রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘দিল্লি আছে, আমরাও আছি; আমরা আছি দিল্লি­ও আছে? কী বোঝাতে চাইছেন? দিল্লি­ কি আপনাদের জানিয়েছে যে, এভাবে অপকর্ম করতে থাকো? দিল্লি কি বলে দিয়েছে, দরকার নাই নির্বাচনের? দিল্লি­ কি বলে দিয়েছে, জোর করেই নির্বাচন করে দাও? তাহলে পরিষ্কার করে বলুন?’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এত বেশি পা-চাটা হয়ে গেছে যে, তাদের সাধারণ সম্পাদক বলছেন ভয় নাই, ওরে ভয় নাই। তলে তলে আপস হয়ে গেছে। তাহলে স্বীকার করলেন এত দিনে আপস ছিল না? আসলে আপনাদের মতো এতবড় মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে খুঁজে পাবেন না। এর আগে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, আলোচনা হয়েছে- আসলে কোনো আলোচনা হয়নি। বলেছে বৈঠক হয়েছে, আসলে কোনো বৈঠকও হয়নি। ছবি তোলার জন্য কত লবিং করেছে সেটা আমরা সবাই জানি।’

বুধবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পেশাজীবী কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও গণতান্ত্রিক পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে এ কনভেনশন হয়। এতে সারা দেশ থেকে শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার হাজারো প্রতিনিধি অংশ নেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘রং হেডেড পারসন’ অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের কোনো বৈধতা নেই। তাদের যেমন দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না, গণতান্ত্রিক বিশ্বের মানুষও বলে দিয়েছে তোমাদের আমরা আর বিশ্বাস করি না। যেসব দেশ সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপে দেখতে চায়, তারা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়নি, ২০১৮ সালেও কোনো নির্বাচন হয়নি। এবারও তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। তাদের অধীনের কোনো নির্বাচনকে কখনো বৈধতা দেওয়া হবে না।

লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার কথা এত কুরুচিপূর্ণ যা নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তবে তিনি তার বক্তব্যে কয়েকটি সত্য কথা বলে দিয়েছেন। তা হলো এ দেশে যা কিছু ঘটে তা শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে ঘটে। খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার স্বীকারোক্তিতে তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। এতে স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়েছে, এ দেশে বিচার বিভাগের কোনো প্রয়োজন নেই। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হলো সিদ্ধান্ত। এখন শেখ হাসিনা নিজেকে নিজে সম্রাট ঘোষণা দিলেই পারেন।

তিনি বলেন, ২ বছর ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছি। ইতোমধ্যে আমাদের ২২ জনের প্রাণ গেছে। সচেতনভাবে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। তার অর্থ এই নয় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর যদি কেউ আঘাত করে আমরা তার প্রত্যাঘাত করব না। নির্বাচন নির্বাচন করে এবার কোনো লাভ নেই। আগে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। এরপর নির্বাচনের কথা আসবে।

‘গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস নেই, কোনো শর্ত মেনে আমি কোথাও যাব না’ বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের এক বার্তার কথা জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের অনুপ্রেরণা, বাতিঘর। তিনি ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন, আপস করেননি। তারপরও এখনো গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। আজকে তিনি মৃত্যুশয্যায়। এ অবস্থায়ও তিনি পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। কোনো শর্তে মেনে নিয়ে আমি কোথাও যাব না। ওয়ান-ইলেভেনের তৎকালীন বেআইনি সরকারের লোকেরা বলেছিল বিদেশে চলে যান। তিনি বলেছেন, এই দেশ ছাড়া কোথাও আমার জায়গা নেই। তখন কিন্তু অন্যরা (শেখ হাসিনা) বিদেশে চলে গিয়েছিলেন।’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (আইনমন্ত্রী) বলেছেন, আমি নাকি ভুল বলেছি, মিথ্যাচার করেছি। অথচ ৪০১ ধারায় পরিষ্কার করে বলা আছে, সরকারের ক্ষমতা আছে শাস্তি মওকুফ করে দেওয়ার, মাফ করে দেওয়ার। তার ক্ষমতা আছে সাময়িকভাবে দণ্ড স্থগিত করে দিয়ে তাকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার। অথচ বেমালুম বলে যাচ্ছেন, কোনো সুযোগ নেই, তাকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এই ধরনের কথাবার্তা বলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তারা হত্যা করতে চায়।’

পেশাজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই আসুন, কালবিলম্ব না করে রাজপথে নামতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আমাকেও জিয়াউর রহমান কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য জামার্নিতে পাঠিয়েছিলেন। সরকারকে বলব, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এ দেশের গতিপথ চোরাবালিতে হারিয়ে গেছে। সেই গতিপথকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তলে তলে আপস হয়ে গেছে। তার মানে কি? স্যাংশন প্রত্যাহার হয়েছে? ভিসানীতি কি প্রত্যাহার করেছে? ওরা জনগণকে বোঝাতে চায় সব কিছু ঠিকঠাক আছে, আসলে তারা ভীত হয়ে পড়েছে। চলমান লড়াইয়ে আমরাই জিতব।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, তলে তলে যে আপস করেছেন, এখন উচিত হবে বাংলাদেশের মানুষকে তা জানানো। না হলে বুঝতে হবে আপনারা আসলে বিদেশিদের সেবাদাসে পরিণত হয়েছেন।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের মানুষকে বিপদে ফেলে কোন দিকে পালিয়ে যাবে তার পরিকল্পনা করছে। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, পেশাজীবী নেতা কামরুল ইসলাম সজল, আব্দুস সালাম ও শামীমুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবদুল হালিম, সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক আবদুল কাইয়ুম, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদ, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, কবি আবদুল হাই শিকদার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক গাজী আবদুল হক, একেএম আজিজুল হক, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক হারুন আল রশীদ, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ইউনিভার্সিটি টিচার অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল, কৃষিবিদ অ্যাসোসিয়েশনের রাশেদুল হাসান হারুন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম আবদুল্লাহ, শহীদুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন প্রমুখ। আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।

সরকার খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায় : পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকার খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকার উনাকে হত্যা করতে চায়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসাবে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চায়।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়’ এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ১২ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, লেবার পার্টির মোহাম্মদ ফারুক, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, জামায়াতে ইসলামের মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল প্রমুখ।

রাজনীতি

যেকোন মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোভাবেই অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।’

যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের সদস্যরা (এপিপিজি) আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে লন্ডনে তাঁর অবস্থানস্থল তাজ হোটেলে সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক এপিপিজির চেয়ার এবং বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশের সদস্যদের নিয়ে এপিপিজি ভাইস চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র শর্মা, এমপি, ভাইস চেয়ার ভ্যালেরি ওয়াজ, এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান হুসেন, এমপি এবং ফয়সল চৌধুরী এমএসপি, চেয়ার, স্কটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের ক্রস-পার্টি গ্রুপ।

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন একথা জানান।

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে এপিপিজি প্রতিনিধিদলকে শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার ইতোমধ্যে করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা এ লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করেছেন এবং সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন এবং ইসিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলে থাকাকালীন তাঁর দল আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ছবিসহ ভোটার তালিকা ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে এপিপিজি প্রতিনিধিদল তাদের সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য বাংলাদেশ এপিপিজি প্রতিনিধিদলকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোরও প্রস্তাব দিয়েছে।

এপিপিজি’র সকল সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা ব্রিটেনের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা করছে এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ছে।

বাংলাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।

তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও জাপানের মতো বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যকেও একটি নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চেয়ে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে যেতে চায়।’

মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক তহবিল বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যা সম্প্রতি হ্রাসের প্রবণতা দেখাচ্ছে।

ব্রিটিশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অমানবিক অভিজ্ঞতার প্রসংগ টেনে ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কখনোই যুদ্ধ চায় না, বরং চায় যে আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান হোক ।

তিনি বলেন, ‘আমরা কখনই যুদ্ধ চাই না, কারণ, দরিদ্র জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের যুদ্ধের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’

বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উইম্বলডনের লর্ড আহমেদ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং জাতিসংঘের এফসিডিও প্রতিমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির হাউস অফ লর্ডসের সদস্য এবং ব্র্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের চেয়ার লর্ড জিতেশ গাধিয়াও আলাদাভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

হিন্দুজা গ্রুপের চেয়ারম্যান গোপিচাঁদ হিন্দুজা, হিন্দুজা গ্রুপ (ইউরোপ)-এর চেয়ারম্যান প্রকাশ পি হিন্দুজা, অশোক হিন্দুজা এবং অশোক লেল্যান্ডের চেয়ারম্যান ধীরাজ হিন্দুজাও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়াও লর্ড রামি রেঞ্জার, কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অফ ইন্ডিয়ার পৃষ্ঠপোষক এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক পায়ম আখাওয়ান পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

ওএমএনআইএ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ার চেরি ব্লেয়ার আজ সন্ধ্যায় (২ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।

রাজনীতি

বিএনপি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা অতীতের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। একই সাথে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। বিগত দিনে দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতেও সেই ধারাবাহিকতায় পবিত্র সংবিধানের বিধান অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে সারা দেশে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। নির্বাচন প্রতিরোধের নামে বিএনপি ৩ হাজারের বেশি মানুষ পুড়িয়েছিল, ৫ শতাধিক ভোটকেন্দ্র ও স্কুলসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিয়েছিল, এজলাসে বসা বিচারককে বোমা মেরে হত্যা ও আইনজীবীকে হত্যা করেছিল, রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল, হাজার হাজার গাছ কেটে ও রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কোনো রাজনৈতিক দল নিজ দেশের মানুষের উপর এমন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করতে পারে! বিএনপির কর্মকাণ্ড তা বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের নেতা দুর্নীতির বরপুত্র সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান লন্ডনে বসে রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্যে মেতে উঠেছিল; ৩০০ আসনে প্রায় ৭৫০ মনোনয়ন দিয়েছিল। আজ তারা যখন বলে ‘নির্বাচন হতে দেবো না’ তখন দেশের মানুষ স্পষ্টতই বুঝতে পারে, দেশের জনগণ, গণতন্ত্র, সংবিধান ও আইন কোনো কিছুর প্রতি বিএনপির দায়বদ্ধতা নেই।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। কোনো অপশক্তিই এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। অসাংবিধানিক ও বেআইনিভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রাকে সুমন্নত রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।

রাজনীতি

আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিনা চিকিৎসায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যা করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী ও গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে এই অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার হত্যা করতে চায়। মিথ্যা প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় সরকার হত্যা করতে চায়। এরা (সরকার) আসলে কাপুরুষ। এরা ভীতু। এরা জানে যে, খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে যান, যদি আবার জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন তাহলে দেশনেত্রীর ডাকে কোটি মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। তাদের তখতে তাউস ধ্বংস হয়ে যাবে।

সোমবার বিকালে রাজধানী নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশে’ মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়। দুপুর ১২টা থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষক দলের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। দুপুর ২টার মধ্যেই নয়াপল্টনের সড়কসহ আশপাশের এলাকায় হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। অনেক নেতাকর্মীকে কৃষকের সাজে দেখা যায়। তারা মাথায় টুপি, হাতে কাস্তে ও ধান নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহিদ জিয়া দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পর দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে দুটি শিশু সন্তানসহ পাক বাহিনী আটক রাখে। বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন খালেদা জিয়া। এই কথা বললে তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) গায়ের মধ্যে আগুন জ্বলে। কারণ তারা তো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তারা তো সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাতা খেয়েছিল। বাস্তব কথা বলছি। অনেকের কষ্ট হতে পারে, কিন্তু কথাটা সত্য।

তিনি বলেন, আজকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন আইন দেখানো হচ্ছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কানের চিকিৎসার জন্য বন্দি থাকা অবস্থায় বিদেশ যান নাই? আসলে তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। এরা জোর করে তাকে (খালেদা জিয়া) বন্দি করে রেখেছে। আজকে মনে হচ্ছে শাসকরা রাজা আর আমরা প্রজা। এর জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমরা রাজতন্ত্রের জন্য নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করেছি।

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের নাসির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশীদ খান, এসএম ফয়সাল, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, আনম খলিলুর রহমান, আসলাম মিয়া, সৈয়দ অলিউল্লাহ সিদ্দিকী, মোশাররফ হোসেন, মিজানুর রহমান লিটু, ওবায়দুল রহমান টিপু প্রমুখ। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদেরকে দেশের ভাবমূর্তি আরো জোরদারে আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের ভাবমূর্তি আরো উন্নত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব, সততা ও দেশপ্রেমের সাথে দায়িত্ব পালন করুন।’

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। শেখ হাসিনা দূতাবাসে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ফুলের তোড়া দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে তিনি সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে এই চ্যান্সারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ২০০০ সালে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাউদ্দিনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। এমন কোনো নেতা নেই যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। সেই নেতা শেখ হাসিনা। ষড়যন্ত্র করে ওই নেতাকে বাদ দিবেন। শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন মানি না। বাংলাদেশকে আবারও ষড়যন্ত্র করে অন্ধকারে নিয়ে যাবেন আমরা হতে দেব না। আমরা সেটা হতে দেব না।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দিয়েছেন যিনি, তিনি আমাদের সাহস, স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন নতুন উচ্চতা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নব নব মুকুটে সজ্জিত করেছেন। সি হ্যাজ মেইড আস লুক ব্রাইটার। সি হ্যাজ প্রাউড আস ফিল প্রাউড, স্ট্যান্ড টলার। সি হ্যাজ শো দ্যা ওয়ে আউট অব প্রভার্টি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৪৮ বছর চলে গেছে। যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের কাছে জানতে চাই, পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা এসেছে এ দেশে? গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সাহসী নেতা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিক- কে তিনি? শেখ হাসিনা। এখনো বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান পপুলার পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। কী অদ্ভূত কাণ্ড!

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৪৮ ঘণ্টা শেষ। আলটিমেটাম শেষ। ফলাফল কী? ক্যাপ্টেন আমেরিকায়, ক্যাপ্টেন আসলে জোরদার খেলা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। আমাদের নির্বাচন আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ। ওই মরা লাশ আমাদের কাছে এনে লাভ নেই।

সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

রাজনীতি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে মানুষটি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে তাকে আজ গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।

আমরা আশা করি তার পরিবার খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর যে আবেদন করছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেগম খালেদাকে আটক রাখা হয়েছে, কারণ উনি মুক্ত থাকলে উনাদের ক্ষমতা থাকা কঠিন হয়ে যাবে। উনি মুক্ত থাকলে দেশের গণতন্ত্র মুক্ত থাকবে। উনি মুক্ত থাকলে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।

ফখরুল বলেন, সমগ্র দেশের মানুষ যখন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জেগে ওঠেছে তখন এই মহিলা সমাবেশ আমাদের আরও সাহস জুগিয়েছে। আজকে এ সরকারের অত্যাচার থেকে মা বোনদের রক্ষা পায় না। সাইবার সিকিউরিটি আইনের নামে আটক করা হচ্ছে মা-বোনদের। আজকে সত্য লেখার অপরাধে মা-বোনদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি দ্রব্যমূল্য আজ আকাশচুম্বী। সরকারের বেঁধে দেওয়া দর কেউ মানছে না। সব জায়গায় আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট। সংসার চালাতে মহিলারা হিমশিম খাচ্ছে। এ সরকারের আমলে আজ কেউ নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, এরা জনগণের নির্বাচিত নন। খালেদা মেয়েদের দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করেছেন, চাকরি ক্ষেত্রে মেয়েদের কোটা প্রথা চালু করেছেন। আজকে এ সরকার গায়ের জোরে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ও দেশ ধ্বংস করে ফেলছে। তারা মানুষের কথা চিন্তা করছে না। মানুষের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এরা চায় না। এ সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। তাই আসুন সব নারী পুরুষ ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এ একদলীয় বাকশালী সরকারকে বিদায় করে জনগণের রাষ্ট্র কায়েম করি।

মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা আক্তার রিতা, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও মহিলা দল নেত্রী হেলেন জেরেন খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান।

সকলের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এমন কিছু করা উচিত হবে না যার ফলে দেশ ও জনগণ আবারো পিছিয়ে পড়ে।’

‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরমত সহিষ্ণুতা এবং পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।

রাষ্ট্র্র প্রধান শিশুদেরকে আগামী দিনের ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’র দক্ষ, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক   দেশপ্রেমিক ও ‘স্মার্ট নাগরিক’ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার তাগিদ দেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং শিশু – সুমাইয়া আক্তার রুমি এবং মো. রেজওয়ান মাহবুব নেহাল-‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল ২০২৩’ এ উপস্থিত ছিলেন।

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা যেখানে সব ধরনের কাজ, সেবা, আর ব্যবস্থাপনা বিশ্বমানের ও স্মার্ট প্রযুক্তি নির্ভর’।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সময়োপযোগী জ্ঞান আহরণ এবং সেটা হাতে কলমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করার উপদেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
‘তোমাদের এখন থেকেই শিখতে হবে হতে হবে অপ্রতিরোধ্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে  জানতে হবে,’ তিনি যোগ করেন।

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে তাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি এবং এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের সকল শিশু-কিশোরকে আন্তরিক স্নেহ-ও শুভেচ্ছা জানান।

আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের এই আয়োজন শিশুদের সবাইকে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, নতুন প্রযুক্তি এবং নতুন বন্ধু তৈরিসহ আরো অনেক কিছুর সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিবে।

তিনি বলেন, ‘খেলাধুলার করার জন্য এখন তোমাদের সুযোগ কম হলেও যতটা পারা যায় খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করবে।’
রাষ্ট্রপতি স্থানীয় জন প্রতিনিধিদেরকে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খেলার মাঠের ব্যবস্থা করার ও আহ্বান জানান।

তিনি শিশু-কিশোরদেরকে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বাইরের অনেক কিছু নিয়ে লেখাপড়া করে নিজ নিজ জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার পথের জোর দেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উপদেশ দেন, ‘সব সময় মনে রাখবে, দেশটাও তোমার পরিবারের মতো। আর পরিবারে সবাই যেমন অবদান রাখে, তোমরাও সেভাবে অবদান রাখবে। এ জন্য নিজে দেশকে জানতে হবে, পড়তে হবে অনেক কিছু।’

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের সাফল্যের পথ ধরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার  ২০৪১ সালে মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও একটি স্মার্ট  বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে ।

রাষ্ট্রপতি আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ‘২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে’-এর উপর নির্মিত একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ট্রাম্পকে আগে সামলান। আমাদের ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে কেন মাথা ঘামান? নিজের দেশের ট্রাম্পকেই সামলাতে পারেন না, এক ট্রাম্পেই আপনার ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ঘরেই কোন্দল, আন্দোলন করে লাভ হবে না। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি ভুয়া, তাদের অক্টোবর, একদফা, সাতাশ দফা, বাইশ দফা ও গণতন্ত্র ভুয়া। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংস করবে। তাই উন্নয়ন রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা দয়া করে, মহানুভবতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছের। অথচ মির্জা ফখরুল ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। ৪৮ মিনিটও খালেদা জিয়ার জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেনি।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ বলেন, পরিস্কারভাবে জানাতে চাই, ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে। বিএনপি জামায়াতের অরাজকতার জন্য রাজপথে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করবে।

তিনি বলেন, বিদেশিরা ষড়যন্ত্রের পরও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঠেকাতে পারেনি। তাদের কোনো ষড়যন্ত্রে নির্বাচন বন্ধ হবে না।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, এসএম কামাল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহ্সান রাসেল এমপি, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ প্রমুখ।

সমাবেশ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে যোগ দেন।

রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, এ সরকার উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। রিজার্ভ খালি করে ওরা আইএমএফের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছে। অর্থনীতিকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এর জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের মানুষ। সরকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। এ গণতন্ত্রকে আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

বুধবার বিকালে ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত জেলা পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন গলিতে বিএনপির একদফা দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এ স্বৈরাচারী সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশ চালাচ্ছে। তারা দাবি করে তারা নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। যে সরকার গণতন্ত্র হরণ করে আজ অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে সেই সরকার কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না।

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। এসে বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। আমি ওবায়দুল কাদেরকে ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলাম। পুলিশ র‌্যাব ছাড়া কোথায় যুদ্ধ করবেন বলেন। আমরা খেলতে রাজি আছি। এখনো সময় আছে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার কাছে হাত-পা ধরে মাফ চান। তিনি মাফ করলে করতেও পারেন। খালেদা জিয়ার পা ধরে বলেন, আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে রাজি।

বিএনপি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার। আমাদের নেত্রীকে সুরক্ষা দিতে না পরালে নিজেদের কী সুরক্ষা দেব। কোন মুখে আমরা বলব গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। আমরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ একসঙ্গে ঘেরাও করে সরকার পতন ঘটাব। এখানে অনেক কুখ্যাত নেতা আছে, ২০০১ সালে পালিয়েছিল। এবার পালাবার সুযোগ পাবে না।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেছেন, আমাদের অনেক নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন। খালেদা জিয়ার কিছু হলে যে আগুন জ্বলবে তা কেউ নিভাতে পারবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, কাজী মনিরুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপি নেতা মামুন মাহমুদ প্রমুখ।