অর্থনীতি

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৩০ লাখ দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এবার ১০০ কোটি টাকার মতো কেনাবেচা হয়েছে। যা আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

টিপু মুনশি বলেন, গতবার বাণিজ্য মেলার আয়োজন ভালো হয়েছে। এবারও আমরা বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করেছি। মেলায় প্রায় ৩০ লাখ দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল। ১০০ কোটি টাকার মতো কেনাবেচা হয়েছে। যা আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক।

মন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া মেলার কারণে ৩০০ কোটি টাকার মত রফতানি অর্ডার এসেছে। ১৩টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান আমাদের মেলায় যুক্ত হয়েছেন। এই বছর ৬৭ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট টার্গেট করেছি। বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা চিন্তিত করেছে আমাদের। কিন্তু আমরা আশাবাদী, টার্গেট পূরণ করতে পারবো।

এ বিষয়ে আয়োজক সংস্থার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বলেন, এ বছর মেলায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আগমন হয়েছে দর্শনার্থীর। বিশেষ করে শেষ সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে মেলায় প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন।

তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীদের সময় বাড়ানোর আবেদন ছিল। যেহেতু নির্ধারিত সময়ে মেলা শুরু হয়েছে, তাই সময় বাড়ানো হয়নি।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্রে ১ জানুয়ারি এই মেলা শুরু হয়। এবারের মেলায় মোট ৩১১ স্টলের মধ্যে বিদেশি স্টল ছিল ১৭টি। মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলে। ছুটির দিনে খোলা ছিল রাত ১০টা পর্যন্ত।

অর্থনীতি

মেগা প্রকল্পে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে এলডিসি উত্তরণে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতেও বিশ্বব্যাংককে আহ্বান জানানো হয়।

শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এ অনুরোধ জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গের কাছে। বৈঠকে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের অভীষ্ঠে পৌঁছাতে বিশ্বব্যাংকের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দুর্যোগ মোকাবিলা খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করছে। বিশেষ করে করোনাকালীন বাজেট সহায়তা, কোভিড মোকাবিলা এবং কোভিড ভ্যাকসিন কেনায় অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের আরও জোরদার ও ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানান।

বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের এমডি দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেছেন। এ সময় বিশ্বব্যাংকের খসড়া কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওর্য়াক (সিপিএফ) নিয়েও আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, সিপিএফে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান প্রমুখ।

অর্থনীতি

বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ আগামীকাল (শনিবার) বাংলাদেশে তার প্রথম সফরে ঢাকায় আসছেন।

ভ্যান ট্রটসেনবাগ তার তিন দিনের সফরে আগামী ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এবং দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অর্জন বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংকের এমডি অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেছেন, ‘মানব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজনে সফল উদ্ভাবনের মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে দারিদ্র্য কমাতে কী করা যেতে পারে তা বাংলাদেশ বিশ্বকে করে দেখিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে তার ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব এবং দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশ হওয়ার জন্য গর্বিত। আমি এ সফরকালে এসব অর্জন সরাসরি দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছি।’

ভ্যান ট্রটসেনবার্গ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করবেন।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার তার সঙ্গে থাকবেন।

অর্থনীতি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠেনি।

প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত একনেক সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এদিন আলোচিত ইভিএম প্রকল্প একনেক সভায় উঠেনি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ইভিএম কেনার প্রকল্পটি আমাদের তালিকায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে জানতেও চাননি। তবে ইভিএম প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ভোটগ্রহণ ইভিএভে হবে কিনা-জানতে চাইলে সাংবাদিকদের পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ চিন্তা ভাবনা করবে।

মঙ্গলবার একনেক সভায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধনের জন্য অনুমোদন হয়। এটিসহ মোট ১১টি প্রকল্প অনুমোদন হয়। ১১ প্রকল্পের ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত আরও দুই লাখ ইভিএম কেনার জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের ব্যয় বিশ্লেষণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

অর্থনীতি

শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের হাতের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের কারণে এখন প্রতিটি  গ্রামে গ্রামে মানুষ সহজে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে।

তাদের আর চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে যেতে হচ্ছে না। বর্তমানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা এশিয়ার মধ্যে সেরা।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নরসিংদীর মনোহরদীতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার জনবল সংকটে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ করোনাকালে খুবই সাহসিকতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার অনেক খরচ করে জনগণের সেবার অবকাঠামো নির্মাণ করে দিচ্ছে। তাদের জন্য অনেক আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করা হচ্ছে। এসব জিনিসের প্রতি হাসপাতালের খেয়াল রাখতে হবে। যাতে অবহেলা ও অযত্নে এগুলো যেন নষ্ট  না হয়। হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মানুষের সেবার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন ডা. নূরুল ইসলাম, রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশিষ রায়, মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. খন্দকার আনিসুর রহমান, মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইশরাত জাহান তামান্না।

মন্ত্রী ফিতা ও কেক কেটে ৫০ শয্যা মূল ভবনের উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ তলা এ মূল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

অর্থনীতি

বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ জিডিপি অর্জনে সৌদি আরব-জাপান-যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস জানুয়ারি-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। তারপরও ২০২২-২৩ সালের থেকে পরবর্তী বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কম দেখানো হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে- ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাপান ১, ইউরোপ শূন্য দশমিক শূন্য ১, চীন ৪ দশমিক ৪, ইন্দোনেশিয়া ৪ দশমিক ৮ ও থাইল্যান্ড ৩ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। সৌদি আরব ৩ দশমিক ৭, ইরান ২ দশমিক ২, মিসর ১ দশমিক ৯, পাকিস্তান ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। তবে ভারত ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বৈশ্বিক সংকটের বড় ধাক্কা নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বিশ্বের জ্বালানি বাজারে অস্থিরতার কারণে দেশটিতে গৃহস্থালি কিংবা শিল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলছে ও তা আরও বাড়তে পারে। সরকার অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি উচ্চমূল্যের কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে লোডশেডিং দিচ্ছে, কারখানা খোলা রাখার সময় কমাচ্ছে, বিলাসপণ্য কেনা কঠিন করে তুলছে। এর সবকিছুই হচ্ছে ডলার সাশ্রয়ে।

তবে চলমান সংকট পেরিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের গতিতে ফিরবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে যাবে বলে আভাস দিচ্ছে সংস্থাটি। চলমান সংকট শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্বের অনেক দেশই মন্দার কবলে পড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

অর্থনীতি

বিশ্ব মন্দা ও ডলারের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যের ঢেউয়ের প্রভাব মোকাবিলায় বাজেটে থোক বরাদ্দসহ ৯ খাতের ব্যয়ের ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে অর্থ বিভাগ। বরাদ্দের বেশি বা বিধিনিষেধ এড়িয়ে ব্যয় বন্ধ করতে এসব খাতে মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে।

পাশাপাশি আগামী জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যয়ের পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কাছে। পুরো প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে অর্থ বিভাগ ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে। এর আগে কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচির আওতায় বিদেশ ভ্রমণসহ ছয়টি খাতের ব্যয় স্থগিত এবং পাঁচ খাতের ব্যয় হ্রাস করে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সাশ্রয় হবে।

সূত্র জানায়, ব্যয়ে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে চলতি বাজেট থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার ৯৩ কোটি টাকা ব্যয় কমানোর চিন্তা রয়েছে অর্থ বিভাগের। এ ব্যয় হ্রাসের পর সংশোধিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি থেকে কমে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকায় দাঁড়াবে।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ব্যয় করতে হলে আয় থাকতে হয়। এ বছর রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হচ্ছে না। অপরদিকে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়েছে। ফলে ব্যয় ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে কয়েকটি খাতের বরাদ্দ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সাবেক অর্থসচিব (সিনিয়র) মাহবুব আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্ব একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ব্যয় কমাতে সরকার কৃচ্ছ সাধনের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, যে অনুপাতে রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা, সেটি হচ্ছে না। এজন্য ব্যয়ে কঠোর নজরদারির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

সূত্রমতে, কঠোর নজরদারির আওতায় আনা খাতগুলো হচ্ছে-বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাঁদা পরিশোধ খাত। এছাড়া বাজেটে থোক বরাদ্দ, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা, পিআরএল ও শ্রান্তি বিনোদনসংক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেছনে ব্যয়। পাশাপাশি সরকারের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন খাতের বিল পরিশোধ, ভূমি উন্নয়ন কর, জ্বালানি খাতে ব্যয় খাতও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে মার্কিন ডলার সংকট সৃষ্টি হয়। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এক ডলারের মূল্য ৮৮ টাকা থেকে ১১৯ টাকা পর্যন্ত ওঠে। যদিও সরকারিভাবে এটি এখন আমদানি ব্যয়ের ক্ষেত্রে ১০৪.৬৮ টাকা ধরা আছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এক ডলারের পেছনে টাকার মান কমেছে প্রায় ১৭ টাকা। যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে।

সূত্রমতে, মন্ত্রণালয়গুলোকে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাঁদা পরিশোধের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এই তিনটি খাতে চলতি বাজেটের শুরুতে বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা সংস্থান রাখতে বলা হয়েছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, চলতি বাজেট প্রণয়নের সময় (এপ্রিল-জুন) প্রতি ডলারের মূল্য ৮৬ টাকা ধরে সব ধরনের হিসাবনিকাশ করা হয়। এখন ডলারের মূল্য ১০৪ টাকা। আর বৈদেশিক ঋণ, ঋণের সুদ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা পরিশোধের ক্ষেত্রে বেশি দাম দিয়ে ডলার কিনতে হবে সরকারকে। এতে ব্যয়বৃদ্ধির কারণে মন্ত্রণালয়গুলোর টাকা বেশি দরকার হবে।

সূত্র আরও জানায়, এ বছর বাজেটের থোক বরাদ্দের টাকা ব্যয় করতে নিরুৎসাহিত করছে অর্থ বিভাগ। এ খাতে ৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা সংরক্ষণ রাখা আছে। থোক বরাদ্দের টাকা ব্যয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলাদা কোড আছে। ওই কোড থেকে থোক বরাদ্দের টাকা সরিয়ে আনা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচির আওতায় থোক বরাদ্দের অর্থ ব্যয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ বিভাগ।

এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই-এটি সংসদে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নগদ মজুরি ও বেতন খাতে আর বাড়ছে না। এ বছর ৩৯ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা বেতন খাতে বরাদ্দ আছে। অর্থ বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, যেহেতু বেতন খাতে বরাদ্দ বাড়বে না, তাই বিষয়টি প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।

এদিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার জ্বালানি খাতের ২০ শতাংশ ব্যয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আগেই দিয়েছে অর্থ বিভাগ। আগামী জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কাছে পেট্রোল, ডিজেল ও সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যার তথ্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের যানবাহনগুলোয় একই সময়ে পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট খাতে ব্যয়ের যৌক্তিকতার তথ্য ও কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন খাতের ব্যয়ের ওপর নজর রাখছে অর্থ বিভাগ। এসব খাতে কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং বিপরীতে কত টাকা ব্যয় হয়, এর বিস্তারিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। একইভাবে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে অর্থব্যয়ের হিসাব দিতে বলা হয়েছে।

অর্থনীতি

এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে ইতিহাস গড়ল। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশেও বাড়ানো হয়েছে। এতে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে।

সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এই মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে এখন ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা।

শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, আগামীকাল (রোববার) থেকে স্বর্ণের এই নতুন দাম কার্যকর হবে।

বাজুসের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ কিনতে খরচ পড়বে ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা।এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানো হয়। এতে এই মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা।

নতুন দাম অনুসারে, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬০৫ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি পড়বে ৭৪ হাজার ২৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১ হাজার ৮৭৭ টাকা।

তবে রুপার দাম আগের মতো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।

অর্থনীতি

গ্রামের গরিব মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গ্রহণ করে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩ (পজীপ)। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ২২২টি ফটোকপিয়ার মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত হয় গত বছরের শুরুর দিকে।

তখন দেশের বাজারে তোশিবা ব্র্যান্ডের ‘ই-স্টুডিও ২৮২৩ এএম’ মডেলের একটি ফটোকপিয়ারের মূল্য ছিল ৬০ হাজার টাকা। অথচ মূল্যর চেয়ে আড়াইগুণ বেশি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে স্পেসিফিকেশন ও বাজার দর নির্ধারণ করে কমিটি।

পরে গ্লোরী অফিস সল্যুশন প্রতিটি মেশিন সরবরাহ করে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা করে। অথচ এ প্রতিষ্ঠানই বিআরডিবি’র আগে একই পণ্য অন্যত্র দেয় ৬০ হাজার টাকায়। যা ফটোকপিয়ার ক্রয়ের টেন্ডারে অভিজ্ঞতা হিসাবেও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এরপরও চড়া দামে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ফটোকপিয়ার মেশিন ক্রয়ের মাধ্যমে কোটি টাকারও বেশি লোপাট হয়েছে। আরও কোটি টাকার বেশি লোপাটের আয়োজন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ফটোকপিয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে লোপাটের আয়োজন করতে ধাপে ধাপে গুরুতর অনিয়ম হয়েছে। লঙ্ঘন করা হয়েছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর)। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে পিপিআর বহির্ভূত অবাস্তব শর্ত দেওয়া হয়েছে টেন্ডার ডকুমেন্টে।

শুধু কাজ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, বিল পরিশোধেও অনন্য রেকর্ড হয়েছে এক্ষেত্রে। কার্যাদেশটি দেওয়া হয় গত বছরের ২৮ জুন। এর পরদিনই ১১১টি সরবরাহকৃত পণ্যের বিল পরিশোধ করা হয় গ্লোরী অফিস সল্যুশনকে। অথচ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনোক্রমেই এক

মাসের নিচে বিল পরিশোধের সুযোগ নেই। কারণ কার্যাদেশ প্রদানের পর মালামাল সরবরাহের জন্য প্রস্তুত, গুণগত মান যাচাই, বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানোসহ সামগ্রিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতেই এই সময় লেগে যায়। এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে চলতি অর্থবছরে সরবরাহ করা আরও ১১১টি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই এর বিল পরিশোধ করা হতে পারে। এটা পরিশোধ হলে সম্পন্ন হবে দুই কোটি টাকারও বেশি লোপাটের আয়োজন।

অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে পজীপ-৩ এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজ বলেন, বাজার যাচাই করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬০-৬৫ হাজার টাকায় একই মডেলের যে পণ্যটির কথা বলা হচ্ছে, সেটি জেনুইন প্রডাক্ট কিনা দেখার বিষয় আছে।

সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্নকে কাজ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মূল্যায়ন কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। তৃতীয় প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের সব শর্ত পূরণ করতে পারেনি।

শর্ত পূরণ করতে না পারলে তাকে নিশ্চিতকরণের চিঠি কেন দেওয়া হলো-এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, এটা মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল। অপারগতা প্রকাশ করা প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত না করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার ক্লিয়ার ধারণা নেই। এই মুহূর্তে আপনাকে রিপ্লাই করতে পারছি না। টেন্ডারের সময় নির্ধারণে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা টেন্ডার মূল্যায়নের মিটিংয়ে প্লেস করেছিলাম। কমিটি সেটি বিবেচনা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফটোকপিয়ার মেশিন ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শুরু হয় অনিয়ম। নিয়ম অনুযায়ী, টেন্ডার আহ্বানের আগে প্রকৃত বাজারদর যাচাই করে ভ্যাট, আয়কর ও পরিবহণ ব্যয়সহ পণ্যের দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করতে হয়।

কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায়, চলতি বছরের ৮ মে প্রকৃত মূল্যের আড়াইগুণ বেশিতে একেকটি ফটোকপিয়ারের মূল্য নির্ধারণ করে স্পেসিফিকেশন ও বাজার মূল্য নির্ধারণ কমিটি। এতে প্রতিটির দাম পড়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ মেশিনগুলো সরবরাহের কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান গ্লোরী অফিস সল্যুশন তার আগের বছরের ১৯ জুনের এক কার্যাদেশ অনুযায়ী ফুনা ইনফো টেক লি.-কে একই মডেল ও ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ারের প্রতিটি মাত্র ৬০ হাজার টাকায় সরবরাহ করে।

এই সরবরাহের তথ্যও দরপত্র জমার অভিজ্ঞতা হিসাবে উল্লেখ করেছে গ্লোরী অফিস সল্যুশন। অভিজ্ঞতার সেই সনদে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটিরও ইনিশিয়াল (নমুনা স্বাক্ষর) রয়েছে। এমনকি ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমার পরেও বর্তমানে তোশিবা ব্র্যান্ডের ‘ই-স্টুডিও ২৮২৩ এএম’ মডেলের প্রতিটি ফটোকপিয়ারের খুচরা বাজার মূল্য ৭৪ থেকে ৭৮ হাজার টাকা।

পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে পাওয়া গেছে এমন বাজারদরের চিত্র। এ অবস্থায় গ্লোরী অফিস সল্যুশন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে শুধু নির্দিষ্ট এই ব্র্যান্ডের পণ্যের মূল্য গায়েব করে দেয়। কিছুদিন বাদে আবার ওয়েবসাইটে পণ্যটির মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জুড়ে দেয় তারা।

এছাড়া দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় নিরূপণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি পিপিআর বিধি ২৯(৩)। যেখানে কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড ও মডেলের কারিগরি বিনির্দেশের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত বিস্তারিত উল্লেখ করতে না পারার নির্দেশনা রয়েছে।

টেন্ডারের সময় নির্ধারণে অনিয়ম : পিপিআর বিধি ৬১(৪) অনুযায়ী, ২ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে এবং ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পণ্য ক্রয়ের বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে টেন্ডার প্রণয়ন ও দাখিলের ন্যূনতম সময় ২১ দিন। সময় ২১ দিনের কম হলে পুনঃটেন্ডার আহ্বান করতে হয়।

এ ক্ষেত্রে টেন্ডার নোটিশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ১৮ মে। টেন্ডার দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ছিল ১ জুন। সময় ছিল মাত্র ১৪ দিন। যা পিপিআর’র পুরোপুরি লঙ্ঘন। কারণ প্রাক্কলিত ব্যয়ে ফটোকপিয়ারসহ অফিস ইক্যুইপমেন্টের (এয়ারকন্ডিশন, সাউন্ড সিস্টেম) ক্রয়মূল্য ছিল ৩ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময় কম দেওয়ায় অনেক ভালো প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

অবাস্তব শর্ত : নিয়ম অনুযায়ী, টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অত্যধিক সুযোগ দেওয়ার মতো কোনো শর্ত প্রয়োগ করা যায় না। এক্ষেত্রে টেন্ডার ডকুমেন্টে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫০ শতাংশ ফটোকপিয়ার সরবরাহের অবাস্তব শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৮ মে পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। দাখিলের সময় ছিল ১ জুন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী সাধারণত টেন্ডার মূল্যায়ন ও চুক্তি সম্পাদনের জন্য আরও এক মাসের মতো সময় প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে পিপিআর’র বিধিবিধান অনুযায়ী কোনোভাবেই ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন বা কার্যাদেশ প্রদানের সুযোগ নেই।

তাছাড়া এ বিপুলসংখ্যক ফটোকপিয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে চুক্তি/কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর এলসি খুলে আমদানির পর সরবরাহ করতেও ৩-৪ মাসের মতো সময় প্রয়োজন। অবাস্তব শর্তের ফলে কোনো স্বনামধন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। এক্ষেত্রে শুধু ওই প্রতিষ্ঠানই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা সম্ভব, যার গোডাউনে ন্যূনতম ১১১টির মতো ফটোকপিয়ার মজুত আছে। তাই সুকৌশলে পিপিআর বহির্ভূতভাবে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতেই অবাস্তব শর্ত প্রয়োগ করা হয়েছে।

যোগসাজশে হরিলুট, বাজেয়াপ্ত হয়নি জামানত : এদিকে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টেন্ডারে প্রতিযোগিতা হয়েছে-এমনটি প্রমাণে বেশকিছু কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এখানেও হয়েছে অনিয়ম। ৩টি ভিন্ন নামের প্রতিষ্ঠানের এই টেন্ডার দাখিল করে। টেন্ডার উন্মুক্ত করার পর দেখা যায়, মডার্ন টেলিকম সিস্টেম ২ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০ টাকা, গ্লোরী অফিস সল্যুশন ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং সায়েম কম্পিউটারস ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬০০ টাকায় টেন্ডার দাখিল করে।

এরমধ্যে ১ম সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মডার্ন টেলিকম সিস্টেম। তারা প্রতিটি ফটোকপিয়ারের দাম দেয় এক লাখ তিন হাজার ৫০০ টাকা। এই দরও ছিল তৎকালীন বাজারমূল্যের চেয়ে ৩৫-৪০ হাজার টাকা বেশি। দাখিলকৃত দরে মালামাল সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রতিষ্ঠানটির টেন্ডার জামানত ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা।

কিন্তু তা না করেই ২য় সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান গ্লোরী অফিস সল্যুশনকে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকায় কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। পিপিআর বিধি ৯৮(১৪) অনুযায়ী, বাজারমূল্যের সঙ্গে পণ্যের মূল্য সঙ্গতিপূর্ণ না হলে, কোনো প্রতিষ্ঠান অপারগতা প্রকাশ করলেই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই।

অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে মডার্ন টেলিকম সিস্টেমের দর কম হওয়ায় ৮ জুন প্রতিষ্ঠানটিকে দরপত্রে উল্লিখিত দর নিশ্চিতকরণে একটি চিঠি দেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি)। কিন্তু পিপিআর’র ৯৮ এর ৮ বিধি অনুযায়ী পিডির পক্ষ থেকে এমন চিঠি দেওয়ার সুযোগ নেই। এদিকে এর পরদিনই ডলারের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে মডার্ন টেলিকম দরপত্রে দেওয়া মূল্যে মালামাল সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করে পিডিকে চিঠির উত্তর দেয়।

অথচ ডলারের মূল্যবৃদ্ধির পরেও ফটোকপিয়ারের বাজারমূল্য ছিল দরপত্রে দেওয়া মূল্যের চেয়ে কম। বর্ধিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করলেও তাদের অনেক লাভ হওয়ার কথা। এতকিছুর পরেও নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির জামানত বাজেয়াপ্ত না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, শুধু পারস্পরিক যোগসাজশে হরিলুটের পরিকল্পনা থাকলেই এমন হওয়া সম্ভব।

শুধু তাই নয়, ১৫ জুন দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির ৪র্থ সভার কার্যবিবরণীতেও রয়েছে নানা অসঙ্গতি। সেখানে ৩য় সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, প্রস্তাবিত দরে মালামাল সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় মডার্ন টেলিকম সিস্টেমকে ‘নন-রেসপনসিভ’ ঘোষণা করা হয়।

পরে ৪র্থ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী মালামাল সরবরাহের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় পিপিআর বিধি ৯৮(৩) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ‘নন-রেসপনসিভ’ ঘোষণা করা হলো। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, যদি পিপিআর বিধি ৯৮(৩) অনুযায়ী অভিজ্ঞতায় ঘাটতির ফলে তাদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে পিডি প্রকৃত বাজারমূল্য যাচাই না করেই কেন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতে চিঠি দিল?

মূল্য পুনঃপরীক্ষার নির্দেশনা উপেক্ষিত : এদিকে পিপিআর’র বিধি ৯৮(২৩) অনুযায়ী, দরদাতা যদি দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য থেকে উল্লেখযোগ্য কম দাম উদ্ধৃত করে দরপত্র দাখিল করে তবে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য পুনঃপরীক্ষার বিধান রয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করবে।

এক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য পরীক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করলেও প্রকৃত বাজারদরের সঙ্গে তা কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এখানে প্রকৃত মূল্য পরীক্ষা করা হয়নি। সে কারণেই ১ম সর্বনিম্ন দরদাতা থেকে ১ কোটি ২২ লাখ ১ হাজার ৭০০ টাকা বেশি দরে ২য় সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকায় টেন্ডারটি গ্রহণে সুপারিশ করে।

কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আ. গাফফার খান বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন এসেছি। সবকিছু বুঝে নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থনীতি

দেশের ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০২০ প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতে অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৬ ক্যাটাগরিতে ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক/প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পুরস্কার প্রাপ্ত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধীরা তা বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অবদানের ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন তথা দেশের উন্নয়ন হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের কোনো বিকল্প নেই।

উল্লেখ্য, শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ছয় ক্যাটাগরির জন্য মোট ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরমধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৫টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৫টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ১টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে।

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে ১ম পুরস্কার গ্রহণ করে রানার অটোমোবাইলস লি: এবং ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লি:। যৌথভাবে ২য় পুরস্কার পেয়েছে বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লি: এবং ফারিহা স্পিনিং মিলস্ লি:, ৩য় পুরস্কার পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইল লি:।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম পুরস্কার পেয়েছে নোমান টেরি টাওয়াল মিলস্ লি:, যৌথভাবে ২য় হয়েছে মাসকোটেক্স লিমিটেড এবং এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস লি:, যৌথভাবে ৩য় পুরস্কার পেয়েছে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস্ লি: এবং অকো-টেক্স লি:।

ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে মাসকো ওভারসিজ লি:, যৌথভাবে ২য় হয়েছে আব্দুল জলিল লি: এবং প্যাসিফিক সী ফুডস লি:, ৩য় হয়েছে মাধবদী ডাইং ফিনিশিং মিলস্ লি:।

মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে শুধুমাত্র ১টি প্রতিষ্ঠান মাসকো ডেইরী এন্টারপ্রাইজ পুরস্কার পেয়েছে। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম পুরস্কার পেয়েছে ইন্টেলিজেন্ট কার্ড লি: এবং ২য় পুরস্কার পেয়েছে রং মেলা নারী কল্যাণ সংস্থা (আর এন কে এস)।

হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম পুরস্কার পেয়েছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লি:, ২য় পুরস্কার পেয়েছে মীর টেলিকম লি: এবং ৩য় পুরস্কার পেয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন লি:।

উল্লেখ্য, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ২০১৩’ অনুযায়ী ২০১৪ সালে ১ম বারের মত ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রদান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ৬ষ্ঠ বারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ প্রদান করা হল।

সম্প্রতি, সরকার রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০২০ প্রণয়ন করেছে। এতে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্য, ক্ষেত্র নির্ধারণ, পুরস্কার প্রাপকের সংখ্যা নির্ধারণ ও বিবেচনাসূত্র, মনোনয়ন যোগ্যতা, প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুতকরণ কমিটি, আবেদনপত্র মূল্যায়ন কমিটি এবং মনোনয়ন চূড়ান্তকরণ কমিটি গঠন ও কার্যপরিধি ইত্যাদি বর্ণিত আছে। রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পুরস্কার প্রাপ্তির পরবর্তী একবছর বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন।