রাজনীতি

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কি না করেছেন। ছয় মাস খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে অসুস্থ বানিয়েছেন। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে শেখ হাসিনা হত্যা করেছেন। তাদের হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের ৫৭ বার ফাঁসি দেওয়া হবে। কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমান উল্লাহ আমান আরও বলেন, খুনি হাসিনার জায়গা বাংলাদেশে নেই। যদি তিনি দেশে আসার চিন্তা করেন তাহলে দেশের মানুষ তাকে জায়গা দেবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আগামীর সরকার হবে খালেদা জিয়ার সরকার, তারেক রহমানের সরকার, বিএনপির সরকার ও জনগণের সরকার। সেই সরকারকে সামনে রেখে বিএনপি দেশের জন্য কাজ করবে। এজন্য বিএনপির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেননা আমাদের সামনে কঠিন সময়। সেই কঠিন সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং দেশ পুনর্গঠনের প্রস্তুতি নিতে হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির এ জনসভার আয়োজন করে।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিবলু। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আব্দুল জব্বার সোনা প্রমুখ।

রাজনীতি

পতিত সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া কমেছে মূল্যস্ফীতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স প্রবাহ, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, কর্মসংস্থান এবং মাথা পিছু আয় বেড়েছে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগস্ট-ডিসেম্বর এই ৫ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে। গত তিন বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মত বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য উদ্বৃত্ত হয়েছে।’

মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছর ৯ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

প্রেস সচিব বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া পরিশোধে ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানোর মাধ্যমে ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে চলতি বছর প্রায় ১১ হাজার ৪শ’ ৪৪ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ১০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব হবে। গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কূপ খনন করে দৈনিক ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রেস সচিব আরও বলেন, বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ আছে। কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বন্ধ আছে। নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় অব্যাহত রয়েছে। দেশের ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য পাচ্ছে। ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে। যে পরিমাণ মজুত আছে আর আমদানি হচ্ছে তাতে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে।

তিনি বলেন, দেশে কোরিয়ান ইপিজেড নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। জমি জটিলতার কারণে তারা বিনিয়োগ করতে পারছিল না। পতিত স্বৈরাচারেরা এই সমস্যা তৈরি করেছিল। এখন এই ভূমির সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। কোরিয়ান ইপিজেডকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এখানে বিনিয়োগে কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, এই ইপিজেডে কোরিয়ার বিভিন্ন বড় কোম্পানি রয়েছে। আশা করছি, সমস্যা সমাধানের ফলে সেখানে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

শফিকুল আলম জানান, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার।

প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে গত ৬ মাসে দেশের অর্থনৈতিক অর্জন এবং আগামীদিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা আসছে। কিন্তু বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ বছরের মধ্যে খুন সবচেয়ে কম সংঘটিত হয়েছে।

৫ আগষ্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাদের পালিয়ে যেতে যারা সহায়তা করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন? জবাবে শফিকুল আলম বলেন, যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের বেশিরভাগই ৫ থেকে ৮ আগষ্টের মধ্যে গেছে। ওই সময় দেশে কোনো সরকার ছিল না। ৮ আগষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও পুলিশ নিস্ক্রিয় ছিল। পুলিশকে কাজে ফেরাতে অনেক সময় লেগেছে। এরপর এই অপরাধে কারা জড়িত ছিল, তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

রাজনীতি

শেখ হাসিনার পাতা ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে।

অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিম (শাসনামল) দায়ী। একটা অন্ধকারকে আরেকটা অন্ধকার দিয়ে দূর করা যায় না। আলো দিয়ে দূর করতে হয়। সেই আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে সামনের দিকে যেতে হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে রাজধানীর হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের উৎখাতের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানে সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমরা যেন হাসিনার পাতা ফাঁদে পা না দিই। আমাদের সাবধানতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দলের মহাসচিব ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে দেশে ফেরেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমান।

গত ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’- এ আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি জায়মা রহমান।

সফর সম্পর্কে মির্জা ফখরুল জানান, যুক্তরাষ্ট্র সফর খুব সফল হয়েছে। যে উদ্দেশ্য ছিল, তা সফল হয়েছে।

বেগম জিয়া কেমন আছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার চিকিৎসা হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম ভালো আছেন। ট্রিটমেন্ট চলছে।

জায়মা রহমানের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বলেন, ভালো, ভালো অভিজ্ঞতা।

এরপর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আসল কথাই আসেন না কেন।

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, একটা অন্ধকারকে আরেকটা অন্ধকার দিয়ে দূর করা যায় না। তাকে আলো দিয়ে দূর করতে হয়। সেই আলোকবর্তিকা জাগিয়ে আমাদেরকে সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আহ্বান জানাতে চাই, সবাই একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য, স্থিতিশীলতারক্ষার জন্য ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নিয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমরা তো বাইরে ছিলাম, ডেভিল হান্ট সম্পর্কে জানি না। তবে ‘ডেভিল হার্ট’ মানে ফ্যাসিস্টকে জানি। এতদিন পর বোধোদয় হয়েছে, সেজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

রাজনীতি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে পিরোজপুর জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে দুই আসনে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ইসলামী ফাউন্ডেশনের হলরুমে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা তালিমুল বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও ভান্ডারিয়া উপজেলা আমির আমির হোসেন।

তিনটি আসনের প্রার্থীরা হলেন- পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি ও নাজিরপুর) আসন থেকে সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর-২ (নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়ার) থেকে সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাঈদী এবং পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে জামায়াতের মঠবাড়িয়া উপজেলা আমির অধ্যাপক শরীফ আব্দুল জলিল।

রাজনীতি

উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।

এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।

রাজনীতি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভারতের ইন্ধন আছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এই হামলার ঘটনা দেশের গণতন্ত্র বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাফিজ বলেন, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছেন এই তথ্য আমাদের কাছে নেই, এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করবো, আজকের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, তখন পূর্ণাঙ্গ সব তথ্য পেলে আমরা এই সম্পর্কে বিএনপির মনোভাব মিডিয়া ও জনগণের সামনে প্রকাশ করবো। অপূর্ণাঙ্গ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলন দমন করার জন্য পেশিশক্তির বারংবার ব্যবহার করেছে কুখ্যাত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। আমাদের স্মরণশক্তি অনেক কম, অনেকে ভুলে গেছেন, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কীভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়? তারা আপনার আমার ভাই, সন্তান। রাজপথে ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে জ্বালিয়ে দেওয়া আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। অবসান হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ নানান ধরনের সংস্কারকে পূর্বশর্ত দেওয়া হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। সংবিধান সংস্কারের কথা বলেছেন, একটি গ্রুপ বলেছে ৭২ এর সংবিধান ছুড়ে ফেলা হবে। অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ৭২ এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান। আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে সংবিধানে আরও সংযোজন করা যায়। কিন্তু যাই হোক, নতুন করে সংবিধান লেখা হোক বা সংশোধন করা হোক এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের সাধারণ জনগণ।

কোনো বুদ্ধিজীবী, কারও কোনো গুরু, বিদেশ থেকে আগত কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন পার্লামেন্ট, নিরপেক্ষ একটি পার্লামেন্ট। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি, আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপি সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রাজনীতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখলের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে জামায়াত নেতা বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখলের যে ঘোষণা দিয়েছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে তার আগ্রাসী মনোভাবই প্রকাশিত হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী বক্তব্যে গোটা আরব বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। আরব বিশ্ব তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই বর্তমান সমস্যার একমাত্র সমাধান। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রাসী বক্তব্যে গোটা মুসলিম উম্মাহ মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ।’

এ ধরনের আগ্রাসী বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রাজনীতি

স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন। তার সরাসরি নির্দেশে গুম ও হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন সব ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইলেইন পিয়ারসনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই বিপ্লবের ওপর একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এই প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ’র প্রতিনিধিদলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি এবং দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া প্রধান বলেন, ‘আপনারা এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি করেছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সময়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।’

এইচআরডব্লিউ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ তুলে ধরে বলেছে, গুম ও হত্যার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। তিনি বলেন, ‘এখানে জবাবদিহিতা থাকা জরুরি।’

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের যে প্রচেষ্টা ছিল- তার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘গত ১৬ বছর আপনাদের প্রতিবেদনগুলোতে ১৬ বছরের একনায়ক শাসনামলের ব্যাপক অপরাধ উন্মোচনে সহায়ক হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, র‌্যাব তাদের অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে, তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ‘বিচারের মুখোমুখী হতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে।’

পিয়ারসন বলেন, ‘২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনী রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ছিল এবং তারা শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা উন্মুক্ততা এবং স্বচ্ছতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সমস্ত সংস্কার সুপারিশ প্রকাশ করছি এবং জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নির্ধারণের সুযোগ দিচ্ছি। ১৬ বছরের দমন-পীড়ন এবং অপরাধের ক্ষতি পূরণ করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে।’

এইচআরডব্লিউ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা বা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতেন এবং কিছু ক্ষেত্রে হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া প্রধান ঢাকা সফরকালে সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, সংস্কারগুলোকে দৃঢ় করতে হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে যথাযথ নজরদারির আওতায় আনতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি রাখাইনে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার রোহিঙ্গার জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মিয়ানমারের প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ‘নিরাপদ অঞ্চল’-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

রাজনীতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, সমাজে ভালো-খারাপ দুই ধরনের মানুষ আছে। যে খারাপ মানুষ তার সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই না।

মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছে। এই আস্থা নষ্ট করার জন্য কেউ যদি কাজ করেন, তাকে দলে রাখা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর দেখেছি সামগ্রিকভাবে দেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সেক্টর পিছিয়েছে। একটা কথা বলতে চাই দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে, দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। একটা রাজনৈতিক অধিকার, আরেকটা সব শ্রেণিপেশার মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার। এটা বাস্তবায়নে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কাজ করছে। আর জনগণের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এজন্য দলীয় শৃঙ্খলা সবার মেনে চলার আহ্বান জানাই।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদি আমিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিন্দ ইসলাম অমিত, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু প্রমুখ।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. ফরিদুল ইসলাম, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, জেলা বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান, মাহবুবুর রহমান টুটুল, মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তার, যুবদল নেতা হারুন-অর-রশীদ, সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজন, ছাত্রদল নেতা আলী সাদ্দাম দীপসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।

৩১ দফা সামনের জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন অংশ নেওয়া দলীয় নেতা-কর্মীরা।

রাজনীতি

দেশে আরও একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দলটির নাম ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি’। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে দলটি।

দলটির আহ্বায়ক মেজর জেনারেল মো. এহতেশাম উল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল জনগণের জন্য আশা ও ন্যায়বিচারের বাতিঘর হিসেবে এ নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করেছে। ’ দলের কার্যাবলী ও লক্ষ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি জাতি গঠন করব যা আমাদের পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন পূরণ করবে। ৭১ এর সকল শহিদ, জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যত্থানে আত্মত্যাগী হাজার হাজার ছাত্রজনতার বিপ্লবী চেতনার প্রতিনিধিত্বকে বহন করবে।

এহতেশাম উল হক বলেন, আমাদের দল বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। সমৃদ্ধির উত্তরাধিকার গড়ে তুলবে। আমাদের নীতিগুলো দেশপ্রেমের চেতনায় পরিপূর্ণ হবে। ঐক্য, ত্যাগ এবং জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতিকে উৎসাহিত করবে। ’