অর্থনীতি

বিএনপি’র বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৈশ্বিক বেশ কিছু সংস্থার প্রকাশিত তথ্যকে ভিত্তি করে তৈরি এক ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি।

‘কে, কিভাবে, কখন এবং কোথায় অর্থপাচার করেছে বাংলাদেশ থেকে’ এমন প্রশ্ন করে তিনি বিএনপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ২০০১-৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি বড় অঙ্কের অর্থপাচার করেছে।
সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের

অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় এফবিআই’র এক কর্মকর্তা তারেক জিয়ার অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান (কোকো) ২০০১-৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সিঙ্গাপুরে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করেছেন। তার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের মধ্য থেকে তিন ধাপে ৩০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার দুর্নীতির তথ্য এফবিআই ওয়েব সাইটেও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ।

প্যারাডাইজ পেপারেও অসংখ্য বিএনপি নেতার নাম এসেছে। তাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা আব্দুল আওয়াল মিন্টু এবং তার স্ত্রীসহ তিন ছেলের নাম রয়েছে। সজীব ওয়াজেদ বলেন, বিশ্বের যেখানেই দুর্নীতি নিয়ে কোন তদন্ত হয়েছে সেখানেই বিএনপি নেতাদের নাম উঠে এসেছে।

ফাঁস হওয়া পানামা পেপারস-এ অর্থ পাচার করা ৩৪ বাংলাদেশি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান এবং তার ছেলে ফাইসাল মোর্শেদ খান। তারা ৪ কোটি মার্কিন ডলার এবং ১ কোটি হংকং ডলার পাচার করেছে হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। শ্রীলঙ্কার আমানা ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে ফাইসাল মোর্শেদের অধীনে একাধিক নামের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে এবি ব্যাংকের ১৮ কোটি শেয়ার রয়েছে। বিদেশে এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা সংরক্ষণ করেছে ফাইসাল মোর্শেদ। সে বিভিন্ন বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুর্নীতি বিরোধী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, এই বৈশ্বিক অনুসন্ধানকারীদের আসলে কে ক্ষমতায় আছে তাতে কিছু যায় আসে না। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একই রকম দুর্নীতির তথ্য পেলে এভাবেই প্রচার করবে। কিন্তু তেমন কিছু তারা করেনি।

সম্প্রতি সময়ে প্যান্ডোরা পেপারস ফাঁস হওয়ার পর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ১.২ কোটির বেশি গোপন নথি সেখানে রয়েছে। কিন্তু পানামা পেপারস বা প্যান্ডোরা পেপারস কোনটিতেই দুর্নীতি অনুসন্ধানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কোন নেতৃত্বের নাম উঠে আসেনি। কিন্তু প্রতিটি পেপারসে মিলেছে বিএনপি নেতাদের নাম। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভেবে দেখার মত বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

অর্থনীতি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসী বাংলাদেশীদের তাদের মাতৃভূমিতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশকে ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার জন্য আকর্ষনীয় দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সিআইপি এবং ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিরাজমান ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশের সুযোগ গ্রহন এবং দেশের অর্জনগুলো বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান। আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার দুবাইয়ে এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে এক ভাষণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ির তাচ্ছিল্য একটি সুযোগের দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সম্মিলিত অর্জনে প্রবাসী শ্রমিকদের অক্লান্ত অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের দেশের বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশের উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের কথাও তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কেও সমাবেশে অবহিত করেন। তিনি অর্থনৈতিক কূটনীতির নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, এই নতুন পরিসর বিনিয়োগের সুযোগ, বাণিজ্য ও রপ্তানি বৃদ্ধি, জনগণের লাভজনক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি ও দক্ষতার সুযোগ উন্মুক্ত করবে।

সভায় বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ ব্যবসায়ী এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। দুবাইয়ে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে এই সভায় বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মাহতাবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মসূসিতে অর্থনৈতিক ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাস্তবায়নে অনাবাসিদের ভূমিকা সম্পর্কে একটি থিম্যাটিক সেমিনার এবং সিআইপি অভ্যর্থনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত বছর পুরস্কৃত ২৬ জন নতুন সিআইপির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর এবং দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন ১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে শুক্রবার সকালে আবুধাবিতে এমিরেটস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চে ‘বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি : আজকের বিশ্বে এর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অর্থনীতি

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের জন্য রুশ ফেডারেশনের গ্লাভ কসমসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-২ কোম্পানি (বিএসসিএল) কার্যালয়ে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।

মহাকাশ বিষয়ক রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমসের সঙ্গে স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণ বিষয়ে সহযোগিতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে আর্থ অবজারভেটরি ক্যাটাগরির এই স্যাটেলাইটটির নির্মাণের অভিযাত্রা শুরু হলো।

বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সেন্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি এবং অনলাইনে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান ও গ্লাভকসমসের মহাপরিচালক দিমিত্রি লস্কুতব উপস্থিত ছিলেন।

বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম এবং গ্লাভকসমসের মহাপরিচালক দিমিত্রি লস্কুতন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সহযোগিতা স্মারকে সই করেন।

অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ রাশিয়া সরকারের সহযোগিতায় নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ৫জি যুগে প্রবেশ করেছে। আমরা তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপনে ইতোমধ্যে কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি যা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের তৃতীয় অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণ করা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে তার অভিযাত্রা আলোর মুখ দেখলো।

তিনি বলেন, টেলিকম প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এবং ইউপিইউর সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা করেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী গর্বিত দেশ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নেন।

জাতীয় জীবনে চুক্তিকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদান গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. শাহজাহান মাহমুদ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ সরকারের একটি অনন্য প্রয়াস।

বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বন্ধু প্রতীম দুটি দেশের বিদ্যমান চমৎকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক আগামীতে আরও সুসংহত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।

গ্লাভকসমস মহাপরিচালক বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ার জন্য তিনি আনন্দিত বলে উল্লেখ করেন।

অর্থনীতি

সঠিক পরিচয়পত্র না থাকা ভারতীয় ট্রাকচালক ও ট্রান্সপোর্ট কর্মচারীদের ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকতে দিচ্ছে না বিএসএফ।

এদিকে হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এমন অভিযানের প্রতিবাদে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক বিষয়ক সম্পাদক হায়দার আলী জানান, দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ভারতের বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। তাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল না মেটা পর্যন্ত আমদানি-েরপ্তানি বন্ধ থাকবে।

এদিকে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় দুই দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক। বাণিজ্য সচলের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক চলছে বলেও তিনি জানান।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, দ্রুত বাণিজ্য চালু না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ জানান, দ্রুত বাণিজ্য চালু করতে বিভিন্নভাবে ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

অর্থনীতি

দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ফ্লাইটে যেতে হলে দিনের বেলায় যেতে হয়। আবার ফিরতে হলে দিনেই ফিরতে হয়। কারণ রাতে কোনো ফ্লাইট নেই। তবে এবার সেই অপেক্ষার অবশান হতে যাচ্চে। আগামী মাসেই (ফেব্রুয়ারি) রাতেও ফ্লাইট চলাচল করবে কক্সবাজার বিমানবন্দরে।

অবকাঠামোর সংকটে বর্তমানে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। তবে সংকট আর বেশী দিন থাকছে না, ফেব্রুয়ারি থেকে রাতেও চালু রাখা যাবে বিমানবন্দর। করবে ফ্লাইট ওঠানামা। ইতোমধ্যেই বিমানবন্দরের সংস্কার কাজের ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকিটাও খুব দ্রুত শেষ হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সংস্কার পুরোপুরি শেষ হলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর কক্সবাজার হবে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের কাজ পরিদর্শন করেছেন। পরে দুপুরে সাংবাদিকদের তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ড. আব্দুস শহীদ বলেন, কক্সবাজারের এই বিমানবন্দর ঘিরে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব তৈরি হবে। সমুদ্র ছুঁয়ে নামবে বিমান। এটি বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হলে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বলেন, করোনার কারণে বিদেশি টেকনিক্যাল পরিদর্শকরা আসতে না পারায় রাতে ফ্লাইট চলাচল পিছিয়েছে। এই বিমানবন্দর এখন দিনে-রাতে ফ্লাইট চলাচলের উপযোগী। ফেব্রুয়ারিতেই রাতে ফ্লাইট চলাচল করবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরে পুরোদমে সংস্কার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ। করোনার কারণে কিছুটা বাড়তি সময় লাগলেও নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

অর্থনীতি

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে রাতেও বিমান ওঠা-নামা করতে পারবে বলে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জানিয়েছেন।

শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব কমিটির প্রতিনিধি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মফিদুর বলেন, “কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা কাজ শুরু করার পর রাতে বিমান চলাচলের জন্য যে ধরনের লাইটিং সিস্টেম দরকার তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে যাবে।”

ভবিষ্যতে এই বন্দরে নির্মাণধীন রানওয়েটির পশ্চিম পাশে আরও একটি রানওয়ে নির্মাণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তার আগে নির্মাণাধীন রানওয়েটি ব্যবহৃত হবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য।

এর আগে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিমানবন্দরের চলমান আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরের কাজ পরিদর্শন করেন। তারা নির্মাণাধীন টার্মিনাল ভবনসহ উন্নয়ন কাজ ঘুরে ঘুরে দেখেন।

জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যেই কক্সবাজার মিবানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মান রূপান্তরের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে।”
আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরের পুরো কাজ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অর্থনীতি

বাংলাদেশের নির্দিষ্ট ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২৫০ সাব-এজেন্ট মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করতে পারবে। এর বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দেশটিতে কর্মী পাঠানোর সুযোগ পাবে না।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘মালয়েশিয়াকিনি এক খবরে এই তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, এসব এজেন্সি ও সাব-এজেন্টের নামের তালিকা ও চুক্তির খসড়া তাদের হাতে রয়েছে।

গত ১০ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই দিন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি এম সারাভানান এক বিবৃতিতে জানান, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃক্ষরোপণ, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, সেবা খাত, খনিজ উত্তোলন, নির্মাণ, গৃহকর্ম ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া হবে।

সারাভান আরও জানান, দেশটির সব খাতেই বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ সম্মত হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো বৃক্ষরোপণ খাতে বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অর্থনীতি

গুলশানের ‘র ক্যানভাস বার এন্ড রেস্টুরেন্টের’ বিরুদ্ধে গুলশানের ‘র ক্যানভাস‘ বারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা হয়েছে।

অর্থনীতি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে মিথেন গ্যাসের (গ্যাস হাইড্রেট) সন্ধান মিলেছে। সমুদ্রে এক গবেষণা সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

বঙ্গোপসাগরে গ্যাস হাইড্রেট এবং সামুদ্রিক জেনেটিক সম্পদের ওপর গবেষণার ফলাফল নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইস অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) মোহাম্মাদ খুরশেদ আলম।

অর্থনীতি

করোনা ও ওমিক্রন পরিস্থিতির মধ্যে নতুন বছরের অর্থনীতির গতি পর্যালোচনা করে দেখছেন রাষ্ট্রের আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারকরা। সেখানে আর্থিক অবস্থার দুধরনের চিত্র দেখতে পান তারা। একদিকে করোনায় আয়-রোজগার কমা, বেকার ও ছাঁটাই হওয়া মানুষগুলো খরচ করতে হিমশিম খাচ্ছে। এরসঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে বাজারদর।

জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা মূল্যস্ফীতিকে উত্তপ্ত করে তুলছে। রেমিট্যান্স নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। অন্যদিকে- সরকারের রাজস্ব আয় ভালোই হচ্ছে। বাড়ছে ব্যাংক ঋণের অঙ্ক। রপ্তানি ও আমদানিতে ইতিবাচক ধারা বইছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পুরোদমে শুরু হয়েছে। কৃষি উৎপাদন সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এটা স্পষ্ট যে অর্থনীতি করোনার ধাক্কা যথেষ্ট মাত্রায় কাটিয়ে উঠছে। গেল সপ্তাহে আর্থিক খাতের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল’ সভায় বসেছিলেন অর্থমন্ত্রী নিজেই। ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তারা।

কাউন্সিলের সদস্যরা মনে করছেন, টিকার কারণে অর্থনীতিতে গতি বাড়ছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন অর্থনীতির জন্য হুমকি মনে করছেন না। কারণ বুস্টার ডোজ ইতোমধ্যে চলে আসছে। মার্চ পর্যন্ত দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় চলে আসবেন। করপোরেট খাত অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ও আমদানিতে রের্কড সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হারও। রাজস্ব আয়ে আশার সঞ্চার তৈরি হয়েছে। এসব কারণে নতুন বছরের অর্থনীতির গতি আরও বাড়বে বলে আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

সবকিছু ঠিক থাকলে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সংকোচের তুলনায় চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অর্থ বিভাগ। শুধু তাই নয়, পরের অর্থবছরেও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে এমনটি ধরেই হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে।

তবে অর্থনীতির আকাশে কিছু ঘন কালো মেঘও দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, শঙ্কা মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী। রেমিট্যান্স প্রভাব নিুমুখী ও ব্যালেন্স অব পেমেন্টে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। খোলা বাজারে ডলারের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বমুখী ভাবিয়ে তুলছে।

জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী পণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। যে কারণে দেশে জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে হয়েছে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে পণ্য ও সেবা খাতে। এ বছর মূল্যস্ফীতি বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। যে কোনো মূল্যে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এটি সম্ভব না হলে মুদ্রার বিনিময় হার, আমদানি ও রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তার মতে, বিশ্ব অর্থনীতির সবকিছু খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশেও অন্যান্য সূচক কিছুটা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। রপ্তানি আয় কিছুটা বেড়েছে। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ও বাজেট বাস্তবায়ন আগের বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। এখন নজর মূল্যস্ফীতির দিকে।

এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, অর্থনীতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও সঞ্চয় দুটোর পরিমাণই বাড়ছে। আমদানির চাহিদা অনেক বেড়েছে। রপ্তানিও বাড়ছে। তবে রেমিট্যান্স কমছে। আমদানি বেড়ে যাওয়ায় ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ঘাটতি বেড়েছে। এটি কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এটির কারণেই মুদ্রা বিনিময় হারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ডলারের মূল্য বেড়েছে। তবে খোলা বাজার ও ব্যাংকিং এর মধ্যে ডলারের মূল্য ব্যবধান অনেক বেশি। সেটি আরও কমিয়ে আনতে হবে। না হলে ইনফরমাল চ্যানেলে বেশি টাকা চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আগীম বছরে পদ্মাসহ আরও কিছু বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। মেট্রোরেল আংশিক হয়ে যাবে। এর প্রভাব ২০২২ সালের অর্থনীতিতে পড়বে। এসব দিক বিবেচনায় নতুন বছরের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় যাবে। তবে কিছু পুরোনো চ্যালেঞ্জ আছে। এরমধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাসের প্রভাব। সরকারের ব্যয় করার সক্ষমতা কমছে। কারণ রাজস্ব আহরণ সেভাবে বাড়ছে না। সেদিকে নজর দিতে হবে।

এদিকে করোনা ধকল কাটিয়ে দেশের শিল্পকারখানা উৎপাদন শুরু করেছে। ফলে আমদানিতে রের্কড সৃষ্টি হয়েছে। অক্টোবরে ৭১১ কোটি ডলারের আমদানি হয়েছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় বেশি ২৭৪ কোটি ডলার বা ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ। জুলাই-অক্টোবরে মোট ২ হাজার ৫৮৩ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৭০৬ কোটি ডলার। আমদানি বেশি হয়েছে ৮৭৭ কোটি ডলার বা ৫১ দশমিক ৩৯ শতাংশ

এদিকে জুলাই-নভেম্বরে রপ্তানি বাণিজ্য থেকে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলার আয় হয়েছে। এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। গতবছর একই সময়ে আয় হয় ১ হাজার ৫৯২ কোটি ডলার।

অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৪ হাজার ৬১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৮ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। পরিকল্পনা বিভাগ মনে করছে করোনার ধাক্কা সামলে গতি ফিরছে উন্নয়ন কার্যক্রমে। এদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরায় রাজস্ব খাতেও আদায়ের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত পাঁচ মাসে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন বছরে অর্থনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রুত ব্যালেন্স অব পেমেন্টকে স্থিতিশীল করা। প্রয়োজনে টাকার অবমূল্যায়ন করে হলেও করতে হবে। তা না হলে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি বেড়ে গেলে গরিব মানুষের ওপর বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর ধনী মানুষকে আরও ধনী করবে। মূল্যস্ফীতি বাড়লে সঞ্চয়ের সুদ হার ৬ থেকে ৭ শতাংশ করতে হবে। এতে ব্যাংক ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশে রাখা সম্ভব হবে না। ফলে শিল্পসহ উৎপাদনশীল খাত ধ্বংস হয়ে যাবে।

জানা গেছে, চলতি বাজেটে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু অর্থ বিভাগ হিসাব করে দেখছে এর পরিমাণ আরও বাড়বে। বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দেশে জ্বালানি তেল, সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ভর্তুকি বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও আগামীতে দেশের ভেতর এ মূল্য কমানোর সম্ভাবনা নেই। ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনতে নতুন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বাড়তে পারে।