রাজনীতি

উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।

এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।

রাজনীতি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভারতের ইন্ধন আছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এই হামলার ঘটনা দেশের গণতন্ত্র বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাফিজ বলেন, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছেন এই তথ্য আমাদের কাছে নেই, এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করবো, আজকের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, তখন পূর্ণাঙ্গ সব তথ্য পেলে আমরা এই সম্পর্কে বিএনপির মনোভাব মিডিয়া ও জনগণের সামনে প্রকাশ করবো। অপূর্ণাঙ্গ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলন দমন করার জন্য পেশিশক্তির বারংবার ব্যবহার করেছে কুখ্যাত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। আমাদের স্মরণশক্তি অনেক কম, অনেকে ভুলে গেছেন, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কীভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়? তারা আপনার আমার ভাই, সন্তান। রাজপথে ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে জ্বালিয়ে দেওয়া আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। অবসান হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ নানান ধরনের সংস্কারকে পূর্বশর্ত দেওয়া হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। সংবিধান সংস্কারের কথা বলেছেন, একটি গ্রুপ বলেছে ৭২ এর সংবিধান ছুড়ে ফেলা হবে। অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ৭২ এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান। আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে সংবিধানে আরও সংযোজন করা যায়। কিন্তু যাই হোক, নতুন করে সংবিধান লেখা হোক বা সংশোধন করা হোক এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের সাধারণ জনগণ।

কোনো বুদ্ধিজীবী, কারও কোনো গুরু, বিদেশ থেকে আগত কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন পার্লামেন্ট, নিরপেক্ষ একটি পার্লামেন্ট। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি, আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপি সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রাজনীতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখলের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে জামায়াত নেতা বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখলের যে ঘোষণা দিয়েছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে তার আগ্রাসী মনোভাবই প্রকাশিত হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী বক্তব্যে গোটা আরব বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। আরব বিশ্ব তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই বর্তমান সমস্যার একমাত্র সমাধান। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রাসী বক্তব্যে গোটা মুসলিম উম্মাহ মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ।’

এ ধরনের আগ্রাসী বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রাজনীতি

স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন। তার সরাসরি নির্দেশে গুম ও হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন সব ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইলেইন পিয়ারসনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই বিপ্লবের ওপর একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এই প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ’র প্রতিনিধিদলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি এবং দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া প্রধান বলেন, ‘আপনারা এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি করেছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সময়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।’

এইচআরডব্লিউ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ তুলে ধরে বলেছে, গুম ও হত্যার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। তিনি বলেন, ‘এখানে জবাবদিহিতা থাকা জরুরি।’

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের যে প্রচেষ্টা ছিল- তার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘গত ১৬ বছর আপনাদের প্রতিবেদনগুলোতে ১৬ বছরের একনায়ক শাসনামলের ব্যাপক অপরাধ উন্মোচনে সহায়ক হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, র‌্যাব তাদের অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে, তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ‘বিচারের মুখোমুখী হতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে।’

পিয়ারসন বলেন, ‘২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনী রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ছিল এবং তারা শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা উন্মুক্ততা এবং স্বচ্ছতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সমস্ত সংস্কার সুপারিশ প্রকাশ করছি এবং জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নির্ধারণের সুযোগ দিচ্ছি। ১৬ বছরের দমন-পীড়ন এবং অপরাধের ক্ষতি পূরণ করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে।’

এইচআরডব্লিউ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা বা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতেন এবং কিছু ক্ষেত্রে হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া প্রধান ঢাকা সফরকালে সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, সংস্কারগুলোকে দৃঢ় করতে হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে যথাযথ নজরদারির আওতায় আনতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি রাখাইনে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার রোহিঙ্গার জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মিয়ানমারের প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ‘নিরাপদ অঞ্চল’-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

রাজনীতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, সমাজে ভালো-খারাপ দুই ধরনের মানুষ আছে। যে খারাপ মানুষ তার সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই না।

মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছে। এই আস্থা নষ্ট করার জন্য কেউ যদি কাজ করেন, তাকে দলে রাখা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর দেখেছি সামগ্রিকভাবে দেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সেক্টর পিছিয়েছে। একটা কথা বলতে চাই দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে, দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। একটা রাজনৈতিক অধিকার, আরেকটা সব শ্রেণিপেশার মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার। এটা বাস্তবায়নে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কাজ করছে। আর জনগণের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এজন্য দলীয় শৃঙ্খলা সবার মেনে চলার আহ্বান জানাই।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদি আমিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিন্দ ইসলাম অমিত, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু প্রমুখ।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. ফরিদুল ইসলাম, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, জেলা বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান, মাহবুবুর রহমান টুটুল, মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তার, যুবদল নেতা হারুন-অর-রশীদ, সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজন, ছাত্রদল নেতা আলী সাদ্দাম দীপসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।

৩১ দফা সামনের জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন অংশ নেওয়া দলীয় নেতা-কর্মীরা।

রাজনীতি

দেশে আরও একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দলটির নাম ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি’। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে দলটি।

দলটির আহ্বায়ক মেজর জেনারেল মো. এহতেশাম উল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল জনগণের জন্য আশা ও ন্যায়বিচারের বাতিঘর হিসেবে এ নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করেছে। ’ দলের কার্যাবলী ও লক্ষ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি জাতি গঠন করব যা আমাদের পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন পূরণ করবে। ৭১ এর সকল শহিদ, জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যত্থানে আত্মত্যাগী হাজার হাজার ছাত্রজনতার বিপ্লবী চেতনার প্রতিনিধিত্বকে বহন করবে।

এহতেশাম উল হক বলেন, আমাদের দল বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। সমৃদ্ধির উত্তরাধিকার গড়ে তুলবে। আমাদের নীতিগুলো দেশপ্রেমের চেতনায় পরিপূর্ণ হবে। ঐক্য, ত্যাগ এবং জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতিকে উৎসাহিত করবে। ’

রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশে আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করেছেন। তবে এ অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

আজ রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুইজারল্যান্ডের দাভোস সফরের বিষয়ে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দাভোস সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল তিনি দেশে ফিরেছেন।

অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য আমেরিকা বন্ধ করছে না। এ জন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা আজ প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোহিঙ্গাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন।

এদিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এ বছর বড় আকারে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার এ বছরই বড় আকারে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে। এতে ১৭০টি দেশ অংশ নেবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত সম্মেলনের সহ-আয়োজক জাতিসংঘ।

রাজনীতি

সকালে ঘুম ভেঙেছে দুই মেয়ের ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ শুনে। নাতি-নাতনিরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছে, যা ‘অন্যরকম এক আনন্দ’ তার কাছে।

জন্মদিনের ভোর থেকেই শুভাকাঙ্ক্ষি ও প্রিয়জনদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

৭৮তম জন্মদিনে দাঁড়িয়ে ‘গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার’ কথাও বললেন তিনি।

১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে তার জন্ম।

জন্মদিনে টেলিফোনে তিনি বলেন, “বুড়ো হয়ে গেছি… এখন তো বিদায়ের প্রান্তে। তারপরও মনের ভেতরে যে স্বপ্ন, যে প্রত্যাশা, তা কিন্তু চিরঞ্জীব আছে। সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।

“বয়সের এই প্রান্তে এসে এই বিশ্বাসটুকু আমি করি, আমাদের রাজনৈতিক যে সংকটগুলো, যে চ্যালেঞ্জগুলো, তা অধিকাংশই সমাধান করা সম্ভব হবে এবং বাংলাদেশ গণতন্ত্রে ফিরে যাবে সেই প্রত্যাশায় আছি।”

জন্মদিন কীভাবে কাটলো জানতে চাইলে তিনি বলেন ইদানিং শরীর ভালো যায় না।

ফখরুল বলেন, “এবার আমার গোটা পরিবারই ঢাকায়। একসাথে এবার এই দিনটি কাটছে।”

বিএনপি মহাসচিবের ভাষ্য, সকালে ঘুম ভেঙেছে দুই মেয়ের ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ শুনে। নাতি-নাতনিরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছে, যা ‘অন্যরকম এক আনন্দ’ তার কাছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “জন্মদিন মানে আরো একটি বছর চলে গেছে। অন্যান্য বছর বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে টেলিফোন করে। এবার কিন্তু সেটি হয়নি। বড় মেয়ে তার পরিবার নিয়ে কয়েকদিন আগেই ঢাকায় এসেছে। ফলে বড় মেয়ে, ছোট মেয়েসহ আমার গোটা পরিবারই এখন ঢাকায়। মেয়েরা ‘হ্যাপি বার্থে ডে’ বলল। আপনার ভাবিও বার্থ ডের উইশ করেছে।”

এছাড়া জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই বন্ধু, স্বজন, নেতাদের অনেকে টেলিফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকেও শুভেচ্ছা পেয়েছেন।

জন্মদিন নিয়ে নিজের অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “জন্মদিন আমি আসলে পালন করি না। ৭৭ বছর বয়স পেরোলাম, বলতে পারেন একটা লং জার্নি। এই ৭৭ বছরে বহু পরিবর্তন দেখেছি, বহু ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি, বহু জীবন দেখেছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি। বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পেয়েছি।

“এখন যাওয়ার পালা। তবে আশা এখন একটাই, প্রত্যাশা একটাই, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের দিকে যাবে, গণতন্ত্র ফিরে পাবে। এই গণতন্ত্রের জন্য আমাদের দেশের মানুষ, আমাদের বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী যে আত্মত্যাগ করেছে, ফ্যাসিস্টদের যে নিপীড়ন, নির্যাতন ভোগ করেছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছে, নির্মমতার মুখে পড়েছে, এই রকম চিত্র আপনি কোথাও খুঁজে পাবেন না, নজিরবিহীন।”

ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এবং এসএম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করে শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছিলেন ফখরুল। ঢাকা কলেজ, দিনাজপুর কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন তিনি।

১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি পুরোপুরি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে জিতে হন চেয়ারম্যান।

ছাত্রজীবনের বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা মির্জা ফখরুলের জাতীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দল ন্যাপে। সেখান থেকেই তার বিএনপিতে যোগদান।

১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী এস এ বারীর একান্ত সচিব ছিলেন ফখরুল।

১৯৯২ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি, পরে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব পদে উঠে আসেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে মহাসচিব নির্বাচিত হন।

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বে আসার আগে তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রথম সহসভাপতি এবং পরে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘদিন।

ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফখরুল। ২০০১-২০০৬ মেয়াদের বিএনপি সরকারে তাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে তিনি শপথ না নেওয়ায় ওই আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপির জিএম সিরাজ সংসদে যান।

দুই মেয়ে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার।

বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ অস্ট্রেলিয়ায় স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন। সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ নিয়ে এখন ক্যানবেরার ফেডারেল মেডিকেল কাউন্সিলের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। কয়েকদিন আগেই শামারুহ মির্জা ও তার স্বামী ঢাকায় এসেছেন।

আর ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ধানমণ্ডির সানিডেল স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

রাজনীতি

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান নেওয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা একদম ভালো কাজ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জায়ায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যদি শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ন্যায্য দাবি পেশ করে, তার দাবিটা শোনাও সংগত।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুপারিশের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দাবিতে এদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।

এরপর তারা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে।

রাজনীতি

বিশ্বের দুই বৃহত্তম বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশের শিপিং শিল্পে বড় আকারের বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে নতুন বন্দর নির্মাণে সহায়তা করতে এবং বাংলাদেশকে একটি প্রধান বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আজ দাভোসে ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম এবং এ.পি. মোলার-মেয়ার্স্ক চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে এই প্রস্তাব দেন।

ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানিয়েছেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজট কমাতে এবং নির্গমন হ্রাস করে বন্দরটির দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক এই লজিস্টিক কোম্পানির সিইও বলেন, নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ বাংলাদেশে আরও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং দূষণ হ্রাস করতে সহায়ক হবে।

সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম উল্লেখ করেন যে ডিপি ওয়ার্ল্ড যেখানে বিনিয়োগ করেছে, সেখানেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি আরও জানান, ২০২২ সালে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তখনকার সরকার তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম জানান, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে একটি ডিজিটাল অনলাইন কাস্টমস পদ্ধতি চালু করতে চান, যা দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে।

তিনি আরও জানান, তারা বাংলাদেশের ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোগুলোতেও বিনিয়োগ করতে চান।

প্রধান উপদেষ্টা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমকে বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে আরও বন্দর নির্মাণ করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এটি করতেই হবে কারণ আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে জড়িত। আমরা এটিকে অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে চায়, কারণ বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের জন্য একটি আঞ্চলিক রপ্তানি হাব হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে, কারণ সময় হচ্ছে একটি খরচ।’

ডেনমার্ক-ভিত্তিক এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্ক চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা বলেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে এবং তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এটিকে একটি পরিবেশবান্ধব বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

রবার্ট মোলার উগলা জানান, তারা মরক্কো এবং ওমানেও একই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। তাদের বিনিয়োগে ওমানের সালালাহ বন্দর বিশ্বের অন্যতম সেরা বন্দরে পরিণত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্কের কর্মকর্তাদের ঢাকায় আসার এবং বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বাংলাদেশি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে বেশ কিছু বন্দর নির্মাণ করতে হবে যাতে আমরা আঞ্চলিক ব্যবসার একটি কেন্দ্র হিসেবে আমাদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি।’