রাজনীতি

রাজধানীর গুলিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ১১ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া মিছিলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল। ওই মিছিল থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়। রোববার রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তাদের নাম-ঠিকানা বা তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ কর্তৃক ১২ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনটিতে আওয়ামী লীগের ও এর সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার পেছনে সরকার কিছু কারণ থাকার কথা উল্লেখ করেছে।

পাঠকদের জন্য প্রজ্ঞাপনটি হুবহু নিচে তুলে দেওয়া হলো-

‘যেহেতু ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে; এবং যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং এসব অভিযোগ দেশী ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

যেহেতু উল্লেখিত অপরাধসমূহের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে; এবং যেহেতু এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার লক্ষ্যে গত ০৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মী কর্তৃক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।

যেহেতু এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে; এবং যেহেতু সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনের ন্যায় বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

যেহেতু, সরকার যুক্তিসংগতভাবে মনে করে সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন; সেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

প্রজ্ঞাপনেই বলে দেওয়া হয়েছে যে এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মূলত এ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ এবং দলটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সংগঠনের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো সরকার।’

রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের নতুন এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন কিছু গড়ার সক্ষমতা রাখি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়।

সমাবর্তন ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাইলে আমাদের মতো করে এক নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি।’ তবে, তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকা দরকার- কেমন পরিবেশ ও সমাজ তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সেই সম্পর্কে।

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পটভূমি স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে যে সভ্যতা চলছে তা একটি ধ্বংসাত্মক অর্থনীতির সভ্যতা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে অর্থনীতি তৈরি করেছি তা মানুষের জন্য নয়, বরং ব্যবসার জন্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসাকেন্দ্রিক এই সভ্যতা আত্মঘাতী এবং তা টিকবে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দীর্ঘদিন পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আনন্দিত। তিনি স্মরণ করেন, ১৯৭২ সালে চবিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

তিনি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এবং কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংক চট্টগ্রামে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের সহায়তা করতে গঠিত হয়েছিল তা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়েছিল চবির অর্থনীতি বিভাগে।

অনুষ্ঠানে, চবি কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসকে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি লিট) উপাধিতে ভূষিত করে।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের হাতে ডি লিট সনদ তুলে দেন।

সমাবর্তনে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজসহ অন্যান্যরাও বক্তব্য রাখেন।

চবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চবি আজ দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবর্তনের আয়োজন করে, যেখানে ২২,৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।

রাজনীতি

নারীর সম-অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শুক্রবার (১৬ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৪ মে) সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, নারী বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড, ধর্মান্ধ মৌলবাদীগোষ্ঠী নারীর প্রতি অবমাননার প্রতিবাদে সম-মর্যাদা ও সম-অধিকারের দাবিতে শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। নেতারা নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা সফল করার আহ্বান জানান।

নেতারা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সব সদস্য, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গণতন্ত্রমনা সবাইকে এই সমাবেশে অংশ নিয়ে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানান।

রাজনীতি

ছাত্ররা যদি কঠিন দায়িত্ব নিয়ে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ ব্যর্থ হবে, বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরাম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মঈন খান বলেন, আমাদের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, এক সময় দেশ পরিচালনা করেছি। আগামী দিনে যদি সুষ্ঠু ভোট হয়, দেশের জনগণ যাদের দায়িত্ব দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ যারা নতুন প্রজন্ম, তারাই আগামী দিনে বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। গুরু দায়িত্ব পালনে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে, এই দেশ তোমাদের।

তিনি বলেন, জুলাই ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশের পরিবর্তন এসেছে, সেই অর্জন তোমাদের। আমরা সেই কথা গর্বের সঙ্গে বলে থাকি। বিগত ১৫ বছর সংগ্রাম করে জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সেই গৌরব তোমাদের ধরে রাখতে হবে। এই সুযোগ যদি হেলায় হারাও, কোনো ভুল পথে গিয়ে সুনাম নষ্ট করো, তাহলে শুধু তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. ইউনুস তালুকদার রাজুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

রাজনীতি

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার তারিখ একদিন পিছিয়ে গেছে। আগামী ৫ মে’র পরিবর্তে ৬ মে (মঙ্গলবার) তিনি দেশে ফিরবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিএনপি মহাসচিবের নির্দেশে আমাদেরকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ৫ মে লন্ডন থেকে রওয়ানা হয়ে ৬ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন।

তিনি আরও জানান, কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন।

খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। তবে তিনি কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

এরপর এ বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা বিএনপির

প্রায় চার মাস লন্ডনে চিকিৎসা শেষে সোমবার দেশে ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই ফিরছেন তিনি। তাকে বিমানবন্দর থেকে অভ্যর্থনা জানিয়ে তার বাসভবনে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।

শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলআলমগীর।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে আসছেন তার দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সময়সূচি চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে বিএনপি থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে সোমবার ঢাকায় পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া।

এদিকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে দলের চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাবে বিএনপি। এনিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যৌথসভা করে বিএনপি। পরে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ৫ তারিখে (৫ মে) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি বিশেষ বিমানে আসবেন। আমরা আশা করেছিলাম যে বিমানে তিনি গেছেন, কাতারের রয়াল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন। সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ, এই সময়টা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে। যদি আজকে রাতের (শনিবার) মধ্যে আমরা নিশ্চিত হই, তখন সেটা জানিয়ে দেব।’

প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নেত্রী ফিরে আসবেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে প্রচন্ড আবেগ আছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষ আজকে উৎসাহিত-উজ্জীবিত যে, তাদের প্রিয় নেত্রী দেশে ফিরে আসবেন। তাকে যথাযথ অভ্যর্থনা জানানো, এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বিএনপি নয়, সারা দেশের মানুষ আজকে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে। এনিয়ে আমরা যৌথসভা করেছি। জনগণ যাতে তাদের নেত্রীকে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে কোনো যানজট সৃষ্টি না করে তারা তাদের নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। আমরা যেটা বলেছি, একহাতে জাতীয় পতাকা এবং আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাব। এটাই হচ্ছে আমাদের সিদ্ধান্ত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দলের যৌথসভা করেছি। দুই সিটি, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের নিয়ে। যাতে আমরা অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে জনগণ যেন তাকে অভ্যর্থনা জানাতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। শুক্রবারও প্রশাসন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও বসেছিলাম। আলোচনা করেছি। তিনি (তারেক রহমান) পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে চার মাস লন্ডনে একটি হাসপাতালে দেশনেত্রী চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বাসায় (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায়) গিয়ে চিকিৎসা আবার নিয়মিত করেছেন। প্রতিদিন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। একদিকে ভালো পরিবেশ, বিশেষ করে পারিবারিক পরিবেশ এবং একইসঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে ও উন্নত চিকিৎসার মধ্যদিয়ে আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি আগের চেয়ে অনেক সুস্থবোধ করছেন। সেই কারণে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি এখন দেশে ফিরে আসবেন।

বিমানবন্দরের টারমার্কে বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাবেন। বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে ৮নং গেট দিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর গুলশানের উদ্দেশে রওনা হবে। বিমানবন্দর মোড় থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

প্রায় চার মাস লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার সন্ধ্যায় হিথ্রো বিমানবন্দর ছাড়বেন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে মাকে বিদায় জানাবেন ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডনের ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গুলশানের সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, নিরাপত্তা সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একেএম সামছুল রহমানসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

রাজনীতি

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সরব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছেন।

জামায়াত আমির বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দুটি সময়কে উপযুক্ত মনে করি। প্রথমত, রোজার আগে ফেব্রুয়ারি মাস। তবে যদি এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনকালীন সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন না হয় এবং জনমনে আস্থা তৈরি করার মতো বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তাহলে এপ্রিল মাসের পরই নির্বাচন আর বিলম্বিত করা উচিত নয়। ’

শনিবার (৩ মে) সকালে ঢাকার মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগরী আমির সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারির শেষ এবং মার্চের বেশিরভাগ সময় রমজান মাস থাকায় তখন নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকার যদি আন্তরিকভাবে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সহযোগিতা করে, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদেরকে এখন ফ্যাসিবাদ নয়, বরং ফ্যাসিবাদীদের পতন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। দুঃখজনক ইতিহাসে জাতি হিসেবে আমরা এখনো একটি ইতি টানতে পারিনি। ’

ডা. শফিকুর রহমান উল্লেখ করেন, ২০১১ সালের এপ্রিলের পর জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বৃহৎ সম্মেলনে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পায়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা দেশ শাসন ও শোষণ করেছে এবং বিরোধী দল, বিশেষ করে ইসলামপন্থিদের ওপর বিভিন্নভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে।

তিনি তিনটি বড় ধরনের গণহত্যার অভিযোগ তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে পিলখানায় ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনার হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে হেফাজতের কর্মীদের হত্যা এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আরেকটি হত্যাকাণ্ড, যাতে অনেকে শহীদ ও পঙ্গু হয়েছেন।

৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমীর বলেন, ওই সময় দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। তিনি দলীয় কর্মীদের ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার এবং সাধারণ মানুষকেও সংযত থাকার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, অন্যান্য দেশে এমন পরিস্থিতিতে যা ঘটেছে, তার তুলনায় বাংলাদেশে তেমন কিছু ঘটেনি এবং যা ঘটেছে, তাও তারা সমর্থন করেন না। সেদিনই তারা আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার এবং আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতিকার চাওয়ার কথা বলেছিলেন।

তিনি আরও জানান, জামায়াত ইসলামীর কর্মীরা সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন এবং কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও দল দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। জামায়াত শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া ফেনীর বন্যার শুরু থেকেই তাদের দলের কর্মীরা দুর্গতদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।

যারা অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে যারা হত্যা, গণহত্যা, গুম, খুন ও ধর্ষণ করেছে এবং দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সোচ্চার থাকব।

রাজনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।

জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তৃতায় তিনি আজ এ কথা বলেন।

আলী রিয়াজ আশা প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা আশা করি জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবেন। কারণ আমরা সকলে মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন, বিনির্মাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আলী রিয়াজ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ার জন্য তা অত্যন্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এ নয় যে সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনে এবং গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট (এনপিপি) ১১২টায় একমত, ২৬টায় একমত নয় এবং ২৮ টায় আংশিক একমত হয়েছে বলে জানান জোটের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

বৈঠকে ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জোটের ১১ জন নেতা আজ সংলাপে অংশ নিয়েছেন।

ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একটা অনির্বাচিত সরকার যদি দীর্ঘসময় থাকে এটা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ
বলেন, ‘আপনি এমন একটা ভোটের ব্যবস্থা করে দেন যাতে মানুষ বলতে পারে দীর্ঘ পনেরো বছর পর আমরা এমন একটা ভোট দেখতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যেন বলতে পারে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সরকার গঠন করতে পেরেছি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সংস্কার কমিশন সমূহের সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি। সাত সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করছে।

রাজনীতি

নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে আগামী ২৩ মে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে নতুন এই দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান।

তিনি বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে ১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক।

সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশ এখন বহুমুখী সঙ্কটে রয়েছে। সেইসাথে আগ্রাসী ভারতের ষড়যন্ত্রও থেমে নেই। উপরন্তু মানবিক করিডোরের নামে সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের ভূরাজনৈতিক লড়াইয়ের স্বার্থে আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশকে নতুন যুদ্ধের ক্ষেত্র বানাতে পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের জাতীয় ঐক্য আরো সুদৃঢ় করতে হবে। বাংলাদেশ নিয়ে আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নানা সঙ্কট মোকাবেলায় আমাদেরকে জুলাই-আগস্টের মতো ইস্পাত-কঠিন জাতীয় ঐক্য ও সংহতি আবারও গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সাম্রাজ্যবাদের ফান্ডখোর কুখ্যাত নারীবাদীরা এদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, বিধি-বিধান, ঐতিহ্য ও পরিবারকাঠামো ধ্বংস করার পশ্চাত্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এনজিওবাদী গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এমন কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না, যা কোরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে যায়। এক্ষেত্রে আমরা কোনো ছাড় দেব না। এই বিতর্কিত কমিশন ও কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীদার আলেম-ওলামার পরামর্শ নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করুন।

হেফাজতে ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি, দেশের যৌতুকপ্রথা বন্ধে কঠোর আইন করুন। শিক্ষা ও কর্ম ক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এছাড়া, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ফৌজদারি দণ্ডবিধি ও সাইবার সিকিউরিটি আইন থেকে ধর্ম অবমাননার শাস্তি সংক্রান্ত ধারাগুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, এটি আরেক গভীর ষড়যন্ত্র। সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু— কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অধিকার অন্য কারো নেই। তাই ধর্ম অবমাননার শাস্তির আইনি ধারাগুলো বহাল রেখে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ওই নির্দিষ্ট সুপারিশগুলো বাদ দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.)-এর নামে কটূক্তি বা বিষোদ্গার বন্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করতে হবে। ৫ আগস্টের এই বিজয়কে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে। এমন একটি ন্যায়ভিত্তিক সংবিধান ও সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে করে এই বাংলাদেশের মাটিতে আর কখনো কোনো ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সংখ্যালঘুসহ সব নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে। নাস্তিকতা ও মুক্তমনা চর্চার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। সংখ্যালঘুদের রাজনীতির বলির পাঁঠা বানানো যাবে না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এমন একটি বিভেদমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেখানে কাউকে গুম-খুন, জেল-জুলুম ও পুলিশি নির্যাতন করা হবে না। গণহত্যার বিচারের পাশাপাশি ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দালালদেরও বিচার করা হবে। আমরা এদেশে ন্যায়বিচার ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এই মহাসমাবেশ।

এ সময় মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুর হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক প্রমুখ।

রাজনীতি

 উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার ও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার প্রয়োজনে দেশে শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সবাই কার্যকর অবদান রাখবেন-এ প্রত্যাশা করি।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘আইপি এন্ড মিউজিক : ফিল দ্য বিট অব আইপি’ যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংগীত এক সর্বজনীন ভাষা, যা হৃদয়ের গভীরে প্রতিধ্বনিত হয় এবং আমাদের ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যময় শিল্পধারাকে প্রতিফলিত করে। লোকগান থেকে শুরু করে আধুনিক গানের মূর্ছনায় আমাদের শিল্পীরা প্রতিনিয়ত বিশ্বকে মুগ্ধ করে চলেছেন।

তিনি বলেন, সংগীত শিল্পের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ গড়ে তুলতে মেধাসম্পদ আইন ও নীতির যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। এতে শিল্প ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।’

রাজনীতি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদিচ্ছা এবং সক্ষমতা প্রমাণের জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। তারা বলেছে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন উপহার দিবে। আমরা তাদের একটু এসিড টেস্ট দেখতে চাই। আগে স্থানীয় নিবাচন দিন। আমরা দেখি আপনাদের সদিচ্ছা ও সক্ষমতা কতটুকু। যদি এতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়, তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের পূর্ণ সমর্থন দেবে। এখানে যদি আপনাদের কিছু ধরা পড়ে, তাহলে জনগণ আপনাদের হলুদ ও লাল কার্ড দেখাবে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ৯টায় সম্মেলন শুরু হয়ে বেলা ১২টায় শেষ হয়।

মহানগর জামায়াতের আমীর কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগীয় সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. ছামিউল হক ফারুকী, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কামরুল হাসান, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর আসাদুজ্জামান সুহেলসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের মহানগর শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং জেলার সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বিশেষ কোনো দল ও গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার কোন সুপারিশ মানবো না। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে জুলুম হবে না। শোষণ হবে না। নিপিড়ন হবে না। নতুন কোন ফ্যাসিবাদের জন্ম নিবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য থাকবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না। আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদশ চাই। বিচারের বাণী আর নীরবে-নিভৃতে কাঁদবে না।

এ সম্মেলনে আবারও আনুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের যে দাবি উঠেছে, উভয়ক্ষেত্রেই এমন ব্যবস্থা চালু করা উচিত।

এ সময় নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে কিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নাহর খেলাপ করা হয়েছে দাবি করে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে যা কোরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ খেলাপ। যারা এই সুপারিশ পেশ করেছেন তারা এই দেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা যে জায়গায় সমাজকে নিতে চায় সেটা হতে দেওয়া হবে না।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য আবারও উত্তপ্ত হচ্ছে জানিয়ে সরকারকে সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।

এদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ময়মনসিংহ জামায়াতে ইসলামীর এই কর্মী সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ‍্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে ৮০ হাজার স্কয়ার ফুটের সম্মেলনস্থল পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।