবর্তনের এই চাপের ফলে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং এটি তার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করেছিল।

২০০২ সালে ১৬ বছর বয়সে একটি চকোলেটের বিজ্ঞাপন দিয়ে শোবিজ দুনিয়ার পা দেন চাহাত খান্না। একই বছর, তিনি টিভি শো ‘সাচি বাত সবহি জাগ জানে’র মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি থ্যাঙ্ক ইউ এবং প্রস্থানমের মতো ছবিতে কাজ করেছেন।

বিনোদন

২০০০ সালে রিফিউজি চলচ্চিত্র দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় কারিনা কাপুরের। দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে জনপ্রিয় হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রের খবর, আগামী বছর বলিউডের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ইতোমধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন কারিনা।

এই ছবিতে কারিনার চরিত্রটি একেবারেই অন্যরকম। এর আগে এ ধরনের চরিত্রে তাকে কেউ ভাবতেও পারেননি। এই চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন কারিনা।

সম্প্রতি প্রযোজক হিসেবে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করেছেন কারিনা। পাশাপাশি কোনো থ্রিলার ছবিতে গোয়েন্দার চরিত্রেও প্রথমবার পর্দায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স’। এ সিনেমায় একাধারে তিনি একজন মা আবার একজন গোয়েন্দা।

বাকিংহামের এক মৃত্যুর রহস্য সমাধান করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। সন্তান হারানোর পর কিভাবে কারিনা সত্য সন্ধানে পুলিশের সঙ্গে কাজ শুরু করেন তারই ঝলক তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।

বিনোদন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডেরও সদস্য হয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক আশফাক নিপুন ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের পর এবার এ দুজন সেন্সর বোর্ডেরও সদস্য হলেন।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

পুনর্গঠিত সেন্সর বোর্ডে নিপুন ও নওশাবা ছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু, খিজির হায়াত খান, তাসমিয়া আফরিন মৌ, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক রফিকুল আনোয়ার রাসেল।

পুনর্গঠিত সেন্সর বোর্ডে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এছাড়া পদাধিকারবলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক সমিতির সভাপতি বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন।

এর আগে গত ১২ মে এক বছরের জন্য চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সেই বোর্ডে সদস্য ছিলেন অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, অরুণা বিশ্বাস, রোকেয়া প্রাচী, দিলারা হানিফ পূর্ণিমা, অভিনেতা আজিজুল হাকিম। এছাড়া চলচ্চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু এবং পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমও ছিলেন বোর্ড সদস্য।

বিনোদন

দেশের পূর্ব, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। এসব মানুষকে নতুন ঘর তৈরি করে দিতে কনসার্টের আয়োজন করে স্বপ্নপুরী নাট্যদল ও মোহাম্মদপুর মিউজিশিয়ান শিল্পীরা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শ্যামলী পার্ক মাঠে এক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আগত দর্শনার্থীরা যে যার সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী শফি মন্ডল, চিশতি বাউল এবং কোহিনুর আক্তার গোলাপি। এছাড়া নাবিল, ইমন, রনি, সুজন, অর্নব, শাকিল, প্রান্ত, মাহিনী, সজিব, মুন্নীসহ স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন, থার্ড আই ফাউন্ডেশন, ইচ্ছে ফাউন্ডেশন, গণসাফল্য সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, স্বপ্নপুরী কল্যাণ সংস্থা ও সিআইবি মানব কল্যাণ সংস্থা।

আয়োজনের বিষয়ে স্বপ্নপুরী নাট্যদলের সদস্য সচিব এজাজ আহমেদ বলেন, আমরা সব সময় আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে সামাজিক কাজ করি। বন্যার্তদের জন্য এটা আমাদের একটি চেষ্টা। আমরা খুবই আনন্দিত, হাজার হাজার মানুষ আমাদের এ আয়োজনে এগিয়ে এসেছেন।

মোহাম্মদপুর মিউজিশিয়ান শিল্পী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক আওলাদ হোসেন বলেন, আমরা যেহেতু শিল্পী। আমরা আমাদের মেধা দিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সংগ্রহকৃত অর্থ দিয়ে বন্যার্তদের জন্য গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।

ইচ্ছে ফাউন্ডেশনের সভাপতি উজ্জ্বল রায় বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সব সময়ই পীড়িত মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। আজকের এ আয়োজনও তারই একটি অংশ। আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে৷

অনুষ্ঠানে আগত ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইমাম মাহমুদ রিয়াদ বলেন, আমরা মানুষের যে সহযোগিতা করার যে জোয়ার দেশে এসেছে, বিদেশিদের থেকে অর্থ না নিয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের সহযোগিতা করতে পারি। এটা একটি বড় সাফল্য।

বিনোদন

‘আলো আসবেই’ কথাটি দেশের মানুষ এখন বহুল পরিচিত। এ নিয়ে কথা উঠলেই সামনে আসে শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপে গোপন গ্রুপের কথা! যা তৈরি হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে।

যেখানে যুক্ত হয়ে শোবিজের একদল শিল্পী অবস্থান নিয়েছিলেন বিগত সরকারের (শেখ হাসিনা) পক্ষে। সেই দলেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।

গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট। যা নিয়ে শোবিজ থেকে শুরু করে সামাজিকমাধ্যমে হয়েছে তুমুল সমালোচনা। অনেকেই আবার এই গ্রুপে থাকা শিল্পীদের বয়কট করার আহ্বানও জানিয়েছেন।

সমালোচনার মাঝেই কয়েকজন শিল্পী গ্রুপে যুক্ত থাকার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। স্পষ্ট করেছেন নিজের অবস্থান সম্পর্কে। ফেসবুকের সুবাদে কেউ আবার ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে কিছু শিল্পী এখনও নিশ্চুপ! সেই তালিকায় আছেন সোহানা সাবা।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) এই অভিনেত্রী ফেসবুকে কবিতার ভাষায় লেখেন, ভেবেছিলাম সামনে অন্ধকার ঘন, দেখেছিলাম অশনি সংকেত ও রণ। সমুদয় পাল্টানো এই উপত্যকায়, নিজেকে ভুল প্রমাণ করে তবুও বিশ্বাস করতে চাই আলো আসবেই।

অভিনেত্রীর এমন পোস্ট ঘিরে নেটিজেনদের বেশির ভাগই হাসির প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ফেসবুকে কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে রেখেছেন সোহানা সাবা। তবে অভিনেত্রীর পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই সমালোচনা করছেন।

বিনোদন

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে সে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে টেলিপ্যাব। এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল।

দোদুল জানান, শিগগিরই শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে প্রাচীকে সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

এই বিষয়ে রোকেয়া প্রাচী এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। সহ-সভাপতির পদ হারালেও অবশ্য সাধারণ সদস্য হিসেবে টেলিপ্যাবে থাকবেন প্রাচী।

পরীমনির কাছে ‘হারলেন’ সাকিব

জানা গেছে, গত ৮ জুন রাজধানীর বনানী ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে আরশাদ আদনান ও সাজ্জাদ হোসাইন দোদুলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে টেলিপ্যাব। এই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ছিলেন রোকেয়া প্রাচী।

গত ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শোক দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন রোকেয়া প্রাচী। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত প্রাচী বরাবরই রাজনীতির অঙ্গনে বেশ সক্রিয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন (ফেনী-৩) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও দল থেকে মনোনয়ন পাননি তিনি।

বিনোদন

দেশে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে।

সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের পাশাপাশি চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী, ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সারাসহ সংগীত শিল্পীরাও।
তাদেরই একজন ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ বিজয়ী মডেল-অভিনেত্রী রাফাহ নানজিবা তোরসা। বন্যার্তদের সহায়তায় টিম নিয়ে এই অভিনেত্রী ছুটে গেছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) থেকে বন্যার্তদের উদ্ধারের পাশাপাশি শুকনা খাবার, কাপড়, পানি এবং ঔষধ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন তোরসা। তার টিমের কয়েকজন ফেনী ও নোয়াখালীতে গেল দুই দিন ধরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বন্যাকবলিত চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় বানভাসিদের দুয়ারে দুয়ারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।

বন্যাকবলিত এলাকা থেকে তোরসা বলেন, আমরা ভয়ংকার সময় পার করছি। স্বাধীনতা পাওয়ার চেয়ে রক্ষা করা অনেক কঠিন। ভারত পানি ছাড়ার বিষয়টি আগে থেকে জানালে সবাই সতর্ক থেকে মেকাবেলার প্রস্তুতি নেওয়া যেত। তিস্তার বাঁধ নিয়ে বছরের পর বছর আমরা ভোগান্তির শিকার। কিন্তু আমাদের দমানো যাবে না। যেকোনো দুর্যোগ আমরা হাসিমুখে প্রতিহত করতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা যেমন রাজপথে দুহাত মেলে বুকে গুলি নিতে পারি, তেমনি বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি। এই মুহূর্তে হালদার কাছাকাছি অবস্থান করছি। যেখানে গাড়ি যাওয়ার সুযোগ নেই। একেবারে ভেতরে কিছু মানুষ আটকে আছে। আমরা তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি। আশা রাখছি, অচিরেই আমরা এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব। উপদেষ্টাদের কাছে অনুরোধ থাকবে তিস্তার বাঁধে নজর দেওয়ার।

বিনোদন

বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিবাহবিচ্ছেদের আলোচনা-সমালোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন একটি পরামর্শ দিয়েছেন, যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা।

বচ্চন পরিবার অনেক দিন ধরেই সামাজিকমাধ্যমে বেশ কিছু বিষয়ের জন্য শিরোনামে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিবাহবিচ্ছেদ। মনে করা হচ্ছে, এই দম্পতির সম্পর্কে ফাটল ধরেছে এবং শিগগিরই তারা বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন বলে জানা গেছে। যদিও অভিষেক বা ঐশ্বরিয়ার তরফে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এসবের মধ্যেই বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন’কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে ‘বিবাহিত দম্পতিদের জীবনযাপন’সংক্রান্ত একটি মন্তব্য নেটিজেনদের নজর কেড়েছে।

অমিতাভ বচ্চনের কুইজ শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ ১৬ আগস্ট শুরু হয়েছে। এই শো চলাকালীন অভিনেতাকে দেখা গেছে প্রতিযোগীদের সঙ্গে কথা বলে মজা করতে। তাদের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চাওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হলো যে গেমটি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা। এ পর্বে অমিতাভ বচ্চন একজন প্রতিযোগীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন কীভাবে বিয়ের পরও রোম্যান্স বাঁচিয়ে রাখা যায়।

অমিতাভের এ পরামর্শ এখন তার ছেলে অভিষেক বচ্চন ও পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিবাহবিচ্ছেদের খবরের সঙ্গে যুক্ত বলে অনেকেই মনে করছেন। আসলে অমিতাভ শোতে আসা প্রতিযোগী দীপালি সোনিকে তার প্রেমের গল্প সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। এ কথা শুনে প্রতিযোগী বলেন, তার বিয়েটা পুরোপুরি সাজানো ছিল। কিন্তু তিনি তার স্বামীকে ভালোবাসতে শুরু করেন হঠাৎ করেই। এখন দুজন ২৫ বছর ধরে একসঙ্গে আছেন। দিপালীর স্বামী জানান, তিনি যেখানেই যান স্ত্রীকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন।

এ কথা শুনে অমিতাভ বচ্চন বিবাহিত দম্পতিদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘যেসব স্বামী-স্ত্রী আমাদের কথা শুনছেন। আপনারা যেখানেই যান, সেখানে একে অপরের সঙ্গে ভিডিও করুন। এ ক্ষেত্রে রোম্যান্সও ভরপুর থাকে বলা চলে।

বিগবির এ বক্তব্য নেটিজেনদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ অভিনেতার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে ভাইরাল হয়েছে, যখন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা উঠেছে।

বিনোদন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের পরপরই যারা ফ্রন্টলাইনে থেকে প্রতিবাদ করেন তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবেই আসিফ নজরুলের কাছে সাধারণ আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে আসিফ নজরুলের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেই স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল লিখেছিলেন তার হাতে ক্ষমতা থাকলে দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি কি কি পদক্ষেপ নিতেন।

সেই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন (প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন। আর ড. আসিফ নজরুল বিয়ে করেছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রথম ঘরের সন্তান অভিনেত্রী শিলা আহমেদকে)।

এখন যেহেতু আসিফ নজরুলের হাতে ক্ষমতা এসেছে তাই তার সেই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার সময় এসেছে। তাই শাওন ক্যাপশনে লেখেন, ‘এখন নিশ্চয় হবে। আশায় আছি। ’ শাওনের পোস্ট দেখার পরও অনেক নেটিজেন সেই স্ট্যাটাস শেয়ার করতে থাকেন। সবার প্রত্যাশা আসিফ নজরুল যেন তার পূর্বের দেওয়া কথা রাখেন।

স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল লিখেছিলেন-

যদি ক্ষমতা থাকতো আইন করতাম: বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীগণ চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। ক্ষমতা, চাকুরী বা ব্যবসা কোনভাবেই তাদের সন্তানরা সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না।

সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের গণপরিবহনে চড়তে হবে। রাস্তায় চলাকালে তারা অন্য একটি যানবাহনও থামিয়ে রাখতে পারবেন না।

বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা অতি জরুরী ছাড়া কোন সফরসঙ্গী নিতে পারবেন না, এ বিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে।

জনগণের টাকায় কোন কিছু উদ্বোধন বা জনগণকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। তাদেরকে মহামান্য ও মাননীয় বলা নিষিদ্ধ হবে।

তাদের ও তাদের পরিবারের দেশে বিদেশে সকল সম্পত্তি ও আয়ের বিবরণ জনগণকে জানাতে হবে। দুদকের একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইউনিট শুধুমাত্র তাদের বিষয়ে নজর রাখবে।

অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরো বহু কিছু করতাম। যারা লুটেরা, চোর আর সন্ত্রাসী- তাদের জীবন নরক বানিয়ে ছাড়তাম।

বিনোদন

ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল। টানা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ও পার বাংলার তারকা অভিনেতারাও অভিনন্দন জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বাকি সদস্যদের। বিষয়টি নিয়ে সরব অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিও। তবে তার কথার সুরে ক্ষোভ, অভিমান! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করল বৈষম্য দিয়ে?’

কেন জ্যোতিকা এত ক্ষোভ? সে কথাও তিনি পোস্টে লিখেছেন। দেশের পরিস্থিতি আগের তুলনায় স্বাভাবিক। ফলে, যারা এত দিন সমাজমাধ্যম থেকে দূরে, তারাও ক্রমশ নিজেদের ফেসবুকে মেলে ধরছেন। সেই সুর অভিনেত্রীর লেখনীতেও— ‘নতুন বাংলাদেশের প্রথম দিন। ভয়ঙ্কর ক’টা দিনের পর, বাক্‌স্বাধীনতার প্রথম দিনে এই লেখার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা উদযাপন শুরু করলাম!’ তার পরেই তিনি আসল বক্তব্যে গিয়েছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কুরআন রাখা হয়েছে। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ রাখা হয়নি! এতেই তিনি অবাক এবং বিস্মিত।

কারণ, বরাবর দেখে এসেছেন, বাংলাদেশে যে সব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ রাখা করা হয়, সেখানে কুরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটকও থাকে। অথচ, এ দিন কেবল একটি ধর্মগ্রন্থই রাখা হয়েছে। তার আরও যুক্তি, ব্যক্তিগত ভাবে তিনি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখেন না। কিন্তু যা এত দিন ধরে যা পালিত হয়ে আসছে, তার অন্যথাই বা ঘটবে কেন, জানতে চেয়েছেন জ্যোতিকা। তাই তার ক্ষোভ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে যে সরকারের জন্ম, তাকে তো শুরু থেকে বৈষম্যহীন হতে হবে! অভিনেত্রীর মন্তব্যবাক্সে ইতিমধ্যেই তাকে অনেকে সমর্থন জানিয়েছেন। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।