অর্থনীতি

বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, লালফিতার দৌরাত্ম্য বড় বেশি। আমি নিজেও কিছুটা কাবু হয়ে গেছি। আমি নিজেও খুব হ্যাপি না। কারণ সারাটা জীবন কাজ করে বেরিয়েছি। সরকারের এই চেয়ারে (মন্ত্রিত্ব) বসে মনে হয় এটা কবে বদলাবে? তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, আমরা চেষ্টা করছি।

শনিবার দুপুরে রংপুরের আরডিআরএসের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার: শিক্ষা, শোভন কর্মসংস্থান, জেন্ডার সমতা’ শীর্ষক রংপুর সংলাপ অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে সিপিডি, সুজন ও ইউএনডিইএফ।

টিপু মুনশি বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়াতে রংপুর অঞ্চল পিছিয়ে পড়ছে। রংপুর অঞ্চলে ভারি শিল্প কলকারখানা নেই। বড় বড় কোম্পানিগুলো এখানে আসতে চায় না। কারণ উৎপাদন খরচ বেশি পড়বে। এর পেছনে যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ, গ্যাস সংযোগ না থাকাসহ বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে এ অঞ্চলের শ্রমিকরা অনেক পরিশ্রমী ও সুশৃঙ্খল। জাতীয় পর্যায়েও এর সুনাম রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এক সময় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অর্ধেক মানুষও আসত না। যাতায়াতে অনেক কষ্ট হতো, যাত্রী পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দিনে ১৩-১৭টি ফ্লাইট উঠানামা করছে। ঈদের সময়ে ২২টিরও বেশি হয়ে থাকে। আগামী এক বছরের মধ্যে সেখান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৩০টি ফ্লাইট উঠানামা করবে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বিমানবন্দরের মূল ভবনটা হয়ে গেছে। লাউন্স, ব্যাংক বুথসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও বেড়েছে। এখন এটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। তবে নেপাল ও ভুটানের ফ্লাইট নিয়ে কথা চলছে, এটিও চালু করা সম্ভব হবে।

চিনিকল প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, একটি চিনিকলও লাভজনক নয়। এই দেশে যে আখ হয়, তা দিয়ে চিনিকল চালু রাখা সম্ভব নয়। এই খাতে শুধু লোকসান হচ্ছে। এ অবস্থায় চিনিকল শ্রমিকদের বাঁচাতে বিকল্প নিতে হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে চিনিকলগুলোকে প্রয়োজনে বেসরকারিখাতে চিনি ছাড়া অন্যকিছু উৎপাদন নিয়ে ভাবতে হবে। এতে শ্রমিকরা বেকার থাকবে না, লোকসান বন্ধ হবে। কিন্তু লালফিতার দৌরাত্মে অনেক কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিস্তা নদীর দুপাশে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে রংপুর অঞ্চলের মানুষকে হতাশ না হতে আহবান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী খুব সিরিয়াস। আন্তর্জাতিক একটা ছোট ঝামেলা আছে, এ কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এটা হলে নদীর দুইপাড়ে বিশাল অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এ জন্য আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছু ব্যালেন্স করেই এটা করা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই চাইছেন তিস্তা মহা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হোক।

এছাড়াও রংপুর অঞ্চলের উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, সুশাসন না থাকলে উন্নয়ন যতই হোক, তা দৃষ্টিগোচর হয় না। এ জন্য উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের কাছে সুশাসনের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় বাজেটে রংপুর বিভাগের জন্য উন্নয়ন বরাদ্দে বরাবরই বৈষম্য হয়ে আসছে। নদীর এপার-ওপারের এই বৈষম্যের কারণে রংপুর অঞ্চল শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক আয়সহ সবদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এই অঞ্চলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ।

এ সময় তিনি রংপুর বিভাগে একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, নারী সংগঠক ও উন্নয়নকর্মী মোশফেকা রাজ্জাক, আরডিআরএস বাংলাদেশের হেড অব ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম আব্দুস সামাদ প্রমুখ।

জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের ইশতেহার ও নির্বাচন পরবর্তী বাস্তবতা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা রংপুর অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে অঞ্চল ভিত্তিক বাজেট প্রণয়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শোভন কর্মসংস্থান, জেন্ডার সমতার উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা। রংপুর জেলা ছাড়াও পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সংলাপে অংশ নেন।

অর্থনীতি

ক্রেডিট কার্ডে কোনো ধরনের লেনদেন না করেও দিতে হচ্ছে বিভিন্ন চার্জ। আবার অনেক ক্ষেত্রে কার্ড চালুর আগেই নানা ধরনের নন-ট্রানজেকশনাল ফি-চার্জ অরোপ করছে। এসব অযাচিত চার্জের অর্থ সময়মতো পরিশোধ না করায় খেলাপিও হয়ে যাচ্ছেন গ্রাহক। তাই এসব অহেতুক ফি ও চার্জ আরোপ এবং আদায় না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে নগদ উত্তোলন এবং বিলম্ব ফি আদায় বিষয়ক নির্দেশনা আছে। তারপরও সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর পরে গ্রাহক ওই কার্ড সক্রিয় করার আগেই ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের নন-ট্রানজেকশনাল ফি ও চার্জ (বার্ষিক ফি, সিআইবি ফি, এসএমএস ফি ইত্যাদি) আরোপ করা হচ্ছে এবং তা অনাদায়ে গ্রাহককে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ (খেলাপি) করা হচ্ছে। এর ফলে জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে এবং গ্রাহক বিবিধ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় করার আগে গ্রাহকের ওপর কোনোরূপ নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। গ্রাহকের ইচ্ছায় ক্রেডিট কার্ড চালুর পরে নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে।

তবে সক্রিয় ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন (কেনাকাটা, নগদ উত্তোলন বা অন্য কোনো ধরনের মার্চেন্ট ট্রানজেকশন) সংক্রান্ত কোনো দায় না থাকলে অপরিশোধিত বা বিলম্বে পরিশোধজনিত কারণে নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জের অতিরিক্ত কোনোরূপ জরিমানা আরোপ করা যাবে না। নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জের ওপর কোনো অবস্থাতেই সুদ বা মুনাফা আরোপ করা যাবে না। নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ সংক্রান্ত অপরিশোধিত দায়ের জন্য গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না।

অর্থনীতি

বিএনপি’র বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৈশ্বিক বেশ কিছু সংস্থার প্রকাশিত তথ্যকে ভিত্তি করে তৈরি এক ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি।

‘কে, কিভাবে, কখন এবং কোথায় অর্থপাচার করেছে বাংলাদেশ থেকে’ এমন প্রশ্ন করে তিনি বিএনপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ২০০১-৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি বড় অঙ্কের অর্থপাচার করেছে।
সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের

অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় এফবিআই’র এক কর্মকর্তা তারেক জিয়ার অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান (কোকো) ২০০১-৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সিঙ্গাপুরে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করেছেন। তার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের মধ্য থেকে তিন ধাপে ৩০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার দুর্নীতির তথ্য এফবিআই ওয়েব সাইটেও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ।

প্যারাডাইজ পেপারেও অসংখ্য বিএনপি নেতার নাম এসেছে। তাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা আব্দুল আওয়াল মিন্টু এবং তার স্ত্রীসহ তিন ছেলের নাম রয়েছে। সজীব ওয়াজেদ বলেন, বিশ্বের যেখানেই দুর্নীতি নিয়ে কোন তদন্ত হয়েছে সেখানেই বিএনপি নেতাদের নাম উঠে এসেছে।

ফাঁস হওয়া পানামা পেপারস-এ অর্থ পাচার করা ৩৪ বাংলাদেশি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান এবং তার ছেলে ফাইসাল মোর্শেদ খান। তারা ৪ কোটি মার্কিন ডলার এবং ১ কোটি হংকং ডলার পাচার করেছে হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। শ্রীলঙ্কার আমানা ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে ফাইসাল মোর্শেদের অধীনে একাধিক নামের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে এবি ব্যাংকের ১৮ কোটি শেয়ার রয়েছে। বিদেশে এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা সংরক্ষণ করেছে ফাইসাল মোর্শেদ। সে বিভিন্ন বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুর্নীতি বিরোধী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, এই বৈশ্বিক অনুসন্ধানকারীদের আসলে কে ক্ষমতায় আছে তাতে কিছু যায় আসে না। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একই রকম দুর্নীতির তথ্য পেলে এভাবেই প্রচার করবে। কিন্তু তেমন কিছু তারা করেনি।

সম্প্রতি সময়ে প্যান্ডোরা পেপারস ফাঁস হওয়ার পর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ১.২ কোটির বেশি গোপন নথি সেখানে রয়েছে। কিন্তু পানামা পেপারস বা প্যান্ডোরা পেপারস কোনটিতেই দুর্নীতি অনুসন্ধানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কোন নেতৃত্বের নাম উঠে আসেনি। কিন্তু প্রতিটি পেপারসে মিলেছে বিএনপি নেতাদের নাম। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভেবে দেখার মত বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

অর্থনীতি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসী বাংলাদেশীদের তাদের মাতৃভূমিতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশকে ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার জন্য আকর্ষনীয় দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সিআইপি এবং ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিরাজমান ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশের সুযোগ গ্রহন এবং দেশের অর্জনগুলো বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান। আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার দুবাইয়ে এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে এক ভাষণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ির তাচ্ছিল্য একটি সুযোগের দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সম্মিলিত অর্জনে প্রবাসী শ্রমিকদের অক্লান্ত অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের দেশের বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশের উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের কথাও তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কেও সমাবেশে অবহিত করেন। তিনি অর্থনৈতিক কূটনীতির নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, এই নতুন পরিসর বিনিয়োগের সুযোগ, বাণিজ্য ও রপ্তানি বৃদ্ধি, জনগণের লাভজনক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি ও দক্ষতার সুযোগ উন্মুক্ত করবে।

সভায় বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ ব্যবসায়ী এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। দুবাইয়ে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে এই সভায় বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মাহতাবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মসূসিতে অর্থনৈতিক ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাস্তবায়নে অনাবাসিদের ভূমিকা সম্পর্কে একটি থিম্যাটিক সেমিনার এবং সিআইপি অভ্যর্থনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত বছর পুরস্কৃত ২৬ জন নতুন সিআইপির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর এবং দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন ১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে শুক্রবার সকালে আবুধাবিতে এমিরেটস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চে ‘বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি : আজকের বিশ্বে এর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অর্থনীতি

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের জন্য রুশ ফেডারেশনের গ্লাভ কসমসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-২ কোম্পানি (বিএসসিএল) কার্যালয়ে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।

মহাকাশ বিষয়ক রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমসের সঙ্গে স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণ বিষয়ে সহযোগিতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে আর্থ অবজারভেটরি ক্যাটাগরির এই স্যাটেলাইটটির নির্মাণের অভিযাত্রা শুরু হলো।

বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সেন্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি এবং অনলাইনে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান ও গ্লাভকসমসের মহাপরিচালক দিমিত্রি লস্কুতব উপস্থিত ছিলেন।

বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম এবং গ্লাভকসমসের মহাপরিচালক দিমিত্রি লস্কুতন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সহযোগিতা স্মারকে সই করেন।

অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ রাশিয়া সরকারের সহযোগিতায় নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ৫জি যুগে প্রবেশ করেছে। আমরা তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপনে ইতোমধ্যে কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি যা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের তৃতীয় অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণ করা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে তার অভিযাত্রা আলোর মুখ দেখলো।

তিনি বলেন, টেলিকম প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এবং ইউপিইউর সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা করেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী গর্বিত দেশ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নেন।

জাতীয় জীবনে চুক্তিকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদান গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. শাহজাহান মাহমুদ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ সরকারের একটি অনন্য প্রয়াস।

বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বন্ধু প্রতীম দুটি দেশের বিদ্যমান চমৎকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক আগামীতে আরও সুসংহত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।

গ্লাভকসমস মহাপরিচালক বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ার জন্য তিনি আনন্দিত বলে উল্লেখ করেন।

অর্থনীতি

সঠিক পরিচয়পত্র না থাকা ভারতীয় ট্রাকচালক ও ট্রান্সপোর্ট কর্মচারীদের ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকতে দিচ্ছে না বিএসএফ।

এদিকে হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এমন অভিযানের প্রতিবাদে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক বিষয়ক সম্পাদক হায়দার আলী জানান, দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ভারতের বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। তাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল না মেটা পর্যন্ত আমদানি-েরপ্তানি বন্ধ থাকবে।

এদিকে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় দুই দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক। বাণিজ্য সচলের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক চলছে বলেও তিনি জানান।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, দ্রুত বাণিজ্য চালু না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ জানান, দ্রুত বাণিজ্য চালু করতে বিভিন্নভাবে ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

অর্থনীতি

দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ফ্লাইটে যেতে হলে দিনের বেলায় যেতে হয়। আবার ফিরতে হলে দিনেই ফিরতে হয়। কারণ রাতে কোনো ফ্লাইট নেই। তবে এবার সেই অপেক্ষার অবশান হতে যাচ্চে। আগামী মাসেই (ফেব্রুয়ারি) রাতেও ফ্লাইট চলাচল করবে কক্সবাজার বিমানবন্দরে।

অবকাঠামোর সংকটে বর্তমানে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। তবে সংকট আর বেশী দিন থাকছে না, ফেব্রুয়ারি থেকে রাতেও চালু রাখা যাবে বিমানবন্দর। করবে ফ্লাইট ওঠানামা। ইতোমধ্যেই বিমানবন্দরের সংস্কার কাজের ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকিটাও খুব দ্রুত শেষ হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সংস্কার পুরোপুরি শেষ হলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর কক্সবাজার হবে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের কাজ পরিদর্শন করেছেন। পরে দুপুরে সাংবাদিকদের তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ড. আব্দুস শহীদ বলেন, কক্সবাজারের এই বিমানবন্দর ঘিরে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব তৈরি হবে। সমুদ্র ছুঁয়ে নামবে বিমান। এটি বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হলে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বলেন, করোনার কারণে বিদেশি টেকনিক্যাল পরিদর্শকরা আসতে না পারায় রাতে ফ্লাইট চলাচল পিছিয়েছে। এই বিমানবন্দর এখন দিনে-রাতে ফ্লাইট চলাচলের উপযোগী। ফেব্রুয়ারিতেই রাতে ফ্লাইট চলাচল করবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরে পুরোদমে সংস্কার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ। করোনার কারণে কিছুটা বাড়তি সময় লাগলেও নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

অর্থনীতি

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে রাতেও বিমান ওঠা-নামা করতে পারবে বলে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জানিয়েছেন।

শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব কমিটির প্রতিনিধি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মফিদুর বলেন, “কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা কাজ শুরু করার পর রাতে বিমান চলাচলের জন্য যে ধরনের লাইটিং সিস্টেম দরকার তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে যাবে।”

ভবিষ্যতে এই বন্দরে নির্মাণধীন রানওয়েটির পশ্চিম পাশে আরও একটি রানওয়ে নির্মাণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তার আগে নির্মাণাধীন রানওয়েটি ব্যবহৃত হবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য।

এর আগে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিমানবন্দরের চলমান আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরের কাজ পরিদর্শন করেন। তারা নির্মাণাধীন টার্মিনাল ভবনসহ উন্নয়ন কাজ ঘুরে ঘুরে দেখেন।

জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যেই কক্সবাজার মিবানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মান রূপান্তরের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে।”
আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরের পুরো কাজ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অর্থনীতি

বাংলাদেশের নির্দিষ্ট ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২৫০ সাব-এজেন্ট মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করতে পারবে। এর বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দেশটিতে কর্মী পাঠানোর সুযোগ পাবে না।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘মালয়েশিয়াকিনি এক খবরে এই তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, এসব এজেন্সি ও সাব-এজেন্টের নামের তালিকা ও চুক্তির খসড়া তাদের হাতে রয়েছে।

গত ১০ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই দিন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি এম সারাভানান এক বিবৃতিতে জানান, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃক্ষরোপণ, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, সেবা খাত, খনিজ উত্তোলন, নির্মাণ, গৃহকর্ম ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া হবে।

সারাভান আরও জানান, দেশটির সব খাতেই বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ সম্মত হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো বৃক্ষরোপণ খাতে বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অর্থনীতি

গুলশানের ‘র ক্যানভাস বার এন্ড রেস্টুরেন্টের’ বিরুদ্ধে গুলশানের ‘র ক্যানভাস‘ বারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা হয়েছে।