রাজনীতি

গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সর্বদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনও নানাভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

রোববার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনও নানাভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই অপশক্তির যেকোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে আমি দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, তার দলের নেতাকর্মীদের মেধা, পরিশ্রম, ত্যাগ ও দক্ষতায় আওয়ামী লীগ আরো গতিশীল ও শক্তিশালী হবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। জনগণই আওয়ামী লীগের মূলশক্তি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ’৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি মুক্তির সনদ রচনা এবং ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি অর্জন দলটিকে মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা লড়াই-সংগ্রাম ও মানুষের আস্থা অর্জন করে আওয়ামী লীগকে জনমানুষের সংগঠনে পরিণত করেছে।

টানা চার বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ‘ডেল্টা পরিকল্পনা’ বিনির্মাণে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আমাদের সরকার জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ধারাবাহিক সরকারে গত সাড়ে ১৫ বছর আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শেষ বছর এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শেষ বছর-২০২৩ সালের তুলনা করলে সাফল্যের তথ্যচিত্র আমাদের সামনে ভেসে উঠবে।

তিনি বলেন, এসময়ে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৫ গুণ, বাজেটের আকার ১২ গুণ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১৩ গুণ, জিডিপির আকার ১২ গুণ, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩৬ গুণ, রপ্তানি আয় ৫ গুণ, রেমিটেন্স ৬ গুণ, এফডিআই ৫ গুণ, কৃষি-শ্রমিকের ক্রয় ক্ষমতা ৩ গুণ, শ্রমিকদের মজুরি ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্যহার ৪১ দশমিক ৫১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। অতিদারিদ্র্য কমেছে ৫ গুণ। মানুষের গড় আয়ু হয়েছে ৭২ দশমিক ৮ বছর। এসময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৮ গুণ এবং বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগের হার ২৮ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাক্ষরতার হার বেড়েছে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন, বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশিতে আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১সহ দেশব্যাপী অগণন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়ন করেছি। আমরা দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীনকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছি। আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য কার্যক্রম দ্বারা এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪টি পরিবারের ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

রাজনীতি

অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশস্থল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

কাদের বলেন, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছে একটি মহল। রাজনীতি মানুষের জন্য, মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে, থাকবে৷ অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবাই প্রস্তুত বলে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার (২১ জুন) থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে।

আগামী ২৩ জুন এদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করছে আওয়ামী লীগ। গত সাড়ে সাত দশক ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। দলের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাঁকজমকভাবে উদযাপনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ ৷ এরই অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে৷ সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷

সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ৷ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এ দেশের স্বাধীনতা। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জন এ দেশের উন্নয়ন।

তিনি বলেন, বিজয়কে এখনো সুসংহত করা যায়নি, কারণ সাম্প্রদায়িকতা এখনো বিজয়ের প্রধান অন্তরায়। ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি। আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বার্তা হলো, নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলা এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন।

রাজনীতি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন ‘ক্রিটিক্যাল’ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তিনি।

ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক-নার্স ছাড়া সবার প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ফখরুল এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন।

পরে গণমাধ্যমকে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আজকে (শনিবার) দুপুর দেড়টায় ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখন তিনি সিসিইউতে আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং চিকিৎসকরা এখন কাউকে ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না। আমি তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝলাম, ডাক্তারদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, তার অবস্থা বেশ ক্রিটিক্যাল। তারা আজকে (শনিবার) সন্ধ্যায় সম্ভবত আবার বোর্ড মিটিং করবেন এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা নির্ধারণ করবেন।

শুক্রবার গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়া হঠাৎ ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৩টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন। মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় লন্ডন থেকে ডা. জোবায়েদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. জাহিদ বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ম্যাডামের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক যা করণীয় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

খালেদা জিয়াকে সর্বশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় তাকে সিসিইউতে রেখে দুই দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনির বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায়র কারাদণ্ডের সাজা পেয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যান। পরে একই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিলে সাজা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। সেই মাসেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৭ বছরের সাজা হয় তার। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকা-ের পথে তাদের যাত্রায় যে চ্যালেঞ্জগুলো প্রত্যক্ষ করছে তা দূর করতে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলো অনুভব করছি সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি।”

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এখানে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আজ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এখানে এসে পৌঁছেছেন।

সাক্ষাতের পরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, দুই দেশে নতুন সরকার গঠনের পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে উভয়ে আলোচনা করেছেন।

মুখ্য সচিব বলেন, “দুটি নতুন সরকার (ভারত ও বাংলাদেশে) ক্ষমতায় এসেছে ম্যান্ডেট নিয়ে (জনগণের) । সুতরাং, দুই দেশের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে।”

ড. জয়শঙ্কর বলেন যে গত দশ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে, এই সম্পর্ককে এখন নতুন অধ্যায়ে নেওয়া যেতে পারে।

“এবং এটি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে করা হবে,” ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে উদ্বৃত করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে লজিস্টিক, জ্বালানি ও কানেকটিভিটি খাতে গভীরভাবে কাজ করতে চায়।

আগামী ২৩শে জুন আওয়ামী লীগের হীরক জয়ন্তী উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) জন্য একটি নতুন ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান ড. এস. জয়শঙ্কর এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বিমসটেকের পরবর্তী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী উভয় একমত হন, বিমসটেক শক্তিশালী হলে তা অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, কানেকটিভিটি এবং ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে।

মুখ্য সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও যাবার কথা বলেছেন। তার মানে আমাদের একই সাথে কাজ করার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকেও তাকাতে হবে”।

প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে কর ও রাজস্ব সংগ্রহ এবং জনগণকে সেবা প্রদান উন্নয়ন করাসহ ডিজিটাল কর্মসূচির উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন ।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই প্রতিবেশি দেশের প্রকল্প দ্রুত ও সহজে শেষ করার ওপর জোর দেন এবং এ বিষয়ে উভয়েই এক মত হন।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, মিয়ানমার সরকার ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন প্রয়োজনে বিমসটেকে মিয়ানমারকে বাদ দিয়ে অন্যান্য সদস্যদেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। কারণ মিয়ানমারের কারণে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার মাঠে নেমে আগুন সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন দলটি সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে এক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আনন্দ শোভাযাত্রার আগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর শিশির বিন্দু নয়, যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে। একটু ধাক্কা লাগলে সরে যাওয়ার পাত্র নয় আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপি ভুয়া। ভুয়া দলের সঙ্গে জনগণ নেই। বিএনপির নেতৃত্ব ভুয়া, এক দফা ভুয়া। এ ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই। জনগণ তাদের সঙ্গে আগেও ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আন্দোলনের ডাক দিয়ে আবার ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো? বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। যে আন্দোলনে জনগণ নেই, সে আন্দোলন, আন্দোলন নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ মাথা নত করার দল নয়। ব্যক্তি অপরাধ করলে দুদক স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, বিচার করার সৎ সাহস আছে শেখ হাসিনার। আজ যে চক্রান্ত চলছে, তা আওয়ামী লীগকে হটানোর জন্য কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। আজ আন্দোলনের নামে যদি আবার আগুন নিয়ে মাঠে নামে, খুনের রাজনীতি করে, আওয়ামী লীগ তার জবাব দিতে রাজপথে প্রস্তুত আছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের গুজবের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাবধানে থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে। সেনাবাহিনীর প্রতিও তাদের সে মতলব আছে। তারা আজ গুজব ছড়িয়ে আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিবাজ দল বানানোর চক্রান্ত চলছে।

শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্য শেষে ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ‘বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শোভাযাত্রা’ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

রাজনীতি

বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের সব খাতগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত আছে।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে এদিন তিনি স্ত্রীসহ দেশে ফিরেছেন। গত ২৬ এপ্রিল স্ত্রী তাহেরা আলমসহ চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান আমির খসরু।

সম্প্রতি বিএনপিতে বড় রদবদল নিয়ে তিনি বলেন, এটি স্বাভাবিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। দল ও দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত আছে।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, দেশে দেশে ঘুরে চুক্তি করে কোনো লাভ হবে না। আগে দেশের মানুষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। মৌলিক সমস্যা সমাধান করতে হবে।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাজনীতি

দল মত নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কাদের।

কোরবানির তাৎপর্য অনুধাবন করে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সমাজের শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান তিনি।

কাদের বলেন, “এই ঈদে আমি দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবাইকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা-ঈদ মোবারক।”

সেতুমন্ত্রী বলেন, “বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। মহান আল্লাহ পাকের প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের নিদর্শনে ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে হবে। আর এই জন্য সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “অর্জনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভারসাম্যপূর্ণ, শোষণহীন, ন্যায়নিষ্ঠ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তা সফল করতে প্রয়োজন নিষ্ঠা, সততা এবং ত্যাগ। ”

দল মত নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কাদের।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

সোমবার (১৭ জুন) ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে ঈদের নামাজ শেষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা শুধু ওবায়দুল কাদেরের কথা বলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে পছন্দ করি না। কারণ ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে।’

তিনি বলেন, যারা রাজনীতি ও ক্ষমতায় আছেন, তারা যদি সত্যকে উপলব্ধি করতে না পারেন, দেশের সমস্যা ও গণমানুষের আকাঙক্ষা বুঝতে না পারেন, তাহলে তারা কীভাবে দেশ শাসন করবে। সেটি আমরা দেড় যুগ ধরে দেখছি। এই দখলদার সরকার জনগণের সব আকাঙক্ষাগুলোকে পদদলিত করে দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোটের ও গণতান্ত্রিক অধিকার পদদলিত করে তারা আজকে জোর করে শাসন চাপিয়ে দিয়েছে। সুতরাং তাদের কথার উত্তর দিতে আমরা ইচ্ছা করে না। কারণ জনগণ তাদের পছন্দ করে না। জনগণ তাদের ঘৃণা করতে শুরু করেছে। তারা শুধু মিথ্যা কথা বলে জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছেন। এজন্য আমি তাদের খুব বেশি গুরুত্ব দেই না।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে ঈদুল আজহার যে আনন্দ, সেই আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ থাকছে না।

মিয়ানমার ও সেন্টমার্টিন ইস্যু নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা যাই বলুক না কেন সেন্টমার্টিনে গোলাগুলি হচ্ছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন সমস্ত জাহাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে যেতে পারছে না। এটাই সত্য। তারা এই সত্যকে অস্বীকার করবে কীভাবে। কেন বিজিবি সেখানে যাচ্ছে বারবার। কেন সেনাবাহিনীর প্রধান বারবার বলছেন আমরা সতর্ক আছি।’

ফখরুল বলেন, বাস্তবে মিয়ানমারের ঘটনাবলী সমস্যা তৈরি করেছে। সেই সমস্যায় সেন্টমার্টিনে জাহাজ যেতে পারছে না। সেখানকার অধিবাসীরা কষ্টে দিন পার করছেন এবং নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। সেগুলো স্বীকার না করে তারা ভিত্তিহীন বানোয়াট কথা বলছেন।

এর আগে দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা।

ঈদুল-আজহার প্রাক্কালে আজ তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম,এক বছর পর আবারো আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল-আজহা। আমি আপনাদের সবাইকে ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন,‘আসুন ঈদুল আজহার শিক্ষা গ্রহণ করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আমরা সকলে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’

বার্তার শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘পবিত্র ঈদুল আজহা আপনার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক।’