রাজনীতি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, দেশের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছে। কিন্তু দেশবিরোধী শক্তি হিসাবে বিএনপি হিংসার বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশকে বিদেশি শকুনের হাতে তুলে দিতে চায়। তারা ২৮ অক্টোবর ফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়ে খেলা শুরু হওয়ার আগে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। তারা গর্তে লুকিয়ে থাকলেও এ গণশত্রুদের সেখান থেকে বের করে উপযুক্ত বিচার করা হবে।

চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার বিকালে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শত্রুরা বিশৃঙ্খলা করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, মসজিদে হামলা করেছে। হাসপাতালে হামলা করেছে। তিনি সবাইকে প্রয়াত আখতারুজ্জামান বাবুর মতো আপসহীন হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা-মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দলের দুঃসময়ে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন আখতারুজ্জামান বাবু। জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সারা দেশে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠা করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের একজন বলিষ্ঠ নেতা। তার কাছ থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। ক্ষমতার লোভে তিনি আদর্শ বিকিয়ে দেননি।

আখতারুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রয়াত পিতাকে স্মরণ করে বলেন, তিনি একজন জনদরদি নেতা ছিলেন। তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন- একজন রাজনীতিবিদের এটাই বড় পাওয়া। তার কর্মে তিনি মহীয়ান।

আনোয়ারায় দোয়া মাহফিল : আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হাইলধর গ্রামে মরহুমের বাড়িতে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে কবর জিয়ারত ও মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। খাবার বিতরণ করা হয় এতিমদের মধ্যে।

এদিন সকালে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মরহুমের ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চন্দনাইশের সংসদ-সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান তালুকদার প্রমুখ।

রাজনীতি

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলমসহ সারা দেশে আরও ১৭৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন করে আরও ছয়টি মামলা হয়েছে। এতে ৫৭৫ জনের বেশি আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে গেল ২৪ ঘণ্টার এ হিসাব দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকালে জুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেফতার ও মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও শরিফুল আলম চৌধুরীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে দলটি। বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম নগরী থেকে খসরু একাধিকবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। অন্যদিকে শরিফুল আলম কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি। শুক্রবার গভীর রাতে তাকে ভৈরবের কমলপুরের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সকে শনিবার রাতে রাজধানীর বাড্ডার বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে র‌্যাব জানিয়েছে, শনিবার র‌্যাব ফোর্সেস দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মহাসড়কে নাশকতা, সহিংসতার ঘটনায় এবং গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এর মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে একজন, কল্যাণপুর থেকে একজন, কালশী থেকে মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তর প্রধান) মো. জাকির হোসেন, মিরপুর থেকে মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল বারেককে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব আরও জানায়, মানিকগঞ্জ সদর এলাকা থেকে ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল রানা, বগুড়া সদর এলাকা থেকে কোকো স্মৃতি সংসদ গাবতলী থানা শাখার সভাপতি মো. আলপনা কবির ওরফে বড় বাবু, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে উপজেলা জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি কাজী আনিসুর রহমান, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে একজন, মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে একজন, সিলেটের বটেশ্বর থেকে একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কান্দিপাড়া থেকে একজন, খুলনার রূপসা থেকে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাগর মোল্লা, গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে তিনজন, ফেনীর বিরিঞ্চি থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল: স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়ার প্রতিবাদে রোববার চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম নগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ হরতালের ডাক দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বর্তমানে দপ্তর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনকারী মো. ইদরিস আলী।

বিএনপির এ হরতালে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখা। এদিকে এক বিবৃতিতে হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

ভৈরবেও হরতাল: জেলা বিএনপির সভাপতি কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমসহ ৫ নেতাকর্মীকে ভৈরবের কমলপুরের একটি বাসা থেকে শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ ভৈরবে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন-নুরুজ্জামান, সাইফুল, মাজাহারুল ও শরীফুলের গাড়ির ড্রাইভার রতন। ৩১ অক্টোবর অবরোধের প্রথম দিন কুলিয়ারচর ও ভৈরবে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে কুলিয়ারচরে গুলিতে কৃষক দল সভাপতি বিল্লাল মিয়া ও রেফায়েত উল্লাহ নিহত হন। ভৈরবে নিহত হন টিয়ারশেলের আঘাতে বিএনপি কর্মী চা দোকানি মো. আশিক মিয়া।

এসব ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় তিনটি ও ভৈরব থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। তিন মামলায় শরীফুল আলমসহ ১৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ১৮০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

বগুড়া: অবরোধের শেষ দিন বৃহস্পতিবার শহরতলির বারোপুরে ট্রাকে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব।

নেত্রকোনা ও কলমাকান্দা: কলমাকান্দায় শুক্রবার রাতে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লাভলু ও বড়খাপন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শাহাবুদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে কেন্দুয়ায় পাঁচ থানায় করা মামলায় ৬৮৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এসব মামলায় চার দিনে বিএনপির ৫২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

রংপুর: হরতাল-অবরোধে নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগসহ বিভিন্ন মামলায় পুলিশ অন্তত ৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। যাদের বেশির ভাগই রংপুর মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে

শনিবার সকালে রংপুর মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের দেওয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানান মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ জহির আলম নয়ন।

রাজশাহী: প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নগরীর শাহ মখদুম থানার বড়বনগ্রামের বাসা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২৩ মে শাহ মখদুম থানায় হওয়া একটি নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরএমপির শাহ মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি জামায়াতের সাংগঠনিক তহবিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগান দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

খুলনা : খুলনা মহানগরী ও উপজেলার বিভিন্ন থানায় এক সপ্তাহে ১৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আটক করা হয়েছে দেড় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ আজ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনের সময় তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যেহেতু আমি এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আবার এখানে এসেছি। তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।’

তিনি বলেন, তিনি দেশের সাংবাদিকদের উন্নয়নের জন্য বিজেডব্লিউটি গঠন করার সময় একটি প্রথমিক তহবিল দিয়েছিলেন।

অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির বিজেডব্লিউটি-কে অর্থ দেওয়ার কথা থাকলেও খুব কম লোকই তা দিয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কারা এই অর্থ দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল দিয়ে এই ট্রাস্ট ফান্ড চালু করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি এই তহবিলে আরও অনুদান দেন।

বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতি-২০১২’ এবং ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪’ প্রণয়ন করেছি।’

তিনি বলেন, এ আইনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩,৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে কল্যাণ অনুদান হিসাবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়াও, কোভিড-১৯ এর সময়ের প্রথম পর্যায়ে, বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৩৫০ জন সাংবাদিকদের মধ্যে ৩.৩৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সরকার করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৬,৭২৭ জন সাংবাদিককে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তায় ১০,০০০ টাকা পেয়েছেন।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশবাসীকে অগ্নিসংযোগকারী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন, তারা কোন বাংলাদেশ চান- ধ্বংস স্তুপের না উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর বিএনপি’র সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যার প্রসংগ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছেই জানতে চাই, তারা কোন বাংলাদেশ চায় এই ধ্বংসস্তুপ নাকি উন্নত বাংলাদেশ।”

তিনি বলেন, ‘একমাত্র নৌকা মার্কাই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দিতে পারে, আর বিএনপি পারে কেবল ধ্বংস করতে। এই বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ যেন খেলতে না পারে সেজন্য আমি দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।’

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিসা আজ একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম ও শেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী  অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত দেশে ধারবাহিক গণতন্ত্র ছিল বলেই দেশ এগিয়েছে। সেটাকেই এরা ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কাজেই আমি দেশবাসীর কাছেই জানতে চাই, তারা কোন বাংলাদেশ চায় এই ধ্বংস স্তুপ নাকি উন্নত বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের জীবন মানের যে উন্নতি হয়েছে সেটা যদি তারা ধরে রাখতে চায় তাহলে একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই সেটা সম্ভব হবে। তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন, একমাত্র নৌকা মার্কাই পারে উন্নত জীবন দিতে। আর এরা ধ্বংসই দিতে পারবে। এরা আসলে দেশের স্বাধীনতাও চায়না মানুষের কল্যাণও চায়না। এটা হলো বাস্তবতা।

এদিন জাতীয় সংসদে ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র সমাবেশ এবং পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি আহুত হরতালের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-সাংবাদিক নির্যাতন আর পিটিয়ে পুলিশ সদস্য হত্যার মর্মস্পর্সী ফুটেজ প্রদর্শন করে তিনি বলেন, এ দৃশ্য আর দেখা যায়না।

সাংবাদিকরা কি অপরাধ করেছে। তাদের যেভবে নির্যাতন করেছে, কুপিয়েছে অথচ তারাতো বিএনপি’র সংবাদ সংগ্রহেই গিয়েছিল? যারা ক্ষতিগ্রস্থ আমরা তাদের পাশে আছি। সাধ্যমত সহযোগিতা করে যাচ্ছি। যাদের বাস পুড়িয়েছে, যাদের গাড়ি পুড়িয়েছে, এর আগেও সবাইকে আমি সহযোহিতা দিয়েছি। ইনশাল্লাহ বাকীদেরও আমরা সেই সহযোগিতা দেব।

তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছে আমি এই আহবান জানাব, তারা যদি এক হয়ে প্রত্যেকে নামে এবং যারা এই ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস করে, দুর্বৃত্তপনা করে সেই দুর্বৃত্তদের ধরিয়ে দেবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ দেশবাসীকে বলবো আপনারাই এদের ধরিয়ে দিন।

আপনার গাড়ি পোড়ালে এদের ধরে আগুনে ফেলেন। যে হাত দিয়ে গাড়ি পোড়াবে সেই হাত পুড়িয়ে দিন। তাহলেই ওরা থামবে, না হলে থামবে না এবং এটা দেশের মানুষকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে করতে হবে। দেশের মানুষের সহযোগিতা পেলে এদের এই দুর্বৃত্তপনা কমানো যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাই মানুষকে বলবো ভয়ের কিছু নেই। এরা মুষ্টিমেয় অতএব  এদের বিরুদ্ধে সকলকে এক হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আামি আহবান জানাচ্ছি।

উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক, মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকুক সেটাই আমরা চাই, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বার বার তাঁর ওপর আঘাত এসেছে কিন্তু তিনি বেঁচে গেছেন এজন্য দেশের কাজ তিনি করতে পেরেছেন, করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এখনও আমার ওপর বার বার হামলা হচ্ছে। এমনকি দেশে নয় বিদেশেও প্রচেষ্টা (হত্যার) চালানো হয়েছে।

তাঁর বিদেশ সফরে এ ধরনের হামলা প্রচেষ্টার কথা বললেও তাঁর বিস্তারিত উল্লেখ না করে তিনি লন্ডনে অবস্থানকারি খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান এবং তার দোসরদের এজন্য দায়অ  করেন।

তিনি বলেন, এজন্য আমি দুশ্চন্তাগ্রস্থ নই। জন্মালে মরতেই হবে, কিন্তু যতক্ষন প্রাণ আছে এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।

‘জনগণকে তাঁর শক্তির উৎস উল্লেখ করে’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমার দেশে ফেরা, কাজ করা, যার পিছনে একটাই শক্তি ছিল সেটা বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণের শক্তি নিয়েই আমি চলছি। বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। আমার পরিবার বলতে মনেকরি এই বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণকে। সেই মানসিকতা এবং আন্তরিকতা নিয়েই আমি দেশের কাজ করি।

তিনি বলেন, যখন মানুষের কল্যাণে কাজ করি তখন কে কোন দল করে সেটা আমি দেখিনা, মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছি।

তাদের জন্য কাজ করেছি। তাদেরকেই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কেননা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার সেই লক্ষ্য নিয়েই তাঁর সরকার  পরিকল্পনা এবং শতবর্ষের ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ করে দিয়েছে। সেটা  বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবেনা। ইনশাল্লাহ আবার দেখা হবে।

প্রধানমন্ত্রী পিটিয়ে মানুষ হত্যা, সাংবাদিক নির্যাতন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগকারিদের ‘জানোয়ার’ আখ্যায়িত করে সংসদে প্রশ্ন রাখেন- দেশবাসীর কাছে আমি জানতে চাই কোন বাংলাদেশ চান আপনারা ?  এই সন্ত্রাসি, এই জঙ্গি, এই অমানুষগুলোর সঙ্গে কারা থাকে? আর তাদের সাথে বসার কথা কারা বলে।

পশুদের একটা  ধর্ম আছে, এদের সেটাও  নাই।  ওরা চুরি, লুন্ঠন, দুবৃত্তপরায়নতা ছাড়া আর কিছুই জানেনা। বিএনপি’র সৃষ্টিকারি জিয়াউর রহমান তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) বাবা-মা-ভাইদের হত্যাকান্ডে জড়িত বলেও উল্লেখ করেন। আর খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। তারা আবারও কোন অবস্থায় দেশকে নিতে চায়, সে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন তিনি।

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের জন্য সন্ত্রাস করছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী  গত প্রায় ১৫ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত অগ্রগতির বিশদ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এ সংক্রান্ত ছোট একটি পুস্তিকাও সংসদ সদস্যদের কাছে সরবরাহ করা হয়।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভ সময় সময়ে বাড়ে, কমে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

কারণ আমরা খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজগুলো করে যাচ্ছি। আমরা সবসময় খুব সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের নি¤œতম মজুরি ২০০৬ সালে ছিল মাত্র এক হাজার ৪৬২ টাকা।  আমরা তিন দফায় বৃদ্ধি করে ৮ হাজার ৩০০ টাকায় উন্নীত করেছি। আমি জানি জিনিসপত্রের দাম নিয়ে অনেকে হা-হুতাশ করছেন। কিন্তু আমরা এই যে উৎপাদন বাড়ালাম। জনসংখ্যা কিন্তু এতগুণ বাড়েনি। তাহলে এগুলো গেল কোথায়? মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। খাদ্যগুণ বেড়েছে। সেটাই হলো বড় কথা।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে ভালভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জিডিপির আকারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। আর এইসময়ে নির্বাচনে ব্যাহত করতে বিএনপি ও জামায়াত অগ্নি-সন্ত্রাস ও সহিংসতা করে চলছে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনের সমাপনী দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৭টি বিল পাশ হয়েছে।  ৯ কার্যদিবসের এই অধিবেশনে ২৫টি এবং ২৭২ কার্যদিবসের এই একাদশ সংসদে ১৬৫টি বিল পাস হয়। একাদশ সংসদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি বিল পাশের প্রক্রিয়ায় তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদও  জানান।

রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাতে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমীর খসরুকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে কোন মামলা বা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানাননি পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এদিকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সূত্র জানায়, নাশকতা মামলার আসামি আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তার গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি পুলিশ সদস্যরা। পরে ওই বাসার ভেতর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

এর আগে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।

রাজনীতি

বিএনপির সঙ্গে টানা তিন দিনের কর্মসূচি পালনের পর ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীও। আগামী রোববার ও সোমবার সারা দেশে এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিনা ভোটের সরকার আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসার জন্য সাজানো নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করার পাঁয়তারা করছে। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অসৎ উদ্দেশ্যে দেশকে একটি অকার্যকর, ব্যর্থ ও তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মধ্যে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতার সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে টানা ৪৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।’

এর আগে বিকালে বিএনপি একই কর্মসূচি ঘোষণা করে।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকারের পতন ঘটাবে, নানারকম আন্দোলনের হুমকি দেয়। আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি ও ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই।’

প্রধানমন্ত্রী আজ অপরাহ্নে চট্টগ্রামের আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠে দেশের প্রথম কর্ণফূলী নদীর তলদেশ দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে এ কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। যা পরে জনসমুদ্রে রুপ নেয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই-জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে। বরং খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে ভোট চুরি করেছিল বলেই বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতা থেকে হটিয়েছিল। এটা তাদের মনে রাখা উচিত।’

তিনি বলেন, ওরা ভোট চোর, জনগণের অর্থ চোর,বিএনপি-জামায়াত মানেই হচ্ছে খুনি, সন্ত্রাসি ও জঙ্গিবাদে বিশ^াসী।
সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়নে বিশ^াসী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ বিশ^ব্যাপী এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ এই বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবেনা,এটা হলো বাস্তবতা।

’৭৫-এর বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে তিনি বলেন, বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। কিন্তু তাদের হত্যার বিচার চাওয়ার কোন অধিকর আমার ছিল না। কারণ, জিয়া ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বিচারের পথকে রুদ্ধ করে রেখেছিল। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ঐ খুনিদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল।

’৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর একরকম জোর করে প্রবাস জীবন দেকে দেশে ফিরে আসার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এসেছি এমন একটা সময় যখন ঐ খুনীদের দল, যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়। বারংবার আমার ওপর আক্রমণ। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্রগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে আমার ওপর গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। আপনাদের মনে আছে, ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী মারা গেছেন। এরপরও বারবার বাধা পেলেও নিজের জীবনের কোন মায়া করিনি। একটা কথাই শুধু ভেবেছি বাংলাদেশের মানুষ, যে মানুষের জন্য আমার বাবা সারাজীবন কষ্ট করেছেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং জীবনটাও দিয়ে গেছেন। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবো। এদেশের কোন মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবেনা, ভূমিহীন থাকবে না, রোগে কষ্ট পাবে না। সেজন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। প্রত্যেক ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার সব রকমের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কাজেই আমার একটাই কাজ দেশের মানুষের কল্যাণ করা। আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই। শুধু আপনাদের দোয়া চাই।

তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় পুনরায় ভোট প্রত্যাশা করে বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে কর্নফূলী টানেল, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন। কাজেই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আমাদের আবারো সেবা করার সুযোগ দেবেন কি-না, হাত তুলে ওয়াদা করুন।

জণগণ এসময় সমম্বরে চিৎিকার করে দুই হাত তুলে নৌকায় ভোট দানের প্রতিশ্রুতি দেন।

সরকার প্রধান সকলের দোয়া চেয়ে বলেন, ‘দোয়া করবেন এই উন্নয়নের ধারা যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে। ঐ লুটেরা সন্ত্রাসীদের হাতে যেন দেশ না পড়ে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে কর্ণফুলীর উত্তর তীরে পতেঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর ফলক উন্মোচন করেন এবং নগরীর পতেঙ্গাকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযোগকারী এই টানেলের ভেতর দিয়ে প্রথম যাত্রা করেন।’

এরপর তিনি টানেল অতিক্রম করেন এবং নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারায় তাঁর মোটরযানের টোল পরিশোধ করেন। পরে কেইপিজেড মাঠে সমাবেশে যোগ দেন। ১০,৬৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সংযোগ সড়কসহ ৯.৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল

সোমবার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শেখ হাসিনা প্রথম পানির নিচের সড়ক টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে ডাক বিভাগ প্রকাশিত একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সীলমোহরও অবমুক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত একাট ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোটও অবমুক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আরো বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশে চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রমুখ।

চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ দক্ষিণ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। সেটি চীনের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন এবং পড়ে শোনান। সেতু বিভাগের সচিব অনুবাদটি পাঠ করেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং বার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার সাক্ষর বহনকারি একটি প্রকল্প এবং দ’ুটি দেশের মধ্যে পারষ্পরিক লাভজনক সহযোগিতার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

এই টানেল স্থানীয় যান চলাচল পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাবে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে চট্টগ্রামবাসীর আবদান স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে- উল্লেখ করে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো চট্টগ্রামবাসীর জন্য তাঁর উপহার বলেও জানান।

পলি পড়ে কর্ণফূলীর তলদেশ যেন ভরাট না হয়ে যায়, সেজন্যই তাঁর সরকার টানেল করার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে- সরকার প্রধান বলেন, এই টানেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগ ও আমাদের আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিরাট ভূমিকা রাখবে। এখন আর এখান থেকে কক্সবাজার যেতে বেশি সময় লাগবে না। ঢাকা থেকে যাত্রার সময় চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে যাওয়া যাবে। শহরে ঢুকে আর যানজটে পড়তে হবে না। তাছাড়া এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে আমরা সংযুক্ত হব- যা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় টানেল এটা এই প্রথম। এজন্য তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংকে ধন্যবাদ জানান। কেননা চীন সফরে এই টানেল নির্মাণের জন্য তিনি চীনকে অনুরোধ করলে তারা রাজি হয়ে যায়।

চট্টগ্রামের উন্নয়নে তাঁর সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনটি মেট্রো রেল নির্মাণেও সমীক্ষা চলছে। আগামীতে আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেলও করে দেব।

এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-কক্সবাজার হাইওয়ে ৬ লেনে উন্নয়ন, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা প্রায় ১৬ কি.মি. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার, চট্টগ্রাম-মিরেরসরাই-আনোয়ারা ও মহেশখালীতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ডিপ সী পোর্ট, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, চাকতাই-কালুরঘাট আউটার নেট ড্রাইভ চার লেন, মিরেরসরাই থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ পর্যন্ত ২৫০কি.মি. দৈর্ঘ্যরে বিশে^র অন্যতম মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হচ্ছে এবং চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, নগরবাসীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও এই সরকারই করে দিয়েছে। ১৮টি বিশ^বিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ৩৫টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার, ট্রেনিং সেন্টার এবং খুব তাড়াতাড়ি দোহাজারি-রামু-কক্সবাজার রেলের কাজও শেষ হবে এবং এশিয়ান রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে। শীগ্রই তিনি এই রেললাইন উদ্বোধন করবেন- যার বিস্তার রাঙ্গমাটি পর্যন্ত করার চিন্তাও সরকারের রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে আমাদের বাণিজ্য রাজধানী। সেই হিসেবেই চট্টগ্রামকে আমরা তৈরী করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আপনারা গত নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই আজকে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। কেননা এই নৌকা মার্কা যখনই সরকারে এসেছে, তখনই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। আগে এই চট্টগ্রামে ছিল সন্ত্রাসের রাজত্ব। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রামকে আমরা গড়ে তুলে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজ আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, সে কাজ এর আগে আর কোন সরকার করে নাই। ঐ বিএনপি’র কাজ হচ্ছে মানুষ খুন করা লুটপাট করা, দুর্নীতি করা। খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, আর তার ছেলে তারেক রহমান বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করবে না বলে সে সময়কার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেখা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। আর কোটি কোটি টাকা মানি লন্ডারিং করেছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরকারবারীতে যুক্ত থাকায় সাজাপ্রাপ্ত। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টায় সাজাপ্রাপ্ত।

তিনি বলেন, অন্যদিকে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তাঁর সরকার নিয়ে যাচ্ছে এবং দেশে গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে।

রাজনীতি

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি।

সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

আমির হোসেন আমু বিবৃতিতে তথাকথিত সমাবেশের নামে রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি কর্তৃক সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সমাবেশের নামে রাজধানীতে অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে লিপ্ত হয়েছে। তাদের বর্বরোচিত হামলা থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, হাসপাতাল, আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি স্থাপনা, গণমাধ্যম কর্মী এবং সাধারণ মানুষ কেউই রেহাই পায়নি। তারা গণপরিহন, অডিট ভবন, পুলিশ বক্স, অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে।

আমু বলেন, বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর হামলায় পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৪১ জন আহত হয়েছে এবং প্রায় ১৫জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হয়েছে। তাদের পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ হামলায় আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দল জনগণের নিকট আবেদন সৃষ্টি করতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত যে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির প্রতিভূ তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি-জামাতের এই সন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ১৪ দল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ-এর পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

রাজনীতি

গুলি-সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে হামলার পরিণাম ভালো হবে না বলে সরকারকে হঁশিয়ার করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ সরকার, পুলিশ বাহিনী বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পন্ড করার লক্ষ্যে একের পর এক গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান। রোববার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মহাসমাবেশে অংশ নিতে ভোর থেকে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার আগেই একদিকে আরামবাগ, অন্যদিকে মৎস্যভবন, পল্টন মোড়, শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের পদচারণায় পূর্ণ হয়ে যায়। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ঢাকা মহানগরের বাইরে থেকে আসা নেতাকর্মী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি আরও বাড়তে থাকে। নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কেউ কেউ তিন থেকে চার দিন আগেই ঢাকা পৌঁছান। কেউ এসেছেন পুলিশের তল্লাশি চৌকি ফাঁকি দিয়ে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নয়াপল্টনে শুরু হয় গান-বাজনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে গান পরিবেশন করা হয়। দুপুর পৌনে ১টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশ শুরু হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেওয়ার পরই শুরু হয় সংঘর্ষ। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের ধোঁয়া ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দের মধ্যে মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে চলে যেতে বাধ্য হন কেন্দ্রীয় নেতারা। কাঁদানে গ্যাসে সমাবেশস্থলে কারও পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। এতে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ৩টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের ভেতরে যান নেতারা।

এর আগে বেলা ২টার দিকে মহাসমাবেশস্থলের মঞ্চ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কারও উসকানিতে পা দেবেন না, দয়া করে বসে যান। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নস্যাৎ করতে চায় সরকার। মির্জা ফখরুল যখন এ আহ্বান জানাচ্ছিলেন, তখন কাকরাইলের দিক থেকে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া আসছিল। তবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। এ সময় মঞ্চ থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দু-একটা পটকায় ভয় পাবেন না। গুলি হলে হবে।’

এরপর বিএনপি নেত্রী সেলিমা রহমান বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্যের শুরুতে স্লোগান ধরেন-‘শেখ হাসিনা ভোট চোর, ভোট চোর।’

তিনি বলেন, ‘এই চোরদের ধরতে হবে। যারা গুলি করে মানুষ খুন করে, মিথ্যা মামলা দেয়-সেই ভোট চোররা আর রেহাই পাবে না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গোলাগুলি করে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার তারা কেড়ে নিতে চাচ্ছে। এরা কারা? এরা ভোট চোরদের অংশীদার। এই ভোট চোরদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছে। তারা পার পাবে না।’

তার বক্তব্যের শেষদিকে এসে মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তখন বেলা আড়াইটা। আমির খসরুর বক্তব্যের সময়ও বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছিল। কাকরাইলের দিক থেকে এই শব্দ যখন আসছিল, তখন মহাসমাবেশস্থলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে টিয়ারশেলের ধোঁয়া বিএনপির মঞ্চের দিকে আসতে থাকে। সোয়া ২টায় বিদ্যুৎ চলে গেলে বন্ধ হয়ে যায় মাইক। বেলা পৌনে ৩টায় একটি ভ্যানে করে রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে বিএনপির মঞ্চের সামনে আনা হয়। তখন উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

একপর্যায়ে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেনসহ নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে কাকরাইলের দিকে যেতে থাকেন। তখন সমাবেশস্থলে কাঁদানে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন নেতাকর্মীরা। পরে মঞ্চে এসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হ্যান্ডমাইকে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির মহাসমাবেশের আয়োজন করে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তবে অধিকাংশই বক্তব্য দিতে পারেননি।

চারশ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েও সমাবেশে নেতাকর্মীরা

কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও মহাসমাবেশে অংশ নেন হাজারো নেতাকর্মী। এতে সাধারণ মানুষকে অংশ নিতে দেখা যায়। সকাল ১০টার দিকে ভাসানী ভবনের সামনে রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা ও কুড়িগ্রামে তিনি রিকশা চালান। কিশোর বয়স থেকেই বিএনপিকে সমর্থন করেন। দলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই সরকার পতনের আন্দোলনে প্রায় চারশ (৩৯৮) কিলোমিটার দূর থেকে এসে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার রাতে নয়াপল্টনের সামনে রিকশা নিয়ে মিছিল করেছেন। তার পরিচিত কুড়িগ্রামের আরও অন্তত পাঁচজন রিকশাচালক আজকের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। খুলনা থেকে সমাবেশে যোগ দেওয়া লোকমান হোসেন বলেন, তিনি খুলনার রূপসায় মুদি দোকানের ব্যবসা করেন। পাশাপাশি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দোকান বন্ধ করে সমাবেশে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বাড়িতে স্ত্রী, দুই কন্যা শিশু ও বৃদ্ধা মা রয়েছে। সরকার শুধু মুখে উন্নয়নের কথা বলে কিন্তু তাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের দিকে নজর নেই। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দ্রব্যমূল্য কমবে না। এসব কারণেই এতদূর থেকে সমাবেশে এসেছেন।

এদিকে সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে। কার্যালয়ের সামনের এলাকাসহ আশপাশের সব মোড়ে রায়ট কার (দাঙ্গা দমনে ব্যবহৃত গাড়ি) নিয়ে অবস্থান করছে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুমতির ভিত্তিতেই আইনসম্মতভাবে সমাবেশ করা হচ্ছিল। কিন্তু সমাবেশে পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছে। বেআইনি সরকার, অবৈধ সরকার সব জায়গায় এমন বেআইনি কাজ করছে।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন এর আমন্ত্রণে ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য “গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে” যোগ দিতে বেলজিয়ামে পৌঁছেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি ২০৭) (  ব্রাসেলস সময়) ৬টা ৩০মিনিটে ব্রাসেলস জাভেনটেম বিমানবন্দর, বেলজিয়াম অবতরণ করে।

বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

ব্রাসেলস যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী ফ্লাইটের প্রতিটি প্রান্তে ঘুরেন এবং যাত্রী ও বিমানের ক্রুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

ফ্লাইটে ঘোরাঘুরির সময় তিনি এক বছরের শিশু ইয়াসিনকে কোলে নেন এবং তার সাথে কিছু সময় কাটান। এক পর্যায়ে শিশুটি তার (প্রধানমন্ত্রীর) চশমা কেড়ে নেয়।

অনেক যাত্রীকে ছবি ও সেলফি তুলতে দেখা গেছে, মহিলারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলিঙ্গন করেন।

এর আগে ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৯টায় ছেড়ে যায়।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।

২৫ অক্টোবর সকালে, তিনি ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে একটি ১২ মিলিয়ন ইউরো অনুদান চুক্তিও স্বাক্ষরিত হবে।

এই সফরে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি বিভিন্ন অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করবে।

একই দিনে শেখ হাসিনা গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ভাষণ দেবেন।

বিকেলে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ইসি কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জেনেজ লেনারসিক এবং ইসি কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ জুটা উরপিলাইনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে উরসুলা ভন ডের লেয়েনের দেয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন।

২৬ অক্টোবর, তিনি তার বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

একই দিন বিকেলে শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

টিভি চ্যানেল ইউরোনিউজ এবং পোলিটিকো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেবে।

আগামী ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।