রাজনীতি

রাজধানী গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরেছেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন।

মঙ্গলবার রাতে বিএনপি মহাসচিব হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন। এ কারণে বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানের হাসপাতালে ভর্তি হন।

বিএনপিপন্থি চিকিৎসদের সংগঠন ড্যাবের একজন নেতা জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর বিএনপি মহাসচিবের হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। রিপোর্ট ভালো এসেছে। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে মহাসচিব বাসায় ফেরেন।

গত ৪ মার্চ  স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল। ১৯ দিন পর ২৩ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি। এর আগে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত ১৫ ফেব্র“য়ারি মির্জা ফখরুল জামিনে মুক্তি পান। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমে যায় বলে তার চিকিৎসকরা জানান। কারামুক্তির পর মির্জা ফখরুল ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে এক চিকিৎসককে দেখান এবং বাসায় থেকে তার তত্ত¡াবধানে চিকিৎসা নেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় তার ঘাড়ের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। তাকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।

হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল

হৃদরোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন। বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

বিএনপিপন্থি চিকিৎসদের সংগঠন ড্যাবের একজন নেতা বুধবার জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর বিএনপি মহাসচিবের হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। রিপোর্ট ভালো এসেছে। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। দু-একদিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হতে পারে।

গত ৪ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল। ১৯ দিন পর ২৩ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি।

এর আগে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুল জামিনে মুক্তি পান। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ৬ কেজি ওজন কমে যায় বলে তার চিকিৎসকরা জানান। কারামুক্তির পর মির্জা ফখরুল ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে এক চিকিৎসককে দেখান এবং বাসায় থেকে তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন।

৭৭ বছর বয়সি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় তার ঘাড়ের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। তাকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

চীনে প্রথম দিনের সফরের ওপর আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তাঁকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সহায়তা করুন।’

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের নেতৃত্বে চীনা পার্টির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা চীনা পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্স (সিপিপিসিসি)-এর উচ্চ-পর্যায়ের একটি কমিটির আজ সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবস্থানস্থলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে দুদেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক বিষয়-যার মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানো, অর্থপূর্ণভাবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাড়ে ছয় বছর ধরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি।

ড. হাছান বলেন, বৈঠকে এই ইস্যুটি সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়।

সিপিপিসিসি চেয়ারম্যান বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এই ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেব।
ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানী করেছে অথচ রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা খুবই কম।
তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চীনকে বাংলাদেশ থেকে আমদানী বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, শাকসবজি ও আম আমদানী করতে পারে।

অন্যদিকে সিপিপিসিসি নেতারা বলেছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে মানসম্পন্ন পণ্য আমদানীর ব্যবস্থা নেবেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং সম্পর্ক আরও বাড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টাতেই এটি গভীরে প্রোথিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর করেন এবং তিনি নিজে ষষ্ঠবারের মত চীন সফর করছেন।

পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) সহ বেশকিছু আইকনিক প্রকল্প নির্মাণে সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন তিনি তাঁর দল থেকে চীনে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠাবেন।

তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকেও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

রাজনীতি

কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ঘটনা ঘটেছে আদালতে। রাজপথে আন্দোলন করে এটার নিরসন হবে না। এভাবে আন্দোলন করলে একপর্যায়ে হয়তো আদালত অবমাননাও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কোটা সমস্যা নিরসনের সঠিক জায়গা হচ্ছে আদালত। সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমি গতকালও (সোমবার) বলেছি, ‘তারা (কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা) যদি এ মামলার পক্ষভুক্ত হয়ে আদালতে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন, তাহলে আপিল বিভাগ সব পক্ষের কথা শুনবেন ও ন্যায়বিচার করবেন। এটাই আমাদের আশা ও আমার মনে হয় সেটাই হবে।

আনিসুল হক বলেন, আমি যতদূর জেনেছি, হাইকোর্ট বিভাগে এই মামলা চলাকালীন কোটাবিরোধীরা তাদের বক্তব্য আদালতের কাছে পেশ করার জন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেননি। তাদের বক্তব্য সেখানে দেননি। তারপর মামলার রায় হয়ে গেছে। মামলাটা এখন আপিল বিভাগে। গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত তাদের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য তাদের নিয়োগ করা কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

তিনি বলেন, আমি এখন শুনলাম যে তারা (কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী) আপিল বিভাগের মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছেন। আমি যতটা শুনেছি, আগামীকাল (বুধবার) বোধহয় তার শুনানি হবে। সেক্ষেত্রে আমি তো মনে করছি তারা সঠিক পথে হাঁটছেন। আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই। এখন তারা তাদের বক্তব্য আদালতে দেবেন। আশা করব যেহেতু তারা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।

কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকারের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারের অবস্থানের বিষয়ে আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত স্পষ্ট করেই বলেছেন। সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার নেই-কোটার ইস্যুটা এখন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আছে। সর্বোচ্চ আদালত সব পক্ষকে শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন।

সরকারের কেউ কেউ বলেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলন অযৌক্তিক। সেক্ষেত্রে আদালত প্রভাবিত হতে পারে কিনা-জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ মামলায় কী হতে পারে সে বিষয়ে আমি কিন্তু কিছু বলব না। কারণ হচ্ছে এটা সাব-জুডিস (বিচারাধীন)। বাইরে থেকে আইনমন্ত্রী হিসাবে বা আইনের দিক থেকে যতটুকু বলার দরকার আমি কিন্তু সেটাই বলছি।

রাজনীতি

সরকার দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে বাংলাদেশ ততই আরও দ্রুত রসাতলে যাবে। জনগণের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব থাকবে না। অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। এমন কোনো বিষয় নেই যে, ধ্বংস হয়ে যায়নি। মঙ্গলবার নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় থাকাকালে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। আজকে ভিন্ন চেহারাতে একটু ‘ছদ্মবেশ’ ধারণ করে গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে গিয়ে তারা নির্বাচনকে ধ্বংস করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। প্রশাসনকে পুরো দলীয়করণ করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের এখন সবার মধ্যে একটা ঐক্য গড়ে তোলা দরকার। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান, শক্তিশালী করে রাজপথে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তি এটাকে আলাদা করে দেখার কোনো কারণ নেই। দেশনেত্রীর মুক্তি, এই দেশের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। আওয়ামী লীগকে যদি আমরা সরাতে পারি, তাহলে সব বিষয়গুলো আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।

এ সময় নবগঠিত ঢাক মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং যুবদলের নেতাদের অভিনন্দন জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটির নেতৃত্বে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং এই সরকারকে পরাজিত করতে ভূমিকা রাখবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তি ছাড়া এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক মুক্তি হবে না। দেশের যে অবস্থা, এই অবস্থায় মানুষের কোনো কথাই এই সরকার কর্ণপাত করছে না। তারা তাদের মতো করে চলছে। তাদের মতো করে কথা বলছে। জনগণের কথা তারা বুঝে না। আমরা তাদের ভাষা বুঝতে পারি না।

নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় এ দোয়া মাহফিল হয়। পরে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজত হয়।

মিলাদ মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুব দলের নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করীম পল, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন। সোমবার চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এর আগে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী ৮-১১ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন।

বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ দ্বিপাক্ষিক সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি এবং দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে চীন সফর করেছেন। দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করবে।

শেখ হাসিনার চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে ৯ জুলাই এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে চীনের ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দেবেন।

বিকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী ও কনসাল্টেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পরে তিয়েনানমেন স্কোয়ারে পিপলস হিরোদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

সন্ধ্যায় তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউজে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন।

১০ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার লি কিয়াংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক গ্রেট হল অব দ্য পিপলে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকসহ (এমওইউ) বেশকিছু নথিতে সই করা হবে।

পরে তিনি একই স্থানে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় যোগ দেবেন। ওইদিন বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

চীন সফর শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি১৭০৪) বেইজিং সময় ১১ জুলাই বেলা ১১টায় দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।

ফ্লাইটটি একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উচ্চ আদালত রায় দেবে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই সে পর্যন্ত রাস্তাঘাট আটকে আন্দোলন পরিহার করতে হবে।

সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে রাজনীতির উপাদান যুক্ত হয়ে গেছে। কারণ বিএনপি ও সমমনস্করা এই কোটা আন্দোলনে ভর করে সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানে তাদের তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।

তিনি বলেন, এখানে কারা কারা যুক্ত আছে? এখানে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা? সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের গতিধারায় বোঝা যাবে। আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলনে শরিক হয়? এটা কি বৈধ? আমাকে দেখান। এটা আদালতের রায় আমাদের না।

প্রত্যয় স্কিম নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে। আমরা যাবো যার যার পদমর্যাদার ভিত্তিতে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) অনেক দিন তারিখ দিয়েছে সরকার হটানোর জন্য। কিন্তু সরকার হটানো তাদের দিবাস্বপ্ন। কারণ আওয়ামী লীগ কচুপাতার উপর শিশির বিন্দু নয় যে, ধাক্কা দিলে পরে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সবাই দুর্নীতিবাজ। যারা প্ল্যানিং করছে, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করছে, বাজেট তৈরি করছে, সবক্ষেত্রে দুর্নীতির ব্যাপারটা প্রধান। এত বেশি দুর্নীতি করেছে যে এখন ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেই ফাঁদে পড়ে যাওয়ার কারণে এখন তারা চতুর্দিক থেকে একটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা, আরেকটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা এভাবে চলছে। একটা ঋণ নিয়ে আরেক ঋণ শোধ করে এটা কারা করে? যারা সব জায়গাতে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো চালাতে পারছে না তাদের এই কাজটা করতে হয়।’

সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ও দেশটির কাছ থেকে ঋণ আনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার মারাÍক ভুল তথ্য দিচ্ছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, রপ্তানি আয় ৬৪ বিলিয়ন বেশি দেখিয়েছে। এটি সত্য নয়। ওদের হিসাবেই এসব ভুল বেরুচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে বলে ক্ষমতাসীনদের দেওয়া অভিযোগ নাকচ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কখনোই এ ধরনের আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এসব আন্দোলন তাদের নিজস্ব, তাদের প্রফেশনাল জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করছেন, ছাত্ররা করছেন, ছাত্রীরা করছেন। আমরা এখানে ইন্ধন দিতে যাব কেন? প্রশ্নই উঠে না।’

এসব আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তবে যেটা সত্যি সেটা সত্যি বলব, যেটা যৌক্তিক সেটা যৌক্তিক বলব। এটা আমরা সব সময় বলছি। দেশের মানুষ যে তাদের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়, সেটা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলনকে আমরা দুভাবে দেখি। একটা হচ্ছে, দেশে বিপুল সমস্যা আছে সেটাকে ডাইভার্ট (ভিন্ন দিকে নেওয়া) করার জন্য আন্দোলন তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, কোটাবিরোধী ছাত্রদের এই দাবিকে আমরা সমর্থন করি কারণ এটা যৌক্তিক দাবি। এটাকে আমরা অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ দেখি না। ৫০ বছর পরেও ৫৬ শতাংশ কোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এখানে যেটা হচ্ছে মেধার বিকাশ হচ্ছে না, মেধাবীদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন জায়গাগুলোতে নিতে পারছেন না। একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।’

শিক্ষকদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত দাবি করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। আপনি এর আগে একরকম কথা বলেছেন, এখন করছেন আরেক রকম।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে চাঁদে যেতে পারে সেজন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা একদিন চাঁদে যাব। কাজেই এখন থেকেই সেভাবে তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধনকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুলটিতে এ সময় তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আঁকা ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামেরও মোড়ক উন্মোচন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট বেলা থেকেই মানুষের জন্য আলাদা একটা দরদ ছিল।

অন্ন হীন, ছিন্ন কাপড় পরিহিত মানুষ, থাকার জায়গা নেই, এই জিনিষগুলো তাঁকে খুব ব্যথিত করতো। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্যই কাজ করতেন। নিজের জীবনের কোন সুখ, সুবিধা কিছুই দেখেন নি। শুধু একটাই চিন্তা ছিল এদেশের মানুষকে কীভাবে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি দেবেন। কীভাবে একটা উন্নত জীবন দিবেন এবং ছোট্ট শিশুরা যাতে একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।

সরকার প্রধান বলেন, আমি মনে করি আজ যে উদ্যোগ এখানে নেওয়া হয়েছে অথবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যেসব শিশু, তাদের আঁকা ছবি দিয়ে অ্যালবাম করা বা ছবির মাধ্যমে ইতিহাসকে যে তুলে ধরা-আসলে ছবিতো কথা বলে এবং এর মাধ্যমে শিশুদের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে।

তিনি এই উদ্যোগের জন্য শিক্ষক, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘আর আমার ছোট্ট সোনামনি, তোমাদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ রইল। তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হও। কারণ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তার তোমরাই হবে তার স্মার্ট নাগরিক, যারা দেশ চালাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমাদের মাঝ থেকেই বের হয়ে আসবে আমার মত প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে গবেষণা করবে, বিজ্ঞানী হবে। আর আমরা একসময় চাঁদেও যাব, কোন চিন্তা নেই। কাজেই সবাইকে এখন থেকে সেভাবে প্রস্ততি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।’

এরআগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধ্যয়নকৃত বিদ্যালয়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাঁকে স্বাগত জানায়।
শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

তিনি সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন। যেখানে জাতির ওপর রচিত বিভিন্ন বই রাখা হয়েছে।

পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন।

এরআগে সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন ও জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে শুক্রবার বিকেলে পৈতৃক নিবাসে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত ও উন্নয়নের বন্ধু চীন। উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ-সুবিধা পাবো, তা কেন নেব না?

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো বলেই অনেক সুবিধা নিতে পেরেছি। ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু আর চীন উন্নয়নের বন্ধু। এই দেশে বহু উন্নয়নে চীনের অবদান আছে।’

সেতুমন্ত্রী আজ দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এই ফলমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর বৈরি সম্পর্ক রেখে কী অর্জন করেছে ৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক দলগুলো? শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই আমরা বাংলাদেশের সমান আরেকটি সমুদ্র পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। তিনি বলেন, সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যায়। গঙ্গাচুক্তিসহ বহুবিধ সুবিধা ভারত থেকে নিতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। যারা বড় বড় কথা বলেন তারা গঙ্গার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। খালি হাতে আগেও ফিরি নাই, এখনো ফিরি নাই।
চীনের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাহায্য পেলে আমরা সাহায্য কেনো নেব না? আমার দেশের উন্নয়নের জন্য যেখানে সাহায্য দরকার আমরা সেখান থেকে সাহায্য নেব। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এসব নিয়ে অনেকের জ্বলে, যাদের জ্বলে তাদের মন্তব্যের কোনো জবাব আমরা দেব না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। সেই বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পার্বত্য অঞ্চলও বদলেছে। সড়ক যোগাযোগে এখন পার্বত্য তিন জেলা অনেক উন্নত, একসাথে ৪২টি ব্রিজ উদ্বোধন হয়েছে খাগড়াছড়িতে। এখন সীমান্ত সড়ক তৈরি হচ্ছে। শেখ হাসিনা থাকলে সব সমস্যার সমাধান হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিদেশি বহু ফলের চেয়ে অনেক উন্নত মানের ফল উৎপাদিত হয় পার্বত্য তিন জেলায়। এক সময় আনারসই প্রধান ফল ছিল। কিন্তু এখন বহু ধরনের ফল উৎপাদিত হয়। এক সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না থাকার কারণে ফল পচে যেত। আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে আপনাদের পাহাড়ের সুমিষ্ট ফল ঢাকায় চলে আসে। সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নতমানের ফল আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত হয়।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নিজেরা আইনগতভাবে না পেরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি। দলটি খালেদা জিয়াকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। বিএনপি এখন কোটা আন্দোলনের উপর ভর করবে। সরকার তো কোটা রাখেনি, এটা আদালতে মামলা চলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের ব্যাপার।

সাত দিনব্যাপী এই পাহাড়ি ফলমেলা আগামী ১২ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা সাত দিন চলবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, বন জলবায়ু ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, জ্বরতী তঞ্চঙ্গা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী প্রমুখ।

রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি যত না শক্তিশালী ছিল, আজকে তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। এবারের ধাক্কা সামলাতে পারবেন না আওয়ামী লীগ। বলে না, চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন, সেই দিন চলে এসেছে। আজকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে, হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শেখ হাসিনার রেজিমকে পরাজিত করতে হবে।

তিনি শনিবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি। যতদিন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না, ততদিন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না, লুটপাট অব্যাহত থাকবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অনেক হয়েছে, অনেক শুনেছি, অনেক দেখেছি। আর সইব না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে জেলে নিতে যারা জড়িত সবাইকে তাদের অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে হবে। খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। যে ট্রাস্টের কথা বলা হয়েছে, সেই ট্রাস্ট থেকে একটি পয়সাও খালেদা জিয়া অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্য নেননি। সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে, সুদে আসলে চারগুণ হয়েছে এখন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল­াহ বুলুর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, মহানগর বিএনপির সাবেক আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়–য়া, দক্ষিণ জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক এনামুল হক এনাম।

আমির খসরু আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে। গুলি করে, গ্রেনেড মেরে জনসভা বন্ধ করলে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায় না। আর ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন করে কেউ যদি মনে করে, আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে অথবা বিএনপিকে নতুন করে শুরু করতে হবে, আমি পরিষ্কারভাবে বলছিÑনতুন করে শুরু করার কিছু নেই। আন্দোলন চলমান আছে। আন্দোলনের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী সকাল-বিকাল কি ধরনের মন্তব্য করেন বুঝতে পারছেন না। কারণ ওরা জানে বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ তাদের নির্বাচন বয়কট করেছে। পরে উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে। তারা জানে ওই নির্বাচন করে কোনো লাভ হয়নি। ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সভা বন্ধ করে কোনো লাভ হয়নি। আবার সভা হবে, আবার মিছিল হবে, আবার লক্ষ জনতা একসঙ্গে হবে।